× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
প্রবীণদের কী হবে
google_news print-icon

প্রবীণদের কী হবে

প্রবীণদের-কী-হবে
কাজের চাপে এখন বাবা-মাকে ছেড়ে ছেলেমেয়েদের থাকতে হচ্ছে দূরে ও আলাদা। আবার যৌথ পরিবারপ্রথা ভেঙে একক পরিবারই এখন সমাজের প্রধান প্রবণতা। আর এ কারণে প্রবীণদের জীবন অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। তাদের যত্ন-আত্তি, চিকিৎসা এমনকি খাওয়া-দাওয়ার অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়।

কুষ্টিয়া সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধার শতবর্ষী মা আছিরন নেছা। শরীর চলে না। বয়স ১০০ পার হয়েছে অনেক আগেই। ছেলের মৃত্যুর পর ঠাঁই হয়েছে গোয়ালঘরে। অন্য ছেলেরাও দেখাশোনা করেন না।

এক নাতি সাহায্য-সহযোগিতা করেন দূর থেকে। কিন্তু তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি করেন। বছরে ১০ দিনের বেশি বাড়িতে আসা হয় না।

প্রশ্ন হচ্ছে আছিরনকে কে দেখবে?

এ রকম ঘটনা দেশে বিরল নয়। প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে এই ধরনের সংবাদ।

বয়স হলে অপাঙক্তেয় হয়ে যাওয়ার ঘটনা কেবল নিম্নবিত্তে নয়, আছে মধ্য আর উচ্চবিত্তেও।

আবার একাকী জীবনযাপনে বাধ্য হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে আসলে কোনো অবহেলা নয়, জীবনের বাস্তবতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান নিজের ফ্ল্যাটে একাকী মারা যান। প্রতিবেশী বিষয়টি টের পান কয়েক দিন পর। ততক্ষণে মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সেটি উদ্ধার করে।

এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে অধ্যাপক তারেক মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাকে। বাসায় একা থাকতেন বলে তার চিকিৎসা হয়নি।

কাজের চাপে এখন বাবা-মাকে ছেড়ে ছেলেমেয়েদের থাকতে হচ্ছে দূরে ও আলাদা। আবার যৌথ পরিবারপ্রথা ভেঙে একক পরিবারই এখন সমাজের প্রধান প্রবণতা। আর এ কারণে শেষ জীবনে প্রবীণদের জীবন অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। তাদের যত্ন-আত্তি, চিকিৎসা এমনকি খাওয়া-দাওয়ার অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়।

সমাধান কী

পশ্চিমা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশে প্রবীণ নিবাস জনপ্রিয় হয়নি। বড় শহরে সরকারি উদ্যোগে আছে হাতে গোনা দুই-একটা। বেসরকারি উদ্যোগেও সংখ্যাটি খুব একটা বেশি নয়। আবার এসব নিবাসে থাকতে চাওয়ার আগ্রহও খুব বেশি আছে এমন নয়।

প্রবীণদের কী হবে

প্রবীণদের ঘরে সমাদর নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাদের শেষ জীবনে বৃদ্ধাশ্রমে থাকার বিষয়টি সমাজ এখনও সেভাবে মেনে নিতে পারছে এমনও নয়।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি ভালো মানের প্রবীণ নিবাস করা হয়ে থাকে তবে সেটিকে আমি খারাপ বলব না। সরকারি বা বেসরকারিভাবে সেটি করা যেতে পারে। কারণ, এখন আমাদের যে বাস্তবতা তা আমাদের পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে ছিল না।

‘তাই সময়ের সঙ্গে এটি সামঞ্জস্য রেখে চলা যাবে। যদি একটি জায়গায় এমন ব্যবস্থা করা যায় তবে সপ্তাহে সপ্তাহে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করা যাবে। খোঁজখবর রাখা। এটি কিন্তু মানানসই ব্যাপার।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, সরকারের ভাবনাতেও আছে প্রবীণ নিবাসের সংখ্যা বাড়িয়ে বিপাকে পড়া প্রবীণদের শেষ জীবনটা কিছুটা হলেও স্বস্তিময় করার। তবে এই পরিকল্পনা এখনও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। আর এ কারণে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেন না।

পশ্চিমা দুনিয়ায় এই ব্যবস্থাপনা আছে। সরকারি বা সমাজের উদ্যোগে চলে সেগুলো। সেখানে প্রবীণদের খাদ্য, বিনোদন, স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যবস্থা আছে। এমনকি শিশুদেরও সেসব নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দুই পক্ষেরই আত্মিক বন্ধনটি বজায় থাকে।

নিবাসে থাকা মানুষদের স্বজনরা দেখতে আসেন। তারাও বেড়াতে যান সময়সুযোগমতো।

সরকার যা বলছে

পশ্চিমা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশেও প্রবীণ নিবাস বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম কিছু জানাতে পারেননি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জেলা বা উপজেলাতে বৃদ্ধাশ্রম বা প্রবীণ হোম করা যাবে কি না, এমন নীতিনির্ধারণী বিষয় আমার জানা নেই। এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে আমরা যদি এমন খোঁজ পাই যে কোনো প্রবীণ অসহায় হয়ে পড়েছেন বা তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’

প্রবীণদের কী হবে

প্রবীণদের নিয়ে সরকারের ভাবনার কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটা গাইডলাইন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন প্রবীণরা বয়ঃবৃদ্ধ হলে ছেলেমেয়েরা তাদের দেখে না। উনি (শেখ হাসিনা) প্রবীণ নিবাস করে এদের সেখানে ভরণপোষণ দিয়ে ভালোভাবে রাখার পরিকল্পনা করেছেন।’

প্রথমদিকে জেলায় জেলায় এমন প্রবীণ নিবাস হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারপর এটি বাড়তে পারে। এটি প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা। আমরা সেটি মন্ত্রণালয় থেকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি।’

এক প্রবীণ নিবাসের চিত্র

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি প্রবীণ নিবাস। সেখানে আছেন ৪৪ জন। এদের ২৩ জন পুরুষ আর ২১ জন নারী।

এদের সবার বয়সই ৭০ বছরের বেশি। আর তাদের পরিবার সচ্ছল। বাড়িতে বসবাস করা কারও জন্য বিব্রতকর, কারও ক্ষেত্রে স্বজন থাকে না কাছে। একা থাকা বিপজ্জনক।

প্রবীণ নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক আঞ্জুমান জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যারা আছেন সবাই ভালো ও সচ্ছল পরিবারের। তবে হয়তো তারা তাদের পারিবার থেকে ওই নিশ্চয়তাটুকু না পাবার কারণে এখানে নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছেন।’

এখানে প্রবীণরা কী করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনারা সব সময় নিজেদের মতো করে থাকেন। আমরা কখনো তাদের এখানে আসার কারণ জানতে চাইনি। আর তারা সেটা কখনো আমাদের জানাতেও চান না। তবে আমার এইটুকু মনে হয় যে, তাদের বৃদ্ধ বয়সে তারা হয়তো কারও বোঝা হতে চান না।’

প্রবীণদের কী হবে

এখানে থাকার খরচ কেমন জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, এখানে ঘর ভাড়া আট হাজার টাকা। খাওয়ার খরচ তিন হাজার।

তিনি বলেন, ‘তাদের সময়মতো খাবার দেয়া হয়। যদি অসুস্থ হন কেউ তবে পরিবারকে জানানো হয়। গত বছর করোনার সময় একজন অসুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তিনি মারা যান।’

এখানে গত বছর ছিলেন মোট ৫০ জন। এর মধ্যে ৪ জন বাসায় ফিরে গেছেন। ২ জন মারা গেছেন।

আঞ্জুমান জাহিদ নিজেই বলেন, এই নিবাসের যে চিত্র, সেটি অন্য জায়গায় পাওয়া কঠিন।

তিনি বলেন, ‘আপনি অন্য কোথাও গেলে হয়তো দেখতে পাবেন সেখানে থাকার খরচ অনেক। যারা সেবা করবেন তাদের সেই মানসিকতা নেই। অনেকেই শেষ বয়সে পেনশনের টাকা দিয়ে প্রবীণ নিবাসে থাকেন। কিন্তু তারা যথাযথ যত্ন পান না।’

প্রবীণ নিবাসে যারা আছেন, তারা কেউই সাংবাদিক বা বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘আসলে তারা এর আগে অস্বস্তি অনুভব করেছেন বিধায় আমরা এখন একটু সীমাবদ্ধতা মেনে চলি। ওনারা আমাদেরও কখনো তাদের ব্যক্তিগত কথা জানাতে চান না।’

‘কেবল প্রবীণ নিবাস বাড়ানোই সমাধান নয়’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক নেহাল করিম মনে করেন, বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে যে সামাজিক রীতি চলে এসেছে, তাতে প্রবীণরা শেষ জীবনে পরিবার ছেড়ে প্রবীণ নিবাসে থাকতে চাইবেন, এমনও নয়।

তিনি মনে করেন, প্রবীণদের দায়িত্ব পরিবারের স্বজনদেরই নিতে হবে কোনো না কোনো উপায়ে।

নেহাল করিম বলেন, ‘আমরা এখনও কিন্তু ধনী হইনি। আমি নিজে খেতে পারছি না বলে আমার মাকে বা বাবাকে সাহায্য করতে পারছি না। তারপর একটা ঘরের প্রেশার থাকে।

‘যে বা যিনি মা-বাবাকে এভাবে রাখেন তাদের প্রথমত মূল্যবোধ নেই। আর তিনি যদি বউয়ের কারণেও করে থাকেন তবে তিনি ব্যক্তিত্বহীন।’

আইন কী বলে

পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩-এর ৩ ধারার ১ উপধারায় বলা আছে, প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে হবে।

২ উপধারায় বলা আছে, বাবা-মায়ের একাধিক সন্তান থাকলে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভরণপোষণ নিশ্চিত করবেন।

৩ উপধারায় বলা আছে, বাবা-মায়ের ভরণপোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস করতে হবে।

৪ উপধারায় বলা আছে, কোনো সন্তান তার বাবা-মাকে বা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করবে না।

৫ উপধারায় বলা আছে, প্রত্যেক সন্তান তার বাবা ও মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও পরিচর্যা করবে।

৬ উপধারায় বলা আছে, বাবা বা মা সন্তান থেকে আলাদা বসবাস করলে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তার বা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

৭ উপধারায় বলা আছে, বাবা বা মা বা দুইজন আলাদা বসবাস করলে তার বা তাদের দৈনন্দিন আয়-রোজগার বা ক্ষেত্রমতো, মাসিক আয় বা বার্ষিক আয় থেকে যুক্তিসংগত পরিমাণ টাকা নিয়মিত দেবে।

পিতা-মাতার ভরণপোষণ না দেয়ার দণ্ড

৫ ধারার ১-এ বলা হয়েছে, সন্তান যদি এই অপরাধ করে, তাহলে এর জন্য তার অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The negotiation of the consensus will be a peaceful solution to political differences Press Secretary

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে এবং এই আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।

ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
A joint trial of Bangladesh United States Air Force in Anwara

আনোয়ারায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

ইনক্যাপ সিরিমনি অনুষ্ঠিত
আনোয়ারায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়া

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩থ-এর অংশ হিসেবে ইনক্যাপ সিরিমনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিবছর দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বিদেশে বেশ কয়েকটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, আর এটাই ছিল চলতি বছরের শেষ মহড়া। এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি অর্জন করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আমেরিকান বিমান বাহিনীর দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিল, অপারেশন লাইট, এয়ার কন্ডিশন, জেনারেটর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র এবং অপারেশন থিয়েটারের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর জুদাহ বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রমে বিশেষভাবে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ অঞ্চলের মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুসেবা আরও উন্নত করতে এসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আনোয়ারার মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে স্থানীয় মানুষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র টিমের সিনিয়র সদস্য কার্নেল অ্যান্ড্রু ব্রি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি মেজর গ্রিন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যসহ দুদেশের বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Human bonds held against Union Entrepreneur in Satkhira

সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা টাকা আত্মসাৎ
সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জন্মনিবন্ধে ইচ্ছাকৃত ভুল, ভুল সংশোধনের নামে বারবার অর্থ গ্রহণ, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা নিজের পরিবারের নাম্বার দিয়ে আত্মসাৎ করে, বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারি ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, পরিষদের অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মহিলা লীগ ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচারের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ফুলতলা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘আসমা হঠাও প্রতাপনগর বাচাও’ এই স্লোগানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সভাপতি স.ম আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরি আলম সিদ্দিকী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিএনপি নেতা কারিমুজ্জামান, প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী স্বামী আব্দুল সালাম, আর এক ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, প্রমুখ।

মানববন্ধনে বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আসমা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধীসহ ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এমনকি বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদের নাম্বার পরিবর্তন করে নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানাজানি পরেও চেয়ারম্যান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তিনি আওয়ামী মহিলা লীগের ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচার করতে হবে, তা না হলে এরপরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি করা হবে।

তবে অভিযুক্ত তথ্য উদ্যোক্তা আসমা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমার মায়ের একটি সিম হারিয়ে গিয়েছিল। ভুলক্রমে সেই সিম নাম্বারে একটি বয়স্ক ভাতার টাকা চলে আসে। আমি জানতে পেরে সমাজসেবা কর্মকর্তার অবহিত করি। আমি কোনো টাকা উত্তোলন করিনি।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি দাউদ ঢালী বলেন, আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি আজ তাকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
The skeleton of the missing auto driver recovered from the bushes after 7 days in Muradnagar

মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

ঘাতকের স্বীকারোক্তিতে উন্মোচিত হলো হত্যার রহস্য
মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক অটো রিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় অটো রিকশা চালক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান আসামি খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানো স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। গত ১১ আগস্ট রাতে অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ২০ আগস্ট নিহতের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল ঘাতক খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে মেহেদীর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে থাকা পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা নিহতকে শনাক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Starting training in skill development of young people who dropped in Patuakhali

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

ঝরে পড়া তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বিশেষ কার্যক্রম ‘কার্যকর সাক্ষরতা ও ব্যবহারিক কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ (প্রাক-বৃত্তিমূলক পর্যায়)’। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে একই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের চারটি ট্রেডে দক্ষ করে তোলা হবে; ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং এবং মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস, মোট ৪৬০ ঘণ্টা। সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে টিভিইটি সোপানের এনএসসি-১ (NSC-1)-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবেন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হবে। তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণ-তরুণীরা শুধু সাক্ষরতা অর্জন করবে না, বরং কর্মসংস্থানের যোগ্যতাও অর্জন করবে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রশিক্ষণার্থী রহিম খান বলেন, ‘এখান থেকে আমরা বিনা খরচে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।’

একজন অভিভাবক মোসা. সাবিকুন নাহার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই প্রশিক্ষণে যুক্ত হওয়ার পর তাকে নতুনভাবে উদ্যমী দেখছি। এখন তার জীবনের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ওই কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণরা শুধু কর্মমুখী জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আনিসুর রহমান, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ ইলেকট্রিক্যাল), এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ সিভিল), মো. জুয়েল রানা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রশিক্ষণের সফলতা কামনা করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Distribution of BGP relief among flood victims in Daulatpur

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। গত বুধবার বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।

ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে বিজিবি কর্তৃক জানিয়েছেন।

সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, ‘বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
Kishoreganj seized 4 thousand 5 kg government rice seizure

কিশোরগঞ্জে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি সরকারি চাল জব্দ, আটক ৩

কিশোরগঞ্জে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি সরকারি চাল জব্দ, আটক ৩

কিশোরগঞ্জের ইটনায় কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বাদলা বাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ও মৃগা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৪ হাজার ২৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), নিয়ামুল মিয়া (২৪) ও সাইদুল মিয়া (১৯)। তারা মৃগা এলাকার বাসিন্দা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃগা গ্রামের ডিলার জানু মিয়ার নামে ১০ হাজার ৮৩০ কেজি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে পৃথক দুটি স্থান থেকে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

বাদলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল নিয়ে যাওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় ভরে চালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

ইটনা থানার উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল জানান, বাদলা থেকে ৭২ বস্তা চাল উদ্ধারের পর ডিলার জানু মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাড়ি থেকে আরও ৮৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, চালগুলো আত্মসাতের উদ্দেশে নির্ধারিত স্থানে না রেখে অন্যত্র রেখেছিলেন ডিলার জানু মিয়া তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

p
উপরে