× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
খালেদা মুক্ত বিএনপির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত
google_news print-icon

খালেদা মুক্ত, বিএনপির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত

খালেদা-মুক্ত-বিএনপির-নেতৃত্বে-ভারপ্রাপ্ত
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলের বাইরে থাকলেও ছেলে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করে রেখেছে দল-ফাইল ছবি
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকছেন। তার কাছে চাইলেই যেতে পারছেন বিএনপির নেতারা। এই অবস্থাতেও তার বদলে বিদেশে অবস্থানকারী তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে রাখার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। তবু তার ছেলে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে রেখেছে দল।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী অবশ্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে গত ১১ এপ্রিল থেকে সবার থেকে আলাদা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এর আগেও বিএনপির নেতৃত্বকে ভারমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বিদেশে অবস্থানকারী নেতাকে নেতৃত্বে রাখাটা বিএনপির পক্ষে খুব সুখকর এমন নয়। তাকে কেবল সশরীরে পাওয়া যায় না, এটিই নয়, তার নির্দেশনার কথা কেবল বিএনপি জানাতে পারে, কিন্তু তার কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা যায় না।

দণ্ডিত ও পলাতক আসামি হিসেবে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে।

তারেক রহমান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা ছাড়াও অর্থ পাচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা এবং সব শেষ বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির মামলায় দণ্ডিত।

এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তার।

২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে আর ফেরেননি তারেক। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সে দেশে রয়ে যান। এর মধ্যে তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকছেন। তার কাছে চাইলেই যেতে পারছেন বিএনপির নেতারা।

এই অবস্থাতেও তার বদলে বিদেশে অবস্থানকারী তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে রাখার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছে না বিএনপি।

খালেদা মুক্ত, বিএনপির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত
সাজার আগে আদালতে হাজিরা দিতে খালেদা জিয়া- ফাইল ছবি

কী বলছেন বিএনপি নেতারা

খালেদা জিয়া মুক্ত থাকা সত্ত্বেও তারেক রহমান কেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এমন প্রশ্ন শুনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিরক্ত হয়েছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনারা অসময়ে অহেতুক আলাপ সামনে নিয়ে আসেন। এটা কোনো প্রশ্ন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারেক রহমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। ম্যাডাম দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন, অসুস্থ ছিলেন। তিনি তো এখন হাসপাতালেই ভর্তি। তার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান এ দায়িত্ব পেয়েছেন। এখানে প্রশ্ন থাকার কিছু নেই।’

অসুস্থ থাকার আগে তো বেগম জিয়া সাময়িক মুক্তিতে ছিলেন, তখনও তো বেগম জিয়াকে পুনরায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি? এমন প্রশ্নে গয়েশ্বর বলেন, ‘সাময়িক মুক্তি। এই সাময়িক মুক্তির পিছনে অনেক হিডেন বার্তা রয়েছে। তিনি তখনও বন্দিই ছিলেন। বন্দি অবস্থায় একজন কীভাবে দলের দায়িত্ব নেবেন? প্রতিবন্ধকতার কারণে তো দলীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারে না। দলকে সক্রিয় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে তা গঠনতন্ত্রের বাইরে নয়।’

বিএনপি নেত্রীকে গত বছরের মার্চে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার পর আরও দুই দফা ছয় মাস করে বাড়ানো হয়েছে মুক্তির মেয়াদ। তিনবারই সরকার ও বিএনপি নেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি শর্তের কথাই বলা হয়েছে।

সেগুলো হলো

০১. বিএনপি নেত্রী দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন

০২. তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না

গত ২৭ এপ্রিল বিএনপি নেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার আবেদন করা হয়। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দণ্ডবিধির ৪০১ ধারা ব্যবহার করে বিএনপি নেত্রীকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই ধারায় দ্বিতীয়বার আর কোনো কিছু করার আইনি সুযোগ নেই।

তবে গয়েশ্বর দাবি করেছেন, এই দুই শর্তের বাইরেও ‘হিডেন (গোপন) শর্ত’ আছে।

তবে কী সেই হিডেন শর্ত? এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। বলেন, ‘সেটা আপনারা খুঁজে বের করেন। আপনারা তো গণমাধ্যম। একজন অসুস্থ সেটা জনগণ দেখছে। তার চিকিৎসার জন্যও বাধা যেখানে, সেখানে আর কী বলা যাবে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন অফিশিয়ালি এখনও তার জায়গাতেই আছেন। তার ভাবমূর্তি ঠিক ঐ জায়গাতেই আছে, যেখানে ছিল। কেউ তাকে সরিয়ে রাখেননি। তাকে সরানোর এখতিয়ারও কারও নেই। তিনি চাইলে যেকোনো সময় চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিতে পারেন। এখন তিনি অসুস্থ। এই মুহূর্তে তাকে সুস্থ দেখাটাই সবার কামনা।’

তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করতে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন

বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ড হয় ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রাতেই তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

তারেককে এই পদ দিতে দলের গঠনতন্ত্রও পাল্টায় দলটি। আগের গঠনতন্ত্রে ছিল দণ্ডিত কেউ দলের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে না। তবে কোনো আগাম ঘোষণা না দিয়ে অনেকটা চুপিসারে সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিয়ে আসা হয় নির্বাচন কমিশনে। এ নিয়ে সে সময় ক্ষমতাসীন দলের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় বিএনপিকে, যার জুতসই কোনো জবাব নেতারা দিতে পারেননি।

বিএনপি উচ্চ আদালতে গিয়ে আইনি লড়াইয়ে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারেনি, উল্টো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর হয় হাইকোর্টে। এরপর আপিলের মীমাংসায় বিএনপি আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছে সাত বছর। এই মামলায় হাইকোর্টে আপিল শুনানিতেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।

আইনি লড়াইয়ে ব্যর্থতা বা নিস্পৃহ মনোভাবের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী তৎপর হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছুটে যান। আর মানবিক কারণে সাড়া দেন সরকারপ্রধান।

খালেদা মুক্ত, বিএনপির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরার দিন খালেদা জিয়া-ফাইল ছবি

মুক্ত খালেদা রাজনীতি থেকে দূরে

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ২৫ মার্চ দণ্ড ছয় মাসের জন্য মওকুফ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি নেত্রী।

সেদিনের পর কেবল এক দিন বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক বৈঠকের খবর আসে গণমাধ্যমে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় রাজনৈতিক আলোচনা হওয়ার খবর অসত্য বলে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়।

যে খবর গণমাধ্যমে এসেছিল, তাতে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো কথা লেখা ছিল না। বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া তার কারাগারে থাকা অবস্থায় দলের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন আর কিছু সিদ্ধান্ত যে তার পছন্দ হয়নি, সেটি বলেছেন।

কেবল প্রতিবাদলিপি নয়, বিএনপির একাধিক নেতা নানা আয়োজনে বারবার বলেছেন, সেই বৈঠক ছিল কুশলবিনিময়, সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

তবে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হলে কী সমস্যা, সে বিষয়ে নেতারা কিছু বলেননি।

সেদিনের পর থেকে খালেদা জিয়া দলের নেতাদের সঙ্গে আর কোনো বৈঠক করেননি। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ গিয়েছেন তার বাসভবন ফিরোজায়।

দলের কোনো আলোচনায় ভার্চুয়ালি বিএনপি নেত্রী অংশ নিয়েছেন, এমন খবরও জানানো হয়নি। দলের বিজ্ঞপ্তিতে এসব বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন তা জানানো হয়। তবে খালেদা জিয়ার নাম কখনও লেখা হয়নি।

স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- এর কোনো একটি দিবসেও খালেদা জিয়া বাণী দেননি। এমনকি ঈদের শুভেচ্ছাও জানাননি।

গত ১৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো মনে করি, উনি এখনও অ্যাকটিভ আছেন রাজনীতিতে। শি ইজ অলওয়েজ ইন আওয়ার মাইন্ড। উনি রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাবের নাম। বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে কখনও সরে যাননি এবং যাবেন না। আমরা মনে করি, উনি আছেন, উনি থাকবেন। যখনই উনি সুস্থ হবেন, বেরিয়ে আসবেন, অবশ্যই উনি অ্যাকটিভ হবেন।’

আরও পড়ুন:
প্রতিহিংসায় সরকার খালেদাকে বিদেশ যেতে দেয়নি: ফখরুল
বিদেশে খালেদার চিকিৎসার বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চান নজরুল
‘ম্যাডামের জ্বর নিয়ন্ত্রণে’
খালেদার শারীরিক অবস্থা দল থেকে জানানো হবে
খালেদা জিয়ার হঠাৎ জ্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Turkeys Deputy Foreign Minister meeting with BNP Secretary General

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস সাক্ষাৎ করেন। ছবি : বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচি।

আজ দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

সাক্ষাতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও উপস্থিত রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রয়েছেন।

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্যও বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বিশেষ
Election is essential to recover the democratic process in the country Amir Khasru

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে।’

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এ জন্যে সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।’

গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসন্ন নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে আমির খসরু বলেন, ‘বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই’

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোয়েন লুইস সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

মন্তব্য

বিশেষ
The world has the support of the country through elections Mirza Fakhrul

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।’

গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

আজকে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান বিএনপি মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।

বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে-এটাই তো স্বাভাবিক।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি যে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’

নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’

মন্তব্য

বিশেষ
Two people nominated the Gopalganj 4 constituency

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আবুল বসার ও কাজী রনি।

আবুল বসার গণঅধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক ও কাজী রনি ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সম্পাদক।

আবুল বসার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কর্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। আবুল বসার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত ধলা দাড়িয়ার ছেলে ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

এর আগে কাজী রনি সংগ্রহ করেন মনোনয়ন ফরম। কাজী রনি কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের মৃত. কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ব্যাংকার। ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।

আবুল বসার বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণমানুষের দল। জনসাধারণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই। গোপালগঞ্জ-৩ একটি ভিআইপি আসন। এ আসনের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্তমান কর্মকান্ড অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদকেই বেছে নিবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনোনয়ন চেয়েছি, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি আশাকরি দলের সম্মান বজায় রাখতে পারব।

বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি বন্ধ করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে যদি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকে রয়েছেন জেলে। এদিকে অন্তর্ন্তীকালীন সরকার আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

মন্তব্য

বিশেষ
Mirza Fakhrul told reporters back from the United States

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’

তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই।

এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Spreading confusion over the selection of a party Mirza Abbas

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
PROCIAL Jamaat

পিআর আন্দোলনের আড়ালে নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছাড়: গোলাম পরওয়ার
পিআর আন্দোলনের আড়ালে 
নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

ইসলামী সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না। আমিরে জামায়াত আমাকে একটা আইডিয়া দিয়েছেন, এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে করতে শেষ পর্যন্ত একশ আসনও আমাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। আমাদের বলেছেন মাইন্ড সেট রাখবেন, কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন অবারিত সুযোগ অতীতে আর কোনো দিন আসেনি।’ ভবিষ্যতেও আসবে কি না আমরা জানি না। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, এখন থেকে আপনারা পরিকল্পনা করেন যার যার নির্বাচনী এলাকায় কবে বাড়ি যাবেন, যতক্ষণ যেতে দেরি হবে নিজের উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছি, তবে একটি বড় দলের বাধায় জুলাই সনদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মৌলিক সংস্কার চায় না। তারা মনে করছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, এটা ভেবেছে বলেই ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে ফল পেয়েছে।’ একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জামায়াত বলেও জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।

মন্তব্য

p
উপরে