করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের জন্য একের পর এক সংকুচিত হয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক আকাশপথ। এর ফলে দেশি এয়ারলাইনসগুলো তাদের বহরে থাকা উড়োজাহাজের সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশই ব্যবহার করতে পারছে না।
তার ওপর প্রতিনিয়তই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ও লিজের টাকা শোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফ্লাইট না চালিয়েও গুনতে হচ্ছে এয়ারপোর্ট পার্কিং ফিসহ সরকারের অন্যান্য মাশুল। এ অবস্থায় বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশি এয়ারলাইনসগুলো।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের বহরে বর্তমানে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে নিজস্ব ১৫টি আর ভাড়ায় আনা হয়েছে ছয়টি।
নিজস্ব উড়োজাহাজের মধ্যে আছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার, চারটি ট্রিপল সেভেন, দুটি সেভেন এইট সেভেন ও তিনটি ড্যাশ এইট মডেলের উড়োজাহাজ। ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজগুলোর মধ্য চারটি সেভেন থ্রি সেভেন ও দুটি ড্যাশ এইট।
ড্রিমলাইনার ও ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজগুলো একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। মূলত লম্বা দূরত্বের গন্তব্যে এ উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করা হয়। সেভেন থ্রি সেভেন মধ্য দূরত্ব ও ড্যাশ এইট সাধারণত ব্যবহার করা হয় স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে।
বিমান বলছে, করোনার কারণে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশও এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। করোনার আগে ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ছিল বিমানের ফ্লাইট, যার বেশির ভাগই এখন বন্ধ।
সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার আগে উড়োজাহাজের দৈনিক গড় ব্যবহার ছিল প্রায় নয় ঘণ্টা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৯ ঘণ্টায়। আন-অডিটেড হিসাবে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিমানের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা।’
ঘাটতি কমাতে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্গো ও চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এরপরও লোকসান ঠেকানো যায়নি।
তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘ঘাটতি কমাতে বিমান কার্গো এবং চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনাবশ্যক এমন মূলধন জাতীয় খরচ বা ব্যয় সংকোচন করা হচ্ছে এবং বিমানের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের বেতন কর্তন অব্যাহত আছে।
‘বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্য এগুলো থেকে রাজস্ব আয় মূল লক্ষ্য নয়। তবে প্রিন্টিং প্রেস, পোলট্রি এমটি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে নিজেরাই প্রফিট করছে এবং তাদের সক্ষমতাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের স্বাধীনভাবে আয় করারও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে তাদের সক্ষমতার ৭৫ ভাগই ব্যবহার করতে পারছে না। এয়ারলাইনসটির বহরে বর্তমানে রয়েছে ১৪টি উড়োজাহাজ। অন্তত চারটি উড়োজাহাজ মধ্য দূরত্বের গন্তব্যে উড়তে সক্ষম।
এয়ারলাইনসটির জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা সামনে এসেছে, সেটি হলো একটি ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখানে শুধু যে আমরা সাফার করছি, এমনটা নয়। পুরো এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিটাই ধ্বংসের মুখে।
‘বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো পুরো বাজারের যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করছিল, এখন সেই বাজার নেই বললেই চলে। নানা বিধিনিষেধের কারণে দেশি এয়ারলাইনসের বাজার চলে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে। গত বছর থেকেই বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ৭৫ ভাগের মতো সক্ষমতা হারিয়েছি। এটি এখনও অব্যাহত আছে।’
তবে এর মধ্যেও আন্তর্জাতিক রুটে চার্টার্ড ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে আয় করার কথা জানান ইউএস-বাংলার এ মুখপাত্র। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও জোর দিয়েছে এয়ারলাইনসটি।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু রুটে স্পেশাল বা চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ আমরা পেয়েছি। এগুলো কিছুটা রেভিনিউ জেনারেট করছিল। বেশ কিছু কার্গো ফ্লাইট আমরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতায় পরিচালনা করেছি। নিয়মিত ফ্লাইট শুরুর পর অক্টোবর থেকে আমরা কিছু রেভিনিউ পেয়েছি।
‘কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা যখন এল, ভিসা রেস্ট্রিকশন শুরু হলো। অনেক জায়গায় এমবার্গো, কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা এগুলোকে মাথায় রেখে ধীরে এগোতে হচ্ছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো থাকার কারণেও আমরা কিছু রেভিনিউ পাচ্ছিলাম।’
দেশি এয়ারলাইনস টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন ফি মওকুফের দাবি জানান কামরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের কিছু সুবিধা অবশ্যই দেয়া উচিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের অ্যারোনটিক্যাল-নন অ্যারোনটিক্যাল যে চার্জগুলো আছে, সেগুলো যদি কিছুটা কমানো যায় তাহলে সহায়তা হবে।
‘একটি ফ্লাইটের পরিচালন ব্যয়ের ৪০ ভাগই জ্বালানি ব্যয়। গত বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারবার ফুয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটারে এখন প্রায় ১৪ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এগুলো বৃদ্ধি পাওয়া মানে ফ্লাইটের খরচ বেড়ে যাওয়া। এর প্রভাব টিকিট-ভাড়াতেও পড়ছে। এ ছাড়াও এই সময়ে ডেভেলপমেন্ট চার্জের মতো একটি চার্জও যুক্ত করা হয়েছে। এটিও কিন্তু যাত্রীদের ঘাড়ে পড়েছে।’
অবশ্য আকাশপথের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, দেশি এয়ারলাইনসকে টিকিয়ে রাখতে আন্তরিকতার অভাব নেই।
সংস্থার চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব এয়ারলাইনসকেই সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। যখনই কোনো রুট খুলছে, আমরা দেশি এয়ারলাইনসগুলোর জন্য বেশি করে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। যারা আমাদের অ্যালাউ করছে না, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
এয়ারলাইনসে ফি মওকুফের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা গত বছর কোভিডের জন্য এয়ারলাইনসগুলোর ফি মওকুফ করেছিলাম। এটা আবার আমাদের রেভিনিউ আয় থেকে অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে। এ কারণে এটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়েছিল।
‘এ বছরও আমরা দেখছি কী পরিমাণে এটা করতে পারি। অর্থ বিভাগে কী পরিমাণ অনুমোদন দেয়, সেটার ওপর নির্ভর করছে ফি মওকুফের বিষয়টি। তবে আমাদের জায়গা থেকে উদ্যোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার আন্তর্জাতিক রুটে কিছু ফ্লাইট চলেছে। অভ্যন্তরীণে কিছুদিন ফ্লাইট বন্ধ ছিল। সেটা আমরা অবশ্যই বিবেচনায় আনব।
‘ফি মওকুফ করতে গিয়ে আমাদের নিজস্ব রাজস্ব আহরণেও হাত পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য হয়তো সব দাবি পূরণ করা যাবে না। তবে আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমরা চেষ্টা করব কতটা সুযোগ দেয়া যায়।’
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলার ইউএনও জনাব মো. আশরাফুল আলম রাসেল।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের নির্ভুলতা, সময়ানুবর্তিতা ও সার্বিক দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনায় অনন্য ভূমিকা রাখায় তাঁকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন শেরপুর এর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ মাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান।
পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,"এই স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়, এটি ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্মী, গ্রাম পুলিশ এবং সহযোগী সব পক্ষের সম্মিলিত চেষ্টার ফল। আমরা চেষ্টা করেছি নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ রাখা, জনসচেতনতা তৈরি ও নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে। এই সম্মাননা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে জনসেবায় নতুন উদ্যমে কাজ করতে। আমি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “জন্ম ও মৃত্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্যের সঠিক নিবন্ধন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। তাই এই কাজকে আমি শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, নাগরিক অধিকারের অংশ হিসেবেও দেখি।”
এছাড়াও একই কার্যক্রমে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একজন শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা ও নিবন্ধন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) ও গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের একদল বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, শীত আসার আগেই রাজধানীর সব কাঁচা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ধুলা দূষণ কমাতে রাস্তায় মাটি ঢেকে দেওয়া ও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘জিরো সয়েল’ নীতি কার্যকর, মাটি শক্তকরণ ও পানি ছিটানোর গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শহুরে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ পুরনো ও উচ্চমাত্রার ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পুরনো যানবাহন অপসারণ ও নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব যানবাহন যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া, নির্গমন মান বজায় রাখতে ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে বিআরটিএ।’
দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণ ছাড়া কার্যকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব নয়। এজন্য একটি উন্নত বায়ু নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন, বৈশ্বিক মান অনুসারে নির্গমন মান উন্নয়ন, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট চালু ও রান্নার জন্য এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণে কর প্রণোদনাও বিবেচনায় রয়েছে।’
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্পের আওতায় উচ্চ দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করবে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) শহরে সড়কে বেড়া বসানো ও ৫০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালুর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।
জাইকা সহায়তাপ্রাপ্ত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি বাস্তবভিত্তিক বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যা প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিইএসটি প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে।
এ সময় চীনা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মো: খায়রুল ইসলাম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনুষদের নির্বাহী ডিন অধ্যাপক ইউ ঝাও, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানজিং-হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউটের উপ-ডিন অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং এবং বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুদূষণ) মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।
বৈঠকে জাতীয় নির্গমন ইনভেন্টরি ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বায়ুদূষণের উৎস চিহ্নিত করে বিজ্ঞানভিত্তিক টার্গেটেড হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করবে।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র মতিঝিল থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৭-২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শামিমের হেফাজতে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি’র মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য একটি স্কুটিতে করে রওয়ানা দেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্রই ৬/৭ জনের একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।
পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানায় আরো দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও লুন্ঠন হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (মুক্তারপুর সেতু) সেতুর সংগৃহীত টোলের অর্থ জমাকরণের জন্য “বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ” এবং “মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি” এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব মহোদয় বলেন মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সেতু, টানেল এবং সেতু বিভাগের স্থাপনা হতে আদায়কৃত টোলের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। অনুষ্ঠানে সচিব মহোদয় আরও বলেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মুক্তারপুর সেতু হতে আদায়কৃত টোলের অর্থ নিরাপদ স্থানে যথাযথ সময়ে জমা হবে ফলে সবাই এর সুফল পাবে। এ বিষয়ে সচিব মহোদয় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ’ এর পক্ষে পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এবং যুগ্মসচিব খন্দকার নূরুল হক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি এর পক্ষে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জাহিদ হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থকরা একটি পুরোনো ভারতীয় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নামে মিথ্যাচার করছে।
রোববার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দু’টি কিশোর দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে মিথ্যা দাবি করছে।’
ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরিহিত কিছু ছাত্র একে অপরকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে ও লাথি মারছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের কেরালায় ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের মারামারির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ডিবিসি হিন্দি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়, এর শিরোনামে লেখা ছিল, ‘কেরালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ভাইরাল’।
ভিডিওর বর্ণনায়ও এটি কেরালার ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেস উইংয়ের মতে, ভিডিওটি নতুন নয়, এটি মূলত ২০২৩ সালের।
একই ভিডিও ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাও’-এর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম ছিল-‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের হতবাক করা মারামারির ভিডিও ভাইরাল। দেখুন।’
টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের দু’টি পক্ষের সংঘর্ষের একটি হতবাক করা ভিডিও সামনে এসেছে। এতে অন্তত ২০ জন ছাত্র জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্ররা একে অপরকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারছে।’
কেরালার ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে, এটা স্পষ্ট যে এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
২০২৩ সালের একটি পুরোনো ভিডিও, যেখানে ভারতের কেরালায় ছাত্রদের সংঘর্ষ যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, একে ইন্টারনেটে এমন ভুয়াভাবে ছড়ানো হচ্ছে যেন এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র সহিংসতার উদাহরণ। এর সঙ্গে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা।
সমকামিতা, নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা সহ নানান অভিযোগের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম-কে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পর উপাচার্যের নির্দেশে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। কখন কী করা লাগবে এবং বাকিটা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সিন্ডিকেট।’
অফিস আদেশ সূত্রে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনাপূর্বক গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬ তম সভার ৪৪ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয় এবং তাঁকে ১ (এক) বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।
তবে উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠলে এবং বিভাগের সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে আবারও গত ৩১ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮ তম (সাধারণ) সভার ০৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তাঁর এহেন কর্মকান্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (F) ধারা মোতাবেক তাঁকে ৩১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে চাকুরী হতে অপসারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে অপ্রতুল দাবি করে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িক স্থগিত হয়। পরে ১৬ মে উচ্চতর তদন্ত কমিটি এসে পুনরায় জবানবন্দি চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে প্রহসন বলে উল্লেখ করেন এবং উপাচার্যের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
মন্তব্য