করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের জন্য একের পর এক সংকুচিত হয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক আকাশপথ। এর ফলে দেশি এয়ারলাইনসগুলো তাদের বহরে থাকা উড়োজাহাজের সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশই ব্যবহার করতে পারছে না।
তার ওপর প্রতিনিয়তই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ও লিজের টাকা শোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফ্লাইট না চালিয়েও গুনতে হচ্ছে এয়ারপোর্ট পার্কিং ফিসহ সরকারের অন্যান্য মাশুল। এ অবস্থায় বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশি এয়ারলাইনসগুলো।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের বহরে বর্তমানে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে নিজস্ব ১৫টি আর ভাড়ায় আনা হয়েছে ছয়টি।
নিজস্ব উড়োজাহাজের মধ্যে আছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার, চারটি ট্রিপল সেভেন, দুটি সেভেন এইট সেভেন ও তিনটি ড্যাশ এইট মডেলের উড়োজাহাজ। ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজগুলোর মধ্য চারটি সেভেন থ্রি সেভেন ও দুটি ড্যাশ এইট।
ড্রিমলাইনার ও ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজগুলো একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। মূলত লম্বা দূরত্বের গন্তব্যে এ উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করা হয়। সেভেন থ্রি সেভেন মধ্য দূরত্ব ও ড্যাশ এইট সাধারণত ব্যবহার করা হয় স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে।
বিমান বলছে, করোনার কারণে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশও এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। করোনার আগে ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ছিল বিমানের ফ্লাইট, যার বেশির ভাগই এখন বন্ধ।
সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার আগে উড়োজাহাজের দৈনিক গড় ব্যবহার ছিল প্রায় নয় ঘণ্টা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৯ ঘণ্টায়। আন-অডিটেড হিসাবে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিমানের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা।’
ঘাটতি কমাতে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্গো ও চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এরপরও লোকসান ঠেকানো যায়নি।
তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘ঘাটতি কমাতে বিমান কার্গো এবং চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনাবশ্যক এমন মূলধন জাতীয় খরচ বা ব্যয় সংকোচন করা হচ্ছে এবং বিমানের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের বেতন কর্তন অব্যাহত আছে।
‘বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্য এগুলো থেকে রাজস্ব আয় মূল লক্ষ্য নয়। তবে প্রিন্টিং প্রেস, পোলট্রি এমটি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে নিজেরাই প্রফিট করছে এবং তাদের সক্ষমতাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের স্বাধীনভাবে আয় করারও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে তাদের সক্ষমতার ৭৫ ভাগই ব্যবহার করতে পারছে না। এয়ারলাইনসটির বহরে বর্তমানে রয়েছে ১৪টি উড়োজাহাজ। অন্তত চারটি উড়োজাহাজ মধ্য দূরত্বের গন্তব্যে উড়তে সক্ষম।
এয়ারলাইনসটির জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা সামনে এসেছে, সেটি হলো একটি ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখানে শুধু যে আমরা সাফার করছি, এমনটা নয়। পুরো এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিটাই ধ্বংসের মুখে।
‘বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো পুরো বাজারের যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করছিল, এখন সেই বাজার নেই বললেই চলে। নানা বিধিনিষেধের কারণে দেশি এয়ারলাইনসের বাজার চলে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে। গত বছর থেকেই বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ৭৫ ভাগের মতো সক্ষমতা হারিয়েছি। এটি এখনও অব্যাহত আছে।’
তবে এর মধ্যেও আন্তর্জাতিক রুটে চার্টার্ড ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে আয় করার কথা জানান ইউএস-বাংলার এ মুখপাত্র। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও জোর দিয়েছে এয়ারলাইনসটি।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু রুটে স্পেশাল বা চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ আমরা পেয়েছি। এগুলো কিছুটা রেভিনিউ জেনারেট করছিল। বেশ কিছু কার্গো ফ্লাইট আমরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতায় পরিচালনা করেছি। নিয়মিত ফ্লাইট শুরুর পর অক্টোবর থেকে আমরা কিছু রেভিনিউ পেয়েছি।
‘কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা যখন এল, ভিসা রেস্ট্রিকশন শুরু হলো। অনেক জায়গায় এমবার্গো, কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা এগুলোকে মাথায় রেখে ধীরে এগোতে হচ্ছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো থাকার কারণেও আমরা কিছু রেভিনিউ পাচ্ছিলাম।’
দেশি এয়ারলাইনস টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন ফি মওকুফের দাবি জানান কামরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের কিছু সুবিধা অবশ্যই দেয়া উচিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের অ্যারোনটিক্যাল-নন অ্যারোনটিক্যাল যে চার্জগুলো আছে, সেগুলো যদি কিছুটা কমানো যায় তাহলে সহায়তা হবে।
‘একটি ফ্লাইটের পরিচালন ব্যয়ের ৪০ ভাগই জ্বালানি ব্যয়। গত বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারবার ফুয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটারে এখন প্রায় ১৪ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এগুলো বৃদ্ধি পাওয়া মানে ফ্লাইটের খরচ বেড়ে যাওয়া। এর প্রভাব টিকিট-ভাড়াতেও পড়ছে। এ ছাড়াও এই সময়ে ডেভেলপমেন্ট চার্জের মতো একটি চার্জও যুক্ত করা হয়েছে। এটিও কিন্তু যাত্রীদের ঘাড়ে পড়েছে।’
অবশ্য আকাশপথের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, দেশি এয়ারলাইনসকে টিকিয়ে রাখতে আন্তরিকতার অভাব নেই।
সংস্থার চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব এয়ারলাইনসকেই সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। যখনই কোনো রুট খুলছে, আমরা দেশি এয়ারলাইনসগুলোর জন্য বেশি করে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। যারা আমাদের অ্যালাউ করছে না, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
এয়ারলাইনসে ফি মওকুফের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা গত বছর কোভিডের জন্য এয়ারলাইনসগুলোর ফি মওকুফ করেছিলাম। এটা আবার আমাদের রেভিনিউ আয় থেকে অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে। এ কারণে এটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়েছিল।
‘এ বছরও আমরা দেখছি কী পরিমাণে এটা করতে পারি। অর্থ বিভাগে কী পরিমাণ অনুমোদন দেয়, সেটার ওপর নির্ভর করছে ফি মওকুফের বিষয়টি। তবে আমাদের জায়গা থেকে উদ্যোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার আন্তর্জাতিক রুটে কিছু ফ্লাইট চলেছে। অভ্যন্তরীণে কিছুদিন ফ্লাইট বন্ধ ছিল। সেটা আমরা অবশ্যই বিবেচনায় আনব।
‘ফি মওকুফ করতে গিয়ে আমাদের নিজস্ব রাজস্ব আহরণেও হাত পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য হয়তো সব দাবি পূরণ করা যাবে না। তবে আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমরা চেষ্টা করব কতটা সুযোগ দেয়া যায়।’
আরও পড়ুন:সাময়িক বরখাস্তের পর রাতের আঁধারে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল সরানোর সময় ১৭ বিয়ে কান্ডের সেই বরখাস্তকৃত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জনরোষ থেকে তাকে (কবির) বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল কার্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশ রাতেই তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন-১৭ বিয়ে কান্ডের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তের পর গত বুধবার রাত নয়টার দিকে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল নিয়ে কবির হোসেন পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
বরিশাল সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সাকিব বলেন, দায়িত্বে থাকাবস্থায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী বিভিন্ন সময় ধার বাবদ আমার কাছ থেকে ছয় লাখ ৯৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকেও সে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। হঠাৎ করেই বুধবার রাতে সরকারি বাংলো থেকে মালামাল নিয়ে তিনি চলে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে আমিসহ অন্য পাওনাদাররা এসে তাকে আটক করেছি। তাছাড়া তিনি পিকআপযোগে যে মালামাল নিচ্ছিলেন তার মধ্যে সরকারি কিছু মালামালও রয়েছে। সেগুলো আমি নামিয়ে রেখেছি।
বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন বাংলো থেকে সরকারি মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া তিনি ওই কর্মকর্তার কাছে টাকা পাবেন। এলাকার বেশ কিছু মানুষও তার কাছে টাকা পাবে বলে আটকে রেখেছেন।
আরও জানন, উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই বন কর্মকর্তাকে স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনেন। তবে পালিয়ে যাবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে উল্টো সাংবাদিকদের অভিশাপ এবং হুমকি দেন।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে রাতেই তাকে (কবির) ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নানা প্রলোভনে ১৭ বিয়ে করে দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করা বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কবির হোসেন পাটোয়ারীকে ১৬ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুক দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন খুলনা জেলার সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আকতার। তার আগে ২০১৯ সালে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন তার (কবির) আরেক স্ত্রী বাগেরহাটের মোংলা এলাকার নাসরিন আকতার দোলন। সেই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। সবশেষ গত ৯ এপ্রিল দেয়া স্ত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান বরিশালে সরেজমিন তদন্তে আসেন। নগরীর কাশিপুরে কোস্টাল সার্কেলে বসে অভিযোগকারী দুই স্ত্রী, তাদের স্বজন এবং বন কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ওইদিনই বিয়েপাগল বন কর্মকর্তার বিচার দাবিতে বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল অফিসের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রাথমিক শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সূত্রমতে, চাঁদপুর জেলার তুষপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেন এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। বন বিভাগের উচ্চ পদ ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলেন অনেক নারীকে। এ কারণে একই অভিযোগে পূর্বে আরও দুইবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। তবে পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী দীপু মনির সুপারিশে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন।
অপরদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ছাড়াও ১৬ সেপ্টেম্বর বরিশাল মহানগর আদালতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। আদালতের বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।
আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অনেকে মনে করেন ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যায়, বাড়ে ভুঁড়ি। তাই অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দেন বা একেবারেই ছেড়ে দেন। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতেরও রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ—যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুরভি আগরওয়াল জানান, ভাত ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এটি অন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী। কালো চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বাদামি চাল ফাইবারে ভরপুর এবং লাল চাল প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। নিয়ম মেনে খেলে ভাত এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।
অন্য পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী বলেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট ও স্টার্চ বেশি থাকায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) উঁচু হয়, ফলে ওজন ও রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তবে রান্নার পদ্ধতি ও খাবারের সঙ্গে মিশ্রণে এ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
রান্নার সঠিক নিয়ম
চাল আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে নতুন পানিতে ভাত রান্না করুন।
মাড় গালা ভাত খেলে স্টার্চ কমে যায়, ফলে কার্বোহাইড্রেটও কমবে।
কতটুকু খাবেন?
দিনে ৩০ গ্রাম চাল দিয়ে রান্না করা এক কাপ ভাত যথেষ্ট (১৫০–১৭০ ক্যালোরি)।
ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ, সালাদ খেলে ওজন বাড়ে না।
কখন খাবেন?
দিনে ভাত খাওয়া নিরাপদ, কারণ নড়াচড়া বেশি হয়।
রাতে ভাত না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।
ভাত খাওয়ার পর করণীয়
ভাত খাওয়ার পর ভাতঘুম নয়, বরং হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করুন।
চাইলে গ্রিন টি পান করতে পারেন, এতে হজমে সহায়তা হয়।
যশোরের কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওই প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ, সেনাবাহি-নীর ওয়ারেন্ট অফিসার ফখরুল ইসলাম, কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা,উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক সম্রাট হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু। সভায় কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯৭টি মন্দিরে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আলোচনা করেন বক্তারা। এবার কেশবপুর উপজেলার যে সকল এলাকায় পূজা উদযাপন হবে। ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে একটি,২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩ টি, ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে ৬টি, ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৫ টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৫ টি, ৬ নং সদর ইউনিয়নে ৭ টি, ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৮ টি, ৮নং সুপলাকাটি ইউনিয়নে ১২ টি, ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১৩ টি, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২ টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে ০৮ টি, কেশবপুর পৌর সভায় ৭টি সহ সর্বমোট ৯৭ টি পূজা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুন্দর ভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান টি উদযাপনের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন বলেন কেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইনোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
জয়পুরহাটে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে বিডিইআরএম ও নাগরিক উদ্যোগের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার ও হস্তান্তর, ভুক্তভোগী রবিদাস পরিবার উচ্ছেদ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি বসতবাড়ি পুনর্নির্মাণে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এসময় জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, আদিবাসী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এইচ আল মুরাদ (দোয়েল), জেলা রবিদাস ফোরামের সভাপতি মনিলাল রবিদাস, জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সুধীর তিরকি প্রমুখ।
জলবায়ু পরিবর্তন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ক কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আফাদ এর মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারী পক্ষ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত উপপরিচালক মো: আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা খান,জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মাইদুল ইসলাম, আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ইউএনওমেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন,ফেইস প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
দিনব্যাপী কৃষক সংলাপ সদর উপজেলাসহ রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর, ফুলবাড়ি,নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৫০জন কৃষক- কৃষাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
দিনব্যাপি কৃষক সংলাপে নারী নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংগঠনের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠন,সভা, পরামর্শ সভা এবং ডায়লোগ সেশন আয়োজন করা,স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজের কর্মীদের ও কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,কমিউনিটি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন এর মূলক উপকরণ তৈরি,জেন্ডার সংবেদনশ প্রণোদনা প্রয়োশে মাধ্যমে কমিউনিটিকে সহায়তা করাসহ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে মৎস্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মন্তব্য