× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
উড়োজাহাজ পর্যাপ্ত ওড়ার সুযোগ নেই
google_news print-icon

উড়োজাহাজ পর্যাপ্ত, ওড়ার সুযোগ নেই

উড়োজাহাজ-পর্যাপ্ত-ওড়ার-সুযোগ-নেই
করোনার কারণে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশও এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। করোনার আগে উড়োজাহাজের দৈনিক গড় ব্যবহার ছিল প্রায় ৯ ঘণ্টা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৯ ঘণ্টায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের জন্য একের পর এক সংকুচিত হয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক আকাশপথ। এর ফলে দেশি এয়ারলাইনসগুলো তাদের বহরে থাকা উড়োজাহাজের সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশই ব্যবহার করতে পারছে না।

তার ওপর প্রতিনিয়তই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ও লিজের টাকা শোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফ্লাইট না চালিয়েও গুনতে হচ্ছে এয়ারপোর্ট পার্কিং ফিসহ সরকারের অন্যান্য মাশুল। এ অবস্থায় বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশি এয়ারলাইনসগুলো।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের বহরে বর্তমানে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে নিজস্ব ১৫টি আর ভাড়ায় আনা হয়েছে ছয়টি।

নিজস্ব উড়োজাহাজের মধ্যে আছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ড্রিমলাইনার, চারটি ট্রিপল সেভেন, দুটি সেভেন এইট সেভেন ও তিনটি ড্যাশ এইট মডেলের উড়োজাহাজ। ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজগুলোর মধ্য চারটি সেভেন থ্রি সেভেন ও দুটি ড্যাশ এইট।

ড্রিমলাইনার ও ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজগুলো একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। মূলত লম্বা দূরত্বের গন্তব্যে এ উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করা হয়। সেভেন থ্রি সেভেন মধ্য দূরত্ব ও ড্যাশ এইট সাধারণত ব্যবহার করা হয় স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে।

বিমান বলছে, করোনার কারণে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশও এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। করোনার আগে ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ছিল বিমানের ফ্লাইট, যার বেশির ভাগই এখন বন্ধ।

সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার আগে উড়োজাহাজের দৈনিক গড় ব্যবহার ছিল প্রায় নয় ঘণ্টা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৯ ঘণ্টায়। আন-অডিটেড হিসাবে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিমানের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা।’

ঘাটতি কমাতে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্গো ও চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এরপরও লোকসান ঠেকানো যায়নি।

তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘ঘাটতি কমাতে বিমান কার্গো এবং চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনাবশ্যক এমন মূলধন জাতীয় খরচ বা ব্যয় সংকোচন করা হচ্ছে এবং বিমানের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের বেতন কর্তন অব্যাহত আছে।

‘বিমানের যানবাহন বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্য এগুলো থেকে রাজস্ব আয় মূল লক্ষ্য নয়। তবে প্রিন্টিং প্রেস, পোলট্রি এমটি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে নিজেরাই প্রফিট করছে এবং তাদের সক্ষমতাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের স্বাধীনভাবে আয় করারও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’

বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে তাদের সক্ষমতার ৭৫ ভাগই ব্যবহার করতে পারছে না। এয়ারলাইনসটির বহরে বর্তমানে রয়েছে ১৪টি উড়োজাহাজ। অন্তত চারটি উড়োজাহাজ মধ্য দূরত্বের গন্তব্যে উড়তে সক্ষম।

এয়ারলাইনসটির জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা সামনে এসেছে, সেটি হলো একটি ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখানে শুধু যে আমরা সাফার করছি, এমনটা নয়। পুরো এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিটাই ধ্বংসের মুখে।

‘বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো পুরো বাজারের যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করছিল, এখন সেই বাজার নেই বললেই চলে। নানা বিধিনিষেধের কারণে দেশি এয়ারলাইনসের বাজার চলে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে। গত বছর থেকেই বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ৭৫ ভাগের মতো সক্ষমতা হারিয়েছি। এটি এখনও অব্যাহত আছে।’

তবে এর মধ্যেও আন্তর্জাতিক রুটে চার্টার্ড ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে আয় করার কথা জানান ইউএস-বাংলার এ মুখপাত্র। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও জোর দিয়েছে এয়ারলাইনসটি।

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু রুটে স্পেশাল বা চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ আমরা পেয়েছি। এগুলো কিছুটা রেভিনিউ জেনারেট করছিল। বেশ কিছু কার্গো ফ্লাইট আমরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতায় পরিচালনা করেছি। নিয়মিত ফ্লাইট শুরুর পর অক্টোবর থেকে আমরা কিছু রেভিনিউ পেয়েছি।

‘কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা যখন এল, ভিসা রেস্ট্রিকশন শুরু হলো। অনেক জায়গায় এমবার্গো, কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা এগুলোকে মাথায় রেখে ধীরে এগোতে হচ্ছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো থাকার কারণেও আমরা কিছু রেভিনিউ পাচ্ছিলাম।’

দেশি এয়ারলাইনস টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন ফি মওকুফের দাবি জানান কামরুল।

তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের কিছু সুবিধা অবশ্যই দেয়া উচিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের অ্যারোনটিক্যাল-নন অ্যারোনটিক্যাল যে চার্জগুলো আছে, সেগুলো যদি কিছুটা কমানো যায় তাহলে সহায়তা হবে।

‘একটি ফ্লাইটের পরিচালন ব্যয়ের ৪০ ভাগই জ্বালানি ব্যয়। গত বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারবার ফুয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটারে এখন প্রায় ১৪ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। এগুলো বৃদ্ধি পাওয়া মানে ফ্লাইটের খরচ বেড়ে যাওয়া। এর প্রভাব টিকিট-ভাড়াতেও পড়ছে। এ ছাড়াও এই সময়ে ডেভেলপমেন্ট চার্জের মতো একটি চার্জও যুক্ত করা হয়েছে। এটিও কিন্তু যাত্রীদের ঘাড়ে পড়েছে।’

অবশ্য আকাশপথের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, দেশি এয়ারলাইনসকে টিকিয়ে রাখতে আন্তরিকতার অভাব নেই।

সংস্থার চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব এয়ারলাইনসকেই সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। যখনই কোনো রুট খুলছে, আমরা দেশি এয়ারলাইনসগুলোর জন্য বেশি করে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। যারা আমাদের অ্যালাউ করছে না, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

এয়ারলাইনসে ফি মওকুফের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা গত বছর কোভিডের জন্য এয়ারলাইনসগুলোর ফি মওকুফ করেছিলাম। এটা আবার আমাদের রেভিনিউ আয় থেকে অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে। এ কারণে এটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়েছিল।

‘এ বছরও আমরা দেখছি কী পরিমাণে এটা করতে পারি। অর্থ বিভাগে কী পরিমাণ অনুমোদন দেয়, সেটার ওপর নির্ভর করছে ফি মওকুফের বিষয়টি। তবে আমাদের জায়গা থেকে উদ্যোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘এবার আন্তর্জাতিক রুটে কিছু ফ্লাইট চলেছে। অভ্যন্তরীণে কিছুদিন ফ্লাইট বন্ধ ছিল। সেটা আমরা অবশ্যই বিবেচনায় আনব।

‘ফি মওকুফ করতে গিয়ে আমাদের নিজস্ব রাজস্ব আহরণেও হাত পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য হয়তো সব দাবি পূরণ করা যাবে না। তবে আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমরা চেষ্টা করব কতটা সুযোগ দেয়া যায়।’

আরও পড়ুন:
দুই মাস পর ফ্লাইটে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার
অভ্যন্তরীণ রুটে জেট ফুয়েলে কর মওকুফ দাবি
৯ দিন পর যাত্রী নিয়ে সৌদি ছুটল বিমান
করোনা এড়াতে আকাশে বিয়ে
সৌদি ভ্রমণের কঠিন শর্তে ভোগান্তিতে প্রবাসীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The temperature in Chuadanga is 41 3 degrees in severe heat

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রিতে

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রিতে তীব্র দাবদাহের মধ্যে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

তীব্র তাপদাহ চলমান থাকা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাটিতে।

অতি তাপে অতিষ্ঠ চুয়াডাঙ্গার লোকজন। জেলার হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকি যে তাপ পড়চি মনে হচ্চি যেনে সূর্য মাতার ওপর চলি এসিচে। আজ যেনে সব থেকি বেশি তাপ পড়চি। গা দিয়ি তরতর করি ঘাম ঝরচি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার বিকেল তিনটায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

হিট অ্যালার্ট

তীব্র দাবদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।

সতর্কতার অংশ হিসেবে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা

মন্তব্য

বিশেষ
Shivnarayan Das one of the designers of the national flag has passed away

জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু

জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু হয় রাজধানীর একটি হাসপাতালে। ছবি: ইউএনবি
শিবনারায়ণ দাশের ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকার একটি হাসপাতালে শুক্রবার সকালে শিবনারায়ণের মৃত্যু হয়, যার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

শিবনারায়ণ দাশের ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা শিবনারায়ণ দাশের বাবা সতীশচন্দ্র দাশ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

শিবনারায়ণ দাশের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী ও তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাশ।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ দাশ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন তিনি।

ঢাকার পল্টন ময়দানে ১৯৭০ সালের ৭ জুন অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশগ্রহণের কথা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এ বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।

এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন।

এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।

কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারির দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে নিয়ে আসেন। এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হলের (বর্তমানে তিতুমীর হল) ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হয় পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র।

শিবনারায়ণ দাশ পরিশেষে তার নিপুণ হাতে মানচিত্রটি আঁকেন লাল বৃত্তের মাঝে। এমনি করে রচিত হয় ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনীর পতাকা, যা কিছুদিন পর স্বীকৃত হয় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা হিসেবে।

মন্তব্য

বিশেষ
The fire at the Childrens Hospital was extinguished after an hour

প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভল শিশু হাসপাতালের আগুন

প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভল শিশু হাসপাতালের আগুন ফায়ার সার্ভিস বেলা একটা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রে আগুন ধরার খবর পায়। ছবি: নিউজবাংলা
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানায়, শুক্রবার বেলা দুইটা ৩৯ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ধরা আগুন প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর মিডিয়া সেল জানায়, শুক্রবার বেলা দুইটা ৩৯ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

আগুনে হতাহতের কোনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, আগুন ধরার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী।

আরও পড়ুন:
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত
হাজারীবাগে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড
চট্টগ্রামে এস আলম অয়েল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কারে আগুন

মন্তব্য

বিশেষ
Arrested on the charge of embezzlement of fake employment letter in the army

সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজন আটক 

সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজন আটক  নাটোরের মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মিরন ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃত মিরন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করি। আমি সেনাবাহিনীর মনোগ্রামসহ সিলমোহর ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করি। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে এইভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিই।’

নাটোরের লালপুরে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

উপজেলার মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম মিরন ইসলাম।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ মওদুদ বলেন, ‘মোহরকয়া গ্রামের বুদু মণ্ডলের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে মিরন ইসলাম কৌশলে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তার কথায় বিশ্বাস করে শফিকুল বিভিন্ন সময়ে মিরনকে ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা ও অবশিষ্ট চার লাখ ৮০ হাজার টাকার জন্য তার ছেলের নামে নাটোরের লালপুরের উত্তরা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবের তিনটি ফাঁকা চেক প্রদান করেন।

‘এর পরে মিরন ভুক্তভোগীর ছেলের নামে একটি সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তির নিয়োগপত্র প্রদান করেন। ভুক্তভোগী সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বুদু মন্ডল ছেলেসহ ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে নিয়োগপত্রটি সেখানে একজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে দেখান। তখন সেনাবাহিনীর সেই সদস্য জানান, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। এরপর বুদু মন্ডল বিভিন্ন সময়ে টাকা ফেরত চেয়ে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তী সময়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করলে র‌্যাব তাকে (মিরন) আটক করে।’

আটককৃত মিরন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করি। আমি সেনাবাহিনীর মনোগ্রামসহ সিলমোহর ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করি। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে এইভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিই।’

মন্তব্য

বিশেষ
A fire broke out at the capitals childrens hospital

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতা। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগে শুক্রবার আগুন ধরেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম দুপুরে নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।

আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, আগুন ধরার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।

আরও পড়ুন:
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত
হাজারীবাগে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড
চট্টগ্রামে এস আলম অয়েল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কারে আগুন
হবিগঞ্জে প্রাণের চিপস ফ্যাক্টরিতে আগুন, নিহত ১

মন্তব্য

বিশেষ
In Faridpur two laborers were killed in an organized beating over suspicion of fire in a temple

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই শ্রমিক নিহত

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই শ্রমিক নিহত পঞ্চপল্লী গ্রামে একটি কালী মন্দিরে আগুন দেয়ার খবরে ঘটনার সূত্রপাত। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চপল্লী গ্রামে একটি কালী মন্দিরে আগুন দেয়ার খবরে ঘটনার সূত্রপাত। গ্রামবাসীর সন্দেহ, এখানে একটি নির্মাণাধীন প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণশ্রমিকরা আগুন দিয়েছেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার দুইজন শ্রমিক নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও তার ভাই আশাদুল (১৫)।

পঞ্চপল্লী গ্রামে একটি কালী মন্দিরে আগুন দেয়ার খবরে ঘটনার সূত্রপাত। গ্রামবাসীর সন্দেহ এখানে একটি নির্মাণাধীন প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণশ্রমিকরা আগুন দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্মাণশ্রমিকদের গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের কক্ষে হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর প্রথমে মধুখালী থানার ইউএনও এবং ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরেও হামলা করা হয়।

এ সময় ফরিদপুর ও রাজবাড়ী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।

খবর পেয়ে ফরিদপুর থেকে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তিনি জানান, প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর আহতদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকার অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে ৪ প্লাটুন বিজিবি পাঠাতে বলা হয়েছে।

ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সমকালকে জানান, পাঁচ গ্রাম নিয়ে সেখানে পঞ্চপল্লী অবস্থিত। এলাকাটি হিন্দু বসতি অধ্যুষিত। এর মাঝে কৃষ্ণনগর নামে এক গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের জন্য সেখানে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক কাজ করছিলেন। পঞ্চপল্লীর একদল মানুষ ওই নির্মাণশ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে নির্মাণাধীন স্কুল ঘরে আটকে রাখে। স্কুল ভবনের দরজা, জানালা, গ্রিল ভেঙে ফেলেন তারা। এ সময় বাইরে থেকে কেউ ওই গ্রামে যেতে পারেনি। সেখানে একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

তপতি মন্ডল নামে ওই গ্রামের এক নারী বলেন, ‘আমি বাড়ি গিয়েছিলাম ঘোষি নিতে। তখন ওরা (শ্রমিকরা) রড ওঠানামা করছিল আর নিজেরাই বকাবাজি করছিল। তারপর আমি চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি, মা একদম পুড়ে গেছে। তারপর লোকজন জড়ো হয়ে গেল, এই যা। তারপর কী হলো, তা দেখিনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। পাশাপাশি ফরিদপুর থেকে র‍্যাব সেখানে পৌঁছেছে। থেমে থেমে সেখানে ফাঁকা গুলির আওয়াজ শোনা গেছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘এখানে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক কাজ করছিলেন। উত্তেজিত জনতা ভেতরে ঢুকে তাদের লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে ও ইট দিয়ে থেতলিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানার ওসি ফোর্সসহ এখানে আসে। তাদের সঙ্গে মধুখালী উপজেলার ইউএনও ছিলেন।

‘তারা এখানে এসে উত্তেজিত জনতার হাতে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে আমরা ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত ফোর্সসহ এসে তাদেরসহ আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে ফরিদপুরে হাসপাতালে পাঠাই।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় অনেক পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের দিকে ইটপাটকেল মারা হয়েছে। আমরা সারা রাতই পাহারা দিয়েছি। বিষয়টি ঢাকা থেকে আইজি স্যার নিজেও সবসময় খবরা-খবর রাখছেন।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পঞ্চপল্লী গ্রামে একটি কালী মন্দিরে আগুন দেয়ার খবরে ঘটনার সূত্রপাত। গ্রামবাসীর সন্দেহ এখানে একটি নির্মাণাধীন প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণশ্রমিকরা আগুন দিয়েছেন। তারা এই শ্রমিকদের বেদম পিটিয়ে ও ইট দিয়ে থেতলিয়ে গুরুতর আহত করে।

রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পঞ্চপল্লী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সকাল থেকে এখানে বিজিবি মোতায়েনের জন্য চার প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের 
গরু চুরির আসামির বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার অভিযোগ
সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত, প্রাণে বাঁচল শিশুসন্তান
কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত

মন্তব্য

বিশেষ
The demand of the night watchman for digging the pond is six lakh taka

পুকুর খননে নৈশপ্রহরীর দাবি ছয় লাখ টাকা

পুকুর খননে নৈশপ্রহরীর দাবি ছয় লাখ টাকা পুকুর খননে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ চাষাবাদের ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘তথ্য পেলে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

নাটোরের হাঁড়িভাঙ্গা বিলে তিন ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। গুরুদাসপুরের ভূমি অফিসের নৈশপ্রহরী মিন্টু হোসেন ১০ বিঘা পুকুর খননের জন্য দাবি করেছেন ছয় লাখ টাকা।

নৈশপ্রহরী মিন্টু হোসেনের ভাষ্য এ টাকার ভাগ ইউএনও, এসিল্যান্ড ও পুলিশকে দিতে হয়। দাবিকৃত ছয় লাখ টাকা তিন কিস্তিতে দেয়া যাবে।

সম্প্রতি এক পুকুর খননকারী সঙ্গে মিন্টুর রফাদফার এমন একটি ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসেছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে মিন্টু বলেন, ‘আগে পুকুর খননের রফাদফা করলেও এখন গুরুদাসপুর ইউএনওর গাড়িচালক জয়নাল হোসেন বিষয়টি তদারকি করছেন।’

স্থানীয়রা জানান, শুধু গুরুদাসপুর নয়, প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চলছে পুরো জেলাজুড়ে। নাটোরে তিন ফসলি জমিতে নির্বিচারে চলছে পুকুর খনন। নাটোর সদর, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়াসহ সাতটি উপজেলায় পুকুর খননের মহোৎসব চললেও তা কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে চলছে এমন অপকর্ম। যার প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানে। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। এতে কৃষি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ চাষাবাদের স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাষ্য, পুকুর খননের ফলে গত ১০ বছরে নাটোরে আবাদি জমি কমেছে ৫ হাজার হেক্টর। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা দ্বিগুণ।

গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁড়িভাঙ্গা বিলে গিয়ে দেখা যায়, তিন ফসলি জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন। জলাশয় খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়দের বেশিরভাগ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চান না।

একই দৃশ্য পাশের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাজিতপুর এলাকায়। ফসলি জমি ধ্বংস করে রাত দিন চলছে মাটি কাটা। শুধু এই দুই উপজেলাতেই নয়, সাত উপজেলায় একই চিত্র। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে আইনের তোয়াক্কা করছেন না কেউই।

গুরুদাসপুরের হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামের কৃষক মকলেছুর রহমান জানান, তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ খননকৃত পুকুরের পাশে শত শত বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মশিন্দা চড়পাড়া গ্রামের শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘জমির পাশে কেউ কেউ পুকুর খনন করায় এবং সেই পুকুরের পাড়গুলো উঁচু হওয়ায় বর্ষায় বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পুকুরের পাশে অন্য কৃষকরা বছর জুড়েই চাষাবাদের ক্ষেতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।’

চড়পাড়া বিলে জমির মালিক আফছার আলী বলেন, ‘আমি আমার ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের জন্য অন্যের সহযোগিতা নিয়েছি। সেই ব্যক্তি লাইনঘাট ঠিক করে পুকুর খনন করছেন। অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করা যায় না। জোর করে এসব হয় না।’

তার কথার সত্যতা মিলে গুরুদাসপুর ভূমি অফিসের নৈশ প্রহরী মিন্টু হোসেনের কথায়। গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের জন্য মিন্টু দাবি করেন ছয় লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, ‘এ টাকা ইউএনও, এসিল্যান্ড ও পুলিশকে দিতে হয়। দাবিকৃত ছয় লাখ টাকা তিন কিস্তিতে দেয়া যাবে।’

এ বিষয়ে মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে ভিডিওর কথা উল্লেখ করলে তিনি জানান, আগে পুকুর খননে অর্থ আদায়ের দায়িত্ব তিনি পালন করলেও এখন তা গুরুদাসপুর ইউএনওর গাড়ি চালক জয়নাল হোসেন সেই দায়িত্ব পালন করছে।

পরে জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে তিনি অনুরোধ করে জানান, মানুষ হিসাবে তার কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে তা যেন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ওই এলাকার অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের থামাতে পারছি না। প্রয়োজনে মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হবে।’

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমার আসনে তিন ফসলি জমি রক্ষায় আমি কঠোর অবস্থান নেব। যে কোনো মূল্য আমি মাটি খেকোদের রুখে দেব।’

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, ‘পুকুর খননে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যখন অবৈধ পুকুর খননের সংবাদ পাই, তখন অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার আওতাধীন কেউ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা জানান, পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা কঠোর অবস্থানে আছেন। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ অভ্যন্তরীণ যে কমিটিগুলো আছে, সেই কমিটিগুলোর মাধ্যমে তারা সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। যে কার্যক্রম পরিবেশকে ক্ষতি করে তা কোনোভাবেই করা যাবে না।

জনগণকে তথ্য দেবার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘তথ্য পেলে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য

p
উপরে