× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা
google_news print-icon

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এবার-সরকারি-বাড়ি-পাচ্ছেন-বীর-মুক্তিযোদ্ধাদের-সেই-আশ্রয়দাতা
হাসি ফুটেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে আশ্রয় দেয়া বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের মুখে। ছবি: নিউজবাংলা
টিনশেড ঘরের পর এবার পাকা বাড়ি পাচ্ছেন নুরুল; হঠাৎ এমন খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন এই বৃদ্ধ। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘কী কন! ফির ঘর পামো। একটা না পানো। এটা ফির কেটা দিবি; তাই কোটে। এনা দেখনো হয় তাক।’

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে আশ্রয় দেয়া বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের পাশে এবার দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ।

গত ২৯ এপ্রিল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতার দিন কাটে আটা-চিড়া খেয়ে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা। পরে প্রতিবেদনটি জেলাজুড়েই আলোচনার জন্ম দেয়।

প্রতিবেদনটি দেখে পরদিন একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের বাড়িতে আর্থিক সহায়তা ও বাজার-সদাই পাঠিয়ে দেন।

একই দিন সস্ত্রীক নুরুলের ভাঙা ঘরে হাজির হন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ রোহিত হাসান রিন্টু। তার বাবাও ছিলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরপর তিনি নিজ উদ্যোগে নুরুল ইসলামকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে ভাঙা খাট পাল্টে দুটি নতুন খাট দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

পরের দিন তিনি নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের যাবতীয় মালামাল পাঠিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা উদ্বোধনের।

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এরই মধ্যে নুরুল ইসলামের বাড়িতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার ভাঙা ঘর পরিদর্শন করেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ইউএনও মো. নবী নেওয়াজ। এরপর তার নামে সরকারি বাড়ি বরাদ্দের ঘোষণা আসে ইউএনওর দপ্তর থেকে।

টিনশেড ঘরের পর এবার পাকা বাড়ি পাচ্ছেন নুরুল; হঠাৎ এমন খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন এই বৃদ্ধ। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘কী কন! ফির ঘর পামো। একটা না পানো। এটা ফির কেটা দিবি; তাই কোটে। এনা দেখনো হয় তাক।’

এ সময় নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা যাই যা কন কও, সামবাদিক বাবা এটা কী খেলা দেখাল। কয়দিন আগত ঘরত সুত্তের পাই নাই। ঝড়ি পড়ে, কুত্তে-শিয়েল সানদায়। হঠাৎ আসি ঘরের ছবি তুলি নিয়া গেল।

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

‘অপ্পিএনা পর আসি হামাক কয়- চল বাজার করি দেম। হামি তো টাসকি নাগনো। বাজারও করি দিল এক বস্তা। তাক মাসখানেক ভালোই খানো।’

‘পরের দিন ফির চার চাকার গাড়ি নিয়ে এক বাবা আলো। হুট করি কয়; চাচা তোমাক ঘর করি দেমো। এটা কেমন কথা। ভিনদেশি একটা চেংরা হামাক ঘর দিল। হামি খুব খুশি। তাই এখন সোতার চকিও (খাট) দিবি।'

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ফির ঘুম থাকি উঠি দেখি সামবাদিক বাবা আগনেত (উঠান) বসি আছে। তাই কাছত ডাকি নিল। পরে কয়, চাচা জমির দলিলপাতি কোনটে। তোমার তো ফির পাকা বাড়ি হবি। টিএনও (ইউএনও) বলে ঘরটা করি দিবি।

‘টিএনও সাহেবের ভালো হোক। আল্লাহ তার ভালো করুক। এদেন একটা কাম করি দিলি তাই। আলহামদুলিল্লাহ।’

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ রোহিত হাসান রিন্টু তার দেয়া উপহারের ঘরটির নির্মাণকাজের দেখভাল করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘চাচার প্রতি একটা আত্মার টান তৈরি হয়েছে। এখন তার বাসযোগ্য ঘর হয়েছে। দেখে ভালো লাগছে। এরই মধ্যে চাচার ঘরটি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে উদ্বোধন করব।’

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এ বিষয়ে সাদুল্যাপুরের ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ বলেন, ‘নুরুল ইসলাম একজন সম্মানিত মানুষ। তিনি একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন; যা গণমাধ্যমে জানতে পারি।

‘তাকে নিয়ে যে প্রতিবেদনটি পড়েছি, সেটা খুবই দুঃখজনক। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার খোঁজ নিয়েছি। এরপর তাকে ঘর বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নুরুল ইসলামকে খ-শ্রেণির ঘর করে দেয়া হবে। আগামী রোববার থেকে ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘরে ঘরে পতাকা বিলাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া 
পাবনার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানু আর নেই
পুলিশের ১১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
পুলিশের ১৩৭ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
If anything from Fazlu brother the fire will be burned in the slogan of the house Kishoreganj

ফজলু ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে স্লোগানে উত্তাল কিশোরগঞ্জ

ফজলু ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে স্লোগানে উত্তাল কিশোরগঞ্জ

বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা পরিষদ ও দলীয় সকল পর্যায়ের পদবী থেকে সদ্য স্থগিত হওয়া বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা অ‌্যাড‌ভো‌কেট ফজলুর রহমান‌কে হত্যার হুম‌কি এবং তাঁর বাসার সামনে মব-সন্ত্রাস তাণ্ডবের প্রতিবাদে উত্তাল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল। হাওরের নেতাকর্মীরা হুঁশিয়ার করে বলেন, সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে প্রয়োজন হলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা অভিমুখে মার্চ করা হবে।

আজ (বুধবার) সারাদিন ফজলুর রহমানের প‌ক্ষে মি‌ছিল-‌স্লোগা‌নে উত্তাল ছিল কি‌শোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল। মঙ্গলবারও উত্তাল ছিল কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম। এদিন হাও‌রের আরেক উপ‌জেলা ইটনা‌তেও ব্যাপক বি‌ক্ষোভ ও প্র‌তিবাদ হ‌য়ে‌ছে।

আজ বিকা‌লেও উপ‌জেলা সদ‌রে মু‌ক্তি‌যোদ্ধা-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ‌বি‌ক্ষোভ ও প্র‌তিবাদ সমা‌বেশ থে‌কে ফজলুর রহমা‌নের বিরু‌দ্ধে যে‌কোন ধর‌নের ষড়যন্ত্র প্র‌তি‌রো‌ধের ঘোষণা দেওয়া হ‌য়। প্র‌তিবাদ সমা‌বে‌শে বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা রওশন আলী রু‌শো, বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা নবী হো‌সেন তজু মিয়া, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা কৃষকদলের সভাপ‌তি মো. হাবিবুল হান্নান, সদর উপ‌জেলা বিএন‌পি সভাপ‌তি এম এ ছা‌লেক, উপ‌জেলা যুবদ‌লের সদস্য স‌চিব অ্যাড‌ভো‌কেট তান‌জির সি‌দ্দিকী রিয়াদ, সি‌নিয়র যুগ্মআহ্বায়ক নূরুল ইসলাম অপু, উপ‌জেলা স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের আহ্বায়ক মনসুর আলম, উপ‌জেলা যুবদ‌লের যুগ্মআহ্বায়ক মুকুল হো‌সেন প্রমুখ বক্তব্য রা‌খেন।

উপ‌জেলা মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সংস‌দের সামনে প্র‌তিবাদ সমা‌বে‌শের আগে ক‌য়েক হাজার ছাত্রজনতা, বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা এবং বিএন‌পি ও সহ‌যোগী সংগঠ‌নের নেতাকর্মী‌দের অংশগ্রহ‌ণে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল অনু‌ষ্টিত হয়।

ইটনা পুরানবাজা‌রে উপ‌জেলা বিএন‌পির অস্থায়ী কার্যাল‌য়ের সাম‌নে থে‌কে বের হওয়া বি‌ক্ষোভ মি‌ছিলটি বাজার ও উপ‌জেলা সদ‌রের প্রধান সড়ক প্রদ‌ক্ষিণ ক‌রে। মি‌ছিল থে‌কে ফজলুর রহমা‌নের প‌ক্ষে বি‌ভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় মি‌ছিল-‌স্লোগা‌নে উত্তাল হ‌য়ে ও‌ঠে পু‌রো এলাকা। এদি‌কে এর আগে দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএন‌পি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামতলী মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন।

মিছিলে “মুক্তিযুদ্ধের ফজলু ভাই, আমরা তোমায় ভুলিনি”, “রণাঙ্গনের ফজলু ভাই, আমরা তোমায় ভুলিনি”, “মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা হুঁশিয়ার সাবধান”, “ফজলু ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে” এই ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফজলুর রহমান একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারি। ৫ই আগস্টের পর থেকে জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপির পক্ষ থেকে একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য আসতে থাকে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ফজলুর রহমান এসব দেখে চুপ থাকতে পারেননি। এরপর থেকেই একটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এবং এনসিপি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং অপপ্রচার চালায়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাঁকে এখন হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা অবিলম্বে এস‌বে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে প্রয়োজন হলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা অভিমুখে মার্চ করা হবে। বক্তারা আরও বলেন, হাওরের হৃদস্পন্দন ফজলুর রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ক্ষমতা কারও নেই। তাঁকে রাজনীতি থেকে সরানোর যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জাকির হোসেন সাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শাহীন, যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনার, সাধারণ সম্পাদক আলী রহমান খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাভেদ, আহ্বায়ক তিতুমির হোসেন সোহেল, সদস্যসচিব আল মাহমুদ মোস্তাকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

এর আগে সোমবার বিকা‌লে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অষ্টগ্রামে হাজারো নেতাকর্মী মিছিল ক‌রেন। মি‌ছিল শে‌ষে প্র‌তিবাদ সমা‌বে‌শে বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান যোগ্য অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থেকেছেন, খোঁজখবর রেখেছেন। জামায়াত-এনসিপি’র ষড়যন্ত্রের কাছে যদি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আমাদের নেতাকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের করে নিয়ে আসবো।

মন্তব্য

বিশেষ
Debate Competition on "Shadow Parliament on Election and Womens Empowerment" was held in reserved women seats 2021

“সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ছায়া সংসদ” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়

“সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ছায়া সংসদ” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়

সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) তে, এটিএন বাংলায় সম্প্রচারিত ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত “সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ছায়া সংসদ” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল হয়ে অংশ গ্রহণ করে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল রানার্স আপ হবার গৌরব অর্জন করে এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সরকারি দল হয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক, রাশেদা কে. চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল:

প্রথম বক্তা - নূর-ই-সুলতানা নূপুর

দ্বিতীয় বক্তা - সিফাত হোসেন

তৃতীয় বক্তা - মো. নাঈম হোসেন

চতুর্থ বক্তা - সুমাইয়া আক্তার সানজিদা

পঞ্চম বক্তা - নাসিমা আক্তার

মডারেটর হিসেবে ছিলেন চীফ মডারেটর ও আইন বিভাগের শিক্ষক সিফাত হোসেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Devipur bypass roads symbolize the neglect of the municipality

অবহেলার প্রতীক 'দেবীপুর বাইপাস সড়ক' ভোগান্তিতে পৌরবাসী

অবহেলার প্রতীক 'দেবীপুর বাইপাস সড়ক' ভোগান্তিতে পৌরবাসী

জয়পুরহাট পৌরসভার দেবীপুর বাইপাস সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে থাকছে। এতে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন ও যানবাহনের চালকেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই সড়কের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরো বাইপাস সড়ক নষ্ট হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে যায়। অথচ তারা নিয়মিত পৌর কর দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো উন্নয়ন পাচ্ছেন না। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। আপাতত বড়-বড় গর্তগুলো ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, দেবীপুর বাইপাস সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। অনেক আগেই সড়কের পিচ-খোয়া উঠে মাটি বের হয়েছে। পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরা। সড়কের বড়-বড় গর্তে পানি জমে আছে। লোকজন ও যানবাহন জমে থাকা পানি ভেঙে চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়ক থেকে পশ্চিম দিকে দেবীপুর রেলগেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বাইপাস সড়ক রয়েছে। পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন সড়কটি অনেকে আগেই নষ্ট হয়েছে। সপ্তাহে শনিবার নতুনহাটে গো-হাটী বসে ওই শত-শত ট্রাক ও অনান্য যানবাহন বাইপাস সড়কে চলাচল করে। সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন অচল হয়ে পড়ে। এতে আরও দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

দেবীপুর বাইপাস সড়কের বাসিন্দা জয়পুরহাট শহরের মসজিদ মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মাহবুব আলম আলাল বলেন, বছরের পর বছর ধরে দেবীপুর বাইপাস সড়ক সংস্কার করা হয়নি। আমরা সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিক বার পৌরসভায় গিয়ে ধর্ণা দিয়েছি। শুধু আশ্বাস পেয়েছি। কোন কাজ হয়নি। এখন সড়কের যে অবস্থা পায়ে হেঁটে যাওয়া দুস্কর।

একই এলাকার বাসিন্দা রিফাত হোসেন বলেন, পৌরসভার দায়িত্বশীলরা শুধু আশ্বাস দেন, কিন্তু সংস্কারের কাজ শুরু করেন না। সড়কটি যেন অবহেলার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম বলেন, দেবীপুর বাইপাস সড়ক এত খারাপ সেটি আগে জানতাম না। এই সড়কে নতুনহাটে এসে আমার ট্রাক বিকল হয়েছে।

ইজিবাইক চালক আব্দুল রহিম বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে এখন দেবীপুর বাইপাস এলাকার কোন যাত্রীকে ইজিবাইকে তুলি না। কিছুদিন আগে গর্তে পড়ে আমার ইজিবাইক যাত্রীসহ উল্টে গিয়েছিল।

জয়পুরহাট পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সবুর আলী বলেন, দেবীপুর বাইপাস সড়কটি টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু হবে। আপাতত সড়কের বড়-বড় গর্তগুলো ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Narail honors the best four grams of police

নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

দিন নেই, রাত নেই নড়াইলের গ্রাম প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত (গ্রাম পুলিশ) এমন

চারজন (ভিডিপির) গুণী মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননা স্বরুপ তাদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, ড্রিল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, মাহির মোল্যা, অলরাউন্ডার হিসেবে তানভীর শিকদার, অ্যাকসিলেন্স হিসেবে ইয়ামিন হাসান ও মাহামুদুল হাসান।

সোমবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৭টার দিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান ছিল গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অগ্রীম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান। কর্মশালায় গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা আরো গতিশীল এবং সময়োপযোগি করতে কি কি করণীয় তার ওপর দিক নির্ধেশনা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাছাইকৃত ৫০ জন পুরুষ সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মদক্ষতায় সেরা এমন ৪ জন সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট মো. নুরুল আবছার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মমতাজ খানম, সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ঈদুল তালুকদার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল, উপচেজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক শুভ মালাকারসহ অন্যরা।

মন্তব্য

বিশেষ
Thakurgaon

ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ কিনে প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ কিনে প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টা বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ভূক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ চাষী ও বীজ বিক্রেতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, মেসার্স ইয়াকুব ট্রেডার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠান তাদের ভুল মৌসুমে ভুল জাতের বীজ দিয়ে প্রতারণা করেছে। এর দায়ভার কোম্পানিকে নিতে হবে।

তারা অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি অসাধু বীজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ক্ষতিপূরণ না পেলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধন শেষে কৃষকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে মাদারগঞ্জ, দোগাছী, লাহিরী, গিলাবাড়ি, চিলারং, রোড পল্লী বিদ্যুৎ, সেন্টার হাটসহ ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Karim Sharifs associates with weapons and ammunition were detained

অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্ষ করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগী আটক

অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্ষ করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগী আটক

‎অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন ।

‎মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

‎সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শেলা নদী সংলগ্ন তাম্বুলবুনিয়া খাল এলাকায় রওনা করবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মংগলবার সকাল ৬ টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দলটি ধাওয়া করে ১ টি একনলা বন্দুক, ০২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ০৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ১ সহযোগীকে আটক করে।

‎আটককৃত ডাকাত আলমগীর হোসেন সাগর বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দীর্ঘদিন যাবৎ করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।

‎আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

‎সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

বিশেষ
Jubo leader Shamims original planner is the killer wife and Schalk Emon arrested

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

সাতক্ষীরার তালার যুবদল নেতা এসএম শামীম আহম্মেদ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মূল আসামি তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (৩০) ও শ্যালক ইমন হোসেন বাদল (১৮) কে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকায় শামীমের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় বৃষ্টির স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতিও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল আবির শুভ্রসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়ির তিন তলায় নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাতক্ষীরা তালার উথালী গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম শামীম আহম্মেদ। এ'হত্যাকান্ডের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা না'পাওয়ায় পুলিশ তাদের নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

নিহত যুবদল নেতা শামীমের মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রশিদা বেগম, গত রোববার কারো নাম উল্লেখ না করে ডুমুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ-হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম তদন্তে নামে।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মাসুদ রানা জানান, ‘শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবির শুভ্র জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী বৃষ্টি আগে থেকেই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি একটি চাপাতি সংগ্রহ করে রাখেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার রাতে বৃষ্টির ভাই বাদল চাপাতি দিয়ে শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় বৃষ্টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে হত্যায় ব্যাবহৃত অস্ত্র পাশের একটি গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। এএসপি আরও বলেন, বৃষ্টির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ'ঘটনায় অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে