× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা
google_news print-icon

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এবার-সরকারি-বাড়ি-পাচ্ছেন-বীর-মুক্তিযোদ্ধাদের-সেই-আশ্রয়দাতা
হাসি ফুটেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে আশ্রয় দেয়া বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের মুখে। ছবি: নিউজবাংলা
টিনশেড ঘরের পর এবার পাকা বাড়ি পাচ্ছেন নুরুল; হঠাৎ এমন খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন এই বৃদ্ধ। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘কী কন! ফির ঘর পামো। একটা না পানো। এটা ফির কেটা দিবি; তাই কোটে। এনা দেখনো হয় তাক।’

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে আশ্রয় দেয়া বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের পাশে এবার দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ।

গত ২৯ এপ্রিল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতার দিন কাটে আটা-চিড়া খেয়ে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা। পরে প্রতিবেদনটি জেলাজুড়েই আলোচনার জন্ম দেয়।

প্রতিবেদনটি দেখে পরদিন একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের বাড়িতে আর্থিক সহায়তা ও বাজার-সদাই পাঠিয়ে দেন।

একই দিন সস্ত্রীক নুরুলের ভাঙা ঘরে হাজির হন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ রোহিত হাসান রিন্টু। তার বাবাও ছিলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরপর তিনি নিজ উদ্যোগে নুরুল ইসলামকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে ভাঙা খাট পাল্টে দুটি নতুন খাট দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

পরের দিন তিনি নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের যাবতীয় মালামাল পাঠিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা উদ্বোধনের।

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এরই মধ্যে নুরুল ইসলামের বাড়িতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার ভাঙা ঘর পরিদর্শন করেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ইউএনও মো. নবী নেওয়াজ। এরপর তার নামে সরকারি বাড়ি বরাদ্দের ঘোষণা আসে ইউএনওর দপ্তর থেকে।

টিনশেড ঘরের পর এবার পাকা বাড়ি পাচ্ছেন নুরুল; হঠাৎ এমন খবরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন এই বৃদ্ধ। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘কী কন! ফির ঘর পামো। একটা না পানো। এটা ফির কেটা দিবি; তাই কোটে। এনা দেখনো হয় তাক।’

এ সময় নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা যাই যা কন কও, সামবাদিক বাবা এটা কী খেলা দেখাল। কয়দিন আগত ঘরত সুত্তের পাই নাই। ঝড়ি পড়ে, কুত্তে-শিয়েল সানদায়। হঠাৎ আসি ঘরের ছবি তুলি নিয়া গেল।

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

‘অপ্পিএনা পর আসি হামাক কয়- চল বাজার করি দেম। হামি তো টাসকি নাগনো। বাজারও করি দিল এক বস্তা। তাক মাসখানেক ভালোই খানো।’

‘পরের দিন ফির চার চাকার গাড়ি নিয়ে এক বাবা আলো। হুট করি কয়; চাচা তোমাক ঘর করি দেমো। এটা কেমন কথা। ভিনদেশি একটা চেংরা হামাক ঘর দিল। হামি খুব খুশি। তাই এখন সোতার চকিও (খাট) দিবি।'

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ফির ঘুম থাকি উঠি দেখি সামবাদিক বাবা আগনেত (উঠান) বসি আছে। তাই কাছত ডাকি নিল। পরে কয়, চাচা জমির দলিলপাতি কোনটে। তোমার তো ফির পাকা বাড়ি হবি। টিএনও (ইউএনও) বলে ঘরটা করি দিবি।

‘টিএনও সাহেবের ভালো হোক। আল্লাহ তার ভালো করুক। এদেন একটা কাম করি দিলি তাই। আলহামদুলিল্লাহ।’

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শেখ রোহিত হাসান রিন্টু তার দেয়া উপহারের ঘরটির নির্মাণকাজের দেখভাল করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘চাচার প্রতি একটা আত্মার টান তৈরি হয়েছে। এখন তার বাসযোগ্য ঘর হয়েছে। দেখে ভালো লাগছে। এরই মধ্যে চাচার ঘরটি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে উদ্বোধন করব।’

এবার সরকারি বাড়ি পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই আশ্রয়দাতা

এ বিষয়ে সাদুল্যাপুরের ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ বলেন, ‘নুরুল ইসলাম একজন সম্মানিত মানুষ। তিনি একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন; যা গণমাধ্যমে জানতে পারি।

‘তাকে নিয়ে যে প্রতিবেদনটি পড়েছি, সেটা খুবই দুঃখজনক। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার খোঁজ নিয়েছি। এরপর তাকে ঘর বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নুরুল ইসলামকে খ-শ্রেণির ঘর করে দেয়া হবে। আগামী রোববার থেকে ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ঘরে ঘরে পতাকা বিলাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া 
পাবনার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানু আর নেই
পুলিশের ১১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
পুলিশের ১৩৭ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The farmers of Keshabpur are self sufficient by cultivating beans

শিম চাষ করে স্বাবলম্বী কেশবপুরের কৃষকরা

শিম চাষ করে স্বাবলম্বী কেশবপুরের কৃষকরা

যশোরের কেশবপুরে গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না থেকে সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের বেশিরভাগ জায়গা শিম গাছের বেগুনি ও সাদা ফুলের সমারোহ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে গাছের নিচে দেখা ছোট-বড় জলাশয় আর তার পাড় ঘেঁষে এখন শুধু ঝুলছে শিম গাছের লতা। কোনো কোনো জলাশয়ের পাড়ে দেখা মিলবে লাউ কিংবা কুমড়া গাছের।
উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না, সন্যাসগাছা, ভেরচি ও বুড়লি গ্রামেরে বেশিরভাগ মানুষ জলাশয়ে (ছোট-বড় পুকুর) মাছ চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করেছেন নানা সবজি। রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে শোভা পাচ্ছে শিমগাছ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন মৌসুমের মধ্যে এই উপজেলায় খরিপ এ ৭৫০ হেক্টর, খরিপ-২৩ ৮৪১ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে কমবেশি ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে খরিপ-১এ গৌরীঘোনা ইউনিয়নে সমতল ও ঘের মিলিয়ে ১৩৫ হেক্টর, খরিপ-২এ ১৬৩ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ১৭০-১৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেন তারা।
সন্যাসগাছা গ্রামের কৃষক আফসার সরদার বলেন, জলাশয়ের পাশে ৩০০ মান্দা (কয়েকটি গাছের সমষ্টি) শিমগাছ লাগিয়েছেন। এখন শিমের একটাই শত্রু, সেটি হলো কালোমাকড়। গাছের পাতার নিচে এই মাকড় লেগে পুরো পাতার রস খেয়ে ফেলে। এতে পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই ওষুধ ছিটানো লাগছে।’
কৃষি বিভাগের লোকজন পরামর্শ দিতে আসেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আসেন। দুই-একটা ওষুধের নাম বলে যান। কিন্তু তা দিলেও কাজ হয় না।’
পাশের গ্রাম ভরতভায়নার বাসিন্দা লাভলু হোসেন বলেন, ‘ঘেরের পাশে আমায় দেড়শ মান্দা আর ১০ কাঠা জমিতে রয়েছে শিমগাছ। সবমিলিয়ে চার শতাধিক মান্দা। তবে গাছে কালোমাকড় খুব সমস্যা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটু আগে ডিলারের কাছ থেকে পাইন ও আশামিল ৭২ নামে দুটি ওষুধ এনেছি। এগুলো গাছে স্প্রে করলে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে।
সন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেই, ‘আমার পাঁচশ’ মান্দা গাছ রয়েছে। ঘের রয়েছে ৪৬ শতক জমিতে। ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছ যেমন, রুই-কাতলা চাষ করছি। ঘেরের পাড়ে কিছু লাউগাছ আছে। গত মাস থেকে প্রতি দিন লাউ বিক্রি করছি। ১০-১৫টি লাউ প্রতিদিন তুলি। প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাস পরপর মাছ বিক্রি করি। গত সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ঘেরের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করেন। এতে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আফজাল হোসেন বলেন, ‘গৌরীঘোনা, সুফলাকাটি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মানুষ ঘেরের পাশে সবজি চাষ করেন। এই অঞ্চলে যেমন মাছের উৎপাদন ভালো তেমনি সবজিরও। বর্তমানে শিম চাষ হচ্ছে বেশি। এছাড়া লাউ, পালংশাক, কুমড়া ও টমেটোর আবাদ হয়। সবজি ও মাছ চাষ করে এসব গ্রামের প্রায় সবাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Eliminate illegal gas connection to eliminate the titas gas by the Titas Gas to collect fine

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাবা মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন বালুয়াকান্দি (নাইটমুন হোটেল), মধ্য ভাটেরচর (খুলনা মিষ্টি ভান্ডার ও হোটেল), আনারপুরা (ফুড ভিলেজ হাইওয়ে রেস্তোরা),গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, ১টি মিষ্টি কারখানা ও একজন আবাসিক গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩/৪" ব্যাসের ৫০ ফুট (প্রায়) লাইন পাইপ, স্টার বার্ণার ২৮টি, ডাবল বার্ণার ২টি, সিঙ্গেল বার্ণার ১টি, গ্যাস জেনারেটর ২.৫ কি.ও.- ১টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -০৬ আওতাধীন এলাকায় পেট্রোবাংলার ভিজিলেন্স টিম, কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম ও মেঢাবিবি-৬ এর টিমের সমন্বয়ে আলুব্দী ও ইস্টাং হাউজিং এ অভিযুক্ত ১৯ টা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ অভিযানকালে সর্বমোট ১৪ টা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। তন্মধ্যে চারটা প্রতিষ্ঠানের সোর্স লাইন কিলিং করা হয়েছে, একটিতে সোর্স লাইন খুঁজে পাওয়া যায়নি, চারটা প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ বিহীন, তিনটি তালাবদ্ধ, দুইটি এলপিজি দ্বারা চলতে পরিলক্ষিত হয়। অভিযানে, সুপার জিন্স ওয়াশিং, জি কেয়ার বিডি ওয়াশিং, ডেনিম এক্সপ্রেস এন্ড ক্লোদিং ওয়াশিং, এস, এস, ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াশিং কারখানা), প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল ও ডাইনামিক ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড -এর সংযোগ পুনরায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে, ১ ইঞ্চি ১২০ ফিট এমএস পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ২২৫ ফিট জিআই পাইপ , ১/২" জিআই পাইপ ৫০ ফুট, ৩/৪" ৮০ ফুট হোজ পাইপ, ৩/৮" পিভিসি হোস পাইপ ১০০ ফুট ও ৩ টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, ঠিকানা: প্লট: এফ-৮, বর্ধিত পল্লবী, রোড ০১ একটি রাইজার আংশিক হাউজ লাইনসহ পাওয়া গেছে কিন্তু গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যায়নি। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। গ্রাহক অবৈধ বিবেচনায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388101 সিল স্থাপন করা হয়েছে ও ঠিকানা: প্লট: এফ-৯, বর্ধিত পল্লবী, রোড একটি বিচ্ছিন্নকৃত রাইজার পাওয়া গেছে এবং লক উইং কক খোলা অবস্থায় গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388109 সিল স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর রাজস্ব উপশাখা-সাভার ও জোবিঅ-সাভারের বিশেষ অভিযানে এইচ.আর টেক্সটাইল লি. (৩৩৮/৮৩৮০০০০৭৪), কর্নপাড়া, সাভার, ঢাকা এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ভরসা ফুড ইন্ডা. (৩৩৮০০০২৩৪), কর্নপাড়া, সাভার এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। স্টার লাইট নিট লি. (৩৩৮০০০৯৮৭) আমতলা, কাটগড়া, আশুলিয়া এর বকেয়ার জন্য আর.এম.এস অপসারণকরত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শ্যানটেক্স প্রাইভেট লি: (৩৩৮/৮৩৮০০০৭৬৩), টঙ্গাবাড়ি, আশুলিয়া এর উভয় রানের জুন-২০২৫ মাসের বিল ২,১৪,৬৭,৯৬১/- টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Visit the Rohingya shelter camp for representatives of foreign diplomats and political parties

বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন

বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক অংশীজন সংলাপের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধিরা শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বিশেষভাবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং ইউএনএইচসিআরের স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় তাঁরা রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সম্পর্কে শোনেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে ঘুরে দেখানো হয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এ শিবিরগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এজন্য আমরা দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কক্সবাজারে কর্মরত বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার শেখ রবিউল আলম জানান, বিদ্যমান তহবিল দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো নতুন অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি, যা ইতোমধ্যেই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নতুন অর্থায়ন না এলে খাদ্য সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

এদিকে শিবির পরিদর্শনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পুরো কার্যক্রমকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনো একক সরকারের সমস্যা নয়, বরং এটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। তাদের মতে, সব দলের সক্রিয় সম্পৃক্ততা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে।

বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অসাধারণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে বৈশ্বিক মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কূটনীতির এ প্ল্যাটফর্ম থেকে সংকট সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

কক্সবাজারে আয়োজিত এ সংলাপে সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কক্সবাজারকে রূপ দিয়েছে বৈশ্বিক মানবিক কূটনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো তিন দিনের এ সংলাপ।

রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছিল ‘স্টেকহোল্ডার্স’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়েজ টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এই সংলাপ।

মন্তব্য

বিশেষ
Six Bangladeshi citizens detained at the Kaiba border of Sharsha while entering India illegally

অবৈধপথে  ভারতে প্রবেশের  সময় শার্শার কায়বা সিমান্তে ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক  আটক

অবৈধপথে  ভারতে প্রবেশের  সময় শার্শার কায়বা সিমান্তে ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক  আটক

যশোরের শার্শার কায়বা সিমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক আসামীরা হলেন,রথিন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে হৃদয় গাইন (২৩),শিশির মন্ডল,সুজিত মন্ডল (৩৪), শ্রীকান্ত গাইনের ছেলে কুমার জিন্দ্র গাইন (৫০), কলিন্ড মন্ডলের ছেলে পাঞ্চু মন্ডল (৩৬),মৃত সুশান্ত নন্দীর মেয়ে পুতুল (২০),বিনয় অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অনুকারী (১৭),মৃত শামসুর শেখের মেয়ে ছবুরণ বেগম (৪৫) তারা বিভিন্ন জেলার।

খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার, জানান গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানা যায় যে কায়বা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কায়বা বিওপি‘র একটি টহল দল সীমান্ত শার্শা থানাধীন কায়বা গ্রামস্থ পূর্ব রুদ্রপুর নামক স্থান হতে ২৫ আগস্ট রাত ১১ টার সময় অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান যে, সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে।এবং আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের মালামালসহ শার্শাথানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

মন্তব্য

বিশেষ
The newly appointed judge of the High Court took oath

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ জন শপথ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোয়াজ্জেম হোসাইন।

শপথ নেওয়া ২৫ বিচারপতি হলেন— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন), আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজিউদ্দিন আহমেদ ও ফয়সাল হাসান আরিফ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম সাইফুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান ও মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দিহিদার মাসুম কবীর, হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মুরাদ–এ–মাওলা সোহেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, সলিসিটর (জেষ্ঠ জেলা জজ) মো. রাফিজুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, মো. লুৎফর রহমান ও রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাতেমা আনোয়ার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান, সৈয়দ হাসান যুবাইর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উর্মি রহমান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শক্রমে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উল্লিখিত ২৫ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ২ বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করিয়াছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Arrested in police operations across the country

সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৭১১

সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১,৭১১

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৭১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ১৭০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৪১ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশ একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৭১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
The victims did not get the compensation money in Naogaon in three years

নওগাঁয় তিন বছরেও ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি ক্ষতিগ্রস্থরা, থমকে আছে কাজ

নওগাঁয় তিন বছরেও ক্ষতিপূরনের টাকা পাননি ক্ষতিগ্রস্থরা, থমকে আছে কাজ

তিন বছরেও শেষ হয়নি নওগাঁ-বদলগাছি আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্থকরনের কাজ। জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে কিছু কিছু জয়াগায় কাজ শেষ না হওযায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। এছাড়াও তিন বছরেও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের টাকা বুঝে পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

জানা যায়, শহরের বরুনকান্দি ঠেংভাঙার মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৮০জন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের ৬২ কোটি টাকা পাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কিন্তু ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে আর কাউকেই দেওয়া হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের টাকা। সড়ক বিভাগের অবহেলা ও উদাসীনতা কারনে তৈরি হয়েছে এমন জটিলত। নিয়ম না থাকলেও সড়ক বিভাগ থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়। আবার ক্ষতিগ্রস্তরাও এই টাকা দিতে রাজি নন। ফলে শুরু হয় এমন জটিলতা। এদিকে জায়গা বুঝে না পেয়ে কাজ রেখে চলে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক বিভাগ ১৯টি প্যাকেজে জেলার বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ করছে। এর মধ্যে এক নাম্বার প্যাকেজে শহরের বালুডাঙ্গা বরুকান্দি মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ২৪ ফিট (চওড়া) প্রশস্তকরণ কাজের প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পান মেসার্স জামিল ইকবাল লিমিটেড নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রশস্তকরণের এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ও স্থাপনা পড়ে। এসব জমি ও স্থাপনার একটা নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করে অধিগ্রহণ করা হয়।

সড়ক বিভাগ বলছে, ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার সড়কের কাজ শেষ করতে পারছেন না।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান, ‘তিন বছর পার হলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো তারা বুঝে পাননি। এছাড়াও জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে নওগাঁ সড়ক বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হলে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না তারা। প্রায় দেড় মাস আগে মানুষ দেখানোর জন্য নাম মাত্র একজনের কাছে চেক হস্তান্তর করা হলেও এরপর আর কোন অগ্রগতি নেই।’

আল মামুন নামে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে এই জটিলতা দেড় বছর ধরে চলে আসতেছি। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এইভাবে টাকা কেটে নেওয়ার কোন নিয়ম কোন জেলাতে নেই। আমরা দুই বছর থেকে ঘুরতেছি এখনো কোন টাকা পায়নি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জটিলতা নিরসন করে আমাদের পাওনা টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।’

জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমানসহ আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বলেন, ১জমির সকল শুনানি শেষ হয়ে গেছে। আমাদে কাগজপত্র সব সঠিক আছে। টাকার জন্য আমরা শুধু ধরনা দিচ্ছি সড়ক বিভাগে ও ডিসি অফিসে। আজ দিবে কাল দিবে বলে শুধু ঘুরানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোন টাকা পাচ্ছি না।’

আব্দুর রহমান নামে ক্ষতিগ্রস্থ এক জমির মালিক বলেন, ‘ঠেংভাঙা মোড় এলাকায় ৬ শতাংশ জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পাবো। শুধুমাত্র জমির মূল্য বাবদ একটা চেক দেওয়া হয়েছে। স্থাপনার মূল্য এখনও দেওয়া হয়নি। ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতায় আটকে আছে। এর জন্য সড়ক বিভাগ দায়ী।’

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ তিন বছরেও যেসব এলাকায় কাজ শেষনি সেসব এলাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারী ও এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে পাহাড়পুর ও কীর্ত্তিপুর বাজার এলাকায় সড়কের পিচ, ইট, পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন। সংস্কার না হওয়ায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

এই সড়কে চলাচলকারী বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই রাস্তার এ অবস্থা। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। রাস্তা যখন খারাপ ছিল, তখন কিন্তু কষ্ট ছিল না যতটা না রাস্তার কাজ শুরুর পর কষ্ট হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে।’

এবিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন বরাবর অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার কারণে সড়কের কিছু কিছু জায়গায় কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। জমি হস্তান্তর করা হলে খুব দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা যাবে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে দেওয়া একটা চিঠির বিষয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের মালিকদের মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে। কেউ কেউ অভিযোগ দিয়েছে, এমনকি আদালতে মামলা করেছে। তারপরও জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০ শতাংশ জটিলতার অবসান করা হয়েছে। জটিলতা থাকলেও আংশিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

এ পর্যন্ত কতজনকে জমি ও স্থাপনার মূল্য বাবদ চেক দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সংখ্যাটা সরাসরি না বলে বিভিন্ন প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে