আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে নিউজবাংলা।
‘তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই’ শিরোনামে শুক্রবার রাত ১০টায় এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি অবস্থা চলার সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশে ফিরতে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েও সফল হয়নি সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপর আরও দুই দফা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা।
নিউজবাংলার বিশেষ আয়োজনে দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকন্যার দক্ষ ও কুশলী নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আলোচকেরা।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০০৭ সালের পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সময়টায় সেনাশাসিত একটা সরকার চেপে বসেছিল এবং শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী যদি দাঁড়িয়ে না যেতেন তাহলে সেটা হয়ত মিয়ানমারের মতো চলতেই থাকত। আরো অনেক অঘটন আমাদের এই দেশে দেখতে হতো। আমি খুব কাছে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। তার সঙ্গে কাজ করেছি সেই সংকটকালে। তিনি ফিরে এলেন ২০০৭ সালে। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হলেন।’
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘জেলখানা থেকেও আমাদের সঙ্গে তার (শেখ হাসিনা) যোগাযোগ হতো এবং সেই সময়ে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি যে দিন বদলের সনদ তৈরি করেছিলেন, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত ছিলাম। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ভবিষ্যতের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন সেসব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছিলেন এবং নোট রাখছিলেন।
‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুবিবেচনা দেখেছি। আমাদের বড়ই সৌভাগ্য যে এমন একজন নেত্রীকে আমরা পেয়েছি যিনি মানুষকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং তার সেই রূপকল্পের কথা, সেই রূপকল্পই শুধু নয়, তিনি আরও ভবিষ্যৎ দেখছেন, আরও অনেক দূর দেখতে পান শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে পেয়েছি যে, তিনি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন দেখছেন। যখন তিনি বিরোধী দলে ছিলেন তখনও তিনি এই সব বিষয় নিয়ে ভাবতেন।’
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমার বড়ই সৌভাগ্য হয়েছিল যে শুধু সেই দিন বদলের সনদ প্রণয়নের কথা না, পরবর্তীকালে তার সঙ্গে অর্থনৈতিক টিমে কাজ করবার। তিনি আমাদেরকে তার সেই যাত্রায় যুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সেটি তারই নির্দেশনায় এগিয়ে গেছে এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি জনমুখী, মানবিক অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক করার পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন।’
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ আজকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে। আমাদের প্রবাস আয় গত ১০ মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক দূর দেখতে পান। এবং সেই দেখতে পান বলেই তিনি কয়েকটি বিষয়ের উপরে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং আমার ধারণা আগামীতেও সেই গুরুত্বটি বজায় থাকবে।
‘২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আগামী দিনের অর্থনীতি হবে ডিজিটাল, আগামী দিনের সমস্ত বিকাশ হবে ডিজিটাল এবং সেটার সূত্রপাত কিন্তু তিনিই করেছেন।’
মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ইনফাস্ট্রাকচার যে দরকার এবং পদ্মা সেতু কী প্রক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে সেই সাথেও আমরা জড়িত ছিলাম। আমরা দেখছি একজন সাহসী নেত্রী কেমন করে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি একটি প্রকল্পে বলেছেন যে, আপনাদের (বিশ্বব্যাংক) কোনো টাকা লাগবে না। আমরা আমাদের অর্থ দিয়েই এটা তৈরি করব এবং তিনি সেটা তৈরি করে দেখাচ্ছেন। এখন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।
‘একই সঙ্গে স্পেশাল ইকোনমিক জোন তিনি করেছেন। এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোনগুলোর দিকে নজর দিলেই আমরা বুঝতে পারবো এগুলো বাংলাদেশের চেহারা বদলে ফেলবে।’
বঙ্গবন্ধুর গুণাবলি শেখ হাসিনার মাঝে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি সেই দিনটির কথা ভুলতে পারব না। সেদিন সকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখনও আমরা জানি না এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা আসছে বা আরোপ হয়েছে। সেনা সদর থেকে একজন বিগ্রেডিয়ার টেলিফোন করে খুব রূঢ় ভাষায় বলতে চাইলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের কোনো প্রতিবাদ, কোনো ধরনের কোনো আন্দোলনে যাবেন না। আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কাজের মধ্যেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখবেন।’
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরেই খবর আসতে শুরু করল যে, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই অনুযায়ী একটি প্রেসনোট জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবং শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন যে, এটি আমার আধিকার, আমি আমার দেশে ফিরে যাব, এবং দেশে ফিরে যাওয়ার পরে যদি তারা মনে করে আমার কোন অপরাধ আছে, তারা আমাকে জেলে দেবে, বিচার করবে। কিন্তু তারা আমাকে আমার দেশে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে না।’
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছিল উল্লেখ করে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে তারিখে তিনি দেশে ফিরে আসলেন। সে দিন বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনার বাসভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে লোকে-লোকারণ্য। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ঠিক যে রকম দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম ১৯৮১ সালে ১৭ মে তার প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়।’
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নেতৃত্বের গুণাবলির মাঝে আছে দূরদর্শিতা, দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, বুঝতে পারা যে কীভাবে দেশকে ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে থাকতে হবে মানবিক সংবেদনশীলতা, মানবতাবোধ, মানুষকে ভালোবাসা। যেটি বঙ্গবন্ধুর মাঝে দেখেছি আমরা সব সময় এবং স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝেও এই গুণগুলোই আমরা দেখতে পাই।’
নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা
নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। টানা তিন মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এখন আর স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ নয়; এখন উন্নয়নশীল দেশ।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন রূপকল্প ২০২১। সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার।
‘যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিত ছিল বন্যাকবলিত, দারিদ্রপীড়িত দেশ হিসেবে, সেই দেশই এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল; অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। এটা কেবলই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এবং জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।’
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘অর্থনৈতিক সূচকের পাশাপাশি সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এই ১২ বছরে। অনেক ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে গেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এখন ব্যাপক আলোচিত। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের এই সাফল্যের কথা দেশি-বিদেশি মানুষকে শোনান।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ধারাবাহিক অগ্রগতির পথ ধরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ। যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি। গত এক দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চার বছরে এই হার ছিল ৭ শতাংশের উপরে।
‘তবে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে, যা সারা দুনিয়াতেই কমেছে। তারপরেও বাংলাদেশে সেটা ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৭৫৯ ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এক যুগে মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।
‘অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি বেশ কিছুদিন ধরে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন তা কমে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।’
রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। প্রতিবছরই বাড়ছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। এমনকি, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেটের আকার যেমন বেড়েছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও তেমনি বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ কোটি টাকা।
‘কৃষিতেও সরকারে সাফল্য ঈর্ষণীয়। মহামারিতে বিভিন্ন খাতের ক্ষতি হলেও কৃষি খাতের তেমন ক্ষতি হয়নি আমাদের দেশে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতির মধ্যেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ফিরে এসেছেন বলেই আমরা আজ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমি নিজের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি, আমরা আগে যখন বিদেশে ট্রাভেল করতাম তখন আমাদের পাসপোর্ট একটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। আর এখন আমরা যখন ট্রাভেল করি, বিভিন্ন দেশে যাই, অন্য দৃষ্টিতে আমাদের দেখে। আমাদের এখনকার আইডেন্টিটি অনেক সম্মানের। শুধুমাত্র তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
‘আজকে নতুন বাংলাদেশের যে উন্নয়ন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল…। আমি যখন আমার অফিসে বসি তখন জানাল দিয়ে দেখতে পাই ঢাকায় আট লেনের সড়ক হয়েছে। এটা কোনোদিন চিন্তা করা যায়নি। যদি তিনি না আসতেন তাহলে এগুলো স্বপ্নের মতো থেকে যেত। এই বাংলাদেশকে তার বাবা দিয়ে গিয়েছিলেন, আর নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা।’
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক দেশে সফর করার সুযোগ পেয়েছি। যে সম্মান আজকের বিশ্ব নেতৃত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়, সেটা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে কথা বলেছেন। এই সম্মানের জায়গায় বাংলাদেশকে তিনি এনে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।
তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।
স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।
শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের ৫ নম্বর সিজন চলছে। ভক্তদের মুখে মুখে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিজটি। নাটকটির শুরু থেকেই সিজন ১, ২, ৩ এবং ৪ দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ও তার টিম। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ফাইভ সিজন প্রচার হচ্ছে।
এই সিরিজে কাবিলা, শুভ, জাকির, শিমুল, পাশা, আরেফিন, হাবু ভাই নামের চরিত্রগুলোর মতো নেহাল চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে। যেই নেহাল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌসিফ মাহবুব। এত দিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে এ সিরিজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ সিজনে ফিরছেন তিনি নেহাল হয়েই, যেটা তিনি নিজেই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
বললেন, ‘দর্শক সর্বদা চান নেহাল চরিত্রটি ফিরে আসুক। তাই ফের এ চরিত্রটির মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’ এর আগে নির্মাতা অমি বলেছিলেন, বাস্তব জীবনের মতোই হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একসময় দেখা যাবে তাদের আবার একসঙ্গে। তাই সেই অপেক্ষার পালা মনে হয় শেষ হলো তৌসিফের ফেরার মাধ্যমে।
ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য