× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই
google_news print-icon

‘তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই’

তিনি-ফিরে-এসেছিলেন-বলেই
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নিউজবাংলার বিশেষ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে নিউজবাংলা।

‘তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই’ শিরোনামে শুক্রবার রাত ১০টায় এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি অবস্থা চলার সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশে ফিরতে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েও সফল হয়নি সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপর আরও দুই দফা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা।

নিউজবাংলার বিশেষ আয়োজনে দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকন্যার দক্ষ ও কুশলী নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আলোচকেরা।

শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০০৭ সালের পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, ‘সেই সময়টায় সেনাশাসিত একটা সরকার চেপে বসেছিল এবং শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী যদি দাঁড়িয়ে না যেতেন তাহলে সেটা হয়ত মিয়ানমারের মতো চলতেই থাকত। আরো অনেক অঘটন আমাদের এই দেশে দেখতে হতো। আমি খুব কাছে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। তার সঙ্গে কাজ করেছি সেই সংকটকালে। তিনি ফিরে এলেন ২০০৭ সালে। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি গ্রেপ্তার হলেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘জেলখানা থেকেও আমাদের সঙ্গে তার (শেখ হাসিনা) যোগাযোগ হতো এবং সেই সময়ে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি যে দিন বদলের সনদ তৈরি করেছিলেন, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত ছিলাম। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ভবিষ্যতের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন সেসব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছিলেন এবং নোট রাখছিলেন।

‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুবিবেচনা দেখেছি। আমাদের বড়ই সৌভাগ্য যে এমন একজন নেত্রীকে আমরা পেয়েছি যিনি মানুষকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং তার সেই রূপকল্পের কথা, সেই রূপকল্পই শুধু নয়, তিনি আরও ভবিষ্যৎ দেখছেন, আরও অনেক দূর দেখতে পান শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে পেয়েছি যে, তিনি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন দেখছেন। যখন তিনি বিরোধী দলে ছিলেন তখনও তিনি এই সব বিষয় নিয়ে ভাবতেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমার বড়ই সৌভাগ্য হয়েছিল যে শুধু সেই দিন বদলের সনদ প্রণয়নের কথা না, পরবর্তীকালে তার সঙ্গে অর্থনৈতিক টিমে কাজ করবার। তিনি আমাদেরকে তার সেই যাত্রায় যুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সেটি তারই নির্দেশনায় এগিয়ে গেছে এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি জনমুখী, মানবিক অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক করার পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন।’

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ আজকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে। আমাদের প্রবাস আয় গত ১০ মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক দূর দেখতে পান। এবং সেই দেখতে পান বলেই তিনি কয়েকটি বিষয়ের উপরে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং আমার ধারণা আগামীতেও সেই গুরুত্বটি বজায় থাকবে।

‘২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আগামী দিনের অর্থনীতি হবে ডিজিটাল, আগামী দিনের সমস্ত বিকাশ হবে ডিজিটাল এবং সেটার সূত্রপাত কিন্তু তিনিই করেছেন।’

মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ইনফাস্ট্রাকচার যে দরকার এবং পদ্মা সেতু কী প্রক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে সেই সাথেও আমরা জড়িত ছিলাম। আমরা দেখছি একজন সাহসী নেত্রী কেমন করে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি একটি প্রকল্পে বলেছেন যে, আপনাদের (বিশ্বব্যাংক) কোনো টাকা লাগবে না। আমরা আমাদের অর্থ দিয়েই এটা তৈরি করব এবং তিনি সেটা তৈরি করে দেখাচ্ছেন। এখন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

‘একই সঙ্গে স্পেশাল ইকোনমিক জোন তিনি করেছেন। এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোনগুলোর দিকে নজর দিলেই আমরা বুঝতে পারবো এগুলো বাংলাদেশের চেহারা বদলে ফেলবে।’

বঙ্গবন্ধুর গুণাবলি শেখ হাসিনার মাঝে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি সেই দিনটির কথা ভুলতে পারব না। সেদিন সকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখনও আমরা জানি না এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা আসছে বা আরোপ হয়েছে। সেনা সদর থেকে একজন বিগ্রেডিয়ার টেলিফোন করে খুব রূঢ় ভাষায় বলতে চাইলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের কোনো প্রতিবাদ, কোনো ধরনের কোনো আন্দোলনে যাবেন না। আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈমিত্তিক কাজের মধ্যেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখবেন।’

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরেই খবর আসতে শুরু করল যে, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই অনুযায়ী একটি প্রেসনোট জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবং শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন যে, এটি আমার আধিকার, আমি আমার দেশে ফিরে যাব, এবং দেশে ফিরে যাওয়ার পরে যদি তারা মনে করে আমার কোন অপরাধ আছে, তারা আমাকে জেলে দেবে, বিচার করবে। কিন্তু তারা আমাকে আমার দেশে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে না।’

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছিল উল্লেখ করে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে তারিখে তিনি দেশে ফিরে আসলেন। সে দিন বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনার বাসভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে লোকে-লোকারণ্য। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ঠিক যে রকম দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম ১৯৮১ সালে ১৭ মে তার প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়।’

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নেতৃত্বের গুণাবলির মাঝে আছে দূরদর্শিতা, দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, বুঝতে পারা যে কীভাবে দেশকে ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে থাকতে হবে মানবিক সংবেদনশীলতা, মানবতাবোধ, মানুষকে ভালোবাসা। যেটি বঙ্গবন্ধুর মাঝে দেখেছি আমরা সব সময় এবং স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝেও এই গুণগুলোই আমরা দেখতে পাই।’

নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা

নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। টানা তিন মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এখন আর স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ নয়; এখন উন্নয়নশীল দেশ।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন রূপকল্প ২০২১। সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার।

‘যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিত ছিল বন্যাকবলিত, দারিদ্রপীড়িত দেশ হিসেবে, সেই দেশই এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল; অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। এটা কেবলই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এবং জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘অর্থনৈতিক সূচকের পাশাপাশি সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এই ১২ বছরে। অনেক ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে গেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এখন ব্যাপক আলোচিত। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের এই সাফল্যের কথা দেশি-বিদেশি মানুষকে শোনান।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ধারাবাহিক অগ্রগতির পথ ধরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ। যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি। গত এক দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চার বছরে এই হার ছিল ৭ শতাংশের উপরে।

‘তবে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে, যা সারা দুনিয়াতেই কমেছে। তারপরেও বাংলাদেশে সেটা ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৭৫৯ ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এক যুগে মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

‘অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি বেশ কিছুদিন ধরে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন তা কমে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে।’

রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। প্রতিবছরই বাড়ছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। এমনকি, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেটের আকার যেমন বেড়েছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও তেমনি বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৪ কোটি টাকা।

‘কৃষিতেও সরকারে সাফল্য ঈর্ষণীয়। মহামারিতে বিভিন্ন খাতের ক্ষতি হলেও কৃষি খাতের তেমন ক্ষতি হয়নি আমাদের দেশে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতির মধ্যেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ফিরে এসেছেন বলেই আমরা আজ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমি নিজের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি, আমরা আগে যখন বিদেশে ট্রাভেল করতাম তখন আমাদের পাসপোর্ট একটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। আর এখন আমরা যখন ট্রাভেল করি, বিভিন্ন দেশে যাই, অন্য দৃষ্টিতে আমাদের দেখে। আমাদের এখনকার আইডেন্টিটি অনেক সম্মানের। শুধুমাত্র তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

‘আজকে নতুন বাংলাদেশের যে উন্নয়ন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল…। আমি যখন আমার অফিসে বসি তখন জানাল দিয়ে দেখতে পাই ঢাকায় আট লেনের সড়ক হয়েছে। এটা কোনোদিন চিন্তা করা যায়নি। যদি তিনি না আসতেন তাহলে এগুলো স্বপ্নের মতো থেকে যেত। এই বাংলাদেশকে তার বাবা দিয়ে গিয়েছিলেন, আর নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা।’

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক দেশে সফর করার সুযোগ পেয়েছি। যে সম্মান আজকের বিশ্ব নেতৃত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়, সেটা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে কথা বলেছেন। এই সম্মানের জায়গায় বাংলাদেশকে তিনি এনে দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:
ছবিতে নিউজবাংলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নিউজবাংলার
কমনওয়েলথের সঙ্গী নিউজবাংলা
‘সাইবার হয়রানি’ নিয়ে আইনি পরামর্শ দেবেন মিতি-মেহেরবা
‘সাইবার হয়রানি’ নিয়ে আইনি পরামর্শ শনিবার নিউজবাংলায়

আরও পড়ুন

বিশেষ
The skeleton of the missing auto driver recovered from the bushes after 7 days in Muradnagar

মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

ঘাতকের স্বীকারোক্তিতে উন্মোচিত হলো হত্যার রহস্য
মুরাদনগরে ৩৮ দিন পর ঝোপ থেকে নিখোঁজ অটো চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক অটো রিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় অটো রিকশা চালক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান আসামি খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানো স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। গত ১১ আগস্ট রাতে অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ২০ আগস্ট নিহতের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল ঘাতক খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে মেহেদীর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে থাকা পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা নিহতকে শনাক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Starting training in skill development of young people who dropped in Patuakhali

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

পটুয়াখালীতে ঝরে পড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু

ঝরে পড়া তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বিশেষ কার্যক্রম ‘কার্যকর সাক্ষরতা ও ব্যবহারিক কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ (প্রাক-বৃত্তিমূলক পর্যায়)’। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে একই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের চারটি ট্রেডে দক্ষ করে তোলা হবে; ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং এবং মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস, মোট ৪৬০ ঘণ্টা। সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে টিভিইটি সোপানের এনএসসি-১ (NSC-1)-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবেন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হবে। তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণ-তরুণীরা শুধু সাক্ষরতা অর্জন করবে না, বরং কর্মসংস্থানের যোগ্যতাও অর্জন করবে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রশিক্ষণার্থী রহিম খান বলেন, ‘এখান থেকে আমরা বিনা খরচে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।’

একজন অভিভাবক মোসা. সাবিকুন নাহার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই প্রশিক্ষণে যুক্ত হওয়ার পর তাকে নতুনভাবে উদ্যমী দেখছি। এখন তার জীবনের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ওই কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণরা শুধু কর্মমুখী জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আনিসুর রহমান, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ ইলেকট্রিক্যাল), এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ সিভিল), মো. জুয়েল রানা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রশিক্ষণের সফলতা কামনা করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Distribution of BGP relief among flood victims in Daulatpur

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

দৌলতপুরে বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিজিপির ত্রাণ বিতরণ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। গত বুধবার বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।

ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে বিজিবি কর্তৃক জানিয়েছেন।

সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, ‘বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
Kishoreganj seized 4 thousand 5 kg government rice seizure

কিশোরগঞ্জে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি সরকারি চাল জব্দ, আটক ৩

কিশোরগঞ্জে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি সরকারি চাল জব্দ, আটক ৩

কিশোরগঞ্জের ইটনায় কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বাদলা বাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ও মৃগা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৪ হাজার ২৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), নিয়ামুল মিয়া (২৪) ও সাইদুল মিয়া (১৯)। তারা মৃগা এলাকার বাসিন্দা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃগা গ্রামের ডিলার জানু মিয়ার নামে ১০ হাজার ৮৩০ কেজি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে পৃথক দুটি স্থান থেকে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

বাদলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল নিয়ে যাওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় ভরে চালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

ইটনা থানার উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল জানান, বাদলা থেকে ৭২ বস্তা চাল উদ্ধারের পর ডিলার জানু মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাড়ি থেকে আরও ৮৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, চালগুলো আত্মসাতের উদ্দেশে নির্ধারিত স্থানে না রেখে অন্যত্র রেখেছিলেন ডিলার জানু মিয়া তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বিশেষ
Nobody has the right to take development projects by depriving people Fayez Ahmed Tayyab

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই -ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই -ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অতীতে আমরা দেখে এসেছি মন্ত্রীর এলাকায় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত উন্নয়ন বরাদ্দ হয়, যাতে উক্ত জেলার অন্যান্য উপজেলা বঞ্চিত হয়। মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই। তাই এ ধরনের প্রাকটিস থেকে সরে আসুন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বিবেচনায় সকল গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পৃক্ত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিন। পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎকে জেলার সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেন। শিল্প মালিকরা যেন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে আন্তরিক হ‌ওয়ার অনুরোধ করেন বিশেষ সহকারী। এর বাইরে

গোমতীতে আগামী শীতে ম্যারাথন আয়োজনের নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় জেলার এমপিওভুক্ত স্কুলের ইনস্পেকশন দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

সভায় জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি জেলায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আসন্ন দূর্গাপূজা উদযাপন যেন নির্বিঘ্ন হয় সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, কুমিল্লার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Thakurgaon is celebrating the Karam festival

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম উৎসবে মেতেছে ওড়াঁও সম্প্রদায়

ঠাকুরগাঁওয়ে কারাম উৎসবে মেতেছে ওড়াঁও সম্প্রদায়

হলদে রঙের শাড়ি, খোপায় সাদা কাঠগোলাপ, পায়ে আলতা, নুপুর সাজে সেজেছে ওড়াঁও সম্প্রদায়ের নারীরা। পুরুষের ঢোল ও মন্দিরার তালে নেচে গেয়ে নিজেদের বড় ধর্মীয় আয়োজন কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা হয়ে উঠে ঠাকুরগাঁওয়ের ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ।
আয়োজকরা জানান, বাংলা খ্রিষ্টাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ রাত বুধবার থেকে তাদের পূজা আর্চনা শুরু হয়ে পরদিন পহেলা আশ্বিন বৃহস্পতিবার দুপর পর্যন্ত চলে আনন্দ উৎসব। এ সময় নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে কারাম গাছের ডাল এনে পূজা আর্চনা ও নাচগানে মাতোয়ারা থাকে এ সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষরা।
সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামে উৎসবের রাতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন আয়োজন। ওড়াঁও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এসময় বিভিন্ন ধর্মের রাজনীতিক নেতা, সমাজ ওসাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও আমন্ত্রিত ছিলেন।
এছাড়াও গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ এই কারাম উৎসব দেখতে আসেন। এদিন সম্প্রিতির বন্ধনে আরও একবার আবদ্ধ হন গ্রামের মানুষ।
শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের নাচ ও গানের তালে তালে বরণ করে নেন ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে ফুল দিয়ে সকল ধর্মের মানুষদের বরণ করেন তারা। এরপর নাচ ও গান পরিবেশন করেন অতিথিদের সামনে। পরে উৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য করেন আয়োজকরা এবয় নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, কারাম উৎসব দুই রকম ভাবে উদযাপন করা হয়। একটি নিজ কারাম ও অপরটি দশ কারাম। নিজ কারাম হলো যারা একটু স্বচ্ছল তারা নিজেদের বাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। আর দশ কারাম হলো যেখানে সবার সহযোগিতায় একখানে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে কারাম গাছের পূজা করা হয়। ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে কারাম গাছ প্রাকৃতিক নানা রকম দূর্যোগ মোকাবিলায় তাদের সহযোগিতা করেছে। এ গাছের ডালকে আঁকড়ে ধরে তারা যুগ যুগ ধরে বেঁচে ছিলো।
কারাম উৎসবে এসে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে জসিম উদ্দীন বলেন, এ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন যাপন খুব সহজ সরল। তারা অনেক পরিশ্রমী। তাদের উৎসবের আমেজ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আমি দারুন উপভোগ করছি। তাদের সরল আতিথিয়েতা আমাকে খুব আপন করে নেয় তাদের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম উৎসবমুখোর পরিবেশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ওড়াঁও সম্প্রদায় একটি অনন্য জাতিসত্তা। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৃষ্টি কালচার রয়েছে। তাদের ধর্মীয় উৎসব চমৎকার। তাদের নিজস্ব সত্তা যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায়। যেন সহস্র বছর ধরে তারা টিকে থাকে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে এর জন্য প্রশামনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।

মন্তব্য

বিশেষ
The forest officer detained while escaping at night

১৭ বিয়ে, রাতের আঁধারে পালানোর সময় আটক সেই বন কর্মকর্তা

১৭ বিয়ে, রাতের আঁধারে পালানোর সময় আটক সেই বন কর্মকর্তা

সাময়িক বরখাস্তের পর রাতের আঁধারে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল সরানোর সময় ১৭ বিয়ে কান্ডের সেই বরখাস্তকৃত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জনরোষ থেকে তাকে (কবির) বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল কার্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশ রাতেই তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন-১৭ বিয়ে কান্ডের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তের পর গত বুধবার রাত নয়টার দিকে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল নিয়ে কবির হোসেন পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
বরিশাল সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সাকিব বলেন, দায়িত্বে থাকাবস্থায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী বিভিন্ন সময় ধার বাবদ আমার কাছ থেকে ছয় লাখ ৯৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকেও সে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। হঠাৎ করেই বুধবার রাতে সরকারি বাংলো থেকে মালামাল নিয়ে তিনি চলে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে আমিসহ অন্য পাওনাদাররা এসে তাকে আটক করেছি। তাছাড়া তিনি পিকআপযোগে যে মালামাল নিচ্ছিলেন তার মধ্যে সরকারি কিছু মালামালও রয়েছে। সেগুলো আমি নামিয়ে রেখেছি।
বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন বাংলো থেকে সরকারি মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া তিনি ওই কর্মকর্তার কাছে টাকা পাবেন। এলাকার বেশ কিছু মানুষও তার কাছে টাকা পাবে বলে আটকে রেখেছেন।
আরও জানন, উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই বন কর্মকর্তাকে স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনেন। তবে পালিয়ে যাবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে উল্টো সাংবাদিকদের অভিশাপ এবং হুমকি দেন।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে রাতেই তাকে (কবির) ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নানা প্রলোভনে ১৭ বিয়ে করে দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করা বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কবির হোসেন পাটোয়ারীকে ১৬ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুক দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন খুলনা জেলার সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আকতার। তার আগে ২০১৯ সালে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন তার (কবির) আরেক স্ত্রী বাগেরহাটের মোংলা এলাকার নাসরিন আকতার দোলন। সেই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। সবশেষ গত ৯ এপ্রিল দেয়া স্ত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান বরিশালে সরেজমিন তদন্তে আসেন। নগরীর কাশিপুরে কোস্টাল সার্কেলে বসে অভিযোগকারী দুই স্ত্রী, তাদের স্বজন এবং বন কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ওইদিনই বিয়েপাগল বন কর্মকর্তার বিচার দাবিতে বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল অফিসের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রাথমিক শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সূত্রমতে, চাঁদপুর জেলার তুষপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেন এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। বন বিভাগের উচ্চ পদ ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলেন অনেক নারীকে। এ কারণে একই অভিযোগে পূর্বে আরও দুইবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। তবে পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী দীপু মনির সুপারিশে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন।
অপরদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ছাড়াও ১৬ সেপ্টেম্বর বরিশাল মহানগর আদালতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। আদালতের বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে