× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
মেডিক্যালে চান্স পেয়েও অনেকে পুলিশ
google_news print-icon

মেডিক্যালে ‘চান্স পাওয়া’ অনেকেই পুলিশে

মেডিক্যালে-চান্স-পাওয়া-অনেকেই-পুলিশে
লকডাউনে রাজধানীর চেকপোস্টে তৎপর পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
নিউজবাংলা অনুসন্ধানে দেখেছে, মেডিক্যাল কলেজে পড়ালেখার পর বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুযোগ পেয়েও অনেকে পরে পেশা বদল করে পুলিশের চাকরি বেছে নিয়েছেন। এ ধরনের অন্তত ২৫ পুলিশ কর্মকর্তার খোঁজ পেয়েছে নিউজবাংলা। এছাড়া, স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়ে পরে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করছেন, এমন কর্মকর্তাও আছেন অনেকে।   

গাড়িতে চিকিৎসক স্টিকার সাঁটানো, গায়ে অ্যাপ্রোন। তিনি নিজেও বলছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন।

তবে এই পরিচয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না পুলিশ কর্মকর্তা। দেখতে চাইছিলেন পরিচয়পত্র।

আর এ নিয়ে শুরু দুই পক্ষে তর্কাতর্কি। এলিফ্যান্ট রোডে গত রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এ কাইয়ুমের তর্কাতর্কির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ওই ঘটনার জেরে চিকিৎসক ও পুলিশের প্রধান সংগঠনগুলো পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে। চিকিৎসকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাদের হয়রানি করা হলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের আচরণে পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।

বিষয়টি গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালতেও। চিকিৎসক-পুলিশের মধ্যে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

এলিফ্যান্ট রোডে রোববারের ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতির একপর্যায়ে ডা. জেনির একটি মন্তব্য আলাদা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।ডা. জেনি বলছিলেন, তিনি মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন বলেই তিনি ডাক্তার, কিন্তু ওসি পাননি বলেই তিনি পুলিশে চাকরি করছেন।

আরও পড়ুন: লকডাউনে এবার ডাক্তার-পুলিশ বিতর্কে তোলপাড়

তবে নিউজবাংলা অনুসন্ধানে দেখেছে, মেডিক্যাল কলেজে পড়ালেখার পর বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুযোগ পেয়েও অনেকে পরে পেশা বদল করে পুলিশের চাকরি বেছে নিয়েছেন। এ ধরনের অন্তত ২৫ পুলিশ কর্মকর্তার খোঁজ পেয়েছে নিউজবাংলা।এছাড়া, স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়ে পরে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করছেন, এমন কর্মকর্তাও আছেন অনেকে।

মেডিক্যালে ‘চান্স পাওয়া’ অনেকেই পুলিশে
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে পুলিশ-চিকিৎসকের তর্কাতর্কি নিয়ে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। পরে বিষয়টির মীমাংসা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ছবি: নিউজবাংলা

এই কর্মকর্তারা পেশা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বলছেন, পুলিশ ও প্রশাসন ক্যাডারে সুযোগ-সুবিধা বেশি, সমাজে অবস্থানও শক্তিশালী। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের চাকরি জীবনে অনেক ধরনের ‘প্রতিবন্ধকতার’ বিষয়টি বিবেচনা করেই তারা পেশা পরিবর্তন করেছেন।

এমবিবিএস পাস করে ২৮তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন নন্দিতা মালাকার। তবে সেই চাকরি না করে ৩০তম বিসিএসে পাস করে পুলিশে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন।

নন্দিতা মালাকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমার নিরাপত্তা, পরিবারের নিরাপত্তা এবং যথাযথ সম্মান এসবের শতভাগই আমি পুলিশ ক্যাডারে এসে পেয়েছি। আমি যখন স্বাস্থ্য ক্যাডারে ছিলাম তখন এসবের কোনো কিছুই পাইনি। নারীর যথাযথ ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্যাডার সবচেয়ে ভালো বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘আমি হেলথ ক্যাডারে থাকাকালীন উপজেলা পর্যায়ে অনেক সময় রাতে ডিউটি করতে হতো। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হতো। কাউকে দিয়ে বাইরে থেকে খাবার আনলে তাকে বকশিস হিসেবে কিছু টাকা দিতে হতো, কিন্তু পুলিশে এসে দেখলাম এসব সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি নেই।

‘মেডিক্যাল অফিসার থাকাকালীন সুবিধামতো জায়গায় পোস্টিং নিতে চাইলে দেয়া হতো না। ভিআইপিদের প্রাধান্য দেয়া হতো পোস্টিংয়ের বেলায়, কিন্তু পুলিশে তেমনটা না। আমি এ পর্যন্ত সব প্রমোশন যথাযথভাবে পেয়েছি। আবার আমার স্বামী গাজীপুর চাকরি করার কারণে আমার এখানে পোস্টিং দরকার ছিল। পুলিশ হেডকোয়াটার্সে বলার পর আমাকে সেটা দেয়া হয়।’

নন্দিতা বলেন, ‘আমি মনে করি এমবিবিএস পড়েছি, সেই শিক্ষার জায়গায় ঠিক আছে। তবে পেশাগত জীবনে ডাক্তারির চেয়ে পুলিশ সার্ভিস অনেক সম্মান ও মর্যাদার।’

মেডিক্যাল থেকে পাস করে বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হয়েছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রশাসনিক ক্যাডারের অনেক সুবিধাই পাওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা করে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেয়ার পর একজন চিকিৎসক পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন অর্থাৎ এমডি, এমএস, এফসিপিএস ইত্যাদি ডিগ্রি না করলে তার পদোন্নতির সুযোগ থাকে না। ওই সব ডিগ্রির জন্য একজন চিকিৎসককে কয়েক বছর একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এর পর তিনি ফাইনাল পরীক্ষা দেন।

‘এসব শেষ করতে সব মিলিয়ে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। এই পুরো সময়ে একজন চিকিৎসকের মাসিক ভাতা খুবই কম।’

মেডিক্যালে ‘চান্স পাওয়া’ অনেকেই পুলিশে
চিকিৎসক সাঈদা শওকত জেনি

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি ছাড়া একজন ডাক্তারের কোনো মূল্য নেই। কারণ সবাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খোঁজেন। কিন্তু এর পেছনে যে সময় লাগে, সেই সময়ে অন্য পেশায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। এই পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়ানো, পাশাপাশি পদোন্নতি, গাড়ি-বাড়িসহ অন্য সুবিধা পেতে অনেক চিকিৎসক আজকাল মেডিক্যাল ক্যাডারের পরিবর্তে জেনারেল ক্যাডারে পরীক্ষা দিতেই বেশি আগ্রহী।’

স্বাস্থ্য ক্যাডারে এসে চাকরির শুরুতে চিকিৎসকদের অন্তত দুই বছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করতে হয় জানিয়ে মেডিক্যাল উত্তীর্ণ ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেখানে সরকারি কোয়ার্টারে ভাড়া দিয়ে থাকতে হয়, থাকে না গাড়ির সুবিধা। অথচ প্রশাসন বা পুলিশ ক্যাডারে গাড়ি তো বটেই, আরও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।’

আরও পড়ুন: ডা. জেনিকে ‘পাপিয়া’ বলা ওসির শাস্তি দাবি

পুলিশ হেডকোয়াটার্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন শহীদুল ইসলাম। তবে তার পড়াশোনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে। চীনের উহানের খুঞ্জি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে দেশে এসে ২৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে নড়াইলের একটি উপজেলায় মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২৫তম বিসিএসে পাশ করে যোগ দেন পুলিশ ক্যাডারে।

শহীদুল ইসলামের কাছে ডাক্তারি ‘একঘেয়েমি’ পেশা। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পেশায় একই রকম ধাচের মধ্যে থাকতে হয়, কিন্তু আমার মনে হতো পুলিশের পেশা তেমনটা নয়। এখানে ডাইভারসিটি বেশি, মেধা খাটানোর সুযোগ বেশি আর সুযোগ সুবিধার তো অভাব নাই।

‘আমার পরিবারে আরও কয়েকজন ডাক্তার আছেন। তাদের দেখেছি গতানুগতিক কাজ করেন। হাসপাতাল, রোগী আর পড়াশোনার মধ্যে মগ্ন থাকেন তারা। এর ফলে অনেক সময় আইডেন্টিটি সংকট হয়।’

পুলিশের চাকরি নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে আমি এমনটা অনুভব করি না। আমি মনে করি পুলিশ ক্যাডারে আসার সিদ্ধান্তটা আমার জন্য খুব ভালো ছিলো। তাছাড়া আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তারা পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্রীক চাকরিগুলোতে বেশি আগ্রহী হই। এর পেছনে নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা এমনকি সম্মান পাওয়ার ব্যাপারগুলো বেশি কাজ করে বলে আমার মনে হয়।’

এমবিবিএস পাস করে পুলিশে যোগ দেয়া মোহাম্মদ লোকমান পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে সম্প্রতি অবসরে গেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ ক্যাডারে চাকরি হলে ধারাবাহিক পদোন্নতি, ড্রাইভারসহ গাড়ি সুবিধা, সরকারি বাংলো, বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার সুযোগসহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়।

‘তাছাড়া আলাদা অফিস কক্ষ, ব্যক্তিগত সহকারী এবং সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে সম্মান তো আছেই।এসব কিছু বিবেচনা করেই চিকিৎসক হওয়ার চেয়ে এই ক্যাডারে আসাটা আমার কাছে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে।’

মেডিক্যালে পড়ে অন্য ক্যাডারে যাওয়ার প্রবণতা কেমন

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ক্যাডারের পরিবর্তে অন্য ক্যাডারে যাওয়ার অনেক উদাহরণ থাকলেও এর সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমীন ঈশিতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে নিউজবাংলা। তবে তিনি বলেন, ‘কে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে কোন ক্যাডারে আসলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ হলো সুপারিশ করা।’

বাংলাদেশ পুলিশের অফিসার্স ডিরেক্টরি ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে চাকরি পাওয়া ১১৪ জনের মধ্যে চার জন ছিলেন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী। ৩৬তম বিসিএসে এই সংখ্যা দুই।

শুধু পুলিশ ক্যাডার নয়, এর বাইরে অন্য ১৪টি সাধারণ ক্যাডারেও মেডিক্যাল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে।

এ ব্যাপারে আক্ষেপ রয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরীর। তিনি বলেন বলেন, ‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। কে পোশাকের দাপটের পেছনে ছুটবে, আর কে প্রশাসনিক ক্ষমতা পাওয়ার আশায় দৌড়াবে সেটা তো আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। বর্তমান জেনারেশন কম আলোর চেয়ে বেশি আলোর দিকে ছুটতে পছন্দ করে। তবে অনেক সময় কম আলোতে যে শান্তি বেশি, সেটা অনেকে বুঝতে পারে না। আমি শুধু বলব, পুলিশ-প্রশাসন ক্যাডারের চেয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারের মর্যাদা কম নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি মেডিক্যাল কলেজে প্রতি শিক্ষার্থীদের পেছনে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসক হিসেবে তৈরি করতে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের পর তিনি অন্য পেশায় চলে গেলে সেটি রাষ্ট্রের জন্য বিশাল ক্ষতি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৯ সালের হিসাব বলছে, দেশের সরকারি হাসপাতালে ২০ শতাংশের বেশি চিকিৎসক পদ খালি রয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি হিসাবে শূন্য পদের সংখ্যা অনেক বেশি।

আরও পড়ুন:
পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে চিকিৎসকদের
লকডাউনে এবার ডাক্তার-পুলিশ বিতর্কে তোলপাড়
সেই চিকিৎসকের মামলার টাকা ফিরিয়ে দিল পুলিশ
চিকিৎসক লাঞ্ছনা: পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে অন্য বর্ণনা
চেকপোস্টে চিকিৎসককে ‘কসাই’ বলার অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
The chief adviser greeted Khaleda Zias birthday

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।

বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
22 employees rewarded for playing a special role in tobacco free rail services

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

তামাকমুক্ত রেল পরিষেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মচারী পুরস্কৃত

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
About 5 of the countrys dispute Ali Imam Majumder

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি: আলী ইমাম মজুমদার

দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি। এটা কিন্তু খুব কমই প্রতিকার নিতে পারছি আমরা। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ফেনীতে অনুষ্ঠিত অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি ফেনী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

ফেনী জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো: পারভেজ হাসান বিপিএএ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল আমিন খান, ফেনী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরিন কান্তা, ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বৃহত্তর নোয়াখালীর ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সরোয়ার উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক প্রমূখ।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মন্তব্য

বিশেষ
Bangladesh is not yet fully ready for the passage of developing countries to developing countries Fisheries and Livestock Advisor

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে, কিন্তু এই পদক্ষেপটি আমরা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বাস্তবিক অর্থে,স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

উপদেষ্টা আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত "বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন"- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিসংখ্যান বহন করলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা গ্রহণের সময় আসবে, এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে তা অনুযায়ী নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জিএসপি সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং লাখ লাখ খামারি, বিশেষ করে গরীব মহিলারা যারা গরু লালন-পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখছেন, তাদের ক্ষতি হবে।

উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। কারণ, আমদানি করা মাংসের মাধ্যমে জুনোটিক রোগ প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, সাগরের সি উইড ও কুচিয়া রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি হ্রাস করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় আরো বক্তৃতা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মাসুদ, অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।

মন্তব্য

বিশেষ
Deal from Acting via Digital Information Secretary

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় থেকে অপতথ্যের মোকাবিলা করুন : তথ্য সচিব

তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও সক্রিয় হয়ে অপতথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতি, উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যের প্রচারে তথ্য অধিদপ্তর প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।

বুধবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে’ আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর।

তথ্য সচিব বলেন, সরকার যেসব জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সরকারের বার্তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন, তারাই প্রথম চালিকাশক্তি। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা সময়ের দাবী।

বর্তমানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে আপনাদেরই দক্ষ শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত প্রচার করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, শিক্ষিত ও দক্ষ। অপতথ্য ছড়ানো গোষ্ঠী ছোট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অশিক্ষিত বা সরকারের কাজ সম্পর্কে অবগত নয়। সে তুলনায় আপনারা অনেক বেশি যোগ্য।

তথ্য সচিব বলেন, নিউজ ও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। এজন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট, ছোট ভিডিও, লাইভ কভারেজ এবং সময়োপযোগী গল্প বলার কৌশল প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।

তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবা ফারজানা বলেন, আপনারা ইয়াং স্টার। আপনারা অবশ্যই পারবেন। প্রচার-প্রচারণার মান উন্নয়ন করুন। লেখার মান, বলার মান উন্নত করুন। প্রতিটি সংবাদ যেন সরকারের সাফল্যের জীবন্ত চিত্র হয়।

তথ্য সচিব আরও বলেন, সংবাদ শুধু নয়, তথ্য হচ্ছে বিশ্বাসের ভিত্তি। সত্যনিষ্ঠ খবর প্রচার করতে হবে। তথ্যের মাধ্যমে আস্থা গড়ে তুলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।

মন্তব্য

p
উপরে