× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
এ যেনো অচেনা এক সুনামগঞ্জ
google_news print-icon

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ

এ-যেন-অচেনা-এক-সুনামগঞ্জ
হেফাজত নেতা মামুনুলকে নিয়ে দেয়া ফেসবুক পোস্টের জেরে শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে চলে হামলা। ছবি: নিউজবাংলা
হাসন রাজা, রাধারমন, দুর্বিন শাহ, শাহ আব্দুল করিম- সুনামগঞ্জের এমন অসংখ্য সাধক গানে-কথায় জীবনভর অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবপ্রেমের কথা প্রচার করে গেছেন। আবার এই অঞ্চলে জন্ম নিয়ে বরুণ রায়, আবদুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো নেতারা বাম ও আওয়ামী ধারার রাজনীতিতে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অথচ এই সুনামগঞ্জ থেকেই এখন ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প।

বিস্তৃর্ণ হাওর, হাওরজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে ধান আর বর্ষায় মাছ, পাগল করা বাউল সুর আর প্রগতিশীল রাজনীতির জন্য খ্যাতি ছিল সুনামগঞ্জের। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে অচেনা এক সুনামগঞ্জকে।

হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করাই যেন অপরাধ এখানে। সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তার, মারধর, হেনস্তা করা হচ্ছে। বাড়িঘরে হামলা-হুমকি তো রয়েছেই। সাম্প্রতিক এ রকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জে। এমনকি একজন সমালোচনা করার কারণে পুরো গ্রামে তাণ্ডবও চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ সব সময় সমালোচনাকারীর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত করছে। তবে এতে করে তারা নিজেরাও রক্ষা পাচ্ছে না। থানাতেও ঘটেছে হামলার ঘটনা।

অসাম্প্রদায়িকতা ও সংস্কৃতিচর্চার জন্য বিখ্যাত সুনামগঞ্জে কেন একের পর এক এ রকম ঘটনা ঘটছে? কীভাবে উগ্রবাদী গোষ্ঠী শক্তিশালী হয়ে উঠল হাওরের এই সরল জনপদে?

স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক রাজনীতিবিদ, সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ হয় এ নিয়ে। প্রত্যেকেই বলছেন, বামধারার রাজনীতি দুর্বল হয়ে যাওয়া, ভোটের লোভে আওয়ামী লীগ নেতারা আদর্শচ্যুত হওয়া ও ভিন্ন আদর্শের লোকদের দলে ভেড়ানো, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা ও দুর্বল হয়ে পড়া এবং একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মকাণ্ড গত দুই দশকে বদলে দিয়েছে সুনামগঞ্জের চিত্র।

অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরও এখানে ভোটের মূল লড়াই হতো আওয়ামী লীগ আর বাম দলগুলোর মধ্যে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চার জন্য খ্যাতি ছিল এই অঞ্চলের। খ্যাতি ছিল বাউল ও সহজিয়া দর্শনের সাধকদের উর্বরভূমি হিসেবে।

হাসন রাজা, রাধারমন, দুর্বিন শাহ, শাহ আব্দুল করিম- সুনামগঞ্জের এমন অসংখ্য সাধক গানে-কথায় জীবনভর অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবপ্রেমের কথা প্রচার করে গেছেন। আবার এই অঞ্চলে জন্ম নিয়ে বরুণ রায়, আবদুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো নেতারা বাম ও আওয়ামী ধারার রাজনীতিতে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

অথচ এই সুনামগঞ্জ থেকেই এখন ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প।

একের পর এক ঘটনা

গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলামের একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক। পরদিন দিরাইয়ের পাশের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস নামের এক যুবক ফেসবুকে মামুনুল হকের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেন।

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ
ঝুমন দাসের ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে ভাঙচুর চালানো হয় ৮৭টি হিন্দুবাড়িতে

এ নিয়ে ওই দিনই শাল্লায় উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় লোকদের উসকে দেয় উগ্রবাদীরা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই রাতেই ঝুমন দাসকে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসী।

পরদিন ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সকালে ঝুমনের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় কয়েক হাজার লোক। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে মিছিল নিয়ে এসে তারা ভাঙচুর ও লুটপাট করে গ্রামের অন্তত ৮০টি বাড়িতে।

এ ঘটনার রেশ না কাটতেই রিসোর্ট-কাণ্ডের পর ৪ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নিয়ে সমালোচনা করায় তোপের মুখে পড়েন দিরাইয়ের এক স্কুলশিক্ষক। ফেসবুকে নয়, স্থানীয় একটি বাজারে চায়ের আড্ডায় মামুনুল হক ও মাদানীর সমালোচনা করেছিলেন স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসবি গোলাম মোস্তফা। এতেই ক্ষেপে যায় হেফাজত অনুসারীরা।

প্রথমে তর্কাতর্কি, পরে কয়েক শ লোক জড়ো করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল করে তারা। যথারীতি অভিযোগ আনা হয় ধর্ম অবমাননার। পরে ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রশাসন হাজির হয় ঘটনাস্থলে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চান স্কুলশিক্ষক।

তবে এতেও ক্ষান্ত হয়নি হেফাজত অনুসারীরা। তারা স্কুলশিক্ষকের পদচ্যুতির দাবি জানায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসানকেও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ফোন করে ওই শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিতে হয়।

মামুনুল হক যেদিন নারীসহ ধরা পড়লেন সোনারগাঁয়ে, সেদিনও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হেনস্তার শিকার হন যুবলীগের এক নেতা। মামুনুলের নারীসহ রিসোর্টে যাওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিপাকে পড়েন যুবলীগ নেতা এমাদ হোসেন জয়।

এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। পরদিন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। জয় ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জজ মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক।

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ
যুবলীগের স্থানীয় নেতা এমাদ হোসেন জয়

সর্বশেষ হেফাজতের সমালোচনা করে পোস্ট দিয়ে হেনস্তার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতা আফজাল খান। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়। হেফাজতকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার পর গত মঙ্গলবার তাকে ধর্মপাশার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করা হয়। তাৎক্ষণিক কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসে ও উত্তেজিত জনতার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।

এদিকে, গত শনিবার রাতে মামুনুল হককে আটক করা হয়েছে এমন খবরে ছাতকে মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। এই মিছিল থেকে ছাতক থানায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

এ রকম একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে। ফেসবুকে হেফাজত ও তাদের নেতাদের সমালোচনা করে পোস্ট দিলেই হামলা, হেনস্তা, গ্রেপ্তার ছাড়াও ফেসবুকে গালাগালি ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য।

প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

শাল্লার তাণ্ডবের পরই প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। আগের দিন উত্তেজনা জানার পরও নোয়াগাঁওয়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; সেই সুযোগে তাণ্ডব চালানো হয় পুরো গ্রামে।

পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এই অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গত মঙ্গলবার শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।

শাল্লায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সমালোচনা করায় আটক ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় পুলিশের বাদী হওয়া আইনবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবীরা।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও দিরাইয়ের ঘটনায়ও। হেফাজতের সমালোচনা করায় তাহিরপুরে যুবলীগ নেতাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে কেন হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসা ও ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হলো, এসব প্রশ্ন তুলে তার সমালোচনা করছেন অনেকেই।

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপসম্পাদক আফজাল খান

ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে হেনস্তার ঘটনায় থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বুধবার বদলি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা মনে করেন, হেফাজত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। প্রশাসনও এতে ভয় পায়। ফলে তাদের ব্যাপারে নমনীয় থাকে। এই নমনীয়তাকে কাজে লাগায় হেফাজত। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনে অনেকে তাদের অনুসারীও থাকতে পারে।

হেফাজতের সমালোচনা করলেই কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হয় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমানকে। তিনি অযথা কাউকে আটক বা হেনস্তা করা হচ্ছে না জানিয়ে বলেন, অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে অনেক ভূমিকা নিতে হয়। তবে যা কিছু হচ্ছে আইন মোতাবেকই হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাউকে ধরে আনা মানেই সে অপরাধী নয়। পুলিশের কাজ বিচার করা নয়। পুলিশ আটকের পর আদালতে পাঠায়। আদালত যদি মনে করে সে অপরাধী নয় তাহলে ছেড়ে দেয়।

তবে সাম্প্রতিক সুনামগঞ্জের ঘটনাগুলো প্রসঙ্গে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, যেসব ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুলিশ, আইনের বাইরে কেউ কিছু করতে পারবে না। করলে বিপদে পড়বে। এ ব্যাপারে সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে।

আওয়ামী লীগ-হেফাজত একাকার

১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যে সমাবেশটি করে হেফাজতে ইসলাম, সরাসরি এর সহযোগিতায় ছিলেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ দলীয় দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিত রায় ওই সমাবেশে মঞ্চে উঠে বক্তৃতাও করেছেন।

কেবল এই সভায়ই নয়, সম্প্রতি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সভার নামে বেশ কয়েকটি জমায়েত করে হেফাজতে ইসলাম। এতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। তার সবগুলোতেই অর্থ, জনবল, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে এবং অতিথি হয়ে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সুনামগঞ্জের তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও হেফাজত অনেকটা একাকার হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ দলটির অনেক নেতার। তারা নিজেদের গ্রুপ ভারী করতে জামায়াত-হেফাজতকে দলে ভেড়াচ্ছেন। আবার অনেক নেতা নিজেই হেফাজতের প্রতি ঝুঁকছেন বলে অভিযোগ আছে। এ

ছাড়া দলীয় গ্রুপিং ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে অনেকে হেফাজতকে ব্যবহার করে সুবিধা নেয়ার অভিযোগও আছে।

দিরাইয়ে সমাবেশের পর শাল্লায় হিন্দুপল্লিতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে এলাকায় চাউর আছে।

এ ছাড়া ধর্মপাশায় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খানকে হেনস্তার ঘটনায় করা মামলার আসামি জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (সদ্য বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলম ও তার ছেলে আল মুজাহিদ।

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ
হেফাজতের সমাবেশ মঞ্চে দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায় (বাম থেকে চতুর্থ)

মুজাহিদের নেতৃত্বেই স্থানীয়দের উসকে দিয়ে এই হেনস্তার ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন আফজাল। এ ঘটনায় আবুল হাশেম আলমকে বুধবার বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। একই দিনে তাকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক এ রকম সবগুলো ঘটনায়ই দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও হেফাজত নেতারা একাকার। সমাবেশ কিংবা হামলা- সবই মিলেমিশে করছেন তারা।

সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এম রশিদ আহমদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। জেলার আওয়ামী রাজনীতির এই অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ভোটের রাজনীতি করি। আদর্শ রাজনীতি থেকে সরে এসেছি। এতে প্রতিক্রিয়াশীলরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। একসময় সুনামগঞ্জের প্রগতিশীল নেতারা সারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন সেদিন বদলে গেছে। আমরাই দলে প্রতিক্রিয়াশীলদের জায়গা করে দিচ্ছি।’

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জগন্নাথপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তাও। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির অদূরদরদর্শিতার কারণে এমনটি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা মূল আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। দলে আদর্শবিরোধী অনেকে ঢুকছে। অনেক নেতার মাধ্যমে তারা ঢুকছে। দলীয় আদর্শ প্রচারের চেয়ে নেতারা গড্ডালিকায় গা ভাসান। আবার মুখে ধর্মের বুলি আওড়ে হেফাজতিরা আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয়দের সহজেই দলে ভিড়িয়ে নিতে পারে।’

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাইরুল কবির রুমেন বলেন, ‘সুনামগঞ্জ শান্তির শহর। সংস্কৃতির শহর। কিন্তু কিছু মৌলবাদী এ শহরের শান্তি নষ্ট করতে নানা রকম পাঁয়তারা করছে। এদের মধ্যে আমাদের দলের কিছু লোক তাদের সহযোগিতা করছে। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ থেকে কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং আমাদের মনিটরিং সেল এসব বিষয়ে নজরদারি রাখছে। এমন যাদেরই পাওয়া যাবে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

আছে উসকানি, গুজব

সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক সবগুলো ঘটনার পেছনেই উসকানি দিয়ে ও গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করার অভিযোগ রয়েছে।

এ যেন অচেনা এক সুনামগঞ্জ
শাল্লার ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের এসপি দাবি করেন, পুলিশ সেদিন নিষ্ক্রিয় ছিল না

শাল্লা, দিরাই, তাহিরপুর কিংবা ধর্মপাশায় ঘটা সাম্প্রতিক সবগুলো ঘটনায় দেখা গেছে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পর দ্রুততম সময়ে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে জড়ো হয়ে যায় হাজারও মানুষ। হেফাজতে ইসলামের সমালোচনাকে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা বলেও অপপ্রচার চালানো হয় এবং সমালোচনাকারীকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়।

সুনামগঞ্জের একটি থানার ওসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হেফাজতের নেতারা উসকানি দিয়ে ও গুজব ছড়িয়ে এমন পরিস্থিতির তৈরি করে তাতে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। ফলে অনেকের জানমাল রক্ষায় পুলিশ বাধ্য হয়ে সমালোচনাকারীকে ধরে নিয়ে আসে।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য খ্যাতি রয়েছে সুনামগঞ্জের। অসংখ্য বাউল ও লোকশিল্পীর জন্ম এ অঞ্চলে। বছরজুড়েই লেগে থাকত গান-নাচ-নাটকের উৎসব। তবে সাম্প্রতিক একদিকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হেফাজত ইসলামের বিভিন্ন কর্মসূচিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের সাংবাদিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী শামস শামীম বলেন, ‘সুনামগঞ্জে আগে বছরজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা হতো। ছোটবেলা পথেঘাটে মেলা, বাউল গানের আসর, ওরস দেখেছি। এগুলোতে সব ধর্মের মানুষ যেত। সব মানুষের সম্মেলনের কথা বলা হতো। এখন এগুলো বন্ধ। এখন এসব আয়োজন করতে গেলেই বাধা আসে। ধর্মান্ধরা বাধা দেয়। প্রশাসন বাধা দেয়। এখন সব বন্ধ করে কেবল ওয়াজ মাহফিল হয়। আর এসব মাহফিলে ধর্মচর্চার চেয়ে উগ্রতা ও উসকানিমূলক কথাই বেশি হয়। এ জন্য প্রশাসন ও সরকার দায়ী।’

সুনামগঞ্জের বাউলশিল্পী লাল শাহ। শাল্লার তাণ্ডবের পর সেখানে ছুটে গিয়েছেন তিনি। লাল শাহ বলেন, ‘আমি যদি মানুষই হতে পারি না, তাহলে মুসলমান হব কীভাবে?’

লাল শাহ বলেন, ‘আমরা এখন মনে করছি নামাজ পড়লে, রোজা রাখলেই বেহেশতে চলে যাব। কিন্তু মানুষ চিনলাম না। বিভিন্ন জনকে ফতোয়া দিলাম। এসব করে তো হবে না। আগে মানুষ হতে হবে। মানুষ চিনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ কেবল ভুল চিন্তা করছে। আমাকে বেহেশতে নেবে আমার সৎকর্ম। আমার দেহের ভেতরে যে প্রকৃত মানুষ আছে সে-ই মানুষ।’

আরও পড়ুন:
ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের কাজ নয়: বাবুনগরী
হেফাজতের হাটহাজারী তাণ্ডব: ১৩ দিন পর গ্রেপ্তার ৪
নারায়ণগঞ্জে তাণ্ডব: গ্রেপ্তার আরও ৪ হেফাজত কর্মী
জাসদকে হেফাজতের সতর্কতা
মুন্সিগঞ্জে হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে ১৪৪ ধারা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
BNP chairperson expressed his gratitude to the chief adviser and countrymen Dr Zahid

প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন : ডা. জাহিদ

প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন : ডা. জাহিদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অনেকটাই সুস্থ এবং মানসিকভাবেও তিনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল)। তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি এই ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটাই সুস্থ। মানসিকভাবেও উনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছেন। তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লন্ডনে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

তবে ১৪ ঘণ্টার জার্নি এবং দীর্ঘ সময়ের এ জার্নির কারণে উনি শারীরিকভাবে একটু অবসন্ন। তারপরও মানসিক ভাবে উনার অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল আছে বলেও ডা. জাহিদ উল্লেখ করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার এই সুস্থতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাহিদ।

ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের জন্য কাতারের ‘রাজকীয় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ‘বিনাভাড়ায়’ দেয়ার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং কাতার কর্তৃপক্ষের প্রতি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
In the Cyber ​​Protection Ordinance the previous five cases will also be canceled Asif Nazrul

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আসিফ নজরুল

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আসিফ নজরুল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: বাসস

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে আগের আইনের ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। যা ছিল কুখ্যাত ধারা, এসব ধারাতেই ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। মামলাগুলোও এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া উপস্থাপন করা হয়। কিছু সংশোধন শেষে এই সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ হতে পারে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল জানান, এছাড়া কিছু কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে দুটি অপরাধ রাখা হয়েছে, একটি হচ্ছে নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতনমূলক কন্টেন্ট প্রকাশ, হুমকি দেওয়া। আরেকটি হচ্ছে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো, যেই ঘৃণা ছড়ানোর মধ্যে দিয়ে সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। ধর্মীয় ঘৃণাকে কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়, কেউ কাউকে হয়রানি করতে না পারে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই প্রথমবারের বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যদি কোনও সাইবার অপরাধ করা হয়, সেটাকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ওই দুটি ক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে মামলা হলে এটা আমলি আদালতে যাবে, যাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন— এই মামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই, তাহলে প্রি ট্রায়াল স্টেজে তিনি মামলা বাতিল করে দিতে পারবেন। অর্থাৎ চার্জশিটের জন্য অপেক্ষা করা লাগবে না। যদি দেখেন সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই মামলা বাতিল করে দিতে পারবেন।

আসিফ নজরুল বলেন, বিলুপ্ত করা বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় শহীদ বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত বিদ্বেষ বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার যে দণ্ড দেওয়ার বিধান সেটা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই বিধানে প্রচুর হয়রানিমূলক মামলা হতো। মানহানিকর তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বিধান যেটা এতে প্রচুর মামলা হতো, অনেক সাংবাদিক এই মামলার ভুক্তভোগী হয়েছেন, এই ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। আরেকটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে— এই ধরনের কোনও কন্টেন্ট বা কথাবার্তা বলায় প্রচুর মামলা হতো, এটাও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। আক্রমণাত্মক বা ভীতিকর তথ্য উপাত্ত প্রকাশ এটাও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, কোরবানি ঈদের ছুটি ৫-১০ জুন আগে থেকেই ঘোষণা করা ছিল। ১১ এবং ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করে ১৭ মে এবং ২৪ মে এই দুই দিন সরকারি ও আধা সরকারি কর্মচারীরা কাজ করবেন। এই দুই দিন ছুটি ঘোষণা করায় ঈদুল আজহার ছুটি হবে ১০ দিন। এই অনুযায়ী ব্যাংক ও প্রাইভেট কোম্পানি তাদের মতো করে ছুটি ঘোষণা করবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Engineers must be involved with the progress of technology knowledge Chief Advisor

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি জ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

আগামীকাল ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ এই আদর্শকে সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী সমাজের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি কর্তৃত্ববাদী দু:শাসনের অবসান হয়েছে। বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়ন একটি জাতির উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে। তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান ও আবিষ্কার। প্রকৌশলীগণ যার মুখ্য কারিগর।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গঠনেও প্রকৌশলীদের কার্যকর ভূমিকা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। প্রকৌশলীগণ দেশপ্রেমের অনির্বাণ চেতনাকে ধারণ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।’

প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Chinmay the leader of the ISKCON arrested in three more cases

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধাসহ চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে শুনানি হয় ও আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন। আদালত শুনানি শেষে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Jarridona canal in Kamlnagar

কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের
কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

ময়লা-আবর্জনা আর অবৈধ দখলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খালটি। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতাকে দুষছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার অংশে জারিরদোনা খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বহু দোকানপাট ও বহুতল ভবন। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খালের পানি বাধাগ্রস্ত করে ইচ্ছামতো সরু পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অবৈধ দোকানপাট। এ ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাজারের আবর্জনা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালটি ভর্তি করে ফেলেছেন। যাতে করে পরে সময় সুযোগ বুঝে ওই স্থান দখলে নেওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চরফলকন, চরলরেন্স, হাজিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিকাজ এ খালের পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সংকটে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনজনিত সমস্যায় সয়াবিন, ধান, মরিচ, বাদাম ও সবজীসহ বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমান এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলছে। খালটি দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের। বন্যার পানি না নামার কারণ হিসেবে খাল দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হাজিরহাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর সেলিম বলেন, জারিরদোনা শাখা খালটির সংযোগ সরাসরি মেঘনা নদীর সঙ্গে। আশির দশক পর্যন্ত এ খালটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবেই বিবেচিত ছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ওই সময়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাস-ট্রাক যাতায়াত করা ছিল দুর্সাধ্য। এমনকি ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এ অঞ্চলের সড়ক পথই ছিল না।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮০ দখলবাজের কবজা থেকে খালটি উদ্ধার করতে উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তারা খাল উদ্ধারে গড়িমসি করে সময় পার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে, পিএস জরিপে হাজিরহাট বাজার অংশে খালের প্রশস্ততা ছিল গড়ে প্রায় ৩২ ফুট। বর্তমান আরএস জরিপে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ ফুটে। কিন্তু কিছু ইমারত (ভবন) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই সব অংশে খালের প্রশস্ততা বর্তমানে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি নেই।

হাজিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে খালটি সংস্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। পুরো খাল দখল করে যারা ইমারত তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, ‘জারিরদোনা খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে আদেশ হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ জামান বলেন, খালটি সংস্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Eid ul Azha 7 Day leave Press Secretary

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

পাশাপাশি ১৭ ও ২৪ মে দুটি শনিবার অফিস খোলা থাকবে বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

গত ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদে টানা পাঁচদিন ছুটি আগেই ঘোষণা করে সরকার। তার সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি বাড়ানো হয়। ওই ছুটি শুরুর দুদিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। মাঝে ২৭ মার্চ একদিন খোলা ছিল অফিস।

চলতি মে মাসে এরইমধ্যে টানা তিন দিন ছুটি উপভোগ করছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। দ্বিতীয় দফায় আরও একবার তিন দিনের ছুটি পেতে চলেছেন তারা। আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এরআগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে তাদের। অর্থাৎ এই মাসে দুদফায় তিন দিন করে ছুটি উপভোগ করবেন তারা।

মন্তব্য

বিশেষ
Up Bangladesh political party is not a platform Junaid

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ আলী আহসান জুনায়েদ

আগামী ৯ মে (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ইউপিবি বা আপ বাংলাদেশ। তবে এটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।

গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

তবে এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে আপ বাংলাদেশ।

ওই পোস্টে জুনায়েদ বলেন, আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ)। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, দল নয়।

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করাই হবে এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে আলী আহসান জুনায়েদ অন্যতম। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে একটি পদ পাওয়ার গুঞ্জন ছিল। পরে এক পোস্টে তিনি ওই দলে যাচ্ছেন না বলে জানান।

আজকের পোস্টে জুনায়েদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ, সুবিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল করে সাম্প্রদায়িক বন্ধন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়ায় কাজ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই প্ল্যাটফরম কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার পরামর্শ, দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ৯ মে শহীদ মিনারে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।’

মন্তব্য

p
উপরে