× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
google_news print-icon

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ

যে-গ্রামে-মুজিবের-শুরু-ও-শেষ
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
টুঙ্গিপাড়ায় দুরন্ত শৈশব আর কৈশোর কেটেছে জাতির পিতার। ছায়াঢাকা এই গ্রাম ও তার মানুষজন গড়ে দিয়েছে তার মানসগঠন। রাজনৈতিক জীবনে এই গ্রামেই ফিরে ফিরে এসেছেন তিনি। চিরশয্যায় শায়িত হয়েছেন এখানেই।

চল্লিশের দশকের শেষ দিকে তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে যেতেন, তখন তার এ যাত্রার একমাত্র বাহন ছিল স্টিমার।

টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদীপাড়ের পাটগাতি লঞ্চঘাট অথবা বাঘিয়ার নদীর পাড়ের লঞ্চঘাটে নামতেন তিনি। তারপর পায়ে হেঁটে বাড়িতে যেতেন। আবার যখন ঢাকায় ফিরতেন, তখন ওই ঘাট দুটির যেকোনো একটি দিয়ে তিনি স্টিমার বা লঞ্চে উঠতেন।

লঞ্চঘাট থেকে বাড়ি যেতে যেতে পথের দুপাশে যেসব ছায়াঢাকা গ্রাম পড়ত, সেগুলো সবই শেখ মুজিবের শৈশবের দুরন্তপনার স্মৃতিবিজড়িত। বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে তার স্মৃতিচারণামূলক বই শেখ মুজিব আমার পিতা য় লেখেন: ‘আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠোপথের ধুলাবালি মেখে। বর্ষার কাদাপানিতে ভিজে। বাবুই পাখি বাসা কেমন করে গড়ে তোলে, মাছরাঙা কীভাবে ডুব দিয়ে মাছ ধরে, কোথায় দোয়েল পাখির বাসা, দোয়েল পাখির সুমধুর সুর আমার আব্বাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত। আর তাই গ্রামের ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে করে মাঠেঘাটে ঘুরে প্রকৃতির সাথে মিশে বেড়াতে তার ভালো লাগত।’

নারিকেল, সুপারি, বনবীথির ছায়াঘেরা মধুমতী নদীর তীরঘেঁষা সবুজ-শ্যামল গ্রাম টুঙ্গিপাড়া আর বঙ্গবন্ধু মিলেমিশে আছে। ব্রিটিশ আমলে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের এই গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। এখানেই শেষশয্যায় শুয়ে আছেন তিনি।

শেখ মুজিব বাঙালির জাতির পিতা হলেও নিজ গ্রামের মানুষের কাছে তিনি সব সময় ‘মুজিবুর’- বলছিলেন টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতেন। ঢাকা থেকে যখন গ্রামের বাড়িতে যেতেন, মিশে যেতেন গ্রামের প্রকৃতি ও গ্রামীণ খেলাধুলার সাথে। বঙ্গবন্ধু বেড়ে ওঠেন টুঙ্গিপাড়ার গ্রামীণ জীবনপ্রবাহের মধ্যে।’

শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বাড়ির পিছনেই বয়ে যাওয়া খালের পাড়ে হিজলগাছের ছায়াতলে তিনি গ্রামের লোকজনের সাথে বসে আড্ডা দিতেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতেন।’

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
এই হিজলগাছের নিচে বসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু

সেই হিজলগাছটি আজও খালপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে। সেই পাটগাতি স্টিমার ঘাট ও টুঙ্গিপাড়া ঘাট এখন আরও ব্যস্ত দুটি নৌবন্দর। এগুলোকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ চলছে।

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
পাটগাতি লঞ্চঘাট

গৃহশিক্ষা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভর্তি হয়েছিলেন তাদেরই পূর্বপুরুষের গড়া প্রতিষ্ঠান জিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বর্ষাকালে স্কুলে যাবার সময় নৌকাডুবি হলে শেখ মুজিব পড়ে যান খালের পানিতে। এরপর বঙ্গবন্ধুর দাদি তার গোটা বংশের আদরের দুলালকে আর ওই স্কুলে যেতে দেননি।

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
জিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু বঙ্গবন্ধুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা হয় বাবার কর্মস্থল গোপালগঞ্জ শহরের মথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে। বঙ্গবন্ধুর সে সময়ের কথা উল্লেখ করে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মুজিব যখন নবম শ্রেণির ছাত্র, সে সময় ছাত্রদের উদ্দেশে এক ভাষণ দেবার সময় তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এটিই ছিল তার জীবনের প্রথম গ্রেপ্তার ও হাজতবাস। পরে ছাত্রদের চাপের মুখে পুলিশ শেখ মুজিবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।’

গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। সেখান থেকে আইএ পড়তে চলে যান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে। টুঙ্গিপাড়া থেকে তার প্রথম দীর্ঘ বিচ্ছেদ। সাতচল্লিশে দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র হিসেবে যোগ দেন। পূর্ব পাকিস্তানের যুবনেতা হিসেবে তার উত্থান ঘটতে থাকে এ সময়। তখনও মাঝে মাঝেই তিনি টুঙ্গিপাড়ায় চলে আসতেন।

শেখ মুজিবের মানসগঠনে তার শিক্ষকদের অবদানও প্রভাব ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের কাছে টেনেছেন ভক্তি-শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায়।

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার খেলার মাঠ

টুঙ্গিপাড়া ২৯ নং জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিবরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এই স্কুলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত।

জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত সেই স্কুলে আজকের ছোট শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধুকে। গর্ববোধ করে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তারা গড়ে তুলতে চায় নিজেদের।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখ বললেন, ‘স্বদেশি আন্দোলন তখন তুঙ্গে। ইংরেজদের নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে মানুষ সংগঠিত হচ্ছে। নিজের অবস্থান থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেও। কারণ গ্রামের মানুষ দুবেলা খেয়ে থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিল। মুজিব তখন কেবল শৈশব থেকে কৈশোরে পা রেখেছেন। বাবা ও মা তাকে খোকা বলে ডাকতেন। তবে তারা বুঝতেন খোকা বড় হয়ে বড় কিছু হবে।’

১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাসের পর পুরোদমে রাজনীতি শুরু করেন শেখ মুজিব। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘সভা করি, বক্তৃতা করি, খেলার দিকে আর নজর নাই। শুধু মুসলীম লীগ আর ছাত্রলীগ।’

দিনে দিনে শেখ মুজিব বড় নেতা হতে শুরু করলেন। তবে তার জীবনধারার সঙ্গে টুঙ্গিপাড়া গ্রাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেছে। তার রাজনৈতিক জীবনের জন্য এই গ্রাম্য পরিবেশ বেশ সহায়ক হয় বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।

বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ-তিতিক্ষাকে চির অম্লান করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্স। লাল সিরামিক ইট আর সাদা-কালো মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত এই সৌধের কারুকার্যে ফুটে উঠেছে বেদনার চিহ্ন।

যে গ্রামে মুজিবের শুরু ও শেষ
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ

বাংলাদেশের অভ্যুদয় আর স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে জানার সুযোগ করে দিতে টুঙ্গিপাড়া সমাধি কমপ্লেক্সে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পাঠাগার।

এ পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান যোগেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, আধুনিক সুযোগসংবলিত এই লাইব্রেরিতে ১০ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৮ হাজার বইয়ের এক বিশাল সমাহার। কমপ্লেক্সে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সপ্তাহে সাত দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় পাঠাগার।

টুঙ্গিপাড়া থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবের। ৫৫ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন শেষে এখানকার মাটিতেই ফিরে এসেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে শাহাদতবরণ করার পর পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

আরও পড়ুন:
মঞ্চ প্রস্তুত, উদযাপনের অপেক্ষা
গিনেস বুকে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র
বিশ্বের সব শিশু নিয়েই চিন্তা করেছেন বঙ্গবন্ধু: প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে উড়বে জাতীয় পতাকা
বঙ্গবন্ধুকে চ্যাম্পিয়ন বললেন বান কি মুন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Mothers press conference against two boys in Joypurhat

জয়পুরহাটে দুই ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটে দুই ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
জয়পুরহাটে দুই ছেলে সন্তানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা। জয়পুরহাট শহরের চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম ও তার ছোট ভাই মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে মায়ের বৈধ জমি আত্মসাৎ, নির্যাতন ও নানা রকম হুমকি ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মেহেরুন নেছা।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী ভুক্তভোগী মেহেরুন নেছা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার তিন ছেলে চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম, মারুফ হোসেন মাসুদ রানা ও এক মেয়ে রিনা পারভীন। আমার স্বামীর মৃত্যুর পূর্বে ভবিষতের কথা চিন্তা করে ও মেয়ে রিনাকে পিতার অছিয়ত হিসেবে আমাকে ৩২ শতাংশ জমি হেবা রেজিষ্ট্রেরী দলিল মুলে লিখে দেন। উক্ত সম্পত্তি পরবর্তীতে আমার নামে অনলাইন খারিজ করা হয়। যার ডিসিআর নং- ২৫৩৮৪৭০২৪০৮০০৭, খতিয়ান-৭০৩, হোল্ডিং নম্বর- ১৮৪, জমির দাগ নং- ১৩৯২ ও ১৩৯৪। সেই জমি জোর পূর্বক দুই ছেলে চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম ও মারুফ হোসেন দখল করে আসছে। ওই জমি চাইতে গেলে মা মেহেরুন নেছা, মেঝো ছেলে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম, নাতনি মুন্নি ও তার জামাই ফজলে রাব্বিসহ তাদের উপর মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, যে কোন সময় তাদেরকে হত্যা সহ বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। বাড়িতে ঠিকমত থাকতেও পারছিনা, চরম আতঙ্কের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি আমিসহ আমার মেঝো ছেলে মাসুদ রানার পরিবার। এ অবস্থায় বৈধ জমি উদ্ধারসহ নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতা চান মেহেরুন নেছা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগীর মেঝো ছেলে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম, নাতনি মরিয়ন নেছা মুন্নি, নাতি জামাই ফজলে রাব্বী, ভাতিজা শাহীন ও এলাকাবাসী এনায়েত আলী ও মুনির হোসেন খান সাজু।

মন্তব্য

বিশেষ
The unique biography of the Prophet peace be upon him can ensure peace and welfare in the world Chief Advisor

মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেওয়া আজ শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন উল্লেখ করে এ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কুরআনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে।’

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি এই কামনা করে তিনি বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরো সুসংহত হোক। মহানবী (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক—এ কামনা করি। আমিন।’

মন্তব্য

বিশেষ
Bus Microbus clash in Kaukhali

কাউখালীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আহত ৫

কাউখালীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে  আহত ৫
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাস এবং রাঙামাটিগামী একটি মাইক্রোবাসের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাসের যাত্রীরা।
আহতদের মধ্যে স্বর্ণটিলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, তাঁর সন্তান মুহাম্মদ ইলিয়াস, মুহাম্মদ লিটন ও মাইক্রোবাস চালক মো. সেলিমের পরিচয় জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, আহতদের মধ্যে চালক মো. সেলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে রাউজান জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Eid Miladunnabi d held a procession in the capital in the capital

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

১২ রবিউল আউয়াল ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণ হতে আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে লাখো নবীপ্রেমী সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে জাঁক-জমকভাবে জশনে জুলুস র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

শনিবার(৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিমদিক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্তর, শিক্ষা ভবনূ? ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিন করে আবার পশ্চিম গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ সুফিবাদী জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এর ১৫০০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ও মানুষের মধ্যে ছিল ব্যপক উচ্ছ্বাসও উদ্ধিপনা।

শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বড় অক্ষরে লেখা ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীদের হাতে কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। তারা বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে রাজধানীর রাস্তাঘাট মুখরিত করে তোলেন। চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে নারায়ে তাকবির ও নারায়ে রিসালতের স্লোগান। অংশগ্রহনকারীদের গায়ে ছিলো সাদা টিশার্ট মাথায় সাদা ক্যাপ।শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে নারীদের ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএসপি’র চেয়ারম্যান শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহানবী (দ.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

রাসূলুল্লাহ (দ.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার দীক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবী জুড়ে চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।

বিএসপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের উচিত ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর পবিত্র বার্তা হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা প্রয়োগ করা। তবেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।

মন্তব্য

বিশেষ
A child was accused of drowning a child in Kasampur in Satkhira

সাতক্ষীরার কাশেমপুরে এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ

সাতক্ষীরার কাশেমপুরে এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ

সাতক্ষীরা পারিবারিক বিরোধের জেরে মোরসালিন নামের ১১ বছরের এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে । এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।এছাড়া মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শুক্রবার পৌনে একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল মাজেদের পুকুরে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোরসালিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক রাজু আহমেদের ছেলে ও কাশেমপুর সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

আর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া মাহফুজুর রহমান শাওন একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।

নির্মাণ শ্রমিক রাজু আহমেদ জানান, প্রতিবেশী আবু সাঈদের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। আবু সাঈদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকেসহ গ্রামের বহু নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়ে হয়রানি করেছে।আজকের তুচ্ছ একটি ঘটনায় তার ছেলে ও স্ত্রী দুজনে মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। ‘’

অভিযুক্ত শাওনের দাদী আলেমা খাতুন জানান, ‘‘ আমার ছেলে এবং ছেলে বউ আমাদের স্বামী স্ত্রীকে খুব নির্যাতন করে। তাদের থেকে আমরা আলাদা থাকি। শুক্রবার সকালে বাড়ির লেবু গাছ থেকে দুটি লেবু প্রতিবেশী রাজুর স্ত্রী রেহানার কাছে বিক্রয় করি। এতে আমার ছেলের বউ নাজমা এবং পোতাছেলে শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে রাজুর ছেলেকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলে ‘’

হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত মোরসালিনের মা রেহানা খাতুন জানান,‘‘ আমি শাওনের দাদির কাছ থেকে দুটো লেবু কিনেছি। এতে শাওন ও তার মা নাজমা খাতুন আমাকে প্রচুর গালিগালাজ করেছে। এর ঘন্টা দুই পরে আমার ছেলে মোরসালিন পুকুরে গোসল করতে গেলে শাওন ও তার মা তাকে চুবিয়ে মেরে ফেলেছে।’’

স্থানীয় অধিবাসি শহিদুল ইসলাম জানান, ‘‘ শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর ক্ষুদ্র জনতা ঘাতক মাহফুজুর রহমান শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’’

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হাত থেকে শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে শনিবার । এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।

মন্তব্য

বিশেষ
In the wake of the dispute over the land the young man was stabbed to death in front of the police station 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে সালিশি দরবারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মজনু মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চায়ের স্টলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মজনু মিয়া উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল ক্ষিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি একজন- মুদি দোকানি।

পুলিশ জানায়,জয়কা এলাকার তোতা মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেনদরবার হয়।

সম্প্রতি ইসলাম উদ্দিনের লোকজন প্রতি পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম এলাকার গণ্যমানদের নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন।

শুক্রবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চা-স্টলে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ দরবার বসে। সালিশ চলাকালে থানার সামনে দুপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মজনু মিয়া (৩০)। তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ কথা বলতে রাজি হননি।

মন্তব্য

বিশেষ
Today is the 5th death anniversary of Emperor Alauddin Khan

আজ সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ, শ্রদ্ধেয় সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৭২ সালের এই দিনে ভারতের মাইহারে পরলোকগমন করেন।

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া) নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সাবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ এবং মাতার নাম সুন্দরী বেগম। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর স্ত্রীর নাম মদনী বিবি। তাঁদের এক পুত্র (বিশ্ববিখ্যাত সরোদ বাদক আলী আকবর খাঁ) ও দুই কন্যা (সরিজা ও রৌশন আরা/অন্নপূর্ণা) ছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তাঁর। মাত্র আট বছর বয়সে মায়ের অসুস্থতার অজুহাতে ১২ টাকা নিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সেখানে ‘মনমোহন দেব’ নামে পরিচিত হয়ে ওস্তাদ নুলো বাবুর কাছ থেকে সংগীত শিক্ষার সূচনা করেন। সংগীতের প্রতি একাগ্রতা এতটাই প্রবল ছিল যে, তিনি এমনকি নিজের বিবাহের রাতেও স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতায় পালিয়ে যান।

তিনি পরবর্তী জীবনে ওস্তাদ ওয়াজির খাঁর কাছে বীণা শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ বছরের দীর্ঘ সংগীত শিক্ষা পর্ব শেষ করেন। সংগীত জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি কলকাতা, লাহোর, মাইহারসহ নানা জায়গায় সংগীত চর্চা ও শিক্ষাদান করেছেন। ১৯৫৪ সালে তিনি শেষবারের মতো জন্মস্থান শিবপুরে আসেন এবং মায়ের ইচ্ছায় একটি পুকুর খনন ও একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন।

সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের দ্রৌপদী ঘরানার প্রবর্তক। তিনি সংগীতকে রাজ দরবার থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে গণমুখী করে তোলেন। জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতায় কলকাতার সর্বভারতীয় সংগীতানুষ্ঠানে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে বিশ্বভ্রমণে বের হলে লন্ডনে তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে ব্রিটেনের রানী তাঁকে “সুর সম্রাট” উপাধিতে ভূষিত করেন।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য রাগসমূহ:
মদিনা মঞ্জুরী, শোভাবতী, ধবলশ্রী, ভুবনেশ্বর, দুর্গেশ্বরী, হেমন্ত, উমাবতী, প্রভাতী, হেম বেহাগ, নাগার্জুন প্রভৃতি।

তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি লাভ করেন:
পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দেশিকোত্তম, ডক্টরেট ডিগ্রি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপসহ বহু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মাননা। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা কমিশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে