× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
চার স্তরে গ্যাস তেলের স্তরে পৌঁছাতে পারেনি রিগ
google_news print-icon

চার স্তরে গ্যাস, তেলের স্তরে পৌঁছাতে পারেনি রিগ

চার-স্তরে-গ্যাস-তেলের-স্তরে-পৌঁছাতে-পারেনি-রিগ
হরিপুর (সিলেট) ৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস তোলা শুরু। যে স্তরে তেল থাকার অনুমান ছিল, সেই স্তরে ঢোকার আগে রিগটি আটকে যায়। ফলে সেটি বাদ দিয়ে ওপরের চারটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়েছে।

সিলেটের হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের চারটি স্তরে গ্যাসের অবস্থান চিহ্নিত করেছে বাপেক্স। এর মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরটি (১ হাজার ৯৯৮ মিটার গভীরে) থেকে গত ৪ জানুয়ারি গ্যাস উঠতে শুরু করে। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে কূপটির ফ্লেয়ার লাইনে উঠে আসা গ্যাসে আগুনের শিখা জ্বালিয়ে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়।

বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে কূপটির ২ হাজার ৭২ থেকে ২ হাজার ৯৪ মিটার গভীরতায় তেল আছে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু খননকালে ওই স্তরে পৌঁছাতে পারেনি বাপেক্সের খননযন্ত্র (রিগ)।

২ হাজার ২৫ মিটারে রিগটি আটকে যায়। ফলে সম্ভাব্য তেলের স্তরটি বাদ দিয়ে এর ওপরে চিহ্নিত চারটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া হিসেবে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচালনা করে পেট্রোবাংলার অধীন অন্যতম কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এসজিএফএলের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বর্তমানে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ্‌র তত্ত্বাবধানে কূপটির খননকাজ শুরু হয়।

তিনি বলেন, কূপটির যে স্তর থেকে উঠে আসা গ্যাসে শিখা জ্বালানো হয়েছে, তার উপরের আরও তিনটি স্তরের অন্তত একটি রয়েছে অনেক সমৃদ্ধ। সবগুলো স্তরে ডিএসটি করার পর সেখানকার সম্ভাব্য মজুত নির্ধারণ এবং বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হবে।

দেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক এই গ্যাসক্ষেত্রটির ৯ নম্বর কূপে গত ২ অক্টোবর খননকাজ শুরু করে পেট্রোবাংলার অধীন আরেকটি কোম্পানি বাপেক্স। বাপেক্সের করা ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের ভিত্তিতেই কূপটি খননের স্থান ও গভীরতা নির্ধারণ করা হয়।

এসজিএফএল সূত্র জানায়, ভূকম্পন জরিপের ফলের ভিত্তিতে এই কূপে তেল পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। কূপটি খনন করার কথা ছিল ২ হাজার ১০০ মিটার গভীর। কিন্তু ২০২৫ মিটার পর্যন্ত খনন করার পর ড্রিলিং পাইপ আটকে যায়, যা প্রচলিত কোনো পদ্ধতিতেই ছাড়ানো যায়নি। ভূতাত্ত্বিক জটিলতা এবং খননকাজ পরিচালনায় ত্রুটির কারণে এটা ঘটে থাকতে পারে।

সূত্র জানায়, এই অবস্থায় করণীয় নির্ধারণের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞসহ সব পক্ষ এক সভায় মিলিত হয়ে সামগ্রিক বিষয় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, ড্রিলিং পাইপ যেখানে আটকে গেছে সেখানেই পাইপটি কেটে সিমেন্টিং করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কূপটির খননকাজ সেখানেই শেষ করা হবে। এরপর ২০২৫ মিটারের মধ্যে চিহ্নিত চারটি স্তরে ডিএসটি সম্পন্ন করে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।

হরিপুর ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত এ দেশের প্রথম গ্যাস ক্ষেত্র। ১৯৬০ সালে ক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৪০ লাখ ঘনফুট করে গ্যাস ছাতক সিমেন্ট কারখানায় সরবরাহ শুরু করা হয়।

এ দেশে শিল্পে গ্যাস ব্যবহারও সেই প্রথম। সে ছিল এক নতুন যুগের সূচনা। এরপর ১৯৬১ সালে এই ক্ষেত্রের আরেকটি কূপ থেকে ৩০ মাইল দীর্ঘ ও ৮ ফুট ব্যাসের পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে মোট ছয়টি কূপ খনন করা হয়। তবে ’৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সময় এর দুটি কূপ চালু ছিল।

হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রটি আরও যে কারণে ঐতিহাসিক তা হলো এই ক্ষেত্রেই প্রথম ব্লো-আউট (কূপ খননকালীন বিস্ফোরণ) হয়। আবার এটিই দেশের প্রথম এবং একমাত্র তেলক্ষেত্র। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬ সালে হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রে ৭ নম্বর কূপ খনন করা হয়। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ৭ নম্বর কূপে তেল পাওয়া যায়।

প্রায় ৭ বছরে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ ব্যারেল তেল উত্তোলনের পর ১৯৯৪ সালের ১৪ জুলাই কূপটিতে তেলের চাপ (ওয়েলহেড প্রেশার) প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গেলে তেলের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূগর্ভে তেলের সঙ্গে মোম জাতীয় একটি পদার্থ (ওয়াক্স) থাকে। তেল উত্তোলনের সময় ওই ওয়াক্স কূপের পাইপের গায়ে জমতে থাকে, যাতে তেলের প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। তাই কূপে তেলের প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য নিয়মিত ওই ওয়াক্স পরিষ্কার করতে হয়।

হরিপুর ৭ নম্বর কূপে তা করা হয়নি। সে কারণে ওয়েলহেড প্রেশার কমে গিয়ে তেলের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৮৯ সালে ক্ষেত্রটিতে ৮ নম্বর কূপ খনন করা হয়। সেই কূপেও তেল পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পাওয়া যায় গ্যাস। এরপর বাপেক্স ক্ষেত্রটিতে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালায়। তার ভিত্তিতে ৯ নম্বর কূপ খনন করা হয়।

আরও পড়ুন:
হরিপুরে চার স্তরে গ্যাসের সন্ধান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The price of vegetables is a little while the price of another product is up
বাজারে উত্তাপ কমছেই না

সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্য পণ্যের দাম চড়া

সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্য পণ্যের দাম চড়া

অবশেষে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমলেও এখনো স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। কারণ বেশিরভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। এর সঙ্গে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের মাছ। বিশেষ করে ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। শুধু কিছুটা স্বস্তি এসেছে ডিমের বাজারে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমেছে। কিন্তু ক্রেতাদের ভাষ্য, সবজির দাম এখনো বেশি। বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৪০-১৬০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৭০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০-২০০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৪০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৭০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০-৫০ টাকা, এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা করে।

গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ভারতীয় টমেটোর দাম ২০-৩০ টাকা, চায়না গাজরের দাম ২০ টাকা, লম্বা বেগুনের দাম ২০ টাকা, কালো গোল বেগুনের দাম ১০ টাকা, দেশি শসার দাম ২০ টাকা, করলার দাম ২০ টাকা, কাঁকরোলের দাম ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের দাম ২০ টাকা, চিচিঙ্গার দাম ১০ টাকা, ধুন্দলের দাম ২০ টাকা, হাইব্রিড শসার দাম ২০ টাকা কমেছে। আর প্রতি পিসে লাউয়ের দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে মিরপুর ৬ নাম্বার বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, আজ সব সবজির দাম কমে গেছে। গেলো সপ্তাহের থেকে আজ দাম কম। সামনে হয়তো আরও কমে যাবে। কারণ, সিজন বদলাবে তাই দামও কমবে।

এদিকে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর মাহমুদ বলেন, এ রকম কমাকে কম দাম বলে না। যখন সবার কাছে কম মনে হবে তখনই কম দাম বলা যাবে। দাম কমেছে ১০-২০ টাকা করে। কিন্তু সব সবজির দাম এখনও ৮০ টাকার ওপরে। এটাকে কি কম দাম বলে?

আরেক ক্রেতা কামরুল হাসান বলেন, সবজি-মাছ-মাংস সবকিছুর দাম বেশি। বেতন পাই কত টাকা আর খরচ কত টাকা; অন্যান্য খরচতো আছেই। এভাবে চলা সত্যিই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

আলু-পেঁয়াজের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি লাল ও সাদা আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয় শুধু ২৫ টাকায়। আর বগুড়ার আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা।

গতকাল আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এর মধ্যে ছোট পেঁয়াজ ৭৫ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩৫-৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৪০-১৫০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০-১৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি মাছ-মাংসের বাজার। উচ্চ দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ, গরু ও খাসির মাংস এবং সব ধরনের মুরগির মাংস।

গতকাল বাজারে ইলিশ মাছ আকার ও ওজন অনুযায়ী ৭০০-২৪০০ টাকা, রুই ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০-৬০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৭০০ টাকা, শিং ৫০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে ৮০০-১২০০ টাকা, মেনি ৬০০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, কক মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০-২৯৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫-১২০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা দরে।

এক্ষেত্রে আজ প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৭-১০ টাকা, কক মুরগির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা করে। আর কেজিতে লেয়ার মুরগির দাম ২৫ টাকা, দেশি মুরগির দাম ২০ টাকা কমেছে। এছাড়া প্রতি ডজনে লাল ডিমের দাম ১০-২০ টাকা, সাদা ডিমের দাম পাঁচ টাকা এবং হাঁসের ডিমের দাম কমেছে ১০-২০ টাকা করে।

মুদি দোকানের কয়েকটি পণ্যের দামে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে প্রতিটি দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ১০ টাকা এবং কেজিতে কালো গোল মরিচের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা করে। আর প্রতি কেজিতে খেসারি ডালের দাম কমেছে ২০ টাকা, বুটের ডালের দাম কমেছে পাঁচ টাকা এবং খোলা চিনির দাম কমেছে পাঁচ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০-১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ১০০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

বিশেষ
During Sheikh Hasinas rule and 20 billion smuggling is to steal in daylight
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যচিত্র

শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার যেন দিনের আলোয় চুরি

শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার যেন দিনের আলোয় চুরি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ ৩৪ হাজার ডলার বা ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) বাংলাদেশ থেকে লুট হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) নতুন একটি তথ্যচিত্রে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তথ্যচিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার যেন প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি (বাংলাদেশ’স মিসিং বিলিয়ন্স, স্টোলেন ইন প্লেইন সাইট)।’ মূলত দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার এবং তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।

তথ্যচিত্রের শুরুতেই দেখানো হয়েছে শেখ হাসিনার পতনের প্রেক্ষাপট। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে সরকারি চাকরিতে কোটা ঘিরে শেখ হাসিনার শাসন নিয়ে জমে থাকা ক্ষোভ ফেটে পড়ে। এ সময়ে হাসিনা ক্রমে আরও স্বৈরাচারী হয়ে উঠছিলেন; বিরোধীদের গণহারে কারাবন্দি করছিলেন। আর শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের দুর্নীতি এবং দেশের বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের খবর দেখে দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিল। পাচার হওয়া এই অর্থের বড় একটি অংশ যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে।

এতে দেশটির লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের কয়েক সদস্যও অভিযুক্ত। অবকাঠামো প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় টিউলিপ সিদ্দিক ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ফ্ল্যাট দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের শুরুর দিকে টিউলিপ মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এছাড়া এফটির সাংবাদিকরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখেন, তিনি যুক্তরাজ্যে ৩০০টির বেশি সম্পত্তির মালিক।

আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা ব্রিটিশ সংস্থা স্পটলাইট অন করাপশনের উপপরিচালক হেলেন টেলর বলেন, পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশের একজন মন্ত্রীর জন্য যুক্তরাজ্যে অন্তত ৩০০টি সম্পত্তি কেনা বিস্ময়কর। যেখানে এক ব্যক্তি বছরে দেশের বাইরে ১২ হাজার ডলারের বেশি নিতে পারেন না।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ৩৫০টি সম্পত্তি শনাক্ত করে জব্দ করেছে, যা এফটির খোঁজ পাওয়া ৩০০টির বেশি সম্পত্তির সঙ্গে মিলে যায়। তথ্যচিত্রে জানানো হয়, ২০০৯ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে বলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রাক্কলন করছে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক খান বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে দুর্নীতির সাধারণ ধারা হলো, শাসক দলকে তার সমর্থকদের মধ্যে টাকা বিলাতে হয়। তা না হলে ক্ষমতায় টিকতে পারে না। আমার মনে হয়, শাসনামলের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ অর্থনীতি ও নিজেদের দল– দুয়েরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।’

প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শাসনকালে শাসকদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর সাহায্যে বিভিন্ন ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, কিছু ব্যাংকের পরিচালককে গোয়েন্দারা অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে শেয়ার হস্তান্তর কাগজে সই করিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করত। আর সেই শেয়ার যেত পুরোনো শাসকদের ঘনিষ্ঠদের হাতে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমান, এস আলম ও তাঁর গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার, এমনকি তার চেয়েও বেশি অর্থ বের করে নিয়েছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন খতিয়ে দেখছে, সাবেক শাসন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প থেকে টাকা সরিয়েছেন কিনা। এর একটি হলো পদ্মা সেতু, যে প্রকল্পে দুর্নীতির শঙ্কায় বিশ্বব্যাংক ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। আরেকটি ছিল দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

ড. মোশতাক খান বলেন, এগুলোর কিছুই গোপন ছিল না। পত্রপত্রিকায় ছিল, মিডিয়ায় আলোচনা হতো, দুর্নীতি ছিল প্রকাশ্য, চোখের সামনে; কিন্তু কিছু করার ক্ষমতা কারও ছিল না। অধিকাংশ মানুষ ছিল আতঙ্কে। তারা জানত, কথা বললে গায়েব হয়ে যেতে পারে। দুর্নীতির কথা সবাই জানত, তবু চুপ করে থাকত।

সম্পদ উদ্ধার টাস্কফোর্সের পরামর্শদাতা ইফতি ইসলাম বলেন, ‘আপনি যখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চুরি করেন, তখন আপনি বিশ্বের সেরা আর্থিক কাঠামোবিদ, পরামর্শক ও আইনজীবীদের ভাড়া করতে পারেন, যারা আপনার টাকা সরানো ও লুকাতে সাহায্য করেন। এটা সম্পদ উদ্ধারে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। আপনি টাকার হদিস না পেলে তা ফেরত আনতে পারবেন না।’

সম্পদ উদ্ধারের আরেক সমস্যা হলো, এতে প্রায়ই সমঝোতা করা লাগে। অর্থাৎ যে ব্যবসায়ী বা ধনকুবের টাকা চুরি করে দেশ থেকে পাচার করেছে, তার সঙ্গে চুক্তি করা। তখন একদিকে টাকা ফেরত আনা, অন্যদিকে বাংলাদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মানুষ বলে, সব টাকা আদায় সম্ভব নয়। আমরা যেটুকু পারি, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু তার জন্য কঠিন প্রমাণ খুঁজে বের করতে হবে, পথ অনুসরণ করতে হবে; সংশ্লিষ্ট বিদেশি সরকারের সহযোগিতা পেতে হবে।

এফটির এগ্রিকালচার ও কমোডিটি করেসপনডেন্ট সুজ্যানা স্যাভিজ বলেন, যদি ইউনূস প্রশাসন অন্য দেশের সরকারগুলোকে যেমন যুক্তরাজ্যে এনসিএ যা করেছে, তেমন পদক্ষেপে রাজি করাতে পারে, তাহলে চাকা ঘুরতে শুরু করবে এবং থামানো কঠিন হবে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে। যারা শেখ হাসিনার আমলে অর্থ পাচার করেছে, তারা ভবিষ্যতের সরকারের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করবে, তার ওপরেই নির্ভর করবে দেশে দুর্নীতি কতটা ব্যাপক থাকবে।

এফটির দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোপ্রধান জন রিড বলেন, বাংলাদেশের ‘বিপ্লব’ একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে হয়েছে। তবে এমনও হতে পারে, দেশ আবার এমন এক অবস্থায় ফিরে যাবে, যেখানে এক দল রাজনৈতিক শক্তির হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকবে। তফাত শুধু– এবার তা আওয়ামী লীগ নয়; বিএনপি হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘আমাদের ভয়, আমরা হয়তো আমাদের শহীদদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না। এটাই এখন সবচেয়ে বড় আশঙ্কা।’

মন্তব্য

বিশেষ
The abducted child in Kotalipara was rescued from Lalpur in Natore

কোটালীপাড়ায় অপহৃত শিশুকে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার

কোটালীপাড়ায় অপহৃত শিশুকে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অপহরণকৃত শিশু আইয়ান (৩) কে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

আইয়ান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ণবতী গ্রামের মো. হাইয়ুল মিয়া ও পাকিজা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান।

আত্মীয় পরিচয়ে বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে আইয়ানকে অপহরণ করে ৩লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমিরুল হোসেন বাপ্পি নামের এক যুবক।

ওই ঘটনায় রাতে শিশু রাইয়ানের মা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর শিশু আইয়ানকে উদ্ধারে রাতেই কোটালীপাড়া থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে।

এসআই সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ১২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ধুপইল এলাকা থেকে অপহরণকারী আমিরুল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে শিশু আইয়ানকে উদ্ধার করি।

অপহরণকারী আমিরুল ইসলাম ধুপইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

এদিকে শিশু আইয়ানকে উদ্ধারের খবরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ভাসছে প্রশংসার জোয়ারে।

শিশু আইয়ানের মা পাকিজা বেগম বলেন, আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর খালাতে ভাইয়ের বন্ধু। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে ১দিন থেকে চলে যায়।

গত মঙ্গলবার রাতে সে আবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে চিপস, চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে আইয়ানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সকাল ১১ টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিবে বলে জানায় আমিরুল। থানা পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে। পরে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করি।

কোটালীপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান খন্দকার বলেন, অপহরনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে অভিযানে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপরে নাটোরের লালপুর থেকে শিশুকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য

বিশেষ
We celebrated the founding anniversary of the organization

‘আমরা আমরাইতো’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

‘আমরা আমরাইতো’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফেনীর ‘আমরা আমরাইতো সমাজসেবা সংগঠন’ ও আমরা আমরাইতো ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন প্রতিযোগিতা ও এক বেলা আহারের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী ফেনীর শর্শদি ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা হাফেজিয়া ও এতিমখানায় ওই আয়োজন করা হয়।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার হেফজখানার ৬০জন ছাত্রের মধ্যে ২০জন কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম থেকে ১০ পর্যন্ত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মাওলানা কামরুল ইসলামের উপস্থাপনায় ওই সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা ও হাফিজিয়া এতিমখানা এর নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মুফতি আজিজুর রহমান, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ইউনুস, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনীর ইতিহাস ঐতিহ্যভিত্তিক সংগঠন ‘নরননীয়া’ এর সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইমন উল হক।

সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী আফতাবুল ইসলাম, সভাপতি আবদুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হৃদয় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সর্বোচ্চ দাতা সদস্য ইমাম মেটালের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম হোসেনকে সম্মাননা জানানো হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে ‘একবেলার আহার’ এ আপ্যায়ন করা হয়।

মন্তব্য

বিশেষ
From Pirojpur to Dhaka Khulna bus movement is off

পিরোজপুর থেকে ঢাকা-খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

পিরোজপুর থেকে ঢাকা-খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

বাগেরহাটে নতুন করে সংসদীয় আসন বিভাজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনের কারণে পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনার মধ্যে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দেওয়া হয়। পরে তার সময়সীমা বাড়িয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েন খুলনায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা। খুলনা-সাতক্ষীরা- যশোরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। যাত্রীদের কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে যাত্রীদের।

পরিবহন শ্রমিক আলিম সিকদার বলেন, ‘বাগেরহাটের সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনাসহ বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

রফিক শেখ নামের আরেক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘বাগেরহাটে অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে পিরোজপুরের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। গাড়ি চলাচল না করায় আমাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়বো। আমরা চাই এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান হোক।’

অফিসের কাজে ঢাকায় যাবেন শাহরিয়ার আলম। তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তিনিও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় যাবো কিন্তু এসে দেখি এখানে কোনো পরিবহন ঢাকায় যাচ্ছে না। সঠিক সময় ঢাকা না যেতে পারলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো উচিত।’

পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাজী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাগেরহাট সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পেশার কয়েক হাজার মানুষ। এই সমস্যার সমাধান না করলে বাস মালিকেরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’

এর আগে গত বুধবার বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে শুরু হওয়া সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধে অচল হয়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলা।

সেদিনের বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা এই কর্মসূচির কারণে জেলার জীবনযাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেদিন সকাল থেকে বাগেরহাট হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের সব দূরপাল্লা ও আন্ত জেলা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর সেদিন শহরের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

হরতালকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কর্মকর্তারাও অফিসে ঢুকতে পারেননি। জেলার মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

সেদিন বুধবারে জেলার শতাধিক স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে ও মাছ ধরার জাল টানিয়ে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে পালন করেন নেতাকর্মীরা। ফলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন ছিল।

হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দূরপাল্লার যাত্রীদের অনেকেই বাস টার্মিনাল বা সড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যানবাহন পাননি। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া রোগীরা পড়েছিলেন বিপাকে।

গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এতে জেলার রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামে।

মন্তব্য

বিশেষ
Narail was built one night with a mosque with ponds

নড়াইলে এক রাতেই নির্মিত হয় পুকুরসহ মসজিদ

নড়াইলে এক রাতেই নির্মিত হয় পুকুরসহ মসজিদ

৪০০ বছরের পুরানো নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মসজিদ। মুন্সিবাড়ির মসজিদ নামেই এটি সমধিক পরিচিত। জনশ্রুতি আছে মোগল শাসনামলে এক রাতে নির্মাণ করা হয় ওই মসজিদ। মসজিদের সামনে রয়েছে একটি পুকুর। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে অজু করার জন্য আছে বাধানো ঘাট।

সরেজমিন দেখা গেছে, মসজিদের ছাদের চারপাশে রয়েছে ছোট ছোট চারটি মিনার এবং মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। ছোট সাইজের ইট আর চুন-সুড়কির গাথুনির মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। জনশ্রুতি আছে এটি জ্বীনদের দিয়ে নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। এখানে ওই সব জ্বীনেরাও এক সময়ে নামাজ আদায় করতো।

গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি ইস্রাফিল মোল্লা যার বয়স বর্তমানে ১০৭ বছর। তিনি বলেন, আমি বাপ-দাদার মুখে শুনেছি এক রাতেই এখানে পুকুর এবং মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আগে এই গ্রাম ঘণ বনজঙ্গলে ভরা ছিল। নানা ধরণের জীবজন্তুর আমদানী ছিল এই বাগানে । ছিল বাঘেরও পদচারণা। ভয়ে কেউই এখানে আসতো না। ঘণ বনজঙ্গলের কারণে দিনের বেলায় কিছুই দেখা যেত না।

তিনি বলেন হঠাৎ একদিন মুন্সি হৈবৎউল্লাহ নামে এক ব্যক্তির আগমণ ঘটে। এখানকার জীবজন্তুর সঙ্গে তিনি বটগাছের নিচে বাস করতে লাগলেন। কিছুদিন পর কাকতালিয়ভাবে এক রাতে মসজিদ এবং একটি পুকুর খনন করেন। মাঝে মধ্যে কাদের যেন তিনি ডাকতেন। অদৃশ্য সেই জীবগুলো তার কথা শুনতো। তিনি বলেন, এ সবই আমার দাদা ইবাদত মোল্লা মুখে শুনেছি। তিনিও তার দাদা রহমত মোল্লার কাছে শুনেছেন। ওই বাগানের কাছে যেও না। হিংস্র জীবজন্তুর পাশাপাশি জ্বীন পরীর ভয় আছে। তিনি বলেন, কালের পরিক্রমায় সবকিছু বদলাতে থাকে। এখন আর কেউই এ সব কথা বিশ্বাস করতে চায় না। আস্তে আস্তে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। নানা সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বসবাস করতে থাকেন। আশপাশের এলাকার মুসল্লি সম্প্রদায়ের মানুষ মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে আসেন।

তিনি দাবি করেন, ওই সময় অন্য কোন মসজিদ না থাকায় বিভিন্ন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে নামাজ আদায় করতে আসতেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এটি নড়াইলের সর্বপ্রথম প্রাচীনতম মসজিদ। নামাজির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২৫ বছর আগে মসজিদের সামনের অংশ বাড়ানো হয়েছে। মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা মুন্সি হৈবতউল্লাহর বংশধরেরা আজও গোয়ালবাথান গ্রামে বসবাস করছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষ মসজিদটি দেখার জন্য এই গ্রামে এসে থাকেন।

চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, এলাকায় মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মসজিদে নামাজিদের ধারণ ক্ষমতা সংকুলাণ না হওয়ায় মসজিদ সংলগ্ন সম্প্রসারণ কাজ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নড়াইলে এই মসজিদই হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ।

মন্তব্য

সরিষাবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সরিষাবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে খেলনা গাড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে ওমর ফারুক (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু ওমর ফারুক একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।

শিশুর বাবা মনির হোসেন জানান, ওমর ফারুক তার ৩য় ছেলে। সে সকাল বেলা খেলনা গাড়ি (ছোট রিক্সা) নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এসময় খেলতে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা পাশ্ববর্তী বাড়ীতে খুজতে থাকে ফারুককে। এসময় প্রতিবেশীরা ওমর ফারুকের খেলনা গাড়ীটি পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি পরিবারের লোকদের জানালে তারা পুকুরে নেমে শিশু ওমর ফারুকের দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে পারিবারিক সমস্যার কারনে ওমর ফারুক তার দাদীর কাছেই সব সময় থাকতেন।

মন্তব্য

p
উপরে