সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে তথা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ক্যালেন্ডারের হিসাবে এবারের দিবসটি এসেছে বাংলার পয়লা ফাল্গুনকে সঙ্গী করে। যুগপৎ উৎসবেও কেমন যেন আমেজে ভাটা। ঈদ, পূজা, বড়দিনের মতো এ উৎসব দুটিও করোনার পেটে। ভালোবাসা দিবসে দাঁড়িয়েও ‘লসের’ হিসাব মেলাতে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব।
হারানোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মানুষের প্রাণহানি। প্রকৃতিতে যখন ফাগুন হাওয়া লেগেছে, ভালোবাসার আমেজ ছুঁয়ে যাচ্ছে হৃদয়ে হৃদয়ে, তখন বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুসংখ্যা ২৪ লাখ ছুঁইছুঁই। শনাক্ত ১০ কোটি ছাড়িয়েছে।
ভ্যালেন্টাইন’স ডেতে আমেজ ছড়ানো দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। আর করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে সে দেশটিই রয়েছে তালিকার শীর্ষে। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
প্রিয়জন হারানোর বেদনার সঙ্গে অতি ছোঁয়াচে ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির জন্য হয়ে এসেছে বড় ধাক্কা হয়ে। আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যারা অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে না।
প্রতিটি দেশের অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে উদ্বেগজনক হারে। কমেছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। চাকরিহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। প্রভাব পড়েছে তাদের জীবিকায়।
করোনার প্রভাব বাংলাদেশে তীব্র না হলেও কম পড়েনি। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ২৬৬ জন। শনাক্ত ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার। চাকরি হারিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে অনেককে।
বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে গত ভ্যালেনন্টাইন’স ডে কেটেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। কিন্তু করোনার কারণে এবার জীবনে অন্ধকার নেমে আসা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর চীনের উহান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়তে সময় লেগেছে কমই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্বের কারণে একপর্যায়ে জীবন আবদ্ধ হয় নির্দিষ্ট গণ্ডিতে। প্রিয়জনদের দূরে ঠেলে দেয় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখনও বহাল এই নির্দেশনা। আর মাস্ক তো পরিণত হয়েছে মানুষের নিত্য অনুষঙ্গে।
করোনার কারণে এখনও মানুষ মনের মতো আড্ডাবাজি করতে পারছে না। পাঁচ জনের বেশি একত্র হলেই পরতে হয় মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধিতে নিষেধাজ্ঞা আছে হ্যান্ডশেক করাতেও।
খেলার মাঠ, সিনেমা, থিয়েটার, পর্যটনস্থলে খাঁখাঁ। করোনাবিধির কারণে রং হারিয়েছে এসব জায়গা। গ্যালারিতে দর্শক ঢুকতে বিধিনিষেধ থাকায় ঠিক জমছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো রোমাঞ্চকর ফুটবল প্রতিযোগিতা।
করোনা বড় ‘লসের’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্যও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ছে এসব কোমলমতিদের ওপর। বন্ধু ও সমবয়সীদের সঙ্গে লুটোপুটি খাওয়ার সময়টায় তারা অনেকটা ঘরবন্দি।
আশার কথা, এরই মধ্যে করোনা-প্রতিরোধী বেশ কিছু টিকা এসেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুৎনিক, চীনের সিনোভ্যাক ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রয়োগ। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বিশ্ববাসী। আড়মোড়া ভেঙে সাহস পাওয়া যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।
বিশ্বের অনেক দেশ এরই মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করেছে। বাড়ছে মানুষের চলাচল। কাটতে শুরু করেছে অর্থনৈতিক সংকট। উদয় হচ্ছে সম্ভাবনার সূর্যের।
তাই গেল এক বছরের আমোদহীন ঈদ, পূজা, বড়দিনের তুলনায় অনেকটা উৎসবের বারতা থাকছে এবারের ভ্যালেন্টাইন’স ডে ও পয়লা ফাগুনে। প্রিয়জনের কাছে গিয়েই বলা যাবে, ভালোবাসি।
উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গতকাল বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের সাদাপাথর এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া পাথর পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্দ করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে সিলেট নগরী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, বুধবার রাতে ৬ সদস্যের একটি দল যৌথবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করে ফের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভায় লুট করা পাথর উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
প্রশাসনের জরুরি বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। সিলেট নগরী ও সাদাপাথর এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সাদাপাথরের লুট করা স্তুপকৃত পাথর জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো সাদাপাথর এলাকায় নিয়ে ফের প্রতিস্থাপন করা হয়।
এছাড়া সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের ওসমানী বিমানবন্দর এলাকায় সিলেট ক্লাবের সামনে যৌথবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকেও পাথর জব্দ করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। লুট করা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে, নজিরবিহীন লুটপাটের পর পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর রক্ষায় নড়ে বসে প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউসে জরুরি সমন্বয় সভার আহ্বান করা হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সভায় সাদাপাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হলো:
১. জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি থাকবে।
৩. অবৈধ পাথর ভাঙা (ক্রাশিং) মেশিন বন্ধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৪. পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফেরানো হবে।
সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী রোববারের (১৭ আগস্ট) মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানে গতকাল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
দুদক জানিয়েছে, পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি এবং পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের একাধিক পাথর কোয়ারি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন চালায়, যার মধ্যে ছিল মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, ধর্মঘট ইত্যাদি। এই দাবির আড়ালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘পাথরখেকো চক্র’ প্রকাশ্যে ও গোপনে সাদাপাথরের পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাটে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
জনপ্রিয় টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ ফের গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান।
ওসি জানান, বিজ্ঞ আদালতের জারি করা ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর লায়লা বলেন, “মামুন গ্রেপ্তার হয়েছে এটা সত্যি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আমি নিশ্চিত নই। ওর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা চলমান।”
এর আগে গত বছরের জুন মাসে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মামলাটি করেন লায়লা আখতার ফারহাদ। তবে পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এ ছাড়া প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি হওয়ায় ওই মামলার অভিযোগের ধারা কার্যকর নেই।
প্রিন্স মামুনের জনপ্রিয়তা আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ করে টিকটক ও লাইকি অ্যাপে নিজের তৈরি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে। সেখান থেকেই তিনি পরিচিতি পান।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে মেইন পিলার ১০৫-এর নিকটে শূন্য লাইনে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার এবং ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের হৃদয়পুর কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে পূর্বে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ৯ বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং ৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে উড়িষ্যা রাজ্যে বসবাস করছিলেন। পরে বিএসএফ তাদের স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে এনে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।
বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানা, , বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে এ ধরনের পতাকা বৈঠক দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করছে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের খেজুর সফলভাবে উৎপাদন করে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের আবদুল মোতালেব। এলাকায় তিনি এখন ‘খেজুর মোতালেব’ নামেই পরিচিত। সৌদি খেজুরের বাগান থেকে তিনি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় করছেন, যা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশের নানা প্রান্তের চাষিদের।
মোতালেব জানান, ১৯৯৮ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই খেজুর বাগানে কাজ করার সুযোগ পান। তিন বছর কাজ করার পর বুঝতে পারেন—অন্যের বাগানে মজুরের কাজ করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০১ সালের শেষ দিকে দেশে ফেরেন ৩৫ কেজি খেজুরের বীজ নিয়ে। নিজ বাড়ির উঠানে শুরু হয় তার খেজুর চাষের স্বপ্নযাত্রা।
শুরুর সময় ছিল দুঃখ-কষ্টে ভরা। বিদেশ থেকে টাকা বা স্বর্ণ না আনতে পারায় অভিমানে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। তার আনা বীজ থেকে জন্ম নেয় ২৭৫টি গাছ, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ছিল মাতৃগাছ। দীর্ঘ ১৮ বছরের গবেষণায় সেই মাতৃগাছগুলো থেকেই কাটিং করে চারা উৎপাদন শুরু করেন।
বর্তমানে তার সাত বিঘা বাগানে রয়েছে ৩ হাজারের বেশি সৌদি জাতের খেজুরগাছ। যার মধ্যে আজোয়া, শুক্কারি, আম্বার, লিপজেল ও মরিয়ম জাতের খেজুর অন্যতম। খেজুরের দাম জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। শুধু খেজুর নয়, বিক্রি হয় চারা—কাটিং করা চারা ১৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, আর বীজ থেকে উৎপাদিত চারা ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।
মোতালেবের ছেলে মিজানুর রহমান অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৩ সাল থেকে বাবার সাথে যুক্ত হয়ে খেজুর চাষে নতুন উদ্ভাবন করেছেন। দেশি ও সৌদি জাতের গাছ ক্রস করে এমন একটি জাত তৈরি করেছেন, যেটি থেকে প্রচুর রস পাওয়া সম্ভব। বাবা-ছেলে মিলে আট বিঘা জমিতে রস ও গুড় উৎপাদনের জন্য নতুন বাগান করেছেন।
মোতালেবের সাফল্যের খবরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন তার বাগান দেখতে ও চারা কিনতে। অনেকেই তার অনুপ্রেরণায় শুরু করেছেন সৌদি খেজুর চাষ।
ভালুকা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে সরকারিভাবে খেজুর প্রকল্প চালু হলে এ ধরনের উদ্যোক্তারা আরও বেশি উপকৃত হবেন।
আবদুল মোতালেবের স্বপ্ন, একদিন তার খেজুর শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও রপ্তানি হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিন, যাতে সৌদি আরবের মতো প্যাকেটজাত করে খেজুর বাজারজাত করা যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করা রিটের শুনানি হবে আগামী রোববার।
এ সংক্রান্ত রিটটি শুনানির জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।
রিটে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ প্রতি বছর ছয় মাস পানি বন্দি থাকে। পৌর বাসির দীর্ঘদিনের সমস্যা জলবদ্ধতা। এই স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসনে পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে, বুধবার(১৩ আগস্ট) বিকাল পাঁচ টায় ত্রিমোহিনমোড়ে পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের একটাই স্লোগান, কেশবপুর পৌরসভার সকল ঘের বন্ধ করো, স্থায়ী পানির সমস্যার সমাধান করো। পৌর সভা এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে মাছের ঘের করার কারণে প্রতি বছর এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা, শহরের মাছ বাজার, তরকারি বাজার, ধানের বাজার, চাউল পট্টি, সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে দুই / তিন ফুট পানি উঠে যায়। যার ফলে শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার মেইন রোড উপর বসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ঘুকতে পারে না। বিষয় টি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা শর্তেও গুরুত্ব দেন না। তাই মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রশাসন কে জানিয়ে দেন অপরিকল্পিত ঘের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কেশবপুর পৌর বাসিকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবে পৌর বাড়ি মালিক সমিতি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ,
সহ-সভাপতি কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজেদ খান ডবলু, পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, ঔষধ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রভাষক মোঃ শাহাজাহান কবীর, সোহেল হাসান আইদ,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, এ্যাডঃ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার মোদক, শাহাজাহান কবীর, আব্দুল জলিল, আবু সালেহ মাসউদ হাসান, মোঃ আব্দুল মোমিন, আব্দুল হালিম মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু প্রমুখ ।
মন্তব্য