× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
লাভ অ্যান্ড লস
google_news print-icon

লাভ অ্যান্ড লস

লাভ-অ্যান্ড-লস
বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে গত ভ্যালেনন্টাইনস ডে কেটেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। কিন্তু করোনার কারণে এবার জীবনে অন্ধকার নেমে আসা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে তথা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ক্যালেন্ডারের হিসাবে এবারের দিবসটি এসেছে বাংলার পয়লা ফাল্গুনকে সঙ্গী করে। যুগপৎ উৎসবেও কেমন যেন আমেজে ভাটা। ঈদ, পূজা, বড়দিনের মতো এ উৎসব দুটিও করোনার পেটে। ভালোবাসা দিবসে দাঁড়িয়েও ‘লসের’ হিসাব মেলাতে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব।

হারানোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মানুষের প্রাণহানি। প্রকৃতিতে যখন ফাগুন হাওয়া লেগেছে, ভালোবাসার আমেজ ছুঁয়ে যাচ্ছে হৃদয়ে হৃদয়ে, তখন বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুসংখ্যা ২৪ লাখ ছুঁইছুঁই। শনাক্ত ১০ কোটি ছাড়িয়েছে।

ভ্যালেন্টাইন’স ডেতে আমেজ ছড়ানো দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। আর করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে সে দেশটিই রয়েছে তালিকার শীর্ষে। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।

প্রিয়জন হারানোর বেদনার সঙ্গে অতি ছোঁয়াচে ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির জন্য হয়ে এসেছে বড় ধাক্কা হয়ে। আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যারা অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে না।

প্রতিটি দেশের অর্থনীতির সংকোচন হয়েছে উদ্বেগজনক হারে। কমেছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। চাকরিহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। প্রভাব পড়েছে তাদের জীবিকায়।

করোনার প্রভাব বাংলাদেশে তীব্র না হলেও কম পড়েনি। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ২৬৬ জন। শনাক্ত ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার। চাকরি হারিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে অনেককে।

বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে গত ভ্যালেনন্টাইন’স ডে কেটেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। কিন্তু করোনার কারণে এবার জীবনে অন্ধকার নেমে আসা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।

লাভ অ্যান্ড লস

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর চীনের উহান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়তে সময় লেগেছে কমই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্বের কারণে একপর্যায়ে জীবন আবদ্ধ হয় নির্দিষ্ট গণ্ডিতে। প্রিয়জনদের দূরে ঠেলে দেয় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখনও বহাল এই নির্দেশনা। আর মাস্ক তো পরিণত হয়েছে মানুষের নিত্য অনুষঙ্গে।

করোনার কারণে এখনও মানুষ মনের মতো আড্ডাবাজি করতে পারছে না। পাঁচ জনের বেশি একত্র হলেই পরতে হয় মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধিতে নিষেধাজ্ঞা আছে হ্যান্ডশেক করাতেও।

খেলার মাঠ, সিনেমা, থিয়েটার, পর্যটনস্থলে খাঁখাঁ। করোনাবিধির কারণে রং হারিয়েছে এসব জায়গা। গ্যালারিতে দর্শক ঢুকতে বিধিনিষেধ থাকায় ঠিক জমছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো রোমাঞ্চকর ফুটবল প্রতিযোগিতা।

করোনা বড় ‘লসের’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্যও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ছে এসব কোমলমতিদের ওপর। বন্ধু ও সমবয়সীদের সঙ্গে লুটোপুটি খাওয়ার সময়টায় তারা অনেকটা ঘরবন্দি।

আশার কথা, এরই মধ্যে করোনা-প্রতিরোধী বেশ কিছু টিকা এসেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুৎনিক, চীনের সিনোভ্যাক ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রয়োগ। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বিশ্ববাসী। আড়মোড়া ভেঙে সাহস পাওয়া যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।

লাভ অ্যান্ড লস

বিশ্বের অনেক দেশ এরই মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করেছে। বাড়ছে মানুষের চলাচল। কাটতে শুরু করেছে অর্থনৈতিক সংকট। উদয় হচ্ছে সম্ভাবনার সূর্যের।

তাই গেল এক বছরের আমোদহীন ঈদ, পূজা, বড়দিনের তুলনায় অনেকটা উৎসবের বারতা থাকছে এবারের ভ্যালেন্টাইন’স ডে ও পয়লা ফাগুনে। প্রিয়জনের কাছে গিয়েই বলা যাবে, ভালোবাসি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Awami League rally on December 10 in Dhaka

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ ফাইল ছবি
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বড় আকারের সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে এ সমাবেশ আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার রাতে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণার পর ঢাকায় এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রথম সমাবেশ। ভোট বর্জন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল ও অবরোধ করছে। আর আওয়ামী লীগ ও তার শরিকসহ জাতীয় পার্টি ও অন্য দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ ডাকা হয়েছে। নিহত ও আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে সমাবেশ দ্রুত বিচার চাওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

২০২২ সালের এ দিনে নয়া পল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। দলটির ওই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে পরে সায়েদাবাদের গোলাপবাগে সমাবেশ করেছিল বিএনপি।

মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এ দিন রাজধানীর মূল সড়ক ও প্রবেশমুখগুলোতে সর্তক অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ঢাকার প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, বুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা দুই সেতুর মুখে অবস্থানে নেতাকর্মীরা থাকবেন বলে জানা যায়।

মন্তব্য

বিশেষ
The 48 hour blockade of BNP and like minded people begins today

বিএনপি ও সমমনাদের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু আজ

বিএনপি ও সমমনাদের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু আজ
৩১ অক্টোবর থেকে এটি বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি। এই দফার কর্মসূচি শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।

বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হচ্ছে আজ রোববার। ৩১ অক্টোবর থেকে এটি বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি। এই দফার কর্মসূচি শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার রাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের দিনব্যাপী হরতাল শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।’

নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।

২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধ ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দ্রুতই তা নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়।

মন্তব্য

বিশেষ
Shameem Osman now
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন

এবার শামীম ওসমানকে শোকজ

এবার শামীম ওসমানকে শোকজ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত
একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ছাড়া শামীম ওসমানের অনুসারী এক যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।

শনিবার বিকেলে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। উভয় প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শামীম ওসমানের অনুসারী এক যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চেয়ে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মিছিল করে তার অনুসারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানে আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে মিছিল করেন অনুসারী নেতা-কর্মীরা। প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনি আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অন্যদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লিয়াকত হোসেন খোকা। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়।

শনিবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবীব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম যথাক্রমে শামীম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (ঘ) এবং ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে রোববার প্রার্থী অথবা তার প্রতিনিধিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের অনুসারী যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম। পরে ২ ডিসেম্বর জানে আলম বিপ্লব সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুর রহমান আকন্দ জানান, বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন পাচ্ছে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের করতে কমিশন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী
‘নিজের ভোট নিজেকে দিতেই প্রার্থী হয়েছি’
নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি
নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি
সাকিবের দুঃখপ্রকাশ

মন্তব্য

বিশেষ
Boat candidate will face the challenge of independent in more than half a hundred seats

অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী

অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতাই জনপ্রিয়। তারা পেশি, অর্থ বা অন্য শক্তিতে কুলাতে না পেরে দলের মনোনয়ন হারান। দল স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ রাখায় তারা এবার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তাও দিতে পারবেন যে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।’

নির্বাচন জমিয়ে তুলতে দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রেখেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন। আর দলীয় প্রধানের এ সিদ্ধান্তকে লুফে নিয়েছেন নির্বাচন করতে ইচ্ছুক দলের নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অর্ধশতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় সাড়ে চারশ’ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা দলের সভাপতির এমন নির্দেশনাকে ভোটের মাঠে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৫ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী জাকির হোসেন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল অবশ্যই ত্যাগী-নিবেদিতদের মূল্যায়ন করে। কিন্তু অনেক সময় কৌশলগত কারণে মূল প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারে না। তারপরও দলের আদেশ শিরোধার্য মেনে নৌকাকে জেতাতে সর্বোচ্চ ঢেলে দিয়ে কাজ করে এসেছি। কিন্তু এবার সুযোগ এসেছে নিজের সক্ষমতা প্রমাণের। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এবার আওয়ামী লীগের তিন হাজার ৩৬২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিপরীতে নৌকার টিকেট পেয়েছেন ২৯৮ জন। বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৭১ জন, যাদের মধ্যে ৬৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়নবঞ্চিত হেভিওয়েট নেতাদের অনেকেই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতাই জনপ্রিয়। তারা পেশি, অর্থ বা অন্য শক্তিতে কুলাতে না পেরে দলের মনোনয়ন হারান। দল স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ রাখায় তারা এবার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তাও দিতে পারবেন যে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ঢাকা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। আর এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

জানা যায়, শাহীন আহমেদ পেশি, টাকা এমনকি স্থানীয় সাংগঠনিক সক্ষমতায় শক্তিশালী। তিনি কামরুলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবেন।

অন্যদিকে ঢাকা-১৯ আসনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর বিপরীতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং স্থানীয়ভাবে অনেক শক্তিশালী।

ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই আসনের চারবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল।

একইভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুর-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী। যিনি এর আগের দুই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাফর উল্লাহকে পরাজিত করেছিলেন।

ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম হক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হা-মীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদ, যার সঙ্গে রয়েছে দলের একাংশ।

ফরিদপুর-১ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান মনোনয়ন পেলেও চ্যালেঞ্জে পড়বেন সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনের কাছে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

ফরিদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, যিনি স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়।

জামালপুর-৪ আসনে আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানও মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিপরীতে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন জনপ্রিয় আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। নৌকা চেয়ে না পেয়ে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন।

যশোর-৩ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

রংপুর-৬ আসনে আবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নৌকা না পেয়ে এখান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম।

বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে এবার প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন চিকিৎসক তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়াণ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা হলেও রাজনীতি করেননি কখনোই। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির।

চাঁদপুর-৪ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়া।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১২ আসনে সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বদলে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তবে মাঠ ছাড়ছেন না সামশুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়বেন তিনি।

সিলেট-১ সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

কুমিল্লা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। তার পরিবর্তে এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে সুবিদ আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে গত তিন নির্বাচনে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র সরকার। রতন এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সংসদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য।

তাদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে মাজাহারুল হক প্রধান, গাইবান্ধা-৪ আসনে মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নওগাঁ-৪ আসনে এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হক, ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খান, যশোর-৪ আসনে রণজিৎ কুমার রায়, সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোশতাক আহমেদ রবি, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ নাথ, টাঙ্গাইল-৫ আসনে সানোয়ার হোসেন, গাজীপুর-৩ আসনে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১২ আসনে শামসুল হক চৌধুরী এবং কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলম উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি
সিলেটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘যন্ত্রণামুক্ত’ ৩ মন্ত্রী, ব্যতিক্রম মোমেন
সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র নৌকা লাঙ্গলের সর্বনিম্ন হারিকেনের

মন্তব্য

বিশেষ
Cocktail explosions in Farmgate and Narayanganj of the capital

রাজধানীর ফার্মগেট ও নারায়ণগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর ফার্মগেট ও নারায়ণগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ কোলাজ: নিউজবাংলা
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণে যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বলে জানা গেছে।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় দুটি এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফার্মগেটের ফার্মভিউ সুপারমার্কেটের সামনের ব্যস্ত সড়কে যানজটের মধ্যে পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধানে ককটেল দুটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বিস্ফোরণে যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বলে জানা গেছে। তবে তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

আহত একজনের মাথা থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অন্যজন পেটে আঘাত পেয়েছেন। বিস্ফোরণের পর ব্যস্ত রাস্তাটি মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তা ও ফুটপাতে থাকা লোকজন আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের কথা শুনেছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে।’

অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর নারায়ণঞ্জ শহরের খানপুর থেকে একটি মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের ডন চেম্বার এলাকায় এসে তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। পরে চাষাঢ়ার দিকে এগিয়ে মিশনপাড়া মোড়ে ফের ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে তারা পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। এরপর সদর থানা পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচির নামে ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’

রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নবম দফায় দেয়া দলটির অবরোধ কর্মসূচির আগের দিন সন্ধ্যায় এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড করে দিলে তারা এ সরকারের পদত্যাগের একদফাসহ মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। সমমনা জোটগুলোও এই কর্মসূচি যুগপৎভাবে পালন করেছে। এরপর থেকে পর্যায়ের ক্রমে তারা প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শুক্র ও শনিবার ছুটির দুইদিন বিরতি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত তারা আট দফায় অবরোধের কর্মসূচি পালন করেছে। কাল থেকে নবম দফায় দলটির অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির জেলা পর্যায়ের তিন নেতা বহিষ্কার
বিএনপির বিভক্তি আমরা করতে যাইনি: কাদের
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কার বিএনপির শহীদ সারোয়ার
অন্য দলের এমপি হতে চাওয়া শেরপুরের দুই নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
‘নৌকায় উঠে’ বিএনপি থেকে বহিষ্কার শাহজাহান ওমর

মন্তব্য

বিশেষ
7 kg of golden egg found in passengers stomach in Shahjalal

শাহজালালে যাত্রীর পেটে ‘সোনার ডিম’, উদ্ধার ৭ কেজি

শাহজালালে যাত্রীর পেটে ‘সোনার ডিম’, উদ্ধার ৭ কেজি শাহজালালে তরল স্বর্ণের ‘ডিম’, বিস্কুট ও অলংকারসহ চার যাত্রী আটক। কোলাজ: নিউজবাংলা
দুবাই থেকে পৃথক ফ্লাইটে আসা চার যাত্রীকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক করে তল্লাশি করে পায়ুপথে বহন করা তরল স্বর্ণের ‘ডিম’, বিস্কুট ও অলংকার মিলে সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তরল স্বর্ণের ‘ডিম’, বিস্কুট ও অলংকারসহ চার যাত্রী আটক হয়েছে। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), এনএসআই ও ঢাকা কাস্টমসের এক অভিযানে উদ্ধার হওয়া মোট স্বর্ণের পরিমাণ ৬ কেজি ৯৫৬ গ্রাম।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক শনিবার রাতে জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে পেস্ট ফর্মের গোল্ড, গোল্ড বিস্কুট এবং স্বর্ণের অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আটক চার যাত্রীর মধ্যে মো. আলী হোসেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সযোগে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন। এছাড়া যাত্রী জসীম উদ্দিন, লিটু মিয়া ও মোহাম্মদ জুম্মন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন।

জিয়াউল হক জানান, যাত্রীরা বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর এপিবিএন, এনএসআই ও কাস্টমস যৌথ আভিযান চালায়। এ সময় ওই যাত্রীরা পায়ুপথে স্বর্ণ বহন করছেন বলে সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে উত্তরায় অবস্থিত হলি ল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে এক্স-রে করলে তাদের পায়ুপথে স্বর্ণের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যায়।

এপিবিএন-এর এই কর্মকর্তা জানান, আলী হোসেনের কাছে ডিম্বাকৃতির তিনটি পেস্ট গোল্ড (৮৮০ গ্রাম), গোল্ড বিস্কুট ও অলংকারসহ মোট এক কেজি ৯৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। আর জসীম উদ্দিনের কাছ থেকে ডিম্বাকৃতির ৯টি পেস্ট গোল্ড (এক কেজি ৯৫০ গ্রাম), গোল্ড বিস্কুট ও অলংকারসহ মোট ২ কেজি ১৬৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়।

এছাড়া মোহাম্মদ জুম্মন খানের কাছ থেকে এক কেজি ৫৩৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। অপরদিকে লিটু মিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ কেজি ১৬৪ গ্রাম স্বর্ণ।

আটক চারজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
উড়োজাহাজের সিটের নিচে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ
শাহজালালে দেড় কেজি স্বর্ণসহ দম্পতি আটক
স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে বিক্রির অভিযোগে স্বামীর নামে মামলা
ভারত সীমান্তে গরু পারাপারের দড়ি ছিঁড়ে ‘পাচারকারীর’ মৃত্যু
দেশ থেকে পাচার হচ্ছিল ডলার

মন্তব্য

বিশেষ
Sheikh Hasina has returned the country to constitutionalism
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা রাজধানীর লে মেরিডিয়েন হোটেলে শনিবার ‘শেখ হাসিনা: দ্য মেকিং অফ অ্যান এক্সট্রাঅর্ডিনারি সাউথ এশিয়ান লিডার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বইয়ের লেখক ডা. আবুল হাসনাত বলেন, ‘এটি শুধু একটি বই নয়। একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনে কী কী অধ্যায় পার করে আজকের জায়গায় এসেছেন, তার সবই জানা যাবে বইটি পড়লে। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের শোকাহত জীবনকে কীভাবে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেছেন এবং নিজেই নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছেন- সব কথা আছে বইটিতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে নন্দিত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন সাহসী রাজনৈতিক নেতা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর লে মেরিডিয়েন হোটেলে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক গবেষক ডা. আবুল হাসনাত মিল্টনের লেখা ‘শেখ হাসিনা: দ্য মেকিং অফ অ্যান এক্সট্রাঅর্ডিনারি সাউথ এশিয়ান লিডার’ (Sheikh Hasina: The making of an Extraordinary South Asian Leader) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি প্রমুখ।

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপিসহ অন্য অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচনের বিরল সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই বেশ সম্মানিত। কেননা যার জীবনালেখ্য নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে, তিনি একজন অসাধারণ ও অমূল্য মানুষ। তিনি আর কেউ নন; আমাদের সবার প্রিয়, অতি পরিচিত, অতি আপন, দেশের মানুষের মধ্যমণি, নন্দিত প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের দেশ পরিচালনার একজন যোগ্য ও সাহসী রাজনৈতিক নেতা। তিনি শুধু বাংলাদেশেরই অসাধারণ একজন নারী নন, তিনি অত্যন্ত সাহসী রাজনীতিবিদ। পাশাপাশি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ সমগ্র বিশ্বনেতার কাতারে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বে তার সফল কর্মের জন্য নন্দিত। আমরা আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুধু জাতীয়ভাবে বিবেচনা করব না। তিনি আজ বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিচরণ করছেন তার সাহসী সব সিদ্ধান্তের কারণে।’

স্পিকার বলেন, ‘এই বইটিতে লেখক ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকে কীভাবে ধাপে ধাপে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অতিবাহিত করেছেন এবং কীভাবে একজন সফল রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন- তার সঠিক তথ্য দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের মতো একটি ঘটনা যার জীবনে ঘটেছে, শুধু তিনিই বলতে পারবেন তার প্রতি নির্মমতা কতটা গভীর এবং কতটা বেদনাদায়ক। তারপরও শেখ হাসিনা এগিয়ে গেছেন এবং দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুর মতোই বাংলার মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসা অপার। তিনি ’৭৫-এর সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়কে বুকে ধারণ করে, সেই নির্মমতাকে সঙ্গী করে দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য তার বাবার অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই জীবন উৎসর্গ করেছেন। এটিই তার জীবনের মূল লক্ষ্য। যে স্বপ্ন ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, তার সবই বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলেই ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেন। দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে তিনি এ বাংলায় রাজনৈতিক সংগ্রাম করেছেন এবং আস্তে আস্তে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছেন এবং পরবর্তীতে দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন। এই যে মহাকর্মযজ্ঞ এবং দেশের মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ, তার সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই এমন সব বই দরকার।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘এমন একটি বই সত্যিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জাতীয় চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয়, ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন এ বইটির আগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে বইটি লিখেছেন, সেটির জন্যও তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমি বলব- দুটি বই-ই আমাদের জন্য অমূল্য রচনা। ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের জন্য বইগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্পদ হিসেবে আমাদের কাছে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা

অনুষ্ঠানে বইটি লেখার স্মৃতিচারণ করে ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা এই বইটির আগে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি বই লেখার তাগিদ অনুভব করি। করোনাকালে আমার একজন পরিচিত মানুষ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন যে, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বই উপহার দেবেন। কিন্তু কোনোভাবেই জাতির পিতার ওপর লেখা একটি ভালো ইংরেজি বই পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর আমি শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বই লেখার অনুমতি চাই। সেটি আমি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর মাধ্যমে জানাই। এরপর নানাভাবে অনেকের সহযোগিতা পেয়ে বইটি লিখে ফেলি। ওই বই লিখতে গিয়ে আমি শেখ হাসিনাকে অন্যভাবে আবিষ্কার করি। তখনই আমি তার ওপর আরেকটি বই লেখার আগ্রহ প্রকাশ করি। সেটিও আমি যথারীতি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিনকে জানাই।

‘তখন প্রধানমন্ত্রী জানান, তাকে নিয়ে বই লেখা লাগবে না; তার বাবাকে নিয়ে আরও কাজ যেন করি। কিন্তু ওই বইটি লিখতে গিয়ে আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীকে এত ঘটনাবহুল একজন মানুষ মনে হয়েছে, যা আমাকে বেশ আবেগতাড়িত করে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি বই লেখার আগ্রহ প্রকাশ করি। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতা হিসেবে তিনি কাজ করছেন। এটি সারা বিশ্বকে জানাতে হবে।’

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা
বইটির ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন লেখক ডা. আবুল হাসনাত মিল্টন। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘বইটি লিখতে গিয়ে আমি শেখ হাসিনার বেশ সান্নিধ্য পেয়েছি। তিনি আমাকে বড় বোনের মতো স্নেহ দিয়েছেন, ছায়াও দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানের একটি বই করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তাই করেছি।’

‘এটি শুধু একটি বই নয়। একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনে কী কী অধ্যায় পার করে আজকের জায়গায় এসেছেন, তার সবই জানা যাবে বইটি পড়লে। ১৯৭৫-এর পরবর্তী সময়ে একজন শেখ হাসিনা শুধু শোক নিরসনের মধ্য দিয়ে যাননি। তিনি সেই জীবনকে কীভাবে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেছেন এবং নিজেই নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছেন- সব কথা আছে বইটিতে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর থেকে শুরু করে আজকের দিনটি পর্যন্ত তার সমগ্র জীবন বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়- একজন মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনা কেমন, একজন মা হিসেবে, নেতা হিসেবে, এমনকি একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেমন- তার সবই আছে বইটিতে।’

দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়েছেন শেখ হাসিনা

‘Sheikh Hasina: The making of an Extraordinary South Asian Leader’ বই হাতে লেখকসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। ছবি: নিউজবাংলা

ডা. মিল্টন বলেন, ‘তাই আমার প্রত্যাশা- বইটি দেশ এবং দেশের বাইরের সব মানুষের কাছে পৌঁছুক। এত ঘটনাবহুল ও বেদনাবহুল একজন মানুষের রাজনৈতিক সংগ্রামটা কেমন- তা জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।’

‘যে শেখ হাসিনাকে চেনেনি, শেখ হাসিনাকে জানেনি, সে আসলে হতভাগা। শেখ হাসিনাকে জানা মানেই আজকের বাংলাদেশ এবং আজকের রাজনীতিকে চমৎকারভাবে অধ্যয়ন করা।’

মন্তব্য

p
উপরে