সতেরো শতকের শুরুতেও আদি ঢাকার উত্তরে মিরপুর, কুর্মিটোলা, পল্টন এবং তেজগাঁও এলাকায় ছিল চারটি দুর্ভেদ্য জঙ্গল। বুড়িগঙ্গার দক্ষিণে কামরাঙ্গীরচর ছিল এক বিস্তৃত জলাবন। এসব বনে বিচরণ ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হরিণ, শুয়োর, কুমির, ঘড়িয়াল, অজগরসহ নানা বিচিত্র প্রাণীর।
এখন একবিংশ শতাব্দীর প্রায় সিকিভাগ পার করে এসে এসব জায়গায় কংক্রিটের অট্টালিকা। পশুপাখিরা বিদায় নিয়েছে। তবে সকলে নয়। এখনও থেকে গেছে অনেক প্রাণী।
ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘এনভায়রনমেন্ট অফ ক্যাপিটাল ঢাকা’ গ্রন্থে রাজধানীর গাছপালা, বন্যপ্রাণী, বাগান, পার্ক, উন্মুক্ত জায়গা ও জলাশয়সহ সার্বিক প্রাকৃতিক প্রতিবেশ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে। এর ‘ওয়াইল্ড লাইফ অফ ঢাকা’ শীর্ষক প্রবন্ধে লেখকেরা সরকারি নথির বরাত দিয়ে বলছেন, ১৮০৪ সালেও ঢাকায় শিকারিরা ২৭০টি বাঘের চামড়া জমা দিয়েছিলেন পুরস্কার ও স্বীকৃতির আশায়।
এই এলাকায় জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গলের পরিসর আশঙ্কাজনক হারে কমে আসা এবং তার পরিণতিতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘাতও ছিল নৈমিত্তিক একটা ব্যাপার।
১৮৩৭ সালে পুলিশের হিসাব অনুসারে, সে সময় প্রতি বছর অন্তত এক জন করে মানুষ বাঘের আক্রমণে মারা পড়ত।
এমনকি গত শতকের শুরুর দিকের সরকারি হিসাব অনুসারে, ১৯০৭ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে ঢাকায় ১৩টি বাঘ মারা পড়েছিল শিকারিদের হাতে।
এর ১০০ বছর পর একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ঢাকা পরিণত হয়েছে প্রায় দুই কোটি লোকের এক নগরে। সুউচ্চ ভবনসহ নানাবিধ স্থাপনা, কল-কারখানা আর সারি সারি গাড়ির যান্ত্রিক চিৎকার এই শহরকে পরিণত করেছে কংক্রিটের জঙ্গলে। তবু মাঠ-প্রান্তর-সবুজহীন এই রুক্ষ নগরে এখনও টিকে আছে অনেক বন্য প্রাণ। কোনোটি স্বল্প পরিসরে। আবার অবিশ্বাস্য হলেও কোনো কোনো প্রজাতি আছে লক্ষ-কোটিতে।
প্রায় ৪৫ পৃষ্ঠার ‘ওয়াইল্ড লাইফ অফ ঢাকা’ প্রবন্ধের তিন লেখক সৈয়দ মো. হুমায়ুন কবির, ইনাম আল হক ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রবন্ধের শেষাংশে ঢাকায় এখন পর্যন্ত টিকে থাকা প্রাণীদের একটা তালিকা সংযুক্ত করেছেন। এই তালিকা ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের বরাতে ঢাকায় যেসব প্রাণীর অস্তিত্ব জানা গেছে, তা যথেষ্ট চমক জাগানিয়া।
বনরুই
ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের আশপাশ, মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন ও আশপাশের এলাকায় বিপন্ন তালিকাভুক্ত চায়নিজ প্যাঙ্গোলিনের দেখা পাওয়া যায়। এটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটা খাদ্য হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনি ব্যবহৃত হয় ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরির জন্য। এর গায়ের আঁশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাদের মাংসও চীনে একটি উপাদেয় খাবার বলে গণ্য করা হয়।
রিসাস বানর
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এদের মাঝেমধ্যেই দেখা যায় দল নিয়ে রাস্তা পার হতে। পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয় এদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। খাবার যতটা খায়, নষ্ট করে তার চেয়ে বেশি। ঢাকাবাসীর অপ্রিয় সঙ্গী এরা।
পাতিশেয়াল ও খ্যাঁকশেয়াল
কুর্মিটোলা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ছাড়া মিরপুর সিরামিক ফ্যাক্টরি এলাকায় শেয়ালের দল দেখা যায়। এর ইংরেজি নাম গোল্ডেন জ্যাকেল। বাংলায় পরিচিত পাতিশেয়াল নামে। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পাতিশেয়াল ছাড়াও ঢাকায় এখনও দু-একটি খ্যাঁকশেয়াল থাকতে পারে। সুদর্শন এই প্রাণীটির মুখ সরু, খাড়া কান। স্বভাবে নিশাচর। ছয় থেকে আট বছর বাঁচে। কাঁকড়া, ইঁদুর, সাপখোপ, উইপোকা, পোকামাকড়, ফলপাকুড়, ছোট পাখি খায়।
কাঠবিড়ালি
ঢাকায় কাঠবিড়ালির বসবাস খুব বেশি দিনের না। যখন যশোর, ঝিনাইদহ থেকে ট্রাকে করে কলা আসতে শুরু করে, তখন কলার সঙ্গে এরাও এসে ঢাকায় বসতি গাড়ে। চিড়িয়াখানার খাঁচার বাইরে বোটানিক্যাল গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।
তিন ধরনের ইঁদুর
ঢাকায় রডেনসিয়া বর্গের এই প্রাণী সংখ্যায় হয়তো মানুষের চেয়ে বেশি আছে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড় পরিবার, যা দখল করে আছে বন্যপ্রাণীর ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে আকারে বড়সর ধেড়ে ইঁদুরের দেখা মিলবে পুরান ঢাকার বড় বড় গুদাম ও স্যাঁতসেঁতে ঘরগুলোতে, যা মেঠো ইঁদুর বা খেত ইঁদুর নামেও পরিচিত।
আবার ঢাকায় মাঝারি আকারের কালো রঙের ইঁদুরও আছে যথেষ্ট। এদের শরীরের চেয়ে লেজ বড়। পৃথিবীর সব মহাদেশে এদের অস্তিত্ব আছে। প্লেগ ছড়াতে ওস্তাদ। এদের খাদ্য শস্যদানা, ফল, গাছের নরম অংশ, বীজ, পাতা, ব্যাঙের ছাতাসহ নানা মেরুদণ্ডী-অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
এদিকে সবচেয়ে ছোট আকারের নেংটি ইঁদুরের বৈজ্ঞানিক নাম mus musculus। লম্বায় এরা তিন থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি। মূলত শস্যভোজী। একবারে ছয় থেকে আটটি বাচ্চা জন্ম দেয়। তাও বছরে আট থেকে দশ বার।
বেজি
ঢাকার বেজি এশিয়ার সবচেয়ে ছোট। শরীর ৩০ সেন্টিমিটার, লেজ ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। ওজন খুব বেশি হলে ৫০০ গ্রাম। লোমের রং লালচে হলদে, নয়তো বাদামি লাল। পুরান ঢাকা, ইস্কাটন, মগবাজার, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর এমনকি বনানী-গুলশানেও বেজি দেখা যায়।
বাদুড় ও চামচিকা
বড় বাদুড়ের দেখা মিলবে শহরের রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বেশ কিছু এলাকায়। শেয়ালের সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এর কিছু মিল নিশ্চয়ই খুঁজে পেয়েছেন। তাই বাদুড়কে বলা হয় উড়ন্ত শৃগাল বা ফ্লাইং ফক্স। এরা মূলত ফলভোগী। আর ছোট আকারের চামচিকা হচ্ছে উপকারী বাদুড়। মূলত পতঙ্গভুক।
চিকা
চিকা বা ছুচন্দর সাদাটে বাদামি বা হালকা বাদামি পশমে আবৃত। ইঁদুরের মতো দেখতে। সুচালো মুখের চিকার লেজে ও নাকের ওপর শক্ত লোম আছে। দুর্গন্ধের জন্য এরা কুখ্যাত। শরীরের দুই পাশে তরল গন্ধথলি আছে। এই গন্ধ এত বিকট যে বিড়াল সাধারণত এদের ধরতে চায় না। সাপ ভুল করে ধরলেও ছেড়ে দেয়।
কাছিম, সাপ
ঢাকায় এখনও যে অল্পসংখ্যক পুকুর বা জলাশয় টিকে আছে তার কোনো কোনোটিতে কাছিমের দেখা পাওয়া যাবে। সাপও আছে দুই-এক প্রজাতির।
সজারু
স্তরে স্তরে সাজানো লম্বা কাঁটায় আকীর্ণ শরীরের এই প্রাণীটি রাতে চলাফেরা করে। ষাটের দশকে মিরপুর, গুলশান, বাড্ডা এবং বর্তমান উত্তরা এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যেত। আজকাল মাঝেমধ্যে মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের আশপাশে বিপন্ন অবস্থায় ধরা পড়ে। এরা পুরোপুরি নিরামিষাশী।
শতেক প্রজাতির পাখি
পাখি বিশেষজ্ঞদের হিসাবে বর্তমানে ঢাকা শহরে শতাধিক প্রজাতির পাখি আছে। বিশেষ করে বোটানিক্যাল গার্ডেনটি গড়ে ওঠায় পাখির সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তির অপব্যবহারে শ্যামনগরের যুবসমাজ আজ অনলাইন জুয়ার ভয়াল ফাঁদে বন্দি। ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই জড়িয়ে পড়ছে এই নিষিদ্ধ খেলায়। দিন দিন বেড়েই চলেছে আসক্তির মাত্রা। নষ্ট হচ্ছে সময়, টাকা আর সম্পর্ক।
জানা গেছে, অনলাইন জুয়া এখন শুধুই তাস বা ক্যাসিনো নয়। পরিবর্তনশীল গেমের ধরনে যুক্ত হয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল বেটিং, তিন পাত্তি, রামি, রঙের খেলা, এভিয়েটর গেম এমনকি জনপ্রিয় লুডুও। এসব গেমে প্রতিদিন বাজি ধরছে হাজার হাজার টাকা। জেতার আনন্দে শুরু হলেও এক সময় তা ভয়াবহ আসক্তিতে পরিণত হয়, যার শেষ পরিণতি প্রায়শই ঋণ, মানসিক বিপর্যয় ও সামাজিক ভাঙন।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ‘এসব জুয়ার আসর বসছে গ্রামের চায়ের দোকান, চালের দোকান বা সুতার দোকানে। দিনের বেলায় সাধারণ ব্যবসার আড়ালে, আর রাতে দোকান বন্ধের পর শুরু হয় মোবাইলের স্ক্রিনে টাকার লড়াই। আড্ডার ছলে একে একে হাজির হয় নির্দিষ্ট গেমাররা, চোখ থাকে মোবাইলের পর্দায়—আর বাজি চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর চলছে এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড।
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত একজন যুবক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন,
‘প্রথমে বন্ধুদের দেখে খেলতে শুরু করি। লুডু দিয়ে শুরু, পরে দিনে দিনে হাজার টাকার বাজি লাগত। এখন প্রায় ৫০ হাজার টাকার ঋণে জর্জরিত, ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে।’
সবচেয়ে বিপর্যয়ে পড়ছে পরিবারগুলো। ঘরে অশান্তি, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ, ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক ছিন্ন—এ যেন সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার চক্র।
সন্তানরা পড়ালেখার পরিবর্তে দিনভর মোবাইলেই মুখ গুঁজে থাকে। যুবকরা হারাচ্ছে কাজের আগ্রহ, মুছে যাচ্ছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অনলাইন জুয়ার এই ভয়াবহ বিস্তার রোধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, না হলে অচিরেই ধ্বংসের মুখে পড়বে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এই সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে ২৮ হাজার ৪৭৩ বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
তবে শুধু শরণার্থী নয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও করছেন অনেক বাংলাদেশি। ২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। অধিকাংশ বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ২৪ হাজার ১২৬ বাংলাদেশি জাতিসংঘের কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০২২ সালে ২৩ হাজার ৯৩৫ জন, ২০২১ সালে ২২ হাজার ৬৭২ জন এবং ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯৪৮ জন বাংলাদেশি নিজেদের শরণার্থী দাবি করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে শরণার্থী হিসেবে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭৬৬, ২০১৮ সালে ২১ হাজার ২২ এবং ২০১৭ সালে ১৬ হাজার ৭৮০টি।
২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এছাড়া ২০২৩ সালে ৭৫ হাজার ৮৬৭ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। ২০২২ সালে ৬১ হাজার ২৯৮ জন, ২০২১ সালে ৬৫ হাজার ৪৯৫ এবং ২০২০ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৬ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৮৬০ এবং ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৮৬০।
তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই সুযোগসন্ধানী বা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছেন।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, অনেকে অবৈধ পথে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকেন বছরের পর বছর। এরপর এরা শরণার্থী হিসেবে স্থায়ী হওয়ার আবেদন করেন।
তিনি বলেন, কিছু দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেমন মিয়ানমার, সিরিয়া, আফগানিস্তান- এসব দেশ থেকে কেউ গেলেই অটোমেটিক তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না। আমাদের অনেকে অবৈধ হিসেবে গিয়ে শরণার্থী পরিচয় দেন, কিন্তু ইউরোপ জানে এরা অবৈধ অভিবাসী।
আসিফ মুনীর আরও বলেন, তবুও ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স আমাদের এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। কিন্ত বাস্তবিক অর্থে যারা অবৈধ পথে এসব দেশে যাচ্ছেন এরা শরণার্থী নন। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বহু মানুষ ইউরোপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে বহু বাংলাদেশি আছেন যারা শরণার্থী হিসেবে গিয়েছেন।
মোরা (আমরা) গরিব মানু (মানুষ)। মোগো(আমাদের ) কপালে ইলিশ নেই। ওগুলো খাইবে টাহা (টাকা) ওয়ালা বড় লোক মানুষ (মানুষ)। আক্ষেপ করে এ কথা বলেছেন আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের অটো চালক মনিরুল ইসলাম। ইলিশের মৌসুম হলেও বাজারে ইলিশের দাম চড়া গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ইলিশ মাছ কেনার সক্ষমতা নেই।
জানা গেছে, এক সময় রুপালী ইলিশে ভরপুর ছিল বঙ্গোপসাগর ও সাগর মোহনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদী। কিন্তু কালের বিবর্তনে বঙ্গোপসাগর ও সাগর মোহনা পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীতে তেমন ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পরছে না। ইলিশে শিকারের মৌসুম জুন মাস থেকে শুরু হয়ে নভেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে ভরা মৌসুম জুলাই মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে পুরো নভেম্বর মাস। এ সময়ে ইলিশ বঙ্গোপসাগর ও মোহনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। আমতলী-তালতলী উপজেলায় ১৫ হাজার ৭৯৯ জন জেলে রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলেই ইলিশ শিকার করে। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১১ জুন জেলেরা সাগর ও নদীতে পুরোদমে ইলিশ শিকার শুরু করেছে। সাগর ও নদীতে জেলেদের জালে মোটামুটি ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু ইলিশ শিকার যাই হোক কিন্তু দামে আকাশ ছোয়া। গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালেই বাইরে ইলিশের দাম।
তালতলী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সূত্রে জানা গেছে, চার ক্যাটাগরিতে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়। ২০০-৩০০ গ্রাম, ৪০০-৬০০ গ্রাম, ৭০০-৯০০ গ্রাম ও ১০০০ গ্রামের উপরে। এ চার ক্যাটাগরির ইলিশের দাম প্রথম ক্যাটাগরির ইলিশের মণ ৩৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ইলিশের মণ ৬০ হাজার টাকা, তৃতীয় ক্যাটাগরির ইলিশের মণ ৮০ হাজার টাকা ও চতুর্থ ক্যাটাগরির ইলিশের মণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তাতে ছোট ইলিশ তথা প্রথম ক্যাটাগরির ইলিশের কেজি ৮৫০ টাকা, দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ইলিশের কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা, তৃতীয় ক্যাটাগরির ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা এবং চতুর্থ ক্যাটাগরির ইলিশের কেজি ৩ হাজার টাকা। এত দামে ইলিশ ক্রয় করা গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষমতার বাইরে। দুই উপজেলা আমতলী-তালতলীতে অধিকাংশ গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার গত দুই বছরে ইলিশ মুখে তুলতে পারেনি এমন দাবি দেলোয়ার হাওলাদারের। এর মধ্যে সাগর ও পায়রা নদীর জেলেদের জালে শিকার হওয়া ইলিশ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না বলে দাবী করেন ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান ফরাজী। ওই মাছ ঢাকা, যশোর, খুলনা, সাতক্ষিরা, পাবনা, গাজীপুর, মাদারীপুর, কালকিনি, শরীয়তপুর, নরিয়া ও পাটচর এলাকায় রপ্তানি হয়। এর মধ্যে বড় সাইজের ইলিশ মাদারীপুর জেলায় বেশি রপ্তানি হয়। ওই জেলায় বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী টুকু সিকদার। ওই জেলার প্রবাসীরা এ ইলিশ ক্রয় করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, গত দুই বছরে কোনো ধরনের ইলিশ কিনে খেতে পারিনি। ইলিশের যে দাম তাতে আমাদের মতো আয়ের মানুষের ইলিশ কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এই দামে ইলিশ কিনে খায় তা নেহায়েত বিলাসিতা।
তালতলী ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. টুকু সিকদার বলেন, এ অবতরণ কেন্দ্রের কোন মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। সমুদয় মাছ বাসে অথবা ট্রাকে করে উত্তরাঞ্চলে রপ্তানি হয়। বিশেষ করে মাদারীপুর জেলায় এখানের বেশিরভাগ ইলিশ রপ্তানি হয়। ওই জেলার মানুষের ইলিশের চাহিদা বেশি। তিনি আরো বলেন, ইলিশের যে পরিমাণ দাম, এতো টাকা দিয়ে স্থানীয় মানুষের ইলিশ কিনে খাওয়ার সক্ষমতা নেই।
তালতলী উপজেলার ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জুয়েল বলেন, বাজারে ইলিশ মাছের দাম অনেক চরা। চার ক্যাটাগরিতে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়। এতে ছোট ইলিশের মণ ৩৫ হাজার টাকাএবং বড় ইলিশের মণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, দাম নির্ধারিত হয় পাইকারদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে। তারা ইলিশ মাছ ডেকে দরদাম করে ক্রয় করেন।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, ইলিশ দাম নির্ধারণে আমার কোন নির্দেশনা নেই। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে থাকলে সাধারণ মানুষ ক্রয় করতে পারত।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন মিয়া বলেন, ইলিশ মাছের দাম অনেক কিন্তু মূল্য নির্ধারণে আমার দফতর কাজ করে না। তিনি আরো বলেন, ইলিশের দাম নির্ধারণে জেলায় একটি কমিটি আছে, ওই কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সম্মান শেষ বর্ষের ২৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। এতে করে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডামুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিপরীতমুখী সড়কে, অর্থাৎ বাড্ডা থেকে কুড়িল বিশ্বরোডগামী যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হাসান ইউএনবিকে জানান, সকাল ৮টার পর ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ওসি জানান, সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অত্যন্ত কম নম্বর পাওয়ায় ভবিষ্যতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না—এমন আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া হয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সমুদ্রসীমার একটি পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে আরো পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য হাইড্রোগ্রাফিক পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত ও সমৃদ্ধ করতে সমুদ্র তলদেশের নির্ভুল মানচিত্রায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর ও টেকসই সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে।
‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ দিবসটি আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সাথে এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘সিবেড ম্যাপিং: এনাবলিং ওশান এ্যাকশন’- যার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্রায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে, অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাংলাদেশই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে একটি উৎপাদনমুখী ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সমুদ্র সম্পদকে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহারে বিশদ, হালনাগাদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রসীমার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ, চার্ট প্রস্তুত, সকল দেশি ও বিদেশি জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী, আমাদের মহীসোপান অঞ্চল নির্ধারণ এবং সুনীল অর্থনীতি বিকাশে হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমাদের সামরিক ও নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
তিনি ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
শনিবার সরকারি ছুটি থাকলেও বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকায় কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়করসহ রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী বেনাপোল কাস্টমস হাউস শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। ১৮ জুন উম্মে আয়মান কাশমী (দ্বিতীয় সচিব বোর্ড প্রশাসন-১) স্বাক্ষরিত একপত্রের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকায় আগামী ২১/০৬/২০২৫ ও ২৮/০৬/২০২৫ তারিখ শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এর অধীনস্থ কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়করসহ রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল দপ্তর খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। বেড়ে চলেছে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সরকারের দেওয়া হিসাবে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। এই সময়ে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১ জন। তবে এই সময়ের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের দিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বরিশাল বিভাগ, যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮৬ জন।
শুক্রবার (২০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৮ জন। আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৭ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৭৭ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
এই সময়ের মধ্যে মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
মন্তব্য