বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান মনে করছেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব–আইপিওতে যত বেশি কোম্পানি আসবে বিনিয়োগকারীদের তত বেশি অংশগ্রহণ বাড়বে পুঁজিবাজারে। বাড়বে বাজারের গভীরতা।
তার মতে, আইপিও-ই হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ, তবে মানসম্মত কোম্পানির আসতে হবে।
ছায়েদুর রহমান বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই গতিশীলতা ফিরেছে পুঁজিবাজারে। কমিশন পুনর্গঠন হওয়ার পর বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেটে যে সুবিধা দিয়েছেন তার কারণেও তারল্য বেড়েছে পুঁজিবাজারে।
করোনা সংকটের মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানো পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বিএমবিএ সভাপতি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন।
পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কোন বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দেয়া উচিত?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন–বিএসইসি পুনর্গঠনে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। পুঁজিবাজারে নেতৃত্ব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিএসইসির এই পুনর্গঠিত কমিশনই প্রমাণ করেছে।
চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন পুঁজিবাজারের ভালো করার জন্য ধারাবাহিক যে চেষ্টা চালাচ্ছে- তার সুফল আমরা পাচ্ছি।
বিদায়ী বছরের শেষ দিনে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে এবং ২০২১ সালে ২ হাজার কোটি টাকার নিয়মিত লেনদেন হবে বলে আশা করছি।
বাজার চাঙা করতে উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসইসি। যেখানে অনিয়ম হয়েছে সেখানে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
বাজার সম্প্রসারণে অনেক সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজের শাখা চালু বহুদিন বন্ধ ছিল, সেগুলো ফের চালু করা হয়েছে। দেশের বাইরেসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বুথ স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এগুলো বাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এখন ইচ্ছা করলে আমরা বিদেশে গিয়ে পুঁজিবাজারে অপারেট করতে পারব। এরই মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান দুবাইতে ডিজিটাল আউটলেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। পরবর্তীতে বড় বড় হাউজগুলো এগিয়ে আসবে। এতে করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে আগ্রহী হবেন।
বন্ড মার্কেট অবহেলিত। এর উন্নয়নে আপনার পরামর্শ কী?
বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আগে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও সমন্বয় না থাকায় সুফল পাওয়া যায়নি। বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান আসার পর এটি নিয়ে আলাদাভাবে কাজ চলছে। বাজারে নতুন আসা ইসলামী শরিয়া বন্ড ‘সুকুর’ নিয়ে কাজ চলছে। ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। এখন সমন্বয় করা হচ্ছে। ফলে আশা করছি, এই বাজার আরও সক্রিয় হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?
অনেকেরই ধারণা, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কাজ শুধু পুঁজিবাজারে নতুন ইস্যু নিয়ে আসা। এটা ঠিক নয়। আমাদের অনেক কাজের মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে বিনিয়োগ সুরক্ষা দেয়া।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংককে প্রতি দুই বছর অন্তর একটি কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব-আইপিওতে আনতে হবে, কিন্তু বর্তমানে আমরা তা পারছি না।
কারণ, অতীত রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরে ১০ থেকে ১২টা নতুন কোম্পানি আইপিওতে আসে। অথচ মার্চেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা ৬৩টি। এ হিসাবে বর্তমানের চেয়ে আরও অনেক কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসার কথা। আমরা সন্ধান করলেও আগ্রহী নয় কোম্পানিগুলো। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শেয়ার ইস্যুর কোটা পূরণ করতে পারছে না।
নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ায় পেছনে কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখন আলোচনা চলছে ঘন ঘন আইপিওর অনুমোদন দিলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আটকে থাকবে। গত বছর যখন বাজার মন্দা চলছিল তখন আইপিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এখন আইপিও দ্রুত অনুমোদন পাচ্ছে। ফলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বাজার বড় হলে আইপিও কোনো বিষয় না। আইপিও হচ্ছে বাজারের প্রাণ। আইপিও বাড়লে নতুন বিনিয়োগকারী আসবে, নতুন ফান্ড তৈরি হবে। বাজারের গতিশীলতা বাড়াবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সবসময় নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সন্ধান করে। কোনো কোম্পানি আসতে না চাইলে জোর করে নিয়ে আসা ঠিক হবে না।
আমরা চাই, পুঁজিবাজারে বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তির চেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো আসুক। ভালো ও মানসম্পন্ন কোম্পানি আসলে বাজারে গভীরতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে।
পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকার দুটি আলাদা তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে বিএসইসি। এ তহবিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলুন।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজারে তারল্য বাড়ানো। দীর্ঘসময় পুঁজিবাজার নেতিবাচক থাকার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে গেছে। এটা বাড়ানোর সহজ পন্থা হচ্ছে তহবিল গঠন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসি সেটা নিয়ে কাজ করছে।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ রেখেছেন। এতে করে অর্থের জোগান বাড়বে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দিক থেকেও তহবিল আসবে।
অনেকেই বলেন স্থিতিশীল পুঁজিবাজার দেখতে চাই। বাস্তবে সেটা কখনও সম্ভব নয়। কারণ, পুঁজিবাজার সব সময় গতিশীল। পুঁজিবাজার যদি স্থিতিশীল হয় তাহলে কেউ এখানে বিনিয়োগ করবে না। পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম কমবে, না হয় বাড়বে। দাম কমলে আপনি কিনবেন, আর বাড়লে বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক প্রবণতা বাজারের। আমরা চাই গতিশীল পুঁজিবাজার।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে পুঁজিবাজারের ক্ষতি সম্পর্কে বলুন।
সাড়ে তিনশর মতো ব্রোকারেজ হাউজ। ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক। ৪০টির মতো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। লেনদেনে কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আহরণ কমে গেছে।
শেয়ারের সমবণ্টন, ডিজিটাল বুথ পরিচালনাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বাজার চাঙা করতে এসব পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখবে?
যে কোনো বিষয় শুরুর আগে আমরা নেতিবাচক চিন্তা করি। তা না করে ইতিবাচক কাজ করা উচিত।
ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাজ হচ্ছে বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট করে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়া। পাশাপাশি পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
১৯৯৬ সালের কেলঙ্কারি ও পরবর্তী ২০১০ সালে বাজারে মহাধসের জন্য যে সব ভুল-ত্রুটি ছিল, তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তাহলে সমস্যাগুলো আর সামনে আসবে না। ঝুঁকি থাকবে, তবে সেই ঝুঁকি হবে বাস্তবসম্মত ও গঠনমূলক।
সবার জন্য শেয়ারের সমবণ্টনের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবসম্মত হবে না। এটি কার্যকর হলে শেয়ারের চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যে কিছুটা হেরফের হবে। যদি শেয়ারের চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় তাহলে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়াই উত্তম।
অনেক উদ্যোগ নিয়েও কারসাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?
পুঁজিবাজারে একটা শ্রেণি আছে যারা ট্রেডিংয়ের (লেনদেনের) সঙ্গে সম্পৃক্ত। যারা ট্রেড করে তাদের আচরণ আর যারা বিনিয়োগ করে তাদের আচরণ এক হবে না। বুঝতে হবে কোনটা কারসাজি, আর কোনটা কারসাজি না।
বিনিয়োগের জন্য কারো মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়া যাবে না। কারসাজি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানানোর সুযোগ আছে।
বিএসইসি এসব বিষয়ে অনেক সচেতন। সংস্থাটি সফটওয়ারে আধুনিকায়ন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই তাদের ওয়েবসাইটে আলাদা একটি জায়গা রেখেছেন যেখানে অভিযোগ দেয়া যায় এবং সেগুলো প্রতিদিনই মনিটরিং করা হয়।
বিনিয়োগকারীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
জেনেশুনে, বুঝে, যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগ করতে হবে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। দ্রুত লাভবান না হয়ে সুচিন্তিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। তা হলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। দ্রুত লাভবান হতে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না। তাহলে কারসাজির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নতুন বছরে পুঁজিবাজার থেকে প্রত্যাশা অনেক। এখন আমাদের বাজারের যে পরিধি, যে পরিমাণ বিনিয়োগকারী আছেন, যে পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আছে, তাতে প্রতিদিন লেনদেন
দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। দেশে নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। কিন্তু পুঁজিবাজারে তিনশ কোম্পানি তালিকাভুক্ত। আরও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। এতে করে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সার্বিকভাবে পুঁজিবাজার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
বিদায়ী ২০২০ সালের শেষ দিকে বাজার তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল। এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ। বাজার মূলধন বর্তমানে ৪ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি হয়েছে। আইপিওতে অগ্রগতি হয়েছে। শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম (ফ্লোর প্রাইস) বেঁধে দেয়ায় কোভিড-পরবর্তী শেয়ার বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য