× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটস
google_news print-icon

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট

কোথায়-সেই-আলাউদ্দিন-সুইটমিট
২০০২ সালের পর ২০০৫ সাল পর্যন্ত কোনোমতে ব্যবসা চললেও এরপর চার বছর আলাউদ্দিন সুইটমিটের সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৯ সালে আবার ফিরে আসে এই মিষ্টি, ঢাকায় ফের চালু হয় সাতটি শাখা। দেশের বাইরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আছে চারটি শাখা।

গত শতকের আশির দশকে ঢাকাকে উপস্থাপনের হাতেগোনা কিছু আইকনিক প্রতিষ্ঠানের একটি আলাউদ্দিন সুইটমিট। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় নিয়মিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই মিষ্টির নাম ছড়িয়েছিল দেশজুড়ে।

সেই সময়ের প্রজন্মের অনেকের কাছে রাজধানী ঢাকা আর আলাউদ্দিন সুইটমিট মিলেমিশে এক হয়ে আছে। ‘আলাউদ্দিন মিষ্টি, অপূর্ব সৃষ্টি’- স্লোগান ঘুরত অনেকের মুখে মুখে।

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট
পত্রিকার পাতায় আলাউদ্দিন সুইটমিটের বিজ্ঞাপন।

বাংলাদেশে ব্র্যান্ড মিষ্টির পথ দেখানো সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট এখন এক বিস্মৃত নাম। ঢাকার বুকে কোথায় আছে সেই মিষ্টির দোকান, ভিড়ভাট্টাই বা কেমন, কী করে হারিয়ে গেল জৌলুসের অধ্যায়- সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে নিউজবাংলা।

ইতিহাস বলছে, দেড়শ বছরের কিছু বেশি আগে ভারতের লখনোউ থেকে পুরান ঢাকার চকবাজারে আসেন মিষ্টি ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হালওয়াই। তিনি ১৮৯৪ সালে গড়ে তোলেন আলাউদ্দিন সুইটমিট, যা ছিল ঢাকা শহরের বুকে প্রথম খ্যাতি ছড়ানো মিষ্টির দোকান।

ঢাকার মিষ্টির জগতে দীর্ঘদিন রাজত্ব করা সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট এখন চলছে ধুঁকে ধুঁকে। এক দশক আগে প্রায় চার বছর একরকম বন্ধ ছিল ব্যবসা। এর পর নতুন হাতে আলাউদ্দিন সুইটমিট ফিরে এলেও এখনও চলছে টিকে থাকার লড়াই।

দেশবিখ্যাত এই মিষ্টির জন্ম যেখান থেকে, সেই পুরান ঢাকার চকবাজারের আদি অবস্থানে এখনও রয়েছে আলাউদ্দিন সুইটমিটের প্রধান শাখা। ব্যবসার হাল ধরেছে চতুর্থ প্রজন্ম। বদলেছে মিষ্টির ধরন, এমনকি প্যাকেটের নকশাও। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে নেয়া হয়েছে ডিজিটাল বিপণন কৌশল।

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট
আলাউদ্দিন সুইটমিটের মিষ্টির প্যাকেট। ছবি: নিউজবাংলা

আলাউদ্দিন সুইটমিটের বর্তমান পরিচালক মারুফ আহমেদ। আলাউদ্দিনের নাতির মেয়েকে ২০০৯ সালে বিয়ে করে অংশ হয়েছেন এই পরিবারের, সেই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার।

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট
আলাউদ্দিন সুইটমিটের বর্তমান পরিচালক মারুফ আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

এক সময়ের দাপুটে আলাউদ্দিন সুইটমিটের নানান পর্যায় সম্পর্কে নিউজবাংলাকে জানান মারুফ।

‘বেসিক্যালি আমাদের প্রতিষ্ঠানটা অনেক পুরাতন। তখন শহরের প্রাণকেন্দ্র ছিল চকবাজার। আগের দিনে মিষ্টির ব্যবসা ছিল হোটেল বেইজড, মিষ্টির দোকান হিসেবে আমরাই প্রথম শুরু করি।

‘প্রতিষ্ঠার সময় তিন দেশ একসাথে ছিল (ভারতীয় উপমহাদেশ)। এরপর আলাউদ্দিন সাহেব মারা গেলেন। তার ছেলেরা দায়িত্ব নিলেন, তারপরে আমার শ্বশুর, কিন্তু ২০০২ এর দিকে শ্বশুর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে গেলেন।’

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে জৌলুস হারাতে শুরু করে আলাউদ্দিন সুইটমিট, নতুন শতাব্দীতে ব্যবসায়িক মন্দা তীব্রভাবে দেখা দেয়। মারুফ আহমেদ জানান, ২০০২ সালের পর ২০০৫ সাল পর্যন্ত কোনোমতে ব্যবসা চললেও এরপর চার বছর আলাউদ্দিন সুইটমিটের সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৯ সালে আবার ফিরে আসে এই মিষ্টি, ঢাকায় ফের চালু হয় সাতটি শাখা। দেশের বাইরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আছে চারটি শাখা।

নতুন এই যাত্রায় হাল ধরা মারুফ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৯ সালে আমি এ পরিবারে বিয়ে করি, এরপর একা হাতে আবার সব শুরু করি।’

কীভাবে হারালো আলাউদ্দিন সুইটমিটের সুদিন- জানতে চাইলে মারুফ আহমেদের জবাব, ‘এই কোম্পানি এক সময় ছিল ফ্যামিলিকেন্দ্রিক। বাইরের কোনো অংশীদার ছিল না। একা একা ব্যবসা পরিচালনার কারণে সমস্যা দেখা দেয়।

‘একজন অসুস্থ হলে তো পুরো ব্যবসা বন্ধ হতে পারে না। আজ আমার সমস্যা হলে ব্যবসাতেও প্রব্লেম হয়, কারণ সাথে আর কেউ নাই৷ পরিচালক কম৷ এমন না যে ব্যবসা করতে পারতেছি না, তবে একা একা ব্যবসা করা খুব টাফ।’

প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য মিষ্টির প্রতিষ্ঠানে শক্ত ব্যবস্থাপনার উদাহরণ দিতে গিয়ে মারুফ টানেন ‘বনফুল’ কোম্পানির নাম।

‘বনফুলের মালিক ছাড়াও বনফুলের সাথে আরও অনেকে আছেন, যারা তার অনুপস্থিতিতে ব্যবসাটা পরিচালনা করবেন। কিন্তু আমাদের পরিচালনায় তেমন কেউ নাই। তা ছাড়া আমাদের পূর্বপুরুষেরা সেভাবে শিক্ষিত ছিল না। এই কারণে মূলত আমাদের পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। অন্য কোনো কারণ নাই।’

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট

মানুষের রুচির পরিবর্তনেও মিষ্টির ব্যবসা আগের মতো নেই বলে মনে করছেন আলাউদ্দিন সুইটমিটের পরিচালক। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে মানুষ বেড়ে গেছে। আগে এই শহরে মানুষ ছিল ২০-৩০ লাখ, এখন ২-৩ কোটি। আগে বিনোদন বলতেই ছিল মিষ্টি। জন্মদিন, বিয়ে, মৃত্যুবার্ষিকী সবকিছুতেই মিষ্টির উপস্থিতি ছিল। এখন বার্গার, পিজ্জা সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে।’

ব্যবসায় ধস নামলেও গুণগত মানে আলাউদ্দিন সুইটমিট এখনও অনন্য বলে দাবি করছেন মারুফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনটা ফ্যাক্টরি আছে, একযোগে প্রোডাকশন হয়। আমরা গুণগত মান ধরে রাখার চেষ্টা করি। আমাদের বিশেষত্ব হলো আমরা কোনো প্রোডাক্টে প্রিজারভেটিভস ইউজ করি না।

‘আমাদের মিষ্টি নিবেন, দুই দিন পর নষ্ট হবে। কারণ, আমরা কোনো আর্টিফিশিয়াল প্রিজারভেটিভস ইউজ করি না।’

আগে আলাউদ্দিন সুইটমিটে মাত্র কয়েক ধরনের মিষ্টি থাকলেও এখন সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে বলেও জানান মারুফ।

‘আগে দোকানে ৪-৫টা আইটেম বিক্রি করা হতো। লালমোহন, রসগোল্লা, কালোজাম, ছানা, মনসুর, আমিত্তি। এখন মনসুর ও আমিত্তি বাদে সব আইটেম আছে। এর সাথে আরও আইটেম আছে।’

কোথায় সেই আলাউদ্দিন সুইটমিট

কেবল মিষ্টির ব্যবসাই নয়, আলাউদ্দিন সুইটমিটের জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গেও। এর বহুল পরিচিত ব্র্যান্ডিং নকশাটি করেন শিল্পী রফিকুন নবী। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট থেকেই নকশায় থিম হিসেবে বেছে নেয়া হয় ‘অ’-কে। তবে আদি রঙ ও ডিজাইনের প্যাকেটের পরিবর্তে এখন আলাদা ধরনের প্যাকেটেও বিক্রি হচ্ছে এই মিষ্টি।

রাজধানীতে চকবাজার ছাড়াও সিদ্ধেশ্বরী, মৌচাক, নারিন্দা, আজিমপুর, ইসলামপুর, খিলগাঁওয়ে রয়েছে আলাউদ্দিন সুইটমিটের শাখা।

আরও পড়ুন:
আসল পোড়াবাড়ির চমচমে চাই ধলেশ্বরীর গরু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
How to make Jilapi at home

ঘরে বসে জিলাপি বানাবেন যেভাবে

ঘরে বসে জিলাপি বানাবেন যেভাবে ঘরে বসে খুব ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করা যায় জিলাপি। ছবি: সংগৃহীত
জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।

রোজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা জিলাপি খেয়ে থাকি। কেউ কেউ নিয়মিতই খাবারটি খান।

এ জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।

ঘরে বসে কীভাবে জিলাপি বানানো যায়, তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।

উপকরণ

ডো তৈরির জন্য এক কাপ ময়দা, তিন থেকে চার কাপ পানি, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ টক দই, এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা।

সিরা তৈরির জন্য দুই কাপ চিনি, এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার। এর সঙ্গে ভাজার জন্য লাগবে দেড় কাপ তেল।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে পানির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর টক দই দিয়ে খুব ভালো করে পাঁচ মিনিট ফেটে নিতে হবে। তারপর এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।

পরে সিরা করে নিতে হবে। পাত্রে পানি, চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে ঘি, লেবুর রস, সামান্য ফুড কালার দিয়ে সিরা করে ঠান্ডা করতে হবে।

এক ঘণ্টা পরে মেখে রাখা ডোর মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে আবার দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে মুচমুচে করে জিলাপি ভাজতে হবে। চিনির সিরায় এক মিনিটের মতো রেখে তা উঠিয়ে নিতে হবে।

জিলাপি ভাজার জন্য সসের বোতল, ছোট পানির বোতল বা পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে।

আরও পড়ুন:
আমের জিলাপি: ‘রসগোল্লা’কে জরিমানার পেছনে আসলে কী
কাঁচা আমের পর এবার তরমুজের জিলাপি
কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন
এবার কাঁচা আমের জিলাপি
এক কেজি জিলাপির দাম কেন ২৭০০ টাকা

মন্তব্য

বিশেষ
Drink delicious mango panna after iftar

ইফতারে পান করুন মজাদার আম পান্না

ইফতারে পান করুন মজাদার আম পান্না মজাদার আম পান্না। ছবি: সংগৃহীত
গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আম পান্না। এটিকে আরও লোভনীয় দেখাতে আপনি সামান্য সবুজ খাবারের রং দিতে পারেন।     

আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন মজাদার আম পান্নার শরবত। ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল কুক উইথ পারুলের আম পান্নার রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১.কাঁচা আম- ৪টি

২.চিনি/মিশ্রি- স্বাদমতো

৩. ভাজা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ

৪. গোলমরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ

৫. বিট লবণ- ১ চা চামচ

৬. লবণ- স্বাদমতো

৭. কাঁচা মরিচ- ২টি (কুচি)

৮. এলাচ গুঁড়া- সামান্য

৯. পুদিনা পাতা-সামান্য

১০. লেবুর রস- ১ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। এবার গরম পানিতে আম সেদ্ধ করে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডারে সেদ্ধ আম, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, বিট লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, লেবুর রস ও পুদিনাপাতাসহ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আম পান্না। এটিকে আরও লোভনীয় দেখাতে আপনি সামান্য সবুজ খাবারের রং দিতে পারেন।

আরও পড়ুন:
ইফতারে মজাদার শির খুরমা
হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ বানাবেন যেভাবে
আর্জেন্টাইনদের প্রিয় খাবার আসাদো বানাবেন যেভাবে
ঈদে রাতের খাবারদাবার
ঈদের দুপুরে জম্পেশ খাবার

মন্তব্য

বিশেষ
Online travel date change service is available for airlines

অনলাইনে ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের

অনলাইনে ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। ছবি: বিমান
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমানের যে সকল সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ)-এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।’

যাত্রীসেবার মান্নোয়নের অংশ হিসেবে অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমানের যে সকল সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ)-এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।

‘সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ টিকেট ক্রয়ের সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন। বিমানের ওয়েবসাইটে বুক ফ্লাইট (Book Flight) অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ (Manage My Trip) অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।’

আরও পড়ুন:
বিমানের নতুন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল
কুয়াশায় শাহজালালে ফ্লাইট ওঠানামায় বিপত্তি
উড়োজাহাজে নারীর গায়ে প্রস্রাব করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠা-নামায় বিঘ্ন
একান্নতে এসেও খোঁড়াচ্ছে বিমান

মন্তব্য

বিশেষ
Delicious Shir Khurma for Iftar

ইফতারে মজাদার শির খুরমা

ইফতারে মজাদার শির খুরমা মজাদার শির খুরমা। ছবি: সংগৃহীত
ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস ও কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। রোজায় ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইফতারে মজার মজার খাবারের পাশাপাশি রোজাদারদের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পুষ্টিকর খাবারেরও। এসব বিষয় চিন্তা করে ইফতারে রাখতে পারেন শির খুরমা।

রন্ধন শিল্পি রোকসানা আক্তার সুমি রেসিপি শির খুরমার রেসিপি তুলে ধরেছেন নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ:

১. সেমাই ১কাপ

২. দুধ এক লিটার

৩. গুঁড়া দুধ ১কাপ

৪. কনডেন্স মিল্ক এক কাপ

৫. ঘি ৩ টেবিল চামচ

৬. ৩টি এলাচ গুঁড়ো

৭. নুন এক চিমটি

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমেই কাজু,কিসমিস, পেস্তা, খোরমা সব ১ টেবিল চামচ করে কুচি করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ ৫ মিনিট ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। গুঁড়া দুধ ও কনডেন্স মিল্ক দিয়ে আরও তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে ড্রাই ফ্রুটস গুলো হালকা ফ্লেমে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সেমাই ভাজতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দুধে ঢেলে দিতে হবে। কিছু ড্রাই ফ্রুটস দিতে হবে। এক চিমটি নুন দিতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস ও কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

আরও পড়ুন:
আর্জেন্টাইনদের প্রিয় খাবার আসাদো বানাবেন যেভাবে
ঈদে রাতের খাবারদাবার
ঈদের দুপুরে জম্পেশ খাবার
ঈদ শুরু হোক মজাদার নাশতায়
গরমে প্রশান্তির ম্যাংগো মিল্কশেক

মন্তব্য

বিশেষ
How to Make Healthy Egg Drop White Soup

হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ বানাবেন যেভাবে

হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ বানাবেন যেভাবে পছন্দমতো ঘনত্ব রেখে নামিয়ে গরম গরম সার্ভ করতে পারেন হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ। ছবি: নিউজবাংলা
একটি প্যান গরম করতে হবে। তাতে বাটার দিয়ে রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে চিকেন কুচি ও সয়া সস দিয়ে ভাজতে হবে। দুই মিনিট ভাজার পর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও পানি দিয়ে দিতে হবে।

স্যুপের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে তৈরি করা হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ অনেকেরই পছন্দের। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই এতে মিলবে ডিম আর চিকেনের পুষ্টি।

উপকরণ

১. ছোট ছোট করে কুচিয়ে নেয়া চিকেন হাফ কাপ

২. দুটি ডিমের সাদা অংশ

৩. দুই টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার

৪. ৩ কাপ পানি

৫. বাটার ১ টেবিল চামচ

৬. স্বাদ অনুযায়ী লবণ

৭. এক চা চামচ সয়া সস

৮. দুটি কাঁচামরিচ

৯. আধা চা চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়া

১০. আধা চা চামচ চিনি (বাধ্যতামূলক নয়)

১১. আধা চা চামচ রসুন মিহি কুচি

রন্ধন প্রণালি

রন্ধনশিল্পী রোকসানা আক্তার সুমি জানিয়েছেন হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ তৈরির পদ্ধতি, যেটি তার ভাষায় নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।

একটি প্যান গরম করতে হবে। তাতে বাটার দিয়ে রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে চিকেন কুচি ও সয়া সস দিয়ে ভাজতে হবে।

দুই মিনিট ভাজার পর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আস্ত কাঁচামরিচ ও গোল মরিচের গুঁড়া দিতে হবে।

তিন মিনিট রান্নার পর কর্ন ফ্লাওয়ার দুই টেবিল চামচ পানি দিয়ে গুলে আস্তে আস্তে স্যুপে দিতে হবে ও নাড়তে হবে। এ সময় চুলা মিডিয়াম লো ফ্লেমে রাখতে হবে।

পরে ডিমের সাদা অংশ উঁচু থেকে অল্প অল্প করে দিতে হবে ও অনবরত নাড়তে হবে। যেন জমাট বেঁধে না যায়। লবণ চেক করে চিনি দিয়ে পছন্দমতো ঘনত্ব রেখে নামিয়ে গরম গরম সার্ভ করতে পারেন হেলদি এগ ড্রপ হোয়াইট স্যুপ।

স্বাস্থ্যগত কারণে চাইলে চিনি স্কিপ করা যাবে। এটা শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্য।

আরও পড়ুন:
আর্জেন্টাইনদের প্রিয় খাবার আসাদো বানাবেন যেভাবে
ঈদে রাতের খাবারদাবার
ঈদের দুপুরে জম্পেশ খাবার
ঈদ শুরু হোক মজাদার নাশতায়
গরমে প্রশান্তির ম্যাংগো মিল্কশেক

মন্তব্য

বিশেষ
Indian youth on a world tour on foot in Jhalakathi

পদব্রজে বিশ্বভ্রমণে নামা ভারতীয় তরুণ ঝালকাঠিতে

পদব্রজে বিশ্বভ্রমণে নামা ভারতীয় তরুণ ঝালকাঠিতে হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণে বের হওয়া ভারতীয় তরুণ রোহান আগারওয়াল মঙ্গলবার ঝালকাঠি শহরে প্রবেশ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতের উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর গঙ্গার তীর থেকে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট হাঁটা শুরু করেছিলেন রোহান। ইতোমধ্যে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ। বাংলাদেশের ৪৯টি জেলাও ভ্রমণ করে ফেলেছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি এমন ১৫টি দেশ হেঁটে ভ্রমণের পরিকল্পনা তার। সব শেষে যাবেন সাইবেরিয়ায়।

পদব্রজে ভারতের ২৭টি রাজ্য ভ্রমণ শেষে ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা রোহান আগারওয়াল এখন ঝালকাঠিতে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪৯টি জেলাও তিনি হেঁটে ভ্রমণ করেছেন।

ভারতের ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠিতে পৌঁছেন। প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে নিরন্তর হেঁটে চলেছেন তিনি।

২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর গঙ্গার তীর থেকে হাঁটা শুরু করেছিলেন রোহান। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেশি এমন ১৫ দেশ হেঁটে ভ্রমণের পরিকল্পনা তার। সব শেষে তিনি যাবেন সাইবেরিয়ায়।

রোহান এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৯টি জেলায় গেছেন। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানকার স্কুল-কলেজে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

রোহানের বক্তব্য- এই পৃথিবী শুধু মানুষের বসবাসের জন্য নয়। পৃথিবীতে আরও অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। পরিবেশ-প্রকৃতির দূষণ কেবল মানুষ নয়, তাদেরও অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আর দূষণ যেহেতু মানবসৃষ্ট তাই মানুষকেই পরিবেশের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।

রোহান আগারওয়ালের আগমনের বিষয়ে ঝালকাঠির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুরন্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালক তাসিন অনিক বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি যে, রোহান বাংলাদেশে আসবেন। পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছেন এই তরুণ। তার উদ্দেশ্য খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী। তাই ঝালকাঠিতে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

বিডি ক্লিন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি বলেন, ‘রোহানের উদ্দেশ্য অসাধারণ। আমাদের দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এতে পরিবেশের দূষণ বাড়ছে। এই দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করায় আমরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছি।’

নিউজবাংলাকে রোহান বলেন, ‘আমার এই যাত্রা শুরুর মূল উদ্দেশ্য হল প্লাস্টিক ও এর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেয়া। আমার লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম যেন দূষণমুক্ত একটি পৃথিবী পায়, বিশুদ্ধ পরিবেশ পায়। আমি এই যাত্রায় মোট ৯৪০ দিন ধরে আছি। বাংলাদেশে আজ (বুধবার) আমার ১৪০তম দিন। পরিবেশ সম্পর্কে আমার বার্তা দেয়ার জন্য অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি।’

মন্তব্য

বিশেষ
Sultans Dines Katchi did not get dog cat meat consumer rights

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস পায়নি ভোক্তা অধিকার

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস পায়নি ভোক্তা অধিকার সুলতান’স ডাইনের বিরিয়ানি। ফাইল ছবি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, তা বন্ধ পাওয়া যায়। খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার নিঃসন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে ‘সুলতান’স ডাইন’ নামের রেস্তোরাঁর কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সুলতান’স ডাইনকে নিয়ে অভিযোগের তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে এ কথা জানায় অধিদপ্তর, যেটি প্রকাশ হয় সোমবার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোক জানানো যাচ্ছে যে, ৯ মার্চ ২০২৩ বিকাল আনুমানিক ৩.৪৫ থেকে ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান ডাইন’স, গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয় এবং অদ্য ১৩ মার্চ ২০২৩ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং উক্ত শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনান্তে নিম্নরূপ তথ্য পাওয়া যায়।

‘অভিযুক্ত মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান, কাপ্তান বাজার নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোশত সংগ্রহ করে থাকেন। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান, কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় এ সকল খাসির হাড় চিকন হয়।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, তা বন্ধ পাওয়া যায়। খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার নিঃসন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’

আলোচনার শুরু যেখান থেকে

গত ৮ মার্চ, বুধবার বিকেলের পর থেকেই সুলতান’স ডাইনের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন অনেকে। কনক রহমান খান নামের একজনের বরাতে একটি পেজে দেয়া হয় এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

ওই পোস্টে প্লেট ও প্যাকেটে বিরিয়ানি রাখা দুটি ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘বৃহস্পতিবার সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি আনা হয়েছিল ৭টা। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হলো যে, এটা তো মাটন না অবশ্যই। মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না‌। তখন সুলতান’স ডাইনের গুলশান-২-এর নম্বরে কল দেই; জিগ্যেস করি এটা কী মাংস ছিল?

‘উনারা দুজনসহ আবার খাবার পাঠায়। সাথে উনাদের এজিএম আশরাফসহ আসে। নতুন খাবারের সাথে আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সাথে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বলি। এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না। তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোনো কিছু করতে পারে।’

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস পায়নি ভোক্তা অধিকার

ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘৯৯৯-এ কল দেই। ৯৯৯ বলে বিএসটিআইয়ের নম্বরে অভিযোগ করতে। ৯৯৯ থেকে গুলশানের ডিএমডি পুলিশের নম্বর দেয়া হয়, অভিযোগ জানাতে। এটাও করি। কাল এক সাংবাদিক ফোন‌ করে আমায় থ্রেট করে। আসলে দেশে কি টাকা দিয়ে কুকুর বিড়াল খাওয়ালেই তারাই জিতে? মানবাধিকার কোথায়, খাদ্য নিরাপত্তা কোথায়?’

এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর নিরব হোটেলে গরুর মাংসের নামে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ফেসবুকে তার পোস্ট ভাইরাল হলে তখন ৪৮ বছরের নাজিম উদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোটেলটির খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ওই অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিরব হোটেলের পক্ষে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয় তখন।

সাভারের আশুলিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ ওঠে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ নামের এক খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দোকানটির একজনকে আটকও করে পুলিশ।

পরে অবশ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেন, ওই দোকানের বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস ছিল না।

নিউজবাংলাকে কী বলেছিল সুলতান’স ডাইন

কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংসের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলে নিউজবাংলার কাছে দাবি করেছিল রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ক্রেতার অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর ৮ মার্চ রাতে নিউজবাংলার কাছে এমন দাবি করেন রেস্তোরাঁটির গুলশান-২ শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন অফিসার ববি রানি দাস।

তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা অনেক বড় ব্র্যান্ড। এক ক্রেতা বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির যে অভিযোগ করেছেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

ববি রানি বলেন, ‘ওই ক্রেতা ফোনে অর্ডার দিয়ে চার-পাঁচ দিন আগে দুপুরে খাবার নিয়ে গেছেন। তারপর অভিযোগ করেছেন। আমাদের ম্যানেজার আশরাফ স্যার সেখানে অভিযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন।’

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে কুকুর-বিড়ালের মাংস পায়নি ভোক্তা অধিকার
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এই ছবি

তিনি বলেন, ‘যে অভিযাগ উঠেছে, তা করা হয়েছে আমাদের দুর্নামের জন্য। অভিযোগ পেয়ে যাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে এই অভিযোগের কোনো মানে হয় না।’

যে ক্রেতার পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে তাকে নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ববি রানি।

তিনি বলেন, ‘‘ওই ক্রেতার পরিচয় আমরা জানি না। উনি খাবার নেয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এগুলো কিসের মাংস দিয়েছেন, বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি।’ আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’’

আরও পড়ুন:
খাসির মাংস খাওয়ার ভালো-মন্দ
বিরিয়ানিতে কুকুর-বিড়ালের মাংসের অভিযোগ সত্য নয়, বলছে সুলতানস ডাইন
বিরিয়ানি খেয়ে কমছে পুরুষত্ব, দোকান বন্ধ
স্বর্ণের প্লেটে বিরিয়ানি
আসল হাজী বিরিয়ানির শাখা কয়টি

মন্তব্য

p
উপরে