× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
কিলো ফ্লাইট মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প
google_news print-icon

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

কিলো-ফ্লাইট-মুক্তিযুদ্ধে-আকাশ-জয়ের-গল্প
বাংলাদেশের প্রথম বিমানবহর কিলোফ্লাইটের সদস্যরা। ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাত্রা শুরু ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটিতে। দুটি বেসামরিক বিমান আর হেলিকপ্টারকে মডিফাই করে তৈরি হয় বাংলাদেশের প্রথম বিমানবহর। নাম দেয়া হয় কিলো ফ্লাইট।

দেশকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীতে কাজ করা বাঙালি অফিসার আর সেনাদের অবদানও কোনো অংশেই কম নয়।

শোষণ-বঞ্চনায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ও সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত বাঙালিরাও ছিলেন ক্ষুব্ধ।

যুদ্ধ যখন শুরু হয়ে যায়, তখন তারা মন দেন নিজেদের বিমান বাহিনী গঠনে। প্রায় ৫০০ জন সৈনিক ও ৩৫ জন অফিসার পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন যুদ্ধ করতে।

একই পথ ধরেছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সসহ সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত ১৭ জন পাইলটও।

স্থলবাহিনীর তুলনায় বিমান বাহিনী তৈরির কাজটি জটিল। আন্তরিকতা আর সাহসের পাশাপাশি দরকার অবকাঠামো, বিমান, অর্থকড়ি, যার কোনোটি ছিল না সে সময়ের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের।

তবে মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলতে সহায়তা দেয়া ভারত হাত বাড়ায় বিমান বাহিনী গঠনেও। ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মাসে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ক্ষণ। ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটিতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে জন্ম নেয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রথম যে বিমানবহর যুক্ত হয় তার নাম দেয়া হয় ‘কিলো ফ্লাইট’।
কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

কিলো ফ্লাইটে বিমান চালনা ও অপারেশনের জন্য সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন নয় জন। স্বাধীন বাংলা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে বীর উত্তম ও বীর প্রতীক হিসেবে।

তারা হলেন এক নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ও কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন বদরুল আলম (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার (বীর প্রতীক), ক্যাপ্টেন খালেক (বীর প্রতীক), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মাদ শামসুল আলম (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন মুকিত (বীর প্রতীক) এবং ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম)।

ক্যাপ্টেন শাহাবউদ্দিন আহমেদ এখন থাকেন রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে। বিজয়ের মাসে ৭১ এর স্মৃতির আকাশে উড়াল দেন তিনি, সঙ্গী নিউজবাংলা।

মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে এলেন?

আমি তখন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে (পিআইএ) পাইলট হিসেবে কাজ করি। পাকিস্তানিদের তুলনায় বাঙালি অফিসারদের অধিকারের জায়গাটা সবসময়ই থাকত ছোটো। প্রশিক্ষণ থেকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সব জায়গায় ছিল বৈষম্য। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ১৯৬৮ সালে ইস্ট পাকিস্তান পাইলট অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে বাঙালি পাইলটরা।
কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

সেটাও খুব সহজ ছিল না। কাঠখড় পুড়িয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরে তবেই মিলেছিল নিবন্ধন। আমরা পাকিস্তানে বিশ্বাসী না এমন তকমা দিয়ে রাজনৈতিক রঙে রাঙানো হল পাইলটদের। ২৫ মার্চের নৃশংসতা আমাদের আর সহ্য হয় না। এরপর আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের চার বাঙালি পাইলটকে মেরে ফেলল। এরপরই ঠিক করি যুদ্ধে যাব, স্বাধীন দেশ লাগবে।

সে সময় তো কারফিউ ছিল, কঠোর নজরদারি আপনাদের ওপর। ভারত পৌঁছালেন কীভাবে?

কিছুটা পায়ে হেঁটে, কিছুটা নৌকায় এভাবে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর পৌঁছাই। সেখানে তাদের রেখে কুষ্টিয়া হয়ে বর্ডার পার হবার চেষ্টা করি।

পাকিস্তানিরা তখন হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেয় গোটা কুষ্টিয়া অঞ্চল। সে সময় ভারতীয় কিছু সাংবাদিক কুষ্টিয়া আসেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। তাদের মধ্যে সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্যের সহায়তায় কলকাতায় পৌঁছাই।

সে সময় আপনারা সুসংগঠিত হলেন কী করে?

কলকাতার স্বনামধন্য শিশু চিকিৎসক সুজিত মুখার্জির বাড়িতেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়। সেখানে ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার খালেদ মোশাররফের সঙ্গে দেখা হলে স্থল যুদ্ধে অংশ নিতে চাই বলি। তখন তিনি আমাদের বলেন, ‘এ কে খন্দকার সাহেব ব্যবস্থা করছেন পাইলটদের নিয়ে কিছু করার, অপেক্ষা করো।’

এর কিছুদিন পর আমাদের সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসাররা যোগাযোগ করে পাকিস্তানের এয়ারপোর্ট ও এভিয়েশন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়।

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

তাজউদ্দিন আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের চেষ্টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে সাহায্য করতে ভারত সরকার রাজি হয়।

নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে কীভাবে প্রশিক্ষণ নিলেন?

ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি ছিল। খুব গোপনে সেখানে আমাদের বেইস ক্যাম্প করে দেয় ভারত সরকার। চারপাশ পাহাড় আর ঘন জঙ্গলে আবৃত অব্যবহৃত রানওয়েতেই আমাদের স্বপ্নের শুরু।

বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এ কে খন্দকার সাহেব। বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৫৮ জন বিমানসেনাকে কিলো ফ্লাইটের জন্য নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে কিছু পিআইএ এবং প্ল্যান্ট প্রোটেকশন পাইলটও ছিলেন। আমরা নয় জন পাইলট যাদের তিন জন পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে এবং ছয় জন পিআইএসহ অন্যস্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলাম।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো দুটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছিল আমাদের। এর মধ্যে একটি বিমান ছিল যোধপুরের মহারাজার দেয়া আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত ডিসি-থ্রি ডাকোটা আর অন্যটি কানাডায় তৈরি ডিএইচথ্রি অটার বিমান। হেলিকপ্টারটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি এলুয়েট থ্রি মডেলের। এগুলোর একটিও যুদ্ধ বিমান ছিল না, তাই এগুলোকে মডিফাই করতে হয়েছিল।

ডাকোটাটিকে ৫০০ পাউন্ড বোমা পরিবহনের উপযোগী করে তোলা হয়, কিন্তু পরে সেটিকে অপারেশনে পাঠানো হয়নি। অপারেশনের জন্য একদমই ফিট ছিল না বলে ওটাকে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ব্যক্তিদের পরিবহনের কাজে লাগানো হয়।

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প
কিলোফ্লাইটের যোদ্ধা ক্যাপ্টেন শাহাবউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন পাকিস্তানিদের কীভাবে কাঁপুনি ধরিয়েছিলেন তারা

হেলিকপ্টারটিতে মেশিনগান এবং ১৪ টি রকেট ছোঁড়ার পাইলন বসানো হয়েছিল। অটার বিমানটির প্রতিটি ডানার নিচে সাতটি করে রকেট লাগানো হয়েছিল। পেছনের দরজা খুলে লাগানো হয়েছিল মেশিনগান, ফ্লোর কেটে ২৫ পাউন্ডের ১০টি বোমা বসানো হয়েছিল। হাত দিয়ে পিন খুলে নিক্ষেপ করতে হতো বোমাগুলো।

আমাদের ট্রেইনিং ছিল বেশ কঠিন। অপারেশনের সময় পাক বাহিনীর রাডার যেন আমাদের শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য ২০০-২৫০ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচুতে উড়া যেত না। আর আমাদের রাতের অন্ধকারে ফ্লাই করতে হতো। কারণ পাক বাহিনীকে অপ্রস্তুত করতে আমরা রাতেই সব অপারেশন করব এমন সিদ্ধান্ত ছিল।

রানওয়েতে কোন বাতি ছিল না। ঘন জঙ্গলে দিনের আলোতেই রানওয়ে খুঁজে বের করা কঠিন ছিল, রাতে তো অসম্ভব। সেই অসম্ভবকেই আমরা সম্ভব করেছি। পাশাপাশি চলেছিল নাইট ফায়ারিং বা রাতে অন্ধকারে টার্গেটে নিশানা লাগাবার কৌশলও রপ্ত করেছিলাম আমরা সবাই।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন চন্দন সিং, স্কোয়াড্রন লিডার ঘোষাল, স্কোয়াড্রন লিডার সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সি এম সিংলা আমাদের সবকিছু তদারকি করতেন।

আপনারা কে কোন বিমানের দায়িত্বে ছিলেন?

স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ কিলো ফ্লাইটের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে আমি ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বদরুল আলম হেলিকপ্টারে ছিলাম। প্রথমদিকে আমি কপ্টার চালাতে জানতাম না, একদিনের প্রশিক্ষণে রপ্ত করেছি।

ক্যাপ্টেন খালেক, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার ও ক্যাপ্টেন মুকিত ডাকোটা বিমানটি এবং ফ্লাইট লেফটেল্যান্ট শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ ও ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন আহমেদ অটার বিমানের দায়িত্বে ছিলেন।

আপনাদের অপারেশনগুলো সম্পর্কে বলেন?

প্রথম আক্রমণের দিন প্রথমে ২৮ নভেম্বর ধার্য হলেও পরে সেটা ক্যানসেল হয়। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি ও নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপোতে আক্রমণ চালানো হয়।

সুলতান মাহমুদ ও বদরুল আলমের হেলিকপ্টার নারায়ণগঞ্জে আর কো-পাইলট ও গানারসহ অটার বিমানটি নিয়ে শামসুল আলম চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি তেল ডিপোতে সফল হামলা চালান।

চট্টগ্রামের হামলার পর আগুনের ফুলকি মিজোরাম থেকেও দেখা গেছে।

৪ ডিসেম্বর পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়। ৩ তারিখের অপারেশনের পর থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাথে যৌথভাবে অনেক অপারেশনে অংশ নেয়।

বাংলাদেশের আকাশটা প্রথমে স্বাধীন হয় ডিসেম্বরের ৫ তারিখে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানী বিমান বাহিনী একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জ্বালানি তেল না পেয়ে।

এরপর ৬ ডিসেম্বর সিলেটের মৌলভীবাজারের পাকিস্তানি সেনা বহরে আক্রমণ করেছিলাম স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ আর আমি। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হামলা করবে বলে। আমরা অ্যাটাক শুরু করার আগেই পাকিস্তানিরা আমাদের উপর ফায়ারিং শুরু করে। আমাদের কাছে ১৪ টা রকেট ছিল, সবগুলোই নিক্ষেপ করে আমরা তাদের গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম।

ডিসেম্বরের ১২ তারিখ। নরসিংদীর রায়পুরায় বেশ কিছু হেলিকপ্টারে করে সেনা পারাপার করছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। তখন আমরা হেলিকপ্টার নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিলাম। হঠাৎ পাকিস্তানিরা বহর নিয়ে আসতে শুরু করে। আমরা তাৎক্ষণিক আক্রমণ করে তাদের প্রতিহত করি। সে অপারেশনে ২১ জন পাকিস্তানিকে আমরা হত্যা করেছিলাম।

আমাদের ভাগ্যও অনেক ভালো ছিল, আমরা কোন যোদ্ধা হারাইনি। অপারেশনে আমাদের বিমান ও হেলিকপ্টারে অনেক গুলি লাগত। আমরা বিমানের বডির সেসব গুলির ক্ষতের পাশে তারিখ লিখে রাখতাম। এক সময় আর লেখার জায়গা বাকি থাকল না।

আমরা কিলো ফ্লাইটের অধীনে ৫০ টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করেছি।

কিলো ফ্লাইট নাম কেন ছিল?

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের নামের কে অক্ষর নিয়ে আমরা অপারেশনটির নাম দিই। আর এভিয়েশনের ভাষায় কে হলো কিলো, যেমন এ কে বলা হয় আলফা।

যে স্বপ্ন নিয়ে কিলো ফ্লাইট হয়েছিল তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে?

আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, নিজেদের বিমান বাহিনী হয়েছে। এমনকি আমাদের তিনটি বিমানের মধ্যে ডাকোটাটি দিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথম এভিয়েশন হিসেবে বাংলাদের বিমানের সূচনা হয়েছে। সে অর্থে আমাদের চাওয়া পূরণ হয়েছে।

কিন্তু ৭৫ এ দেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হল, এমন দেশ তো আমরা কখনো চাইনি। আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি চাই। এটুকু হলে পূর্ণতা পাব।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নামে নিয়োগ, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
‘ক্র্যাক’ থেকে ঢাকা কাঁপানো সেই দুর্ধর্ষ ক্র্যাক প্লাটুন
চাঁদপুরে স্বাধীনতার পতাকা ওড়ে ৮ ডিসেম্বর
ক্যাপ্টেন আকরামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
লোহাগড়া মুক্তির স্বাদ পায় ৮ ডিসেম্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The Ministry of Environment and UNICEF Bangladesh will work together to involve young people in climate adaptation

জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ

জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে জবাবদিহিতা, সমন্বয় ও তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পয়:নিষ্কাশন ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প হিসেবে উন্নত প্রযুক্তির মতো নিরাপদ ও ব্যবহারিক সমাধান গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

১ জুলাই বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে শিক্ষা, সামাজিক খাত ও তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে রানা ফ্লাওয়ার্স শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব—যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাহত হওয়া—উল্লেখ করে বলেন, ইউনিসেফ তরুণদের জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভার পরিসর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন এবং নিয়মিতভাবে তরুণদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পরিবেশ সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের পরিবেশবান্ধব বার্তা স্থান পাবে। উপদেষ্টা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

বৈঠকে ইউনিসেফ ও মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরিবেশ শিক্ষাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু উদ্যোগ পরিচালনার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। পরিকল্পনায় পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জরুরি প্রস্তুতির কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব ওয়াশ পিটার জর্জ এল. ম্যাস, চিফ অব ফিল্ড সার্ভিসেস ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া এবং প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (জলবায়ু) ভ্যালেন্টিনা স্পিনেডি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ উভয় পক্ষই জলবায়ুবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ও দেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

বিশেষ
3 years of Holi Artizan attack Bloody Gulshan in memory 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নয় বছর পূর্ণ হল আজ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় একদল সশস্ত্র জঙ্গি। সেখানে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক।

অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার সময় বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন খান এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নব্য জেএমবির’ সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।

নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্ট গত ১৭ জুন প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ এর ১ উপধারা (ক) (আ) দফায় বর্ণিত অপরাধে তারা দোষী। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক উপলব্ধি না করে আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যে কারণে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যের পর্যালোচনা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে গণ্য করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দণ্ডিতদের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।

এছাড়া হাইকোর্টেন রায়ে বলা হয়, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

কি ঘটেছিল সেদিন?

২০১৬ সালের ১ জুলাই, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। ‘নব্য জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।

পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস হামলার ঘটনা।

সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘নব্য জেএমবি’র আরো আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

মন্তব্য

বিশেষ
The main adviser to inaugurate the month long program to commemorate the July coup

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
In Gazaria a road accident was killed in a road accident

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।

সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।

মন্তব্য

বিশেষ
Five day hill fruit festivals and fairs are being launched in Dhaka today

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।

আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।

রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Former MP Faisal Biplob on seven day remand

সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব

সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব

মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।

এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।

আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।

গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।

মন্তব্য

বিশেষ
Campaign

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং জ্বালানি সম্পদ রক্ষায় চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

অভিযানে অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাহেবনগর, ভাদুয়াপাড়া ও কাকিয়ারচর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) সৈকত রায়হান। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)-এর আওতাধীন এসব এলাকার ৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩ জন ব্যক্তিকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় প্রায় ০.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ৫৩টি অবৈধ গ্যাস রাইজার এবং ২২টি অবৈধ গ্যাসচালিত চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।

গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে জোবিঅ-টঙ্গী এবং আবিবি-জয়দেবপুরের একটি যৌথ দল অভিযানটি পরিচালনা করে। এর আওতায় তিনটি নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শন চালানো হয়। সেগুলো হল, টঙ্গীর শিলমুন হাইস্কুল রোডের এস.এম.ফ্যাশন, মিরাশপাড়ার নদী বন্দর রোডের মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং এবং দত্তপাড়া জহির মার্কেটের মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ।

তবে, তিনটি স্পটেই গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম বা অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, পূর্ববর্তী অভিযানগুলোর কারণে ওই এলাকায় অবৈধ সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সবাইকে বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ও এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হতে হবে। নাগরিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি খাতের আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে