× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
কিলো ফ্লাইট মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প
google_news print-icon

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

কিলো-ফ্লাইট-মুক্তিযুদ্ধে-আকাশ-জয়ের-গল্প
বাংলাদেশের প্রথম বিমানবহর কিলোফ্লাইটের সদস্যরা। ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাত্রা শুরু ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটিতে। দুটি বেসামরিক বিমান আর হেলিকপ্টারকে মডিফাই করে তৈরি হয় বাংলাদেশের প্রথম বিমানবহর। নাম দেয়া হয় কিলো ফ্লাইট।

দেশকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীতে কাজ করা বাঙালি অফিসার আর সেনাদের অবদানও কোনো অংশেই কম নয়।

শোষণ-বঞ্চনায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ও সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত বাঙালিরাও ছিলেন ক্ষুব্ধ।

যুদ্ধ যখন শুরু হয়ে যায়, তখন তারা মন দেন নিজেদের বিমান বাহিনী গঠনে। প্রায় ৫০০ জন সৈনিক ও ৩৫ জন অফিসার পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন যুদ্ধ করতে।

একই পথ ধরেছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সসহ সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত ১৭ জন পাইলটও।

স্থলবাহিনীর তুলনায় বিমান বাহিনী তৈরির কাজটি জটিল। আন্তরিকতা আর সাহসের পাশাপাশি দরকার অবকাঠামো, বিমান, অর্থকড়ি, যার কোনোটি ছিল না সে সময়ের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের।

তবে মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলতে সহায়তা দেয়া ভারত হাত বাড়ায় বিমান বাহিনী গঠনেও। ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মাসে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ক্ষণ। ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটিতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে জন্ম নেয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রথম যে বিমানবহর যুক্ত হয় তার নাম দেয়া হয় ‘কিলো ফ্লাইট’।
কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

কিলো ফ্লাইটে বিমান চালনা ও অপারেশনের জন্য সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন নয় জন। স্বাধীন বাংলা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে বীর উত্তম ও বীর প্রতীক হিসেবে।

তারা হলেন এক নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ও কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন বদরুল আলম (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার (বীর প্রতীক), ক্যাপ্টেন খালেক (বীর প্রতীক), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মাদ শামসুল আলম (বীর উত্তম), ক্যাপ্টেন মুকিত (বীর প্রতীক) এবং ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম)।

ক্যাপ্টেন শাহাবউদ্দিন আহমেদ এখন থাকেন রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে। বিজয়ের মাসে ৭১ এর স্মৃতির আকাশে উড়াল দেন তিনি, সঙ্গী নিউজবাংলা।

মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে এলেন?

আমি তখন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে (পিআইএ) পাইলট হিসেবে কাজ করি। পাকিস্তানিদের তুলনায় বাঙালি অফিসারদের অধিকারের জায়গাটা সবসময়ই থাকত ছোটো। প্রশিক্ষণ থেকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সব জায়গায় ছিল বৈষম্য। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ১৯৬৮ সালে ইস্ট পাকিস্তান পাইলট অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে বাঙালি পাইলটরা।
কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

সেটাও খুব সহজ ছিল না। কাঠখড় পুড়িয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরে তবেই মিলেছিল নিবন্ধন। আমরা পাকিস্তানে বিশ্বাসী না এমন তকমা দিয়ে রাজনৈতিক রঙে রাঙানো হল পাইলটদের। ২৫ মার্চের নৃশংসতা আমাদের আর সহ্য হয় না। এরপর আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের চার বাঙালি পাইলটকে মেরে ফেলল। এরপরই ঠিক করি যুদ্ধে যাব, স্বাধীন দেশ লাগবে।

সে সময় তো কারফিউ ছিল, কঠোর নজরদারি আপনাদের ওপর। ভারত পৌঁছালেন কীভাবে?

কিছুটা পায়ে হেঁটে, কিছুটা নৌকায় এভাবে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর পৌঁছাই। সেখানে তাদের রেখে কুষ্টিয়া হয়ে বর্ডার পার হবার চেষ্টা করি।

পাকিস্তানিরা তখন হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেয় গোটা কুষ্টিয়া অঞ্চল। সে সময় ভারতীয় কিছু সাংবাদিক কুষ্টিয়া আসেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। তাদের মধ্যে সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্যের সহায়তায় কলকাতায় পৌঁছাই।

সে সময় আপনারা সুসংগঠিত হলেন কী করে?

কলকাতার স্বনামধন্য শিশু চিকিৎসক সুজিত মুখার্জির বাড়িতেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়। সেখানে ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার খালেদ মোশাররফের সঙ্গে দেখা হলে স্থল যুদ্ধে অংশ নিতে চাই বলি। তখন তিনি আমাদের বলেন, ‘এ কে খন্দকার সাহেব ব্যবস্থা করছেন পাইলটদের নিয়ে কিছু করার, অপেক্ষা করো।’

এর কিছুদিন পর আমাদের সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসাররা যোগাযোগ করে পাকিস্তানের এয়ারপোর্ট ও এভিয়েশন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়।

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প

তাজউদ্দিন আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের চেষ্টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে সাহায্য করতে ভারত সরকার রাজি হয়।

নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে কীভাবে প্রশিক্ষণ নিলেন?

ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি ছিল। খুব গোপনে সেখানে আমাদের বেইস ক্যাম্প করে দেয় ভারত সরকার। চারপাশ পাহাড় আর ঘন জঙ্গলে আবৃত অব্যবহৃত রানওয়েতেই আমাদের স্বপ্নের শুরু।

বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এ কে খন্দকার সাহেব। বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৫৮ জন বিমানসেনাকে কিলো ফ্লাইটের জন্য নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে কিছু পিআইএ এবং প্ল্যান্ট প্রোটেকশন পাইলটও ছিলেন। আমরা নয় জন পাইলট যাদের তিন জন পাকিস্তান বিমানবাহিনী থেকে এবং ছয় জন পিআইএসহ অন্যস্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলাম।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো দুটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছিল আমাদের। এর মধ্যে একটি বিমান ছিল যোধপুরের মহারাজার দেয়া আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত ডিসি-থ্রি ডাকোটা আর অন্যটি কানাডায় তৈরি ডিএইচথ্রি অটার বিমান। হেলিকপ্টারটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি এলুয়েট থ্রি মডেলের। এগুলোর একটিও যুদ্ধ বিমান ছিল না, তাই এগুলোকে মডিফাই করতে হয়েছিল।

ডাকোটাটিকে ৫০০ পাউন্ড বোমা পরিবহনের উপযোগী করে তোলা হয়, কিন্তু পরে সেটিকে অপারেশনে পাঠানো হয়নি। অপারেশনের জন্য একদমই ফিট ছিল না বলে ওটাকে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ব্যক্তিদের পরিবহনের কাজে লাগানো হয়।

কিলো ফ্লাইট: মুক্তিযুদ্ধে আকাশ জয়ের গল্প
কিলোফ্লাইটের যোদ্ধা ক্যাপ্টেন শাহাবউদ্দিন আহমেদ বলছিলেন পাকিস্তানিদের কীভাবে কাঁপুনি ধরিয়েছিলেন তারা

হেলিকপ্টারটিতে মেশিনগান এবং ১৪ টি রকেট ছোঁড়ার পাইলন বসানো হয়েছিল। অটার বিমানটির প্রতিটি ডানার নিচে সাতটি করে রকেট লাগানো হয়েছিল। পেছনের দরজা খুলে লাগানো হয়েছিল মেশিনগান, ফ্লোর কেটে ২৫ পাউন্ডের ১০টি বোমা বসানো হয়েছিল। হাত দিয়ে পিন খুলে নিক্ষেপ করতে হতো বোমাগুলো।

আমাদের ট্রেইনিং ছিল বেশ কঠিন। অপারেশনের সময় পাক বাহিনীর রাডার যেন আমাদের শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য ২০০-২৫০ মিটারের চেয়ে বেশি উঁচুতে উড়া যেত না। আর আমাদের রাতের অন্ধকারে ফ্লাই করতে হতো। কারণ পাক বাহিনীকে অপ্রস্তুত করতে আমরা রাতেই সব অপারেশন করব এমন সিদ্ধান্ত ছিল।

রানওয়েতে কোন বাতি ছিল না। ঘন জঙ্গলে দিনের আলোতেই রানওয়ে খুঁজে বের করা কঠিন ছিল, রাতে তো অসম্ভব। সেই অসম্ভবকেই আমরা সম্ভব করেছি। পাশাপাশি চলেছিল নাইট ফায়ারিং বা রাতে অন্ধকারে টার্গেটে নিশানা লাগাবার কৌশলও রপ্ত করেছিলাম আমরা সবাই।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন চন্দন সিং, স্কোয়াড্রন লিডার ঘোষাল, স্কোয়াড্রন লিডার সঞ্জয় কুমার চৌধুরী, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সি এম সিংলা আমাদের সবকিছু তদারকি করতেন।

আপনারা কে কোন বিমানের দায়িত্বে ছিলেন?

স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ কিলো ফ্লাইটের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে আমি ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বদরুল আলম হেলিকপ্টারে ছিলাম। প্রথমদিকে আমি কপ্টার চালাতে জানতাম না, একদিনের প্রশিক্ষণে রপ্ত করেছি।

ক্যাপ্টেন খালেক, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার ও ক্যাপ্টেন মুকিত ডাকোটা বিমানটি এবং ফ্লাইট লেফটেল্যান্ট শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ ও ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন আহমেদ অটার বিমানের দায়িত্বে ছিলেন।

আপনাদের অপারেশনগুলো সম্পর্কে বলেন?

প্রথম আক্রমণের দিন প্রথমে ২৮ নভেম্বর ধার্য হলেও পরে সেটা ক্যানসেল হয়। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি ও নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপোতে আক্রমণ চালানো হয়।

সুলতান মাহমুদ ও বদরুল আলমের হেলিকপ্টার নারায়ণগঞ্জে আর কো-পাইলট ও গানারসহ অটার বিমানটি নিয়ে শামসুল আলম চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি তেল ডিপোতে সফল হামলা চালান।

চট্টগ্রামের হামলার পর আগুনের ফুলকি মিজোরাম থেকেও দেখা গেছে।

৪ ডিসেম্বর পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়। ৩ তারিখের অপারেশনের পর থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাথে যৌথভাবে অনেক অপারেশনে অংশ নেয়।

বাংলাদেশের আকাশটা প্রথমে স্বাধীন হয় ডিসেম্বরের ৫ তারিখে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানী বিমান বাহিনী একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জ্বালানি তেল না পেয়ে।

এরপর ৬ ডিসেম্বর সিলেটের মৌলভীবাজারের পাকিস্তানি সেনা বহরে আক্রমণ করেছিলাম স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ আর আমি। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হামলা করবে বলে। আমরা অ্যাটাক শুরু করার আগেই পাকিস্তানিরা আমাদের উপর ফায়ারিং শুরু করে। আমাদের কাছে ১৪ টা রকেট ছিল, সবগুলোই নিক্ষেপ করে আমরা তাদের গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম।

ডিসেম্বরের ১২ তারিখ। নরসিংদীর রায়পুরায় বেশ কিছু হেলিকপ্টারে করে সেনা পারাপার করছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। তখন আমরা হেলিকপ্টার নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিলাম। হঠাৎ পাকিস্তানিরা বহর নিয়ে আসতে শুরু করে। আমরা তাৎক্ষণিক আক্রমণ করে তাদের প্রতিহত করি। সে অপারেশনে ২১ জন পাকিস্তানিকে আমরা হত্যা করেছিলাম।

আমাদের ভাগ্যও অনেক ভালো ছিল, আমরা কোন যোদ্ধা হারাইনি। অপারেশনে আমাদের বিমান ও হেলিকপ্টারে অনেক গুলি লাগত। আমরা বিমানের বডির সেসব গুলির ক্ষতের পাশে তারিখ লিখে রাখতাম। এক সময় আর লেখার জায়গা বাকি থাকল না।

আমরা কিলো ফ্লাইটের অধীনে ৫০ টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করেছি।

কিলো ফ্লাইট নাম কেন ছিল?

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের নামের কে অক্ষর নিয়ে আমরা অপারেশনটির নাম দিই। আর এভিয়েশনের ভাষায় কে হলো কিলো, যেমন এ কে বলা হয় আলফা।

যে স্বপ্ন নিয়ে কিলো ফ্লাইট হয়েছিল তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে?

আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, নিজেদের বিমান বাহিনী হয়েছে। এমনকি আমাদের তিনটি বিমানের মধ্যে ডাকোটাটি দিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথম এভিয়েশন হিসেবে বাংলাদের বিমানের সূচনা হয়েছে। সে অর্থে আমাদের চাওয়া পূরণ হয়েছে।

কিন্তু ৭৫ এ দেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হল, এমন দেশ তো আমরা কখনো চাইনি। আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি চাই। এটুকু হলে পূর্ণতা পাব।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নামে নিয়োগ, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
‘ক্র্যাক’ থেকে ঢাকা কাঁপানো সেই দুর্ধর্ষ ক্র্যাক প্লাটুন
চাঁদপুরে স্বাধীনতার পতাকা ওড়ে ৮ ডিসেম্বর
ক্যাপ্টেন আকরামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
লোহাগড়া মুক্তির স্বাদ পায় ৮ ডিসেম্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বিশেষ
Inauguration of Air Forces Tree Planting Program 2021

বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ এর উদ্বোধন

বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ এর উদ্বোধন

জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরও দেশের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫’ গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) বিমান বাহিনী সদর দফতর প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি পালন করছে।

বিমান সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে ওই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিমান সদরের পরিচালকরা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিট সমূহেও একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় বিমান বাহিনী বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও ওষুধি গুনাগুন সম্পন্ন গাছের চারা রোপণ করবে।

মন্তব্য

বিশেষ
China is eager to deepen relations with elected government

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন
মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর ও আন্তরিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চীন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আরও বেশি আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কাজ করবে।’

ফখরুলের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি দল চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প সম্পর্কে আমাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছি এবং তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।’

তিনি বলেন, চীনা পক্ষ এখনো তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ‘ভবিষ্যতে যদি আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাই এবং তারা(চীন) যদি এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়—তাহলে আমরা মনে করি আমরা এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।’

ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

তিনি বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের সফর দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত ও জোরদার করার জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে—ভবিষ্যতে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা করেন।

এর আগে ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের জন্য চীন সফর করে।

বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য আট সদস্য ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।

সফরকালে ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল সিপিসির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The target of jute cultivation on 5 lakh hectares of land in the next fiscal year

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাট চাষের জন্য জমির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক শূন্য ৫ লাখ হেক্টর। এ পরিমাণ জমিতে চাষাবাদের জন্য পাট বীজ প্রয়োজন ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টন।

সোমবার বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) কৃষি উইং আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে পাটের মোট উৎপাদন ১৫ লাখ মেট্রিক টন, পাটকাঠির মোট উৎপাদন ৩০ লাখ মেট্রিক টন এবং চারকোলের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন।

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা
আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘পাট নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। পাটের সম্ভাবনা কোনো দিন শেষ হবে না। কাঁচা পাট নিয়ে অন্যান্য দেশ কীভাবে কাজ করছে তার ওপরেও মার্কেট রিসার্চে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বদ্ধ চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে বিজ্ঞানীদের বিশদভাবে কাজ করতে হবে। কারণ পাট নিয়ে অনেক কিছু করার আছে, পাটের সম্ভাবনা কোনো দিন শেষ হবে না। মার্কেট এবং বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধ জমিতে কীভাবে পাটের উৎপাদনকে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কাজ করতে হবে।’

আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা
আগামী অর্থবছরে ৭.০৫ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা

সভাপতির বক্তব্যে বিজেআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার বলেন, ‘পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চাষিরা কৃষিঋণের মতো পাটঋণ এবং পণ্য রপ্তানিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সরকার থেকে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পায় চারকোল রপ্তানিকারকরা। দেশে প্রায় ৫০টি চারকোলের কারখানা রয়েছে। বর্তমানে কিছু কারখানা বন্ধ আছে।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজেআরআইয়ের প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম মোস্তফা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেআরআইয়ের জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম মাহবুব আলী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল আমিন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক মো. মসীহুর রহমান, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক মো. সাইফুল আজম খান, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

মন্তব্য

বিশেষ
Dhaka South City Corporation approves a budget of Tk

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।

বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Ashraful Alam Russell the best UNO of the district on birth death registration

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলার ইউএনও জনাব মো. আশরাফুল আলম রাসেল।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের নির্ভুলতা, সময়ানুবর্তিতা ও সার্বিক দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনায় অনন্য ভূমিকা রাখায় তাঁকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন শেরপুর এর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ মাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান।

পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,"এই স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়, এটি ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্মী, গ্রাম পুলিশ এবং সহযোগী সব পক্ষের সম্মিলিত চেষ্টার ফল। আমরা চেষ্টা করেছি নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ রাখা, জনসচেতনতা তৈরি ও নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে। এই সম্মাননা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে জনসেবায় নতুন উদ্যমে কাজ করতে। আমি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “জন্ম ও মৃত্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্যের সঠিক নিবন্ধন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। তাই এই কাজকে আমি শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, নাগরিক অধিকারের অংশ হিসেবেও দেখি।”

এছাড়াও একই কার্যক্রমে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একজন শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা ও নিবন্ধন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) ও গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Short middle and long term initiatives will be taken to prevent air pollution Environment Advisor

বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশের বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের একদল বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, শীত আসার আগেই রাজধানীর সব কাঁচা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ধুলা দূষণ কমাতে রাস্তায় মাটি ঢেকে দেওয়া ও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘জিরো সয়েল’ নীতি কার্যকর, মাটি শক্তকরণ ও পানি ছিটানোর গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘শহুরে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ পুরনো ও উচ্চমাত্রার ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পুরনো যানবাহন অপসারণ ও নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব যানবাহন যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া, নির্গমন মান বজায় রাখতে ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে বিআরটিএ।’

দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণ ছাড়া কার্যকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব নয়। এজন্য একটি উন্নত বায়ু নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন, বৈশ্বিক মান অনুসারে নির্গমন মান উন্নয়ন, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট চালু ও রান্নার জন্য এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণে কর প্রণোদনাও বিবেচনায় রয়েছে।’

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্পের আওতায় উচ্চ দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করবে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) শহরে সড়কে বেড়া বসানো ও ৫০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালুর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।

জাইকা সহায়তাপ্রাপ্ত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি বাস্তবভিত্তিক বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যা প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিইএসটি প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে।

এ সময় চীনা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মো: খায়রুল ইসলাম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনুষদের নির্বাহী ডিন অধ্যাপক ইউ ঝাও, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানজিং-হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউটের উপ-ডিন অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং এবং বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুদূষণ) মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।

বৈঠকে জাতীয় নির্গমন ইনভেন্টরি ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বায়ুদূষণের উৎস চিহ্নিত করে বিজ্ঞানভিত্তিক টার্গেটেড হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করবে।

মন্তব্য

p
উপরে