সব ধরনের আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দিতে নিউজবাংলার নিয়মিত আয়োজন ‘আমার আইন, আমার অধিকার’-এ এবারের বিষয়: ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন’। প্রচারিত হবে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
শবনম ফারিয়ার সঞ্চালনায় শনিবার এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার হবে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্যারিস্টার মিতি সানজানা ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মেহেরবা সাবরীন। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হবে শাহ্ সিমেন্টের সৌজন্যে।
‘আমার আইন, আমার অধিকার’ সম্পর্কে নিউজবাংলার এক মুখপাত্র বলেন, আইন জানা নাগরিকের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আইন ও আইনজীবী- এই শব্দগুলো নিয়ে একধরনের ভীতি কাজ করে। তবে আইনের আশ্রয় লাভ করা একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
নিজের আইনগত অধিকার সম্পর্কে না জানলে যে কেউ কোনো বিষয়ে ভুল পরামর্শ দিয়ে আপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে। কোনো নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে কী কী সুযোগ-সুবিধার অধিকারী, সেটি যদি তিনি না জানেন, তাহলে তিনি ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, নাগরিকের আইনি অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়টি সহজভাবে জানাতে কাজ করবে ‘আমার আইন, আমার অধিকার’। দেয়া হবে পরামর্শ। প্রয়োজনে তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরাসরি আইনি সহায়তাও দেয়া হবে।
আইনি সুবিধাবঞ্চিত আর্থিকভাবে অসহায় ভুক্তভোগীরা এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আইনি সহায়তা চাইলে তাদের পাশে দাঁড়াবে নিউজবাংলার ‘আমার আইন, আমার অধিকার’।
বিনা মূল্যে আইনি পরামর্শ এবং সহায়তা পেতে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চোখ রাখুন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
অনুষ্ঠান চলাকালে ফোন করুন ০২৫৫০৫৫২৮৯ নম্বরে। এ ছাড়া সমস্যা জানাতে ০১৯৫৮০৫৬৬৬৮ নম্বরে ফোন করুন যেকোনো সময়। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ভিডিও করেও পাঠাতে পারেন একই নম্বরে।
নিউজবাংলার ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/nwsbn24 এবং ই-মেইল [email protected]এ মেসেজ পাঠানোরও সুযোগ রয়েছে।
সোমবার রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘সোশ্যাল একাউন্ট্যাবিলিটি টুলস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকরেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান।
একাউন্ট্যাবিলিটি বা জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পারভেজ রায়হান বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক অনেক দেশ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে যে অগ্রগতি দেখিয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি দেশের কর্মক্ষমতা সূচক বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় মূল প্রবন্ধে তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, তথ্য অধিকার আইন, নাগরিক সনদ ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমরা নিজে যদি শুদ্ধাচারী না হই কোনো প্রক্রিয়াই আমাদের শুদ্ধাচারী বানাতে পারবে না। সেজন্য ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের উন্নতি করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আলোচকবৃন্দ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ইমেইল আপডেট ও তথ্য হালনাগাদকরণের জন্য আহ্বান জানান।
আরপিএটিসি’র উপপরিচালক তামান্না নাসরীন ঊর্মি এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মো. তারেক মাহমুদ। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০.৩০ মিনিটে সিও অফিস জেলা প্রেস ক্লাব পিরোজপুর এর অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুর এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুরের সভাপতি এম এ জলিল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু জাফর এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, হাসনেয়ারা হক,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মামুন,কোষাধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন পলাশ প্রমুখ।
এছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম সোহেল বিল্লাহ কাজল , সহ-সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিন ফকির,দপ্তর সম্পাদক এম এ নকিব নাসরুল্লাহসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা দেশের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ। শুধু গাজীপুর নয়, সারা দেশেই সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, “সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়বিচারের কণ্ঠস্বর। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে তথ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে।”
তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা ও সহিংসতা ঠেকাতে কার্যকর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তব্যে বক্তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানান।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রতিটি বিভাগ বরণ করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) প্রতিটি বিভাগ নিজ শ্রেণীকক্ষে নবীনদের বরণ করে নেয়। এদিকে নবীনদের ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিগত বছরের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ আসন পূরণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। তন্মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন।
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটি ও জিএসটি কমিটি ফাঁকা আসনের বিষয়ে মিটিং করে জানাবে। পরবর্তীতে সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে জানাতে পারবো।’
নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র্যাগিং-বিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ভোর রাত (সোমবার) ৩টার দিকে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়াবাড়ী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন ২৬ বীর সরিষাবাড়ী অস্থায়ী ক্যাম্প এর ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির প্রাপন।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরিষাবাড়ী উপজেলায় কাবারিয়াবাড়ী এলাকায় মাদক বেচাকেনা হচ্ছে এমন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। যৌথ বাহিনী কাবারিয়াবাড়ী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে সাদ্দাম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বাড়ীপোটল গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন (২৪), রুবেল মিয়া (৩৪), ও সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৩৬)। আটককালে তাদের কাছ থেকে ১৮ পিস ইয়াবা, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি বার্টন মোবাইল ফোন, নগদ ৭ হাজার ৮শ ৯০ টাকা এবং একটি কুড়াল জব্দ করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আটককৃতদের তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জমিন উদ্দিন বলেন, মাদকসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, ড্রেস কোড ও গ্লাভস ছাড়াই খাবার তৈরীর দায়ে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে একই অবস্থা পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের শহরের পাইকপাড়া এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত এই তদারকি কার্যক্রমে স্টোর রুমসহ রান্নাঘরের অবস্থা দেখে বিস্মিত হন তারা। খাদ্যসামগ্রী এলোমেলোভাবে রাখা, অপরিচ্ছন্ন উপকরণ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতির চরম অভাব সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল ভোক্তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে গ্রাহকদের জন্য খাবার প্রস্তুতের দৃশ্য ছিল হতাশাজনক।
অভিযানে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন এবং সদর উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১১ আগষ্ট) সকালে মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া বন্দরে এই কর্মসূচী পালন করে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চরমুগুরিয়া বন্দরের গরুর হাট-বাজার এলাকায় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুর জেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রকারের ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করেন।
এসময় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠান রিক সারাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর যোনাল অফিসের অধীনস্থ সকল শাখা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৃক্ষ রোপনের এ কর্মসূচী পালন করছি। আশা করছি, এ কর্মসূচীর আওতায় আমরা যে সকল বৃক্ষ রোপন করেছি, এসব বৃক্ষ থেকে ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুপাখিরা ফল খেতে পারবে, গাছগুলো একসময় বড় হয়ে কাঠের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ছায়া ও অক্সিজেন দিবে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে এই বৃক্ষ বড় ভূমিকা পালন করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান, যোনাল ম্যানেজার এ,বি,এম জাহিদুল কবির, এরিয়া ম্যানেজার শেখ নাহিদ হাসান, শাখা ব্যবস্থাপক মো.বাবুর আলী, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক রিপনচন্দ্র মল্লিক, দৈনিক বাংলার সাংবাদিক মোঃ ফায়েজুল কবীর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সোমবার (১১ আগষ্ট)ৎতাঁর কার্যালয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড তাদের বাৎসরিক লভ্যাংশের একটি অংশের ১১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার চেক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশন এর অনুকুলে প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনে অর্থ জমা দেয়। এতে যমুনা অয়েল কোম্পানি ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ১০০ টাকা, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ৪৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার ২৬ টাকা প্রদান করে। মোট ১১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
উপদেষ্টা কোম্পানিগুলোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই অর্থ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, বিশেষ করে দুস্থ ও মৃত শ্রমিকদের পরিবার, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তায়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য