বাংলাদেশে আবারও আকস্মিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই অ্যাপ সুনির্দিষ্টভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করা হয়েছে বলে স্থানীয় মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: ইউএনবি
শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধের মধ্যে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশে প্রবেশ স্থগিত করা হয়। এই পদক্ষেপ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর অন্তর্বর্তী বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতার সর্বশেষতম পদক্ষেপ। যদিও বর্তমান বিধিনিষেধের নির্দিষ্ট কারণগুলো স্পষ্ট করা হয়নি।
নিষেধাজ্ঞার সময়কাল সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিরা বলেন, এক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
গ্রামীণফোনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু অ্যাপ ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’
ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গ্লোবাল টেকনোলজি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের প্রথম অফিশিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন করেছে।
ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে শুক্রবার স্টোরটি উদ্বোধন করা হয়।
এ রিটেইল স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে গ্রাহকদের ওয়ানপ্লাসের সবশেষ প্রযুক্তি ও পণ্যের অভিজ্ঞতা দিতে।
ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটিতে রাখা হয়েছে একটি ইন্টারেকটিভ জোন, যেখানে গ্রাহকরা তাদের মান ও পছন্দের সর্বশেষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যগুলো দেখতে পারবেন।
যমুনা ফিউচার পার্কের ‘৪সি-০১৮বি’ নম্বরের দোকানটিতে প্রতিদিন (ছুটির দিন ছাড়া) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্টোরটি খোলা পাবেন গ্রাহকরা।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য র্যাফেল ড্রর বিশেষ সিরিজ ঘোষণা করা হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ব্র্যান্ডটির ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি ফোন কিনে গ্রাহকরা র্যাফেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। সেখানে গ্রাহকরা ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ৫জি কিংবা ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ৫জি স্মার্টফোন জিতে নেয়ার সুযোগ ছাড়াও পাবেন আকর্ষণীয় গিফট বক্স।
ওয়ানপ্লাসের সিইও মেংক ওয়াং বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত ব্যবহারকারীদের জন্য ঢাকায় প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর খুলতে পেরে আমরা আনন্দিত। এমনভাবে স্টোরটি ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে গ্রাহকরা এসে আমাদের পণ্যগুলোর ফার্স্ট হ্যান্ড রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে আমাদের স্টোরটিতে আসার জন্য এবং এ মাইলফলক উদযাপনে আমাদের সঙ্গী হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যা ব্যবহারকারীদের প্রতি ওয়ানপ্লাসের প্রতিশ্রুতি পূরণের আরেকটি অগ্রগতি।’
পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর অফিশিয়াল সেবা পেতে ওয়ানপ্লাস সবসময় গ্রাহকদের অফিশিয়াল বাংলাদেশ সংস্করণ কিনতে উৎসাহিত করছে। ওয়ানপ্লাস অফিশিয়াল পণ্য বাংলাদেশে তৈরি। যেগুলো আমদানি করা, তার সবগুলোই বিটিআরসি সিস্টেমে আইএমইআই নিবন্ধিত।
গ্রাহকরা খুব সহজে তাদের অফিশিয়াল ফোনের আইএমইআই যাচাই করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ফোনের মেসেজিং অপশনে গিয়ে লিখতে হবে ‘KYD IMEI’ এবং পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে।
যেকোনো কিছু জানতে সরাসরি কল করা যাবে বিক্রয়োত্তর সেন্টারের ০৯৬১০৯৯৭৭৯২ নম্বরে। ইমেইল করা যাবে [email protected] ঠিকানায়।
ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের ‘৪সি-০১৮বি’ নম্বর দোকানে গিয়ে ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটি ঘুরে আসতে পারবেন। আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন এই ঠিকানায়।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে (আইওআই) বাংলাদেশের পক্ষে স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করায় দেবজ্যোতি দাস সৌম্যসহ বাংলাদেশ দলকে শুক্রবার অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এক বার্তায় নাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। আমি এই অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ এবং আগ্রহী, এটাই তার প্রমাণ।’
বার্তায় দেশে আসার পর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আইওআইয়ের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, প্রতিযোগিতায় দেবজ্যোতি দাস সৌম্য স্বর্ণপদক জিতেন। এটি ছিল ২০০৪ সালের পর এ ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণজয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেন জারিফ রহমান ও আকিব আজমাইন তুরজা।
আইওআই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাই স্কুল ইনফরমেটিক্স প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রাম লিখে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং সমস্যার সমাধান করে থাকে। তাই অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের পৃথিবীর সেরা তরুণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন:বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলার ১৩ হাজার ৪৯১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ১ হাজার ২৩৫টি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে ইউএনবি জানায়, বন্যা কবলিত জেলাগুলো হলো নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয, এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার অপারেটরদের পরিষেবাগুলো ফের চালুর জন্য সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি বহনের জন্য জাহাজ এবং স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া টাওয়ারগুলো সচল হবে না।
জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় চার্জিং সুবিধাও দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ইউএনবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মৌলভীবাজার ও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে মোবাইল অপারেটর, টাওয়ার কো-অপারেটর ও কর্তৃপক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন:ইন্টারনেট বন্ধের সময় ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং হলেও কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করে এটি সম্ভব। এখানে আরও কিছু টিপস শেয়ার করছি যা ইন্টারনেট বিঘ্নের সময় ব্যবসা চালিয়ে যেতে সহায়ক হতে পারে।
ফোন অর্ডার সিস্টেম চালু করুন
গ্রাহকরা সহজেই ফোনের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য অর্ডার করতে পারেন। এ জন্য একটি ফোন হটলাইন চালু করতে পারেন, যা সবসময় খোলা থাকবে এবং প্রশিক্ষিত কর্মী থাকবেন যারা অর্ডার নেয়ার কাজ করবেন।
এসএমএসভিত্তিক অর্ডার
ফোনের পাশাপাশি এসএমএস ব্যবহার করেও অর্ডার নেয়া যেতে পারে। গ্রাহকরা নির্দিষ্ট কোড বা কিউওয়ার্ড ব্যবহার করে তাদের অর্ডার দিতে পারবেন, যা প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
স্থানীয় ডেলিভারি রুট তৈরি
নির্দিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের জন্য স্থানীয় ডেলিভারি রুট তৈরি করুন। ডেলিভারি এজেন্টদের এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দিন যাতে পণ্য সরবরাহে বিলম্ব না হয়।
পিক-আপ পয়েন্ট স্থাপন
বিভিন্ন এলাকায় পিক-আপ পয়েন্ট তৈরি করুন, যেখানে গ্রাহকরা সরাসরি এসে তাদের অর্ডার করা পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি ডেলিভারি সময় ও খরচ উভয়ই কমাতে সাহায্য করবে।
নগদ পেমেন্ট
নগদ অর্থ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকুন, বিশেষ করে গ্রাহকদের যারা পণ্য গ্রহণের সময় অর্থ প্রদান করতে চান।
মোবাইল ব্যাংকিং
বিকাশ, রকেট বা নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যবহার করে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন, যা ইন্টারনেটের ওপর কম নির্ভরশীল।
অফলাইন গ্রাহক সেবা কেন্দ্র
অফলাইন গ্রাহক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করুন যেখানে গ্রাহকরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
ফোন ও এসএমএসে আপডেট প্রদান
গ্রাহকদের অর্ডারের অবস্থা জানানোর পাশাপাশি যোগাযোগ বজায় রাখতে ফোন কল ও এসএমএস ব্যবহার করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের আস্থা বজায় রাখতে সহায়ক।
ইনভেন্টরি ট্র্যাকিং
অফলাইনে ইনভেন্টরি ট্র্যাক করার জন্য একটি ম্যানুয়াল সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশন, যেমন: এমএস এক্সেল ব্যবহার করুন, যা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই কাজ করতে পারে।
স্টক রিভিউ
প্রতিদিনের ইনভেন্টরি পর্যবেক্ষণ করে স্টক পূর্ণ করতে থাকুন, যাতে প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত থাকে এবং গ্রাহকদের কোনো পণ্যের ঘাটতি না হয়।
ফ্লায়ার বিতরণ
আপনার পণ্য ও পরিষেবার বিবরণসহ ফ্লায়ার তৈরি করুন এবং সেগুলো বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করুন। এতে করে আপনার গ্রাহকরা সহজেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং অর্ডার করতে পারবেন।
স্থানীয় প্রচার চালানো
আপনার ব্যবসার জন্য স্থানীয়ভাবে প্রচার চালান। পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে পারেন। স্থানীয় মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিন যাতে গ্রাহকরা আপনার ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।
ক্যাম্পেইন ও ডিসকাউন্ট অফার
বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ডিসকাউন্ট অফার চালু করুন, যা অফলাইনে পণ্য ক্রয়ের জন্য উৎসাহিত করবে। অফলাইনে পণ্য ক্রয়ে বিশেষ ছাড় বা উপহার দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারেন।
ব্যবসার ব্যাকআপ পরিকল্পনা
ইন্টারনেট বন্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা তৈরি করুন। এ পরিকল্পনায় বিকল্প যোগাযোগ পদ্ধতি, পেমেন্ট সিস্টেম, ডেলিভারি পদ্ধতি এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টের জন্য বিকল্প সমাধান অন্তর্ভুক্ত করুন।
প্রশিক্ষিত কর্মী দল গঠন
আপনার কর্মীদের এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হবে, তার ওপর প্রশিক্ষণ দিন। তারা যেন অফলাইনে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং দায়িত্ব দিতে হবে।
এসব পরামর্শ অনুসরণ করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও আপনার ই-কমার্স ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং গ্রাহকদের সেবা দিতে সক্ষম হবেন। ইন্টারনেট ফিরে আসার পর এ অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল ব্যবসা গড়তে সহায়ক হবে।
লেখক: হেড অফ বিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং, স্টার সিরামিকস লিমিটেড
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বখ্যাত চিন্তাবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্য উপদেষ্টাদের বৃহস্পতিবার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ ও নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক এ উপলক্ষে বলেন, অর্থনীতির কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ইউনুসের হাত ধরে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এক নবজাগরণ ঘটেছে ছাত্রসমাজ তথা তারুণ্য শক্তির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, নগদ শুরু থেকেই তার চলার পথে তারুণ্যকে প্রধান শক্তি বলে মনে করে। সেই তরুণদের আহ্বানেই এই সংকটকালে দেশের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন সারা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের অপার সম্ভাবনা ও তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতম মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্ব সারা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে।
‘এবার আমাদের সৌভাগ্য, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ায় তিনি রাজি হয়েছেন এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমি আশা করি তার দেখানো পথে নগদও এগিয়ে যাবে।’
আধুনিক মোবাইল গেমগুলোতে দারুণ গ্রাফিক্স ও দ্রুত গতির সঙ্গে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। এসব কিছু প্রাধান্য দিয়ে তরুণদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে ইনফিনিক্স হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
২০২৪ সালের শুরুতে বাজারে এসেছে হট ৪০ সিরিজের প্রথম ফোন ‘ইনফিনিক্স হট ৪০ আই’। পরে বাজারে আসে একই সিরিজের আরও দুই স্মার্টফোন ‘হট ৪০ প্রো’ এবং ‘হট ৪০’।
মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা, এক্সবুস্ট গেমিং ইঞ্জিন এবং ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি লাইফের মতো ট্রেন্ড-সেটিং ফিচার আছে আধুনিক এসব স্মার্টফোনে।
শুরু থেকেই বাজারের সব গেমিং স্মার্টফোন সেগমেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছে ইনফিনিক্সের এ তিন ফোন।
গেমিংয়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাঝখানে হঠাৎ সংযোগ হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে হট ৪০ প্রোতে আছে একটি মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা। এ ছাড়াও স্মুথ গেমিং নিশ্চিত করতে ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ প্রসেসর এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম।
ফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি প্লাস ডিসপ্লেতে আপনার প্রিয় গেমগুলোকে দেখাবে অত্যন্ত মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
গেমিংয়ের জন্য ফোনের পারফরম্যান্সকে অপটিমাইজ করতে হট ৪০ প্রোতে রয়েছে গেম মোড এবং গেম টার্বোর মতো ট্রেন্ডিং সব ফিচার।
১০৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাক এবং ৩২ মেগাপিক্সলের সেলফি ক্যামেরার ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ ফোনটির গেম অ্যান্টেনা ফোনের ওয়াইফাই জোনকে বর্ধিত করে। আধুনিক এই প্রযুক্তি গেমিংয়ের সময় সিগন্যাল রিসিপশন বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে ইনফিনিক্স। এতে গেমাররা কোনো প্রকার আটকে যাওয়া ছাড়াই গেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে।
গেমিংয়ের সব চাহিদা পূরণে যথেষ্ট মসৃণ ডিসপ্লের ফোনটিতে আরও আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ৮ গিগাবাইট র্যাম। একই সঙ্গে আছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার এবং ৩৩ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপটর, যা দিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ চার্জ হতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।
বর্তমানে এ গেমিং ফোনটির দাম ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
হট ৪০ সিরিজের সবচেয়ে সাশ্রয়ী গেমিং ফোন হচ্ছে ইনফিনিক্স হট ৪০ আই। নির্ঝঞ্ঝাট গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে রয়েছে অক্টাকোর ইউনিসক টি ৬০৬ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। আধুনিক ফিচারের ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ সিরিজ ছাড়াও ইনফিনিক্সের আছে হট ৩০ সিরিজ। এ সিরিজের ফোনগুলোতে মিলবে দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন এনে গেমিং স্মার্টফোনের বাজারকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ইনফিনিক্সের হট সিরিজ। দেশের যেকোনো অফিশিয়াল শোরুম থেকে কিনতে পারবেন পছন্দের ইনফিনিক্স স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন:সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার অপারেটরদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ছয় ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হয়। তার একদিন পর আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ এবং গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য