‘নতুন সময়ের নয়া প্রযুক্তি, নবপ্রজন্মের সবুজ পৃথিবী’ এ স্লোগান নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত এক লঞ্চিং প্রোগ্রামে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আগের দুটি সিজন সফলভাবে পরিচালনার পর এরই ধারাবাহিকতায় ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের সিজন-৩ চালু করলো ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এ ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সম্পর্কে জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটনের এ উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-৩ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় অভিনেতা আজিজুল হাকিম।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ অফারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তৌহিদুর রহমান রাদ।
তিনি জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার ও ট্যাব ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা একচেঞ্জ সুবিধা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখিত পণ্যগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্র্যান্ডের (সচল কিংবা অচল) সমজাতীয় পণ্য ওয়ালটন প্লাজায় জমা দিয়ে এক্সচেঞ্জ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। তবে মনিটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিভি এবং ট্যাবের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এক্সচেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, এ ক্যাম্পেইনের আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল আইটি পণ্য জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা ডিসকাউন্টে ওয়ালটনের নতুন ডিজিটাল ডিভাইস কেনা যাবে। এমনকি এ সুবিধায় কেনা ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের মূল্য ৩ মাসের কিস্তি সুবিধায় পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এসব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি না। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করে দেবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান আমরা খুঁজছিলাম। আমরা ওয়ালটনকে সেই জায়গায় পেয়েছি। বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইসের কোনো কোম্পানির নাম নিতে হলে সবার আগে ওয়ালটনের নাম নিতে হবে। আজকে বাংলাদেশের সফলতা, কর্মসংস্থান এবং উদ্ভাবনের কথা বলতে গেলে ওয়ালটনের কথা বলতে হবে। বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠান যদি ইনোভেশনে নেতৃত্ব দিতে পারে, তবে সেটি ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগান মানেই ওয়ালটন।
তিনি আর বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ও রিসাইক্লিংয়ের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের এই উদ্যোগ অভিনব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওয়ালটনের ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার দেশের সামগ্রিক মঙ্গল বয়ে আনবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের ক্রেতারা শুধু আর্থিক সুবিধাই পাচ্ছেন না বরং দেশ ও পরিবেশের সুরক্ষায় অবদান রাখছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশকে দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনঃব্যবহারে প্রতিনিয়ত আমাদের নানান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আগে এয়ারকন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্য ক্রয়েও আমরা ক্রেতাদের এক্সচেঞ্জের সুবিধা দিয়েছি। পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে আমরা পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। যার প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ পদকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদকে ওয়ালটন ভূষিত হয়েছে। ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের এ উদ্যোগ দেশকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশা করি।’
এস এম রেজাউল আলম বলেন, ‘রান্নাঘরের বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনা না করা হলে ঘরে থাকা যায় না। তেমনিভাবে আমাদের ঘর কিংবা কর্মস্থলে যেসব ই-বর্জ্য থাকে, সেগুলোরও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন। আমরা প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবো। একইসঙ্গে প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলো যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলবো। আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু পুরনো ও আমদানি নিষিদ্ধ রিফারবিশড পণ্য দেশে প্রচুর পরিমাণে ঢুকছে। যা দেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তুলছে। এটি শিল্প ও মানুষের জীবনের জন্য হুমকি এবং দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ ও নজরদারি বাড়ানো এবং মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও মো. হুমায়ুন কবীর, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম ও রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির ও জিনাত হাকিমসহ অনেকে।
গ্রাহকের প্রতিদিনের লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন সুবিধা। পাশাপাশি, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’, ‘রিকোয়েস্ট মানি’, ‘সেভিংস মার্কেটপ্লেস’ ও ভিসা কার্ড থেকে অ্যাড মানি করতে ‘ডিফল্ট’ কার্ড সেভ করার মতো আকর্ষণীয় সব নতুন ফিচারও যুক্ত হয়েছে ভার্চুয়াল অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় এই অ্যাপে।
বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন
এখন থেকে বারবার পিন বা গোপন নম্বর দিয়ে লগইন না করে বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেও সহজ ও নিরাপদে লগইন করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এতে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকল না, তেমনি বাড়ল বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের লগইন স্ক্রিন অথবা প্রোফাইল থেকে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন।
সেবাটি চালু করতে লগইন স্ক্রিন অথবা গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে বায়োমেট্রিক অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে পিন দিয়ে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার লগইন করতে আর পিন দিতে হবে না। ডিভাইসে সেট করা ‘ফেস আইডি’ অথবা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। প্রয়োজনমতো গ্রাহক আবার অ্যাপের প্রোফাইল থেকে ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ সেবাটি বন্ধও করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপের এই সেবাটি শুধুমাত্র ক্লাস ৩ বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সম্বলিত ডিভাইসে উপভোগ করা যাবে। নতুন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করলে, পিন পরিবর্তন করলে, বিকাশ অ্যাপে পিন লক হয়ে গেলে বা অ্যাপ আন-ইন্সটল করলে সেবাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেবাটি আবার চালু করতে হবে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করার এক বছর পর আবার নতুন করে সেবাটি চালু করে নিতে হবে।
গ্রুপ সেন্ড মানি
এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কয়েকজনকে একসঙ্গে টাকা পাঠাতে পারবেন।
টাকা পাঠাতে প্রথমে অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘সেন্ড মানি’ অপশনে গিয়ে ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এখানে গ্রুপের সদস্য যারা হবেন তাদের নম্বর বা নাম সিলেক্ট করে, গ্রুপের একটি নাম দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর টাকার পরিমাণ লিখে পরবর্তী ধাপে পিন দিয়ে সম্মতি দিলেই গ্রুপের সবার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে।
গ্রুপে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে সবাইকে সমপরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন অথবা কোন সদস্য কত টাকা পাবেন- সেটাও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। একটি গ্রুপে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য রাখা যাবে। একবার গ্রুপ সেন্ড মানি করার কমপক্ষে ১০ মিনিট পর পরের লেনদেনটি করা যাবে।
গ্রাহকরা অ্যাপের সেন্ড মানি অপশন থেকে গ্রুপের নাম ও সদস্যদের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। ইনবক্সে গিয়ে ‘লেনদেনসমূহ’ অথবা বিকাশ মেন্যুর ‘স্টেটমেন্ট’ থেকে কে কত টাকা পেল- সেটা দেখা যাবে।
রিকোয়েস্ট মানি
বিকাশ গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য যে কোনো বিকাশ গ্রাহকের কাছে টাকা চাইতে ইন-অ্যাপ রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
গ্রাহকরা অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘রিকোয়েস্ট মানি’ আইকনে ট্যাপ করে সেন্ড মানি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনকে (ব্যক্তি রিকোয়েস্ট এবং গ্রুপ রিকোয়েস্ট মিলিয়ে) রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা রিকোয়েস্ট করা যাবে। যে কোনো রিকোয়েস্টের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০ টাকা হতে হবে।
রিকোয়েস্ট মানি-এর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবেনা।
সেভিংস মার্কেটপ্লেস
বিকাশ অ্যাপে সেভিংস স্কিম খোলা এবং সহজেই কিস্তি জমা দেয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে এই নতুন সেবার মাধ্যমে।
নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি-এর সেভিংস স্কিম নেয়া গ্রাহকরা তাদের মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির টাকাও সহজে পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া সেভিংসের পরিমাণ, কিস্তি জমা দেয়ার নোটিফিকেশন, মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির তালিকা, সেভিংস ম্যাচিউর হওয়ার সময়সহ আরও বিভিন্ন সুবিধা থাকছে এ সেবায়।
‘ডিফল্ট’ কার্ড সুবিধা
ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে এখন আর বারবার কার্ডের তথ্য দেয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা নিজের পছন্দের ভিসা কার্ডটি ‘ডিফল্ট’ কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে রাখতে পারবেন।
ডিফল্ট কার্ড নির্ধারণ করতে অ্যাপের হোম স্ক্রিনের ‘অ্যাড মানি’ অপশন থেকে ‘কার্ড টু বিকাশ’-এ গিয়ে ‘ভিসা’ সিলেক্ট করতে হবে। পরের ধাপে অ্যাড মানি করার জন্য নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে বা কন্টাক্ট লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে। এরপর কার্ডের তথ্য দিয়ে অ্যাড মানি করার পর কার্ডটি ডিফল্ট কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। তারপর থেকে অ্যাড মানি করার সময় ডিফল্ট কার্ডটি স্ক্রিনের নিচে দেখা যাবে।
গ্রাহক চাইলে অ্যাপ থেকেই কার্ডের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্সের পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংসসহ নানা সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রাহকবান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।
সীমিত বেতনের চাকরিজীবী রাজীব। অফিসে আসা-যাওয়ার জন্য গণপরিবহনই তার ভরসা, তবে পরিবার নিয়ে যাতায়াতের সময় ভিড়ে ঠাসা গণপরিবহনে উঠতে স্বস্তি বোধ করেন না তিনি।
ঢাকার রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়াও সবসময় সহজ নয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পাওয়া গেলেও চালকরা যে ভাড়া হাঁকান, তা অনেক সময় যাত্রীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এমন বাস্তবতায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক সমাধান খুঁজছেন রাজীব।
এ চাকরিজীবীর মতো অনেকেই এমনটি খুঁজছেন। তাদের জন্য সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস।
উবারের ভাষ্য, তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। ঘরে বসেই যেকোনো সময় রাইড বুক করা যায় বলে এ সেবা গ্রহণ সুবিধাজনক।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসটি জানায়, অটোরিকশা সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবারের দুই-তিনজন সদস্য বা বন্ধুকে নিয়ে কম খরচে, আরামদায়কভাবে চলাফেরা করা যায়। আবার রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের ইন-অ্যাপ সব সুবিধাও পাওয়া যায়।
নিরাপত্তাকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সার্ভিস ব্যবহার করলে নিজের ও প্রিয়জনের নিরাপত্তা নিয়ে থাকা যায় নিশ্চিন্ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানানো, সেফটি টুলকিট, হটলাইন, ইন্স্যুরেন্স পলিসিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তার ফিচার এখানে রয়েছে।
আরও পড়ুন:বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসসিপিএলসি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছেন। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।
বিএসসিপিএলসি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো- সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।
বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের আলোচিত প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের চাকরি ফিরে পেয়েছেন স্যাম অল্টম্যান।
ওপেনএআই সামজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে তার চাকরিতে পুনর্বহাল করার তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদেন বুধবার বলা হয়েছে।
বছরখানেক আগে চ্যাটজিপিটি এনে শোরগোল ফেলে দেয় ওপেনএআই। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ছিলেন স্যাম। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সহ–প্রতিষ্ঠাতাও।
সম্প্রতি ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিবৃতি দিয়ে স্যামকে চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দিলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। স্যামের পদ ছাড়ার পর পদ ছাড়ে আরেকজন সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যান।
৩৮ বছর বয়সী স্যামের হাত ধরে বছরখানেক আগে আসে চ্যাটজিপিটি। সারা দুনিয়ায় এর মাধ্যমে তিনি হইচই ফেলে দেন।
বিশ্ব ফুটবলের নজরকাড়া লড়াই উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আগামী বছর। পুরুষদের ফুটবলে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে লড়বে ২৪টি দল। ইউরোপের ওই লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে সারাবিশ্ব। আর মর্যাদার ওই লড়াইয়ে অফিসিয়াল পার্টনার ও স্মার্টফোন স্পন্সর হিসেবে থাকছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো।
আগামী বছর ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ভিভোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুটবল ভক্তদের সাথে যোগ দিতে পেরে ভিভো রোমাঞ্চিত। অফিসিয়াল পার্টনার এবং অফিসিয়াল স্মার্টফোন হিসেবে, ভিভো বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে তার অত্যাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে ভিভো উয়েফা-এর সাথে প্রতিটি খেলার পরে "প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ" অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবে।
স্মার্টফোনে ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এরইমধ্যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছে ভিভো। সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা ভিভো ভি২৯ ও ভি২৯ই তে আছে স্মার্ট অরা লাইট প্রযুক্তি। যা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফিতে নিয়ে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও নিখুঁতভাবে আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের ওই আসরের বয়স তখন ছিল ৬০ বছর। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওই আসরে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। মানসম্মত ও আকর্ষনীয় ছবি তুলতে ভিভো সব ধরনের উদ্যোগ নেয়। যাতে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এসব উদ্যোগ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় ফুটবলভক্তদের। ওই আসরে একজন ভক্ত ভিভোর উদ্যোগে সুযোগ পায় ফাইনাল উপভোগ করার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
স্মার্ট ৮ মডেলের নতুন বাজেট স্মার্টফোন বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স।
সাধ্যের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের সব প্রযুক্তিপ্রেমীর সব ধরনের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী করেই স্মার্টফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
বাজেটবান্ধব স্মার্ট ৮-এ আছে ৬.৬ ইঞ্চির ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেলের এইচডি+ ডিসপ্লে। পাশাপাশি ফোনটি ব্যবহারে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে ডিসপ্লেতে আছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০ হার্টজের টাচ সেম্পলিং রেট। প্রসেসর হিসেবে স্মার্ট ৮ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসকের ১.৬ গিগাহার্টজ টি৬০৬ অক্টাকোর প্রসেসর। আর মাল্টিটাস্কিংয়ের সুবিধা দিতে ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।
ছবি তোলার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে স্মার্ট ৮-এর পেছনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। সামনের দিকে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। কম আলোতে ভালো ছবি ধারণ করতে ফোনটির পেছনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রিং এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট।
যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ফোনটিতে ফোরজি ডুয়াল সিম ব্যবহার করা যাবে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও ফোনের সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইস সংযুক্ত করতে ফোনটিতে ব্লুটুথ ৫ ব্যবহার করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৩-এর ওপর ভিত্তি করে চলা ইনফিনিক্সের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এক্সওএস ১৩ আছে স্মার্ট ৮-এ। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফোনটির পাশের দিকে আছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। স্মার্ট ৮-এর ব্যাটারি সক্ষমতা ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার এবং চার্জিংয়ের জন্য সঙ্গে থাকছে ১০ ওয়াটের চার্জার ও উন্নত সংস্করণের সি-পোর্ট।
পছন্দের রঙের ফোন বেছে নেয়ার জন্য টিম্বার ব্ল্যাক, গ্যালাক্সি হোয়াইট, ক্রিস্টাল গ্রিন ও শাইনি গোল্ড রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্ট ৮।
ফোনটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৯ টাকা, তবে অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিসহ ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায় স্মার্ট ৮ পাওয়া যাবে দারাজে। এ ছাড়াও ফোনটির ৪জিবি+৬৪জিবি ভার্সনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায়।
আরও পড়ুন:তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের নয় হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারে বিদ্যমান ৩৮৫টি সেবাকে ২০২৪ সালে এক হাজার সেবায় উন্নীত করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টার এক একটি স্মার্ট সার্ভিস হাবে পরিণত হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রতিমন্ত্রী নাটোরের সিংড়ায় হাই-টেক পার্ক চত্বরে ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও হাব পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়ার অভিপ্রায়ে ২০০৮ সালে ‘রুপকল্প-২০২১’ নামে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এরই ধারবাহিকতায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারদেশের সকল ইউনিয়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। ২০১৩ সালে সকল পৌরসভায় পৌর ডিজিটাল সেন্টার ও সিটি কর্পোরেশনে নগর ডিজিটাল সেন্টার, ২০১৮ সালে বিশেষ জনগোষ্ঠির চাহিদার আলোকে স্পেশালইজড ডিজিটাল সেন্টার এবং সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্যে এক্সপাট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার এবং ২০২৩ সালে গ্রাম পর্যায়ে ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার এর কার্যক্রম চালু করা হয়।
‘এছাড়া ফিলিপাইনের বাংসোমারো প্রদেশে আমাদের দেশের ডিজিটার সেন্টারের আদলে ১০৫টি ওয়ান স্টপ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করেছি। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, কম্বোডিয়াতেও ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে এই মডেল রেপ্লিকেট করা হচ্ছে।’
পলক বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, ঢাকা মানে বাংলাদেশ নয়। বঙ্গবন্ধু বিকেন্দ্রীয়করণের নীতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাংক অনুসরণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচী প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারসমূহ তৃণমূল থেকে কাজ শুরু করে। অর্থাৎ শিকড় থেকে শিখরে পৌঁছে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়।
“এসব ডিজিটাল সেন্টারে দ্রুততম সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে নাগরিক সেবা প্রদানকে সহজলভ্য করা হয়েছে। প্রতিমাসে এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লক্ষের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে সেবা গ্রহীতাদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ সময়, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ যাতায়াত খরচ সাশ্রয় হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রাম পর্যায়ে এক হাজার ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। সারাদেশে স্থাপিত হাই-টেক পার্কসহ তথ্য প্রযুক্তির স্থাপনাগুলো তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানে মুখর হয়ে উঠেছে। আমরা দেশের ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব সেন্টারে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং এসব সেন্টারে পাঁচ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে।’
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভুঁইয়া, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাজেদুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সফল উদ্যোক্তা নীলা চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে অনলাইনে সিংড়া উপজেলার ৩৬টি উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং আটটি উন্নয়ন কার্যক্রমের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য