নিজের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুগলের চাকরি ছাড়লেন ‘এই গডফাদার’খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউরাল নেটওয়ার্কে হিন্টনের অগ্রগামী কাজ আজকের দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনেক ডিভাইসকে পূর্ণতা দিয়েছে। গুগলের এআই উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে এক দশক ধরে তিনি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি এআই প্রযুক্তি ও এটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিই যে আমি না করলেও অন্য কেউ এটা করত।’
সোমবার একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘গুগলের সমালোচনা নয়, বরং এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলার জন্যই আমি চাকরি ছেড়েছি।’
‘আমি গুগলের চাকরি ছেড়েছি যাতে শুধু গুগল নয়, অন্য সকল প্রযুক্তিক্ষেত্রে এআই কিভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে পারি।’
‘তবে এক্ষেত্রে গুগল খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে’, বলেন তিনি।
হিন্টনের প্রসংশা করে গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের ভিত্তিই গড়ে দিয়েছেন হিন্টন।’
সিএনএন-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে ডিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহসিকতার সাথে উদ্ভাবন করার পাশাপাশি আমরা এআই-এর নতুন ঝুঁকিগুলোও বুঝতে শিখছি।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই চ্যাটবটের কারণে ভুল তথ্য প্রচার ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের চাকরি হারানোর শঙ্কায় যখন ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আইন প্রণেতা ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই গুগল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন হিন্টন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এই ব্যাপক আগ্রহ গত বছরের শেষদিকে চ্যাটজিপিটি’র আবির্ভাবের পর থেকে শুরু হয়। এরপর থেকেই বিশ্বের বড় বড় ‘টেক জায়ান্ট’রা নিজেদের প্রস্তুতকৃত ডিভাইস ও সার্ভিসগুলোতে একইরকম ‘এআই টুল’র ব্যবহার করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ওপেন এআই, মাইক্রোসফট ও গুগল এই প্রতিযোগিতার শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে আইবিএম, অ্যামাজন, বাইডু ও টেনসেন্ট-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও ওই একই ধরণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
প্রযুক্তি জগতের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ‘সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি’ উল্লেখ করে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণ বন্ধ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবগুলোর জন্য একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। চিঠিটি ওপেন এআই-এর জিপিটি-৪ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই স্বাক্ষরিত হয়।
জিপিটি-৪ প্রযুক্তির আরও শক্তিশালী সংস্করণ যা চ্যাট জিপিটি-কে আরও শক্তিশালী করে। প্রাথমিক পরীক্ষা ও একটি কোম্পানির ডেমোতে, জিপিটি-৪ মামলার খসড়া তৈরি করতে, মানসম্মত পরীক্ষায় পাস করতে এবং হাতে আঁকা স্কেচ থেকে একটি কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে হিন্টন এআই-এর সক্ষমতার কারণে ‘চাকরি কমে সম্ভাবনা ও সত্য কি তা আর অনেকেই জানতে পারবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এআই-এর এই অগ্রগতি ছিল হিন্টন ও অন্য প্রযুক্তিবিদদের কাছে অভাবনীয়।
এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘প্রযুক্তির এই বিষয়টি যে আসলে মানুষের চেয়েও স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে, খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল যে সেই সময় আসতে এখনও অনেক দেরি। আমিই তো ভেবেছিলাম যে অন্ততঃ এই পর্যায়ে আসছে আরও ৩০ থেকে ৫০ বছর তো লাগবেই। তবে বুঝতেই পারছেন, আমি আর এমনটা ভাবি না।’
তবে শুধু হিন্টনই প্রথম গুগলের কর্মী নন, গত বছরের জুলাই মাসে ডেটা সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করার দায়ে কোম্পানিটি একজন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করে। তিনিও অভিযোগ করেছিলেন যে একটি অপ্রকাশিত এআই সিস্টেম খুবই সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। তবে তার ওই দাবিকে অনেক বিজ্ঞানীরাই তখন সমর্থন করেননি।
দেশের বাজারে এক দরজা-বিশিষ্ট (সিঙ্গেল ডোর) অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) আনতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।
ওয়ালট কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।
অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। আমাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।’
ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী বলেন, ‘সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলভার ক্লিন++ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক।
‘এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।’
তিনি আরও জানান, বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:মহাশূন্যে সেলফি তুলে পাঠিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল-১। চন্দ্রাভিযানের ঠিক পর পরই সৌর অভিযানে নেমেছে দেশটি।
ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ‘এল-১’-এর পথে রওনা দেয়ার সময় পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে পৃথিবী ও চাঁদের সঙ্গে ছবি তুলে পাঠিয়েছে ওই সৌরযান।
বৃহস্পতিবার ইসরো এ ছবি প্রকাশ করেছে বলে এনডিটিভর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টুইটারে ছবিগুলো ভিডিও আকারে প্রকাশ করেছে ইসরো।
পোস্টে লেখা হয়েছে, আদিত্য এল-১ অভিযান: প্রত্যক্ষদর্শী! আদিত্য এল-১ সূর্যের ল্যাগ্রেঞ্জ এল-১ পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পথে সেলফি তুলল, ছবি তুলল পৃথিবী এবং চাঁদেরও।
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর শুরুতে ভারতীয় সৌরযানের তোলা সেলফি তুলে ধরা হয়েছে। তাতে সৌরযান আদিত্য-এর ভিইএলসি এবং সুইট দৃশ্যমান।
এর পর ভারতীয় সৌরযানে বসানো ক্যামেরার তোলা পৃথিবী এবং চাঁদের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ঘন কালো আকাশে আলোয় উদ্ভাসিত পৃথিবীর একদিক। তার ডানদিকে চোখে পড়ছে একটি চলমান বিন্দু। সেটি চাঁদ বলে জানিয়েছে ইসরো। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার মুহূর্ত ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে আদিত্য এল-১ সৌরযানের উৎক্ষেপণ হয়। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে দুবার চক্কর কেটেছে সেটি।
সূর্যের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল-১-এ পৌঁছানোর আগে, আরও দুবার গতি বাড়িয়ে চক্কর কাটবে এই যান। ১২৫ দিন পর ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল-১-এ পৌঁছনোর কথা ভারতের সৌরযানের।
মহাশূন্যে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুই বস্তুর পারস্পরিক আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের ফলে যে স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে ওঠে, তাকেই বলে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট। এই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টকে মহাকাশযানের পার্কিং স্পটও বলা হয়। সেখানে কম জ্বালানি খরচ করে, মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নির্বিঘ্নে নজরদরি চালানো যায়।
সূর্যের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য, গণিত বিশারদ জোসেফ লুইস ল্যাগ্রেঞ্জ এই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল-১ আবিষ্কার করেন।
ইসরো জানিয়েছে, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল-১ থেকে কোনো রকম বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ঠিক কী ঘটছে, মহাকাশের সার্বিক আবহাওয়ায় তার কী প্রভাব পড়ছে, তৎক্ষণাৎই সব তথ্য হাতে পাওয়া সম্ভব।
এশিয়া কাপে লড়ছে বাংলাদেশ দল। তাদের অনুপ্রাণিত করতে ভক্তদের নিয়ে ‘চার্জ-আপ বাংলাদেশ’ কনসার্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
আগামী শুক্রবার ঢাকার কেআইবি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে এ কনসার্ট। বিকেল ৩টায় ভেন্যুর প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হবে।
কনসার্টে পরিবেশনা থাকবে জনপ্রিয় ব্যান্ড ম্যানবটস, দ্য লং রোড, মরুভূমি ও শিরোনামহীনের। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উপভোগ করার পাশাপাশি তাসকিন ও বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ জোগাবে ফ্যানরা।
নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসা উপলক্ষে ভক্তদের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু আয়োজন করেছে ইনফিনিক্স। এই কনসার্টও সেই উদ্যোগের অংশ। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ছয়টি ইনফিনিক্স আউটলেট এবং অনলাইনে getsetrock.com ওয়েবসাইটে কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাবে। নোট ৩০ সিরিজের ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাবেন একটি ভিআইপি প্রিমিয়াম পাস। এ ছাড়া ফ্যানদের জন্যও এই বিশেষ পাসটি জেতার সুযোগ থাকছে। সে জন্য তাদের একটি শেয়ারিং কনটেস্টে অংশ নিতে হবে।
#ChargeUpBangladesh হ্যাশট্যাগের সঙ্গে নিজেদের ফেসবুক পেজে ইভেন্টটি শেয়ার করা ভক্তদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য স্পন্সরদের মধ্যে আছে এইচজি, ভিশন, টেকল্যান্ড, এনইও, এএএনটি, কেএসএমএল, ব্রুভানা ও পোলার।
অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসে জুলাইয়ে। এই সিরিজে আছে দুটি মডেল—নোট ৩০ ও নোট ৩০ প্রো। সেই মাসেই ফ্যানদের জন্য বসুন্ধরা সিটির টগি ওয়ার্ল্ডে ‘ফাস্ট চার্জ, ফাস্ট ফান’ ও স্টার সিনেপ্লেক্সে ফ্যান ইভেন্টসহ বেশকিছু আয়োজন করে ইনফিনিক্স। সাশ্রয়ী মূল্যে অসাধারণ সব ফিচার ও নোট ৩০ প্রোর ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির কারণে সিরিজটি তরুণদের কাছে অল্প সময়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাচ্ছেন ২ হাজার টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০-এর ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+ ২৫৬ জিবির দুটি ভার্সন যথাক্রমে ১৮ হাজার ৯৯৯ এবং ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহী শহরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার।’
আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহীর গণপূর্ত অধিদপ্তর চলতি বছরের জুলাইয়ে নভোথিয়েটারটির পুরো কাজ শেষ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল অনুযায়ী যেকোনো সময় নভোথিয়েটারটির উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৮ সালে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সামনের অংশে শুরু হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’-এর নির্মাণকাজ।
করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় চলতি বছরের জুলাইয়ে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা দেশের সর্ববৃহৎ পরিধির এ প্রকল্পের মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে প্ল্যানেটেরিয়ামসহ ফাইভজি হল ও আধুনিক অবজারভেটেড টেলিস্কোপ, যা দেশে প্রথম। এটি দিয়ে গবেষকরা নভোমণ্ডলের গবেষণা আরও এগিয়ে নিতে পারবেন।
এ নভোথিয়েটারে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে তিন তলায় যেতে ভেতরে দুটি বড় সিঁড়ি ছাড়াও রয়েছে লিফট ও এস্কেলেটর। তৃতীয় তলায় পূর্ব-উত্তর কোনায় বসানো হয়েছে ডোম বা গম্বুজ। সফটওয়্যার চালুর সঙ্গে সঙ্গে ক্লিক করলেই গম্বুজের চারপাশ থেকে হালকা আলোয় আলোকিত হতে শুরু করবে মাথার ওপরের সাদা পর্দা।
চার পাশের মোট পাঁচটি প্রজেক্টর একসঙ্গে চালু হয়ে শুরু হবে পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য দ্য বিগ ব্যাং শো। কক্ষটিতে প্রবেশ করতে হচ্ছে জুতা খুলে। কারণ ভেতরে খুবই স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নভোথিয়েটারটি প্রতিটি ফ্লোরে লাইটিং, ভবনের সামনে সুদৃশ্য পানির ফোয়ারাসহ করা হয়েছে আধুনিক ডেকোরেশন। পুরো ভবনে সেন্ট্রাল এসি স্থাপন, টিকেটিং সিস্টেম পুরোপুরি অটোমেটেড ও ডিজিটাল। এ ছাড়া মেঝেতে বিছানো হয়েছে মূল্যবান মাদুর।
বসার জন্যে সারি সারি লাল রঙের আরামদায়ক চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
পুরো নভোথিয়েটারে আধুনিক ফায়ার প্রটেকশন ও ডিটেকশন ব্যবস্থাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাগানো হয়েছে ১৪০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে অন্তত ১০০টি কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
সম্প্রতি পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীতে দেখা যায়, নভোথিয়েটারে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য থেকে পৃথিবীর সৃষ্টি, সূর্য, চাঁদ, গ্রহ, নক্ষত্র সবই এক পর্দায় ভেসে উঠছে নিমেষেই। নিখুঁত সাউন্ডের জন্য পুরো হলে লাগানো হয়েছে ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, যা দর্শকদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিয়ে যাবে সরাসরি মহাশূন্যে গ্রহ-নক্ষত্রের খুব কাছে।
একসঙ্গে ১৫০ জন আসনগুলোতে বসে অসীম মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে ও দেখতে পারবেন। এখানে দিনে অন্তত ছয় থেকে সাতটি শো চালানো সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিজ্ঞান গবেষণা ও মহাকাশ প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আধুনিক ভবন হতে যাচ্ছে জানিয়ে রাজশাহী গণপূর্ত-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, প্রকল্পে শুধু ভবন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় হয় নভোথিয়েটারের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য খাতে। শুধু প্ল্যানেটেরিয়াম ছাড়াও এখানে রয়েছে বিশাল জায়গা। যেকোনো বিজ্ঞান প্রদর্শনী ছাড়াও চাইলে শিক্ষাবিষয়ক নানা অনুষ্ঠান এখানে করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান রাজশাহী এসে নভোথিয়েটার পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিস্তারিত অবহিত করে উদ্বোধনের জন্য শিডিউল নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল পেলে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই নভোথিয়েটারটির উদ্বোধন হবে।’
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজশাহী শিক্ষানগরী হওয়ায় স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে নভোথিয়েটারটি।’
ঢাকার পরে দ্বিতীয় বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষানগরী ও প্রকৃষ্ট জায়গা বলেই ঢাকার বাইরে রাজশাহীকে নভোথিয়েটার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে নভোথিয়েটার অত্যন্ত প্রয়োজন। এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন:‘নতুন সময়ের নয়া প্রযুক্তি, নবপ্রজন্মের সবুজ পৃথিবী’ এ স্লোগান নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত এক লঞ্চিং প্রোগ্রামে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আগের দুটি সিজন সফলভাবে পরিচালনার পর এরই ধারাবাহিকতায় ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের সিজন-৩ চালু করলো ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এ ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সম্পর্কে জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটনের এ উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সিজন-৩ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় অভিনেতা আজিজুল হাকিম।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ অফারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তৌহিদুর রহমান রাদ।
তিনি জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার ও ট্যাব ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা একচেঞ্জ সুবিধা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখিত পণ্যগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্র্যান্ডের (সচল কিংবা অচল) সমজাতীয় পণ্য ওয়ালটন প্লাজায় জমা দিয়ে এক্সচেঞ্জ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। তবে মনিটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিভি এবং ট্যাবের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এক্সচেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, এ ক্যাম্পেইনের আওতায় যে কোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল আইটি পণ্য জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা ডিসকাউন্টে ওয়ালটনের নতুন ডিজিটাল ডিভাইস কেনা যাবে। এমনকি এ সুবিধায় কেনা ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের মূল্য ৩ মাসের কিস্তি সুবিধায় পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এসব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি না। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করে দেবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান আমরা খুঁজছিলাম। আমরা ওয়ালটনকে সেই জায়গায় পেয়েছি। বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইসের কোনো কোম্পানির নাম নিতে হলে সবার আগে ওয়ালটনের নাম নিতে হবে। আজকে বাংলাদেশের সফলতা, কর্মসংস্থান এবং উদ্ভাবনের কথা বলতে গেলে ওয়ালটনের কথা বলতে হবে। বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠান যদি ইনোভেশনে নেতৃত্ব দিতে পারে, তবে সেটি ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগান মানেই ওয়ালটন।
তিনি আর বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ও রিসাইক্লিংয়ের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন। ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের এই উদ্যোগ অভিনব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওয়ালটনের ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার দেশের সামগ্রিক মঙ্গল বয়ে আনবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের ক্রেতারা শুধু আর্থিক সুবিধাই পাচ্ছেন না বরং দেশ ও পরিবেশের সুরক্ষায় অবদান রাখছেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশকে দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনঃব্যবহারে প্রতিনিয়ত আমাদের নানান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আগে এয়ারকন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্য ক্রয়েও আমরা ক্রেতাদের এক্সচেঞ্জের সুবিধা দিয়েছি। পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে আমরা পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। যার প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ পদকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদকে ওয়ালটন ভূষিত হয়েছে। ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের এ উদ্যোগ দেশকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশা করি।’
এস এম রেজাউল আলম বলেন, ‘রান্নাঘরের বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনা না করা হলে ঘরে থাকা যায় না। তেমনিভাবে আমাদের ঘর কিংবা কর্মস্থলে যেসব ই-বর্জ্য থাকে, সেগুলোরও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন। আমরা প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবো। একইসঙ্গে প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলো যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলবো। আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু পুরনো ও আমদানি নিষিদ্ধ রিফারবিশড পণ্য দেশে প্রচুর পরিমাণে ঢুকছে। যা দেশের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তুলছে। এটি শিল্প ও মানুষের জীবনের জন্য হুমকি এবং দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ ও নজরদারি বাড়ানো এবং মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও মো. হুমায়ুন কবীর, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম ও রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির ও জিনাত হাকিমসহ অনেকে।
চাঁদের রহস্যে ঘেরা দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে পা রাখলো ভারত।
বুধবার ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় দেশটির চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করতে শুরু করে। ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ইতিহাস গড়ে চন্দ্রযান-৩।
পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে এখন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। ভারতের কোটি কোটি মানুষের চোখ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের সেই অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে।
ঐতিহাসিক এই অভিযানের চূড়ান্ত মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরো।
ভারতের দেড় শ’ কোটি মানুষ সম্মিলিতভাবে প্রতীক্ষা করে ছিল এই মহার্ঘ প্রহরের জন্য। চন্দ্রযানের চূড়ান্ত সাফল্যের কামনায় নমাজ, বিশেষ পূজা থেকে শুরু করে স্কুলে স্কুলে লাইভ অবতরণ দেখানোর ব্যবস্থা ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার টুইটার অ্যাকাউন্টে সব বিভেদ ভুলে দেশবাসীকে একসঙ্গে চন্দ্রযানের সাফল্য কামনার আবেদন জানান। ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজ্ঞানীদের।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে চন্দ্রযানের চন্দ্রাবতরণ সরাসরি দেখানো হবে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানান, রাজ্যবাসীকে নিয়ে তিনিও চন্দ্রযানের চন্দ্রে অবতরণকে উদযাপন করবেন।
এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল যেন আরও কয়েক গুণ বেশি। আজমীর শরিফের পাশাপাশি লখনউয়ে ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়া আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ নমাজের। সেখানে বহু মানুষ চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করেন।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে বিশেষ ভস্ম আরতির আয়োজন করা হয়। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের পরমার্থ নিকেতন ঘাটে জাতীয় পতাকা হাতে গঙ্গা আরতিতে অংশ নেন বহু সাধারণ মানুষ।
আসানসোলে চন্দ্র অভিযানে ভারতের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাফল্য কামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে মণ্ডপ বেঁধে মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সব মিলিয়ে চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযানের পা দেয়া ঘিরে উন্মাদনায় টগবগ করে ফুটেছে গোটা ভারত।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আগে থেকেই ঘোষণা দেয়, ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ল্যান্ডার।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ‘বিক্রম’। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো দেশের কোনো মহাকাশযান নামতে পারেনি। ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডার নামাতে সক্ষম হওয়ায় ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত।
গত ১৪ জুলাই ভারত চাঁদের উদ্দেশে তৃতীয় অভিযান শুরু করে। ওই দিন দুপুরে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চাঁদের দিকে রওনা দেয় চন্দ্রযান ৩। একটি এলভিএম ৩ রকেট দিয়ে চাঁদের উদ্দেশে চন্দ্রযানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
চন্দ্রাভিযানে রয়েছে একটি ল্যাণ্ডার ও একটি রোভার। ল্যাণ্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে আর রোভার চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নামে ল্যাণ্ডারটির নাম রাখা হয়েছে ‘বিক্রম’ আর রোভারটির নাম ‘প্রজ্ঞান’।
এই অভিযানে সফল হওয়ায় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হলো ভারত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন চাঁদে নামতে সফল হয়েছিল।
আগের অভিযানে ২০১৯ সালে ঠিক চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় ল্যাণ্ডার-রোভারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে চন্দ্রযান-২-এর সেই অরবিটার এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বেস-স্টেশনে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।
চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল নিয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে চন্দ্রযান-৩ ওই অঞ্চলে অবতরণের ফলে চাঁদের বিজ্ঞানীদের সেই ধাঁধাঁ ঘুচবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চন্দ্র পৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের বয়স আবিষ্কারেরও চেষ্টা হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্সের শিক্ষক ড. আকাশ সিনহা বলছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সম্ভাবনাও এই অঞ্চলেই বেশি।
চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই দক্ষিণ মেরু অংশেই ২০০৮ সালে জলের সন্ধান পেয়েছিল চন্দ্রযান-১।
আরও পড়ুন:আইফোন চার্জে থাকার সময় তা সঙ্গে না নিয়ে ঘুমাতে ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোন কাছাকাছি রেখে ঘুমালে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে এরই মধ্যে অনেক গবেষণা হয়েছে। বিষয়টি সামনে এনে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে অ্যাপল।
আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের এ সতর্কবার্তা দেয়।
যারা স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়ে ঘুমান, বিশেষ করে যারা তাদের স্মার্টফোন চার্জে লাগিয়ে সঙ্গে নিয়ে ঘুমান, তাদের জন্য এ সতর্কবার্তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এই সতর্কবার্তা অ্যাপলের অনলাইন ব্যবহারিক গাইডেও যুক্ত করা হয়েছে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বায়ু চলাচল ভালোভাবে করতে পারে, এমন জায়গায় রাখা উচিত আইফোনকে। এ ফোনকে টেবিলের মতো শক্ত ও সমতল পৃষ্ঠে রেখে চার্জ দেয়া উচিত।
কম্বল, বালিশ বা শরীরের মতো নরম পৃষ্ঠে রেখে ফোন চার্জ করা ঠিক না বলে জানানো হয় নির্দেশিকায়।
আইফোনের নির্দেশিকাতে উল্লেখ আছে, চার্জ হওয়ার সময় তাপ উৎপন্ন করে আইফোন। তাপ নির্গমন যথাযথভাবে না হলে এটি পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই কম্বল, বালিশ বা শরীরের কাছাকাছি ফোন রেখে ঘুমানো অনিরাপদ।
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাথমিক বার্তাটি ছিল, ‘পাওয়ার অ্যাডাপটার বা ওয়্যারলেস চার্জারে যুক্ত থাকা অবস্থায় কোনো ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে ঘুমাবেন না।’
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সংস্পর্শে থাকা অবস্থায় ফোনকে কম্বল, বালিশ বা শরীরের নিচে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য