মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। নেটওয়ার্ক না থাকায় ফোনের কোনো সেবা নিতে পারছেন না তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির কথা বলছেন তারা। কেউ কেউ ভিড় করছেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।
অধিকারকর্মী লীনা পারভীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক/মোবাইল ডাটা সিগন্যাল নাই। কেন? জানেন কেউ? কোম্পানিটা আছে তো?’
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার হিমেল মাহবুব লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সার্ভিস গ্রামীণফোনের।’
সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশিদ লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোনের কী সমস্যা। পাকস্থলীর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেছে।’
বিজনেস পোস্টের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ফরহাদ হোসেন গ্রামীণফোনের একটি সেন্টারে তার ছবিসহ পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ শাটডাউন। আমিসহ বহু গ্রাহক সেন্টারে ভিড় করছে।’
আকরামুল হক নামের একজন লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে বিপর্যয়। মুঠোফোনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’
ব্যবহারকারীরা বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল,ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরে কল যায়নি। ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে মেসেজ পাঠিয়েও তাদের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ভিডিও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার ফেসবুকে দলের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সাথে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।
পোস্টে আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক (https://www.tiktok.com/@albdofficial) যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে কিউআর কোডও।
বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। কারো প্রোফাইলে শখের বশে একটু ঢুঁ মারতে গিয়ে রীতিমতো গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছেন কেউ কেউ। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে যাচ্ছে বন্ধুত্বের আবেদন গ্রহণের অনুরোধ।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য শেয়ার করছেন অনেকে। কেউ বলছেন, প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছেন, কেউ বা বলছেন, অটো রিকোয়েস্ট চলে যাচ্ছে কারো কাছে।
ফেসবুক অবশ্য এখনও বিবৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কথা বলেনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গেও। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে দিচ্ছেন স্ক্রিন শটও।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার ওয়েবসাইটে কমিউনিটি ক্যাটাগরিতে গিয়ে প্রশ্ন রেখে আসছেন ব্যবহারকারীদের অনেকে। সেখানেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এমন সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে এ তথ্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাকাঙিক্ষত ‘বাগ’ এই সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে আসলে কী ঘটেছে তা অবশ্য কর্তৃপক্ষই জানাতে পারবে ঠিকঠাক।
আরও পড়ুন:অডিও ও ভিডিও কলের সুবিধা আনছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক টুইটবার্তায় এ তথ্য দিয়েছেন বলে বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মাস্ক বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যে কারো সঙ্গে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাট করা যাবে শিগগিরই। এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কারো সঙ্গে ফোন নম্বর না দিয়ে কথা বলতে পারবেন আপনি।
কল সুবিধাবার সঙ্গে টুইটারে যুক্ত হবে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সুবিধাও। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকলে মেসেজ, ফটো, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ, ডকুমেন্ট, স্ট্যাটাসের আপডেট ও কল বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে সহজেই।
কলের সুবিধা যুক্ত হওয়ার ফলে এখন থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো কল সুবিধা নিতে পারবেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।
এ ছাড়া অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়- এমন অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল স্ল্যাপ ডিভাইসের পর ফোল্ডেবল ফোনের প্রতিযোগিতায় নামছে গুগল। কিন্তু কবে আসবে এই ফোল্ডেবল ফোন, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি প্রযুক্তি বিশ্বের নামকরা লিকস্টাররা।
অবশেষে গুগল নিজেই সবার সামনে উপস্থাপন করলো কাঙ্ক্ষিত সেই ফোন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের প্রস্তুতকৃত প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের একটি টিজারও প্রকাশ করেছে গুগল।
আগামী ২০ মে ডেভেলপারদের নিয়ে আয়োজিত গুগলের ইভেন্টে ‘পিক্সেল ফোল্ড’ নামের ফোনটিকে উপস্থাপন করা হবে।
প্রকাশিত টিজারে দেখা গেছে, গুগলের আসন্ন ডিভাইসটি স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড সিরিজের মতোই বইয়ের ডিজাইনে করা হয়েছে।
তাছাড়া, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৩টি রিয়ার ক্যামেরা। ফোনের ভেতরের স্ক্রিনে বড় বেজেল থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। বেজেলের উপরে একটি সেলফি ক্যামেরাও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।
যদিও পিক্সেল ফোল্ডের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে গুগল এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ডিভাইসটির প্রায় সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গেছে।
লিক হওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৭.৬ ইঞ্চি স্ক্রিন, যার রেজ্যুলেশন হবে ১৮৪০x২২০৮ পিক্সেল। ফোনের ডিসপ্লের অ্যাসপেক্ট রেশিও হবে ৬:৫। ওলেড (OLED) প্যানেলসহ ফোনটি বাজারে আসবে, যার রিফ্রেশ রেট থাকবে ১২০ হার্টজ।
তিনটি রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেমের প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর দেওয়া হবে, যা অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS)-সহ আসবে। ফোনের দ্বিতীয় ক্যামেরা সেন্সরটি হবে ১০.৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স। আর তৃতীয় লেন্সটি ১০.৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স, যার সাথে ২০x সুপার রেস জুম পাওয়া যাবে।
২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাথে ফোনটিতে ৪৫০০ অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি থাকবে।
ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ডড্রয়েড ১৩-সম্বলিত ফোনটির ওজন ২৩৮ গ্রাম হবে বলে জানা গেছে।
তবে ফোনটির দাম পিক্সেলের অন্য মডেলগুলোর মতো তুলনামূলক কম হবে না। লিকের তথ্য অনুযায়ী, ফোনটি কিনতে গুণতে হবে ১৭৯৯ ডলার বা ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার ভোরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প টেরই পাননি অনেকে।
এ ধরনের কম্পনের পর একটি আলোচনা ঘুরেফিরে আসে। সেটি হলো বড় কোনো ভূমিকম্পের কবলে দেশ পড়তে যাচ্ছে কি না।
ভূমিকম্প নিয়ে গবেষকদের পূর্বাভাসও আলোচনায় আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকায় ভূমিকম্পের পর ডাচ ভূতত্ত্ববিদ ফ্র্যাংক হুগারবিটসের একটি পূর্বাভাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সোলার সিস্টেম জিওমেট্রি সার্ভে (এসএসজিইওএস) নামের সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে ২ মে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এ ভূতত্ত্ববিদ, যেখানে তিনি ভারতের আসাম, বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে চলতি বছর বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা বলেছেন। শুক্রবার তার সেই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে গিয়ে অনেকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়ে এসেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সময়ও এ ভূতত্ত্ববিদ আলোচনায় এসেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, তিনি ‘সঠিক’ পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
হুগারবিটসের পোস্ট করা ভিডিও দেখে কারও কারও মধ্যে জিজ্ঞাসা দেখা দিতে পারে যে, ভূমিকম্প আগে থেকে আঁচ করা যায় কি না। এর স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ভাষ্য, ইউএসজিএস কিংবা অন্য কোনো সংস্থার বিজ্ঞানীরা কখনও বড় ভূমিকম্প নিয়ে পূর্বাভাস দেননি।
ইউএসজিএসের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নির্দিষ্ট কয়েক বছরের মধ্যে কোনো এলাকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতে পারেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ক্যালটেক) মতে, ঠিক কখন এবং কোথায় ভূমিকম্প হবে, সেটা আগে থেকে ধারণা করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প কতটা ব্যাপক হবে, তা নিয়েও পূর্বাভাস দেয়া যায় না।
এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ মেহেদী হাসান আনসারী নিউজবাংলাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে আগে থেকে অনুমান করা যায় না।
আরও পড়ুন:নিজের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুগলের চাকরি ছাড়লেন ‘এই গডফাদার’খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউরাল নেটওয়ার্কে হিন্টনের অগ্রগামী কাজ আজকের দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনেক ডিভাইসকে পূর্ণতা দিয়েছে। গুগলের এআই উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে এক দশক ধরে তিনি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি এআই প্রযুক্তি ও এটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিই যে আমি না করলেও অন্য কেউ এটা করত।’
সোমবার একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘গুগলের সমালোচনা নয়, বরং এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলার জন্যই আমি চাকরি ছেড়েছি।’
‘আমি গুগলের চাকরি ছেড়েছি যাতে শুধু গুগল নয়, অন্য সকল প্রযুক্তিক্ষেত্রে এআই কিভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে পারি।’
‘তবে এক্ষেত্রে গুগল খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে’, বলেন তিনি।
হিন্টনের প্রসংশা করে গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের ভিত্তিই গড়ে দিয়েছেন হিন্টন।’
সিএনএন-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে ডিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহসিকতার সাথে উদ্ভাবন করার পাশাপাশি আমরা এআই-এর নতুন ঝুঁকিগুলোও বুঝতে শিখছি।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই চ্যাটবটের কারণে ভুল তথ্য প্রচার ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের চাকরি হারানোর শঙ্কায় যখন ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আইন প্রণেতা ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই গুগল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন হিন্টন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এই ব্যাপক আগ্রহ গত বছরের শেষদিকে চ্যাটজিপিটি’র আবির্ভাবের পর থেকে শুরু হয়। এরপর থেকেই বিশ্বের বড় বড় ‘টেক জায়ান্ট’রা নিজেদের প্রস্তুতকৃত ডিভাইস ও সার্ভিসগুলোতে একইরকম ‘এআই টুল’র ব্যবহার করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ওপেন এআই, মাইক্রোসফট ও গুগল এই প্রতিযোগিতার শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে আইবিএম, অ্যামাজন, বাইডু ও টেনসেন্ট-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও ওই একই ধরণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
প্রযুক্তি জগতের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ‘সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি’ উল্লেখ করে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণ বন্ধ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবগুলোর জন্য একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। চিঠিটি ওপেন এআই-এর জিপিটি-৪ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই স্বাক্ষরিত হয়।
জিপিটি-৪ প্রযুক্তির আরও শক্তিশালী সংস্করণ যা চ্যাট জিপিটি-কে আরও শক্তিশালী করে। প্রাথমিক পরীক্ষা ও একটি কোম্পানির ডেমোতে, জিপিটি-৪ মামলার খসড়া তৈরি করতে, মানসম্মত পরীক্ষায় পাস করতে এবং হাতে আঁকা স্কেচ থেকে একটি কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে হিন্টন এআই-এর সক্ষমতার কারণে ‘চাকরি কমে সম্ভাবনা ও সত্য কি তা আর অনেকেই জানতে পারবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এআই-এর এই অগ্রগতি ছিল হিন্টন ও অন্য প্রযুক্তিবিদদের কাছে অভাবনীয়।
এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘প্রযুক্তির এই বিষয়টি যে আসলে মানুষের চেয়েও স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে, খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল যে সেই সময় আসতে এখনও অনেক দেরি। আমিই তো ভেবেছিলাম যে অন্ততঃ এই পর্যায়ে আসছে আরও ৩০ থেকে ৫০ বছর তো লাগবেই। তবে বুঝতেই পারছেন, আমি আর এমনটা ভাবি না।’
তবে শুধু হিন্টনই প্রথম গুগলের কর্মী নন, গত বছরের জুলাই মাসে ডেটা সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করার দায়ে কোম্পানিটি একজন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করে। তিনিও অভিযোগ করেছিলেন যে একটি অপ্রকাশিত এআই সিস্টেম খুবই সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। তবে তার ওই দাবিকে অনেক বিজ্ঞানীরাই তখন সমর্থন করেননি।
সৌদি আরবের মরুভূমিতে দুই হাজার বছর পুরোনো রোমান সাম্রাজ্যের তিনটি সেনা শিবির আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গুগল আর্থ ব্যবহার করে এই শিবিরগুলো চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। এ সংক্রান্ত গবেষণাটি পিয়ার রিভিউর পর অ্যান্টিকুইটি নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এই শিবিরগুলো একটি থেকে অপরটি ৩৭ থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পায়ে হেঁটে এক শিবির থেকে আরেক শিবিরে যাওয়া যেত না।
গবেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় শতাব্দিতে দক্ষিণ-পূর্ব জর্ডান ও সৌদি আরবে রোমানদের শিবির থাকার ধারণা করা হতো। এ আবিষ্কার সেটি প্রমাণ করল।
গবেষণায় বলা হয়, ১০৬ খ্রিষ্টাব্দে জর্ডানের নাবাতিয়ান সাম্রাজ্য দখলের পর রোমানরা ওই শিবিরগুলো তৈরি করে।
এ নিয়ে গবেষণা দলের সদস্য ড. মাইকেল ফ্র্যাডলি বলেন, আমরা প্রায় নিশ্চিত যে এই শিবিরগুলো রোমান সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কারণ প্রতিটি প্লেয়িং কার্ড আকৃতির। এছাড়া সবগুলোতে বিপরীতে দিক দিয়েও প্রবেশদ্বার রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, রোমানরা যখন আরব বিজয় শুরু করে তখনই এই শিবিরগুলো প্রতিরক্ষা ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ক্যাম্পগুলো রোমান অশ্বারোহী বাহিনী দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।
মন্তব্য