বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভাবন ও সাইবার সিকিউরিটির গ্লোবাল লিডার সফোস সম্প্রতি তাদের ম্যানেজ ডিটেকশন ও রেসপন্স (এমডিআর) সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে সর্ব প্রথম এই শিল্পে হুমকি শনাক্তকরণ এবং সাড়া প্রদানের সেবা প্রদান করা হবে। সফোস এমডিআর সার্ভিসটির মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাবসায়িক কাজের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।
সফোস সাইবার নিরাপত্তায় সবশেষ প্রান্তের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যারা মূলত তৃতীয় পক্ষের নিরাপত্তা প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে। এটি টেলিমেট্রি ও গ্রাহকদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি এবং বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান হুমকি শনাক্ত করে। সম্প্রতি সফোস মার্কেটপ্লেস এবং ১০ লাখ ডলারের নিরাপত্তা ওয়ারেন্টি সেবাও চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
সফোস সাইবার নিরাপত্তায় সবশেষ প্রান্তের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ এমডিআর সেবা প্রদান করে এবং প্রান্তিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যমান নিরাপত্তা সেবার ব্যবস্থা করে। এই প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে, সফোস নিজেদের মার্কেটপ্লেস চালু করেছে। সেখানে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডাব্লিউএস), চেকপয়েন্ট, ক্রাউড স্ট্রাইক, ডার্কট্রেস, ফোর্টনেট, গুগল, মাইক্রোসফট, ওকটা, পালো আল্টো নেটওয়ার্ক, র্যাপিড-৭সহ ৭৫-এর বেশি প্রযুক্তি শনাক্তকরণ এবং পাশাপাশি সমন্বয়করণ সেবা নিশ্চিত করছে।
সফোস এমডিআর বিভিন্ন ধরনের একীভূতকরণ এবং বহুমুখীকরণ অপারেটিং সিস্টেমে সাইবার নিরাপত্তাজনিত হুমকি শনাক্ত এবং প্রতিকার করতে সবচেয়ে কার্যকর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা সল্যুশন দিতে সক্ষম।
সফোস এমডিআর ছাড়াও সফোস মার্কেটপ্লেস তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে একত্রীকরণ ও নিজেদের পোর্টফোলিও সেবা প্রদান করে। সফোস অ্যাডাপটিভ সাইবারসিকিউরিটি ইকোসিস্টেম এবং সফোস এক্স-অপস থ্রেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে টেলিমেট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একত্রিত হয়, সম্পর্কযুক্ত হয় এবং সেটি অগ্রাধিকার দেয়।
সফোস তাদের এমডিআর গ্রাহকদের জন্য এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সুরক্ষা সেবা বা ওয়ারেন্টি চালু করেছে। এই অফারে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেসপন্স এক্সপেন্স হিসেবে এই অর্থ পেতে পারে। এখানে শুধু সফোসই আন্ডাররাইট করে যেখানে ওয়ারেন্টি একেবারে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত কাভার করে, সেটা উইন্ডোজ হোক কিংবা ম্যাক ডিভাইস ও সার্ভিস। তবে প্রতিযোগিতামূলক অফারের বিপরীতে সক্রিয় গ্রাকদের জন্য কোনো ওয়ারেন্টির স্তর বা সময়সীমার বাধ্যবাধকতা নেই। সফোসের গ্লোবাল পার্টনার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সফোস এমডিআর সাবস্ক্রিপশন ও নবায়ন করলেই ওয়ারেন্টিসেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান সফোসের এমডিআর সার্ভিসটির ওপর নির্ভরশীল। কারণ এই সার্ভিসটির মাধ্যমে তারা ২৪/৭ সময়ে সাইবার নিরাপত্তাজনিত যেকোনো হুমকি খুঁজতে কিংবা চিহ্নিত করতে পারছে। পাশাপাশি একটি বিশেষজ্ঞদল সার্বক্ষণিক তাদের সেবায় নিয়জিত আছে। এ ছাড়া তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ইন্টিগ্রেশন ক্ষমতাসহ সফোস নতুন বিভিন্ন অফার নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন স্তরের সাইবার নিরাপত্তাজনিত হুমকির তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়ার পাওয়া এবং গ্রাহক কর্তৃক কাস্টমাইজ সার্ভিস বেছে সুযোগ দিচ্ছে সফোস এমডিআর। এ ক্ষেত্রে সফোস এমডিআর পরিচালনাকারী দল পূর্ণ-স্কেলে ঘটনার রেসপন্স কার্যকর করবে এবং নিশ্চিত হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতা দেবে।
ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির ১২তম বৈঠকে এমন সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সদস্য বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী অংশ নেন।
কমিটির ১১তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিডিও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন/আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
‘The Censorship of Films Act, 1963 (Amended 2006)’ যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রাম (পদ সৃজন) ফাইলটি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা কোনো কিছু কপি করে পেস্ট করতে ভুলে যাই। আগেরটার বদলে অন্য একটা কপি করে ফেলি। এতে আগের কপি করা আইটেমটা হারিয়ে যায়।
এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে উইন্ডোজের স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে সার্চ করতে হবে ‘ক্লিপবোর্ড সেটিংস’।
সেখান থেকে ‘ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি’ সচল করে দিতে হবে। এরপর থেকে আপনি যা কিছু কপি করবেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫টি আইটেম আপনার উইন্ডোজের ক্লিপবোর্ড হিস্ট্রিতে সংরক্ষণ থাকবে।
আপনি ‘windows+ v’ চাপতে পারেন এবং আপনার পছন্দমতো জায়গাতে পেস্ট করতে পারেন।
নারী উদ্যোক্তা ফোয়ারা ফেরদৌসকে নিয়ে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’ শিরোনামে দেয়া মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রামীণফোনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকে।
গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার পোস্টটি দেয়ার পরপরই শেয়ার হতে থাকে এটি। নানা ক্যাপশন যোগ করে বা ছবি দিয়ে এ নিয়ে লিখেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুকে ওই নারী উদ্যোক্তার একটি ছবি দিয়ে গ্রামীণফোনের পোস্টে তার দু পাশে লেখা হয়েছে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘গৎবাঁধা চাকরির গণ্ডিতে থাকতে চাননি তিনি। স্বাধীনভাবে কাজ করতে, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ফোয়ারা ফেরদৌস। ফেসবুকে পটের বিবি নামে পেইজ খুলে শুরু করেন ব্যবসা।’
এতে লেখা হয়েছে, ‘একদিকে সংসার সামলে, অন্যদিকে সামলেছেন ব্যবসা। শুধু তিনিই না, তার এ উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। বন্ধ হতে যাওয়া ৩০ বছরের পুরোনো ব্লকের কারখানা চালু হয়েছে আবারও! কে বলে মেয়েরা ব্যবসা বোঝে না!’
কেউ বলেছেন, চাকরি নারীর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এর সঙ্গে ঘরও সামলাতে হবে বলে পোস্টে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। আবার পোস্টটিকে ইতিবাচক বলেছেন কেউ কেউ।
গ্রামীণফোনের পোস্ট করা ছবি শেয়ার করে অর্জয়িতা রিয়া লিখেছেন, ‘কোনো মেয়ে যদি ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে ঘরও সামলায়, এর মানে এই না যে তাদের হাজবেন্ডদেরকে গ্রামীণফোন ঘর সামলাতে নিষেধ করছে।
‘যারা বিজ্ঞাপনটার সমালোচনা করছেন, তাদের কথা শুনলে মনে হয় ঘর সব নারীরা না, পুরুষেরা সামলাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এরকম বলা হলে বরং মিথ্যা প্রচারণা হবে। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ তারা এই প্রচলিত মিথ্যাচারটা করেনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যা হওয়া দরকার, করপোরেট হাউজগুলো সেগুলো যেন হচ্ছে বা হয়েছে সেভাবে দেখায়। এই মিথ্যাচারের প্রভাবেই আপনাদের মধ্যেও ধারণা হয়েছে যে পুরুষগুলি খুব ঘর সামলাচ্ছে। বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। যা বাস্তবে নাই, বিজ্ঞাপনের ওপর তার দায় চাপাবেন না।’
আঁখি ভদ্র লিখেছেন, ‘একটু খেয়াল রাখবেন, বিজ্ঞাপনের ভাষার কারণে ব্যক্তি ফোয়ারা ফেরদৌস-এর ওপর যেন কাঁদা না ছিটে। শী ইজ আ স্টার। প্রচুর প্রচুর মেয়ে তাকে দেখে সাহস করেছে ব্যবসায় উদ্যগী হতে। তিনি পেরেছেন। তবে বিজ্ঞাপনের ভাষার সাথে আমিও একমত নই।’
তামান্না সেতু লিখেছেন, ‘বরং তাদের (পুরুষ) কাজ তাদের সামলাতে দিন। আপনারটা আপনি সামলান।’
উদিসা ইসলাম লিখেছেন, ‘ঘরও কিন্তু সামলাইতে হবে-মোড়ল গ্রামীণফোনে কইসে।’
শাশ্বতী বিপ্লব লিখেছেন, ‘ঘর তো সামলাইতেই হইবো। সাথে স্বামীও। না সামলাইলে ব্যবসাটা সামলানোর অনুমতি পাইবেন না। ঘর সামলানোর ক্লান্তি নিয়া ব্যবসা সামলাইবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোয়ারা ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। গ্রামীণফোন পোস্ট দিয়েছে, তাদের বক্তব্য নিতে পারেন।’
গ্রামীণফোনের সঙ্গে এ ব্যাপারে ফোন ও ফেসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক আবার চালু হয়েছে; বেশ কয়েক ঘণ্টা ভোগান্তির পর স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় এই অপারেটর ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের সেবা নিতে পারছিলেন না। বেলা ৩টার দিকে চালু হয় এই কোম্পানির নেটওয়ার্ক।
সামাকিজ যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ব্যবহারকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি এখনও।
এর আগে সকাল থেকে নেটওয়ার্ক নিয়ে ভোগান্তির কথা জানতে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ ভিড় করেন গ্রামীণফোন সেন্টারেও।
অধিকারকর্মী লীনা পারভীন ফেসবুকে লেখেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক/মোবাইল ডাটা সিগন্যাল নাই। কেন? জানেন কেউ? কোম্পানিটা আছে তো?’
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার হিমেল মাহবুব লেখেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সার্ভিস গ্রামীণফোনের।’
ব্যবহারকারীরা তখন জানান, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল, ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:নেটওয়ার্ক নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীদের ভোগান্তিতে পড়ার খবরের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের তাদের অপারেটরের আসার আহ্বান জানিয়েছে আরেক ফোন অপারেটর বাংলালিংক।
গ্রামাীণফোনের গ্রাহকরা যখন ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা পোস্ট দিচ্ছেন, তখন বাংলালিংক ডিজিটাল নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হচ্ছে, নম্বর বদল না করেই আসা যাবে এই অপারেটরে। কেউ কেউ বলছেন, এ যেন ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।’
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে বাংলালিংকের ওই পেজে পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘চলে আসুন বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন FASTEST 4G নেটওয়ার্ক বাংলালিংক-এ আর কানেক্টেড থাকুন সবসময়, সবখানে।’
মোবাইল নম্বর পোর্টাবেলিটি বা ‘এমএনপি’ করে করে নম্বর না বদলে তাদের অপারেটরে আসতে একটি ঠিকানা দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
পোস্টের কমেন্টে ব্যবহারকারীরা লিখছেন নানা মন্তব্য। কেউ কেউ একে দেখছেন গ্রামীণফোন কোম্পানিকে খোঁচা দেয়া হিসেবে। একজন লিখেছেন, কারও পৌষ মাস,কারও সর্বনাশ! আরেকজন লিখেছেন, সুযোগ পেয়েছে আজকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীরা। ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির কথা বলছেন তারা। কেউ কেউ ভিড় করছেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল,ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরেও কল যায়নি। ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে মেসেজ পাঠিয়েও তাদের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় এই সিমকার্ড ব্যবহারকীরা ভোগান্তিতে পড়েন। পরে দুপুরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
গ্রামীণফোনের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমাদের টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।’
সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই অপারেটরের নেটওয়ার্ক নিয়ে ঝামেলায় পড়ার কথা জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির কথা বলছেন তারা। কেউ কেউ ভিড় করছেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল,ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরে কলও যায়নি।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সব রায়-আদেশ বাংলা ভাষায় দেখার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন থেকে যে কোনো রায় বাংলায় বুঝতে শুধু এক ক্লিকই যথেষ্ট।
সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় দেয়া সব রায়-আদেশ বাংলায় দেখতে প্রযুক্তিসেবা সংযোজন করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সোমবার বিকেল ৩টায় এর উদ্বোধন করেন।
আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থীদের সহায়তায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এখন থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত সব রায়-আদেশ গুগলের প্রযুক্তির সহায়তায় আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী বা যে কোনো ব্যক্তি নিজে নিজেই বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারবেন। বুঝে নিতে পারবেন রায়ের সারমর্ম।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত রায় বাংলা ভাষায় অনুবাদের এই প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিচারপ্রার্থী এবং সাধারণ জনগণের কাছে আদালতের রায়গুলো আরও সহজবোধ্য করে তুলবে। পাশাপাশি দেশের বিচারপ্রার্থী মানুষের বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অধিকন্তু এটা সাধারণ মানুষ ও আইন ব্যবস্থার মধ্যে ব্যবধান দূর করতেও ভূমিকা রাখবে।
নতুন এই প্রযুক্তিগত সেবা উদ্বোধনের সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইনসহ সুপ্রিম কোর্টের ‘কোর্ট-প্রযুক্তি কমিটি’র সদস্য এম এম মোশেদ, আব্দুল মালেক এবং মইনউদ্দিন কাদের উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য