× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
What is the damage caused by spreading the fear of super cyclone?
google_news print-icon

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

ঘূর্ণিঝড়
বাংলাদেশে আঘাত করা সিত্রাংয়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। ছবি: উইন্ডি ডটকম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিত্রাং সুপার সাইক্লোন হিসেবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। চলতি মাসের শুরুতে এমন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ওই পোস্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রচার করে। এ ধরনের প্রচার ভবিষ্যতে ক্ষতির কারণ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন উপকূলবাসী ও বিশেষজ্ঞরা।  

বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল জব্বার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'-এর ‘সুপার সাইক্লোন’ হিসেবে আঘাতের আশঙ্কার তথ্য দেখেছেন।

আবদুল জব্বার সোমবার সপরিবার আশ্রয় নেন সাইক্লোন শেল্টারে। সুপার সাইক্লোনের চেয়ে তিন ভাগ কম গতির (ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার) ঝড় আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের প্রতি অনেকটাই আস্থা হারিয়েছেন জব্বার।

আবদুল জব্বার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বইন্যার (সিত্রাং) আগে যে দাপাদপি চলছে ফেসবুক-মিডিয়ায় হ্যাতে মনে হইছিল কেয়ামতের আলামত। ফেসবুকে খালি দেহি এই আইতেছে সিত্রাং বইন্যা, সিডরের চাইতেও নাকি বেশি শক্তি। মোরা তো এহন খবরাখবর ফেসবুক ইউটিউবেই বেশি দেহি।

‘দ্যাশ ও ভারতের বাংলা মিডিয়াগুলাও তো খবর কইছে, বাংলাদেশে এত বড় বইন্যা আর জীবনেও আয় নাই (আসেনি)। ডরের চোডে গুষ্টি-জ্ঞাতি লইয়া আগেই গিয়া আশ্রয় নিছিলাম। এহন দেহি হুদাই আওয়াজ।’

উপকূলের মানুষ বলছে, ঝড় তৈরির আগেই তার মাত্রা বেশি দেখিয়ে প্রচার অথবা প্রকৃত মাত্রার চেয়ে বেশি সংকেত দেখানোর ফল দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক হতে পারে।

২০০৭ সালে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আঘাত করেছিল ঘূর্ণিঝড় সিডর। ওই ঝড়ের আগে মাঝারি মাত্রার অন্তত আরও দুটি ঝড়ে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখানো হয়। এর ফলে উপকূলবাসীর মধ্যে তৈরি আস্থাহীনতার কারণে সিডরের মতো শক্তিশালী ঝড়ের প্রকৃত সংকেতকেও অনেকে গায়ে মাখেননি। সিডরে বড় ধরনের প্রাণহানির এটি অন্যতম কারণ।

বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিডরের সময়েও আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছিল।

‘এবার সিত্রাং নিয়ে ভয়াবহ প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষ আতঙ্কিত হয়েছে। তবে ঝড়ের পর এখন উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিষয়টা কিছুটা বাঘ ও রাখালের গল্পের মতো হয়ে গেছে। এরপর মানুষ সহজে আর নিরাপদে যেতে চাইবে না।’

বরগুনা জেলা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবির মৃধা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সিত্রাং নিয়ে একটা হাইপ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে কিছু গণমাধ্যমের খবরে সিত্রাংকে সুপার সাইক্লোন হিসেবে দেখানোয় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত ছিল।

‘এসব নিউজ দেখে অনেক ফেসবুক ও ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর কনটেন্ট তৈরি করেছেন। সব মিলিয়ে সিত্রাং একটি জুজুর ভয় তৈরি করছিল মানুষের মাঝে। তবে মানুষ বাস্তবটাও দেখেছে। এতে করে তাদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা আর নিরাপদে যেতে চাইবে না।’

একই ধরনের কথা বলছেন, ব‌রিশাল সদর উপ‌জেলার শা‌য়েস্তাবাদ এলাকার ফয়সাল মাহামুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে ব‌লেন, ‘আমরা তো এক সপ্তাহ আ‌গে থে‌কে শুন‌ছি ২০০ কি‌লোমিটারের বেশি বে‌গে ঘূর্ণিঝড় আস‌ছে। ভয়ে স্কুলের ভব‌নে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছিলাম। তবে একটু ঝোড়ো বাতাস ও বৃ‌ষ্টি ছাড়া তেমন কিছুই হয়‌নি। সাত দি‌ন আ‌গে থে‌কে টি‌ভি‌তে ঘূ‌র্ণিঝ‌ড়ের ভয়াবহতা সম্প‌র্কে জানান দি‌চ্ছি‌ল। কিন্তু তা হয়নি, কী দি‌য়ে কী ভুয়া খবর প্রচার করা হয় বু‌ঝি না।’

বা‌কেরগ‌ঞ্জের রঙ্গশ্রী এলাকার শিক্ষক র‌বিন মিত্র ব‌লেন, উদ্ভট সব খবরাখব‌রে ভ‌রে গিয়েছিল। মিডিয়াগুলো প্রচার কর‌লে সিড‌রের থে‌কে শ‌ক্তিশালী ঘূ‌র্ণিঝড় আস‌ছে। কিন্তু তেমন কিছুই তো দেখলাম না। এ রকম খবর প্রচার কর‌লে তো মানুষজন প‌রে নিরাপদ আশ্রয়ও যে‌তে চাই‌বে না।’

সিত্রাংয়ে বাতাসের গতি অনেক কম হলেও দেশের ১১ জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের বেশির ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন গাছচাপায়। উপকূলবাসী বলছেন, সুপার সাইক্লোন হলে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল ব্যাপক।

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

‘সুপার সাইক্লোন’-এর তথ্যের উৎস কোথায়

বঙ্গোপসাগরে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের দিকে সৃষ্ট লঘুচাপ থেকে সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রথম ফেসবুকে জানান কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারী ও আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।

বাংলাদেশ সময় ৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি পোস্ট তিনি 'ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে দেন। এতে তিনি লেখেন (বাক্য ও বানান অপরিবর্তিত), ‘অক্টোবর মাসের ১৮ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার-সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করতেছে আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা সংক্ষেপে জিএফএস।

‘সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হবে ১৭ ই অক্টোবর যা ১৮ ই অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করতেছে। সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে সিত্রাং (থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম)।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

ওই পোস্টে পলাশ লেখেন, ‘সর্বশেষ পূর্বাভাষ অনুসারে সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনের শক্তি অর্জন করতে পরে। অর্থাৎ, বাতাসের গতিবেগ ঘূর্ণিঝড় সিডর কিংবা আম্পানের মতো হতে পারে (ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত)। অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ আমাবস্যা। ফলে সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি যদি অক্টোবর মাসের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত করে তবে যে স্থানে আঘাত করবে সেই স্থানের উপকূলীয় এলাকা লন্ড-ভণ্ড করে দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।

‘সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি যে স্থানে আঘাত করবে সেই স্থানের উপকূলীয় এলাকায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে যদি উপকূলের আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার এর মধ্যে থাকে।’

ওই পোস্টের বরাতে দেশের মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেসব প্রতিবেদনের লিংকও নিজের ওয়ালে দিয়েছেন পলাশ। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও সুপার সাইক্লোন হিসেবে সিত্রাং আঘাত করবে বলে প্রতিবেদন প্রচার করে। এসব প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন পলাশ।

সিত্রাংয়ের ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১১ অক্টোবর একটি পোস্ট দেন মোস্তফা কামাল পলাশ।

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

এতে তিনি লেখেন (বাক্য ও বানান অপরিবর্তিত), 'সাইক্লোনের বিভিন্ন নামকরণ করা হয় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ এর উপর ভিত্তি করে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বায়ুচাপ যত কম হবে (সমুদ্র পৃষ্টে স্বাভাবিক বায়ুচাপ ১০০০ মিলিবার হিসাবে গণ্য করা হয়) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্টি বায়ুর গতিবেগ তত বেশি হবে। বায়ুচাপের সাথে বায়ুর গতিবেগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। মাত্র ২ সপ্তাহ পূর্বে আমেরিকার ফ্লোরিডা উপকুলে আঘাত হেনেছিল হ্যারিকেন ইয়ান। হ্যারিকেন ইয়ান স্থল ভাগে আঘাত করার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল বা ২৪৯ কিলোমিটার।

‘বাতাসের এই গতিবেগের কারণে হ্যারিকেনটিকে নামকরণ করা হয়েছে ক্যাটেগরি ৪ হ্যারিকেন হিসাবে। এই হ্যারিকেনটির বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টার আর মাত্র ২ মাইল কিংবা ৩ কিলোমিটার বেশি হতো তবে এই হ্যারিকেনটিকে ক্যাটেগরি ৫ হ্যারিকেন নামকরণ করা হতো। একই কথা প্রযোজ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট কোন ঘূর্ণিঝড় এর ক্ষেত্রে।

‘সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার উঠে ঘূর্ণিঝড়টির জীবনের যে কোন সময় সেটা মধ্য সমুদ্রের মধ্যেও হতে পারে কিংবা স্থলভাগে আঘাত করার সময়েও হতে পারে তবে ঘূর্ণিঝড়টিকে সুপারসাক্লোন হিসাবে নামকরণ করা হবে। ২০২০ সালে সুপার সাইক্লোন আম্পান কিন্তু স্থলভাগে আঘাত করেছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। এর পরেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে নামকরণ করা হয়েছে সুপার-সাইক্লোন হিসাবে কারণ সমুদ্রে থাকা অবস্থায় আম্পানের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠেছিল ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার।’

নিউজবাংলার বিরুদ্ধে ‘অপসাংবাদিকতার’ অভিযোগ

সিত্রাংয়ের ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হওয়ার আশঙ্কা জানাতে গিয়ে ‘আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের’ নাম উল্লেখ করেন পলাশ।

তিনি যে ওয়েবসাইটের অ্যানিমেশনের ছবি নিজের পোস্টে দিয়েছেন সেটির নাম ট্রপিকালটিডবিটস ডটকম। ড. লেভি কাওয়ান নামের একজন ‘স্বাধীন আবহাওয়াবিদ’ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করছেন।

ওয়েবসাইটে ড. লেভি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ২০০২ সাল থেকে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন পর্যবেক্ষণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আবহাওয়াবিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি।

ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিংপেজে বলা হয়েছে গত এক সপ্তাহে কোনো ব্লগ পোস্ট করা হয়নি। আটলান্টিক অঞ্চলে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সক্রিয় থাকার সময়ে সাধারণত নিয়মিত পোস্ট করা হয়।

তবে সাইটের ফোরকাস্ট মডেলস সেকশনে গিয়ে ‘সুপার সাইক্লোন সিত্রাং’-এর সম্ভাব্য গতিপথের অ্যানিমেশন দেখা যায়।

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?
ট্রপিক্যাল টিডবিটসের ফোরকাস্ট মডেলস সেকশনে ‘সুপার সাইক্লোন সিত্রাং’। ফাইল ছবি

ড. লেভি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ২০১২ সালে নিজের হোস্টেল কক্ষ থেকে ব্যক্তিগত ব্লগ হিসেবে সাইটটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজেই লিখেছেন, তার সাইক্লোন পূর্বাভাস মডেল কোনো আনুষ্ঠানিক বা সরকারি সংস্থার পূর্বাভাস নয়। পুরো সাইটটি নিছক শখের বশে করা এবং ক্রাউডফান্ডিংয়ে চলছে।

আমেরিকান টেকজায়ান্ট আইবিএমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়েদার চ্যানেলের ওয়েদার ডটকমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ঘূর্ণিঝড় তৈরির আগেই এভাবে পূর্বাভাস দেয়ার মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

এই নিবন্ধে বলা হয়, সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানের দেয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসের মডেলের তথ্য এখন ইন্টারনেটে ব্যাপক সহজলভ্য। তার মানে এই নয় যে, এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় আগেই কোনো হারিকেনের উপকূলে আঘাতের পূর্বাভাস মডেল আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভালো ধারণা৷

এই নিবন্ধে এ ধরনের পূর্বাভাসের ত্রুটি তুলে ধরতে ড. লেভির ওয়েবসাইটেরই একটি বিভ্রান্তিকর মডেল জিআইএফ আকারে দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘নিচের অ্যানিমেশনটিতে আলাদা করে মডেলটি আটবার চালানোর ফল দেখা যাচ্ছে। এটি মূলত গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের (জিএফএস) মডেল যেটিকে ২২ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট সকাল পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা পরপর চালানো হয়েছে। প্রতিটি পূর্বাভাসই ৩১ আগস্ট রাত ২টার সময়কার।

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?
ড. লেভির ওয়েবসাইটের একটি মডেলের জিআইএফ

‘অ্যানিমেশনে গাঢ় লালকে ঘিরে থাকা কালো বৃত্তগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে মডেলটি ক্রমশ তৈরি হতে থাকা পূর্ণাঙ্গ উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো কোথায় তৈরি সেগুলো দেখাচ্ছে।’

তবে প্রতিবারই মডেলটি চালানোর সময় ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানে ভিন্নতা দেয়া যায়।

ওয়েদার ডটকম বলছে, প্রতিদিন সুপার কম্পিউটারে জটিল অ্যালগরিদমের মাধ্যমে একাধিকবার পূর্বাভাসের মডেলগুলো চালানো হয়। তাপমাত্রা, চাপ, বাতাসের গতি ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বিচার করে অ্যালগরিদমে একেকবার একেক সূচকে পরিবর্তন ঘটে।

সুপার সাইক্লোন তৈরির প্রাথমিক পর্যায়েরও প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ ধরনের সুপার কম্পিউটার জেনারেটেড মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ১০ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা।

আরও পড়ুন: এ মাসের মাঝামাঝিতেই কি সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’?

সে সময়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী সামনে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

সাগরে লঘুচাপ তৈরির পর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে অন্তত তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় থাকার কথা। এর মধ্যে লঘুচাপ তৈরি হলেও মৌসুমি বায়ুর কারণে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারবে না।

মোস্তফা কামাল পলাশ তার প্রথম পোস্টে দাবি করেছিলেন, নিম্নচাপটি ১৭ অক্টোবর তৈরি হয়ে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাস্তবে সিত্রাংয়ের নিম্নচাপটি তৈরি হয় ২২ অক্টোবর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সে সময় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এক মাসের পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এমন একটি লঘুচাপের কথা বলা আছে। তবে এত আগে (১০ অক্টোবর) এই সম্ভাবনা নিশ্চিত করে বলা যায় না।’

সুপার কম্পিউটার জেনারেটেড মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে দেশে ও বিদেশে বিতর্কের ভিত্তিতে নিউজবাংলার প্রতিবেদন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান পলাশ। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে তোলেন ‘অপসাংবাদিকতা’র অভিযোগ।

১১ অক্টোবর এ নিয়ে ফেসবুকে দুটি পোস্ট দেন পলাশ। প্রথমটিতে তিনি লেখেন, ‘আমার গত ১২ বছরের লেখালেখির জীবনে সবচেয়ে বড় অপ-সাংবাদিকতার স্বীকার হলাম আজকে। নিউজ বাংলা ২৪ ডট কম নামক একটি অনলাইন পোর্টালের Saugat Bosu নামক জনৈক স্টাফ রিপোর্টার এই অপ-সাংবাদিকতার জনক। অল্প বিদ্যা ভয়ংকর প্রবাদ বাক্যটির সার্থক উদাহরণ Saugat Bosu এর এই রিপোর্ট টি।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

তবে একই দিন অন্য একটি পোস্টে তিনি ফেসবুকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সিত্রাংকে কেন সম্ভাব্য ‘সুপার সাইক্লোন’ হিসেবে প্রচার করছে তা নিয়েও অভিযোগ তোলেন।

সেই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমি লক্ষ করেছি অনেক গণমাধ্যম আমার সাথে কথা না বলেই আমার ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া পোষ্ট থেকে তথ্য নিয়ে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করে সংবাদ প্রকাশ করতেছে কিংবা এমন সংবাদ শিরোনাম দিয়ে সেই সংবাদ প্রকাশ করতেছে যা আমার পোষ্টের কোথাও উল্লেখ করা হয় নি।

'আমি স্পষ্টত করে বলতে চাই যে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেলগুলো। কিন্তু আজ ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় নি। ফলে আপনারা যদি সংবাদের কাটতির জন্য এই রকম শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করে থাকেন যে সুপার সাইক্লোন ধয়ে আসতেছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে তবে সেই সংবাদ শিরোনামকে এই মহুর্তে সঠিক বলা যাবে না। আপনাদের সংবাদ কাটতির জন্য দেওয়া মুখরোচক সংবাদ শিরোনামের জন্য অনেক মানুষ ভুল বুঝিতেছে কিংবা আমার পূর্বাভাস সম্বন্ধে বিভ্রান্ত হচ্ছে।

‘আমি গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ করবো এমন কোন রকম মুখরোচক শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন যা আমার পোষ্টে উল্লেখ করি নি। বা আমার পোষ্টে উল্লেখিত তথ্য দ্বারা প্রমাণ করা যায় না। সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে সংবাদের শিরোনাম হতে পারে নিম্নরূপ:

"আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপারসাক্লোন এর সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে"।’

তবে এর আগে তিনিই সুপার সাইক্লোনের সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রশংসা করে সেগুলো নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছিলেন।

নিউজবাংলার বিরুদ্ধে মোস্তফা কামাল পলাশ ‘অপসাংবাদিকতা’র অভিযোগ তুললেও ১১ অক্টোবরের পর আর কোনো পোস্টে সিত্রাংকে সম্ভাব্য সুপার সাইক্লোন হিসেবে উল্লেখ করেননি। ঝড়ের শক্তির মাত্রা পরদিনই কমিয়ে আনেন তিনি। ঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানার স্থান ও সময়েও আসতে থাকে পরিবর্তন।

১২ অক্টোবর একটি পোস্টে পলাশ লেখেন, ‘আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস (১২ ই অক্টোবর দুপুর ১২ টার মডেল রান) অনুসারে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "সিত্রাং" গত ২৪ ঘণ্টায় স্থল ভাগে আঘাতের স্থান আরও কিছুটা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে সকাল ৬ টার পর থেকে। অর্থাৎ গতকালের পূর্বাভাষ অপেক্ষা আরও ২ দিন পরে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে।

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

‘গতকালের পূর্বাভাস এর মতো আজকের পূর্বাভাসেও মডেলটি সম্ভব্য ঘুর্নঝড়টির যে শক্তি নির্দেশ করতেছে তা গতকালের পূর্বাভাস নির্দেশিত শক্তি অপেক্ষা কম। আজকের পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত করার সময় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে (সুপার-সাইক্লোনের নিচের স্তরের ঝড় হিসাবে)।’

পলাশ ১৩ অক্টোবরের একটি পোস্টে তার অনুসরণ করা মডেলের সীমাবদ্ধতার কথাও স্বীকার করেন। তিনি লেখেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "সিত্রাং" সম্বন্ধে ১ টা ভালো ও ১ টা খারাপ সংবাদ আছে। ভালো সংবাদটি হলো আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস (১২ ই অক্টোবর দুপুর ১২ টার মডেল রান) অনুসারে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "সিত্রাং" এর শক্তি খুবই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম এর কথা নির্দেশ করতেছে (এর মানে এই না যে এই পূর্বাভাসের পরের পূর্বাভাসে আবারও শক্তশালি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই)।

‘আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মডেলগুলোর পূর্বাভাস পরিবর্তন হতেই থাকবে নিয়মিত ভাবে। এছাড়া স্থল ভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় এর আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে।‘

পরদিন আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মডেলগুলোর প্রতিটি পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড় এর স্থল ভাগে আঘাত করার স্থান, ঘূর্ণিঝড়ের শক্তির পরিবর্তন হতেই থাকবে শেষ পর্যন্ত। এছাড়া স্থল ভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় এর আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে।‘

ফেসবুকে ১৪ অক্টোবর একটি পোস্টে যে পূর্বাভাস দেন সেটি বাস্তবে ঘটেনি। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দৃক নিউজে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে কারণ সহ ব্যাখ্যা করেছি কেন সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকবার দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিমদিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করবে।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

তিনি লেখেন, ‘পক্ষান্তরে যদি সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি যদি আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জ থেকে যদি উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকার দিয়ে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করবে। ঘর্নিঝড়টির শক্তি অনেকাংশে নির্ভর করবে ভারত নাকি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে তার উপর।’

প্রকৃতপক্ষে সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করলেও এটি ছিল সাধারণ মাত্রার একটি ঘূর্ণিঝড়, ঘণ্টায় যার সর্বোচ্চ গতি ৭৫ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে।

১৬ অক্টোবরের পোস্টেও পলাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করতে পারে ভারতের উপকূলে। তিনি লেখেন, ‘আমেরিকা, জার্মানি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশ করতেছে যে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মাঝা-মাঝি উপকূল দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত হানার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।‘

ঘূণিঝড়ের পরিবর্তে নিম্নচাপ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমন পূর্বাভাসও দিয়েছেন প্রবাসী এই গবেষক। গত রোববার একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একটা সুসংবাদ আছে। নিম্নচাপটি বর্তমানে যে স্থানে রয়েছে ও যে পথে এগোচ্ছে সেই পথে বায়ু শিয়ায়ের যে মান রয়েছে তা সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি আরও অনেক কমিয়ে দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে স্থল ভাগে আঘাত করার সময় নিম্নচাপ হিসাবে আঘাত করতে পারে।‘

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

এভাবে বিভিন্ন সময়ে ঝড়ের অবস্থা, আঘাতের স্থান, সময় ও গতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার পরেও পলাশের দাবি তিনিই প্রথম ৯ অক্টোবর সিত্রাং সম্পর্কে ‘সঠিক পূর্বাভাস’ দেন।

তার মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনের ভুয়সী প্রশংসা করে একাধিক লিংক শেয়ার ও স্ট্যাটাস দিয়েছেন পলাশ। সবশেষ মঙ্গলবার এক পোস্টে তিনি তার বক্তব্য ছাপানোর জন্য পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘প্রায় গড ফাদারের ভূমিকায়’ নামার কথা লিখেছেন।

এই পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, ‘আমি গত ১৭ দিনে দেওয়া ৩১ টি আপডেটের প্রায় প্রত্যেকটিত উল্লেখ করেছি ঘূর্ণিঝড় চিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা শুরু করবে ২৪ শে অক্টোবর দুপুর থেকে। গতকালে সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকদের ফোনে করে হাতে-পায়ে ধরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস বিজ্ঞপ্তি ভুল সেই বিষয়ে সংবাদ ছাপানোর জন্য পরিচিত সাংবাদিক ভাই-বন্ধুদের সাথে প্রায় গড ফাদারের ভূমিকায় নেমে পড়ি।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

তার মন্তব্য ছাপানো কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের নামও পলাশ উল্লেখ করেছেন ওই পোস্টে।

এর পাশাপাশি সুপার কম্পিউটার জেনারেটেড মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে নিউজবাংলায় ১০ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনকে আবারও ‘অপসংবাদিকতা’ আখ্যা দিয়েছেন পলাশ।

একজনের পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভোর ৬ টার মধ্যে বাংলাদেশের ভূমি ত্যাগ করবে। চলুন এবারে ফিরে দেখি আমার পূর্বাভাস নিয়ে কেমন অপ-সাংবাদিকতা করেছে কোন সংবাদ মাধ্যম। এই অপ-সাংবাদিকতা করে দেশের মানুষের মাধ্বে দ্বিধা ঢুকিয়ে না দিলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে দেশব্যাপী আজ যে ক্ষত-ক্ষতি হলও বা এখনও হচ্ছে তার বিশাল একটি অংশ রক্ষা করা যেত।‘

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

অপেশাদার আচরণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

সাগরে লঘুচাপ তৈরির দুই সপ্তাহ আগেই সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কার প্রচারকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অপেশাদার’ আচরণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া নিয়ে একমাত্র আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফোরকাস্টই গ্রহণযোগ্য। এর বাইরে আমরা যারা বিভাগীয় অধ্যাপক আছি তারাও আবহাওয়া নিয়ে রিসার্চ করি। আমাদের রিসার্চে ত্রুটিও থাকতে পারে, কারণ আমরা তো অধিদপ্তরের মতো টেকনোলজি ব্যবহার করি না।

‘আমরা রিসার্চ করি নিজেদের প্রয়োজনে, কিন্তু সেটাকে শতভাগ সঠিক ধরে প্রচার বা প্রকাশ করতে পারি না। আমরাও রিসার্চ করে দেখেছি যে ঝড়টির সুপার সাইক্লোন হওয়ার সুযোগ ছিল তাই বলে তো আমরা এগুলো ফেসবুকে লিখে দিইনি। আর তার চেয়ে বড় কথা আপনি ফেসবুকে যা খুশি তা লিখে দিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে দিলেন এটা তো হতে পারে না।'

অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‌'কত মানুষ এই কয়দিন আতঙ্কে কাটিয়েছেন, কত মানুষের সম্পদ নিয়ে দুশ্চিন্তা গেছে এগুলো কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আপনার আমার কারোরই সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই। আর আবহাওয়ার মতো প্রাকৃতিক ও পরিবর্তনশীল বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কোনো তথ্য প্রচার করা দায়িত্বহীনতা, একইসঙ্গে এসব বিশ্বাস করাও একই রকমের দায়িত্বহীনতা।

‘এই ঘটনায় যেটা হলো এর পরবর্তী প্রভাব আরও খারাপ হতে পারে- ওই যে বাঘ ও রাখালের গল্পের মতো। মানুষ সুপার সাইক্লোনের কথা শুনে যেভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, পরে দেখা যাবে বড় দুযোগকেও তারা উপেক্ষা করবেন।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?
সিত্রাং আঘাতের আগে বরগুনার দৃশ্য

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম।

তিনি মনে করেন এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের ছড়াছড়ি হলে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ওপর। কারণ এমনিতেই তাদের মধ্যে ধারণা আছে ‘যেমন বলা হয় তেমন ঝড় আসে না।’

কাজী শফিকুল আযম বলেন, ‘এজন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়েও কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয়। আমরা ঠিকমতো মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নিতে পারি না। এর ওপর এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হলে তো পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে।

‘তখন দেখা যাবে আরও বেশি মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে দুর্যোগের সময় নিজ বাসায় অবস্থান করবে। এতে প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হবে। তাই আবহাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য সাধারণ কোনো সোর্স থেকে আসা উচিত নয়।’

সুপার সাইক্লোনের আশঙ্কা ছড়ানোয় কী ক্ষতি হলো?

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. শাহ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের আবহাওয়া নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যের বাইরে কোনো তথ্যই গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের দেশের আবহাওয়া ফোরকাস্টের বিষয়গুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর রাখেন। বাইরের দেশের কোনো ব্যক্তির কথায় যদি আমাদের দেশের আবহাওয়ার ফোরকাস্ট হয়ে যেত তাহলে দেশে এত টাকা খরচ করে টেকনোলজি স্থাপন আর আমাদের শ্রম দেয়ার কী দরকার ছিল!’

তিনি বলেন, ‘কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষকের বাংলাদেশের আবহাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো একদমই দায়িত্বহীন কাজ। এতে করে অনেক আগে থেকেই সাধারণ মানুষের মনে প্রভাব পড়েছে, ভীতি-আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

‘এসব ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমকেও আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবহাওয়া সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে তা অবশ্যই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যাচাই করে নিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
উপকূলে মোবাইল ফোন-ইন্টারনেট সেবা ফিরবে ধীরে ধীরে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বিদ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রাহক
‘সব ধান গাছ বিছানার মতো পড়ে আছে’
সারা দেশে নৌযান চালু
শঙ্কা বুকে ঘরে ফিরছে মানুষ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Participation at the GICC Conference of the Secretary of the Bridge Division

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।

এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
There is no alternative to open reservoirs to resolve the domestic fish crisis Fisheries and Livestock Advisor

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

p
উপরে