হু হু করে ফলোয়ার কমিয়ে দিয়ে এখন আবার তা নিয়ে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক; এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফলোয়ার কমা নিয়ে যখন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চরম ক্ষুব্ধ, তখন ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার পক্ষ থেকে এই দুঃখ প্রকাশ করা হলো বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
কয়েক দিন ধরে চোখের পলকে কমে যাচ্ছে ফেসবুক ফলোয়ার। কপালে হাত দিয়ে তাই বাধ্য হয়ে এই ফেসবুকেই আবার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে মানুষ।
অবশ্য এত ক্ষোভ যার বিরুদ্ধে সেই ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের ১১৯ মিলিয়নের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতেও এখন ফলোয়ারের সংখ্যা মাত্র ৯ হাজার ৯৯২।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক দিন ধরেই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কমছে আইডির ফলোয়ার। পেজ থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছেন ফেসবুক ফলোয়াররা। ভুয়া আইডি বন্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
এসব বিষয় নিয়ে মেটার একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক ব্যবহারকারী তাদের প্রোফাইলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ফলোয়ারের সংখ্যা দেখছেন। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমরা সচেতন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়গুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি এবং এমন অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
সাটলক এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকে বাগ থাকার কারণে এমনটি ঘটছে। বাগ হচ্ছে কম্পিউটারের প্রোগ্রামে থাকা ত্রুটি।
গত ৩ ও ৪ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য হিল, ইউএসএ টুডে, নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও নিউজ উইকের মতো নামি আমেরিকান মিডিয়া আউটলেটের ফলোয়ার কমে যায় বলে জানিয়েছিল ডাটা অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্ম ক্রাউডট্যাঙ্গল।
কয়েক দিন ধরে কিছুটা ফলোয়ার কমা শুরু হলেও একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে ফেসবুক ব্যবহারকারী এই সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকে।
তবে ফেসবুক এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান ফলোয়ার হারিয়েছে, তারা কী আর ফলোয়ার ফিরে পাবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়।
এই পৃথিবীতে সবমিলিয়ে মানুষের সংখ্যা যেখানে প্রায় ৭০০ কোটি, সেখানে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাজারে আসা ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি।
আরও পড়ুন:‘র্যাপিড ক্যাশ’ নামে চীনের তৈরি একটি মোবাইল অ্যাপস আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠেছে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইনে চলছে ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সাধারণ মানুষকে টার্গেট এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র।
র্যাপিড ক্যাশ হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেটে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে সেটটির পুরোপুরি এক্সেস নিয়ে নেয় অপর পক্ষ। একইসঙ্গে প্রতারক চক্রের হাতে চলে যায় ওই মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর সব কন্ট্যাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বাংলাদেশে ব্যবহারযোগ্য যে কোনো মোবাইল সিমের নম্বরের মাধ্যমে অ্যাপটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাপিড ক্যাশ ব্যবহারকারীকে অযাচিতভাবে পাঁচশ’ বা এক হাজার টাকার একটি ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হয়। আর ঋণ দেয়ার সময় থেকেই ওই টাকার ওপর উচ্চ হারে সুদ আরোপ করা হয়।
ঋণ দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সুদ-আসল বা কমপক্ষে সুদের টাকা পরিশোধের জন্য র্যাপিড ক্যাশ তাদের হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেয়। কোনো গ্রাহক তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সংশ্লিষ্টরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে।
ভুক্তভোগীদের তথ্যে জানা যায়, কেউ কেউ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরও তাদেরকে জোর করে আবার ঋণ গছিয়ে দেয়া হয়। একইভাবে ঋণের টাকা ও সুদ পরিশোধে বাধ্য করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে ভয়-ভীতিও দেখানো হয়।
চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে এই প্রতারণা করে আসছিল।
বাংলাদেশে চক্রটি অ্যাপসের একাউন্ট খোলার মাধ্যমে ৫০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতো। সময়মতো টাকা পরিশোধ না করলে অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি হাতিয়ে নিয়ে সেগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে হুমকি দিতো। এমনকি গ্রাহকের ছবি এডিট করে আপত্তিকর ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ছড়িয়ে দিতো।
এই প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়া এক ব্যক্তি সম্প্রতি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান পায় এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিউ)। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাপিড অ্যাপের কাজে ব্যবহৃত কল সেন্টারটির পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিসহ ২৬ জনকে আটক করেছে এটিউ’র সাইবার ক্রাইম উইং। তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড চীনা নাগরিক বলে দাবি মাহির। তাকে পায়নি এটিইউ। ওই বাড়ি থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি ল্যাপটপ ও ৬টি ডেস্কটপ কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।
রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ’র প্রধান কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম উইং-এর পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন মহিউদ্দিন মাহি। এই যুবক চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। চীনা ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী। আর ওই ভাষার ওপর এমন দখল থাকায় এটিকে তিনি প্রতারণার কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।
‘বাংলাদেশে বসেই চক্রটি প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিকদেরও একইভাবে ঋণের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছিল। আর ঋণের টাকা ও উচ্চ হারের সুদ আদায় করাতো মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে।’
ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রতারক চক্রটি তাদের শিকার হিসেবে সহজ-সরল সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে এগুতো। প্রথমে টার্গেট ব্যক্তি থেকে মোবাইলের মাধ্যমে একাউন্ট খোলার নামে ভোটার আইডি ও ছবি নিত। গ্রাহকরা এই কাজগুলো করার সময় চক্রটি কৌশলে মোবাইলের কল লিস্ট, গ্যালারির ছবি, ভিডিওসহ সব তথ্য হাতিয়ে নিত।
‘এভাবে শিকারকে কব্জায় নেয়ার পর অযাচিতভাবে ঋণ গছিয়ে দিয়ে উচ্চ হারে সুদ আদায় শুরু করত। কেউ দিতে আপত্তি জানালেই তাকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের হুমকি দিত। এই অ্যাপটি বানিয়েছে চীনারা। তারা এটাকে এভাবে বানিয়েছে যে ডাউনলোড করলেই সব তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায়।’
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে উল্লেখ করে এটিইউ’র এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত চক্রটি সহজে লোন দেয়ার ফাঁদে ফেলে আসছিল সাধারণ মানুষকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা এই ফাঁদে মানুষ সহজে টাকা পাওয়ার জন্য পা দিত। এরপর আর চাইলেও বের হতে পারত না। এমন কি বাড়ি-ঘর বিক্রি করে হলেও তাদের টাকা দিতে হতো।
চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করত। ওরা যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করত। আর একটি নাম্বর ব্যবহার করার পর সেটি বন্ধ করে দিত। এমনকি কোনো গ্রাহককে হুমকি দিয়ে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়েও তা ডিলিট করে দিত। কোনো আপত্তিকর তথ্য নিজেদের কম্পউটারে রাখত না। আর ফটোশপে এসব ছবি বানানোর জন্য আলাদা একটি দল রয়েছে।
এসপি ফারহানা আরও বলেন, ‘অভিযানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে চক্রটি একটি বাসার ভেতরে অবস্থান নিয়ে গোপনে এই প্রতারণার নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। সেখানে এক দল তরুণ-তরুণী হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলছে।
ভারত ও পাকিস্তানে একই অ্যাপস থেকে ভিন্ন নামে ঋণ দেয়া হচ্ছে। একই কায়দায় সেখানে ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে করা হচ্ছে প্রতারণা। ওই দুই দেশে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছে তারা। আর সময় গড়িয়ে এর বিপরীতে তারা আদায় করছে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতারক চক্রে কর্মী হিসেবে জড়িতদের ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দেয়া হতো। পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা টাকার একটি অংশ বোনাস হিসেবে পায় তারা। এভাবে একেকজন কর্মী মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে পেতো। আমরা ধারণা করছি এই চক্রের এমন আরও একাধিক কল সেন্টার রয়েছে।’
আরও পড়ুন:বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। কারো প্রোফাইলে শখের বশে একটু ঢুঁ মারতে গিয়ে রীতিমতো গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছেন কেউ কেউ। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে যাচ্ছে বন্ধুত্বের আবেদন গ্রহণের অনুরোধ।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য শেয়ার করছেন অনেকে। কেউ বলছেন, প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছেন, কেউ বা বলছেন, অটো রিকোয়েস্ট চলে যাচ্ছে কারো কাছে।
ফেসবুক অবশ্য এখনও বিবৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কথা বলেনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গেও। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে দিচ্ছেন স্ক্রিন শটও।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার ওয়েবসাইটে কমিউনিটি ক্যাটাগরিতে গিয়ে প্রশ্ন রেখে আসছেন ব্যবহারকারীদের অনেকে। সেখানেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এমন সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে এ তথ্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাকাঙিক্ষত ‘বাগ’ এই সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে আসলে কী ঘটেছে তা অবশ্য কর্তৃপক্ষই জানাতে পারবে ঠিকঠাক।
আরও পড়ুন:ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। কিন্তু পেশা হিসেবে এটি এখনও অত বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে ফ্রিল্যান্সারদেরকে সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেয়া হবে। সেই সঙ্গে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে পে-পাল চালু করা হবে। ফ্রিল্যান্সারদের প্রাণের দাবি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এটা চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাগেরহাট গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী তা করবেন। বাগেরহাটের শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায়ও তথ্য প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বের হবে। যারা নিজেরা আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবেন।
এর আগে বাগেরহাট-২ (কচুয়া-সদর) আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় দিনব্যাপি এই স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধন করেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মার্ট মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল ইসলাম, ব্রাক-কুমন-এর প্রধান নেহাল বিন হাসান প্রমুখ।
আইসিটি ডিভিশন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, এটুআই, আইডিয়া, ইডিজিই আয়োজিত দিনব্যাপি ৩৫টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল রয়েছে। শিক্ষিত ও দক্ষ তরুণ-তরুণীরা চাকরির জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে তাদের জীবন বৃত্তান্ত দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদা অনুযায়ী অনেক প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে।
এ ছাড়া মেলা উপলক্ষে আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে ২০ জন ফ্রিল্যান্সারকে ২০টি ল্যাপটপ এবং ৪০ জন উদ্যোক্তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:অডিও ও ভিডিও কলের সুবিধা আনছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক টুইটবার্তায় এ তথ্য দিয়েছেন বলে বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মাস্ক বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যে কারো সঙ্গে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাট করা যাবে শিগগিরই। এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কারো সঙ্গে ফোন নম্বর না দিয়ে কথা বলতে পারবেন আপনি।
কল সুবিধাবার সঙ্গে টুইটারে যুক্ত হবে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সুবিধাও। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকলে মেসেজ, ফটো, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ, ডকুমেন্ট, স্ট্যাটাসের আপডেট ও কল বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে সহজেই।
কলের সুবিধা যুক্ত হওয়ার ফলে এখন থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো কল সুবিধা নিতে পারবেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।
এ ছাড়া অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়- এমন অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল স্ল্যাপ ডিভাইসের পর ফোল্ডেবল ফোনের প্রতিযোগিতায় নামছে গুগল। কিন্তু কবে আসবে এই ফোল্ডেবল ফোন, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি প্রযুক্তি বিশ্বের নামকরা লিকস্টাররা।
অবশেষে গুগল নিজেই সবার সামনে উপস্থাপন করলো কাঙ্ক্ষিত সেই ফোন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের প্রস্তুতকৃত প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের একটি টিজারও প্রকাশ করেছে গুগল।
আগামী ২০ মে ডেভেলপারদের নিয়ে আয়োজিত গুগলের ইভেন্টে ‘পিক্সেল ফোল্ড’ নামের ফোনটিকে উপস্থাপন করা হবে।
প্রকাশিত টিজারে দেখা গেছে, গুগলের আসন্ন ডিভাইসটি স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড সিরিজের মতোই বইয়ের ডিজাইনে করা হয়েছে।
তাছাড়া, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৩টি রিয়ার ক্যামেরা। ফোনের ভেতরের স্ক্রিনে বড় বেজেল থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। বেজেলের উপরে একটি সেলফি ক্যামেরাও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।
যদিও পিক্সেল ফোল্ডের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে গুগল এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ডিভাইসটির প্রায় সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গেছে।
লিক হওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৭.৬ ইঞ্চি স্ক্রিন, যার রেজ্যুলেশন হবে ১৮৪০x২২০৮ পিক্সেল। ফোনের ডিসপ্লের অ্যাসপেক্ট রেশিও হবে ৬:৫। ওলেড (OLED) প্যানেলসহ ফোনটি বাজারে আসবে, যার রিফ্রেশ রেট থাকবে ১২০ হার্টজ।
তিনটি রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেমের প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর দেওয়া হবে, যা অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS)-সহ আসবে। ফোনের দ্বিতীয় ক্যামেরা সেন্সরটি হবে ১০.৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স। আর তৃতীয় লেন্সটি ১০.৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স, যার সাথে ২০x সুপার রেস জুম পাওয়া যাবে।
২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাথে ফোনটিতে ৪৫০০ অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি থাকবে।
ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ডড্রয়েড ১৩-সম্বলিত ফোনটির ওজন ২৩৮ গ্রাম হবে বলে জানা গেছে।
তবে ফোনটির দাম পিক্সেলের অন্য মডেলগুলোর মতো তুলনামূলক কম হবে না। লিকের তথ্য অনুযায়ী, ফোনটি কিনতে গুণতে হবে ১৭৯৯ ডলার বা ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা।
ডলার সংকটে বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের কার্যক্রম সীমিত করা হচ্ছে।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার জন্য অনুমোদিত বিজ্ঞাপনী সংস্থা এইচটিটিপুল মঙ্গলবার গ্রাহকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ডলার সংকট ও বিদেশে টাকা পাঠানো নিয়ে জটিলতার কারণে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মেটার পরিষেবা সাময়িকভাবে পাওয়া যাবে না অথবা সীমিত থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে বাংলাদেশের গ্রাহকরা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে সমস্যায় পড়বেন। সীমিত হয়ে পড়বে ফেসবুকনির্ভর ব্যবসাও।
এইচটিটিপুল জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করছে। তবে বর্তমানে সৃষ্ট পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত ও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন এক কোটির বেশি সিম ব্যবহারকারী।
রোববার বিকেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ইউএনবির
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকা থেকে বেরিয়ে গেছেন ১৬ লাখ সাত হাজার ৫৪৬ জন। আর ঢাকায় ঢুকেছেন তিন লাখ ৯৯ হাজার ১৮১ জন।
তাদের মধ্যে গ্রামীণফোনের সাত লাখ ২৯ হাজার ৪৫০, রবির তিন লাখ ১৫ হাজার ৬১৩, বাংলালিংকের পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৬ এবং টেলিটকের ১৬ হাজার ৫২৭টি সিম ব্যবহারকারী।
এর আগে ১৮, ১৯, ২০ এপ্রিল- এ ৩দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩২ সিম ব্যবহারকারী। একই সময়ে ঢাকায় এসেছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯০২ সিম ব্যবহারকারী।
এর মধ্যে ২০ এপ্রিল-মোবাইল অপারেটরের হিসাবে গ্রামীণফোনের আট লাখ ২৫ হাজার ৯৪৪টি, রবির সাত লাখ ৫৪ হাজার ৪৮২টি, বাংলালিংকের আট লাখ ২৮ হাজার ৯৬টি এবং টেলিটকের ৪৫ হাজার ৩৮৭টি।
১৯ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছে গ্রামীণফোনের পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৮টি সিম, রবির চার লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫টি, বাংলালিংকের ছয় লাখ ৫৮ হাজার ২৫২টি, টেলিটকের ১৭ হাজার ৫৬০টি সিম।
আর ১৮ এপ্রিল গ্রামীনফোনের তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৯৫টি, রবির তিন লাখ দুই হাজার ২৮৪, বাংলালিংকের পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৯টি এবং টেলিটকের ১৮ হাজার ১৯০টি সিম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা ছেড়েছেন গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহাকারীরা। ছুটির মধ্যে ঢাকায় বেশি ঢুকেছেন বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী।
চাঁদরাত পর্যন্ত গ্রামীণফোনের সর্বোচ্চ ৩১ লাখ ১০ হাজার ১০ হাজার ৯৬৪টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে। আর বাংলালিংকের ১৫ লাখ ৫১ হাজার ১৯৬টি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য