মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও টেলিটকের ডেটা প্যাকেজ এখন আনলিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটির ৬, ১৫, ২৬ ও ৪০ জিবির ডেটা কিনলে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার টেনশন আর থাকছে না।
সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক ও বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এই চারটি আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) ডেটা প্যাকেজ চালু করেছে। সে সুবাদে নির্ভার হয়েই এসব ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।
টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, বিটিআরসি গ্রাহক সুবিধায় গ্রামীণফোন লিমিটেড ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে আনলিমিটেড মেয়াদের এই চারটি ডেটা প্যাকেজ চালু করেছে।
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের মাধ্যমে ১ হাজার ১৯৯ টাকায় ৪০ জিবি এবং ৫৪৯ টাকায় ১৫ জিবি ডেটার প্যাকেজ কেনা যাবে।
এ ছাড়া টেলিটকের মাধ্যমে ১২৭ টাকায় ৬ জিবি ও ৩০৯ টাকায় ২৬ জিবি ডেটার প্যাকেজ চালু করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল বিটিআরসির দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো বাজারে প্রথম আনলিমিটেড মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। অন্য অপারেটরগুলো পর্যায়ক্রমে নতুন করে আনলিমিটেড মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ চালু করবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
অবৈধ হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে কম আসছে। চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে (১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে এই ২২ দিনে এসেছে ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। প্রতিদিনে এসেছে ৫২৫ কোটি টাকা; কিন্তু হুন্ডিতে এক ডলারের বিনিময়ে দেয়া হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। ফলে দফায় দফায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ানোর পরও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে না, উল্টো কমছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। চলতি মাসের ২২ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, মাসের বাকি ৮ দিনে সেই হারে এলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক ১৪৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে গিয়ে ঠেকবে। সে হিসাবে আগস্টের চেয়েও সেপ্টেম্বরে কম রেমিট্যান্স আসবে। আর সেটা হবে দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর বাড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভয়-আতঙ্কে রোববার কার্ব মার্কেটে ডলার বেচাকেনা বন্ধই ছিল বলা যায়। খুবই গোপনে দু-একটি লেনদেনের খবর পাওয়া গেছে, প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক মাস ধরে খোলাবাজারে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ যা পাওয়া যায়, হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালে তার চেয়েও ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি পাওয়া যায়। সে কারণেই সবাই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন (২২০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সপ্রবাহে ধসের কারণে রিজার্ভও কমছেই।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমে আসে ২৭ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, রোববার আইএমএফের বিপিএম ৬ হিসাবে রিজার্ভ আরও কমে ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমেছে ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। গত ১২ জুলাই থেকে আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম ৬ পদ্ধতি অসুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। সবশেষ গত জুলাই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসাবে বর্তমানের ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষের জীবন কতটা বদলে গেছে তারই এক ব্যতিক্রমী ও বিচিত্র ঘটনার দেখা মিলল রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে ।
নিত্যপণ্যের দোকানের খরচ মেটানো, কোথাও অর্থ পাঠানো বা এমন আরও অনেক কাজে মোবাইল ব্যংকিংয়ের লেনদেন খুবই প্রচলিত। এবার ঘটল এক অন্যরকম ঘটনা।
ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’-এর মাধ্যমে ‘ভিক্ষা’ দেয়ার এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর গুলশান-২ এ বৃহস্পতিবার দুপুরে।
এক বয়স্ক নারীকে বিকাশে ভিক্ষা দিয়ে ঘটনাটি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে ছবিসহ পোস্ট করেন ব্যবয়াসী তুষার মালিক। পোস্ট শেয়ার করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ঘটনাটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে তুষার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে কাজ শেষে ব্যক্তিগত গাড়িতে অফিসে ফিরছিলাম। এসময় গুলশান-২-এ একটি তোয়ালে কিনে ২০০ টাকা বিকাশে সেন্ড মানি করি। এসময় একজন বৃদ্ধ নারী আমার কাছে এসে ভিক্ষা চান। আমি তাকে বলি- নগদ টাকা নেই। তিনি আমাকে অবাক করে বলেন, তার কাছে বিকাশ আছে।’
তুষার বলেন, ‘এরপর ওই মহিলা আমাকে তার বিকাশ নম্বরটি বললে আমি তাকে কিছু টাকা (টাকার অঙ্ক প্রকাশ করেননি) সেন্ড মানি করি। তিনি তখন তার ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়ে হাসি দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে বেশ অবাক করেছে। তবে আমি খুশি এই ভেবে যে, এখন একেবারে ছিন্নমূল মানুষও মোবাইল ব্যবহারের পাশাপাশি আর্থিক সেবাগুলো ব্যবহার করছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে বিকাশে ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরে কল করে তাৎক্ষণিক কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিকাশের মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে কর্মরত প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী ইমরুল কায়েস শুভ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, ভাল লেগেছে।
‘আমরা বিকাশের মাধ্যমে দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে আর্থিক সেবা সহজতর করতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা এ সেবা দেশে ও প্রবাসে থাকা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শিশু জুনায়েদ মোল্লার। তার সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।
প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে শিশু জুনায়েদ মোল্লার। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
বিমানে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছানোর আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিশু জুনায়েদ বলেন, ‘সেদিন নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “ওয়ালটন প্লাজা ব্যবসার পাশাপাশি সর্বদা বিভিন্ন সামাজিক ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী আলোচিত জুনায়েদের পরিবারও এসব সুবিধার বাইরে নয়।
“আমরা যখনই শুনেছি কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে বিমানে চড়ার শখ থেকে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার শখ পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই ছোট্ট ছেলেটির বড় স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দিতে চাইনি। ওর এই বড় স্বপ্ন দেখতে পারার সক্ষমতা চলমান থাকুক। স্বপ্ন পূরণে ওর সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত।”
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা বলেন, ‘ছেলে আকাশে কোনো বিমান উড়ে যাচ্ছে দেখলে আনমনা হয়ে যেত। কী ভাবত সে-ই জানে। ছেলের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করায় ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
জুনায়েদের স্বপ্ন এখন পাইলট হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই উঠে পড়েছিল জুনায়েদ নামের ওই শিশুটি। পরে জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে জুনায়েদ। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের এই শিশুটি।
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় জুনায়েদ এবং সেই শখ থেকে বিমানে চড়ার ইচ্ছা তার- এমনটি নিজেই গণমাধ্যমকে জানায় সে।
ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি রাইস কুকার কেনেন জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা। এরই ধারাবাহিকতায় কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষারনীতির আওতায় কৃষক বাবার শখ পূরণ করতে এগিয়ে আসে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৩ সালের ‘বেস্ট অন টাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন, মোস্ট কাস্টমার ফ্রেন্ডলি এয়ালাইন (ডমেস্টিক), বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস (ডমেস্টিক)- এই তিন ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে সিলভার পুরস্কার লাভ করেছে নভোএয়ার।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অফ দি ইয়ার-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাত থেকে পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন নভোএয়ারের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম।
ভ্রমণ ও পর্যটন-বিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর পরিচালিত আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের অনলাইনে মতামত জরিপের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার গ্রহণের পর মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আগামীর পথচলায় আমাদের উৎসাহ জোগাবে। নভোএয়ার শুরু থেকেই সম্মানিত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ও নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। পূর্ণ যাত্রী সন্তুষ্টি এবং উন্নততর সেবার প্রতিশ্রুতি আমাদের পরিচালনার সকল স্তরে অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট, রাজশাহী ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার।
দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এমএফএস নগদ। ভিসার সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড নগদ-এর পাশাপাশি দেশের মূলধারার কয়েকটি ব্যাংকও অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘টুওয়ার্ডস আ ক্যাশলেস, স্মার্ট বাংলাদেশ’শিরোনামে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিসা বাংলাদেশ।
এবারের ‘ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৩-’এ ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট এবং ডেবিট কার্ডে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ‘এক্সিলেন্স ইন সাইবারসোর্স-পে আউট,’ ক্যাটাগরিতে নগদ পুরস্কার অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. শরাফাত উল্লাহ খান।
এ ছাড়া ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ও ভিসার অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নগদ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী ও হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট গোলাম জামিল আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার-প্রাপ্তির বিষয়ে নগদ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পার্টনার ভিসার কাছ থেকে পাওয়া এমন স্বীকৃতি আমাদের জন্য সম্মানের। দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং গ্রাহকের সুবিধামতো সেবা দেয়ার জন্য আরও প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে এই স্বীকৃতি আমাদের সাহায্য করবে।’
বাৎসরিক এই কনক্লেভে ভিসা তাদের পার্টনার ব্যাংক, ফিনটেক কোম্পানি, মার্চেন্ট এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মাননা জানায়। ক্রস বর্ডার পেমেন্ট, প্রোডাক্ট ইনোভেশন, ফিনটেক পার্টনারশিপ, সাইবার সোর্স, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তারা এসব পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এবারের আয়োজনে ফিনটেকের পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য