× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
And rainwater is not safe there is a risk of cancer
google_news print-icon

আর নিরাপদ নয় বৃষ্টির পানি

আর-নিরাপদ-নয়-বৃষ্টির-পানি-
বৃষ্টির পানিতে রয়েছে পারফ্লুরোঅ্যালকাইল, যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের অনেক মানুষ এখনও বৃষ্টিকে নিরাপদ পানীয় জলের উৎস মনে করে। তবে গবেষণা বলছে, বৃষ্টির পানি আর নিরাপদ নয়। এই পানিতে রয়েছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান।   

পারফ্লুরোঅ্যালকাইল ও পারফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্স (পিএফআইএস) রাসায়নিকটি ফায়ার সার্ভিসের ফোম তৈরিতে ও টেক্সটাইল শিল্পে ব্যাপক ব্যবহার হয়। তবে মানবদেহের জন্য এই রাসায়নিক খুবই ক্ষতিকর।

পিএফআইএস এমন এক রাসায়নিক পদার্থ, যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। একে ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ও বলা হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফরেভার কেমিক্যাল এবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বৃষ্টির পানিতেও পাওয়া গেছে।

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, "আমাদের বায়ুমণ্ডলে এই ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ এত বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে যে নতুন এক নির্দেশিকায় বৃষ্টির পানিকে এখন পান করার ক্ষেত্রে অনিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।"

পিএফএএসের কারণে কোলেস্টেরেল বৃদ্ধি, লিভারের এনজাইমে পরিবর্তন, শিশু জন্মের সময় কম ওজন, শিশুদের দেহে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা ও ক্যানসারও দেখা দিতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, মানবসৃষ্ট পারফ্লুরোঅ্যালকাইল সাম্প্রতিক দশকগুলোতে পানির গতিপথে, মহাসাগরে, ভূগর্ভস্ত পানিতে ও বায়ুমণ্ডলসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। আন্টার্কটিকা থেকে তিব্বত মালভূমি পর্যন্ত এই পদার্থ এখন পাওয়া যাচ্ছে।

স্টকহোম ইউনিভার্সিটি ও ইটিএইচ জুরিখ ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, বৃষ্টির পানিতে এই বিপজ্জনক রাসায়নিকের মাত্রা নিরাপদ সীমার ওপরে উঠে গেছে।

স্টকহোম ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক ইয়ান কাজিন বলেন, ‘গত ২০ বছরে পানীয় জলে পারফ্লুরোঅ্যালকাইলের নির্দেশিকার মানগুলোর বিস্ময়কর অবনতি ঘটেছে।’

বিশ্বের অনেক মানুষই এখনও বৃষ্টিকে নিরাপদ পানীয় জলের উৎস মনে করে। তবে কাজিনের মতে এখন আর তা নিরাপদ নয়।

এমনিতেই বিশ্বের অনেক দেশেই নিরাপদ পানির সংকট রয়েছে। সেসব দেশে সুপেয় পানির উৎস হিসেবে বৃষ্টির পানিকেই বিবেচনা করা হত। এখন সেই পানিকেও অনিরাপদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:
পরিবেশ সুরক্ষায় ভারতের অবস্থান সর্বনিম্ন
৯৮ শতাংশ অঞ্চল পানি সরবরাহের আওতায়: সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নদী বাঁচাতে বুড়িগঙ্গায় ‘গণগোসল’
পরিবেশ নিয়ে আদালত সক্রিয়, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়
শহরের বর্জ্যে বিষাক্ত ভৈরব-রূপসা-ময়ূর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Damage in recent floods is Tk 14 thousand 269 crores

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বন্যাকবলিত এলাকার ফাইল ছবি।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরবিক্রম জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা সমমূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান তিনি।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ছাড়াও বন্যাকবলিত অঞ্চলের বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ইতোমধ্যে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন:
বন্যা: কুমিল্লায় প্রায় এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Germany will give 100 million Euros to Bangladesh
নবায়নযোগ্য জ্বালানি

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি


বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা করতে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে উভয় দেশই বেসরকারি খাত, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো নন স্টেট অ্যাক্টরদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার করবে।’

সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী এবং যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে, যা বহু স্টেকহোল্ডার পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবে।’

উপদেষ্টা পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বৈঠকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণ করার জন্য একটি চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না ভারত সিরিজ: গাঙ্গুলী

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The collapse of the Yamuna embankment caused 70 meters of the river to sink

যমুনার তীররক্ষা বাঁধে ধস, নদীগর্ভে বিলীন ৭০ মিটার

যমুনার তীররক্ষা বাঁধে ধস, নদীগর্ভে বিলীন ৭০ মিটার সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকার পরও প্রবল স্রোত তৈরি হয়ে বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‌ইতোমধ্যে বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে ধসে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। ইতোমধ্যে ভাঙন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার মেঘাই পুরাতন তীররক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন।

এর আগে, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে উপজেলার মেঘাই পুরাতন বাঁধ এলাকায় ভাঙন শুরু দেখা দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

মেঘাই ঘাট এলাকার শামীমুর রহমান বলেন, নদীর প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধের বোল্ডারগুলো খসে পড়তে শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ এমন ভাঙন দেখা দেয়ায় অনেক মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। তারা দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক কুরমান আলী বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে ফসলি জমিও ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনের সময় শুধু জিও ব্যাগ ফেলে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এটা অব্যাহত থাকলে এলাকার অনেকেই বাড়ি-ঘরসহ ভিটেহারা হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে থাকার পরও প্রবল স্রোত তৈরি হয়ে বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‌ইতোমধ্যে বাঁধের ৭০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে ধসে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। ইতোমধ্যে ভাঙন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ভাঙন মেরামতের কাজে অংশ নেন। একই সঙ্গে কাজটি সেনা সদস্যরা তদারকি করছেন। আশা করছি সেখানে আর ভাঙার আশঙ্কা নেই। তবে শুষ্ক মৌসুমে ধসে যাওয়া অংশ পুরোপুরি মেরামত করা হবে।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The Achin tree fell in the storm

ঝড়ে ভেঙে পড়ল সেই অচিন বৃক্ষ

ঝড়ে ভেঙে পড়ল সেই অচিন বৃক্ষ নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুলশী গ্রামের শতবর্ষী অচিন বৃক্ষটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বৃক্ষপ্রেমিরা ছুটে আসতেন। ছবি: সংগৃহীত
নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুলশী গ্রামের শতবর্ষী অচিন বৃক্ষটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে বৃক্ষপ্রেমিরা ছুটে আসতেন। এটির ফলের ঘ্রাণ খিরের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা গাছটির নাম ‘খিরির গাছ’ রেখেছিল। আর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নামকরণ করা হয়েছিল ‘বৃক্ষ মানিক’।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুলশী গ্রামের শতবর্ষী অচিন বৃক্ষটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বৃক্ষপ্রেমিরা ছুটে আসতেন। শনিবার রাতে ঝড়ে গাছটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের দুলশী নামক স্থানে উঁচু ঢিবিতে শতবর্ষী গাছটি ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এই গাছে ফলের স্বাদ অনেকটা ক্ষিরের মতো। তাই স্থানীয়রা এই বৃক্ষের নাম দিয়েছিল ‘খিরির গাছ’।

ঝড়ে ভেঙে পড়ল সেই অচিন বৃক্ষ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুলশী গ্রামের শতবর্ষী অচিন বৃক্ষটি শনিবার রাতে ঝড়ে ভেঙে পড়ে। ছবি: নিউজবাংলা

আর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অচেনা এই গাছটির নামকরণ করা হয় ‘বৃক্ষ মানিক’।

গাছটিতে ফল ধরলেও সেই ফলের বীজ থেকে কোনো চারা জন্মানো সম্ভব হয়নি। প্রাকৃতিকভাবেও এটির কোনো বংশবিস্তার হয়নি। ফলে জন্ম নেয়ার পর থেকে একাই শত শত বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গাছটি।

সবচেয়ে প্রাচীন এই বৃক্ষ ইতোমধ্যে নাটোর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। গাছটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৫০ ফুট। গাছটি বিভিন্ন গবেষকও পরিদর্শন করেছেন। বিরল প্রজাতির এই গাছের সংখ্যা দেশে হাতেগোনা তিন থেকে চারটি রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান হোসেন বলেন, “এই গাছের বয়স কত তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। তারা ছোটবেলা থেকেই এ গাছটি দেখছেন। তার বাবাও দেখেছেন। তবে গাছটির বয়স অনেক হবে।

“জ্যৈষ্ঠ মাসে আঙ্গুর ফলের মতো ফল ধরে। খেতেও খুব সুস্বাদু। ফলের ঘ্রাণ খিরের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা গাছটির নাম ‘খিরির গাছ’ রেখেছিল। এ গাছটি দেখতে বহু দূর থেকে মানুষ আসতেন। অনেকে এখানে এসে মানতও করতেন।”

হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই গাছটি একইরকম দেখেছি। আসলে এটির সঠিক বয়স কেউ জানে না। বাবা-দাদারা গল্প করেন। তারাও ছোট বেলা থেকেই গাছটি দেখেছেন।

‘তবে গাছটি বিশাল, যা খুব কমই দেখা যায়। অনেকে পরিবার নিয়ে দেখতে আসতেন গাছটি। গাছটি ভেঙে পড়ায় পুরো গ্রামের মানুষ বেদনাহত হয়েছেন। তারা স্বজন হারানোর মতো বেদনা অনুভব করছেন।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The bodies of two more fishermen washed up on Inani beach

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ

ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ ফাইল ছবি।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে।

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় কক্সবাজারে উখিয়ার ইনানী সৈকতে ভেসে এসেছে আরও দুই জেলের মরদেহ। এ নিয়ে দুদিনে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সমুদ্র সৈকতে মরদেহ দুটি ভেসে আসে বলে জানান ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম।

তাদের মধ্যে আব্দুল করিম নামের এক জেলের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

আব্দুল করিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বাঁশখালীর বাসিন্দা আবুল বশরের মালিকানাধীন এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারের জেলে ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ পয়েন্টে ভেসে আসা দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট থেকে অপর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, শনিবার দুপুরে ইনানী সৈকতে দুটি মরদেহ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

শুক্রবার সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এফবি আব্দুল ছামাদ সাহা নামের ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

ট্রলারটির মালিকের বরাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রলারটিতে ১১ জন জেলে ছিল। ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ইনানী সৈকত সংলগ্ন সাগরে ডুবে যায়। এতে ৯ জন জীবিত উদ্ধার হলেও দুজন নিখোঁজ ছিলেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Erosion of the Kapotakh dam threatens to flood large areas of Paikgacha

কপোতাক্ষের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

কপোতাক্ষের বাঁধে ভাঙন, পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে পানির চাপে পাইকগাছার হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।

খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন কপোতাক্ষ পাড়ের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সোমবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খননকৃত মরিচ্চাপ নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে ওই নদীর পানির চাপ পড়ে পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের হাচিমপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র সংলগ্ন খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বাঁধে।

টানা তিনদিন ধরে পানির চাপে বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধের ২০০ ফুট এলাকা ভেঙে পড়েছে। বাঁধের একাধিক স্থানে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।

বাঁধে ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ভাঙন রোধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দেবদুয়ার গ্রামের তোরাব হোসেন খান বলেন, ‘মরিচ্চাপ নদীর পানির চাপে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

হাচিমপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা বেবী বেগম বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে গেলে সর্বপ্রথমে আমরা আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা ৬০টি পরিবার বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাচিমপুর, দেবদুয়ার, শাহপাড়াসহ চাঁদখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুটি ইটভাটা, আবাসন ও কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।’

দেবদুয়ার গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, ‘জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, ‘যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এটি মূল বেড়িবাঁধ নয়। এরপরও এলাকার ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘ভাঙনের বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট ২ ফুট খুলে দেয়া হয়েছে
সুদানে বাঁধ ধসে ৬০ জন নিহত: প্রতিবেদন
ভেঙে গেছে গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ
খুলনায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৩ গ্রাম
ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধে একাধিক ভাঙন, ২০ গ্রাম প্লাবিত

মন্তব্য

p
উপরে