প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), তাতে বলা হয়েছে দেশে এখন জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
জনশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর ভাইরাল হতে থাকে যে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটির ওপরে। যদি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৮ কোটি হয়, তাহলে মানুষ কীভাবে সাড়ে ১৬ কোটি?
অনেকেই সেই খবর ও খবরের লিংকটি শেয়ার করছেন। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে উদ্ধৃত করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হিসাব দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে খবরটি এখন ভাইরাল হচ্ছে, সেটি সে সময় মিসকোট করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটির ওপরে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নয়।’
১৮ কোটি যদি মোবাইল ব্যবহারকারী হয়, তবে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত?
প্রতি মাসেই দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটি মোবাইল ইন্টারনেট, আইএসপি ও পিএসটিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশ করে তাদের মাসিক প্রতিবেদনে।
গত মাস অর্থাৎ জুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার। তাদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১১ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার এবং আইএসপি ও পিএসটিএন মিলিয়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার।
গত মে মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ১২ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার।
সবশেষ ৯০ দিনের মধ্যে কোনো সিমে ইন্টারনেট অ্যাকটিভ করলে সেটিকে একটি ইউনিক গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করে বিটিআরসি। একইভাবে আইএসপি ও পিএসটিএনের প্রতিটি সংযোগকে একটি ইউনিক গ্রাহক ধরে সংস্থাটি।
গত মে মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ইনোভেশন কংগ্রেস-২০২২’ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রবন্ধে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা ঘোষিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাত কীভাবে দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে সেসব তুলে ধরেন মন্ত্রী। সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি বলে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় মোস্তাফা জব্বারের কাছে।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে মোবাইল ব্যবহারকারী ১৮ কোটি। আপনি যদি এখনও বিটিআরসির ওয়েবসাইটে যান তাহলে দেখতে পাবেন মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটির ওপরে। মে মাসে আমি সে তথ্যই দিয়েছি এবং এটাও ছিল।
‘আমি নরমালি স্মৃতিভ্রষ্ট হই না। ২০০৮ সালে দেশে মোট মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি। তা থেকে বেড়ে ১৮ কোটি হয়েছে।’
বিটিআরসির জুনের হিসাবে দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার। সেটি গত মে মাসে ছিল ১৮ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ২০০৮ সালে ছিল সাড়ে ৭ লাখ, যেটা এখন হয়েছে ১২ কোটির ওপরে। এটাই প্রকৃত তথ্য। এখন কেউ যদি মিস রিপোর্ট করে সেটার দায়দায়িত্ব তো আমার না।
‘সাধারণত প্রতিটি সিমকে একটি ইউনিক গ্রাহক হিসেবে ধরে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা হিসাব করে বিটিআরসি। সে জন্য সবশেষ তিন মাসের মধ্যে সক্রিয় সিম এক একজন নতুন গ্রাহক ধরা হয়। তাই মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিয়ে মানুষ গণনা করা সম্ভব নয় এবং সেটা সঠিকও নয়।’
মন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ঈদের সময় অন্তত ৯০ লাখ সিম ঢাকা ছেড়েছে। আমরা সে হিসাব দিয়েছি। এখন কেউ যদি বলে, ৯০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে সেটা তো ভুল। একজন মানুষের একাধিক সিম রয়েছে। এমনও আছে এক ব্যক্তির কাছে ৪/৫টা সিম রয়েছে, যেগুলো অ্যাকটিভ। আবার করপোরেট সিম আছে। তাই সিম বা মোবাইল ব্যবহারকারী দিয়েও মানুষ গণনা করা যায় না। সেটা সম্ভবও নয়।’
জনশুমারির তথ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার
জনশুমারিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটা ধারণা উঠে এসেছে। ২০২২ সালের গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে মোট ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ১৮ বছর থেকে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ জনসংখ্যা ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এমন জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে।
আরও পড়ুন:অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ২৮ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেয়া একটি আইনে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রযুক্তি খাতে চীনের এগিয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আইনটিতে সই করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ নিশ্চিতের এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার চিপ উৎপাদন কারখানা নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর করে ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর অংশ হিসেবে আরও সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী। মাইক্রোচিপের বৈশ্বিক স্বল্পতা তাদের এ আহ্বানকে আরও জোরালো করে।
আইনটির বিষয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেন, এটি পটপরিবর্তন করে দেবে, যা আগামী শতকে আমেরিকার নেতৃত্ব ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের কথা উল্লেখ না করে শুমার বলেন, ‘আমাদের পিছিয়ে পড়তে দেখে কর্তৃত্ববাদীরা উল্লসিত ছিল এবং ভেবেছিল আমরা নির্বিকার বসে থাকব। চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্ট পাসের মধ্য দিয়ে আমরা আরেকটি মহান আমেরিকান শতক নিশ্চিতের বিষয়টি খোলাসা করে দিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের মোট সেমিকনডাক্টরের ১০ শতাংশের মতো জোগান দেয়। গাড়ি থেকে মোবাইল ফোনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই সেমিকনডাক্টর। ১৯৯০ সালে সেমিকনডাক্টরের বৈশ্বিক জোগানের প্রায় ৪০ শতাংশ দিত যুক্তরাষ্ট্র।
এ খাতে হারানো প্রভাব ফিরিয়ে আনতেই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পথ তৈরি করল বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
আইনটিতে সমর্থন দিয়েছে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টিও।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে একের পর এক চমক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের জন্য এবার বাজারে এনেছে সিসিটিভি সিস্টেমের বিভিন্ন পণ্য।
‘পিনভিউ’ নামে ওয়ালটনের তৈরি সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যের মধ্যে রয়েছে আইপি ক্যামেরা, এইচডি ক্যামেরা, এনভিআর এবং এক্সভিআর।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে প্রধান অতিথি থেকে সোমবার পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
‘ওয়ালটন পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেম লঞ্চিং সেরিমনি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের সিনিয়র স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও বিএসসিএলের পরিচালক প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী।
এ ছাড়া এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার ও লিয়াকত আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম, মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, যে সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উন্মোচন করা হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে তৈরি। খুব শিগগিরই দেশের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চমানের এই সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যগুলো পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং অন্য অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, পিসিবি, এলিভেটর, ল্যাপটপ-কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রোডাকশন প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন।
তারা এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং দেশীয় হাই-টেক শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি ও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ‘কিপ ইট রিয়েল’ থিম নিয়ে শুরু করেছে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্টিভ্যাল-২০২২। আগামী ২৮ আগস্ট উদযাপন করা হবে রিয়েলমির চতুর্থ গ্লোবাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
তরুণদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প মূল্যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের ফোন নিয়ে আসছে রিয়েলমি। ‘কিপ ইট রিয়েল’ মানসিকতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রিয়েলমি তাদের ফ্যান ও কমিউনিটির প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়ন করাই এই ব্রান্ডের প্রধান লক্ষ্য।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যান্ডটি জানায়, গত চার বছরে তাদের অর্জন বেশ সমৃদ্ধ। রিয়েলমির এই পথচলায় ফ্যানদের আকুণ্ঠ সমর্থন অর্জন করেছে। ফ্যানদের এই সমর্থনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, এ বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে।
আগামী বুধবার রিয়েলমির গ্লোবাল অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট ও কমিউনিটিতে ‘রিয়েল ফ্যান স্টোরি’ শীর্ষক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালু করা হবে। রিয়েলমি বাংলাদেশও এই গ্লোবাল ক্যাম্পেইনের অংশ এবং তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
২৮ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলাকালীন ক্রেতা ও রিয়েলমি ফ্যানরা অফলাইন ও অনলাইনে দুর্দান্ত সব অফার উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েলমি ট্রেন্ডি ডিজাইন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারে ডিজাইন লিডার হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন রিয়েলমির ডিজাইন মাস্টার স্মার্টফোন জিটি মাস্টার এডিশন সকল আউটলেটে পাওয়া যাবে ২০০০ টাকা ছাড়ে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতারা এই সিরিজের ফোনের সাথে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার। এখানেই শেষ নয়, রিয়েলমি ব্র্যান্ড শপ থেকে যে কোনো মডেলের স্মার্টফোন কিনলে ক্রেতাদের জন্য উপহার হিসেবে থাকছে স্পোর্টস ওয়াটার বোতল।
তা ছাড়া দারাজ শপাম্যানিয়া ক্যাম্পেইন (৮-১৪ আগস্ট) থেকে রিয়েলমি সি সিরিজ, নাম্বার সিরিজ, নারজো সিরিজ ও জিটি সিরিজের যে কোনো স্মার্টফোন কিনলেই ক্রেতারা পাবেন ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক কার্ডের ক্ষেত্রে থাকছে ১২ মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ সুদে ইএমআই সুবিধা। অফলাইন ক্যাম্পেইনের মতো অনলাইন থেকেও ক্রেতারা জিটি মাস্টার এডিশন ও ৯ প্রো ৫জি সিরিজের স্মার্টফোন কিনলে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার।
আরও পড়ুন:হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) সম্প্রতি ৬০ জন সদ্য গ্র্যাজুয়েটকে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ার টিমে নিয়োগ দিয়েছে। নতুন উদ্যোমে বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও ক্লাউড সেবা দিতে তারা কাজ করবেন।
তরুণদের জন্য আইসিটি খাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয় হুয়াওয়ে। নিয়োগের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় জুন মাসে এবং প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী এতে অংশ নেন।
হুয়াওয়ে ক্লাউড টিমে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীদের একজন তানসি ইসলাম। তিনি বলেন, 'বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠাতা হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি ইতোমধ্যে কিছু কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি, যার মাধ্যমে আমি এই খাত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা আমাকে ভবিষ্যতে আইসিটি খাত ও দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সহায়তা করবে।'
হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ক্লাউড ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশনের মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্ভাবনী ক্লাউড ও পাওয়ার সল্যুশনস নিয়ে বাংলাদেশের এই লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও ও শিডিউল লাইভ ভিডিওতে পণ্য বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। তবে ফেসবুক লাইভ ও ইভেন্টগুলোতে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু লাইভ ভিডিওর প্লেলিস্টে কোনো পণ্যের ট্যাগ দেয়া যাবে না।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বিজনেস হেল্প সেন্টার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
টিকটকের মতো ছোটো ভিডিওতে জোর দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক বলছে, গ্রাহকদের কাছে পণ্যকে পৌছাতে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিলস ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন এফ-কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম) উদ্যোক্তারা। রিলসে পণ্য ট্যাগ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
ইন্সটাগ্রামে লাইভ শপিং ফিচার চালু থাকবে।
কেউ যদি আগের লাইভ ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে আগের ভিডিওগুলো ডাউনলোডের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম ব্র্যান্ড গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড (মেরামত করা) পণ্যে দেশের বাজার সয়লাবের অভিযোগ তুলেছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা।
এসব পণ্য বিক্রি করে গিগাবাইটের নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। তাই গ্রাহকদের গিগাবাইটের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিসের দেয়া ওয়ারেন্টি দেখে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন আহ্বান জানায় গিগাবাইট।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গিগাবাইট পণ্যের একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের বিতরণ ব্যবসা পরিচালক জাফর আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড পণ্য দেশে আনছেন। সেগুলোতে থাকছে না কোনো ওয়ারেন্টি সেবা, বিক্রি হচ্ছে গাগাবাইটের নামেই। ফলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা, কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এটি দেশের ক্রেতাদের জন্য হুমকি। তাই নকল গিগাবাইট পণ্য থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই স্মার্টের স্টিকার ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেখে পণ্য কিনতে হবে।’
গিগাবাইট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান জানান, এখন দেশে আগের মতো গিগাবাইট শুধু গ্রাফিক্স কার্ড ও মাদারবোর্ড আনে না, এর পাশাপাশি মনিটর থেকে শুরু করে অন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটার পণ্যও আনে।
তিনি বলেন, ‘এখন গিগাবাইট বলতে শুধু মাদারবোর্ড আর গ্রাফিক্স কার্ড নয়, আরও অনেক কিছু বোঝেন ক্রেতারা। ফলে এসব পণ্য যখন অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশে আনছেন তখন শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। এসব নকল ও রিফারবিশড পণ্য সম্পর্কে আমরা বিষয়টি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে (বিসিএস) জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেব।’
তিনি জানান, এখন দেগশে গিগাবাইটের মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াও বর্তমানে গিগাবাইট ব্রান্ডের ল্যাপটপ, মনিটর, র্যাম, এসএসডি, কেসিং, পাওয়ার সাপ্লাই, কুলার, মাউস, কি-বোর্ডও পাওয়া যাচ্ছে দেশের বাজারে।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন সিরিজের মাদারবোর্ড আনার ঘোষণাও দেয় গিগাবাইট। ইন্টেলের নতুন প্রজন্মের প্রসেসরগুলোর কার্যকারিতা সঠিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ দিতে তাই দেশে গিগাবাইট তাদের ইন্টেল ৬০০ সিরিজের মাদারবোর্ডের বায়োস হালনাগাদ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্মার্ট টেকনোলজিসের চ্যানেল সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আলবেরুনী সুজনসহ অন্যরা।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) একটি নতুন রকেট (এসএসএলভি) উৎক্ষেপণ করেছে। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে রোববার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে অভিযানটি সফল হয়নি।
উৎক্ষেপণের ৬ ঘণ্টা পরই ইসরো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে ‘এসএসএলভি-ডি ১’ তাদের বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করায় উপগ্রহগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয়।
‘ইওএস ০২’ এবং ‘আজাদীস্যাট’ স্যাটেলাইটগুলোও এই ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলে পাঠানো হয়েছিল। সফল উৎক্ষেপণ শেষে উভয় উপগ্রহকে তাদের নির্ধারিত কক্ষপথে আনার পর রকেটটি আলাদা হয়ে যায়। এরপর মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোতে উপগ্রহ থেকে তথ্য পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রাথমিক পর্বে ইসরো প্রধান এস. সোমনাথ বলেন, ‘মিশন কন্ট্রোল সেন্টার ইসরো ক্রমাগত ডেটা লিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করছে। লিংক স্থাপিত হলেই আমরা জানাব।’
স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৭৫০ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রী দ্বারা ‘আজাদিস্যাট’ তৈরি করা হয়েছে। শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ‘এসএসএলভি ডি ১’ উৎক্ষেপণের সময় স্যাটেলাইটটির নকশা করা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার বিকেল ৩টার দিকে ইসরো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, এই মিশনের যে লক্ষ্য ছিল তা আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। একাধিক টুইট করে এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
‘এসএসএলভি-ডি ১’ রকেটটি ৩৫৬ কিলোমিটার সার্কুলার কক্ষপথের পরিবর্তে ৩৫৬ কিলোমিটার x ৭৬ কিলোমিটার এলিপ্টিক্যাল কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে স্যাটেলাইটগুলোকে। সেগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। সেন্সরের ব্যর্থতা ধরতে না পেরে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্যই এই কক্ষচ্যুতি ঘটেছে।
ইসরোর এই ক্ষুদ্রতম রকেট বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলটি লম্বায় (এসএসএলভি) ৩৪ মিটার। এর ভেহিকেল ডায়ামিটারের দৈর্ঘ্য ২ মিটারের বেশি নয়।
ইসরোর সাবেক প্রধান ড. মাধবন নায়ার মিশনটিকে বেশ জটিল বলেই দাবি করেছিলেন। খুব অল্প সময়ে রকেটটি বানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। উৎক্ষেপণের তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গিয়ে সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়।
মন্তব্য