লাসভেগাসে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সম্মেলন সিইএসে আমরা আছি। তবে ২০২২ সাল নয়, কনফারেন্সটি ২০৩০-এর কোনো একদিনের। একটি বড় স্মার্টফোন কোম্পানির নতুন স্মার্টফোনের উন্মোচন দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্চে আসলেন এবং নতুন ফোন ‘নয়রো’-এর ঘোষণা দিলেন। প্রতি সেকেন্ডে নয়রো মোবাইল কুইন্টিলিয়ন অপারেশন সম্পন্ন করতে পারে, যা ২০২০ সালের স্মার্টফোনের তুলনায় হাজারগুণ। এর ব্যাটারির চার্জও থাকে ১০ দিন।
একজন সাংবাদিক সিইওকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘কোন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে একটি মোবাইল ফোন এত ভালো পারফরম্যান্স দিচ্ছে?’
তখন সিইও উত্তর দেন, 'আমরা ল্যাবে তৈরি মানব নিউরন ব্যবহার করে একটি জৈবিক কম্পিউটার চিপ তৈরি করেছি। এই জৈবিক চিপগুলো সিলিকন চিপের থেকে ভালো। কারণ তারা ব্যবহারকারীর ব্যবহারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে পারবে।
অপর একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কম্পিউটার চিপে মানুষের মস্তিষ্কের উপাদান ব্যবহার করায় কি কোনো নৈতিক উদ্বেগ নেই?’
আসলে ওপরে আমরা যে ঘটনাটি পড়লাম, তার দৃশ্যকল্প পুরোই কাল্পনিক। কিন্তু এই প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের আজ হোক বা কাল হোক, হতে হবে।
কারণ ২০২১ সালেই ডিসেম্বরে মেলবোর্নভিত্তিক কর্টিকাল ল্যাব নিউরনের (মস্তিষ্কের কোষ) কৃত্রিম উপায়ে বৃদ্ধি করে একটি কম্পিউটার চিপের সঙ্গে সফলতার সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ফলস্বরূপ তারা একটি হাইব্রিড চিপ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে কারণ সিলিকন ও নিউরন একই ভাষা বোঝে, আর তা হলো বিদ্যুৎ।
সিলিকন কম্পিউটারে বৈদ্যুতিক সংকেত ধাতব তারের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে বিভিন্ন উপাদানকে একত্রিত করে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলো সিন্যাপ্সের (স্নায়ুকোষের সংযোগস্থল) মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
কর্টিকাল ল্যাবসের ডিশব্রেইন সিস্টেমে এই নিউরনগুলো সিলিকন চিপগুলোতেই জন্মায় এবং এরা সিস্টেমের মধ্যে তারের মতো কাজ করে বিভিন্ন উপাদানকে যুক্ত করে।
এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হলো যে নিউরনগুলো তাদের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে, প্রয়োজনে সংখ্যায় বাড়তে পারে, প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে, এমনকি সিস্টেমের প্রয়োজনে মারাও যেতে পারে।
ডিশব্রেইন প্রচলিত এআই সিস্টেমের থেকে দ্রুত আর্কেড গেম পং খেলতে ও শিখতে পারে।
এর ডেভেলপাররা বলছেন, এমন কিছুই আগে কখনো ছিল না। এটি সম্পূর্ণ নতুন কিছু। সিলিকন ও নিউরনের সংমিশ্রণ।
প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, আজকের কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেসব জটিল যুক্তি সমাধান করতে পারে না, তাদের হাইব্রিড চিপ সেসব কাজ অনায়াসেই করতে পারবে।
এই ধরনের নিউরন থেকে কম্পিউটার তৈরির আরেকটি স্টার্ট-আপ কোনিকু বলছে যে তাদের প্রযুক্তি কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, সামরিক প্রযুক্তি ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে।
যদিও এই ধরনের কম্পিউটার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সার্কিট থেকে বেরিয়ে এসে এই সিলিকন কম্পিউটারই বিশ্বকে নতুন রূপ দান করেছে। এরপরও প্রাণীর মস্তিষ্কের তুলনায় তা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি বিড়ালের মস্তিষ্ক একটি আইপ্যাডের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি ডেটা সঞ্চয় করতে পারে এবং তথ্য ১০ লক্ষ গুণ দ্রুত ব্যবহার করতে পারে।
মানুষের মস্তিষ্ক শুধু ২০ ওয়াট শক্তি খরচ করে, যা দিয়ে কেবল একটি বাতি জ্বালানো যায়।
অথচ আধুনিক ডেটা স্টোরেজ সেন্টারে একটি মানুষের মস্তিষ্কে থাকা একই পরিমাণ ডেটা সঞ্চয় করতে ৩৪টি কয়লা চালিত প্ল্যান্টের প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যেতে হবে।
কর্টিকাল ল্যাবস বলছে, ইঁদুরের নিউরন সেলের থেকে মানুষের নিউরন সেলযুক্ত চিপ দ্রুত শিখতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে কোনো দাতাকে তার মস্তিষ্কের কোষ দিতে হবে না। স্টেমসেলকেই মস্তিষ্কের নিউরন কোষে পরিণত করা হবে। এখন প্রশ্ন একটাই, স্টেমসেল দাতারা কি জানছেন, শেষমেশ তাদের কোষের স্থান হচ্ছে নিউরাল কম্পিউটারে।
প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে একের পর এক চমক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের জন্য এবার বাজারে এনেছে সিসিটিভি সিস্টেমের বিভিন্ন পণ্য।
‘পিনভিউ’ নামে ওয়ালটনের তৈরি সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যের মধ্যে রয়েছে আইপি ক্যামেরা, এইচডি ক্যামেরা, এনভিআর এবং এক্সভিআর।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে প্রধান অতিথি থেকে সোমবার পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
‘ওয়ালটন পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেম লঞ্চিং সেরিমনি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের সিনিয়র স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও বিএসসিএলের পরিচালক প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী।
এ ছাড়া এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার ও লিয়াকত আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম, মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, যে সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উন্মোচন করা হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে তৈরি। খুব শিগগিরই দেশের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চমানের এই সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যগুলো পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং অন্য অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, পিসিবি, এলিভেটর, ল্যাপটপ-কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রোডাকশন প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন।
তারা এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং দেশীয় হাই-টেক শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি ও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ‘কিপ ইট রিয়েল’ থিম নিয়ে শুরু করেছে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্টিভ্যাল-২০২২। আগামী ২৮ আগস্ট উদযাপন করা হবে রিয়েলমির চতুর্থ গ্লোবাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
তরুণদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প মূল্যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের ফোন নিয়ে আসছে রিয়েলমি। ‘কিপ ইট রিয়েল’ মানসিকতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রিয়েলমি তাদের ফ্যান ও কমিউনিটির প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়ন করাই এই ব্রান্ডের প্রধান লক্ষ্য।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যান্ডটি জানায়, গত চার বছরে তাদের অর্জন বেশ সমৃদ্ধ। রিয়েলমির এই পথচলায় ফ্যানদের আকুণ্ঠ সমর্থন অর্জন করেছে। ফ্যানদের এই সমর্থনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, এ বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে।
আগামী বুধবার রিয়েলমির গ্লোবাল অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট ও কমিউনিটিতে ‘রিয়েল ফ্যান স্টোরি’ শীর্ষক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালু করা হবে। রিয়েলমি বাংলাদেশও এই গ্লোবাল ক্যাম্পেইনের অংশ এবং তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
২৮ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলাকালীন ক্রেতা ও রিয়েলমি ফ্যানরা অফলাইন ও অনলাইনে দুর্দান্ত সব অফার উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েলমি ট্রেন্ডি ডিজাইন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারে ডিজাইন লিডার হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন রিয়েলমির ডিজাইন মাস্টার স্মার্টফোন জিটি মাস্টার এডিশন সকল আউটলেটে পাওয়া যাবে ২০০০ টাকা ছাড়ে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতারা এই সিরিজের ফোনের সাথে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার। এখানেই শেষ নয়, রিয়েলমি ব্র্যান্ড শপ থেকে যে কোনো মডেলের স্মার্টফোন কিনলে ক্রেতাদের জন্য উপহার হিসেবে থাকছে স্পোর্টস ওয়াটার বোতল।
তা ছাড়া দারাজ শপাম্যানিয়া ক্যাম্পেইন (৮-১৪ আগস্ট) থেকে রিয়েলমি সি সিরিজ, নাম্বার সিরিজ, নারজো সিরিজ ও জিটি সিরিজের যে কোনো স্মার্টফোন কিনলেই ক্রেতারা পাবেন ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক কার্ডের ক্ষেত্রে থাকছে ১২ মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ সুদে ইএমআই সুবিধা। অফলাইন ক্যাম্পেইনের মতো অনলাইন থেকেও ক্রেতারা জিটি মাস্টার এডিশন ও ৯ প্রো ৫জি সিরিজের স্মার্টফোন কিনলে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার।
আরও পড়ুন:হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) সম্প্রতি ৬০ জন সদ্য গ্র্যাজুয়েটকে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ার টিমে নিয়োগ দিয়েছে। নতুন উদ্যোমে বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও ক্লাউড সেবা দিতে তারা কাজ করবেন।
তরুণদের জন্য আইসিটি খাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয় হুয়াওয়ে। নিয়োগের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় জুন মাসে এবং প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী এতে অংশ নেন।
হুয়াওয়ে ক্লাউড টিমে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীদের একজন তানসি ইসলাম। তিনি বলেন, 'বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠাতা হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি ইতোমধ্যে কিছু কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি, যার মাধ্যমে আমি এই খাত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা আমাকে ভবিষ্যতে আইসিটি খাত ও দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সহায়তা করবে।'
হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ক্লাউড ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশনের মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্ভাবনী ক্লাউড ও পাওয়ার সল্যুশনস নিয়ে বাংলাদেশের এই লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও ও শিডিউল লাইভ ভিডিওতে পণ্য বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। তবে ফেসবুক লাইভ ও ইভেন্টগুলোতে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু লাইভ ভিডিওর প্লেলিস্টে কোনো পণ্যের ট্যাগ দেয়া যাবে না।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বিজনেস হেল্প সেন্টার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
টিকটকের মতো ছোটো ভিডিওতে জোর দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক বলছে, গ্রাহকদের কাছে পণ্যকে পৌছাতে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিলস ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন এফ-কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম) উদ্যোক্তারা। রিলসে পণ্য ট্যাগ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
ইন্সটাগ্রামে লাইভ শপিং ফিচার চালু থাকবে।
কেউ যদি আগের লাইভ ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে আগের ভিডিওগুলো ডাউনলোডের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম ব্র্যান্ড গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড (মেরামত করা) পণ্যে দেশের বাজার সয়লাবের অভিযোগ তুলেছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা।
এসব পণ্য বিক্রি করে গিগাবাইটের নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। তাই গ্রাহকদের গিগাবাইটের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিসের দেয়া ওয়ারেন্টি দেখে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন আহ্বান জানায় গিগাবাইট।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গিগাবাইট পণ্যের একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের বিতরণ ব্যবসা পরিচালক জাফর আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড পণ্য দেশে আনছেন। সেগুলোতে থাকছে না কোনো ওয়ারেন্টি সেবা, বিক্রি হচ্ছে গাগাবাইটের নামেই। ফলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা, কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এটি দেশের ক্রেতাদের জন্য হুমকি। তাই নকল গিগাবাইট পণ্য থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই স্মার্টের স্টিকার ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেখে পণ্য কিনতে হবে।’
গিগাবাইট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান জানান, এখন দেশে আগের মতো গিগাবাইট শুধু গ্রাফিক্স কার্ড ও মাদারবোর্ড আনে না, এর পাশাপাশি মনিটর থেকে শুরু করে অন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটার পণ্যও আনে।
তিনি বলেন, ‘এখন গিগাবাইট বলতে শুধু মাদারবোর্ড আর গ্রাফিক্স কার্ড নয়, আরও অনেক কিছু বোঝেন ক্রেতারা। ফলে এসব পণ্য যখন অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশে আনছেন তখন শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। এসব নকল ও রিফারবিশড পণ্য সম্পর্কে আমরা বিষয়টি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে (বিসিএস) জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেব।’
তিনি জানান, এখন দেগশে গিগাবাইটের মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াও বর্তমানে গিগাবাইট ব্রান্ডের ল্যাপটপ, মনিটর, র্যাম, এসএসডি, কেসিং, পাওয়ার সাপ্লাই, কুলার, মাউস, কি-বোর্ডও পাওয়া যাচ্ছে দেশের বাজারে।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন সিরিজের মাদারবোর্ড আনার ঘোষণাও দেয় গিগাবাইট। ইন্টেলের নতুন প্রজন্মের প্রসেসরগুলোর কার্যকারিতা সঠিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ দিতে তাই দেশে গিগাবাইট তাদের ইন্টেল ৬০০ সিরিজের মাদারবোর্ডের বায়োস হালনাগাদ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্মার্ট টেকনোলজিসের চ্যানেল সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আলবেরুনী সুজনসহ অন্যরা।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) একটি নতুন রকেট (এসএসএলভি) উৎক্ষেপণ করেছে। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে রোববার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে অভিযানটি সফল হয়নি।
উৎক্ষেপণের ৬ ঘণ্টা পরই ইসরো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে ‘এসএসএলভি-ডি ১’ তাদের বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করায় উপগ্রহগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয়।
‘ইওএস ০২’ এবং ‘আজাদীস্যাট’ স্যাটেলাইটগুলোও এই ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলে পাঠানো হয়েছিল। সফল উৎক্ষেপণ শেষে উভয় উপগ্রহকে তাদের নির্ধারিত কক্ষপথে আনার পর রকেটটি আলাদা হয়ে যায়। এরপর মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোতে উপগ্রহ থেকে তথ্য পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রাথমিক পর্বে ইসরো প্রধান এস. সোমনাথ বলেন, ‘মিশন কন্ট্রোল সেন্টার ইসরো ক্রমাগত ডেটা লিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করছে। লিংক স্থাপিত হলেই আমরা জানাব।’
স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৭৫০ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রী দ্বারা ‘আজাদিস্যাট’ তৈরি করা হয়েছে। শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ‘এসএসএলভি ডি ১’ উৎক্ষেপণের সময় স্যাটেলাইটটির নকশা করা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার বিকেল ৩টার দিকে ইসরো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, এই মিশনের যে লক্ষ্য ছিল তা আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। একাধিক টুইট করে এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
‘এসএসএলভি-ডি ১’ রকেটটি ৩৫৬ কিলোমিটার সার্কুলার কক্ষপথের পরিবর্তে ৩৫৬ কিলোমিটার x ৭৬ কিলোমিটার এলিপ্টিক্যাল কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে স্যাটেলাইটগুলোকে। সেগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। সেন্সরের ব্যর্থতা ধরতে না পেরে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্যই এই কক্ষচ্যুতি ঘটেছে।
ইসরোর এই ক্ষুদ্রতম রকেট বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলটি লম্বায় (এসএসএলভি) ৩৪ মিটার। এর ভেহিকেল ডায়ামিটারের দৈর্ঘ্য ২ মিটারের বেশি নয়।
ইসরোর সাবেক প্রধান ড. মাধবন নায়ার মিশনটিকে বেশ জটিল বলেই দাবি করেছিলেন। খুব অল্প সময়ে রকেটটি বানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। উৎক্ষেপণের তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গিয়ে সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়।
এনার্জি ম্যানেজমেন্ট এবং অটোমেশন ট্রান্সফরমেশনের গ্লোবাল লিডার স্নাইডার ইলেকট্রিক দেশের শীর্ষ ১০০ গ্রাহককে নিয়ে ঢাকায় সফলভাবে ‘ইনোভেশন ডে’ আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী, ডাটা সেন্টার প্রফেশনালস, সরকারি কর্মকর্তা এবং চ্যানেল পার্টনারদের নিয়ে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর বাজার ধরতে সর্বশেষ পণ্য, বিভিন্ন সল্যুশন্সের এবং সফটওয়্যার প্রদর্শন করে, যা ব্যবসা ও শিল্প খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে স্নাইডার ইলেকট্রিক জানায়, ইনোভেশন ডে ইভেন্টের লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের জন্য একটি সহযোগী প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসা। সেই সঙ্গে এই শিল্পের একটি টেকসই প্রবৃদ্ধি আনার জন্য সাম্প্রতিক প্রযুক্তির ট্রেন্ডসগুলো উপস্থাপন করা।
শীর্ষ ১০০ গ্রাহক এবং একটি সফল আয়োজন করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্নাইডার ইলেকট্রিক বৃহত্তর ভারতের চ্যানেল সেলস, সিকিউর পাওয়ারের ডিরেক্টর স্বরূপ দাস বলেন, ‘স্নাইডার ইলেকট্রিক বাংলাদেশে আগামীতে একটি টেকসই ও দক্ষ বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা দেখছে। আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে এটি বাংলাদেশে আমাদের অংশীজনদের ব্যবসার টেকসই সম্প্রসারণ এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে। আমরা আমাদের গ্রাহক ও ক্রেতাদের বিশ্বমানের পণ্য ও পরিষেবা তুলে দিতে পারব বলেই প্রত্যাশা করছি।’
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্নাইডার ইলেকট্রিক উন্মোচন করেছে ইনোভেশন হাব, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ সব পণ্য, সল্যুশনস, ডেমো এবং সফটওয়্যার প্রদর্শন করবে। সেখানে দেখানো হবে:
মাইক্রো ডাটা সেন্টার: এটি নেটওয়ার্ক প্রান্তে আরও সাশ্রয়ীভাবে মাইক্রো ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে এবং সক্রিয়ভাবে, সহজে ও দ্রততার সঙ্গে কাজ করতে দেবে।
ইকোস্ট্রাকচার আইটি এক্সপার্ট: এটি সুদক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তি বিতরণ এবং স্থানীয় অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে পাওয়ার ও কুলিং সিস্টেম দেখাশোনার জন্য একটি অবকাঠামো ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
দ্য ইজি ইউপিএস থ্রিএস: এটি আপনার ব্যবসাকে টেকসই করতে বিদ্যুৎব্যবস্থা নিশ্চিত করে এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্রমাগত ব্যবসা বৃদ্ধি করবে।
মন্তব্য