× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The signal of alien life is hidden in human eyes
google_news print-icon

মানুষের চোখে লুকিয়ে আছে ভিনগ্রহে প্রাণের সংকেত

বিজ্ঞান
মানব চোখের রড কোষে রয়েছে রোডোপসিন প্রোটিন। ছবি: সংগৃহীত
আদিকোষগুলোর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে রোডোপসিন কিন্তু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। বিভিন্ন প্রাণীতে এর অস্তিত্ব এখনও দেখা যায়। এমনকি আমাদের চোখের রড কোষে রয়েছে রোডোপসিন। এটি কম আলোতে আমাদের দেখতে সহায়তা করে।

প্রাণ বলতে আমাদের প্রচলিত ধারণা একেবারেই আপেক্ষিক। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, এই পৃথিবীরই আদিম পর্যায়ের প্রাণের আক্সিজেন চাহিদা ছিল বলতে গেলে শূন্য। সেই সময়ের প্রাণের নিদর্শন এখনো টিকে আছে আমাদের দেহের ভেতরেই। সেটি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর আদিম পর্যায়, এমনকি মহাবিশ্বের ভিনগ্রহেও প্রাণের অস্তিত্বের সূত্র বের করতে পারছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পৃথিবীতে এখনকার প্রাণীদের শরীরকাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে কোটি কোটি বছর ধরে বদলে যাওয়া পৃথিবীর পরিবেশ। আর এ কারণে ভিনগ্রহে প্রাণের বিবর্তনটি হতে পারে একেবারেই আলাদা, সেখানকার পরিবেশ উপযোগী। ভিনগ্রহে প্রাণ বা এলিয়েন কেমন হতে পারে তার সূত্র লুকিয়ে আছে মানুষেরই চোখের ভেতরে।

অন্য গ্রহের প্রাণের সাধারণ নিদর্শন বা আদিকোষগুলো কেমন হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করেছে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইড (ইউসি রিভারসাইড) এই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট ইউনিভার্স টুডে। সেটি অবলম্বনে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার

পৃথিবীতে প্রাথমিক জীবনের নিদর্শন ছিল এখনকার চেয়ে একেবারে আলাদা। এরপর কয়েক শ কোটি বছর আগে গ্রেট অক্সিজেনেশন ইভেন্ট (জিওই) আমাদের গ্রহটির বৈশিষ্ট্য একেবারেই বদলে দেয়। ওই ঘটনার ফলে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল ও জটিল প্রাণসহ একটি গ্রহে পরিণত হয় পৃথিবী।

জিওইর আগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অনেক আলাদা ছিল, যা তখনকার প্রাণ ও প্রাণের সক্রিয়তাকে পরিচালিত করেছে। শুরুর দিকের পৃথিবীর প্রাণের নিদর্শন বা আদিকোষগুলো কম শক্তির পরিবেশে বাস করত, যেখানে অক্সিজেনের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।

সূর্যের রশ্মিই ছিল শক্তির একমাত্র উৎস এবং সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে বিবর্তিত হওয়ার আগে অণুজীব বা আদিকোষে সূর্যালোককে অন্যভাবে ব্যবহার করত।

রোডোপসিন নামের এক ধরনের প্রোটিন ব্যবহার করা হতো সৌরশক্তিকে ব্যবহারের জন্য। সালোকসংশ্লেষণের মতো একটি জটিল প্রক্রিয়ার চেয়ে এই প্রোটিন ব্যবহার করার পদ্ধতি ছিল অনেক সহজ।

এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক রিভিউ জার্নাল মলেকিউলার বায়োলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনে প্রকাশিত ‘আর্লিয়েস্ট ফোটিক জোন নিশেজ প্রোবড বাই অ্যানসেস্ট্রাল মাইক্রলোবিয়াল রোডোপসিনস’ শীর্ষক এ গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট বেতুল কাচার। দলের অন্যতম গবেষক ইউসি রিভারসাইডের অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট এডওয়ার্ড শোয়েইটারম্যান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘পৃথিবীর শুরুর দিকে, শক্তি খুব কম ছিল। ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় জটিল জৈবঅণু ছাড়াই কীভাবে সালোকসংশ্লেষণ করা যায় তা খুঁজে বের করেছিল।’

আদিকোষগুলোর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে রোডোপসিন কিন্তু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। বিভিন্ন প্রাণীতে এর অস্তিত্ব এখনও দেখা যায়। এমনকি আমাদের চোখের রড কোষে রয়েছে রোডোপসিন। এটি কম আলোতে আমাদের দেখতে সহায়তা করে।

এ ছাড়া এই প্রোটিন এখনও লবণাক্ত হ্রদে আদিপ্রাণ বা এককোষী প্রাণীতে উপস্থিত। আধুনিক পৃথিবীতে এসব প্রাণের উপস্থিতি রোডোপসিনের বিবর্তনীয় ঐতিহাসিক সংযোগ আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।

গবেষকরা মেশিন লার্নিং ও প্রোটিন সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে সেই সংযোগটি খুঁজেছেন। তারা বলছেন, পৃথিবীর বর্তমান জীব ও বায়ুমণ্ডল দেখে অন্য গ্রহে জীবনের ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের বর্তমান বায়ুমণ্ডল অক্সিজেন-সমৃদ্ধ, তবে কিছু গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রথম দিকের বায়ুমণ্ডল বর্তমান কালের শুক্র গঘের মতো হতে পারে।

রোডোপসিন কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে সেটি পর্যালোচনা করে গবেষকেরা প্রোটিনটির একটি ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে ২৫০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগের রোডোপসিন পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়েছে।

যেসব গ্রহ বা গ্রহের চাঁদে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল আছে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট কিছু অণু জৈব-মার্কার হতে পারে, তবে সহজ ও আদি প্রাণকে জানতে আমাদের বিশদভাবে সৃষ্টির সময়কার পৃথিবীর প্রাথমিক বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বেতুল কাচার বলেন, ‘প্রাণকে আমরা এখন যেভাবে দেখি সেটি আসলে আমাদের গ্রহের বর্তমান অবস্থারই একটি প্রকাশভঙ্গি। আমরা একটি অণুর প্রাচীন ডিএনএ ক্রমকে পুনরুত্থিত করেছি। এটি আমাদেরকে অতীতের জীববিজ্ঞান ও এর পরিবেশের সঙ্গে সংযোগ খোঁজায় সহায়তা করেছে।’

এ দলের গবেষণা বর্তমানে প্রচলিত জিনগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমান্তরাল। বর্তমানে ডিএনএ থেকে আমরা কোথা থেকে এসেছি সে সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। তবে দলের মূল কাজটি এর চেয়ে অনেকটাই জটিল।

শোয়েইটারম্যান বলেন, ‘বিষয়টা অনেকটা এমন যে, নাতি-নাতনির ডিএনএ থেকে তাদের দাদা-দাদির ডিএনএ তৈরি করা। তবে পার্থক্য হলো, আমরা দাদা-দাদির বদলে বিশ্বজুড়ে কয়েক শ কোটি বছর আগে থাকা ক্ষুদ্র প্রাণ তৈরির চেষ্টা করছি।’

প্রাচীন ও আধুনিক রোডোপসিনের আলোক শোষণের ক্ষমতায় পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। জিনগত পুনর্গঠন বলছে, প্রাচীন রোডোপসিন প্রাথমিকভাবে নীল ও সবুজ আলো শোষণ করত। আর আধুনিক রোডোপসিন নীল, সবুজ, হলুদ ও কমলা আলো শোষণ করে। এই তফাত পর্যালোচনা করে গবেষকেরা প্রাচীন ও আধুনিক পৃথিবীর পরিবেশগত পার্থক্য খুঁজেছেন।

জিওইর আগে পৃথিবীতে কোনো ওজন স্তর ছিল না। এটি সৃষ্টি হয় ২০০ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগে। বায়ুমণ্ডলে মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতি ছাড়া ওজন তৈরি হতে পারে না। আর ওজন স্তর না থাকার মানেই হলো আদিম পৃথিবীর জীবের ওপর অনেক বেশি অতিবেগুনি রশ্মি পড়ত। বর্তমানে পৃথিবীতে আসা ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয় ওজন স্তর।

গবেষকদের মতে, প্রাচীন রোডোপসিনের নীল ও সবুজ আলো শুষে নেয়া এবং হলুদ ও কমলা আলো শুষে না নেয়ার অর্থ হচ্ছে, তখন এই প্রোটিন ব্যবহার করা প্রাণ বা আদিকোষ পানির বেশ খানিকটা গভীরে বাস করত।

পৃথিবীতে জিওইর পর ওজন স্তর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ শুরু করলে রোডোপসিন বিবর্তিত হয়ে আরও বেশি আলো শোষণের প্রক্রিয়া শুরু করে। এ কারণেই আধুনিক রোডোপসিন নীল ও সবুজ আলোর সঙ্গে হলুদ ও কমলা আলো শোষণ করতে সক্ষম।

আধুনিক রোডোপসিন আলো শোষণ করতে পারে, যা সালোকসংশ্লেষণকারী ক্লোরোফিল রঞ্জক করতে পারে না। বিবর্তনের ধারায় আধুনিক রোডোপসিন ও সালোকসংশ্লেষণ বিভিন্ন আলো শোষণ করে একে অপরের পরিপূরক হয়েছে। তবে এরা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ও স্বাধীন প্রক্রিয়ায় কাজ করে।

শোয়েইটারম্যান বলেন, ‘এর থেকে সহবিবর্তনের ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে এক কোষের শুষে নেয়া আলো আরেক কোষ শোষণ করে না। এর কারণ হতে পারে, রোডোপসিন আগে বিবর্তিত হয়েছে এবং সবুজ আলোকে শোষণ করা শুরু করেছে। ক্লোরোফিল পরে এসে বাকি আলো শুষে নেয়া শুরু করে। অথবা ঘটনা এর বিপরীতও হতে পারে।’

পৃথিবীর আদি প্রাণের ধরন ও বৈশিষ্ট্য এর ভূ-স্তরের সঙ্গে জড়িত। গবেষকরা নিয়মিত প্রাচীন শিলাখণ্ড নিয়ে গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করেন, আদি পৃথিবীতে কীভাবে প্রাণের বিকাশ ঘটেছিল ও বিবর্তিত হয়েছিল। তারা সূর্যের আচরণও পর্যবেক্ষণ করেন। তারা পরীক্ষা করেন, শুরু থেকে প্রতিনিয়ত কী পরিমাণ সৌরশক্তি পৃথিবীতে আসছে। এটি অনুসন্ধানে এখন তাদের হাতে নতুন একটি উপায় রয়েছে।

গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রাণীর মধ্যে এনকোড করা তথ্য ভূতাত্ত্বিক ও নাক্ষত্রিক প্রভাব কমিয়ে আমাদের এই গ্রহের বাসযোগ্যতা ধরে রাখার পদ্ধতি সম্পর্কে অভিনব তথ্য প্রদান করতে পারে।’

রোডোপসিনের কাজটা আসলে কী?

আদি প্রাণের ক্ষেত্রে রোডোপসিন এক ধরনের প্রোটন পাম্প হিসেবে কাজ করত। প্রোটিন পাম্প আদি প্রাণের জন্য শক্তি গ্র্যাডিয়েন্ট তৈরি করে। সালোকসংশ্লেষণ থেকে এর ধরন কিছুটা আলাদা। এটি জীবের বেঁচে থাকার জন্য রাসায়নিক শক্তি উত্পাদন করে।

একটি প্রোটন পাম্প ও শক্তি গ্র্যাডিয়েন্ট কোষের ঝিল্লি জুড়ে বৈদ্যুতিক রাসায়নিক সংযোগের পার্থক্য তৈরি করে। এটি একটি ব্যাটারির মতো, কারণ গ্র্যাডিয়েন্ট পরবর্তী ব্যবহারের জন্য শক্তি সংরক্ষণ করে।

গবেষক দলের দাবি, তারা জৈব অণুতে এনকোড করা তথ্য প্রাচীন যুগে টিকে থাকা প্রাণ ও এখনকার জীবাশ্মের আদি প্রাণকে বোঝার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোকে তারা পেলিওসেন্সর নামে অভিহিত করছেন।

গবেষকরা আদি রোডোপসিনকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সিনথেটিক জীববিজ্ঞান কৌশল ব্যবহার করতে চেয়েছেন। তারা দেখতে চেয়েছেন, কীভাবে রোডোপসিন পৃথিবীর প্রাচীন বায়ুমণ্ডল গঠনে সাহায্য করেছে ও কীভাবে তারা দূর গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন করতে পারে।

কাচার বলেন, ‘আমরা আধুনিক জিনোমের মধ্যে থাকা প্রাচীন ডিএনএর পরিবর্তন করেছি। লাখ লাখ বছর আগে তাদের আচরণ অনুযায়ী তাদের পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষাগারে টাইম-ট্র্যাভেল গবেষণার জন্য রোডোপসিন দারুণ সহায়ক।’

পৃথিবীর আদি প্রাণ ও বায়ুমণ্ডলের কিছু প্রমাণ লুকিয়ে আছে, গবেষক দলটির কিছু পদ্ধতি সে প্রমাণ অনুসন্ধানের বাধা দূর করছে।

কাচার বলেন, ‘আমাদের গবেষণা থেকে প্রথমবারের মতো দেখা যাচ্ছে যে, এনজাইমের বৈশিষ্ট্য বিবর্তনশীল পুনর্গঠনের প্রতি সংবেদনশীল, কিন্তু একই ধাঁচ প্রচলিত আণবিক বায়োসিগনেচার সমর্থন করে না।’

প্রাচীন পৃথিবী সম্পর্কে আমরা যত বেশি শিখব, তত বেশি আমরা অন্য বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারব। যদি একাধিক গ্রহে প্রাণের উদ্ভব সমর্থনের পরিবেশ থেকে থাকে তাহলে প্রতিটি গ্রহই সম্ভাব্য প্রাণকে ধারণের জন্য ভিন্ন পথ নিয়েছে। তবে এর জন্য দায়ী রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকবে। পৃথিবীতে জীব ও পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া যেমন রয়েছে, তেমন একটি ক্রিয়া অবশ্যই অন্যান্য গ্রহেও থাকতে হবে।

শোয়েইটারম্যান বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীর তুলনায় প্রাচীন পৃথিবী এক অচেনা গ্রহ। সময়ের সঙ্গে ও ভিন্ন পরিবেশে কীভাবে এখানে আদি প্রাণ পরিবর্তিত হয়েছে সেটা বুঝতে পারলে অন্য গ্রহেও প্রাণের সন্ধান করা সহজ হবে।’

আরও পড়ুন:
চীনের রহস্যজনক এলিয়েন সংকেত এলো কোথা থেকে
পৃথিবীর বাইরে ‘প্রাণের সন্ধানের প্রমাণ’ সম্ভবত চীনের হাতে
স্বাস্থ্য গবেষণায় অবদান: ১০ নারী বিজ্ঞানীকে অনুদান
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি
আপনি নিঃসঙ্গ কি না, জানাবে রক্ত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Transgenders built a mosque on their own initiative in Mymensingh

ময়মনসিংহে নিজ উদ্যোগে মসজিদ বানালেন ট্রান্সজেন্ডাররা

ময়মনসিংহে নিজ উদ্যোগে মসজিদ বানালেন ট্রান্সজেন্ডাররা ময়মনসিংহে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষের তৈরি করা মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
মসজিদটির ইমাম আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘অন্য মানুষের মতো তারাও আল্লাহর সৃষ্টি। কারও সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ধর্মে নেই।’

ময়মনসিংহে মসজিদ বানিয়েছেন স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়। নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর কালীবাড়ী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সরকারি জমিতে তারা টিনশেডের এই মসজিদ গড়ে তুলেছেন।

মসজিদটির নাম দক্ষিণ চর কালীবাড়ী আশ্রয়ণ জামে মসজিদ। চলতি মাসে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। মসজিদটির জন্য বেশ কয়েকজন স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার নিজেদের সময়, শ্রম ও অর্থ দিয়েছেন।

সম্প্রদায়ের নেতা ২৮ বছর বয়সী জয়িতা তনু বলেন, ‘এখন থেকে কেউ ট্রান্সজেন্ডারদের মসজিদে নামাজ পড়ায় বাধা দিতে পারবে না। কেউ আমাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে পারবে না।’

সোনিয়া নামের ৪২ বছর বয়সী আরেকজন বলেন, ‘জীবনে আবার মসজিদে নামাজ পড়তে পারব, সেটি স্বপ্নেও ভাবিনি।’

সোনিয়া ছোটবেলায় কুরআন তেলাওয়াত করতে পছন্দ করতেন এবং ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মক্তবেও যেতেন, কিন্তু সবাই যখন বুঝতে পারেন যে তিনি ট্রান্সজেন্ডার, তখন থেকে তাকে আর মসজিদে ঢুকতে দেয়া হতো না।

সোনিয়া বলেন, ‘মানুষ আমাদের বলত, তোমরা ট্রান্সজেন্ডাররা কেন মসজিদে আসো? তোমাদের ঘরেই নামাজ পড়া উচিত, মসজিদে এসো না।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য ছিল খুবই লজ্জার। তাই আমরা আর মসজিদে যেতাম না।

‘এখন এটি আমাদের মসজিদ। আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।’

স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আবদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘দেশে এমন মসজিদ এই প্রথম। আগেও একটি শহরে মসজিদ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তবে স্থানীয়দের প্রতিবাদে তা আর হয়ে ওঠেনি।’

এ ছাড়াও ট্রান্সজেন্ডারদের উদ্যোগে একটি কবরস্থানও তৈরি করা হয়েছে।

মসজিদটির ইমাম আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘অন্য মানুষের মতো তারাও আল্লাহর সৃষ্টি। কারও সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ধর্মে নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মানুষ। কেউ পুরুষ, কেউ নারী, কিন্তু সবাই মানুষ। কুরআন আল্লাহ সবার জন্যই নাজিল করেছেন। তাই প্রত্যেকেরই প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে। কেউ কাউকে অস্বীকার করতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডারদের এই বিশ্বাস অন্যদের জন্য শিক্ষনীয় হতে পারে। আমি যতদিন হলো এ মসজিদে আছি, তাদের চরিত্র ও কর্ম দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’

মসজিদটিতে ট্রান্সজেন্ডারদের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকেই নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তোফাজ্জল হোসেন নামের ৫৩ বছর বয়সী এক মুসল্লি জানান, ট্রান্সজেন্ডারদের সম্পর্কে তার ভ্রান্ত ধারণা ছিল। তাদের সঙ্গে ওঠা-বসার মাধ্যমে সেটি দূর হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে তারা যখন আমাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন, তখন অনেকে অনেক কথাই বলতেন। কিন্তু আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে, মানুষ যা বলছে তা সঠিক নয়। তারাও অন্য মুসলমানের মতো সৎ জীবনযাপন করেন।’

ভবিষ্যতে এ মসজিদটি আরও বড় করতে চান তনু, যাতে করে আরও বেশি মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।

আরও পড়ুন:
এক আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Son binds father to burial for land in Nilphamari

জমির জন্য বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে

জমির জন্য বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে ছবি: নিউজবাংলা
জমি রেজিস্ট্রি করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

নীলফামারীতে জমির জন্য বাবার মরদেহ দাফন করতে বাধা দিয়েছেন ছেলে। বাবার কবরে শুয়ে কবর দিতে বাধা প্রদান করেন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারিতে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার রাতে মারা যান ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান। জমি রেজিস্ট্রির করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় ছেলে নওশাদ আলী মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।

স্থানীয়রা জানান, সদ্য প্রয়াত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রথম পক্ষের তিন ছেলেকে দেয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ। এক পর্যায়ে কবরে শুয়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দাফন
ফাঁসির মরদেহ দাফনে সমাজপতিদের বাধা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফায়ার ফাইটার রানার বিদায়

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
How a chicken lived for a year and a half without its head

মাথা ছাড়া যেভাবে দেড় বছর বেঁচে ছিল মুরগিটি

মাথা ছাড়া যেভাবে দেড় বছর বেঁচে ছিল মুরগিটি ছবি: বিবিসি ও টাইম
ওলসেন বুঝতে পারেন, মাইক বিখ্যাত হতে যাচ্ছে! মানুষ এটিকে টাকা দিয়ে দেখতে আসবে। ঘটনার পরের ১৮ মাস বিভিন্ন মেলা, কার্নিভ্যাল ও অন্যান্য পাবলিক ইভেন্টে এই মস্তকবিহীন মুরগিটি প্রদর্শন করেন ওলসেন। এগুলো করে বেশ অর্থও কামান তিনি।

সাধারণত মাথা কেটে ফেলার পরও মুরগি ‍কিছুক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তবে ইতিহাসে একবার ঘটেছিল বিরল ঘটনা। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রুইটাতে মাথা ছাড়া ১৮ মাস বেঁচে ছিল একটি মুরগি।

এ ঘটনা সে সময় তোলপাড় তুলেছিল। অনেকে এটিকে অলৌকিক ঘটনা বলেই বিশ্বাস করতেন। তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?

লয়েড ওলসেন নামে এক ব্যক্তি তার পারিবারিক খামারে কাজ করছিলেন। বাজারে নেয়ার জন্য মুরগিটি জবাই করছিলেন তিনি। এর মধ্যে একটি মুরগি আশ্চর্যজনকভাবে মাথা কাটার পরও দৌড়াচ্ছিল।

ওলসেন মুরগিটিকে ধরে একটি বাক্সের মধ্যে রাখেন। তিনি নিজেই এই ঘটনায় কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। বাক্সে রাখা মুরগীটির নাম দেন তিনি ‘মাইক’। আশ্চর্যজনকভাবে পরের দিন সকালেও ওলসেন দেখলেন মুরগিটি বেঁচে আছে।

কীভাবে বেঁচে ছিল?

মুরগির মস্তিষ্কের বেশির ভাগ অংশ মাথা ও চোখের পেছনে থাকে। যখন ওলসেন মাথা কাটার জন্য কোপ দেন তখন মাইকের মাথার সামনের বেশির ভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস, হজম ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের অংশটি অক্ষত রয়ে যায়।

পরবর্তীতে তিনি মুরগিটিকে খাওয়ানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। সেটির খাদ্যনালীতে ড্রপার দিয়ে পানি ও তরল খাবার দিতেন। পাশাপাশি সিরিঞ্জ দিয়ে গলা থেকে শ্লেষ্মা অপসারণ করতেন। এভাবে বেশ সুস্থ সবল শরীর নিয়েই বেঁচে ছিল মাইক।

সে সময় মাইক এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল যে, টাইম ম্যাগাজিনও এটিকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছিল।

এ ঘটনায় ওলসেন বুঝতে পারেন, মাইক বিখ্যাত হতে যাচ্ছে! মানুষ এটিকে টাকা দিয়ে দেখতে আসবে। ঘটনার পরের ১৮ মাস বিভিন্ন মেলা, কার্নিভ্যাল ও অন্যান্য পাবলিক ইভেন্টে এই মস্তকবিহীন মুরগিটি প্রদর্শন করেন ওলসেন। এগুলো করে বেশ অর্থও কামান তিনি।

১৯৪৭ সালের ১৭ মার্চ অ্যারিজোনার ফিনিক্সে প্রদর্শনীর জন্য সফরকালে মাইক মারা যায়। ওলসেন ও তার স্ত্রী ক্লারা তাদের হোটেলের ঘরে মাইকের শ্বাসনালির গড়গড় শব্দে জেগে ওঠেন। মাইককে বাঁচানোর জন্য তারা সিরিঞ্জ খুঁজছিলেন, কিন্তু সিরিঞ্জটি ভুলবশত এটি সাইড শো-তে রেখে এসেছিলেন। ফলে মাইকের গলা থেকে শ্লেষ্মা টেনে বের করা যায়নি। এতে একসময় দম বন্ধ হয়ে মারা যায় মুরগিটি।

এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বহু দশক আগে ঘটলেও, ফ্রুইটারের নাগরিকরা মুরগিটিকে ভুলে যায়নি। এটিকে সেখানকার জনগণ ‘মাইক দ্য হেডলেস চিকেন’ নামে চেনে।

প্রতি বছর ওই শহরে মাইকের স্মরণে একটি উৎসব আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে শত শত মানুষ জমায়েত হয়।

আরও পড়ুন:
এক মুরগির দাম ২ লাখ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
After a day a living worm came out of the prisons stomach

জেলের পেট থেকে এক দিন পর বের হলো জীবন্ত কুঁচিয়া

জেলের পেট থেকে এক দিন পর বের হলো জীবন্ত কুঁচিয়া কোলাজ: নিউজবাংলা
শনিবার দিনের বেলা এ ঘটনা ঘটলেও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কুচিয়াটি এক দিন পর জীবিত অবস্থায় ওই জেলের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করেন।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সম্ররা মুন্ডা নামের এক জেলের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে একটি কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। মাছ ধরার সময় পায়ুপথ দিয়ে কুঁচিয়াটি পেটের ভেতর ঢুকে যায়।

শনিবার দিনের বেলা এ ঘটনা ঘটলেও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কুচিয়াটি এক দিন পর জীবিত অবস্থায় ওই জেলের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করেন।

জানা যায়, উপজেলার মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি জেলে সম্ররা মুন্ডা কুচিয়া মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের মতো শনিবারও (২৩ মার্চ) তিনি মাছ ধরতে যান। এ সময় হঠাৎ কাদায় আটকে গেলে তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া কাদায় পড়ে যায়। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ুপথে কী যেন ঢুকছে। তবে তখন বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দেননি। তিনি বাড়ি ফেরার পর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।

রোববার স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা তার কথা শুনে এক্স-রের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। পরবর্তীতে সম্ররা মুন্ডাকে ওইদিন সন্ধ্যায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে জীবন্ত অবস্থায় কুঁচিয়া মাছটি বের করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় ডাক্তাররাও বিস্মিত।

ওসমানী মেডিক্যালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পেট থেকে জীবিত ২৫ ইঞ্চি লম্বা একটি কুঁচিয়া মাছ বের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The woman brought her child to the market to sell

সন্তানকে বিক্রি করতে বাজারে তুললেন নারী

সন্তানকে বিক্রি করতে বাজারে তুললেন নারী ছবি: সংগৃহীত
ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানসিক ভারসাম্য না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।

পঞ্চগড়ে এক মাস বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রির জন্য বাজারে তুলে এলাকায় চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছেন এক নার।

সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

তবে ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানসিক ভারসাম্য না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী তার কোলে থাকা ১ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুকে আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। দর কষাকষির মাধ্যমে ওই শিশুকে ক্রয় করছেন এক বৃদ্ধ। এক পর্যায়ে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিজ কোলে নেন ওই বৃদ্ধ।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার নিজের সন্তানকে বিক্রির জন্য দাম হাঁকান ওই নারী। এরপর শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন শিশুটিকে ২৫ শ’ টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। বিক্রির বেশ কিছু সময় পর শিশুটিকে আবারও অবশ্য ফেরত নিয়ে নেন ওই নারী।

এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবারে বাজার করার সময় দেখি, ওই মেয়েটি তার সন্তাকে বিক্রি করবে বলছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভাগনির জন্য বাচ্চাটি কিনতে চাই। পরে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এরপর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।’

বিষয়টি জানতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তারপরও বিষয়টি দেখতে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’

আরও পড়ুন:
চতুর্থ কন্যাশিশু বিক্রি করতে গিয়ে বাবা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
The Harry Potter steam train has closed

বন্ধ হয়ে গেল হ্যারি পটারের বাষ্পচালিত ট্রেন

বন্ধ হয়ে গেল হ্যারি পটারের বাষ্পচালিত ট্রেন ছবি: বিবিসি
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় সিরিজ হ্যারি পটারের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা ‘দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’।

স্থানীয়ভাবে ‘দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিস’ নামে পরিচিত এ সেবাটি যুক্তরাজ্যে দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। ট্রেনটি বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এর অপারেটর।

বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যারি পটার সিনেমাখ্যাত এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। বাষ্প ইঞ্জিনের এই ট্রেন এতদিন যাবত বিশেষ ছাড়ের অধীনে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে আসছিল। তবে এখন বাঁধ সেধেছে ট্রেনটির পুরোনো ধাঁচের দরজা।

বর্তমানে এই দরজার অনুমোদন নেই দেশটিতে। তাই ওয়েস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) এই পরিষেবাটি আবারও চালু করতে অনুমোদন লাগবে ইংল্যান্ডের অফিস অফ রেল অ্যান্ড রোডের (ওআরআর)। এই সংস্থা অনুমোদ দিলেই পুনরায় চলতে পারবে দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।

২০০২ সালে জে কে রাউলিংয়ের বিখ্যাত শিশুতোষ সিরিজ হ্যারি পটারের দ্বিতীয় খণ্ড ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’-এ প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল এই বাষ্পচালিত ট্রেন। এরপর এটি আরও কয়েকটি খণ্ডে প্রদর্শিত হয়। মূলত সেখান থেকেই দর্শকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে হাইল্যান্ডসের গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে মালাইগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।

পরিষেবাটি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকে। এ বছরও দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে ট্রেনটি বিশেষ ছাড়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

ডব্লিউসিআরের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস শাটলওয়ার্থ বলেন, ‘পরিষেবাটি স্থগিত হওয়ায় আমরা হতাশ; আমাদের ট্রিপ বুক করা গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

তিনি বলেন, ‘জ্যাকোবাইট পরিষেবাটি হাজার হাজার পর্যটকের আকর্ষণের জায়গা। এটি মালাইগ এবং ফোর্ট উইলিয়ামের স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশপাশি যুক্তরাজ্যের পর্যটন খাতে প্রতি বছর অন্তত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করে। ওআরআর যদি আমাদের আবারও ছাড় না দেয়, তাহলে এতে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
When Ramadan comes businessman Anisur becomes a different person

রমজান এলেই অন্য মানুষ হয়ে যান ব্যবসায়ী আনিসুর

রমজান এলেই অন্য মানুষ হয়ে যান ব্যবসায়ী আনিসুর গত তিন বছর ধরে এভাবে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
ফ্রিতে কেন দিচ্ছেন না?- জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে মানুষ ইফতার করবে নিজের টাকায়- এই অনুভূতিটুকু তাদের হোক। এই ভাবনা থেকেই আমি এইটুকু মূল্য যোগ করেছি। আমার এটা করতে ভাল লাগছে এবং বাকিটা তো উপরে একজন আছেন। তিনি সব জানেন এবং দেখেন।’

ছোট ছোট বাচ্চারা ঘিরে ধরেছে, আছে নানা বয়সের মানুষও। দূর থেকে মনে হবে হয়ত টিসিবির পণ্য সংগ্রহের লাইন। তবে কাছে গিয়ে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। ১০ টাকার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে বসেছে এ আয়োজন। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, দামে ১০ টাকার হলেও সেখানে অন্তত ৭০ টাকা মূল্যমানের ইফতার সামগ্রী রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার অটো পার্টস ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান তিন বছর ধরে এই আয়োজন চালিয়ে আসছেন।

রমজান এলেই অন্য মানুষ হয়ে যান ব্যবসায়ী আনিসুর

ফ্রিতে কেন দিচ্ছেন না?- জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে মানুষ ইফতার করবে নিজের টাকায়- এই অনুভূতিটুকু তাদের হোক। এই ভাবনা থেকেই আমি এইটুকু মূল্য যোগ করেছি। আমার এটা করতে ভাল লাগছে এবং বাকিটা তো উপরে একজন আছেন। তিনি সব জানেন এবং দেখেন।’

আনিসুর রহমানের দুই সন্তান শাহাদাত হোসাইন ও সাজ্জাদ হোসাইন বাবাকে সহয়তা করছিলেন।

তারা জানান, বাবুর্চি দিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। বাবুর্চিও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেন।

বাবার এই কাজ দুই ছেলেরই খুব ভাল লাগে জানিয়ে তারা বলেন, তাই প্রতি বছর এই সময়টার জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটাকে রোজাদারদের সেবা করার একটা সুযোগ হিসেবে দেখছি।

রমজান এলেই অন্য মানুষ হয়ে যান ব্যবসায়ী আনিসুর

আনিস সাহেব জানান, সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে এটার পরিসর বড় করা যাবে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া যাবে।

ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, সে ১০ টাকা দিয়ে পরিপূর্ণ ইফতার সামগ্রী পাচ্ছে। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসে।

পাশের গ্রাম বাইঙ্গাপাড়া থেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিও এখান থেকে ইফতার সংগ্রহ করার কথা জানান।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে আনিস সাহেবের এমন কাজকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন:
‘আমরা রমজানে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করব’
১০ টাকার ইফতার বাজার
ইফতারে ব্যাটারির পানির শরবত পান করে হাসপাতালে চারজন
মিরাজের ১০ টাকার ইফতারি

মন্তব্য

p
উপরে