× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Minister of Science and Technology inspected the construction site of Bangabandhu Novo Theater
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু-নভোথিয়েটার-নির্মাণের-জায়গা-পরিদর্শনে-বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তিমন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের জন্য আমরা জায়গা খুঁজছিলাম। আমরা এখানে যে জায়গাটা দেখলাম তা যথেষ্ট ভালো।’

পদ্মা সেতুর পাড়ে মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার ও ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা পদ্মা সেতুপাড়ের জেলার শিবচরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের জন্য আমরা জায়গা খুঁজছিলাম। আমরা এখানে যে জায়গাটা দেখলাম তা যথেষ্ট ভালো।

‘এখানে এ দুটো প্রজেক্টের ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি তি‌নি নিরাশ করবেন না।’

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা, স্থলবন্দর বেনাপোল, সুন্দরবন, পায়রা বন্দর, ভোমরা বন্দর, পাট, সুস্বাদু ইলিশসহ সবকিছু এখন দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতু হলো আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, মাদারীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আ. লতিফ মোল্লা, মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Hushamuddins concern is a candidate for a boat

সিলেট-৫: আওয়ামী লীগের বিভক্তির সুবিধা পেতে পারেন হুছামুদ্দীন

সিলেট-৫: আওয়ামী লীগের বিভক্তির সুবিধা পেতে পারেন হুছামুদ্দীন হুছামুদ্দীন চৌধুরী, মাসুক উদ্দিন ও আহমদ আল কবির। কোলাজ: নিউজবাংলা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগ ত্রিধারায় বিভক্ত। এসব বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন হাফিজ আহমদ মজুমদার, মাসুক উদ্দিন আহমদ ও আহমদ আল কবির। এ কারণে এবার আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর সুবিধা পেতে পারেন হুছামুদ্দীন।

সিলেট-৫ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।

এদিকে ধর্মভিত্তিক সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এ আসনে হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন তিনি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির। এলাকায় তারও নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে মাসুক উদ্দিনের ভোটে ভাগ বসাতে পারেন আহমদ আল কবিরও।

সিলেট-৫ আসনে এ তিনজন ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন শিকদার ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম।

জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন না হলে এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মূল লড়াই হতে পারে মাসুক উদ্দিন, আহমদ আল কবির ও হুছামুদ্দীনের মধ্যে, তবে আওয়ামী লীগ থেকে হুছামুদ্দীনকে ছাড় দেয়া হলে পাল্টে যাবে এ হিসাব।

মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর বাবা ফুলতলী হুজুর হিসেবে পরিচিত আল্লামা আবদুল লতিফ চৌধুরী। সিলেটজুড়ে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ। আবদুল লতিফ চৌধুরী গড়ে তোলেন ধর্মভিভিত্তিক সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহ। তার মৃত্যুর পর ছেলে হুছামুদ্দীনই এ সংগঠনটি পরিচালনা করছেন।

তিনি ইসলামপন্থি নেতাদের মধ্যে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিলেট-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত জকিগঞ্জে তার বাড়ি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার তার সাক্ষাতের পর এখানে আওয়ামী লীগের ছাড়ের বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে। সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তাকে ডেকে পাঠান বলে জানান মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী।

সাক্ষাতের বিষয়ে হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছর ১২ জানুয়ারি নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি বিশ্বাসবিরোধী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে তা সংশোধন, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়নসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। এবারও সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সিলেট-৫ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের অন্য আসনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।’

সিলেট-৫ আসন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। এ ছাড়া আমাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সবকিছু এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, তবে ছাড়ের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি।’

সিলেট-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পূবালী ব্যাংক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সবেক চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার। বয়সজনিত কারণে এবার প্রার্থী হননি এই আওয়ামী লীগ নেতা, তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার নিজস্ব বলয় রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগ ত্রিধারায় বিভক্ত। এসব বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন হাফিজ আহমদ মজুমদার, মাসুক উদ্দিন আহমদ ও আহমদ আল কবির। এ কারণে এবার আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর সুবিধা পেতে পারেন হুছামুদ্দীন।

এ সূত্র আরও জানায়, জকিগঞ্জে হুছামুদ্দীনের শক্ত অবস্থান থাকলেও কানাইঘাট উপজেলায় তার তেমন ভোট নেই।

ছাড় বা দলে বিভক্তির কথা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়ে এলাকায় পাঠিয়েছেন। জোট বা ছাড়ের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। এ ছাড়া জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে আওয়ামী লীগও ঐক্যবদ্ধ।’

আরও পড়ুন:
৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির
দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ট্রাম্পের
নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্বের প্রলোভন দেখিয়ে ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা
গুলশানে গোপনে বৈঠক করল আওয়ামী লীগ ও জাপা
সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Businessman killed 4 injured in collision between bus and microbus in Gopalganj

মাইক্রোতে বাসের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৪

মাইক্রোতে বাসের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৪ প্রতীকী ছবি
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিপরীত দিক থেকে ঢাকাগামী রাজীব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসটির। এতে ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল নিহত হন, মারাত্মক আহত স্ত্রী ও দুই মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এতে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ চারজন আহত হয়েছে

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ৫৫ বছর ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বরিশালের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকায় ব্যবসায় করেন এবং ওয়ারী হাটখোলা এলাকায় থাকতেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, ‘একটি মাইক্রোবাসে করে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল যাচ্ছিলেন মোস্তফা কামাল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী রাজীব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসটির।

‘এতে ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল নিহত হন এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ চারজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। মারাত্মক আহত স্ত্রী ও দুই মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
লাস ভেগাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ৩
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, এক দিনে নিহত ৪
ফিলিপাইনে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
ট্রাক ও কাভার্ড ভ‍্যানের চাপায় যুবকের মৃত্যু
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত ৩

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
5 killed in collision between two separate buses and two three wheelers in Barisal

বরিশালে পৃথক দুই বাসের সঙ্গে দুই থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ, নিহত ৫

বরিশালে পৃথক দুই বাসের সঙ্গে দুই থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ, নিহত ৫ শেবাচিম হাসপাতালে উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
দুই থানার ওসিরা বলেন, ‘ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত দুই যানবাহন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাস আটক করা হলেও চালকসহ কাউকে আটক করা হয়নি।’

বরিশাল নগরী ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পৃথক দুই যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুটি থ্রি হুইলারের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক এ দুই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অজ্ঞাত এক নারীসহ আরও চারজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুই দুর্ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন নলছিটি ও মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি।

নলছিটিতে দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- থ্রি হুইলারচালক বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী জসিম হাওলাদার, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কাবদেবপুর গ্রামের আজিজ খানের ছেলে ৪০ বছর বয়সী রাজিব খান ও একই উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী সুরভী আক্তার।

বরিশাল নগরীর কলসগ্রাম এলাকায় নিহতরা হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের পানি শাখার কর্মচারী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার ছয় মাইল এলাকার আলতাফ হাওলাদারের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. সেন্টু হাওলাদার ও একই উপজেলার রহমতপুর এলাকার যশোধা জীবন লাল দাসের ছেলে থ্রি হুইলারচালক ৫০ বছর বয়সী মতি লাল দাস।

নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেপারী পরিবহনের একটি বাস কুয়াকাটা যাচ্ছিল। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫ যাত্রী নিয়ে একটি থ্রি হুইলার নগরীর রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিল। নলছিটি উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে থ্রি হুইলারচালক জসিম ও যাত্রী রাজিব নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরভীর মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত দুই যানবাহন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাস আটক করা হলেও চালকসহ কাউকে আটক করা হয়নি।’

মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার এসআই মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাগরিবের আজানের পর বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ব্রিজ থেকে বরিশাল নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনালের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে থ্রি হুইলারটি রওনা দেয়। সেটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কলসগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে চাকলাদার পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে থ্রি হুইলার থেকে ছিটকে পড়ে তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আহত তিনজনের মধ্যে দুজন মারা গেছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর চাকলাদার পরিবহনের চালকসহ বাস আটক করা হয়েছে।’

উভয় দুর্ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুই থানার ওসি।

আরও পড়ুন:
সড়কে ঝরে গেলেন জীবনযুদ্ধে হার না মানা রুবেল
যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু
ধামরাইয়ে ‘সেলফি’ পরিবহনের রেষারেষিতে নিহত ২

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Natos BNP leader died in hospital after being sick in prison

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ‍মৃত্যু হয়েছে এ কে আজাদ সোহেল নামের এক বিএনপি নেতার।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত থেকে তার জামিন নেয়া হয়। কারাগার থেকে সোহেলকে আনতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘সোহেলকে রাজশাহী মেডিক্যালের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।’

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন জানান, বিনা অপরাধে তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে মারা যায় সে।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, ‘এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে স্ট্রোক করে, কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়।’

এ বিষয়ে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিলো কি না, এমন প্রশ্নে জেলার বলেন, ‘প্রতিনিয়তই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেয়া তখন জরুরি মনে হয়নি।’

আরও পড়ুন:
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন
‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভীর নেতৃত্বে রাজশাহীতে বিএনপির ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে এক স্থানে একযোগে তিন বাসে আগুন
বিএনপির মানববন্ধনের অনুমতির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ডিএমপি
মুন্সীগঞ্জে অবরোধের সমর্থনে যুবদল-ছাত্রদলের মিছিল

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Waterlogging in canal filling Farmers in cycle of crop failure

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক জলাবদ্ধতার কারণে পাকার আগেই খেতে নষ্ট হচ্ছে আমন ধান। ছবি: নিউজবাংলা
আগে থেকে থাকা নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রতি বছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। বোরো মৌসুমে তো পানি থাকেই, শুকনো আমন মৌসুমেও ধানখেতে থাকে হাঁটুপানি। আবার বৃষ্টির সময় তলিয়ে যায় বীজতলা। সব মিলিয়ে একটি নালা খনন এখন ওই অঞ্চলের কৃষকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

খেতের পাকা আমন ধান অনেকেই এখনও কেটে ঘরে তুলতে পারেননি; অনেকে আবার কাটেননিও। কিন্তু তার আগেই ভিজে এসব ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুরের ধানচাষিদের কপালে তাই এখন দুশ্চিন্তার ছাপ।

জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ওই অঞ্চলের পাকা আমন ক্ষেত। একদিকে পানিতে পড়েছে ধান, অপরদিকে শ্রমিক সংকট এবং বাড়তি মজুরির চাহিদায় দিশেহারা এ এলাকার কৃষক। হাড়ভাঙা খাটুনি আর ধার-দেনা করে উৎপাদিত ফসল থেকে লাভবান হওয়া তো দূরের কথা, পুঁজি উঠবে কি না- তা নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

আগে থেকে থাকা নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রতি বছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। বোরো মৌসুমে তো পানি থাকেই, শুকনো আমন মৌসুমেও ধানখেতে থাকে হাঁটুপানি। আবার বৃষ্টির সময় তলিয়ে যায় বীজতলা। সব মিলিয়ে একটি নালা খনন এখন ওই অঞ্চলের কৃষকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোনো নালা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণেই পাকা আমন ধান পানিতে পড়েছে।’

কৃষকরা জানান, হাল, সার, বীজ, কীটনাশক থেকে শুরু করে সেচ, নিড়ানি ও ধান কাটা পর্যন্ত যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, ধান ঘরে তুলতে না পারলে সেই খরচ কীভাবে উঠবে তাদের। এদিকে এ বছরের আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টি বা অতি খরার কারণে চাষাবাদের প্রথম পর্যায়ে দফায় দফায় সেচ দিতে গিয়ে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা; কীটনাশকেও খরচ হয়েছ দ্বিগুণ।

তাদের দাবি, শুধু এই আমন মৌসুমেই নয়, আমন-ইরির দুই মৌসুমেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের। জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয় বীজতলাও। এ ছাড়া এ কারণে একদিকে যেমন সঠিক সময়ে ব্যাহত হয় চারা রোপন, অন্যদিকে কোনো কোনো মৌসুমে অপরিপক্ক কাঁচা ধানই কাটতে হয় চাষিদের। এসব ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় নালা খননের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

সরেজমিনে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর (ভেলাকোপা) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাকরিছিড়া নামক সেতুর উত্তরের পাথারের ফসলের মাঠে পানির মধ্যে ধান কাটছেন চাষি-শ্রমিকরা। ওই এলাকার আমন ধানের জমিগুলোতে এখনও প্রায় হাঁটু পরিমাণ পানি। কোনো কোনো জমিতে পানির পরিমাণ হাঁটুর বেশ নিচে হলেও কাদাপানিতে মিশে গেছে ধানগাছ। যেসব জমির ধানগাছ বেশিদিন ধরে পানিতে পড়ে আছে, সেগুলো প্রায় পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষকরা অনেকটা বিরক্ত পরিবেশেই জমির ধান কাটছেন। এ ছাড়া এ ব্রিজের পশ্চিম-উত্তরে এসকেএসইন সংলগ্ন এলাকায় ও ভেলাকোপা ব্রিজের পূর্ব-পশ্চিম পাশের কিছু জমিতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। আটকে থাকা পানি আসলে গেল বর্ষা মৌসুমের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য সাদুল্লাপুর থেকে আসা নালাটি তুলসিঘাট হয়ে পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বোয়ালী ইউনিয়নের আলাই নদীতে গিয়ে সংযুক্ত হয়। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে প্রতিবছরই বড় বন্যা হওয়ার কারণে নালার প্রয়োজন নেই মনে করে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাদের মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে পূর্ব রাধাকৃষ্ণপুর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার নালা (৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অংশ) জমির মালিকরাই ভরাট করে ফেলেন। কিন্তু বর্তমানে বন্যার পানি আর অতিবৃষ্টিতে কয়েকটি ইউনিয়নের পানি সাদুল্লাপুর থেকে আসা নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই এলাকায় এসে পড়ে। আর এই এলাকায় অর্থাৎ ৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড অংশে পানি নিষ্কাশনের কোনো নালা না থাকা আর জমিগুলো তুলনামূলক নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে দেড় শতাধিক ধানচাষিকে।

তবে, ওই এলাকার কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মৃত কাদের মিয়ার বাড়ির সামনের নালা হতে বোয়ালী ইউনিয়নের পূর্ব রাধাকৃষ্ণপুর নালা পর্যন্ত মাত্র ২ থেকে আড়াই কি.মি. নতুন নালা খনন করে উভয় পাশের পুরাতন নালায় সংযোগ স্থাপন করা হলে এই জলাবদ্ধতা থাকবেনা বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। ওই অংশে নালা খনন করা হলে দ্রুক পানি নেমে গিয়ে একদিকে যেমন নিরসন হবে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে তিন ফসলি চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে কৃষক লাভবান হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

ওই গ্রামের গৃহস্থ কৃষক জফের উদ্দিন দুদু বলেন, ‘দ্রুত পানি নেমে যাওয়ার কোনো নালা না থাকায় প্রতি বছরই বিশেষ করে আমন মৌসুমে প্রায় তিন শ’ বিঘা জমির ফসল বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়। এ সময় পানিতে ধান কাটতে কামলা (শ্রমিক) পাওয়া যায় না। গেলেও দ্বিগুণ মজুরি গুনতে হয়। আর এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

বর্গাচাষি মধু মিয়া বলেন, ‘ধার-দেনা করে এক বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। সেই ধান পানিতে পড়েছে। এতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তা-ই উঠবেনা। দুই পাশেই নালা আছে, এখানেও নালা খনন খুবই দরকার।’

একই গ্রামের গৃহস্থ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমন মৌসুমেই নয়, বোরো মৌসুমেও পানির মধ্যে ধান কাটতে হয়। জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয় বীজতলাও। আবার অনেক সময় চারা রোপনের কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে চারা তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।’

জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কৃষকদের তিন ফসলের চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি করতে ওই অংশে নালা খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাস সাবু বলেন, ‘কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে নালা খননে পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওই এলাকায় নালা খনন অপরিহার্য। তাতে কৃষকেরা ক্ষতি থেকে বাঁচবে এবং তিনটি ফসল চাষাবাদ করে তারা লাভবানও হবে।’

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহামুদ আল হাসান মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামনে আমরা আলাই নদী নিয়ে একটা প্রজেক্ট (প্রকল্প) হাতে নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই এলাকায় নালা খননে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Barrister Suman responded to the shock
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন শোকজের জবাব দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটির শোকজের জবাব দিয়েছেন আলোচিত আইনজীবী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে বা একজন প্রার্থী হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ মাত্র দু’সপ্তাহের, কিন্তু এর আগেই একজন ফুটবলার হিসেবে বা ফেসবুকের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে আমি যেখানেই দাঁড়াই, সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়। পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আইনের মানুষ হিসেবে আমার সবসময়ই লক্ষ্য থাকে, যেন কোনো বিধি লঙ্ঘিত না হয়। আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি, এখন বাকিটা আদালতের বিষয়।’

গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির পত্রে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন ব্যারিস্টার সুমন। প্রথমত, এটি একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। ফলে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনকে এই কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ট্রাম্পের
নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্বের প্রলোভন দেখিয়ে ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা
সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনি সভায় এমপি প্রার্থী, গুনতে হলো জরিমানা

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Jabi student killed in road accident 20 students arrested by bus

সড়ক দুর্ঘটনায় জাবি ছাত্র নিহত: ২০ বাস আটক শিক্ষার্থীদের

সড়ক দুর্ঘটনায় জাবি ছাত্র নিহত: ২০ বাস আটক শিক্ষার্থীদের জাবি শিক্ষার্থীদের আটক করা বাস। ছবি: নিউজবাংলা
রুবেলের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসি পাসের পরই ওর বাবা মারা যায়। কলেজ জীবন থেকেই ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। ধামরাই সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছেলেটা সারা জীবন সংগ্রাম করেছে। এখন বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিজের পরিবারের জন্য সে কিছু করার সুযোগ পেল না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

সেলফি পরিবহনের বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের ৪০ ব্যাচের সাবেক এক ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবহনটির ২০টি বাস আটক করেছেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে জাবির ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুপুর ১২টা থেকে বাস আটক শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম রুবেল পারভেজ। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায়।

রুবেল মানিকগঞ্জের ঝিটকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ফারজানা, মেয়ে ফারিহা আর মাকে নিয়ে ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

রুবেলের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে তার বন্ধু ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেলফি পরিবহনের বাস আটক করতে শুরু করেন।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পারভেজকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সেলফি পরিবহনের বাস। এই পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মহাসড়কে চলাচল করে। প্রতিনিয়ত তারা মানুষের তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।

‘আমরা এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে চাই। পরিবহন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে বাসগুলো ছাড়া হবে না।’

নিহত রুবেলের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসি পাসের পরই ওর বাবা মারা যায়। কলেজ জীবন থেকেই ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। ধামরাই সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছেলেটা সারা জীবন সংগ্রাম করেছে।

‘এখন বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিজের পরিবারের জন্য সে কিছু করার সুযোগ পেল না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রনি হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। মালিকপক্ষ যেন নিহত রুবেলের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয় এবং সেলফি পরিবহনের লাইসেন্স বাতিল করে, সে বিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু হাসান বলেন, ‘সেলফি পরিবহনের বাসটি রেখে এর চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
অবরোধের দুপুরে শাহবাগে বাসে আগুন
কুমিল্লায় বাসে আগুন
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন
রাজধানীতে এক স্থানে একযোগে তিন বাসে আগুন
যাত্রী সেজে ইতিহাস পরিবহনের বাসে আগুন, ধারণা পুলিশের

মন্তব্য

p
উপরে