চীনের স্মার্টফোন বাজারে এ বছর নিম্নমুখী ছিল স্মার্টফোন বিক্রির হার। তবে এর মধ্যেই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে কয়েকটি ব্র্যান্ড। ২০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে বছরের প্রথম প্রান্তিকে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভিভো।
সম্প্রতি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিভো তাদের স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টিলিজেন্ট সার্ভিসকে প্রাধান্য দিয়েছে। মার্কেটটিতে ভিভোর এক্স, ভি এবং ওয়াই সিরিজের স্মার্টফোনগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০২১ সালের একই প্রান্তিকে ভিভো শীর্ষস্থানে ছিল। তখন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেট শেয়ার ছিল ২২ শতাংশ।
চলতি বছরের এ তালিকায় ভিভো প্রথম স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অপো, তৃতীয় অ্যাপল, চতুর্থ অনার, পঞ্চম শাওমি, ষষ্ঠ হুয়াওয়ে।
প্রথম প্রান্তিকে ভিভোর এই অবস্থান নিয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সিনিয়র রিসার্চ এনালিস্ট ইভান লেম বলেন, ‘গত বছরেও শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভিভো। ২০২১ সালের শেষের দিকে সে জায়গাটি নিয়ে নেয় অ্যাপল। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকেই শীর্ষস্থান নিয়েছে ভিভো।’
বিশ্বের প্রায় ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ভিভোর বাজার রয়েছে। ক্রেতা রয়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি। স্মার্টফোন গবেষণার জন্য ভিভোর প্রায় ১০টি উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে বলে জানায় ভিভো।
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে এনেছে স্টাইলিশ নারজো ৫০এ প্রাইম হ্যান্ডসেট। ৮.১ মিমি আল্ট্রা স্লিম কেভলার স্পিড টেক্সচার ডিজাইনের ৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লের ফোনটি পাওয়া যাবে শুধু দারাজে।
৫০ মেগাপিক্সেলের ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ক্যামেরার ডিভাইসটি পাওয়া যাবে ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকায়। ফ্ল্যাশ ব্লু ও ফ্ল্যাশ ব্ল্যাক এই দুইটি রঙে পাওয়া যাবে ফোনটি।
এই সেগমেন্টের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে বলে দাবি করেছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম ৪+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা রোববার বেলা ১২টায় বিশেষ অফারে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে দারাজে।
ফোনটি কেনার জন্য দারাজে এই লিঙ্কে যেতে হবে।
৮.১ মিমি আল্ট্রা স্লিম, ১৯২.৫ গ্রাম আল্ট্রা-লাইট বডি এবং কেভলার স্পিড টেক্সচার ডিজাইনের নারজো ৫০এ প্রাইম এই দামের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ডিভাইস বলে জানিয়েছে রিয়েলমি।
৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লের সঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী অক্টা-কোর ১২ ন্যানোমিটার প্রসেসর। ৫০০০ এমএএইচ বিশাল ব্যাটারি, যা টানা ১৭ দশমিক ২ ঘণ্টা ইউটিউবে কনটেন্ট দেখতে পারবেন কিংবা টানা ৮ দশমিক ১ ঘণ্টা গেইমিং করতে পারবেন।
ফোনটির ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে নারজো ৫০এ প্রাইম; তাই দ্রুতই চার্জ করা যাবে।
থাকছে আলট্রা ফাস্ট সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ১ টেরাবাইট পর্যন্ত মেমরি এক্সপানশন সুবিধা।
আরও পড়ুন:ভারতে গত ৩ মাসে ৫৩ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কারণেই এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মেটা-মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ১ মে থেকে ৩১ মের মধ্যে ১৯ লাখ ১০ হাজার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে।
গত এপ্রিলেও ১৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট ও মার্চে ১৮ লাখ ৫ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে।
নিয়ম বিরুদ্ধ কাজের জন্যই এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র।
তিনি জানান, ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের নিগ্রহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখতে ধারাবাহিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা সায়েন্সে বিনিয়োগ করেছি।’
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, অশালীন মেসেজ, ভুয়া খবর, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বার্তা, দেশবিরোধী বার্তা ও ভিডিও আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোর হবে তারা।
বিশেষ করে যে ধরনের বার্তাগুলো অসংখ্যবার ফরোয়ার্ড করা হয়েছে এবং যেই মেসেজগুলোর জন্য গণ-অসন্তোষ তৈরি হতে পারে, সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
আরও পড়ুন:ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সাধারণত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তার মধ্যে র্যানসমওয়্যার এখনও সবচেয়ে উদ্বেগজনক এবং হুমকিস্বরূপ।
২০১৩ সালে প্রথম ক্রিপ্টোলকারের আবির্ভাবের পর থেকে আমরা র্যানসমওয়্যারের একটি নতুন যুগ দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম মেসেজ এবং এক্সপ্লয়িট কিটের মাধ্যমে উদ্দেশমূলকভাবে র্যানসমওয়্যার সমৃদ্ধ এনক্রিপ্টেড ফাইল ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্য হলো, যেকোনো ব্যবহারকারী এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া।
বর্তমানে বড় অথবা ছোট সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের হুমকি বেড়ে চলেছে। তাই প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোতে অ্যাক্সেস না করতে পারা এবং পরে এর জন্য যে মুক্তিপণ দিতে হয়, তা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাকে ব্যাহত করে।
বিশ্বব্যাপী, সোফোসের প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার রিপোর্ট ২০২২’ এ দেখা যায়, ২০২১ সালে বছর জুড়ে শতকরা ৬৬ ভাগের বেশি সংস্থা র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছিল, যা কিনা ২০২০ সালেও ছিল শতকরা ৩৭ ভাগ।
ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে তাদের এনক্রিপ্টেড ডেটা ফিরে পেতে ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৬০ ডলার গড় মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল, এর মধ্যে আবার শতকরা ১১ ভাগ ভুক্তভোগীকে ১ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল।
ভারতে সোফোস ‘দ্য স্টেট অফ র্যানসমওয়্যার রিপোর্ট ২০২২’ প্রকাশ করেছে যা গত বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের র্যানসমওয়্যার এর আক্রমণ সম্পর্কে জানান দেয়।
গত বছর ভারতে ৭৮ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৮ শতাংশ। এইজন্য র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য এবং তা নিচে দেয়া হলো:
নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন
র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ক্ষেত্রে এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান সময় ও আর্থিক সংস্থান বাঁচাতে পারে। এজন্য অফলাইন ও অফসাইটে নিয়মিত ব্যাকআপ এবং আপডেট রাখা জরুরি। এটি আরও নিশ্চিত করবে ডিভাইসটি ভুল হাতে পড়লেও কোনো চিন্তা করতে হবে না।
ফাইল এক্সটেনশন চালু করুন
ডিফল্ট উইন্ডো সেটিংস-এ ফাইল এক্সটেনশন চালু করা থাকে না, ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটি সনাক্ত করতে থাম্বনেইলের ওপর নির্ভর করতে হয়। এক্সটেনশন চালু করা থাকলে যেকোনো ফাইল সনাক্ত করা আরও সহজ হয়, যেগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীকে পাঠানো হয়না, যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট।
অযাচিত অ্যাটাচমেন্ট থেকে সতর্ক থাকুন
র্যানসমওয়্যার আক্রমণকারীদের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কোনো অ্যাটাচম্টে ওপেন করা উচিত নয়। কোনো মেইলের নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মেইলটি ওপেন না করা এবং সন্দেহজনক কনটেন্ট হলে সে সম্পর্কে রিপোর্ট করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অধিকার পর্যবেক্ষণ
আইটি বিভাগের নিশ্চিত করা উচিত যে, তারা ক্রমাগত অ্যাডমিনস্ট্রেটর এবং তাদের অধিকারসমূহ পর্যালোচনা করছে। সেই সঙ্গে কার কাছে সেগুলো রয়েছে এবং যাদের প্রয়োজন নেই তাদের অধিকারগুলো যাতে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া অ্যাডমিনস্ট্রেটর হিসেবে কেউ যেন প্রয়োজনের বেশি লগইন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি কেউ অ্যাডমিন হিসেবে থাকা অবস্থায় অযথা ব্রাউজিং, যেকোনো ফাইল খোলা বা অন্য কাজ যাতে না করে সেবিষয়ে ও লক্ষ্য রাখতে হবে।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দেয়া
যদিও এটি তুচ্ছ শোনাচ্ছে, কিন্তু এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো দুর্বল এবং অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করে। এজন্য সুপারিশ করা হয়, যেকোনো পাসওয়ার্ড যেন কমপক্ষে ১২ অক্ষরের হয়, একই সঙ্গে এটি ক্যাপিটাল, স্মল লেটার, যতিচিহ্ন, সংখ্যা বা কোনো বিশেষ ক্যারেক্টারের মিশ্রণে হওয়া উচিত, যেমন: Ju5t.LiKE#[email protected]। তাহলে যেকেউ সহজে অনুমান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:ভারত সরকারের পক্ষ থেকে টুইটার ইন্ডিয়াকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
২৭ জুন ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে পাঠানো নতুন এক নোটিশে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে ৬ ও ৯ জুন পাঠানো নোটিশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার।
নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারের সব শর্ত মানতে হবে টুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে টুইটারকেই।
ভারত সরকার অভিযোগ করে আসছে, ‘তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৯-এর অধীনে কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেয়ার নোটিশগুলোতে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।’
ভারতের টুইটারের চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারকে উদ্দেশ করে দেয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘যদি টুইটার তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই এর প্রতিক্রিয়া পাবে।’
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী অপরাধমূলক কিংবা অবমাননাকর কোনো কিছু পোস্ট করলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। সেটা টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হতে পারে।
এখন পর্যন্ত ভারতে ব্যবসা পরিচালনা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘মধ্যস্থতাকারী’র সুবিধা পেয়ে এসেছে। বিতর্কিত ও অনৈতিক কোনো পোস্টের দায় সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়েনি।
ভারত সরকার এবার জানিয়ে দিয়েছে, এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে টুইটারের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক অ্যাকাউন্ট ও টুইট ব্লক করতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম হাউস, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কিছু টুইট।
তবে সরকারের নির্দেশনা টুইটারের পক্ষ থেকে মানা হয়েছিল কি না তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:মানসম্মত সেবা দিতে না পারার কথা জানিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
যদিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি দাবি করেছে, তাদের সেবা বিশ্বমানের চেয়ে এগিয়ে। নিষেধাজ্ঞাকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে পরিস্থিতি মূল্যায়নের কথাও জানিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিষয়টির অনুমোদনের পরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠায় বিটিআরসি।
সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘গ্রামীণফোন কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে পারছে না। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপারেটরটি (গ্রামীণফোন) সিম বিক্রি করতে পারবে না।’
মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না বলতে কী বুঝাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাচ্ছি। কল করলে কেটে যায়, ইন্টারনেট সেবাও ধীরগতির।’
এই বিষয়টি নিয়ে কোম্পানিটির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও জানান বিটিআরসি কর্মকর্তা। বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মিটিং করি, ড্রাইভ টেস্ট হয়। কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’
মোবাইল ফোন সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট। কল ড্রপ, ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ করে আসছেন ভোক্তারা। তবে এ নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটররা কিছু বলছেন না।
বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মে পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার।
গ্রামীণের বক্তব্য
যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন অপারেটরটি নিউজবাংলাকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠায়
তারা বলেছে, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম ব্র্যান্ড গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে।’
ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে আমরা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে জানিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরটি বলেম ‘নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিলামেও গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ অনুমোদিত তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছে জানিয়ে সংস্থাটি এও বলেছে, ‘এমতাবস্থায়, অপ্রত্যাশিত এ চিঠি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি। আমরা মনে করি, আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে গঠনমূলক আলোচনাই হবে এ সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।’
আরও পড়ুন:যানবাহনের প্রচলিত অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদকাল ছয় মাস থেকে এক বছর। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চলে পাঁচ থেকে ছয় বছর। এটি যানবাহন চালানোর খরচ কমিয়ে দেয়। পরিবেশও বাঁচায়।
এমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির থ্রি হুইলার বাজারে আনছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ মোটরস’। আগামী জুলাইয়ে উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দেশে এটি হবে প্রথম ইকো থ্রি-হুইলার ট্যাক্সি। এর নাম রাখা হচ্ছে ‘বাঘ’। গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের তেলের বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হবে। শুধু থ্রি-হুইলারই নয়, আগামী তিন বছরে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনও যুক্ত হবে বাঘ মোটরসের বহরে।’
গত মার্চে এ বাহনটিকে চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। উচ্চ নিরাপত্তা ফিচার, কম খরচ ও উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির দাম ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাঘ মোটরস জানিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের থ্রি হুইলারে তেমন গরম অনুভূত হয় না।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘ মোটরস প্রথম কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি নিজস্ব প্যাটেন্ট দিয়ে, নিজস্ব ডিজাইনে নিজস্ব প্রকৌশলে দেশে গাড়ি উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে অন্যরা যেসব গাড়ি উৎপাদন করছে, সেগুলো প্রযুক্তিসহ সব কিছুই অন্য দেশের। এখানে শুধু উৎপাদন হচ্ছে। আর আমাদের পেটেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজস্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পরিবহন শতভাগ পরিবেশবান্ধব, কোনো দূষণ নাই, সৌরশক্তিতে চলে, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়। এমন হাজারটা কারণ আছে, যাতে মানুষ আমাদের এই বাঘ ইকো মোটরসের ইকো ট্যাক্সি ব্যবহার করবে।’
অ্যাসিড ব্যাটারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লিটার অ্যাসিড নির্গত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফলে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন উৎসাহিত করার সময় এসেছে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ইকো থ্রি-হুইলারের ডিজাইন-ড্রইং করে পেটেন্ট করেছি। এটা পৃথিবীর প্রথম সোলার ইকো থ্রি-হুইলার, যেটা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। এটির পারমিশন পেতে আমাদের প্রায় ৩০ মাস সময় লেগেছে।’
এটির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটা সিএনজি অটোরিকশার দাম এখন প্রায় ১৮ লাখ টাকা, সেখানে আমরা একটা ইকো থ্রি-হুইলার ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দিচ্ছি। আমাদের একটা ব্যাটারি ৬ বছর পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় না। প্রচলিত যেসব অ্যাসিড ব্যাটারি আছে, ছয় বছরে সেখানে ১২টি ব্যাটারি প্রয়োজন হয়।’
২০২০ সালের এপ্রিলে বাঘ মোটরস ১১টি যান তৈরি করে। ডুয়াল পাওয়ার-ব্যাটারি এবং সৌরচালিত এ থ্রি-হুইলারে যাত্রীর নিরাপত্তায় বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে। এর একটি হচ্ছে যাত্রীর সিটের সঙ্গে ‘প্যানিক বাটন’ রাখা রয়েছে। এই বাটনে চাপ দিলে গাড়ির গতি মুহূর্তেই ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এরপর ২০ মিনিটের জন্য গাড়িটি অচল হয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সতর্কবার্তাও পাঠাবে। এতে কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সির কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
এতে থাকবে নিরাপত্তা ক্যামেরা, যা একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। সব ধরনের ভিডিও রেকর্ড ও সংরক্ষণ থাকবে সার্ভারে। থাকবে এমবেড করা রিয়াল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা থ্রি-হুইলারের রিয়াল-টাইম অবস্থান দেখাবে। চুরি ঠেকাতে থাকবে আলাদা প্রযুক্তিও।
গাড়িগুলোতে উচ্চমানের ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সাধারণত বাস-কারে ব্যবহৃত হয়।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গাড়ি শতভাগ মেটাল বডির তৈরি। পুরো বডিই মোটরগাড়ির মতো করে তৈরি, যা যাত্রীকে অধিক নিরাপত্তা দেবে। ব্রেক ও লাইট ছাড়া পুরো গাড়ির দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িতে ওয়াইফাই সিস্টেম থাকবে, মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকবে, জিপিএস থাকবে, মনিটর থাকবে।’
২০২৫ সালের পর বিশ্বে কোনো ডিজেলচালিত গাড়ি তৈরি হবে না। ২০৩০ সাল থেকে তৈরি হবে না কোনো অকটেন গাড়িও। সব গাড়িই বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে পরিণত হবে।
নিজস্ব রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি ট্যাক্সি সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে এই ইকো ট্যাক্সি। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কেনা যাবে।
সাধারণ সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার এবং হিউম্যান-হলারের চেয়ে বড় চাকা থাকবে বাঘ ইকো ট্যাক্সিতে। পাশাপাশি অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (এবিএস)-সহ একটি হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেমও থাকবে। গাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল। এতে ব্যবহৃত একটি ৪৮০ ওয়াটের সোলার প্যানেল দিনের বেলায় ৪০ শতাংশ চার্জ হবে ব্যাটারিতে। যার ফলে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার যেতে পারবে গাড়িটি।
প্রতি কিলোমিটারে এটি চলার খরচ হতে পারে ১ দশমিক ৩৩ টাকার মতো। সম্পূর্ণ চার্জে ১৫০০ ওয়াটের গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে চালকের দিনে খরচ হবে ১২০ টাকা। ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেও চিন্তা নেই। ৬০ ভোল্টের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চার্জিং পয়েন্টও বসানো হবে। চার্জিং পোর্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সহ একটি মাইক্রো চিপ ইনস্টল করা থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পোর্টটি খোলা হবে। গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলেই চার্জ শুরু হবে।
আরও পড়ুন:রিয়েলমি স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য এক নাইট ফটোওয়াক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যারা মোবাইলে যেকোনো স্মৃতিময় মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোবাসেন, এই আয়োজন তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ করে দেবে বলে বলছে রিয়েলমি।
প্রতিযোগিতাটি নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে এবং ফটোগ্রাফি বিষয়ে আগ্রহীদের একজন স্বনামধন্য ফটোগ্রাফারের সাথে আলোচনার সুযোগ করে দেবে। আর তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেবেন সেই পেশাদার ফটোগ্রাফার।
এ ক্যাম্পেইনের প্রথম ধাপে, সারা দেশের ফটোগ্রাফি অনুরাগীদের তাদের প্রোফাইল জমা দিতে বলা হয়। বিভিন্ন অনলাইন ফটোগ্রাফি কমিউনিটির জন্যও এটি উন্মুক্ত ছিল। শতাধিক সাবমিশন থেকে, রিয়েলমি ফটোওয়াকের জন্য ১৬ জন ফটোগ্রাফার বাছাই করে।
প্রতিযোগিতাটির ৱতত্ত্বাবধানে ছিলেন স্বনামধন্য ফটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী। তিনি বিবিসি বাজ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, নেচার অ্যান্ড লাইফ-স্টাইল ক্যাটাগরিতে ডিইউপিএস আয়োজিত থার্ড অ্যানুয়াল ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এবং আইআইইউপিই ২০০৮ (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টার ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন) সহ বিভিন্ন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি নির্বাচিত ফটোগ্রাফারদের স্মার্টফোন দিয়ে সেরা শট নেয়ার বিভিন্ন কৌশল ও টিপস দেয়ার জন্য একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করবেন। পরে নির্বাচিত ফটোগ্রাফারদের ফটোগ্রাফি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ফটোওয়াকে নেয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় চার ক্যাটাগরিতে ছবি তুলতে হবে– নেচার অ্যাট নাইট, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি, পোর্ট্রেট অ্যাট নাইট ও ক্রিয়েটিভ অ্যাট নাইট।
অভিজিৎ নন্দীও এসব ক্যাটাগরিতে ছবি তুলবেন। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাব তাদের ছবিতে নতুন ও ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই চার বিভাগের সকল ছবি রিয়েলমির আসন্ন ৯ প্রো সিরিজের স্মার্টফোন দিয়ে তোলা হবে।
মোবাইল ফটোগ্রাফির প্রতি যেসব তরুণদের প্রবল অনুরাগ রয়েছে, এই প্রতিযোগিতা তাদের সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতে এবং রাতের সৌন্দর্য ভিন্নভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য