জনপ্রিয় বিনোদন ও শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক ডিজিটাল সুস্থতার জন্য নতুন দুটি ফিচার উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন ফিচারের মাধ্যমে টিকটক কমিউনিটির ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটিতে তাদের ব্যয় করা সময় সেটিংস থেকে নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
সে সঙ্গে নিতে পারবেন নিয়মিত স্ক্রিন টাইম বিরতি, ফলে এখন টিকটক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনি নিজেই।
নতুন স্ক্রিন টাইম ড্যাশবোর্ডটিতে থাকবে টিকটকের সৃজনশীল কমিউনিটির সব তথ্য, যেখানে ব্যবহারকারী জানতে পারবেন তিনি সেখানে কতটা সময় ব্যয় করছেন, সেই সঙ্গে সারা দিনের ব্যবহারের একটি সারসংক্ষেপও পাবেন। ব্যবহারকারীরা দিনে কতবার অ্যাপ ওপেন করেছেন, দিনে ও রাতে তারা অ্যাপটি কতক্ষণ ব্যবহার করেছেন তার সব তথ্য মিলবে সহজেই।
পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা সাপ্তাহিক ব্যবহারের হিসাবের একটি নোটিফিকেশন পাবেন, সেটি মনিটর করা যাবে মাত্র একটি সেটিংস থেকে। এটি ব্যবহারকারীদের একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর স্ক্রিন থেকে বিরতি নেয়ার জন্য মনে করিয়ে দেবে, যেটি তারা সেট করে নিতে পারবেন তাদের পছন্দ ও সুবিধামতো।
এ ছাড়া টিকটক কমিউনিটির তরুণদের সদস্যদের জন্য সাপ্তাহিক ডিজিটাল সুস্থতার প্রম্পট চালু করছে। যখন ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী কোনো ব্যবহারকারী দিনে ১০০ মিনেটের বেশি অ্যাপটিতে সময় ব্যয় করলে, পরেরবার অ্যাপ ওপেন করার সময় তাদের স্ক্রিন টাইম লিমিট টুল প্রদর্শন করবে।
নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা টিকটকের মূল লক্ষ্য এবং এর পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীকে সর্বোত্তম বিনোদন দেয়া, যাতে করে তারা প্ল্যাটফর্মটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন। এই টুল ব্যবহারকারীদের অ্যাপে ব্যয় করা নিরবচ্ছিন্ন সময়কে সীমাবদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
টিকটক নতুন স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট টুলের কার্যকারিতাকে সমর্থনও করছে এবং তার কমিউনিটির নতুন নির্দেশিকা ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ‘কীভাবে আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে আমার ডিজিটাল সুস্থতার প্রতিফলন করতে পারি?' এই শিরোনামে প্ল্যাটফর্মটির সেফটি সেন্টারে নির্দেশিকাটি পাওয়া যাচ্ছে।
নির্দেশিকাটি টিকটক কমিউনিটিকে উৎসাহিত করে যে তারা কীভাবে অনলাইনে তাদের সময় কাটাতে পারে, তা টিকটকে হোক বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে।
সেই সঙ্গে এটি তাদের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে, যা ব্যবহারকারীদের সাহায্য করতে পারে। এই টুলগুলো ‘টিকটক’-এর ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যময় বৈশ্বিক জনগোষ্ঠীকে আরও প্রসারিত করার আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটি এমন এক প্রচেষ্টার অংশ যা ব্যবহারকারীকে নিজের মতো করে অভিজ্ঞতা তৈরি, তার প্রকাশ এবং উপভোগ করতে দিতে সহায়তা করবে। ডিজিটাল ওয়েলবিং-এর অধীনে গোপনীয়তা এবং সেটিংসে নতুন এই ফিচার পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপোর নতুন স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’।
‘প্রোডাক্ট অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে এ ডিভাইসের সঙ্গে রয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফিকেশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘টপ-রেটেড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং ড্রপ টেস্টে সফলতা দেখিয়েছে।
এ স্মার্টফোনে আছে ‘আইপি৬৯’, ‘আইপি৬৮’ এবং ‘আইপি৬৬’ রেটিংস, যা পানি ও ধুলা থেকে মোবাইলকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়। এ ছাড়া ডিভাইসটির ফাইবার গ্লাস লেদার ডিজাইন যেমন দেখতে দৃষ্টিনন্দন, তেমনই এটি যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশ, যেমন- পানি, উচ্চ-চাপ এবং ধুলাবালি থেকে স্মার্টফোনকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়।
ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ওয়াটারপ্রুফিং এবং মিলিটারি গ্রেডের শক রেজিস্ট্যান্স
অপো জানায়, স্মার্টফোনের টেকসইতা বা স্থায়িত্বে ‘অপো এ৫ প্রো’ নতুন মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছে। এ মোবাইলে আছে, ‘আইপি৬৯’, ‘আইপি৬৮’ এবং ‘আইপি৬৬’ এর তিন লেয়ারের নিরাপত্তা, যা ডিভাইসে পানি প্রবেশ, ধুলো জমা হওয়া এবং ‘হাই প্রেশার স্প্রে’র মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফোনকে নিরাপত্তা দেয়।
অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’র ওয়াটারপ্রুফিং সিস্টেমে আছে সিলিকন রিংস এবং অ্যাডহেসিভ ম্যাটেরিয়াল। এটি সাইড অপেনিং রুদ্ধ করে এবং এয়ার টাইট ব্যারিয়ার তৈরি করে। এ ছাড়া স্মার্টফোনের ডুয়েল-লেয়ার সিলিং সিস্টেম মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সুরক্ষা দেয়। পাশাপাশি মাইক্রোপোরাস ‘পেট সল্যুশন’ পানি থেকে মাইক্রোফোনকে নিরাপদ রাখে।
‘অপো এ৫ প্রো’তে আরও রয়েছে মিলিটারি গ্রেডের শক রেজিস্ট্যান্স। এটি ১৪টি মিলিটারি-স্ট্যান্ডার্ড টেস্টে সফল হয়েছে অর্থ্যাৎ বৈরি পরিবেশেও স্মার্টফোনটি খাপ-খাইয়ে নিতে পারে।
এই ফোনে রয়েছে ডাবল-টেম্পার্ড গ্লাস, যা ১৬০ শতাংশ বেশি ড্রপ প্রটেকশন দিয়ে থাকে। এ ছাড়া অ্যালুমিনিয়াম অ্যালোয় ফ্রেম নিশ্চিত করে অধিকতর স্থায়িত্ব। একই সঙ্গে স্মার্টফোনের বাইনিক কুশনিং ক্যামেরা, মোটর এবং ব্যাটারিসহ অন্যান্য উপকরণের সুরক্ষা দেয়।
এআই প্রযুক্তি সংবলিত ফটোগ্রাফি এবং অধিকতর উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা সিস্টেম
অপোর ভাষ্য, ‘এ৫ প্রো’ টেকসই ডিজাইনের পাশাপাশি ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ ডিভাইস। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এআই ফিচারগুলো যা কিনা ছবির গুণগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ডিভাইসের ‘এআই ইরেজার ২.০’ ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মুছে ফেলে, ‘এআই রিফ্লেকশন রিমুভার’ প্রতিফলন দূর করে এবং ‘এআই আনব্লার’ ফিচার অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ‘এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার’ ছবির স্বচ্ছতা বাড়িয়ে দেয় এবং ‘এআই স্টুডিও’ ছবিকে সৃজনশীল করতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করে। এ ছাড়া ‘এআই স্মার্ট ইমেজ মেটিং ২.০’ অ্যালবামের ডিজিটাল কনটেন্টগুলো সিঙ্গেল ট্যাপে শেয়ার ও কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়।
‘অপো এ৫ প্রো’তে আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল সক্ষমতার আল্ট্রা ক্লিয়ার মূল ক্যামেরার পাশাপাশি ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এসব সব ক্যামেরা গ্রাহকদের স্বচ্ছ, নিখুঁত, অকৃত্রিম ছবি তুলতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া ডিভাইসটিতে ইন-বিল্ট ইমেজ অ্যালগরিদম ও পোর্ট্রেট মোড রয়েছে। ‘এআই পোট্রেট’ ডিটেইলড ও ব্যালেন্সড ছবি উপহার দেয়।
‘অপো এ৫ প্রো’ আন্ডারওয়াটার ফটোগাফিও সাপোর্ট করে। ফলে ফটোগ্রাফিপ্রেমীরা পানির নিচে প্রাণবন্ত ও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবেন।
‘আউটডোর মোড’
‘অপো এ৫ প্রো’ ঘরের বাইরে পেশাজীবীদের কথা ভেবে বিশেষভাবে ডিজাইন করা। ডিভাইসের ‘আউটডোর মোড’ দ্রুত নেটওয়ার্ক এক্সেসের জন্য নেটওয়ার্ক সেটিংস অপটিমাইজ করে এবং জরুরি কাজের অ্যাপগুলোর জন্য বাড়তি জায়গা বরাদ্দ করে এবং স্ক্রিন টাইমআউট বৃদ্ধি করে।
এ ছাড়া স্মার্টফোনটির ইন্টারফেস ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভসসহ বিভিন্ন গ্লাভসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে প্রতিকূল পরিবেশে নির্বিঘ্নে মোবাইলটি ব্যবহার করা যাবে।
ব্যাটারি সক্ষমতা
এ স্মার্টফোন রয়েছে ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ স্মার্ট চার্জিং সমন্বয়ে ৫ হাজার ৮০০ এমএএইচ সক্ষমতার ব্যাটারি। ফলে ৭৬ মিনিটে ফোনটি পুরোপুরি চার্জ হয়। আগের মডেলের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি ব্যাটারি সক্ষমতা থাকায় এটি ৩৬ ঘণ্টা কল টাইম, ১৭ ঘণ্টা ইউটিউব প্লেব্যাক ও ২৮ ঘণ্টা অডিও প্লেব্যাক নিশ্চিত করে।
ডিভাইসটির মাধ্যমে একবার চার্জেই ৭ দশমিক ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’ গেমিং উপভোগ করা যায়। পাশাপাশি ‘চার বছরের বেশি টেকসই ব্যাটারি’ ফিচার সময়ের পরিক্রমায়ও ৮০ শতাংশের বেশি অরিজিনাল ব্যাটারি সক্ষমতা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
স্টোরেজ
‘অপো এ৫ প্রো’তে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ সক্ষমতা। অপোর র্যাম এক্সপ্যানশন ফিচারের সমন্বয়ে এ সেটআপ র্যামের দ্বিগুণ পারফরম্যান্স ও নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করে। এ ছাড়া অপোর ট্রিনিটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা ‘কালারওএস ১৫ লাইট’ সিস্টেমের স্ট্যাবিলিটি বা দৃঢ়তায় ভূমিকা রাখে।
ডিভাইসটি অপোর ‘৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রটেকশন সার্টিফিকেশন’ পেয়েছে, যা কিনা ৪ বছর পরও ডিভাইসের স্মুথ পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়।
ডিসপ্লের ক্ষেত্রে ১ হাজার নিটের আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে সরাসরি সূর্যের আলোতেও পরিস্কার ভিজ্যুয়াল পেতে সাহায্য করে এবং ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার এবং আল্ট্রা ভলিউম মোড ৩০০ শতাংশের বেশি প্রাণবন্ত অডিও-ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করে।
প্রি-অর্ডার অফার ও মূল্য
‘অপো এ৫ প্রো’ (৮জিবি + ১২৮ জিবি) অলিভ গ্রিন ও মোকা ব্রাউন রঙে পাওয়া যাচ্ছে এবং এটির প্রি-অর্ডার মূল্য ২৩ হাজার ৯৯০ টাকা। যেসব ক্রেতা প্রি-অর্ডার করবেন তারা একটি পোর্টেবল মিনি স্পিকারের সঙ্গে অপো সুপার শিল্ড কার্ড পাবেন, যেটি কি না ২ বছরের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের লিকুইড এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিবিষয়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমরা গ্রাহকদের কাছে অলরাউন্ড ‘অপো এ৫ প্রো’ পৌঁছে দিতে পেরে আনন্দিত। এটি ব্যবহারকারীদের একই সঙ্গে স্থায়িত্ব ও প্রিমিয়াম ফিচার দেবে।
“আমি মনে করি ডিভাইসটি উন্নত প্রযুক্তি ও টেকসইতার সমন্বয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পারফরম্যান্সের একটি নতুন মানদণ্ড দাঁড় করাতে সক্ষম।”
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো। ব্র্যান্ডটির নতুন ডিভাইস ‘অপো এ৫ প্রো’র প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এ তারকাকে সঙ্গে নিয়ে অপো ব্র্যান্ডটির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
অপোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যতিক্রমী ও বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত, যিনি অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে থাকে। ঠিক তেমনই ‘অপো এ৫ প্রো’ও গ্রাহকদের অলরাউন্ড স্থায়িত্ব ও অলরাউন্ড এআই ক্যাপাবিলিটি দেবে। অর্থাৎ জীবনের বহুমুখী ক্ষেত্রে যারা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স চান, ডিভাইসটি তাদের জন্য সর্বোত্তম সঙ্গী।
কোম্পানিটির ভাষ্য, নিজের ব্যক্তিগত স্মার্টফোনের কাছ থেকে যারা সবসময়ই বাড়তি পারফরম্যান্স আশা করেন, ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসটি ঠিক তাদের জন্যই। মিরাজ যেভাবে খেলার মাঠের সর্বত্র অবদান রাখেন, তেমনি ‘অপো এ৫ প্রো’ স্টাইলিশ ডিজাইন ও সর্বত্রই পারফরম্যান্সের স্থায়িত্বের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মন জয় করে নিতে সক্ষম। এই স্মার্টফোনের ওয়াটারপ্রুফিং ফিচার, শক্ত গড়ন, আস্থাযোগ্য পারফরম্যান্স দৈনন্দিন সব পরিবেশের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
অপো জানায়, ডিভাইসটির এআই-সক্ষমতার ক্যামেরা ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আশেপাশের সবকিছুর সঙ্গে খাপখাইয়ে নেয় এবং নিশ্চিত করে যে প্রতিটি শটই হোক নিখুঁত। এই ফোন এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে এটি দ্রুতগতির লাইফস্টাইলের সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
মেহেদী হাসান মিরাজ এ পার্টনারশিপ নিয়ে নিজের আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো এবং তাদের অসাধারণ ডিভাইস ‘এ৫ প্রো’র প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। আমি মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার পারফরম্যান্স এবং মনোবলের সঙ্গে এই ফোনের ভাবনাটা পুরোপুরি মিলে যায়।
“ক্রিকেটে যেমন পারফরম্যান্সের বৈচিত্র্যই মুখ্য, তেমনই ‘এ৫ প্রো’র অলরাউন্ড এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্থায়িত্ব এটিকে নানান প্রয়োজনে ব্যবহার উপযোগী করে আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।”
অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “‘অপো এ৫ প্রো’র প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত। অলরাউন্ডার হিসেবে তার প্রচেষ্টা ও মনোবল, ঠিক যেন ‘অপো এ৫ প্রো’রই স্থায়িত্ব, এআই সক্ষমতাসহ অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সেরই প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি যে, ‘অপো এ৫ প্রো’ পারফরম্যান্স এবং স্টাইলের মিশেলে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে মার্কেটে জায়গা করে নেবে।”
ডিভাইসটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.oppo.com/en/) ভিজিট অথবা অথোরাইজড অপো রিটেইল শপ ঘুরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে নারী কর্মীদের জন্য একটি স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
ঢাকায় হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেনটেটিভ অফিসে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ বিশেষ উদ্যোগ কর্মীদের সুস্থতা ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিলো নারী কর্মীদের ইউরিনারি হেলথের ওপর কাউন্সেলিং প্রদান করা। কাউন্সেলিংয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই), যা নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা।
ইউনাইটেড হসপিটালের চিকিৎসক সরকার কামরুন জাহান ঝিনুক এ সমস্যার ঝুঁকি, লক্ষণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশন জীবনযাপনের কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রচুর পরিমাণে পানি পান, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, আটসাট পোশাক পরিহারের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে ইউটিআই হওয়ার সম্ভাবনা কমানো সম্ভব।’
হুয়াওয়ের এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও এ কর্মশালার সূচনা করেন। হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লিনজিয়াও বলেন, “হুয়াওয়েতে আমরা কর্মদক্ষতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। একজন কর্মী পুরুষ বা নারী যাই হোক না কেন, আমরা তাকে তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মদক্ষতার মানদণ্ড দিয়েই বিচার করি। আমরা দেখেছি যে, পুরুষ এবং নারী উভয়ই দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম। হুয়াওয়ের কর্মীদের সুস্থতার দিকেও আমরা মনোযোগ দিয়ে থাকি।
‘তাই আমাদের কর্মীদের জন্য ওপিডি ও আইপিডি বিমার সুবিধা রয়েছে। আমরা কর্মীদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মশালারও আয়োজন করি। আজকের কর্মশালা নারী কর্মীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’
হুয়াওয়ের ভাষ্য, প্রতিষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে কর্মক্ষেত্রে বায়ু, পানি ও খাবারের গুণমান পরীক্ষা করার মতো উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করে। এ ছাড়া হুয়াওয়ের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিয়ষক নীতি অনুযায়ী নিয়মিত ফায়ার ড্রিলসেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:বিকাশ ও হুয়াওয়ে ডিজিটাল লোন সেবা চালুর স্বীকৃতি হিসেবে জিএসএমএ গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
বার্সেলোনায় আয়োজিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) প্রতিষ্ঠান দুটিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আর্থিক প্রযুক্তি খাতের সেই সব যুগান্তকারী স্বীকৃতি দেওয়া হয় যেগুলো জনসাধারণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার পরিচালনা ও ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে রূপান্তরিত করে।
বিকাশ ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘পে লেটার’ সেবা প্রদানে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে। এ উদ্যোগ ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমেয়াদি ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন খরচের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করেছে।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে বিকাশ বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিয়েছে। তবে এখনও ৩৭ শতাংশ নাগরিক জরুরি প্রয়োজনের জন্য উচ্চ সুদের ঋণদাতাদের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া মাত্র ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে থাকে।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিকাশ হুয়াওয়ের সহযোগিতায় ‘পে লেটার’ সেবা চালু করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে তাৎক্ষণিকভাবে ও কাগজের ব্যবহার ছাড়াই ক্ষুদ্র ঋণ ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়।
এ সেবা বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলের নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদের সাহায্য করেছে। এটি তাদের মূলধন সংগ্রহ ও দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্থানীয় ই-কমার্সকে প্রসারিত করেছে।
বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার (সিপিটিও) মোহাম্মদ আজমল হুদা বলেন, “হুয়াওয়ের মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা ২০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পেমেন্ট সেবা দ্রুত প্রসারিত করার পাশাপাশি ‘পে লেটার’ মাইক্রো ফিন্যান্সিয়াল সেবা চালু করেছি। এই উদ্যোগ লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে ও বাংলাদেশে সর্বজনীন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।”
হুয়াওয়ের সফটওয়্যার বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট মরিস মা বলেন, “বিকাশের সাথে যৌথভাবে
গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। সেবা ও পণ্য উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সক্ষমতাকে বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাব যাতে আমাদের গ্রাহক আরও বেশি ব্যবসায়িক সাফল্য খুঁজে পায় ও সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।”
গত এক দশকে হুয়াওয়ের মোবাইল মানি সল্যুশন ৪০টিরও বেশি দেশে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। এতে রয়েছে বিশেষ ক্লাউড-নেটিভ ডিস্ট্রিবিউটেড আর্কিটেকচার, যা প্ল্যাটফর্মের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ নির্ভরযোগ্যতা ও সীমাহীন সম্প্রসারণ সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন থাকে।
শক্তিশালী ডেটা ও এআই ইঞ্জিনের সাহায্যে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি দ্রুত ও কার্যকরভাবে আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণের পাশাপাশি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এ প্ল্যাটফর্মের উন্মুক্ত অবকাঠামো যেমন নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে বিকশিত করে, তেমন এটি ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও উন্নত আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে।
স্পেনের বার্সেলোনায় ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) অনুষ্ঠিত হয়। হুয়াওয়ে এ ইভেন্টে ফিরা গ্রান ভিয়া হল ১-এ স্ট্যান্ড ওয়ান এইচ ফিফটিতে প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। ২০২৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি-এডভান্সড প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) টেলিকম অপারেটরদের ব্যবসা, অবকাঠামো, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতিকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
একটি বুদ্ধিবৃত্তিক/ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য হুয়াওয়ে বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর ও সহযোগীদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস’ বা এমডব্লিউসি-২০২৫ সম্মেলনে ‘আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
এ ডিভাইসে প্রোটোটাইপ ‘ইন্টারচেঞ্জঅ্যাবল লেন্স সেটআপ’ বা লেন্স বদল করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চমক রয়েছে।
অভিনব এ স্মার্টফোনে থাকবে ‘প্রোপাইটরি লেন্স মাউন্ট সিস্টেম’-এর সঙ্গে যুক্ত ১ ইঞ্চি কাস্টমাইজড সনি সেন্সর, যেটি ব্যবহারকারীদের সরাসরি ডিএসএলআর লেন্সের সঙ্গে স্মার্টফোন যুক্ত করার সুযোগ করে দেবে। এতে থাকবে ৭৩এমএম পোট্রের্ট এবং ২৩৪এমএম টেলিফটো, এ দুটি প্রো-লেভেল লেন্সেস। এ ছাড়া ক্রিমি বোকেহসহ ১০ গুণ জুম ডিভাইসকে দারুণ স্বচ্ছতা দেয়, যা মোবাইল ডিভাইসের জন্য অকল্পনীয়।
এ ছাড়া রিয়েলমি ‘এমডব্লিউসি ২০২৫’ সম্মেলনে তিন বছরের কৌশল পরিকল্পনাও প্রকাশ করা হয়। ‘মিড থেকে হাইএন্ড’ মার্কেটে গুরুত্ব দিয়ে কোম্পানিটি বৈশ্বিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার কথা ভাবছে।
এ প্রসঙ্গে রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিএমও চেজ জু বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির এই নতুন সময়ে, টেকসই অর্জনে আমরা ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী উদ্ভাবনে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনায় শুধু বাজার সম্প্রসারণেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না; বরং প্রযুক্তির জনপ্রিয়তার মাধ্যমে তা তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
‘আমরা প্রযুক্তি খাতে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ ছাড়া এমডব্লিউসি-২০২৫ সম্মেলনে রিয়েলমি ৩টি সিগনেচার প্রোডাক্ট এর গ্লোবাল পজিশনিং ঘোষণা করেছে। এ সবগুলো পণ্যই ব্যবহারকারীদের অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী রিয়েলমি।
জিটি সিরিজ
এটি ‘নেক্সট-লেভেল পারফরম্যান্স ফ্ল্যাগশিপ উইথ এআই’ হিসেবে বিবেচিত। ফোনটি ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে অনন্য গেমিং অভিজ্ঞতা, সর্বাধুনিক এআই টেকনোলজি এবং আল্ট্রা-ক্লিয়ার ইমেজিং, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
নাম্বার সিরিজ
এটি পরিচিচিত ‘নেক্সট-জেন পারফরম্যান্স অ্যান্ড ক্যামেরা’ হিসেবে, যেটি নির্বিঘ্নভাবে শক্তিশালী পারফরম্যান্স, দারুণ ইমেজিং সক্ষমতা, মুগ্ধকর ডিজাইনসহ আকর্ষণীয় প্রযুক্তির সমন্বয়ে তরুণদের প্রতিদিনের কাজ ও গেমিং উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।
‘সি সিরিজ’
এটি ‘বেটার টেক ফর ইয়ুথ’ ভাবনা সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও নির্বিঘ্ন সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা একই দামের মার্কেটের অন্য স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া কঠিন।
তরুণদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জনপ্রিয় করে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা রিয়েলমি স্মার্টফোনগুলোতে এআইয়ের ব্যবহার আরও উপযোগী করার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সীমাহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে চায়।
আরও পড়ুন:বছর ঘুরে আবারও আসছে ঈদ-উল-ফিতর। এ উৎসবকে আরও আনন্দময় করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স নিয়ে এসেছে বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘ঈদের খুশি, ইনফিনিক্সে বেশি’।
এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ইনফিনিক্স দিচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক, সঙ্গে থাকছে নিশ্চিত উপহার ও বিশেষ সারপ্রাইজ জেতার সুযোগ।
ইনফিনিক্সের নির্দিষ্ট মডেলের স্মার্টফোন কিনলে গ্রাহকরা এ অফার পাবেন। ঈদ আনন্দকে আরও রঙিন করতে ইনফিনিক্সের এ বিশেষ ক্যাম্পেইন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত।
ইনফিনিক্সের লক্ষ্য, দেশের মানুষের ঈদ আনন্দ আরও রঙিন করে তোলা এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবনকে আরও সহজ করা। সে লক্ষ্যেই এ ক্যাম্পেইনের ডিজাইন করেছে কোম্পানিটি।
ঈদ সামনে রেখে অনেকেই পুরোনো ফোন বদলে নতুন স্মার্টফোন কেনার পরিকল্পনা করেন। ইনফিনিক্সের বিশেষ অফারের ফলে এবার ঈদে গ্রাহকরা পছন্দের ডিভাইস কেনার পাশাপাশি নিশ্চিত ক্যাশব্যাক ও পুরস্কার জেতার সুযোগ পাবেন।
নোট ৪০এস, হট ৫০ প্রো প্লাস, হট ৫০ প্রো, হট ৫০ আই এবং স্মার্ট ৯ মডেলগুলোর যেকোনো একটি কিনলেই গ্রাহকরা এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারবেন।
নোট ৪০এস মডেলের সঙ্গে ক্রেতারা পাবেন ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জার, আর হট ৫০ প্রো এবং হট ৫০ আই স্মার্টফোনগুলোতে পাবেন বাজেটবান্ধব দামে প্রিমিয়াম ফিচার।
বাজেটের মধ্যে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত হট ৫০ আই এবং স্মার্ট ৯ মডেলও থাকছে এ ক্যাম্পেইনের আওতায়।
ক্যাম্পেইনের আওতায় ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনলে গ্রাহকরা নিশ্চিতভাবে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাবেন। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিজয়ীরা জিততে পারেন নতুন ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিংবা কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য কাপল টিকিট।
অফারে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়াও অত্যন্ত সহজ—ক্রয়কৃত পণ্যের সঙ্গে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মিলবে নিশ্চিত অফারের সুযোগ।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, ঈদ মানেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সময়। তাই শুধু ক্যাশব্যাক অফার নয়, এ ক্যাম্পেইন গ্রাহকদের জন্য আনন্দ, উচ্ছ্বাস এবং স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরির একটি অনন্য উদ্যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইনফিনিক্সের এ বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে ক্রেতারা যেমন নিজেদের জন্য সেরা স্মার্টফোন পেতে পারেন, তেমনি ঈদের উৎসবকে করে তুলতে পারেন আরও উপভোগ্য।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য