হাতে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফি নিয়ে তাতে চুমুক না দিলে হয়তো আপনার দিনই শুরু হয় না। আর এই অভ্যাসটিই কমিয়ে দিতে পারে আপনার মৃত্যুঝুঁকি।
প্রতিদিন কফি পানের অভ্যাস মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যারা পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন কফি পান করেন, আর তাতে সামান্য চিনি মেশান, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি যারা কফি পান করেন না তাদের তুলনায় কম।
দ্য অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। আর এতেই জানা গেছে এমন তথ্য।
যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্ক থেকে সংগৃহীত ডেটার উপর ভিত্তি করে গবেষণাটি করা হয়েছে। ব্রিটেনের মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের একটি ডেটাবেস এটি।
সাত বছর ধরে ৩৭ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ১ লাখ ৭০ হাজার জনেরও বেশি লোকের জীবনধারা এবং খাদ্যতালিকাগত তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা।
আর যারা চিনি ছাড়া কফি পান করেছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ১৬ থেকে ২১ শতাংশ কম ছিল।
যারা প্রতিদিন প্রায় তিন কাপ কফি পান করেছেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে কম ছিল বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
এতে আরও দেখা গেছে, যারা ক্যাফেইন ছাড়া এবং ক্যাফেইনযুক্ত উভয় ধরনের কফিই পান করেছেন তাদের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিল।
তবে যারা কফিতে কৃত্রিম মিষ্টি মিশিয়ে পান করেন তাদের জন্য গবেষণাটি প্রযোজ্য নয়।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং গবেষণাটি যেখানে প্রকাশিত হয়েছে সেই জার্নালের উপ-সম্পাদক ড. ক্রিস্টিনা উই বলেছেন, ‘এটা দারুণ একটা ব্যাপার। খুব কম জিনিসই আছে যা আপনার মৃত্যুহার ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।’
কফি খেলে কেন মৃত্যুঝুঁকি কমে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
এনওয়াইইউ গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এরিক গোল্ডবার্গ বলেছেন, ঠিক কী কারণে মানবদেহের জন্য কফি এত উপকারী তা বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি। তবে তারা ধারণা করছেন, কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কারণে মৃত্যুঝুঁকি কমে।
তিনি বলেন, ‘গরম কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিই সম্ভবত কফি পানের স্বাস্থ্যকর দিক।’
আরও একটি কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেন, ‘কফি পানকারীরা সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করেন। তারা ক্যাফেইনের কম স্বাস্থ্যকর উৎস যেমন- এনার্জি ড্রিংকের পরিবর্তে এক কাপ কফি বেছে নেন।’
গোল্ডবার্গ বলেন, ‘আপনি যদি মাউন্টেন ডিউ বা কোকাকোলা বা এই ধরনের কোনো পানীয় নেন তবে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে। এর বিপরীতে কফি স্বাস্থ্যকর পানীয়।’
ওহিওর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সেন্টার ফর হিউম্যান নিউট্রিশনের নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান বেথ জাওরনি বলেছেন, মানবদেহে অনেক ক্ষতিকর উপাদান আছে, যা কোষের ক্ষতি করে। এসব ক্ষতিকর উপাদান হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কফিতে থাকা উচ্চ পরিমাণের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এসব ক্ষতিকর উপাদান ভেঙে ফেলে। ফলে মানবকোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। তাই ডায়েটিশিয়ানরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয়ের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন:গ্রাহকের প্রতিদিনের লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন সুবিধা। পাশাপাশি, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’, ‘রিকোয়েস্ট মানি’, ‘সেভিংস মার্কেটপ্লেস’ ও ভিসা কার্ড থেকে অ্যাড মানি করতে ‘ডিফল্ট’ কার্ড সেভ করার মতো আকর্ষণীয় সব নতুন ফিচারও যুক্ত হয়েছে ভার্চুয়াল অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় এই অ্যাপে।
বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন
এখন থেকে বারবার পিন বা গোপন নম্বর দিয়ে লগইন না করে বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেও সহজ ও নিরাপদে লগইন করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এতে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকল না, তেমনি বাড়ল বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের লগইন স্ক্রিন অথবা প্রোফাইল থেকে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন।
সেবাটি চালু করতে লগইন স্ক্রিন অথবা গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে বায়োমেট্রিক অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে পিন দিয়ে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার লগইন করতে আর পিন দিতে হবে না। ডিভাইসে সেট করা ‘ফেস আইডি’ অথবা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। প্রয়োজনমতো গ্রাহক আবার অ্যাপের প্রোফাইল থেকে ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ সেবাটি বন্ধও করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপের এই সেবাটি শুধুমাত্র ক্লাস ৩ বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সম্বলিত ডিভাইসে উপভোগ করা যাবে। নতুন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করলে, পিন পরিবর্তন করলে, বিকাশ অ্যাপে পিন লক হয়ে গেলে বা অ্যাপ আন-ইন্সটল করলে সেবাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেবাটি আবার চালু করতে হবে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করার এক বছর পর আবার নতুন করে সেবাটি চালু করে নিতে হবে।
গ্রুপ সেন্ড মানি
এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কয়েকজনকে একসঙ্গে টাকা পাঠাতে পারবেন।
টাকা পাঠাতে প্রথমে অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘সেন্ড মানি’ অপশনে গিয়ে ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এখানে গ্রুপের সদস্য যারা হবেন তাদের নম্বর বা নাম সিলেক্ট করে, গ্রুপের একটি নাম দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর টাকার পরিমাণ লিখে পরবর্তী ধাপে পিন দিয়ে সম্মতি দিলেই গ্রুপের সবার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে।
গ্রুপে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে সবাইকে সমপরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন অথবা কোন সদস্য কত টাকা পাবেন- সেটাও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। একটি গ্রুপে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য রাখা যাবে। একবার গ্রুপ সেন্ড মানি করার কমপক্ষে ১০ মিনিট পর পরের লেনদেনটি করা যাবে।
গ্রাহকরা অ্যাপের সেন্ড মানি অপশন থেকে গ্রুপের নাম ও সদস্যদের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। ইনবক্সে গিয়ে ‘লেনদেনসমূহ’ অথবা বিকাশ মেন্যুর ‘স্টেটমেন্ট’ থেকে কে কত টাকা পেল- সেটা দেখা যাবে।
রিকোয়েস্ট মানি
বিকাশ গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য যে কোনো বিকাশ গ্রাহকের কাছে টাকা চাইতে ইন-অ্যাপ রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
গ্রাহকরা অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘রিকোয়েস্ট মানি’ আইকনে ট্যাপ করে সেন্ড মানি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনকে (ব্যক্তি রিকোয়েস্ট এবং গ্রুপ রিকোয়েস্ট মিলিয়ে) রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা রিকোয়েস্ট করা যাবে। যে কোনো রিকোয়েস্টের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০ টাকা হতে হবে।
রিকোয়েস্ট মানি-এর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবেনা।
সেভিংস মার্কেটপ্লেস
বিকাশ অ্যাপে সেভিংস স্কিম খোলা এবং সহজেই কিস্তি জমা দেয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে এই নতুন সেবার মাধ্যমে।
নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি-এর সেভিংস স্কিম নেয়া গ্রাহকরা তাদের মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির টাকাও সহজে পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া সেভিংসের পরিমাণ, কিস্তি জমা দেয়ার নোটিফিকেশন, মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির তালিকা, সেভিংস ম্যাচিউর হওয়ার সময়সহ আরও বিভিন্ন সুবিধা থাকছে এ সেবায়।
‘ডিফল্ট’ কার্ড সুবিধা
ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে এখন আর বারবার কার্ডের তথ্য দেয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা নিজের পছন্দের ভিসা কার্ডটি ‘ডিফল্ট’ কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে রাখতে পারবেন।
ডিফল্ট কার্ড নির্ধারণ করতে অ্যাপের হোম স্ক্রিনের ‘অ্যাড মানি’ অপশন থেকে ‘কার্ড টু বিকাশ’-এ গিয়ে ‘ভিসা’ সিলেক্ট করতে হবে। পরের ধাপে অ্যাড মানি করার জন্য নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে বা কন্টাক্ট লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে। এরপর কার্ডের তথ্য দিয়ে অ্যাড মানি করার পর কার্ডটি ডিফল্ট কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। তারপর থেকে অ্যাড মানি করার সময় ডিফল্ট কার্ডটি স্ক্রিনের নিচে দেখা যাবে।
গ্রাহক চাইলে অ্যাপ থেকেই কার্ডের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্সের পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংসসহ নানা সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রাহকবান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।
সীমিত বেতনের চাকরিজীবী রাজীব। অফিসে আসা-যাওয়ার জন্য গণপরিবহনই তার ভরসা, তবে পরিবার নিয়ে যাতায়াতের সময় ভিড়ে ঠাসা গণপরিবহনে উঠতে স্বস্তি বোধ করেন না তিনি।
ঢাকার রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়াও সবসময় সহজ নয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পাওয়া গেলেও চালকরা যে ভাড়া হাঁকান, তা অনেক সময় যাত্রীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এমন বাস্তবতায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক সমাধান খুঁজছেন রাজীব।
এ চাকরিজীবীর মতো অনেকেই এমনটি খুঁজছেন। তাদের জন্য সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস।
উবারের ভাষ্য, তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। ঘরে বসেই যেকোনো সময় রাইড বুক করা যায় বলে এ সেবা গ্রহণ সুবিধাজনক।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসটি জানায়, অটোরিকশা সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবারের দুই-তিনজন সদস্য বা বন্ধুকে নিয়ে কম খরচে, আরামদায়কভাবে চলাফেরা করা যায়। আবার রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের ইন-অ্যাপ সব সুবিধাও পাওয়া যায়।
নিরাপত্তাকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সার্ভিস ব্যবহার করলে নিজের ও প্রিয়জনের নিরাপত্তা নিয়ে থাকা যায় নিশ্চিন্ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানানো, সেফটি টুলকিট, হটলাইন, ইন্স্যুরেন্স পলিসিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তার ফিচার এখানে রয়েছে।
আরও পড়ুন:বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসসিপিএলসি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছেন। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।
বিএসসিপিএলসি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো- সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।
বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।
আরও পড়ুন:আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এ স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের।
কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে এখন আছে সর্বজনীন সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস। মাঝারি বাজেটে এ প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন।
ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এ কাজ করতে সক্ষম।
টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে। বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়। মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে।
ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে। পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো
ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। যেমন ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে, এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।
পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে, নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
বিশ্ব ফুটবলের নজরকাড়া লড়াই উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আগামী বছর। পুরুষদের ফুটবলে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে লড়বে ২৪টি দল। ইউরোপের ওই লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে সারাবিশ্ব। আর মর্যাদার ওই লড়াইয়ে অফিসিয়াল পার্টনার ও স্মার্টফোন স্পন্সর হিসেবে থাকছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো।
আগামী বছর ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ভিভোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুটবল ভক্তদের সাথে যোগ দিতে পেরে ভিভো রোমাঞ্চিত। অফিসিয়াল পার্টনার এবং অফিসিয়াল স্মার্টফোন হিসেবে, ভিভো বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে তার অত্যাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে ভিভো উয়েফা-এর সাথে প্রতিটি খেলার পরে "প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ" অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবে।
স্মার্টফোনে ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এরইমধ্যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছে ভিভো। সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা ভিভো ভি২৯ ও ভি২৯ই তে আছে স্মার্ট অরা লাইট প্রযুক্তি। যা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফিতে নিয়ে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও নিখুঁতভাবে আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের ওই আসরের বয়স তখন ছিল ৬০ বছর। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওই আসরে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। মানসম্মত ও আকর্ষনীয় ছবি তুলতে ভিভো সব ধরনের উদ্যোগ নেয়। যাতে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এসব উদ্যোগ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় ফুটবলভক্তদের। ওই আসরে একজন ভক্ত ভিভোর উদ্যোগে সুযোগ পায় ফাইনাল উপভোগ করার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
স্মার্ট ৮ মডেলের নতুন বাজেট স্মার্টফোন বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স।
সাধ্যের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের সব প্রযুক্তিপ্রেমীর সব ধরনের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী করেই স্মার্টফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
বাজেটবান্ধব স্মার্ট ৮-এ আছে ৬.৬ ইঞ্চির ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেলের এইচডি+ ডিসপ্লে। পাশাপাশি ফোনটি ব্যবহারে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে ডিসপ্লেতে আছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০ হার্টজের টাচ সেম্পলিং রেট। প্রসেসর হিসেবে স্মার্ট ৮ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসকের ১.৬ গিগাহার্টজ টি৬০৬ অক্টাকোর প্রসেসর। আর মাল্টিটাস্কিংয়ের সুবিধা দিতে ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।
ছবি তোলার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে স্মার্ট ৮-এর পেছনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। সামনের দিকে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। কম আলোতে ভালো ছবি ধারণ করতে ফোনটির পেছনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রিং এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট।
যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ফোনটিতে ফোরজি ডুয়াল সিম ব্যবহার করা যাবে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও ফোনের সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইস সংযুক্ত করতে ফোনটিতে ব্লুটুথ ৫ ব্যবহার করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৩-এর ওপর ভিত্তি করে চলা ইনফিনিক্সের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এক্সওএস ১৩ আছে স্মার্ট ৮-এ। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফোনটির পাশের দিকে আছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। স্মার্ট ৮-এর ব্যাটারি সক্ষমতা ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার এবং চার্জিংয়ের জন্য সঙ্গে থাকছে ১০ ওয়াটের চার্জার ও উন্নত সংস্করণের সি-পোর্ট।
পছন্দের রঙের ফোন বেছে নেয়ার জন্য টিম্বার ব্ল্যাক, গ্যালাক্সি হোয়াইট, ক্রিস্টাল গ্রিন ও শাইনি গোল্ড রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্ট ৮।
ফোনটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৯ টাকা, তবে অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিসহ ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায় স্মার্ট ৮ পাওয়া যাবে দারাজে। এ ছাড়াও ফোনটির ৪জিবি+৬৪জিবি ভার্সনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায়।
আরও পড়ুন:বিশ্বে বিগত এক লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে ২০২৩ সালের উষ্ণতম বর্ষ হওয়া ‘দৃশ্যত নিশ্চিত’ বলে বুধবার জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিজ্ঞানীরা।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর স্মরণকালের সবচেয়ে উষ্ণ অক্টোবর হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা উল্লিখিত তথ্য জানিয়েছেন।
ইইউর কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) জানায়, অক্টোবরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে যায় গত মাসে। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবর স্মরণকালের উষ্ণতম অক্টোবর ছিল বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
সিথ্রিএসের উপপরিচালক সামান্থা বুরগেস এ বছরের অক্টোবরের তাপমাত্রা ‘অতি চরমভাবাপন্ন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, গত মাসে তাপমাত্রা দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হওয়ার মধ্য দিয়ে আগের রেকর্ড ভেঙে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানবীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে অব্যাহত গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন, চলতি বছরে এল নিনোর প্রভাবে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণায়নের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে।
সিথ্রিএস জানায়, চলতি বছরের অক্টোবরে ভূপৃষ্ঠে বায়ুর তাপমাত্রা ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল নাগাদ একই মাসের তাপমাত্রার চেয়ে এক দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ইইউর সার্ভিসটি জানায়, তাপমাত্রার রেকর্ডভাঙা অক্টোবরের অর্থ হলো ২০২৩ সাল যে স্মরণকালের উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে, তা ‘দৃশ্যত নিশ্চিত’।
মন্তব্য