অনলাইন স্ট্রিমিং কোম্পানি নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে মামলাটি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবস্ক্রাইবারের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে প্রতারণা করেছে নেটফ্লিক্স।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে নেটফ্লিক্স জানায়, মাত্র তিন মাসে দুই লাখ সাবস্ক্রাইবার হারিয়েছে কোম্পানিটি।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ায় সেবা বন্ধ করে দেয় নেটফ্লিক্স; এ কারণে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার হারিয়েছে বলে তারা সেসময় জানায়।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কমে ছিল ২২ কোটি ১৬ লাখ। গ্রাহক সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও কমে নেটফ্লিক্সের। সর্বশেষ তিন মাসে তাদের আয় হয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার; আগের তিন মাসে যা ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন।
সাবস্ক্রাইকবার কমার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিউ ইয়র্কের পুঁজিবাজারে ২৫ শতাংশ দর হারায় নেটফ্লিক্সের শেয়ার।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, সাবস্ক্রাইবার হারানোর বিষয়টি নেটফ্লিক্স প্রকাশ করেনি। এর ফলে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তারা মনে করছেন, সাবস্ক্রাইবারের অ্যাকাউন্ট ভাগ করে নেয়া এবং অন্যান্য স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে পতনের সম্মুখীন হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং পরিষেবাটি।
বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
নেটফ্লিক্স যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস। বিশ্বের অনেক দেশের কনটেন্ট অনলাইনে মুক্তি দেয় তারা। নারকোস, স্কুইড গেম, দ্য উইচার, মানি হাইস্টের মতো জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মুক্তি দিয়েছে তারা।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের জগতে আসে ২০১৩ সালে হাউস অফ কার্ডস মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে। এরপর থেকেই সিনেমা ও টেলিভিশন ধারাবাহিক উভয় তৈরিতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে।
আরও পড়ুন:ওয়াই সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ওয়াই০১ উন্মোচন করেছে ভিভো।
ফোনটিতে রয়েছে ৬ দশমিক ৫১ ইঞ্চির হেলিও ফুলভিউ ডিসপ্লে ও শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। ফোনের ওজন ১৭৮ গ্রাম।
ভিভো ওয়াই০১ ফেইস ওয়েক আনলক ফিচারে চেহারা শনাক্ত করে ফোনটি আনলক করা যাবে।
হেলিও পি৩৫ প্রসেসরের সঙ্গে দেয়া হয়েছে ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি স্টোরেজ।
ওয়াই০১ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
এলিগেন্ট ব্ল্যাক ও স্যাফায়ার ব্লু রঙের স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ভিভো বাংলাদেশের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর ডেভিড লি বলেন, ‘ভিভো সবসময় ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করে। সাশ্রয়ী মুল্যে আকর্ষণীয় ফিচারের অল-রাউন্ডার ডিভাইসগুলোর চাহিদা সব সময়ই বেশি। ওয়াই০১ বাজারে আনার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতাদের জন্য সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত করছি।’
আরও পড়ুন:ছবি ও ভিডিওতে আমরা যেভাবে জোর দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই স্মার্টফোনের ক্যামেরার উন্নয়নে জোর দিয়েছে কোম্পানিগুলো। বেশি মেগাপিক্সেলের, নতুন সব ফিচার দিয়ে ফোনে ক্যামেরা দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো।
অনেক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তাদের ফোনের ক্যামেরা এবং তাতে থাকা ফিচার পেশাদার ফটোগ্রাফারদের কাজ করতেও দিচ্ছে। তাই কদর বাড়ছে এমন ফোনের। বাংলাদেশের বাজারে থাকা এমন কিছু স্মার্টফোন দেখে নেয়া যাক।
রেডমি নোট ১১এস
রেডমি নোট ১১এস ডিভাইসটিতে পাওয়া যাবে ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ফটোগ্রাফি, সঙ্গে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ, যা দিয়ে নেয়া যাবে অবিশ্বাস্য সব শট ও ছবি।
১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরার পাশাপাশি এতে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, যা দেবে ১১৮ ডিগ্রি ভিউ অ্যাঙ্গেল, রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর যা দেবে ন্যাচারাল লুক প্রোর্ট্রেইট এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা, যা দেবে ডিটেইলসহ ক্লোজ ছবি নিতে দেবে। আর সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্লিয়ার অ্যান্ড ক্রিপস সেলফি ক্যামেরা।
রেডমি নোট ১১এস রয়েছে দুর্দান্ত ৬.৪৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে, অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর, ফলে রেডমি নোট ১১এস দেবে স্মুথ পারফরম্যান্স।
দীর্ঘ ব্যাকআপ দেবে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি, সঙ্গে ৩৩ ওয়াটের প্রো চার্জিং। যা ডিভাইসটিকে অল্প সময়ে চার্জ করার পাশাপাশি দেবে দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখার সুবিধা। রেডমি নোট ১১এস ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি ৯
ক্যামেরায় জোর দেয়া হয়েছে রিয়েলমির নতুন ফোন রিয়েলমি ৯ ফোরজিতে। ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। সঙ্গে থাকছে আইসোসেল এইচএম সিক্স সেন্সর। ফলে লো-লাইটেও চমৎকার ও ঝকঝকে ছবি তোলা যাবে ফোনটি দিয়ে।
এর প্রাথমিক ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা। সেলফি তোলার জন্য সামনে দেয়া হয়েছে ২৬ ন্যানোমিটারের ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। রয়েছে এইচডিআর ও প্যানারোমা ফিচার।
রিয়েলমি ৯ ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৯০ হার্টজের সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেসহ পাওয়ার অ্যাফিশিয়েন্ট অত্যাধুনিক ৬ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংসহ ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। যা চার্জ হবে ৭৫ মিনিটে।
৮ জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধার এই ফোনটির দাম ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা।
রেডমি নোট ১০ প্রো
শাওমি ক্যামেরা ফোন হিসেবেই বাজারে এনেছে রেডমি নোট ১০ প্রো। ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেল। একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের সুপার-ম্যাক্রো এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর।
সামনে আছে খুব ছোট পাঞ্চহোলের ১৬ মেগাপিক্সেলের ডিসপ্লে ক্যামেরা। ক্যামেরায় করা যাবে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড। এছাড়া এমআইইউআই ক্যামেরা অ্যাপে পাওয়া যাবে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটরস, নাইট মোড ফিচার ২.০, ভ্লগ মোড, ডুয়াল ভিডিও, প্রো ভিডিও, ম্যাজিক ক্লোন, লং এক্সপোজার মোড।
রেডমি নোট ১০ প্রোতে রয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২জি প্রসেসর। রয়েছে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার সেটআপ, যা উচ্চ, স্পষ্ট সাউন্ড দেবে; রয়েছে ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক, সঙ্গে আইআর ব্লাস্টার।
নিরাপত্তার জন্য সাইডে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সঙ্গে ডাবল-ট্যাপ জেসচার। ৫০২০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোনটি অনায়াশে এক দিনের সাপোর্ট দেবে। ৩৩ ওয়াটের চার্জারে ০ থেকে ৫৯ শতাংশ চার্জ হবে ৩০ মিনিটে। ৬+১২৮জিবি সংস্করণের ফোনটির দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৭৩ ফাইভজি
স্যামসাং তাদের ফাইভজি স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে বাজারে ছেড়েছে গ্যালাক্সি এ৭৩ মডেলের স্মার্টফোনটি। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস ইনফিনিটি-ও সুপার অ্যামোলেড প্লাস ডিসপ্লে। যা দেবে ৮৮০০ নিট ব্রাইটনেস এবং ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট। ডিসপ্লে সুরক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে গরিলা গ্লাস ৫ সুরক্ষা।
স্মার্টফোনটিতে অক্টা-কোর কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি প্রসেসর দেয়া হয়েছে। কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপে দেয়া হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স।
১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের ডেফথ এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর। সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংসহ ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৫০০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রমের গ্যালাক্সি এ৭৩ ফাইভজির দাম ৫৯ হাজার ৪৯৯ টাকা।
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ফোনটি রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডটড্রপ ডিসপ্লে। ফোনের স্ক্রিনের সুরক্ষা দিতে রয়েছে গরিলা গ্লাস ৫।
হাইপারচার্জ ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রো-গ্রেড ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, যা স্বল্প আলোতেও অসাধারণ সব ছবি উপহার দেবে। এর প্রাথমিক ১০৮ মেগাপিক্সেলে ক্যামেরার সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্র-ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা।
এ ছাড়া সব অসাধারণ মুহূর্ত ধরে রাখতে সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় রেকর্ড করা যাবে ফোর-কে, ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ভিডিও।
ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির ৯২০ প্রসেসর। ফাইভজি এক্সপেরিযেন্স দিতে এতে দেয়া হয়েছে ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি, যাতে সাপোর্ট করে ৮টি ব্যান্ড। শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজির ডুয়েল সেমেট্রিক্যাল স্পিকারের সঙ্গে ডলবি অ্যাটমসে দেবে অসাধারণ অডিও অভিজ্ঞতা।
১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ৩৬০ হার্জ টাচ স্যামপ্লিং রেট দেবে অসাধারণ ডিসপ্লে ও দেখার অভিজ্ঞতা। ফোনটির দাম ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৪২ হাজার ৯৯৯ টাকা ।
মটোরোলা এজ ২০ ফিউশন
৬.৭ ইঞ্চির ওএলইডি ডিসপ্লের ফোনটিতে রয়েছে ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন। ডিসপ্লেটির রেশিও ২০:৯। এর ডিসপ্লেতে দেয়া হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট। ডিভাইসটির অন্যতম ফিচারএফ/১.৯ অ্যাপারচারের ওয়াইড ১০৮ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা।
প্রাথমিক এই ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে একটি এফ/২.২ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেলের ১১৮ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের এফ/২.৪ অ্যাপারচারের ডেফথ ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ,এইচডিআর, প্যানারোমা ফিচার।
ফোর-কে ৩০এফপিএসে এতে ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব। সেলফি তুলতে ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের এফ/২.৩ অ্যাপারচারের ক্যামেরা।
ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেকের এমটি৬৮৫৩ ডাইমেনসিটির ৮০০ ইউ ৭ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির অক্টা-কোর প্রসেসর।
৬ ও ৮ জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। দীর্ঘস্থায়ী পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য দেয়া হয়েছে ৫০০০ এমএএইচের ৩০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারি। এই ডিভাইসটির দাম ৩৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আরও পড়ুন:পৃথিবীর নিকট প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে অদূর অভিষ্যতে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। প্রাণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পানি ও অক্সিজেনের কিছুটা উপস্থিতি এই স্বপ্নকে আরও উসকে দিচ্ছে।
ধরা যাক পৃথিবী থেকে কোনো এক নভোযানে চড়ে এই মুহূর্তে আপনি পৌঁছালেন ২২ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার দূরের (গড় দূরত্ব) লাল গ্রহটিতে। এরপর জীবনধারণের জন্য প্রথমেই দরকার হবে পানি, খাবার, আশ্রয় এবং অতি অবশ্যই অক্সিজেন।
পৃথিবীর বাতাসে আমরা যে অক্সিজেন পাই তা মূলত আসে গাছপালা ও বিশেষ ধরনের কিছু ব্যাকটেরিয়া থেকে। তবে মনে রাখা দরকার, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনই একমাত্র গ্যাস নয়, এমনকি বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণও খুব বেশি নয়।
পৃথিবীর বাতাসে মাত্র ২১ শতাংশ হলো অক্সিজেন। এই বাতাসের বেশির ভাগ অর্থাৎ ৭৮ শতাংশই হলো নাইট্রোজেন গ্যাস। বেঁচে থাকার জন্য আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বুকভর্তি বাতাস টেনে নেই। এরপর ফুসফুস কেবল অক্সিজেন ছেঁকে রেখে বাকি সব গ্যাস প্রশ্বাসের সাহায্যে উগরে দেয়।
পৃথিবীর বাতাসে অক্সিজেনের প্রাধান্য বেশি না হলেও যেটুকু আছে তা আমাদের মতো অসংখ্য প্রাণীর টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট। তবে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল এর ধারেকাছেও নেই।
মঙ্গল ঘিরে রাখা বায়ুমণ্ডলের স্তর অত্যন্ত পাতলা। পৃথিবীর তুলনায় ৯৯ শতাংশ কম বাতাস রয়েছে সেখানে। এর একটি বড় কারণ পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের আকার প্রায় অর্ধেক। তাছাড়া দুর্বল মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে গ্রহটির গ্যাস প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে মহাকাশে।
পাথুরে লাল গ্রহটিতে যেটুকু বাতাস রয়েছে তার বেশির ভাগই আবার কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসে পরিপূর্ণ। এই গ্যাস মানুষের জন্য প্রাণঘাতী। সৌভাগ্যের বিষয় হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি এখনও ১ শতাংশেরও কম। বিপরীতে মঙ্গলের বাতাসের ৯৬ ভাগজুড়েই আছে এই গ্যাস।
মঙ্গলে অক্সিজেনের বর্তমান মাত্রাও একেবারে হতাশাজনক। পৃথিবীর তুলনায় সেখানে যে ১ শতাংশ বাতাস রয়েছে তার মাত্র এক-দশমাংশ হলো অক্সিজেন। এই অতি অল্প অক্সিজেনে মানুষের টিকে থাকা অসম্ভব।
কাজেই এই মুহূর্তে মঙ্গলে গিয়ে স্পেসস্যুটের বাইরে নিঃশ্বাস নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু আপনাকে গ্রাস করে নেবে। বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অত্যন্ত কম থাকায় মারা যাওয়ার আগে আপনি হাঁসফাঁস করবেন, সেই সঙ্গে আপনার দেহের রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকবে।
তাহলে আশা কোথায়?
মানুষের জন্য এই মুহূর্তে মঙ্গলজুড়ে ছড়িয়ে আছে অমঙ্গলের বিস্তর উপাদান। তবে তাই বলে সেখানে কোনো প্রাণই টিকবে না- এমনটা বলা মুশকিল।
মঙ্গল নিয়ে গবেষণায় এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি বেশকিছু নতুন অনুসন্ধান প্রযুক্তি পাঠিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে এমন রোবট রয়েছে যেগুলো অণুজীব ও জীবাশ্ম খুঁজতে সিদ্ধহস্ত।
এটা ঠিক পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর জন্য মঙ্গলের আবহাওয়া রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। কেবল স্বল্প বাতাস ও অক্সিজেন নয়; গ্রহপৃষ্ঠে খুব সামান্য পানির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে।
তবে মজার ব্যাপার হলো পৃথিবীতেও কোনো কোনো জায়গায় রয়েছে এমন পরিবেশ। আর বিস্ময়করভাবে সেই পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম অণুজীবও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
অ্যান্টার্কটিকার বরফের মাঝে, মহাসাগরের তলদেশে এমনকি ভূপৃষ্ঠের কয়েক কিলোমিটার গভীরেও রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। প্রচণ্ড গরম অথবা তীব্র ঠান্ডার মধ্যে এবং বলতে গেলে কোনো পানি ও অক্সিজেনের জোগান ছাড়াই টিকে অনেক অণুজীব। ফলে মঙ্গলের পরিবেশেও এ ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট আশাবাদী।
এমনও হতে পারে মঙ্গল এখন হয়তো প্রাণশূন্য, তবে কোটি কোটি বছর আগে গ্রহটির সর্বত্র ছিল সজীবতা। কারণ এককালে সেখানে ছিল প্রচুর বাতাস ও অক্সিজেন, তাপমাত্রা ছিল উষ্ণ; সবচেয়ে বড় কথা ছিল পানির প্রাচুর্য।
নাসার মার্স পারসিভারেন্স রোভার মিশনের অন্যতম লক্ষ্য, মঙ্গলে অতীত প্রাণের অনুসন্ধান। গ্রহটির পাথর ব্যবচ্ছেদ করে জীবাশ্মের সন্ধান করছে এই মিশনের রোবট।
পারসিভারেন্স রোভারের সাতটি অত্যাধুনিক যন্ত্রের একটি হলো মোক্সি (MOXIE)। বিস্ময়কর এই যন্ত্রটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে তা অক্সিজেনে পরিণত করতে সক্ষম।
মোক্সির মিশন সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা এভাবে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন। সেই সঙ্গে রকেট জ্বালানি তৈরি করে পৃথিবীতে ফিরে আসাও সম্ভব হবে।
মানুষ মঙ্গলে যত বেশি অক্সিজেন তৈরি করতে পারবে, তত পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কমবে। লাল গ্রহটিতে সফরে যাওয়া এবং সেখানে বসবাসও সহজ হতে থাকবে।
এই মুহূর্তে মঙ্গলে বসবাসের চ্যালেঞ্জ অনেক, কিন্তু সেগুলো অতিক্রমের কাজও চলছে। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তাদের আশা ২০৩০-এর দশকের শেষে মঙ্গল জয় করবে মানুষ।
আরও পড়ুন:অপো এফ২১ প্রো ব্যাকলাইট সানসেট সেলফি কনটেস্ট বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অপো ফ্যানস ও ব্যবহারকারীদের জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজয়ীদের নাম জানিয়েছে। সে সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দিয়েছে অপো।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পড়ে, পরে তিনজনকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীরা হলেন- আরিফা শবনম, এএসএম শাহরিয়ার হাবীব ও আনিকা নাওয়ার।
বিজয়ীদের হাতে অপো এনকো ডব্লিউ১১ ডায়নামিক হেডফোন ও অপোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসানের স্বাক্ষর করা এফ২১ প্রো টি-শার্ট তুলে দেয়া হয়।
অপো এফ২১ প্রো ফোনটিতে রয়েছে সনির আইএমএক্স৭০৯ সেলফি সেন্সর ও আরজিবিডব্লিউ প্রযুক্তি। ডিভাইসটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা চমৎকার সব সেলফি তুলতে পারবেন।
৬৪ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরার সঙ্গে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার জন্য ব্যবহারকারীদের অনুপ্রাণিত করতে অপো এফ২১ প্রো ব্যাকলাইট সানসেট সেলফি কনটেস্টের আয়োজন করে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন ব্যবহারকারীদের সূর্যাস্তের মুহূর্তে ‘পারফেক্ট সেলফি’ তুলে এর মধ্য থেকে সেরা সেলফিগুলো অপো বাংলাদেশের মনোনীত ফেসবুক পেজে জমা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর হেড অফ ব্র্যান্ড লিউ ফেং বলেন, ‘জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে অপো সব সময় ব্যবহারকারীদের পছন্দের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়। তাই ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিতে অপো সেলফি কনটেস্টের আয়োজন করে। অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা সত্যিই অভিভূত।’
আরও পড়ুন:শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপোর এফ সিরিজের ফোনগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে- স্টাইলিশ, ট্রেন্ডি, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী।
ব্যবহারকারীদের উন্নত জীবনধারা নিশ্চিতে দেশের বাজারে এসেছে দুর্দান্ত ডিজাইনের সানসেট অরেঞ্জ রঙের এফ২১ প্রো ডিভাইসটি। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে তৈরি এফ২১ প্রো ডিভাইসের ব্যতিক্রমী ডিজাইন ফ্যাশনপ্রেমীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে।
নতুনত্ব আনবে ফাইবারগ্লাস লেদার ডিজাইন
সাধারণত যেকোনো স্মার্ট ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারা ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন। বিশেষ করে, হাতে ধরলে ডিভাইসটি কেমন লাগবে, সে বিষয়টিকেই তারা সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। এফ২১ প্রো ডিভাইসটি প্রথম দর্শনেই যে কোন ব্যক্তিরই মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
সেলফ-ডেভেলপড ফাইবারগ্লাস-লেদার ডিজাইনে তৈরি ডিভাইসটি নিশ্চিতভাবে মানুষের চোখকে আটকে দেবে। স্প্লাইসড ক্যামেরা ডিজাইন এবং পাতলা ও হালকা বডির সমন্বয়ে তৈরি স্মার্ট ডিজাইনের ফোনটি বেশ আকর্ষণীয় ও ব্যবহার উপযোগী।
অনন্য ম্যাটেরিয়াল ও ফিনিশ–স্টাইলিশ ও নির্ভরযোগ্য ডিজাইন
অপো সিএমএফ (কালার, ম্যাটেরিয়ালস, ফিনিশ) উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন সব ডিজাইন আনতে সচেষ্ট। অপো এফ২১ প্রো ডিভাইসটি এর ব্যতিক্রম নয়। ব্যবহাকারী ফোনটি হাতে ধরলে এর উজ্জ্বল কমলা রঙ বা সানসেট অরেঞ্জ শেড তৈরির মাধ্যমে ভিন্নতা আনবে। নারী-পুরুষ সবার হাতেই ফোনটি বেশ মানাবে।
অপো এফ২১ প্রো ডিভাইসটির ডিজাইনে রয়েছে সিনথেটিক লেদার ম্যাটেরিয়াল; প্লেট যুক্ত করার মাধ্যমে ফোনটিকে নতুন আকৃতিও দেয়া হয়েছে। ফাইবারগ্লাস-লেদার ডিজাইন ও ‘ফ্রেমলেস ব্যাটারি কাভার’ ব্যবহার করায় ফোনটিতে কোনো প্লাস্টিক মিড-ফ্রেম ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি; যা ডিভাইসটিকে এজলেস ও পাতলা করেছে। এমন ম্যাটেরিয়ালের কারণে ফোনটিও হবে দীর্ঘস্থায়ী।
নজরকাড়া ক্রিয়েটিভ এক্সটেরিয়র ডিজাইন
এফ২১ প্রো ডিভাইসটিতে ক্যামেরায় দেয়া হয়েছে বেশি গুরুত্ব। ফাইবারগ্লাস-লেদার ডিজাইনের মতো এফ২১ প্রোতে আরও একটি নতুন ডিজাইনের উপাদান রয়েছে, যা সিরিজটিতে আগে দেখা যায়নি। ডিভাইসটিতে অরবিট লাইট ডিজাইন দেয়া হয়েছে, যা বেশ কিছু কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যামেরা মডিউলের আকার আরও ছোট করা হয়েছে। এ সব ছাড়া সম্পূর্ণ নতুন অরবিট লাইট ডিজাইন স্মার্টফোনের উপযোগিতা এবং ভিজ্যুয়াল আবেদন দুটোই নিয়ে আসে।
নতুন মাত্রা যোগ করছে সানসেট অরেঞ্জ ডিভাইসটি
ক্লাসিক ফিল্ম ক্যামেরার লেদার ও মেটাল ডিজাইনে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে। ডিভাইসটির পেছনে মেটাল স্ট্রিপের ব্যবহার ফোনটিকে একটি প্রিমিয়াম লুক দেবে। অপো এফ২১ প্রো ব্যবহারকারীদের মিরর সেলফি তুলতে দেয়।
আপনার প্রতিদিনের পথচলায় নতুন মাত্রা যোগ করতে সানসেট অরেঞ্জ রঙের অপো এফ২১ প্রো ডিভাইসটি বেশ সহায়ক। এ ডিভাইসটি আপনার প্রতিদিনের ফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সে দিকটিকে বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশে বাজারে উন্মোচিত হয়েছে ফোনটি।
মনোমুগ্ধকর লেদার ডিজাইন
ফোনের ফাইবারগ্লাস-লেদার ডিজাইন অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর এবং দেখতে চমৎকার। উন্নত উৎপাদন প্রক্রিয়া এফ২১ প্রো’কে আরও টেকসই করে তুলেছে। লিচি গ্রেইন লেদার ম্যাটেরিয়ালের ডিভাইসটি পানি প্রতিরোধী ও ওয়্যার রেজিস্ট্যান্ট। এটি অপোর ল্যাব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, যেখানে একটি অ্যালকোহল-ভেজা প্যাড, একটি রাবার ইরেজার এবং একটি ডেনিম সোয়াচ দিয়ে যথাক্রমে পাঁচ হাজার, দশ হাজার ও দুই লাখ বার ম্যাটেরিয়ালকে ঘঁষে দেখা হয়েছে।
এ ছাড়া সানসেট অরেঞ্জ শেডেড অংশে একটি চকচকে ম্যাট টেক্সচার্ড রিয়ার কাভার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ডিভাইসটিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট-প্রতিরোধী করে তুলেছে। লেদার ম্যাটেরিয়ালের তাপমাত্রা প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি খুব সহজেই হাতে ধরে রাখা যায়। ডিভাইসটি আইএসও সার্টিফায়েড হওয়ায় ফোনের গুণগত মানও উন্নত।
আরও পড়ুন:দেশে নতুন দুটি স্মার্টফোন উন্মোচন করল রিয়েলমি। ভার্চুয়ালি উন্মোচন অনুষ্ঠানে নম্বর সিরিজ ও সি সিরিজের রিয়েলমি ৯ ফোরজি এবং সি৩৫ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।
১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার রিয়েলমি ৯ ফোনটি পাওয়া যাবে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজে সানবার্স্ট গোল্ড, স্টারগেজ হোয়াইট এবং মিটিওর ব্ল্যাক রঙে। ডিভাইসটির দাম ২৬ হাজার ৯৯০ টাকা।
অন্যদিকে এন্ট্রি লেভেল সেগমেন্টের স্টাইলিশ এবং সুন্দর ডিজাইনের ফোন রিয়েলমি সি৩৫। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের গ্লোয়িং গ্রিন ও গ্লোয়িং ব্ল্যাক রঙে রিয়েলমি সি৩৫ বাজারে ১৬ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোন দুটিতে দারাজের ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন বিশেষ অফারে পাওয়া যাবে সোমবার দুপুর ২টায়। ফ্ল্যাশসেলে রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসটি ১৫ হাজার ৯৯০ টাকায় এবং মঙ্গলবার দুপুর ২টায় দারাজের ফ্ল্যাশসেলে রিয়েলমি ৯ ডিভাইসটি ২৫ হাজার ৯০ টাকায় কেনা যাবে।
রিয়েলমি ৯ ফোরজি ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রোলাইট হাই-কোয়ালিটি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ‘মিনিমাম’ লাইটে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারবেন। ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ অসাধারণ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের ডিভাইসটিতে আছে ৬ ন্যানোমিটার কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০- প্রসেসর।
ডিভাইসটি ৭.৯৯ মিলিমিটার পাতলা ও ডিভাইসটির ওজন ১৭৮ গ্রাম। ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জ।
অন্যদিকে নান্দনিক ডিজাইনের রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসটিতে আছে স্টাইলিশ ডিজাইন, ৮.১ মিমি আল্ট্রা স্লিম ডায়নামিক গ্লোয়িং ইউনিসক টি৬১৬ শক্তিশালী প্রসেসর।
৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিকে। স্মার্টফোনটি টিইউভি রাইনল্যান্ড রিল্যায়াবিলিটি সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত। যা ফোনের স্থায়িত্ব ও গুণমান নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন:স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইন তরুণদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বাজারে এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী ডিজাইনে এখন যেকোনো স্মার্টফোনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে রিয়েলমি সি৩৫।
দুর্দান্ত ফিচারের পাশাপাশি গ্রাহকেরা এখন নান্দনিক ডিজাইনের স্মার্টফোন কিনতে বেশি আগ্রহী। সে কারণে এমন বাজেটে রিয়েলমি গ্রাহকদের জন্য একটি প্রিমিয়াম ডিজাইন নিয়ে এসেছে। ডিভাইসটি গ্রাহকদের একটি প্রিমিয়াম ফোন ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা দেবে, যা ট্রেন্ডি এবং স্লিম, এখন তরুণদের প্রথম পছন্দ। চলুন দেখে নেয়া যাক রিয়েলমি সি৩৫ ফোনের ফিচারগুলো।
আলট্রা স্লিম ডায়নামিক গ্লোয়িং ডিজাইন
রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসের বৈশিষ্ট্য এর নজরকাড়া ডিজাইন। মাত্র ৮.১-মিলিমিটার পুরুত্ব ও রাইট–অ্যাঙ্গেল বেজেল ডিজাইনের এই ফোন দেখতে দুর্দান্ত। স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৮৯ গ্রাম, ফলে ব্যবহারকারীরা অনায়াসেই ফোনটি হাতে ধরে রাখতে পারবেন।
এ ছাড়া রিয়েলমি প্রথমবারের মত নিয়ে এসেছে টু-ডি চমৎকার গ্লোয়িং ডিজাইন, যা ডিভাইসটিকে করেছে দুর্দান্ত। আলট্রা স্লিম ও আলট্রা লাইট ফোনটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, ধরতেও তেমন আরামদায়ক। ফোনটি গ্লোয়িং গ্রিন এবং গ্লোয়িং ব্ল্যাক এই দুই রঙে পাওয়া যাচ্ছে।
ডিজাইন ও রঙের দারুণ মিশ্রণে তৈরি ডিজাইনের স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৩৫। এই দামে সেরা ডিজাইনের ফোন।
৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা
ক্যামেরাপ্রেমীদের জন্য রিয়েলমি সি৩৫ ফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যা দিয়ে খুব সহজেই দারুণ সব ছবি তোলা যাবে। ফোনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল ও এফ/১.৮ অ্যাপারচারসহ প্রাইমারি সেন্সর, যা যথেষ্ট আলোর সঞ্চার করে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে সহায়তা করে। সাথে আছে ৪এক্স ম্যাক্স ডিজিটাল জুম, যার মাধ্যমে দূরের স্পষ্ট ছবি তোলা যায় সহজেই। আছে ২ মেগাপিক্সেলের (এফ/২.৪ অ্যাপারচার) ম্যাক্রো লেন্স ও ২ (এফ/২.৮ অ্যাপারচার) মেগাপিক্সেলের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট লেন্স, যা ব্যবহারকারীদের হাই এক্সপোজারের চমৎকার পোর্ট্রেট তুলতে দেবে।
তা ছাড়া রেটরো ফিল্ম স্টাইল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডিভাইসটি দিয়ে ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন শৈল্পিক সব ছবি।
সেলফি ও ভিডিও কল করার জন্য এফ/২.০ অ্যাপারচার ও এআই বিউটিসহ ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে। বিভিন্ন রকমের ফিল্টার ও এইচডিআর ফাংশন, যা আপনাকে প্রাণবন্ত ছবি তুলতে সাহায্যে করবে।
দুর্দান্ত ছবি তোলার পাশাপাশি, ডিভাইসটির ভিডিও ধারণেও দেবে অসাধারণ পিক্সেল ফ্রেম। ফোনটি দিয়ে ৪৮০, ৭২০ অথবা ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও করা যাবে।
৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে
রিয়েলমি সি সিরিজের ডিভাইসগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সি৩৫ ফোনে থাকছে ৬.৬-ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, যা এই প্রাইস রেঞ্জে অনেকটাই বিরল। এর স্ক্রিন বড় হওয়ায় ৯০.৭ শতাংশ স্ক্রিন রেশিওতে অনায়াসে ভিডিও দেখা যায়। যা দামের হিসেবে অসাধারণ ডিসপ্লে।
শক্তিশালী পারফরমেন্স, দুর্দান্ত কোয়ালিটি
নজরকাড়া ডিজাইন ও ক্যামেরার পাশাপাশি ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ইউনিসক টাইগার টি৬১৬ অক্টা-কোর ১২এনএম প্রসেসর। আনটুটু বেঞ্চমার্কে ২৩১,৬৯৯ স্কোর অর্জন করা চিপসেটটি এই সেগমেন্টের মধ্যে সেরা। চিপসেটটির ২.০ গিগাহার্জ ক্লকস্পিড ও কর্টেক্স এ৭৫ কাঠামো ফোনটিকে করেছে আরও শক্তিশালী।
রিয়েলমি সি সিরিজের সব স্মার্টফোনের সাথে থাকবে টিইউভি রাইনল্যান্ড হাই রিলায়াবিলিটি সার্টিফিকেশন। রিয়েলমি সি৩৫ -এর গুণমান নিশ্চিত করতে এই ফোনের উপর ৩০০-টিরও বেশি টেস্ট করা হয়েছে। এই ফোনের গুণমান বৈশ্বিক স্মার্টফোনের বাজারেও বেশ সমাদৃত। উনিসকের টাইগার সিরিজের প্রসেসর বেশ শক্তিশালী এবং টি৬১৬ প্রসেসরটি তার আগের জেনেরেশনের প্রসেসরের থেকে ভালো পারফরমেন্স দেবে।
৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার
ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ বিশাল ব্যাটারি। এই ব্যাটারি দিয়ে ৭১.৫৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিরামহীন অডিও শোনা যাবে। এ ছাড়া রিয়েলমি সি৩৫ টানা ৩৯ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই এ থাকতে পারে।
ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা এবং চাইলে মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যাবে।
ফোনটিতে আছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই, যা ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর ইনস্ট্যান্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরে দ্রুত ফোন আনলক করা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা যাবে।
এ ছাড়া রয়েছে ম্যাগনেটিক ইনডাকশন সেন্সর, লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, আক্সেলারেশন সেন্সর ও হল সেন্সর। উদ্ভাবনী ফিচার, নজরকাড়া ডিজাইন ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেল ক্যামেরা সম্বলিত ডিভাইসটি বাজারে পাওয়া যাবে ১৬ হাজার ৯৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য