× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
ইতালির সেই করোনা হটস্পটে ৯ মাস পরেও অ্যান্টিবডি
google_news print-icon

ইতালির সেই করোনা হটস্পটে ৯ মাস পরেও অ্যান্টিবডি

ইতালির-সেই-করোনা-হটস্পটে-৯-মাস-পরেও-অ্যান্টিবডি
ইতালির ভো শহরে নয় মাস পরও করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি দেখা যায়। ছবি: উইকিমিডিয়া
বিজ্ঞানীদের দল গবেষণায় দেখতে পায়, মে মাসে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসা ৯৮.৮ শতাংশ মানুষ নভেম্বরে অন্তত এক ধরনের অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এর অর্থ, কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তাদের শরীরে ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ৯ মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি শরীরে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

গত বছরের শুরুর দিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিল ভাইরাসটির অন্যতম হটস্পট ইতালির ছোট্ট শহর ভো'।

ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সার্স-কোভ-২ শনাক্তের ঘোষণা দেয় ইতালি। এশিয়ার বাইরে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় করোনা মোকাবিলায় তৎপর হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

শনাক্তের পরপরই ৩ হাজার ২৭০ জনসংখ্যার ভো' শহরের মেয়র কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেন। সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে অনুরোধ জানান গভর্নর।

করোনা নিয়ে প্রাথমিক ধারণা ও পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু লিফটের বোতাম স্পর্শ বা করমর্দন করলেই করোনা ছড়ায় না, বাতাস কম চলাচল করা স্থানেও করোনা সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা প্রতিরোধে এখন বেশ কার্যকর টিকা রয়েছে। পাশাপাশি করোনার নিত্যনতুন ধরন দেশে দেশে শনাক্ত হচ্ছে, যেগুলো শুরুর দিকের ধরনের চেয়ে আরও বেশি সংক্রামক।

সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি যতই ভিন্ন হোক না কেন, ভাইরাসটি বুঝতে এবং মানুষের শরীর ভাইরাসের প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা অনুধাবনে আজও বিজ্ঞানীদের সহায়তা করছে ইতালির ভো' শহর।

গত বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে করোনার গণপরীক্ষা হয় ভো'য়ে। পাশাপাশি মে মাসে শহরটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সার্স-কোভ-২-এর অ্যান্টিবডিও পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা।

পরীক্ষায় দেখা যায়, আগে কোনো না কোনো সময় শহরটির প্রায় ৩.৫ শতাংশ মানুষ (প্রায় ১০০ জনের মতো) করোনায় আক্রান্ত হন।

যাদের অ্যান্টিবডি বা সোয়াব পরীক্ষার যেকোনো একটির ফল পজিটিভ এসেছিল, তাদের ফের ওই বছরের নভেম্বরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে বলা হয়।

এর উদ্দেশ্য ছিল, শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠেছে কি না, তা দেখা।

বিজ্ঞানীদের দল গবেষণায় দেখতে পায়, মে মাসে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসা ৯৮.৮ শতাংশ মানুষ নভেম্বরে অন্তত এক ধরনের অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

এর অর্থ, কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তাদের শরীরে ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ৯ মাস পরও তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকার সম্ভাবনা বেশি।

গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ইলারিয়া ডরিগাট্টি বলেন, ‘উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন সংক্রমণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আমাদের চোখে পড়েনি।

‘সেক্ষেত্রে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, উপসর্গ ও সংক্রমণের তীব্রতার ওপর প্রতিরোধ ক্ষমতার শক্তি নির্ভর করে না।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্য আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, অ্যান্টিবডির মাত্রার পার্থক্য কখনো কখনো পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে।

‘পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন পরীক্ষা ও ভিন্ন সময়ে জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের মাত্রা তুলনার সময় সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Israel killed 28 people in Gaza despite the ceasefire

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ২৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ২৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা শহর। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস এই হামলাগুলোকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা যুদ্ধবিরতির বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মধ্যস্থতাকারীরা যদি নীরব থাকে, তবে এটি আরও রক্তপাতের পথ খুলে দেবে।
হামাস জানিয়েছে, তারা রেড ক্রসের মাধ্যমে এক নিহত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
এদিকে, গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত ভয়াবহ। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও বড় পরিসরে ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইসরায়েলের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে। ফলে স্থানীয় মানুষ এখনো খাবার, পানি ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ৯৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নতুন করে এই হামলাগুলোর ফলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে এবং পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, সংঘাত পুনরায় তীব্র রূপ নিতে পারে যদি ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ না হয়।
ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত
যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজা শহরের পূর্ব আল-জেইতুন এলাকায় কোনো সতর্কতা ছাড়াই একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। গাজার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, পরিবারের ১১ জন সদস্যকে বহনকারী গাড়িটি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করলে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। আক্রমণটি কোনো সতর্কতা ছাড়াই হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে মধ্যে সাত শিশু এবং দুই নারী ছিলেন।
‘হলুদ রেখা’ হলো একটি সীমানা - যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে সেই জায়গা। এই রেখা টেনে গাজার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের চলাচলের অনুমতিপ্রাপ্ত এলাকাগুলোকে পৃথক করা হয়েছে।
বাসাল বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা বা তাদের সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করা সম্ভব ছিল, যাতে মৃত্যু না ঘটে। কিন্তু যা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে যে, দখলদাররা এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
গত ১০ অক্টোবর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়। চুক্তির আওতায় গাজার প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের অবস্থা অবমূল্যায়ন করা হয়েছে
যুদ্ধের সময় গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েল। কিন্তু মুক্তির সময় তারা যে অবস্থায় ফিরেছে, সেদিকে আন্তর্জাতিকভাবে খুব কম মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, হাতে গোনা কয়েকজন ইসরায়েলি বন্দিকে নিয়ে অনেকটা হৈ চৈ পড়ে গেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে।
শনিবার লন্ডনভিত্তিক কাউন্সিল ফর আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (CAABU) এর পরিচালক ক্রিস ডয়েল আল জাজিরাকে এমনটাই বলেছেন।
ডয়েল বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলি বন্দিদের ওপর এত বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যা বোধগম্য; কিন্তু এই ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের, মুক্তি দেওয়ার সময় তাদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো খবরই পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, তাদের কোথায় রাখা হয়েছিল? নির্যাতন, এমনকি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ... এই সবকিছুই খুব বেশি অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ক্রিস ডয়েলের মতে, অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি অত্যন্ত বাস্তব, খুবই বেদনাদায়ক। এটি দেখায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে কভারেজ এবং রাজনৈতিক বিতর্ক এতটাই এগিয়ে গেছে যে, সর্বদা ইসরায়েলিদের সঙ্গে কী ঘটে তার ওপর ফোকাস থাকে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কী ঘটে, তার ওপর ফোকাস কম।
ডয়েল আরও বলেন, ট্রাম্পের ২০-দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সবকিছুর জন্য কে দায়ী, তা নির্ধারণ করার জন্য একটি ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। ২০-দফা পরিকল্পনা চুক্তিতে তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, ইচ্ছাকৃতভাবে এটি রাখা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কোনো বিচারিক ব্যবস্থা অনুমোদন করতে চাইবে না, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ইসরায়েলি গণহত্যা
টানা দুই বছরের গণহত্যা যুদ্ধের অবসানে সম্প্রতি মার্কিন-সমর্থিত চুক্তির পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজারেরও বেশি। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে ওঠে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
70 people died in the flood in Mexico the National Guard came to help the flood victims

মেক্সিকাতে বন্যায় ৭০ জনের মৃত্যু; বন্যার্তদের সহায়তায় নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড

মেক্সিকাতে বন্যায় ৭০ জনের মৃত্যু; বন্যার্তদের সহায়তায় নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড

মেক্সিকান ন্যাশনাল গার্ড বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ৭০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন নিখোঁজ হয়েছে।

মেক্সিকোর জোচিকোআটলান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

সামরিক বাহিনী পরিচালিত এই সংস্থাটি হিডালগোর রাজধানী পাচুকা থেকে তিয়ানগুইস্টেঙ্গো এবং জালাকাহুয়ানতলাসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

জোচিকোআটলানে টেক্সকাকো সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা একটি বিমান অবতরণের পর তার কাছে লাইনে দাঁড়িয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন শিশু কৌতূহলীভাবে সৈন্যদের মালামাল নামানো এবং ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করার সময় তা দেখছিল।

জোচিকোআটলানের ৩৭ বছর বয়সী বাসিন্দা মেরিলিন কর্টেস এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমাদের দোকানে কেনার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।’

‘সত্যি বলতে, এই ত্রাণ-সামগ্রী আমাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। আমাদের সত্যিই এটির প্রয়োজন। এটি ইতোমধ্যেই আমাদের জন্য আশার আলো।’

ত্রাণ-সামগ্রীর মধ্যে টুনা, দুধ, ওটমিল, টয়লেট পেপার এবং সাবানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল।

ত্রাণ-সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ড আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরও করছে।

বিমান বাহিনীর ক্যাপ্টেন ইরাক আলেজান্দ্রো মার্টিনেজ বলেছেন, ‘যদি আহত ব্যক্তি বা এমন কেউ থাকে যার ওষুধ বা অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন হয় - হাসপাতালের প্রয়োজন হয়, আমরা তাদের বিমানে পরিবহন করি’।

গত সপ্তাহে কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে দেশের মধ্য এবং পূর্বে রাস্তা এবং মহাসড়ক ডুবে বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ১৬০টি এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

মেক্সিকো সিটির প্রতিবেশী হিডালগোতে ৮৪টি বিচ্ছিন্ন পৌরসভা রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে ভূমিধসের কারণে প্রবেশপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Zelensky returned from the White House without Tomahawk missiles

টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই হোয়াইট হাউস থেকে ফিরলেন জেলেনস্কি

টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই হোয়াইট হাউস থেকে ফিরলেন জেলেনস্কি

দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে ওয়াশিংটনে গেলেও শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি পাননি ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইউক্রেইনে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তুত নয়।

হোয়াইট হাউসে শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, “আশা করি ইউক্রেইনের টমাহক লাগবে না। এই ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই আমরা যুদ্ধ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।” তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।

জেলেনস্কি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলোচনা হলেও তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য টমাহক অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

ট্রাম্প এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সেই আলাপের পরদিনই হলো জেলেনস্কির সঙ্গে এই বৈঠক। জানা গেছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন।

বৈঠকে জেলেনস্কি প্রস্তাব দেন, যুক্তরাষ্ট্র টমাহক দিলে এর বদলে ইউক্রেইন ড্রোন সরবরাহ করতে পারে। ট্রাম্প প্রস্তাবে সরাসরি সম্মতি না দিলেও আগ্রহ দেখান বলে জানা গেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপ নিশ্চিত করার ভূমিকার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, একই কৌশল প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইন যুদ্ধে শান্তির পথ তৈরি করবে।

টমাহক না পেলেও এটি পাওয়ার সম্ভাবনা রাশিয়াকে উদ্বিগ্ন করেছে বলে দাবি করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “টমাহক শক্তিশালী অস্ত্র—এ কারণেই রাশিয়া এ নিয়ে শঙ্কিত।” তবে তিনি জানান, “আমি বাস্তববাদী, প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব ফল চাই।”

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
40 killed in Kandahar operation by Pakistani air force

পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর অভিযানে কান্দাহারে নিহত ৪০

পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর অভিযানে কান্দাহারে নিহত ৪০

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৪০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭৯ জন।

স্পিন বোলদাক শহরটির অবস্থান আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, নিহত এবং আহতদের সবাই বেসমারিক এবং একটি বড় অংশই নারী ও শিশু।

সীমান্তে গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল ১৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার দিকে।

বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যারা বেঁচে গেছেন, তারা সবাই নিন্দা জানিয়েছেন এ হামলার।

হামলার শিকার এবং আহত হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি ইতিহাসে কখনও এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে— তারা এখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপরে হামলা করল।”

বিমান বাহিনীর অভিযানের পাশপাশি স্পিন বোলদাক শহরের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাকে একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে হতাহতও হয়েছেন অনেকে।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাতের মূলে রয়েছে পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান (টিটিপি)। বেশ কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য দিনকে দিন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

আফগাস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া টিটিপির প্রধা ঘাঁটি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

পাকিস্তানের অভিযোগ—আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মদত ও আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে টিটিপি। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলা চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে হত্যা করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। হামলার দু’দিন পর ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের সঙ্গে লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র সংঘাত শুরু হয় পাক-আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে।

চার দিন সংঘাত চলার পর ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায়। মির আলী সেনা ক্যাম্পে হামলাও ঘটেছে দুপুর ১ টার দিকেই।

সূত্র : তোলো নিউজ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Trump Putins next meeting will be in Budapest Hungary

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হলে মস্কো-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফোনালাপে এমন হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনার বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তার ও পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের পর দুই নেতা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, বৈঠকটি সম্ভবত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ফোনালাপের এক দিন পরই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে জেলেনস্কি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুরোধ জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অস্ত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরের আরও গভীর এলাকায় হামলা চালাতে সক্ষম করবে।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, পুতিন পুনরায় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা বদলাতে পারবে না। বরং এই ক্ষেপণাস্ত্র দুই দেশের সম্পর্ক এবং ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে।
তিনি আরও বলেন, দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফোনালাপ ছিল ‘খুবই ফলপ্রসূ, খোলামেলা ও গোপনীয়’। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল মুখ্য বিষয়। এছাড়া ট্রাম্পের সামনে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির একটি বিস্তারিত মূল্যায়নও তুলে ধরেন পুতিন।
এই রুশ কর্মকর্তার ভাষায়, মস্কো ওয়াশিংটনকে জানায়- রুশ বাহিনী এখনো ‘পুরো ফ্রন্টলাইনে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ’ ধরে রেখেছে। অপরদিকে ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
উশাকভ আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অন্যতম মূল বক্তব্য ছিল- ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আলোচনায় দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উত্থাপিত হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা অবিলম্বে ট্রাম্প ও পুতিনের পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করবেন বলেও তারা সম্মত হয়েছেন। সম্ভাব্য স্থান হিসেবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের নাম উঠে এসেছে।
পুতিন ও ট্রাম্পের সর্বশেষ মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল গত আগস্টে আলাস্কায়। তবে সেখানেই শান্তি আলোচনার অগ্রগতি থেমে যায়। এরপর থেকে ট্রাম্প ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হবে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেনকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কাছাকাছি’ আছেন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Saudi Arabia wants to make a defense agreement with the United States like Qatar

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় সৌদি আরব

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় সৌদি আরব ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে সৌদি আরব। আগামী মাসে (নভেম্বর) সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের সময় চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য এই প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে অবগত কর্মকর্তাদের বরাতে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সের ওয়াশিংটন সফরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’

তবে ফিনান্সিয়াল টাইমস বলছে, আলোচনাধীন সম্ভাব্য এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুরুপ হতে পারে। ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কাতারের ওপর কোনো সশস্ত্র হামলা হলে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানোর কয়েকদিন পরই দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ফিনান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ‘আমাদের আঞ্চলিক কৌশলের একটি শক্তিশালী ভিত্তি’। তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে ফিনান্সিয়াল টাইমসের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকার।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কাতারের মতো নিরাপত্তা গ্যারান্টি চেয়ে আসছে সৌদি আরব।

অন্যদিকে গত মাসেই পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ নামে পরিচিত এই সমঝোতাকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি শুধু সামরিক সহযোগিতার নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত বার্তা বহন করে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ঘটলে, তা উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়টি চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Trump Putins next meeting will be in Budapest Hungary

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পুতিন এবং ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হলে মস্কো-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফোনালাপে এমন হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনার বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তার ও পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের পর দুই নেতা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, বৈঠকটি সম্ভবত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ফোনালাপের এক দিন পরই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে জেলেনস্কি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুরোধ জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অস্ত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরের আরও গভীর এলাকায় হামলা চালাতে সক্ষম করবে।

ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, পুতিন পুনরায় তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা বদলাতে পারবে না। বরং এই ক্ষেপণাস্ত্র দুই দেশের সম্পর্ক এবং ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে।

তিনি আরও বলেন, দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফোনালাপ ছিল ‘খুবই ফলপ্রসূ, খোলামেলা ও গোপনীয়’। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল মুখ্য বিষয়। এছাড়া ট্রাম্পের সামনে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির একটি বিস্তারিত মূল্যায়নও তুলে ধরেন পুতিন।

এই রুশ কর্মকর্তার ভাষায়, মস্কো ওয়াশিংটনকে জানায়- রুশ বাহিনী এখনো ‘পুরো ফ্রন্টলাইনে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ’ ধরে রেখেছে। অপরদিকে ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।

উশাকভ আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অন্যতম মূল বক্তব্য ছিল- ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আলোচনায় দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উত্থাপিত হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা অবিলম্বে ট্রাম্প ও পুতিনের পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করবেন বলেও তারা সম্মত হয়েছেন। সম্ভাব্য স্থান হিসেবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের নাম উঠে এসেছে।

পুতিন ও ট্রাম্পের সর্বশেষ মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল গত আগস্টে আলাস্কায়। তবে সেখানেই শান্তি আলোচনার অগ্রগতি থেমে যায়। এরপর থেকে ট্রাম্প ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হবে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করা।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেনকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কাছাকাছি’ আছেন।

মন্তব্য

p
উপরে