× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
নিয়ানডারথাল ও প্রাচীন মানুষের গুণতে শেখার ইতিহাস
google_news print-icon

নিয়ানডারথাল ও প্রাচীন মানুষের গুণতে শেখার ইতিহাস

নিয়ানডারথাল-ও-প্রাচীন-মানুষের-গুণতে-শেখার-ইতিহাস
৬০ হাজার বছর আগে হায়েনার এই হাড়টিতে খাঁজ কেটে এক নিয়ানডারথাল সংখ্যার হিসাব রেখেছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। ছবি: নেচার
কোনো সংস্কৃতি বা ভাষার সংস্পর্শে না আসা ছয় মাস বয়সী মানবশিশুর মধ্যেও এ দক্ষতা বিদ্যমান। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ তুবিঙ্গেনের স্নায়ুবিজ্ঞানী আন্দ্রিয়াস নিদার বলেন, সহজাতভাবেই সংখ্যা চেনে মানুষ। দিনে দিনে প্রাকৃতিকভাবে এটি দক্ষতায় পরিণত হয়। আবার অনেক গবেষক মনে করেন, অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে সীমিত পরিসরে এ গুণ থাকলেও মানুষের এ গুণ অনেক বেশি পরিশীলিত। এর পুরোটা প্রাকৃতিক অর্জন নয়। সাংস্কৃতিক বিবর্তন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ কিংবা অন্যের কাছ থেকে শেখার মাধ্যমে সাংকেতিক চিহ্ন ও মৌখিক শব্দে সংখ্যা প্রকাশ ও উপস্থাপন করতে শেখে মানুষ।

কয়েক লাখ বছর আগেও সংখ্যার সাংকেতিক চিহ্নের ব্যবহার ছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

কিন্তু জীবন বদলে দেয়া এই উদ্ভাবনের উৎস কী, কোথায়, কবে; কিভাবে মানুষ গুণতে শিখেছিল; গণিত মানবজীবনে কখন, কেন আর কিভাবে প্রাত্যাহিক ও অপরিহার্য হয়ে উঠলো- সেসবের বিস্তারিত জানা গবেষকদের পরবর্তী উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার বছর আগে বর্তমান ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলে হায়েনার উরুর শক্ত একটি হাড়ের টুকরো আর একটি পাথরের খণ্ড নিয়ে কাজ শুরু করেছিল এক নিয়ানডারথাল।

যখন তার কাজ শেষ হয়, ওই হাড়ের টুকরোতে পাথর দিয়ে খোদাই করা রেখার আকারে প্রায় সমান্তরাল নয়টি খাঁজ তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু বোঝাতে চাওয়া হয়েছে সেটির মাধ্যমে।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় মানুষ তথা হোমো স্যাপিয়েন্সের আদি রূপ হলো নিয়ানডারথাল। প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বুক থেকে নিয়ানডারথালরা বিলুপ্ত হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়।

আর হায়েনার হাড়ের ওই টুকরোটি অঙ্গুলেম অঞ্চলের কাছে লে ফারদেলে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনস্থলে খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা।

সংখ্যা আবিষ্কার ও ব্যবহারের শুরুটা নিয়ে এখন পর্যন্ত গবেষণার সংখ্যা বা পরিসর খুব বেশি নয়।

২০১৮ সালে প্রথম এ বিষয়ে নিজের গবেষণা প্রকাশ করেন ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অফ বোর্দ্যুর প্রত্নতত্ত্বের গবেষক ফনশেস্কো দেরিকো।

তিনি জানান, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের বেশিরভাগই শিল্পকর্ম বলে মনে করা হলেও এই হাড়ের টুকরোটি অন্যরকম বলে মনে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। এটি তৈরির কোনো উদ্দেশ্য ছিল বলে ধারণা তাদের।

নিয়ানডারথাল ও প্রাচীন মানুষের গুণতে শেখার ইতিহাস

রোমের দক্ষিণে প্রাগৈতিহাসিক একটি গুহায় মিলেছে ৯ নিয়ানডারথালের দেহাবশেষ। ছবি: এএফপি

দেরিকো বলেন, ‘ধারণা করা হয় যে হাড়ের টুকরোটিতে কোনো সাংখ্যিক তথ্য লিপিবদ্ধ ছিল। যদি এ ধারণা সঠিক হয়, তার মানে হলো শারীরিকভাবে আধুনিক আজকের মানুষই শুধু সংখ্যাতত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত নয়।

নিয়ানডারথালদের মধ্যেও গণনার এ পদ্ধতি প্রচলিত ছিল।’

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইভল্যুশনারি অ্যান্থ্রপোলজির বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী রাসেল গ্রে জানান, সংখ্যার উৎস নিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ প্রায় নেই বললেই চলে।

এমনকি সংখ্যা কী, সে বিষয়েও একমত নন বেশিরভাগ গবেষক।

তবে ২০১৭ সালের এক গবেষণায় সংখ্যার একটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সংখ্যা হলো মূর্ত বা অস্তিত্বশীল বস্তুর সঠিক মান নিরূপণে প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ ও সাংকেতিক চিহ্ন।

এখন বিভিন্ন খাতে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা নিজ নিজ অবস্থান বা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন সংজ্ঞা দেয়ায় এবং পৃথক গবেষণার ক্ষেত্রে বিষয়টি সমস্যা সৃষ্টি করায় সংখ্যার উৎস নিয়ে অনুসন্ধানের আগ্রহ ও প্রয়োজন বাড়ছে।

পৃথিবীতে সংখ্যার আবির্ভাব নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক একটি গবেষণা দলকে চলতি বছর এক কোটি ইউরোর তহবিল দিয়েছে ইউরোপীয় রিসার্চ কাউন্সিল।

সংখ্যা সহজাত প্রবৃত্তির অংশ

এক সময় গবেষকরা ভাবতেন, পরিমাণ নিয়ে ধারণা প্রাণীজগতে একমাত্র মানুষের মধ্যেই আছে।

কিন্তু বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে গবেষণায় বেরিয়ে আসে, অনেক প্রাণীর মধ্যেই এই ক্ষমতা আছে। যেমন মাছ, মৌমাছি, সদ্য জন্ম নেয়া মুরগী মুহূর্তেই চার পর্যন্ত যেকোনো সংখ্যা চিনতে পারে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এ দক্ষতার নাম ‘সাবটিজিং’।

কিছু প্রাণীর মধ্যে এ দক্ষতার পরিসর আরও বড়। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন সংখ্যার দিক থেকে দৃশ্যমান পার্থক্য আছে এমন দুটি বস্তুর সেই পার্থক্যও বুঝতে পারে তারা।

যেমন ১০টি ও ২০টি বস্তুর দুটি ভাগের পার্থক্য করতে পারবে এসব প্রাণী। কিন্তু ২০টি বস্তুর সঙ্গে ২১টির পার্থক্য নিরূপণ করতে পারবে না।

কোনো সংস্কৃতি বা ভাষার সংস্পর্শে না আসা ছয় মাস বয়সী মানবশিশুর মধ্যেও এ দক্ষতা বিদ্যমান।

জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ তুবিঙ্গেনের স্নায়ুবিজ্ঞানী আন্দ্রিয়াস নিদার বলেন, সহজাতভাবেই সংখ্যা চেনে মানুষ। দিনে দিনে প্রাকৃতিকভাবে এটি দক্ষতায় পরিণত হয়।

আবার অনেক গবেষক মনে করেন, অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে সীমিত পরিসরে এ গুণ থাকলেও মানুষের এ গুণ অনেক বেশি পরিশীলিত। এর পুরোটা প্রাকৃতিক অর্জন নয়।

সাংস্কৃতিক বিবর্তন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ কিংবা অন্যের কাছ থেকে শেখার মাধ্যমে সাংকেতিক চিহ্ন ও মৌখিক শব্দে সংখ্যা প্রকাশ ও উপস্থাপন করতে শেখে মানুষ।

পরিশিলীত চর্চার মাধ্যমে সংখ্যার উদ্ভব

ফ্রান্সের লে ফারদেলে ৭০’র দশকে যে হাড়ের টুকরোটি পাওয়া গেছে, সেটিই একমাত্র নয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গুহাতেও প্রায় ৪২ হাজার বছর আগের একটি বেবুনের উরুর হাড়ের টুকরো পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেটিতেও খাঁজ কাটা।

গবেষকদের ধারণা, অঞ্চলটিতে আধুনিক মানুষের উত্থান শুরুর পর সংখ্যার হিসাব রাখতে তারাও হাড় ব্যবহার করতেন।

বেবুনের হাড়টির অনুবীক্ষণিক বিশ্লেষণ করে তাতে চারটি ভিন্ন বস্তু দিয়ে তৈরি ২৯টি খাঁজ মিলেছে। এর অর্থ হলো, চারটি ভিন্ন ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে সেটি।

সম্পত্তি গণনা

ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর প্রত্নতাত্ত্বিক ক্যারেনলেগ ওভারম্যান ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৩টি সমসাময়িক শিকারী গোষ্ঠীর তথ্য তুলনা করে দেখিয়েছেন।

তিনি আবিষ্কার করেছেন, সরল সংখ্যা পদ্ধতি অর্থাৎ চার ও এর কম সংখ্যা দেখা যেতো হাতে গোণা কয়েকটি বস্তুগত সম্পত্তির ক্ষেত্রে। যেমন অস্ত্র, অলঙ্কার ইত্যাদি। যেসব গোষ্ঠীর মধ্যে এর চেয়ে বড় সংখ্যা দেখা যেতো, তারা তুলনামূলক ধনী ছিল।

ওভারম্যানের মতে, জটিল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে তখনকার সমাজ বা গোষ্ঠীকে অধিক এবং নানারকম বস্তুগত সম্পত্তির অধিকারী হতে হতো।

ওভারম্যান জানান, বেশিরভাগ গোষ্ঠীই ৫-ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করতো। অর্থাৎ হাতের আঙুল থেকেই গণনা শুরু করত তারা।

এর বেশি গোণার দরকার হলে নতুন নতুন পদ্ধতির প্রচলন ঘটাতো তারা। দিনে দিতে গণনার সুবিধার্থে তাদের মধ্যে কাঠির ব্যবহার শুরু হয়। নীল নদের অববাহিকায় প্রাচীন মেসোপ্টেমিয়া সভ্যতায় এর প্রমাণ মেলে।

বলা হয়, সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে গণনার সুবিধার্থে মেসোপ্টেমিয়ার মানুষ কাদায় তৈরি টোকেন ব্যবহার করত।

আরও পড়ুন:
৭৮ হাজার বছরের প্রাচীন কবর আফ্রিকায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
45 killed in bus ditch in South Africa

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫ দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশে বৃহস্পতিবার বাস দুর্ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে মামাতলাকালা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বাসটি। পরে ১৬৪ ফুট নিচের খাদে পড়া যানটিতে আগুন ধরে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে খাদে পড়া একটি বাসের ৪৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন বিভাগ।

আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী আট বছর বয়সী এক মেয়ে, যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে মামাতলাকালা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা খায় বাসটি। পরে ১৬৪ ফুট নিচের খাদে পড়া যানটিতে আগুন ধরে যায়।

পার্শ্ববর্তী দেশ বতসোয়ানা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো প্রদেশের মরিয়া যাওয়ার পথে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ইস্টার সানডে উপলক্ষে লিমপোপোতে জনপ্রিয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর ৩১ মার্চ দিবসটি উদযাপন করা হবে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহনমন্ত্রী সিন্ডিসিওয়ে চিকুঙ্গা।

দুর্ঘটনায় কিছু কিছু যাত্রীর দেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তা শনাক্ত করা যাবে না।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দপ্তর জানায়, বাস দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বতসোয়ানার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:
চলন্ত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চালক অঙ্গার
ট্রেন দুর্ঘটনায় কারও সম্পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী
পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬
ভৈরবে প্রমোদতরি ডুবি: একজনের মৃত্যু, নিখোঁজ আট
শ্যালকের বিয়ে শেষে না ফেরার দেশে দুলাভাই

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Ukraine will be destroyed by warplanes not attacks on NATO countries

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে ছবি: রয়টার্স
এ সময় পুতিন বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’

পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’

তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
After killing two unarmed men in Gaza Israel buried their bodies in sand

গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল

গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল আল জাজিরার ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া ছবি।
সিএআইআর জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপকূলে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা কোনো হুমকি ছিল না। এরপর তাদের মৃতদেহ মাটিচাপা দেয়ার জন্য একটি সামরিক বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।

গাজা উপকূলে ইসরায়েলি সৈন্যরা দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে বালুর নিচে চাপা দেয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।

এ ঘটনা তদন্তের জন্য বুধবার জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নাগরিক অধিকার ও অ্যাডভোকেসি সংগঠন ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর)’।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার সিএআইআরের এ আহ্বানের কথা জানানো হয়।

আল জাজিরার দুই মিনিটের ওই ভিডিওটিতে দুই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজনকে হাত উঁচু করে সাদা কাপড়ের টুকরো ওড়াতে দেখা যায়।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা কাপড় দেখিয়ে ওই ফিলিস্তিনি হয়ত বোঝাতে চাচ্ছিলেন তারা কোনো হুমকি নন। দুজনই উপকূল বরাবর একটি উন্মুক্ত এলাকায় হাঁটছিলেন, সম্ভবত তারা উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।

সিএআইআর জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপকূলে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা কোনো হুমকি ছিল না। এরপর তাদের মৃতদেহ মাটিচাপা দেয়ার জন্য একটি সামরিক বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।

এমন জঘন্য যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিল বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘ইচ্ছে মতো’ হত্যা করছে এবং তাদের মৃতদেহগুলো ‘আবর্জনার মতো’ ব্যবহার করছে।

গণহত্যামূলক ইসরায়েলি সরকারকে জাতিসংঘের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু
ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশু বাড়ছে গাজায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

মন্তব্য

ভোটের মাঠে সানিয়া

ভোটের মাঠে সানিয়া সানিয়া মির্জা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।

আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।

এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।

এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।

এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।

৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Russia does not believe in the ability of IS to attack Moscow

মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার

মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার মস্কোর উপকণ্ঠে গত শুক্রবারের হামলায় পুড়ে যাওয়া ক্রোকাস সিটি হল। ছবি: রয়টার্স
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আইএসের আছে, এমনটি বিশ্বাস করা অত্যন্ত কঠিন।

রাশিয়ার মস্কোতে গত শুক্রবার কনসার্ট হলে ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও এ ধরনের আক্রমণের সামর্থ্য জঙ্গি সংগঠনটির আছে বলে বিশ্বাস করে না রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার তার দেশের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

জাখারোভা বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আইএসের আছে, এমনটি বিশ্বাস করা অত্যন্ত কঠিন।

সাম্প্রতিক ওই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪৩ জন। আহত অনেককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রোকাস সিটি হলে হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। যদিও এ দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।

রাশিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর দায় স্বীকার করে আইএস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলাটি চালায় আইএসের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান।

হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার নাকচ করেছে ইউক্রেন, তবে জাখারোভার ভাষ্য, ইউক্রেনকে হামলার দায় থেকে বাঁচাতে ত্বরিত গতিতে আইএসের ওপর দায় চাপায় পশ্চিমা দেশগুলো।

আরও পড়ুন:
হামলার বিষয়ে মার্চের শুরুতে রাশিয়াকে সতর্কবার্তা: যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৬০
সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় জয় পুতিনের
পুতিনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া ভোটে রাশিয়া
যুদ্ধই মানেই ট্র্যাজেডি: পুতিন

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Iran will never hesitate to support Gazans Ayatollah

গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ

গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ গাজার শাসক দল হামাসের পলিট ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার তেহরানে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ছবি: প্রেস টিভি
ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য’ ধরার জন্য গাজাবাসীর প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, এ ধৈর্য ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মর্যাদা ও গর্বের উৎসে পরিণত হয়েছে।

ফিলিস্তিন ও দেশটির অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজার নির্যাতিত মানুষকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

গাজার শাসক দল হামাসের পলিট ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার তেহরানে সাক্ষাৎ করতে গেলে আয়াতুল্লাহ এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি।

খামেনিকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং গাজার নিপীড়িত ও সহিষ্ণু জনগণকে সমর্থনের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কখনও ইতস্তত বোধ করবে না।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় বিরতিহীন এ হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩২ হাজার ৪১৪ জনের।

এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য’ ধরার জন্য গাজাবাসীর প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, এ ধৈর্য ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মর্যাদা ও গর্বের উৎসে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশু বাড়ছে গাজায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
গাজার শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে তীব্র অপুষ্টি: জাতিসংঘ

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Six people including five Chinese were killed in a suicide bombing in Pakistan

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় পাঁচ চীনাসহ ছয়জন নিহত

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় পাঁচ চীনাসহ ছয়জন নিহত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর উড়তে থাকা ধোঁয়া। ছবি: দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
মালাকান্দ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আলি গান্দাপুর জানান, ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দুসু এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চীনের প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি উঠিয়ে দেয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় মঙ্গলবার গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিকসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

মালাকান্দ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আলি গান্দাপুরের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দুসু এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চীনের প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি উঠিয়ে দেয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।

তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি চালক নিহত হন।’

হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে নামায় এ পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাস গিয়ে রাষ্ট্রদূত জিয়াং জ্যায়দংয়ের কাছে শোক প্রকাশ করেন।

এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডরের (সিপিইসি) শত্রুরা আরও একবার এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করে একে ব্যাহত করার চক্রান্ত করেছে, কিন্তু অশুভ অভিলাষ পূরণে কখনই সফল হবে না তারা।’

আরও পড়ুন:
সরকার গঠন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানে সরকার গঠনে ঐকমত্য, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ-প্রেসিডেন্ট জারদারি
ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেব না: ইমরান
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তিন মামলায় আপিল করবেন ইমরান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ

মন্তব্য

p
উপরে