× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
লকডাউন সমুদ্রে কমেছে শব্দদূষণ
google_news print-icon

লকডাউনে সমুদ্রে কমেছে শব্দদূষণ: গবেষণা

লকডাউনে-সমুদ্রে-কমেছে-শব্দদূষণ-গবেষণা
লকডাউনে জাহাজ চলাচল কমায় সমুদ্রে শব্দদূষণ কমেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: বিবিসি
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য সেন্ট অ্যান্ড্রুস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার টিয়াক পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘লকডাউন বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলে এমনভাবে স্থবিরতা এনে দিয়েছে, যা অন্য কোনোভাবে সম্ভবপর ছিল না।’

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেয়া লকডাউনে সমুদ্রে জাহাজ চলাচল কমে যাওয়ায় নীরবতার ‘অনন্য মুহূর্ত’ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তা নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গবেষকরা নতুন এ অবস্থাকে ‘শান্ত সমুদ্রের বছর’ বলে উল্লেখ করেছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য সেন্ট অ্যান্ড্রুস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার টিয়াক এ পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘লকডাউন বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলে এমনভাবে স্থবিরতা এনে দিয়েছে, যা অন্য কোনোভাবে সম্ভবপর ছিল না।’

পুরো বিষয়টি আরও গভীরভাবে বোঝার জন্যে বিজ্ঞানীরা লকডাউনের আগে, লকডাউনের সময়কার ও লকডাউন-পরবর্তী সময়ে সমুদ্রের সাউন্ডস্কেপে (শব্দজগৎ) যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে তার রেকর্ড রাখার পরিকল্পনা করেন।

সমুদ্রের গভীরে থাকা দুই শতাধিক মাইক্রোফোন (হাইড্রোফোন) চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেন তারা।

গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে পিটার টিয়াক বলেন, ‘মানুষ্যসৃষ্ট শোরগোলের প্রভাবে সমুদ্রের গভীরে কী পরিবর্তন আসে তার পরিমাপ উঠে আসবে এতে। এমন শোরগোল কীভাবে সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষত তিমির জীবন ও অন্যান্য মাছের বিচরণে পরিবর্তন এনেছে তাও প্রকাশ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের ফলে শহরগুলোতে মানুষের কর্মকাণ্ড ও যানবাহনের শব্দ কমে যাওয়ায় পাখির কলতান শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশে আরও বন্যপ্রাণীর বিচরণও নজরে আসছে। ঠিক তেমনি সমুদ্রের গভীরে যে ধরনের পরিবর্তন আসছে, তা ধারণের ব্যবস্থা করেছি আমরা।

‘এমন পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়া এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই গবেষণার উদ্দেশ্য কেবল মহামারিকালীন সমুদ্রের পরিবর্তনকেই তুলে ধরা নয়; দশকের পর দশক ধরে ক্রমবর্ধমানভাবে শব্দদূষণের ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, তাও আমরা গবেষণায় তুলে আনব।’

লকডাউনে সমুদ্রে কমেছে শব্দদূষণ: গবেষণা
সামরিক বাহিনীর তৈরি শব্দের কারণে পথ হারিয়েছিল অনেক তিমি। ছবি: বিবিসি

বিশ্বব্যাপী সমুদ্রে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে। তবে সমুদ্রে শব্দদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার বিষয়টি এখনও মানুষের আয়ত্তে রয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব নিউ হাম্পশায়ারের ‘ওশান এক্যুইস্টিক’ (সামুদ্রিক শব্দ) বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক মিকসিস ওল্ডস বলেন, ‘আগেকার শান্ত সমুদ্রের তথ্য ও উপাত্ত আমাদের আরও গভীরভাবে শব্দদূষণের কারণ ও এর প্রতিরোধব্যবস্থা বুঝে উঠতে সহায়তা করবে।’

লকডাউনে সমুদ্রে কমেছে শব্দদূষণ: গবেষণা
এমন অনেক সামুদ্রিক মাছ অক্ষত কোরালে প্রতিধ্বনিত শব্দ অনুযায়ী খুঁজে নেয় তাদের আবাসস্থল। ছবি: বিবিসি

এই গবেষক আরও বলেন, “সারা বিশ্বের ‘ওশান সাউন্ডস্কেপ’ ম্যাপ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের। এখানে থাকবে সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের পথে শব্দদূষণের পরিমাণ, তিমির পরিযায়ী হওয়ার ধরন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা।”

তিনি আরও বলেন, এমন গবেষণার ফলে সমুদ্রের স্বাভাবিক প্রতিবেশ ও তার ওপর মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব উঠে আসবে। একই সঙ্গে সমুদ্রে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কী করণীয় হতে পারে, তাও উঠে আসবে।

আরও পড়ুন:
ঢাকার চেয়ে বেশি বায়ুদূষণ মানিকগঞ্জে
কর্ণফুলী দূষণে চিন হুং ফাইবার্সকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ঢাকার প্রবেশমুখে পানি ছিটাবে ফায়ার সার্ভিস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Air pollution in Delhi Black is turning the historic Lalkalla

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির তীব্র বায়ুদূষণের কারণে শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক মোগল স্থাপনা লালকেল্লার দেওয়ালে ‘কালো আবরণ’ তৈরি হয়েছে বলে এক গবেষণায় ওঠে এসেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, লাল বেলেপাথরের এই স্থাপনার দেওয়ালে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে জমে থাকা এই স্তরের পুরুত্ব ০.০৫ মিলিমিটার থেকে ০.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি স্থাপনার সূক্ষ্ম নকশা ও খোদাইয়ের ক্ষতি করতে পারে। এটি ১৭০০ শতকের এই স্থাপনার ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে করা প্রথম পূর্ণাঙ্গ গবেষণা।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম দিল্লি এর বায়ু মানের অবনতির জন্য প্রায়ই খবরে আসে, বিশেষ করে শীতকালে। সংরক্ষণবিদরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, দূষণ রাজধানীসহ কয়েকটি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করছে।

২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন, সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত বিখ্যাত ১৭০০ শতকের সমাধি তাজমহল বায়ু ও পানিদূষণের কারণে হলদে এবং সবুজাভ-বাদামি হয়ে গেছে। তারা উত্তর প্রদেশ সরকারকে সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।

লালকেল্লা নিয়ে গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ করা ওপেন অ্যাক্সেস বৈজ্ঞানিক জার্নাল হেরিটেজে ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। এটি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত ও ইতালির গবেষকরা পরিচালনা করেন।

মোগল সম্রাট শাহজাহান নির্মিত লালকেল্লা দিল্লির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার এক দিন পর ১৯৪৭ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু এখান থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পর থেকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীরা কেল্লার প্রাচীর থেকে ভাষণ দিয়ে আসছেন।

গবেষকরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির বায়ুমানের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। পরে কেল্লার বিভিন্ন দেওয়াল থেকে কালো আবরণ সরিয়ে তার রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করেন। তারা দেখতে পান, বাতাসে থাকা ধুলিকণা ও অন্যান্য দূষক কেল্লার দেওয়ালে কালো স্তর তৈরি করেছে এবং এর গম্বুজ, খিলান ও সূক্ষ্ম পাথরের খোদাইসহ স্থাপত্যের নানা অংশে ক্ষতি করেছে। তারা দেওয়ালে ফোস্কা ও খোসা ওঠার প্রমাণও পেয়েছেন।

গবেষণাটি বলছে, ‘পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ (ধুলিকণার ধরন) সাধারণত পরিবেশে থাকা পাথরের পৃষ্ঠে ধুলিকণা জমার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা জমে দৃশ্যমান কালচে রং ধারণ করে।’

গবেষকরা কেল্লা রক্ষায় সময়মতো সংরক্ষণ কৌশল গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তাদের মতে, ‘কালো আবরণের সৃষ্টি একটি ধীরে ধীরে অগ্রসরমান প্রক্রিয়া, যা প্রথমে পাতলা কালো স্তর হিসেবে শুরু হয়- প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সরানো সম্ভব।’

তারা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, পাথরের সুরক্ষামূলক আবরণ বা সিল্যান্ট প্রয়োগ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই কালো স্তর গঠনের গতি কমানো বা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Family members including Sheikh Hasina cannot vote

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত এপ্রিলে হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। যার কারণে তারা প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিব বলেন, ‘যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।’

এনআইডি লক হওয়া শেখ পরিবারের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক (শেখ রেহানা), টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসি সচিব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ইন কান্ট্রি ও আউট অব কান্ট্রি ভোট হবে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন।

এ জন্য সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা ভোট দিতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার তো এনআইডি লক আছে। যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই ভোট দিতে পারবেন না।’

মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে পালিয়ে বা অন্যভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের ভোট দিতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে তাদের এনআইডি আনলক অবস্থায় থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এনআইডি নম্বর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নয়, এনআইডি বাধ্যতামূলক হবে। তাই যার এনআইডি লক থাকবে তিনি কী করে অনলাইনে নিবন্ধন করবেন? তিনি তো পারবেন না। যারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবেন তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।

এছাড়া তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অনেকে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
India is thinking of security threats to those neighbors including Bangladesh
কলকাতায় ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার হুমকি ভাবছে ভারত

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার হুমকি ভাবছে ভারত

ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাংলাদেশ, চীনসহ বাকি পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চলমান ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্সে’ ভারতের নিরাপত্তা মহল জানিয়েছে, বাংলাদেশের তথাকথিত ‘উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান’, পাকিস্তানের ‘জঙ্গি অর্থায়ন’, চীনের সঙ্গে ‘সীমান্ত অচলাবস্থা’ এবং নেপালের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাকে’ ভারতের বড় সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ দিনব্যাপী এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এ বছর এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইয়ার অব রিফর্মস-ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার’। ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ ফোরামে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের প্রতিবেশী বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেশের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, এসব ইস্যু ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতবিরোধী মনোভাব, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলোও সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামে গভীরভাবে আলোচনা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত পর্যালোচনা করছে। চীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা ভারতের জন্য পরোক্ষ হুমকি তৈরি করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা এবং দুদিক থেকে (পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান) সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া। পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ ও চীন সীমান্তসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা চলছে।’

দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে নিরাপত্তা মহলের সূত্রগুলো ভারতের পূর্ব সীমান্তে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো গভীরভাবে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে। ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান এবং সেখানে বেড়ে চলা ভারতবিরোধী বক্তব্য আমাদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার বিন্যাস বদলেছে এবং তা ভারতের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়েছে।’

ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব পূর্ব লাদাখ ও পূর্ব সীমান্তে চীন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছে। সেখানে ভারত ও চীন দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় আটকে আছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনে মূল গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ সক্ষমতা গড়ে তোলা, যৌথ ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সংগঠন কাঠামো তৈরি করা এবং শান্তি ও যুদ্ধ উভয় সময়েই কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Country satellite services can disrupt eight days drawn

দেশের স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে টানা আট দিন

দেশের স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে টানা আট দিন

সৌর ব্যতিচারের কারণে বাংলাদেশে স্যাটেলাইটনির্ভর সম্প্রচার কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আট দিন এ প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

গতকাল বুধবার সংস্থাটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইটের জন্য সৌর ব্যতিচার একটি স্বাভাবিক মহাকাশীয় ঘটনা, যা প্রতি বছর দুবার ঘটে। এ সময় সূর্য, পৃথিবী ও স্যাটেলাইট একই সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে স্যাটেলাইট সংকেত ব্যাহত হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের আশপাশে এ ব্যতিচার ঘটতে পারে।

সংস্থাটির মুখপাত্র ওমর হায়দার জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৩ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩২ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট, ১ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ২ ও ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট করে, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১১ মিনিট এবং ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৮ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এ অবস্থায় ব্যতিচার সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Diploma Engineers in Gazipur suffer from 2 highway blockade

গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ২ মহাসড়ক ব্লকেড, ভোগান্তি

গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ২ মহাসড়ক ব্লকেড, ভোগান্তি

গাজীপুরে টানা দুই ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। বুধবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে জয়দেবপুর শিমুলতলী সড়কের ডুয়েট গেটের পাশে এমআইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। পরে মিছিল সহকারে ভুরুলিয়া রেলগেট, শিববাড়ি হয়ে চন্দনা চৌরাস্তায় এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। গাজীপুর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সড়কপথ অবরোধের ফলে ঢাকা-জয়দেবপুর, শিমুলতলীগামী সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জানান, যারা কারিগরি শিক্ষা এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র ও অযৌক্তিক দাবি নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

কর্মসূচিতে গাজীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা অংশ নেন। এছাড়া এমআইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রয়েল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভাওয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জানান, দেশের ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় চার লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। তাদের প্রতিটি দাবি দেশের চালিকাশক্তি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারে আঘাত হানে। এই দাবি জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মীমাংসিত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।

এদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম দুটি মহাসড়ক অবরোধের ফলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। দুই মহাসড়কের উভয়দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে গন্তব্যগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা দেন।

বাসন থানার ওসি শাহীন খান জানান, দুপুর ১টা থেকে থেকে শিক্ষার্থীরা চন্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে রাখেন। বিকেল ৩টার দিকে তারা চলে যান।

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Nilphamaris Uttara EPZ workers protests surrounded the case and arrest

মামলা ও গ্রেপ্তারকে ঘিরে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মামলা ও গ্রেপ্তারকে ঘিরে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

উত্তরা ইপিজেডে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিক সাইফুল ও তার বাবা শফিকুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে সড়ক অবরোধ করে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ‘এভারগ্রীন প্রোডাক্টস বিডি লিমিটেডের’ বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক শত শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসি অফিস-সার্কিট হাউজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন ইপিজেডের এভারগ্রীন প্রোডাক্ট বিডি লিমিটেডের শ্রমিক ছাইদুল ইসলাম সাইফুল। ওই দিনই তার বাবা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সৈয়দপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে কর্দমাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ডিবি পুলিশ সাইফুল ও তার বাবা শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে মামলা দায়েরসহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকাল থেকেই এভারগ্রীণ কারখানার শ্রমিকরা ইপিজেডের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসি অফিসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারাগারাবন্দী শ্রমিক ছাইদুল ইসলাম সাইফুল ও তার বাবাকে আদালত জামিনে মুক্তি দিলে দুই ঘন্টা পর দুপুর দেড়টায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলণ কক্ষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা কাজে ফিরতে সম্মত হন।

বৈঠক শেষে জেলা পুলিশ সুপার এ.এফ. এম তারিক হোসেন খান বলেন, ‘সাইফুল সবার সামনেই স্বীকার করেছে যে সে নিজেই আত্মগোপনের মাধ্যমে আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমরা শ্রমিকদের প্রতি সহনশীল হয়ে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাইফুল ও তার বাবার জামিনের ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। আশা করি আগামীকাল থেকে উত্তরা ইপিজেডে আর কোনো বিশৃঙ্খলা থাকবে না। সুন্দরভাবে ইপিজেড পরিচালনা হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রধান যে দাবি ছিল সাইফুল ও তার বাবার নামে যে মামলা হয়েছে সেটি থেকে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া ও শ্রমিকদের আরও কিছু দাবি ছিল। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা ছিল তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইপিজেডে শ্রমিকদের স্বার্থ ও দাবি রক্ষায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারখানা শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পিসি কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
Madhupur is cultivated on the same land together with various crops

মধুপুরের গড়ে একসঙ্গে একই জমিতে চাষ হচ্ছে নানান ফসল

মধুপুরের গড়ে একসঙ্গে একই জমিতে চাষ হচ্ছে নানান ফসল

আনারস, কলা, চালা বাইদ, শাল গজারির অবারিত বন, মধুপুরের লাল মাটির গর্বের ধন। দেশের বিভিন্ন কৃষি অঞ্চলের মধ্যে লাল মাটির মধুপুর গড় অন্যতম। গড় এলাকার মাটি ভূ-প্রকৃতিক বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্যে রয়েছে অন্যসব কৃষি এলাকা থেকে ভিন্নতর। এক দিকে উর্বর মৃত্তিকা, অম্লত্ব, উঁচু বন্যা মুক্ত। রস-কষ শক্তি সামর্থ্যে বৈচিত্র্যময়। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু। কোথাও বাইদ, কোথাও চালা। মধুপুরের মাটি পরিবেশ প্রতিবেশ প্রকৃতি সব মিলে যেন এক কৃষির নৈসর্গিক লীলা ভূমি। বলছিলাম মধুপুর গড়ের কৃষি রাজ্য কথা।

সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় মধুপুরে আনারস আর দেশি জাতের কিছু কলা আদা হলুদ কচু পেঁপেসহ নানা কৃষি ফসল চাষ হতো। বাণিজ্যিক চাষাবাদ ছিল না। বেশির ভাগ স্থলে ছিল শাল গজারির বন। দিন দিন বন উজাড়ের ফলে সংকুচিত হয় ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত সমতল এলাকার পাতা ঝরা শাল গজারি, সেগুণ, আজুলি, বহেড়া, হরিতকি, নিম, নিশিগন্ধা, সর্পগন্ধা, শিমুল, জারুল, খাড়াঝরা, অর্জুন, সিদা, মেহগুনি, বানর নড়ি, আনাইগোটা, তিতিজাম, ঢাকি জাম,আমলকীর রাজ্য ক্ষীন হতে থাকে। বাড়তে শুরু করে বাণিজ্যিক কৃষি চাষাবাদ।

এখন লাল মাটির চারদিকেই দিগন্ত জোড়া কৃষি ফসলের বৈচিত্র্যেভরা। মাঠে মাঠে শোভা আনারস কলা হলুদ পেপে কচু কফি কাজু বাদাম কাসাভা ড্রাগনসহ নানা ফসল। হাট বাজারে এ সময় কলা আনারসের মৌ মৌ গন্ধ বিরাজ করছে। সারা বছরই বাজারে নানা ধরনের শাকসবজি ফলমূল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাগম ঘটে।

গারো বাজার মহিষমারা গেলে ছানোয়ার হোসেন নামের এক কৃষক তার কফি বাগান ঘুরে ঘুরে দেখান। চমৎকার বাগান। তিনি এ চাষে সাড়া জাগিয়েছে। শুধু জানোয়ার হোসেনই নয় তার মতো ছোট বড় কৃষক কফি করেছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। গোবুদিয়া ও ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান নামের কৃষক কাজু বাদাম কফি চাষ করেছে। তার মতো অনেক কৃষক কাজু বাদামের গাছ লাগিয়েছে কৃষি বিভাগ জানায়।

সরজমিনে গারো বাজারের ছানোয়ার হোসেন তার বাগান ঘুরে দেখালেন একখণ্ড কৃষির রাজ্য। মাল্টা, ড্রাগন, পেয়ারা, আনারস, কফি, বাতাবি লেবু (জাম্বুরা), লেবুসহ নানা ফল ফসলে গড়ে তোলেছেন তার কৃষি একখণ্ড রাজ্য। সব মিলে গারো বাজারের এ কৃষক ছানোয়ার পেয়েছে অনেক পদক ও সম্মাননা।

কৃষকরা জানান, এভাবে দিন দিন মধুপুরের লাল মাটিতে আবাদ হচ্ছে নতুন নতুন ফল ফসল। কৃষি ফসলের বহরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ফসল। সুদুর ফিলিপাইনের উন্নত জাতের আনারস চাষের নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন হচ্ছে । এ আনারসের জাতের নাম এমডি-২। কৃষি ও কৃষকের আশা এ জাতের আনারসের ফলন ভালো হলে লাল মাটির মধুপুর কৃষি অঞ্চলে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

মধুপুরে এখন উচ্চ ফলনশীল জাতের নানা ফসলের বাণিজ্যিক বাগান গড়ে উঠেছে। এ অঞ্চল জামাল পুর জেলার কিছু অংশ জুড়ে গাজীপুর পর্যন্ত লাল মাটি। বন আলু, বনের নানা ভেষজ বৃক্ষ গারোদের প্রিয় খাবারের অংশ ও ভেষজ চিকিৎসার উপকরণ। শুধু ৩৭০.৮৪ বর্গমাইল আয়তনের মধ্যে ১১ টি ইউনিয়নে রয়েছে ছোট বড় মাঝারি প্রান্তিক চাষি। কৃষক পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার ৯৫০ এর মতো।

এ কৃষি রাজ্যের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে যেমন কৃষকরা লাভবান তেমনি দেশ পাবে বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হবে মধুপুর এমনটাই মনে করছে স্থানীয়রা।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, মধুপুর মাটি আবহাওয়া ভূপ্রকৃতি কৃষি ফসলের জন্য উপযোগী। এ মাটিতে প্রায় সব ধরনের ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ এলাকার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি। তারা কৃষকদের সহযোগিতা পরামর্শ দিয়ে থাকে বলে জানান।

মন্তব্য

p
উপরে