ভারতে একটি ‘সুপারবাগ’ ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গেছে। গবেষকেরা বলছেন, এ সুপারবাগ বিশ্বজুড়ে পরবর্তী ভয়াবহ মহামারির কারণ হতে পারে। ভারতের দূরবর্তী সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো সুপারবাগটির (একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী অর্গানিজম) হদিস পেয়েছেন গবেষকেরা।
‘সুপারবাগ’ হিসেবে পরিচিত ক্যানডিডা অরিস বা সংক্ষেপে সি. অরিস জীবাণু ছত্রাকবিরোধী চিকিৎসা প্রতিরোধে সক্ষম। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী এমবায়োতে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি সি. অরিস জীবাণুর ব্যাপক সংক্রমণে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
কোথায় কীভাবে পাওয়া গেল ‘সুপারবাগ’
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, পাথুরে তীর, জোয়ারের পানি আসা জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ জলাভূমিসহ আটটি জায়গা থেকে মাটি ও পানির ৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অনুরাধা চেীধুরীর নেতৃত্বের এক দল। শুরু হয় ওইসব নমুনাকে ঘিরে গবেষণা।
গবেষকেরা দুটি জায়গার সি. অরিস জীবাণু পৃথক করেন। একটি লবণাক্ত জলাভূমি যেখানে মানুষের যাতায়াত নেই, অন্যটি সৈকত যেখানে জনসমাগম রয়েছে।
অনুরাধার বরাত দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স জানায়, নমুনাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, সৈকত থেকে সংগ্রহ করা সি. অরিসের সবই একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী। হাসপাতালে পাওয়া ধরনের সঙ্গে এদের মিল রয়েছে।
লবণাক্ত জলাভূমির সি. অরিসের একটি নমুনা ড্রাগ প্রতিরোধী ছিল না। এ ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রায় অন্য সি. অরিস জীবাণুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকলেও ওই নমুনার বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে ধীর ছিল। এতে প্রতীয়মান হয়, লবণাক্ত জলাভূমির ওই নমুনা সি. অরিসের আরও ভয়ঙ্কর ধরন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের মলিকুলার মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আর্তুরো ক্যাসাডেভাল বলেন, অন্যান্য নমুনা মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদেহের উচ্চ তাপমাত্রায় অভিযোজিত হতে সক্ষম হলেও লবণাক্ত জলাভূমির ওই নমুনা হয়তো এখনও দেহের উচ্চ তাপমাত্রায় অভিযোজিত হতে পারেনি।
লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সি. অরিস প্রাকৃতিকভাবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেই বাস করে বা ওখান থেকেই এর উৎপত্তি, তা গবেষণায় এখনও প্রমাণিত হয়নি। হতে পারে মানুষের মাধ্যমে ওই জায়গায় জীবাণুটি পৌঁছেছে।
উপসর্গ কী
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বর ও ঠাণ্ডাবোধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সুপারবাগ থেকে সৃষ্ট সংক্রমণের কোনো উপসর্গ নেই। জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগলে ওষুধ খেয়েও প্রতিকার পাওয়া যায় না বরং এটি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
ক্ষতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগে সি. অরিস জীবাণু চামড়ায় অবস্থান করে। একবার এটি রক্ত প্রবাহে ঢুকতে পারলে ভয়ানক অসুস্থতা দেখা দেয়, যা পরে সেপসিসে রূপ নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বছরে ১ কোটি ১০ লাখের মতো মানুষ সেপসিসে মারা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুপারবাগটি রক্ত প্রবাহজনিত গুরুতর সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষ করে যেসব রোগীর ক্যাথেটার, ফিডিং টিউব বা ব্রিদিং টিউবের দরকার পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে এ জীবাণু বেশ সক্রিয়।
লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের সংক্রমণের চিকিৎসা কঠিন হতে পারে। কারণ জীবাণুটি সবসময়ই একাধিক ছত্রাকবিরোধী ওষুধ প্রতিরোধী হয়। এ ছাড়া এটি পরিবেশের বিভিন্ন বস্তুর উপরিতলে দীর্ঘদিন অবস্থান করতে পারে।
সংক্রমণের কারণ
সি. অরিস জীবাণু সংক্রমণের কারণ এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য।
তাদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সি. অরিস জীবাণু বন্য জায়গায় উচ্চ তাপমাত্রায় অভিযোজন হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। এর মাধ্যমে সি. অরিস ছত্রাক সহজে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ছত্রাক এতে বেঁচে থাকতে পারে না।
ভবিষ্যৎ মহামারি কী দোরগোড়ায়
গত বছর কানাডার ম্যাকগিল ইউনির্ভাসিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ডনাল্ড শেপার্ড এক প্রতিবেদনে বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে সি. অরিস জীবাণু রয়েছে তা প্রমাণিত। কারণ লন্ডনে ডায়াবেটিকে ভোগা রোগীদের ফুট আলসারে ছত্রাকটি পাওয়া গেছে। ভারতেও এর উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
এক দশক আগে হাসপাতালে সি. অরিস জীবাণু প্রথম পাওয়া যায়। ২০০৯ সালে জাপানের এক রোগীর দেহে প্রথম এ রহস্যময় সুপারবাগ ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়।
২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৭০ জন ব্যক্তির দেহে সি. অরিস জীবাণুর সংক্রমণ পাওয়া যায়।
করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী মহামারি নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
জনস হপকিন্স স্কুলের অধ্যাপক আর্তুরো ক্যাসাডেভাল বলেন, করোনার ভয়াবহতা দেখে মানুষ হতবাক হয়েছিল। সি. অরিস জীবাণু নিয়ে শঙ্কা সত্য হলে তা নিয়ে কাজ করা জরুরি, যাতে সম্ভাব্য আসন্ন মহামারি নিয়ে বিশ্ববাসী অবাক না হয়।
দেশে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে আরও ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১০ জনসহ চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৮ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৫১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতো ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ৩ দিনে ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। গত ২২ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই ৩ দিনে ১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত রোববার থেকে আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর তথ্য সংগ্রহ করে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করেছি। তিনি জানান, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত রোববার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে।
কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি - বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই রক্ত পরীক্ষা করেছেন। রক্ত পরীক্ষার পর এক দিনে ৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২৩ জুন, সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ জন, ইরাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১জনসহ মোট ৩ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া গত মঙ্গলবার হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন মহিলার রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৯ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট ২৯ হাজার ৫১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এডিশ মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মুত্যৃর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে ডেঙ্গু যেনো ভয়বহ রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ জন। সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন ও সিলেট বিভাগে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৯ জন। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৫৭৫ জন। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৪ জন। আর চলতি সপ্তাহের এই কয়েকদিনে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০২ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধা রাবেয়া (১০০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরগুনার বাসিন্দাই রয়েছে ৬ জন। এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৯ জন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে মৃত্যু হওয়া শতবর্ষী রাবেয়া বেগম বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।
পটুয়াখালী জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৭ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। পিরোজপুরে ১৬ জন ও বরগুনায় ৭৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে ঊর্ধ্বগতির আক্রান্তের হারের মধ্যে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯২ জন।
সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।
মন্তব্য