মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিগুলোর একটি ভয়। জন্মের পর থেকেই যে কয়েকটি সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিচিত হয় মানুষ, ভয় তার অন্যতম। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ এক মানসিক অবস্থার কারণে ভয় পান না কিছু মানুষ।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের (ইউএনএসডব্লিউ) গবেষণাটিতে দেখা যায়, আফ্যান্টেসিয়া নামের এই মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যারা যান তারা ভীতিকর মানসিক চিত্র কল্পনা করতে পারেন না। এ কারণে চট করে তাদের ভয়ের গল্প বা ভয়ংকর কিছু বলে ভয় পাওয়ানো যায় না।
গত সপ্তাহে প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বিতে প্রকাশ হয় ওই গবেষণাপত্র। সেখানে আফ্যান্টেসিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাঙ্গরের তাড়া খাওয়া, চূড়া থেকে পড়ে যাওয়া ও বিধ্বস্ত হতে যাওয়া বিমানের যাত্রী হওয়ার মতো বিভিন্ন রকম আতঙ্কময় পরিস্থিতির বর্ণনা পড়তে দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
গবেষকেরা বর্ণনা পড়ার পর ত্বকের পরিবাহিতার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর ভয়ের প্রতিক্রিয়া শারীরিকভাবে পরিমাপে সক্ষম হন। এককথায় ওই বর্ণনা একজন ব্যক্তিকে কতটা ঘামিয়েছে, সেটা তারা মেপেছেন। এই ধরনের পরীক্ষা সাধারণত মনোবৈজ্ঞনিক গবেষণায় আবেগের দৈহিক অভিব্যক্তি পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, পাঠক যখন ভয়ের দৃশ্যটি কল্পনা করতে পারছেন না, তখন ভয়াবহ গল্পগুলো তাদের ভয়ের কারণটি হারিয়ে ফেলে। এ থেকে গবেষকদের ধারণা, ভয়ের সঙ্গে কল্পনার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আগের ধারণার চেয়েও বেশি থাকতে পারে।
ইউএনএসডব্লিউ সায়েন্সেস ফিউচার মাইন্ডস ল্যাবের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের জ্যেষ্ঠ গবেষক জোল পিয়ারসন বলেন, ‘চিন্তা-ভাবনা ও আবেগের সংযোগ স্থাপনে কল্পনা যে মূল ভূমিকা পালন করে, সে সংক্রান্ত সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ আমরা পেয়েছি।’
‘আফ্যান্টেসিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের গবেষণায় পাওয়া সবচেয়ে বড় পার্থক্য’, যোগ করেন তিনি।
গবেষণার জন্য ৪৬ জন ব্যক্তির ওপর পরীক্ষাটি করা হয়। তাদের মধ্যে ২২ জনের আফ্যান্টেসিয়া ছিল। বাকি ২৪ জন কল্পনা করতে সক্ষম।
আলো কমানো একটি ঘরে তাদের বসিয়ে ত্বকে ইলেকট্রোড লাগানো হয়। যখন কোনো ব্যক্তি ভয়ের মতো শক্তিশালী আবেগ অনুভব করেন তার ত্বক বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়ে ওঠে।
তারপর বিজ্ঞানীরা ঘরটি ছেড়ে বের হয়ে যান ও আলো বন্ধ করে ঘরটিকে পুরোপুরি অন্ধকার করে দেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের একা রাখেন ও গল্পগুলো তাদের সামনের পর্দায় প্রদর্শন হয়।
‘আপনি সৈকতে আছেন, পানিতে নেমেছেন’ কিংবা ‘আপনি বিমানে জানালার ধারে বসেছেন’ এমন সাদামটাভাবেই শুরু হয় গল্পগুলো। গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সাসপেন্স। সৈকতের দূরে পানিতে কালো কিছু একটা দেখা যাচ্ছে কিংবা বিমানের কেবিনের লাইট নিভুনিভু ও বিমানটি কাঁপছে এমন বর্ণনা আসতে থাকে।
অধ্যাপক পিয়ারসন বলেন, ‘গল্পগুলোর কল্পনা করতে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ত্বকের পরিবাহিতার মাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গল্প এগোনোর সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া বাড়তে থাকে। তবে অ্যাফান্টেসি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ত্বকের পরিবাহিতা মাত্রা ছিল একই।’
ভয়ের সীমার পার্থক্যের কারণে যে প্রতিক্রিয়াগুলো আসেনি সেটি পরীক্ষা করতে লেখার বদলে মৃতদেহ ও সাপের বিষদাঁতের মতো ভয়ংকর কিছু ছবিও দেখানো হয়।
‘দুই ধরনের ফলের ভিত্তিতে বোঝা যায় যে সাধারণভাবে কম আবেগের সঙ্গে আফ্যান্টেসিয়ার যোগ নেই। যারা ভয়ের গল্প পড়ছিলেন তাদের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে এটি দেখা গেছে। ভয়ের আবেগ তখনই দেখা গেছে যখন ভয়ংকর ছবি ও জিনিসগুলো তাদের দেখানো হচ্ছিল’, বলেন অধ্যাপক পিয়ারসন।
‘এ থেকে বোঝা যায়, কল্পনা আবেগের পরিবর্ধক। আমরা অনেক কিছুই ভাবতে পারি। কিন্তু কল্পনার দৃশ্য ছাড়া আমাদের চিন্তায় আবেগের আতিশয্য আসবে না,’ যোগ করেন তিনি।
আফ্যান্টেসিয়া কী?
গবেষকদের ধারণা, বিশ্বের ২-৩ শতাংশ মানুষ আফ্যান্টেসিয়ায় ভোগে। এই মানসিক অবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি জানতে পারেননি বৈজ্ঞানিকেরা।
গত বছর প্রকাশিত ইউএনএসডব্লিউর এক গবেষণায় দেখা যায়, আফ্যান্টেসিয়া স্মৃতি, স্বপ্ন দেখা ও কল্পনা করার মতো জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলোর নানা পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আগের আফ্যান্টেসিয়া গবেষণাগুলোতে আচরণগত পরিবর্তনকে মুখ্য ধরা হয়। আর সবশেষ গবেষণায় ত্বকের আচরণের পরিমাপ ব্যবহার করা হয়।
ইউএনএসডব্লিউর সাবেক পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো রেবেকা কিও বলেন, ‘এটি আফ্যান্টেসিয়াকে একটি অনন্য ও ভিন্ন ধরনের ঘটনা হিসেবে প্রমাণ করে। এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফল ভবিষ্যতে আফ্যান্টেসিয়াকে নির্ণয় ও নিশ্চিত করার উপায় বের করতে সাহায্য করবে।’
আফ্যান্টেসিয়ার ওপর অনলাইন ডিসকাশন বোর্ড থেকে এই গবেষণার আইডিয়া পায় অস্ট্রেলিয়ান গবেষক দলটি। ডিসকাশন বোর্ডের আলোচনাকারীরা প্রায়ই অভিযোগ করতেন তারা ফিকশন পড়ে মজা পাচ্ছেন না।
গবেষণালব্ধ ফলে যদিও দেখা যায় আফ্যান্টেসিয়াতে ভোগা ব্যক্তিরা বই পড়ে আবেগ অনুভব না-ও করতে পারেন, অধ্যাপক পিয়ারসনের মতে সবার ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। গবেষণার ফলটি গড়পরতা মান হিসেবে ধরা যাবে, অ্যাফান্টেসিয়া আক্রান্ত সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ফিকশনের প্রতি ভয় ছাড়াও অন্যান্য আবেগের প্রতিক্রিয়া আলাদা হবে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়।
পিয়ারসন বলেন, ‘আফ্যান্টেসিয়ার নানা ধরন ও প্রকার আছে। কিছু লোকের একেবারেই চিত্রিত কল্পনা নেই। আবার কারও ক্ষেত্রে সমস্ত ইন্দ্রিয়তেও কোনো কল্পনা নেই। কিছু লোক স্বপ্ন দেখে অন্যেরা দেখে না।
‘সুতরাং আপনার যদি আফ্যান্টেসিয়া থাকে ও এর ধরন বুঝতে না পারেন, তাহলে উদ্বেগের কিছু নেই। এটিতে নানা ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে, যা আমরা খুঁজে পেতে শুরু করেছি।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘আফ্যান্টেসিয়া স্নায়বিক বৈচিত্র্যের উদাহরণ। আমাদের মস্তিষ্ক ও মন যে কতটা আলাদা হতে পারে, তার একটি আশ্চর্য নমুনা এটি।’
শ্রম আদালতের বিচারকদের অংশগ্রহণে "Labour Justice Source: A Training for Judges" শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, শ্রম আদালতে যে মামলার জট রয়েছে তা দ্রুত আন্তরিকতার সহিত নিষ্পত্তি করতে হবে। শ্রম আদালতগুলিতে জনবল ঘাটতি পূরনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।আজ বৃহস্পতিবার আইএলও (ILO)-এর উদ্যোগে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রম আদালতের বিভিন্ন বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে শ্রম সচিব এ কথা বলেন।
শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিক-মালিক বিরোধ ও সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার শ্রম আদালতের বিচারকদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির তাগিদ দেন। প্রয়োজনে তাদের সকল লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।
শ্রম সচিব আরও বলেন, শ্রম আদালতে মামলা জট কমাতে আরও শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মামলার সংখ্যা কমাতে বিচারকদের উদ্দ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন C155, C187 এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে C190 অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। অনুস্বাক্ষরের পর কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে আইনি কাঠামো দান করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রম আইন ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উপস্থিতরা বলেন। তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ শ্রম খাতের উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশিক্ষণে আইএলও-এর প্রতিনিধি, শ্রম আদালতের বিচারকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হাওর অঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় কৃষিখাতে বালাইনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ/ সীমিতকরণে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত "জাতীয় কমিটি'র" সভা আজ বিকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা হাওরের পরিবেশগত ভারসাম্য, মাছের প্রজননক্ষেত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিকল্প কৃষি চর্চা প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বক্তারা বলেন, কৃষি ও পশুপালনে ব্যবহৃত বালাইনাশক মাছসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র, প্রাণিসম্পদ ও মানবস্বাস্থ্যে বহুমাত্রিক ঝুঁকি তৈরি করছে।
বৃষ্টি ও বাতাসের মাধ্যমে বালাইনাশক নদী, খাল ও পুকুরে প্রবেশ করে মাছ মেরে ফেলছে, প্রজনন হ্রাস, খাদ্যশৃঙ্খল ব্যাহত ও পুষ্টিমান কমিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশে মাছ, দুধ, ডিম ও মাংসে এ ধরনের রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
সভায় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে বালাইনাশক ব্যবহারের পর্যবেক্ষণ জোরদারকরণের গুরুত্বারোপ করা হয়। বক্তারা এসময় শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি এবং এর প্রতিকার নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
হাওর অঞ্চলে বালাইনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে স্বল্পতম সময়ে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিপূর্বক সমন্বিতভাবে তা বাস্তবায়নের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.ফাহমিদা খানম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো: রেজা- উন- নবী, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমেদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান পানি ব্যবস্হাপক মো: মাসুদ করিম, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মো: রোকন- উল- হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী রফিকুল ইসলাম, কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান,বারসিকের সমন্বয়ক মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারী জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫’শ ৭০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৭লাখ বিতরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে (১৪আগস্ট) নীলফামারী জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি থেকে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।
জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(উপ-সচিব) দীপঙ্কর রায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ৭০জনের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেয়া হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ৫৭০জনের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭১জন, উচ্চ মাধ্যমিকের ৯১জন এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০৮জন মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছেন।
জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ১০হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীকে ৫হাজার করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে এককালীন। আজকে আমরা ৭০জনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হলো।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৫জন জুলাই যোদ্ধাকে ৫০হাজার এবং একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে হেয়ারিং এইড কেনার জন্য ২০হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয় জেলা পরিষদের উদ্যোগে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে অনেক বড়। স্বপ্ন নিয়েই এগুতে হবে। তাহলেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মোবাইল আসক্তি কমাতে হবে। মোবাইলের অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার ১৩৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে 'Know My Village' প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) সকাল ১০.৩০ মিনিটে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ।সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্যা।
উক্ত প্রতিযোগিতায় পিরোজপুর সদর উপজেলার ১৩৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনী নিয়ে ক গ্রপ ও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনী নিয়ে খ গ্রুপে মোট ২৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এদের মধ্য থেকে দুই গ্রুপের মোট দশ-দশ বিশ জনকে পুরুষ্কার হিসেবে মেডেল প্রদান করা হয় ও অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক পিরোজপুর বলেন, আমাদের প্রত্যেককে নিজ গ্রামের সম্পর্কে জানতে হবে, আমাদের গ্রামে কি কি আছে, কি কি সামাজিক প্রতিষ্ঠান আছে, বিশেষ ব্যক্তিত্ত্ব, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের জানতে হবে।
বক্তব্যে তিনি স্কুলের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক ও আচার ব্যবহার ভালো করার শিক্ষা দিতে হবে এবং ভালো কার্যক্রম এর প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুরের সাধারন সম্পাদক এস এম আবু জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিন ফকির সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিবাবকবৃন্দ।
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার ১৪ই আগষ্ট সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (পানি সমতল) ৫২.৩০ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান বুধবার ভোর থেকে ৩য় দফায় তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েটে বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। অর্থ্যাৎ যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী, কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি নষ্ট সহ ঘর বাড়ীতে পানি উঠেছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: মনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ যাবত ডিমলা উপজেলার পাঁচ হাজার দুই’শ জন পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দিদের জন্য ২০ টন চাল,শুকনো খাবার,বস্ত্র. প্রয়োজনীয় ঔষধ উপজেলা অফিসে দেওয়া হয়েছে। আজকে আমরা পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শনে যাবো। সেখানো প্রয়োজনীয় যা কিছু লাগবে সবগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো পুরোটা জরিপ করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি আজ সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালীর দুমকি থানা ভবন সংলগ্ন পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র গেটের তালা ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে আলমিরা ও ওয়ার ড্রপ ভেঙ্গে নগদ টাকা ২৫হাজার ও চারভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।
গত বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে দুমকি থানার সাবেক (ওসি) শাহনেওয়াজ'র ৫তলা ভবনে এ দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সিলেট রেঞ্জের কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ শাহনেয়াজের স্ত্রী
গৃহকত্রী শাহনাজ বেগম জানান, ৫/৬দিন আগে থানা ভবনের পাচিল ঘেষা তার ৫তলা ভবনের চতুর্থ তলার বাসাটি তালাবদ্ধ রেখে তারা স্বপরিবার ঢাকা যান। বুধবার সকালে দুমকি এসে বাসার দরজা খোলা দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে আলমারী ও ওয়ারড্রপ ভাঙ্গা, মালামাল ওলট-পালট দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। ওই ভবনের পাশ্ববর্তী ফ্লাটের ভাড়াটিয়াদের ডাকাডাকি করলেও ৩য় তলায় বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের বাহির থেকে দরজা আটকে দেয়া হয়। চোরচক্র বাসার আলমীরা ও ওয়ারড্রপ ভেঙ্গে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
এদিকে থানা ভবনের আশপাশে এভাবে চুরির ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে দুমকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, তিনি অফিসের কাজে বাইরে আছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
মন্তব্য