প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কফিনে আরেকটি পেরেক। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এমন এক মেশিন লার্নিং সিস্টেম তৈরি করেছেন, যা পাশের লোকটি তার টাচস্ক্রিনে কী টাইপ করছে, সেটি বলে দিতে পারবে আপনাকে।
এ কাজে গবেষকরা ব্যবহার করেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) উপকরণ।
নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনের অনলাইন খবরে বলা হয়েছে, কেমব্রিজের ইলিয়া শুমাইলভ ও তার সহকর্মীদের তৈরি করা এ সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। একদল স্বেচ্ছাসেবককে বলা হয়েছে, তাদের টাচস্ক্রিন ডিভাইসে পাঁচ-ডিজিটের আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার অথবা যে কোনো ইংরেজি শব্দ টাইপ করতে। ভিন্ন একটি ডিভাইসে মাইক্রোফোনযুক্ত অডিও রেকর্ডিং ব্যবস্থা সেগুলো রেকর্ড করেছে।
রেকর্ডার থেকে টাইপিস্ট যখন ২০ সেন্টিমিটার দূরে, তখন প্রথম অনুমানে যন্ত্রটি ২৮ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভুল পাঠ দিয়েছে। তবে তৃতীয় অনুমানে এটির নির্ভুল হওয়ার হার বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ থেকে ৭৬ শতাংশ।
যন্ত্রটি থেকে টাইপিস্ট যত দূরে সরে গেছে, নির্ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তত কমেছে।
সিস্টেমটির দক্ষতা দ্রুতই বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, এটায় ব্যবহার হচ্ছে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি। অর্থাৎ এটি ক্রমাগত নিজে শিখে নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু এ মুহূর্তে উল্লাসের চেয়ে মানুষকে উদ্বেগেই ফেলছে প্রযুক্তির এ সাফল্য।
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের হামেদ হাদ্দাদি নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকাকে বলেছেন, এ থেকে এটাই বোঝা গেল যে, সারাক্ষণ ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন পরিবেষ্টিত থাকলে এক সময় আমাদের প্রাইভেসি আর নিরাপত্তা জলাঞ্জলি দিতে হবে।
আধুনিক মোবাইল গেমগুলোতে দারুণ গ্রাফিক্স ও দ্রুত গতির সঙ্গে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। এসব কিছু প্রাধান্য দিয়ে তরুণদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে ইনফিনিক্স হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
২০২৪ সালের শুরুতে বাজারে এসেছে হট ৪০ সিরিজের প্রথম ফোন ‘ইনফিনিক্স হট ৪০ আই’। পরে বাজারে আসে একই সিরিজের আরও দুই স্মার্টফোন ‘হট ৪০ প্রো’ এবং ‘হট ৪০’।
মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা, এক্সবুস্ট গেমিং ইঞ্জিন এবং ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি লাইফের মতো ট্রেন্ড-সেটিং ফিচার আছে আধুনিক এসব স্মার্টফোনে।
শুরু থেকেই বাজারের সব গেমিং স্মার্টফোন সেগমেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছে ইনফিনিক্সের এ তিন ফোন।
গেমিংয়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাঝখানে হঠাৎ সংযোগ হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে হট ৪০ প্রোতে আছে একটি মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা। এ ছাড়াও স্মুথ গেমিং নিশ্চিত করতে ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ প্রসেসর এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম।
ফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি প্লাস ডিসপ্লেতে আপনার প্রিয় গেমগুলোকে দেখাবে অত্যন্ত মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
গেমিংয়ের জন্য ফোনের পারফরম্যান্সকে অপটিমাইজ করতে হট ৪০ প্রোতে রয়েছে গেম মোড এবং গেম টার্বোর মতো ট্রেন্ডিং সব ফিচার।
১০৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাক এবং ৩২ মেগাপিক্সলের সেলফি ক্যামেরার ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ ফোনটির গেম অ্যান্টেনা ফোনের ওয়াইফাই জোনকে বর্ধিত করে। আধুনিক এই প্রযুক্তি গেমিংয়ের সময় সিগন্যাল রিসিপশন বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে ইনফিনিক্স। এতে গেমাররা কোনো প্রকার আটকে যাওয়া ছাড়াই গেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে।
গেমিংয়ের সব চাহিদা পূরণে যথেষ্ট মসৃণ ডিসপ্লের ফোনটিতে আরও আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ৮ গিগাবাইট র্যাম। একই সঙ্গে আছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার এবং ৩৩ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপটর, যা দিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ চার্জ হতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।
বর্তমানে এ গেমিং ফোনটির দাম ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
হট ৪০ সিরিজের সবচেয়ে সাশ্রয়ী গেমিং ফোন হচ্ছে ইনফিনিক্স হট ৪০ আই। নির্ঝঞ্ঝাট গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে রয়েছে অক্টাকোর ইউনিসক টি ৬০৬ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। আধুনিক ফিচারের ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ সিরিজ ছাড়াও ইনফিনিক্সের আছে হট ৩০ সিরিজ। এ সিরিজের ফোনগুলোতে মিলবে দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন এনে গেমিং স্মার্টফোনের বাজারকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ইনফিনিক্সের হট সিরিজ। দেশের যেকোনো অফিশিয়াল শোরুম থেকে কিনতে পারবেন পছন্দের ইনফিনিক্স স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন:সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার অপারেটরদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ছয় ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হয়। তার একদিন পর আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ এবং গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে আবারও আকস্মিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই অ্যাপ সুনির্দিষ্টভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করা হয়েছে বলে স্থানীয় মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: ইউএনবি
শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধের মধ্যে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশে প্রবেশ স্থগিত করা হয়। এই পদক্ষেপ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর অন্তর্বর্তী বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতার সর্বশেষতম পদক্ষেপ। যদিও বর্তমান বিধিনিষেধের নির্দিষ্ট কারণগুলো স্পষ্ট করা হয়নি।
নিষেধাজ্ঞার সময়কাল সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিরা বলেন, এক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
গ্রামীণফোনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু অ্যাপ ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’
ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দেশে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালুর তিন দিনের মধ্যে গ্রাহকরা পাঁচ গিগাবাইট (জিবি) ডেটা বোনাস হিসেবে পাবেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে রোববার বৈঠকের পর রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মোবাইল ইন্টারনেটে ফোরজি সেবা চালু নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘তো আজকে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে আমাদের বৈঠক শেষে, যে আজকে বিকাল তিনটার সময় আমরা আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কে ফোরজি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি আমরা পুনস্থাপন করতে পারব ইনশাল্লাহ এবং বিকাল তিনটার পর থেকে সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি পুনস্থাপন করা হবে ইনশাল্লাহ এবং তার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা আমরা সবসময় দেব এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, তারাও যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এবং আশা করছি আমরা যে, আজকে বিকাল তিনটা থেকে আমরা পুনরায় মোবাইল ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা পুনঃসংযোগ করতে পারব, পুনস্থাপন করতে পারব।
‘এর সাথে সাথে যারা মোবাইলের, যাদের ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো ছিল, সেটা আসলে তাদের তো ব্যক্তিগতভাবে কোনো দোষ নাই, কিন্তু এ নেটওয়ার্কটা আসলে নিরবচ্ছিন্ন না থাকাতে তারা সেই সময় ইন্টারনেটটা ব্যবহার করতে পারে নাই। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে, তিন দিনের জন্য আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক যারা ব্যবহার করবেন এবং ফোরজিতে যখন যুক্ত হবেন, তখন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রত্যেক গ্রাহক তিন দিনের জন্য ফাইভ জিবি (গিগাবাইট) বোনাস ডেটা তারা পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে বোনাস, যেটা সকল ইন্টারনেট গ্রাহক যারা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন আজকে তিনটার পর তারা তিন দিনের মধ্যে তারা ফাইভ জিবি ডেটাটা, প্যাকেজটা তারা বোনাস হিসেবে পাবেন। এ বিষয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর তারা সম্মত হয়ে গেছেন।’
মোবাইল ইন্টারনেট ফোরজি চালুর জন্য আগামীকাল রোববার মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কবে ইন্টারনেট চালু হবে জানতে চাইলে পলক বলেন, ‘শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেয়া হবে। আগামীকাল (রোববার) সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রোববার-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেয়ার কারণে। এজন্য শুধু টেলিকম খাতেই পাঁচশ’ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ শত শত কোটি টাকা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।’
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিত নাশকতা ছিল। ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনও কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই-চারদিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।’
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে।
‘শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যার সমাধান (রিস্টোর) করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।’
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন:ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার বাদে গুগলসহ অন্য ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বিটিআরসির পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।
অগ্রাধিকারভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাতে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়।
গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালু হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইউটিউব ব্যবহার করা যাবে। তবে ফেসবুক, টিকটক, আকামাই ও বাইজেন ক্লাউড ক্যাশ সার্ভার আপাতত বন্ধই থাকছে।
ক্যাশ সার্ভার হল গুগল, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের মতো সাইটগুলোর প্রধান সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত সহযোগী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বা স্থানীয় ডেটা সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ থেকে গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন গুগল, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো। এগুলোর মূল সার্ভার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
আরও পড়ুন:মঙ্গগ্রহে পানির অস্তিত্বের ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার এক গবেষণায় জানা গেছে, লাল এই গ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতে বরফের আকারে পানি রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টন।
একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের দ্বারা দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণায় মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনসের ওপরে বরফের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা এই গ্রহে বিরল কিন্তু সক্রিয় জলচক্রের উপস্থিতি নির্দেশ করে।
এ বিষয়ে নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, মঙ্গলগ্রহের ঠান্ডা ঋতুতে প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য থারসিস আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের প্রাচীন ক্যালডেরাসে তুষারপাত হয়। মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে আর্দ্র বাতাস আগ্নেয়গিরির ঢালে পৌঁছায়। যখন এই বাতাস ঠান্ডা ক্যালডেরাসে পৌঁছায়, তখন এটি ঘনীভূত হয় এবং তুষারপাতের সৃষ্টি করে। এর ফলে তৈরি বরফের পাতলা স্তরটি মঙ্গলগ্রহের অনেক বড় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যা দেখে অনুমান করা যায়, সেখানে প্রায় দেড় লাখ টন পানি থাকতে পারে, যা পৃথিবীর ৬০টি বড় সুইমিং পুলের পানির সমান।
বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মঙ্গলের বিষুবরেখার এত কাছে বরফের আকারে পানির সন্ধান পেলেন। এর আগে তাদের ধারণা ছিল, পাতলা বায়ুমণ্ডল ও তীব্র সূর্যালোকের কারণে সেখানে বরফের স্তর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গবেষকদলের পক্ষে অ্যাডোমাস ভালান্টিনাস বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এরকম স্তর থাকা অসম্ভব। তবে এখন মনে হচ্ছে, ওই অঞ্চলে আগে সম্ভবত তুষারপাত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের তথ্য এবং ৩০ হাজার ছবি খতিয়ে দেখে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
এর ফলে তারা ধারণা করছেন, সেখানে অবশ্যই আগে বৃষ্টি হয়েছিল এবং সম্ভবত তুষারপাতও হয়েছিল। তারপরই এই বরফ ক্যালডেরাসে জমা হয়।
মন্তব্য