যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের বেশি সময় পর চাঁদে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পতাকা স্থাপন করেছে চীন।
দেশটির ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বায়ুশূন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ তারকা খচিত লাল পতাকাটি।
বৃহস্পতিবার রাতে চীনের নভোযান চ্যাংই-৫ চাঁদের মাটির নমুনা নিয়ে পৃথিবীর পথে উড়াল দেয়ার আগে একটি ক্যামেরা দিয়ে স্থাপিত পতাকার ছবিগুলো তোলা হয়।
এর আগে চীন দুইবার চন্দ্রাভিযানে তাদের পতাকা পাঠিয়েছিল। কিন্তু কোনোবারই চাঁদের বুকে স্থাপন করা যায়নি।
প্রথম দেশ হিসেবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে যুক্তরাষ্ট্র পতাকা স্থাপনের নজির গড়েছিল। মনুষ্যবাহী এপোলো ১১ এর মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে এ ইতিহাস গড়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ।
এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত টানা কয়েকটি চন্দ্রাভিযানে চাঁদের মাটিতে নিজেদের আরও পাঁচটি পতাকা স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, স্যাটেলাইটে দেখা গেছে চাঁদে স্থাপন করা পাঁচটি পতাকা এখনও দাঁড়িয়ে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সূর্য কিরণের কারণে পতাকার রঙ সাদা হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রীত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, চাঁদে চীনের পতাকা স্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো মিশনের ‘উত্তেজনা ও অনুপ্রেরণা’র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
দুই মিটার প্রস্থ ও ৯০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের পতাকাটি স্থাপন করা হয় চ্যাংই-৫ নভোযানের ল্যান্ডার ভেহিকলের মাধ্যমে। পতাকাটির ওজন প্রায় এক কিলোগ্রাম।
এই অভিযানের প্রধান লি উনফেং গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে পতাকাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এই প্রকল্পের ডেভেলপার চেং শাং বলেন, ‘পৃথিবীর সাধারণ জাতীয় পতাকা চাঁদের তীব্র পরিবেশে টিকে থাকতে পারে না।’
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের তীব্র চাপের মধ্যে শুক্রবার গাজা বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে বৈঠকে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের মধ্যে জীবনযাত্রার অবস্থাকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করা সত্ত্বেও সেশনের ফলাফল সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। খবর এএফপির
বুধবার কাউন্সিলের কাছে একটি চিঠিতে, গুতেরেস জাতিসংঘের সনদের আর্টিকেল ৯৯ আহ্বান করার অসাধারণ পদক্ষেপ নেয়, যেখানে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রক্ষণাবেক্ষণের এবং শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে তার মতে এমন যে কোনও বিষয় মহাসচিব কাউন্সিলের নজরে আনতে পারেন। বিগত কয়েক দশক ধরে নিয়োজিত থাকা কোনো মহাসচিব এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
গুতেরেস লিখেছেন, ‘ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে, এবং আশ্রয় বা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় আমি আশঙ্কা করছি যে মরিয়া পরিস্থিতির কারণে জনশৃঙ্খলা শিগগিরই সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে, এমনকি সীমিত মানবিক সহায়তাও অসম্ভব হয়ে উঠবে।’
তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এক বিপর্যয় প্রতিরোধে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান।
কাউন্সিল গুতেরেসের জরুরি আবেদনে মনোযোগ দেবে বলে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আশা প্রকাশ করেছেন।
ডুজারিক বলেন, বুধবার থেকে জাতিসংঘ প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এবং অন্যান্য বেশ কটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের চলা তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে বেশ কিছু পুরুষকে তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় দেখা গেছে।
উপত্যকাটির সুদূর উত্তরে বেইট লাহিয়ায় ওই ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অবশ্য কয়েকজনকে ছেড়েও দেয়া হয়েছে।
বিবিসি ফুটেজ যাচাই করে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের যে এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সপ্তাহ আগেই সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাদের অন্তর্বাস খুলে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং ইসরায়েলি সেনারা তাদের পাহারা দিচ্ছে।
আরেক ভিডিওতে কয়েক ডজন পুরুষকে একটি ফুটপাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের পাহারা দিচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা, সঙ্গে ছিল সাঁজোয়া যান।
অন্য কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন পুরুষকে সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এসব বন্দিদের আত্মসমর্পণকারী হামাস যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সরাসরি ফুটেজ ও ছবিগুলো নিয়ে মন্তব্য করেনি, তবে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সন্দেহভাজনদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য এসেছে তা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে।
শুক্রবার, ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, যে লোকদের উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং শেজাইয়াতে আটক করা হয়েছে ওই এলাকাগুলো হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক দিয়া আল-কাহলুত, কাজ করেন আল-আরাবি আল-জাদেদের সংবাদদাতা হিসেবে।
গাজার অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে এই অভিযান চলছে ব্যাপকভাবে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে।
হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর।
উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।
আরও পড়ুন:ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘প্রশ্নঘুষ’ কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সময় দেননি।
বহিষ্কারের ঘোষণা হওয়ার পর পরই সংসদের বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে এবং বাইরে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই সংসদ সদস্য।
লোকসভা থেকে বেরিয়ে মহুয়া বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিতে ‘এথিক্স’ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তারা সব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। এমন একটা কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো, যা লোকসভার সব সদস্যের মধ্যে প্রচলিত একটি অভ্যাস। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনো উপহার নিয়েছি, তার কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।
লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর এবার তার কাছেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠানো হবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, এবার আমার কাছে সিবিআই আসবে। ছয় মাস আমাকে সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হবে।
শুক্রবার লোকসভায় তৃণমূল, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষে মহুয়াকে নিজের বক্তব্য জানানো এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধও রাখেননি স্পিকার।
অতীতের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি জানান, আগেও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত সদস্য কিছু বলার সুযোগ পাননি। পাশাপাশি বিজেপির যুক্তি ছিল, মহুয়া আগে নিজের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান।
অন্যদিকে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। একজন নারীকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যেভাবে হেনস্থা করল, তাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো। দল মহুয়ার পাশে ছিল, আছে। বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি প্রমাণিত।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ, লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে মহুয়া শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে ঘুষবাবদ নগদ এবং উপহার নিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরুর পর থেকে ২১ হাসপাতালের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে কমপক্ষে ১১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের বরাত দিয়ে শুক্রবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২৮৭ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। এ ছাড়া কমপক্ষে ৫৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়। এর ফলে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকা কেন্দ্রগুলোতে আহত ব্যক্তিদের পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকে উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরবর্তী সময়ে গাজায় স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ১৭ হাজার ১৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ১৫০ ইসরায়েলি নিহত হয় বলে জানায় দেশটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি বিল পাস করেছে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট।
বিভিন্ন সময় কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আল জাজিরার শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার এই আইনের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে পড়ে ৭৭ ভোট।
এ আইন পাসের পর কেউ পবিত্র কোরআন পোড়ালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানাও করা হবে।
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, এ আইন পাসের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ডেনমার্কে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করা।
ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড ও কোরআন অবমানাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে।
এর আগে গত আগস্টে ডেনমার্কের সরকার জানায়, আগুনে পুড়িয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে কেউ যেন পবিত্র কোরআন অবমাননা না করতে পারেন সে জন্য একটি আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
এবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়, ফেডারেল প্রসিকিউটররা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা করেছেন।
হান্টারের বিরুদ্ধে ৫৬ পৃষ্টার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি ইউক্রেন, চীন, রোমানিয়াসহ অন্য দেশে ব্যবসা ও স্কিম চালিয়ে প্রচুর সম্পদ আয় করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ফেডারেল ট্যাক্স অন্তত ১.৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেননি। তার বিরুদ্ধে কর না দেয়া, ভুয়া করের রিটার্ন দাখিল, সঠিকভাবে কর না ধার্য করাসহ মোট ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে হান্টার বাইডেনের ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।
এর আগে, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী ৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেনকে গত সেপ্টেম্বরে আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রবার্ট জেনরিক।
দেশটির নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের করা চুক্তিতে মতানৈক্য থাকায় তিনি বুধবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
রবার্ট জেনরিক বলেন, ‘অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারের নীতির নির্দেশনার সঙ্গে মতানৈক্য থাকলে তিনি তার অবস্থানে থাকতে পারবেন না।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একজন রাজনীতিবিদ হতে অস্বীকার করি, যে ব্রিটিশ জনসাধারণের কাছে অভিবাসনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেগুলো পালন করতে পারেন না।’
এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসীপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজ দেশের অভিবাসী কেন্দ্রগুলো থেকে সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডা পাঠাবে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন থেকে যাওয়া অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না বলে রুয়ান্ডারকে শর্ত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য