নামমাত্র মূল্যে চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করতে চারটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এর মধ্যে মূল্য হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানকে এক ডলার পরিশোধ করবে তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপির একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, চাঁদের মাটি বা ধুলা পেতে চারটি কোম্পানির সঙ্গে বৃহস্পতিবার চুক্তির ঘোষণা করে নাসা। তাতে মূল্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে নিতান্তই নামমাত্র, ১ থেকে ১৫ হাজার ডলার।
ভবিষ্যতে বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশ বিষয়ক গবেষণার নজির স্থাপনের লক্ষেই এই উদ্যোগ।
যে চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাসা চুক্তি করেছে, সেগুলোর মধ্যে কলোরাডোর ‘লুনার আউটপোস্ট অব গোল্ডেন’কে দেয়া হবে এক ডলার।
এ ছাড়া টোকিওর ‘আইস্পেস জাপান’কে দেয়া হবে ৫ হাজার ডলার, লুক্সেমবার্গের ‘আইস্পেস ইউরোপ’কে দেয়া হবে ৫ হাজার ডলার এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ‘মাস্টেন স্পেস সিস্টেম অফ মোজাভে’কে দেয়া হবে ১৫ হাজার ডলার।
বিষয়টি নিয়ে নাসার কমার্শিয়াল স্পেসফ্লাইট বিভাগের পরিচালক ফিল ম্যাক অ্যালিস্টার বলেন, ‘২৫ হাজার ১ ডলারে চারটি কোম্পানির কাছ থেকে আমরা চাঁদের ধুলা কিনতে পারব – এটা বিস্ময়কর ব্যাপার।’
সূচি অনুযায়ী ২০২২ ও ২০২৩ সালে চাঁদে পরিচালিত মনুষ্যবিহীন অভিযানের মাধ্যমে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের ধুলা, মাটির নমুনা নিয়ে আসার পরিকল্পনা কোম্পানিগুলোর।
প্রতিষ্ঠানগুলো চাঁদ থেকে খুব কম পরিমাণ মাটি বহন করে আনবে। এই ধুলা বা মাটি ‘রিগোলিথ’ নামেও পরিচিত, যা কঠিন পাথরে আলগাভাবে পড়ে থাকে। চাঁদ থেকে এসব নমুনা এনে নাসার সংগ্রহশালায় দিয়ে দেয়া হবে।
এর মধ্য দিয়ে চাঁদের এ মাটি নাসার মালিকানায় পরিণত হবে এবং তারাই থাকবে একমাত্র মালিক। আর্টেমিস প্রোগ্রামের আওতায় নাসা এসব ব্যবহার করতে পারবে।
আর্টেমিস প্রোগ্রাম হলো নাসার পরিচালিত বাণিজ্যিক স্পেসফ্লাইট কোম্পানিগুলোর একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষ প্রেরণ।
এ কার্যক্রমকে মহাকাশে টেকসই অনুসন্ধানের ভিত্তি হিসেবে নেয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত লক্ষ্য মঙ্গলে অভিযান চালানো।
আন্তর্জাতিক ও ইন্টারএজেন্সি সম্পর্ক বিষয়ক নাসার ভারপ্রাপ্ত সহযোগী প্রশাসক মাইক গোল্ড বলেন, ‘আমরা বর্তমানে যা করছি, এই চুক্তি তার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
মাইক গোল্ডের মতে, বেসরকারি উদ্যোগে চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে যা জানা যাবে, তা মঙ্গল অভিযানের জন্য কাজে দেবে।
তিনি বলেন, ‘চাঁদে অভিযানের চেয়ে মঙ্গলে মানুষের অভিযান বেশি প্রয়োজনীয় এবং চ্যালেঞ্জিং। আর এ কারণেই চাঁদ থেকে পাওয়া আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। এসব অভিজ্ঞতা মঙ্গলের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে।’
যেহেতু বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও এখন মহাকাশ অভিযান শুরু করছে, তাই মহাকাশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ভাগাভাগি কী হবে, তা এখনও মীমাংসা হয়নি।
চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমন একটি সম্মিলিত উদ্যোগই খুঁজছিল নাসা। কেননা মহাকাশের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে এখনও সমঝোতায় পৌঁছায়নি দুই বৃহৎ শক্তি চীন ও রাশিয়া।
সীমিত বেতনের চাকরিজীবী রাজীব। অফিসে আসা-যাওয়ার জন্য গণপরিবহনই তার ভরসা, তবে পরিবার নিয়ে যাতায়াতের সময় ভিড়ে ঠাসা গণপরিবহনে উঠতে স্বস্তি বোধ করেন না তিনি।
ঢাকার রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়াও সবসময় সহজ নয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পাওয়া গেলেও চালকরা যে ভাড়া হাঁকান, তা অনেক সময় যাত্রীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এমন বাস্তবতায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক সমাধান খুঁজছেন রাজীব।
এ চাকরিজীবীর মতো অনেকেই এমনটি খুঁজছেন। তাদের জন্য সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস।
উবারের ভাষ্য, তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। ঘরে বসেই যেকোনো সময় রাইড বুক করা যায় বলে এ সেবা গ্রহণ সুবিধাজনক।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসটি জানায়, অটোরিকশা সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবারের দুই-তিনজন সদস্য বা বন্ধুকে নিয়ে কম খরচে, আরামদায়কভাবে চলাফেরা করা যায়। আবার রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের ইন-অ্যাপ সব সুবিধাও পাওয়া যায়।
নিরাপত্তাকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে উবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সার্ভিস ব্যবহার করলে নিজের ও প্রিয়জনের নিরাপত্তা নিয়ে থাকা যায় নিশ্চিন্ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানানো, সেফটি টুলকিট, হটলাইন, ইন্স্যুরেন্স পলিসিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তার ফিচার এখানে রয়েছে।
আরও পড়ুন:বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসসিপিএলসি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছেন। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।
বিএসসিপিএলসি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো- সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।
বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।
আরও পড়ুন:আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এ স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের।
কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে এখন আছে সর্বজনীন সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস। মাঝারি বাজেটে এ প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন।
ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এ কাজ করতে সক্ষম।
টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে। বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়। মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে।
ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে। পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো
ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। যেমন ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে, এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।
পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে, নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
বিশ্ব ফুটবলের নজরকাড়া লড়াই উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে আগামী বছর। পুরুষদের ফুটবলে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে লড়বে ২৪টি দল। ইউরোপের ওই লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে সারাবিশ্ব। আর মর্যাদার ওই লড়াইয়ে অফিসিয়াল পার্টনার ও স্মার্টফোন স্পন্সর হিসেবে থাকছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো।
আগামী বছর ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ভিভোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুটবল ভক্তদের সাথে যোগ দিতে পেরে ভিভো রোমাঞ্চিত। অফিসিয়াল পার্টনার এবং অফিসিয়াল স্মার্টফোন হিসেবে, ভিভো বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে তার অত্যাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে ভিভো উয়েফা-এর সাথে প্রতিটি খেলার পরে "প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ" অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবে।
স্মার্টফোনে ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এরইমধ্যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছে ভিভো। সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা ভিভো ভি২৯ ও ভি২৯ই তে আছে স্মার্ট অরা লাইট প্রযুক্তি। যা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফিতে নিয়ে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও নিখুঁতভাবে আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের ওই আসরের বয়স তখন ছিল ৬০ বছর। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওই আসরে শিরোপা জিতে নেয় ইতালি। মানসম্মত ও আকর্ষনীয় ছবি তুলতে ভিভো সব ধরনের উদ্যোগ নেয়। যাতে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এসব উদ্যোগ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় ফুটবলভক্তদের। ওই আসরে একজন ভক্ত ভিভোর উদ্যোগে সুযোগ পায় ফাইনাল উপভোগ করার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
স্মার্ট ৮ মডেলের নতুন বাজেট স্মার্টফোন বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স।
সাধ্যের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের সব প্রযুক্তিপ্রেমীর সব ধরনের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী করেই স্মার্টফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
বাজেটবান্ধব স্মার্ট ৮-এ আছে ৬.৬ ইঞ্চির ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেলের এইচডি+ ডিসপ্লে। পাশাপাশি ফোনটি ব্যবহারে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে ডিসপ্লেতে আছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০ হার্টজের টাচ সেম্পলিং রেট। প্রসেসর হিসেবে স্মার্ট ৮ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসকের ১.৬ গিগাহার্টজ টি৬০৬ অক্টাকোর প্রসেসর। আর মাল্টিটাস্কিংয়ের সুবিধা দিতে ফোনটিতে আছে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।
ছবি তোলার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে স্মার্ট ৮-এর পেছনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। সামনের দিকে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। কম আলোতে ভালো ছবি ধারণ করতে ফোনটির পেছনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রিং এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট।
যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ফোনটিতে ফোরজি ডুয়াল সিম ব্যবহার করা যাবে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও ফোনের সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইস সংযুক্ত করতে ফোনটিতে ব্লুটুথ ৫ ব্যবহার করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৩-এর ওপর ভিত্তি করে চলা ইনফিনিক্সের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এক্সওএস ১৩ আছে স্মার্ট ৮-এ। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফোনটির পাশের দিকে আছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। স্মার্ট ৮-এর ব্যাটারি সক্ষমতা ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার এবং চার্জিংয়ের জন্য সঙ্গে থাকছে ১০ ওয়াটের চার্জার ও উন্নত সংস্করণের সি-পোর্ট।
পছন্দের রঙের ফোন বেছে নেয়ার জন্য টিম্বার ব্ল্যাক, গ্যালাক্সি হোয়াইট, ক্রিস্টাল গ্রিন ও শাইনি গোল্ড রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্ট ৮।
ফোনটির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৯ টাকা, তবে অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিসহ ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায় স্মার্ট ৮ পাওয়া যাবে দারাজে। এ ছাড়াও ফোনটির ৪জিবি+৬৪জিবি ভার্সনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার ৪৯৯ টাকায়।
আরও পড়ুন:বিশ্বে বিগত এক লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে ২০২৩ সালের উষ্ণতম বর্ষ হওয়া ‘দৃশ্যত নিশ্চিত’ বলে বুধবার জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিজ্ঞানীরা।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর স্মরণকালের সবচেয়ে উষ্ণ অক্টোবর হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা উল্লিখিত তথ্য জানিয়েছেন।
ইইউর কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) জানায়, অক্টোবরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে যায় গত মাসে। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবর স্মরণকালের উষ্ণতম অক্টোবর ছিল বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
সিথ্রিএসের উপপরিচালক সামান্থা বুরগেস এ বছরের অক্টোবরের তাপমাত্রা ‘অতি চরমভাবাপন্ন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, গত মাসে তাপমাত্রা দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হওয়ার মধ্য দিয়ে আগের রেকর্ড ভেঙে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানবীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে অব্যাহত গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন, চলতি বছরে এল নিনোর প্রভাবে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণায়নের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে।
সিথ্রিএস জানায়, চলতি বছরের অক্টোবরে ভূপৃষ্ঠে বায়ুর তাপমাত্রা ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল নাগাদ একই মাসের তাপমাত্রার চেয়ে এক দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ইইউর সার্ভিসটি জানায়, তাপমাত্রার রেকর্ডভাঙা অক্টোবরের অর্থ হলো ২০২৩ সাল যে স্মরণকালের উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে, তা ‘দৃশ্যত নিশ্চিত’।
দেশের বাজারে ‘কিসিলেক্ট কেআর-২’ও ‘কিসিলেক্ট কেএস-২’ মডেলের নতুন দুইটি স্মার্টওয়াচ নিয়ে এসেছে ডিভাইসটির নির্মাতা ব্র্যান্ড কিসিলেক্ট।
রাজধানীর মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় বুধবার অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্মার্টওয়াচ দুটি উন্মোচন করা হয়।
স্মার্টওয়াচ দুটি বিক্রি ও বিপণন করবে ব্র্যান্ডটির বাংলাদেশের পরিবেশক মোশন ভিউ লিমিটেড।
উন্মোচন অনুষ্ঠানে কিলিসেক্ট ব্র্যান্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার হাসান মুহতাদি, মোশন ভিউ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ইমরুন হাসানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দেশের জনপ্রিয় টেক-ইউটিউবার আশিকুর রহমান তুষার (এন্ড্রয়োড টোটো কোম্পানি-এটিসি), সোহাগ মিয়া (সোহাগ-৩৬০), মি স্যাম (স্যাম জোন), ওয়াহেদুজ্জান (টেক-টু-দ্য পয়েন্ট), মি বাবুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নতুন স্মার্টওয়াচ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন কিসিলেক্ট ব্র্যান্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার মুহতাদি হাসান।
কিসিলেক্ট কেআর-২
ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডজয়ী স্মার্টওয়াচটিতে ১.৪৩ ইঞ্চি আকারের গোলাকার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ১০০০ নিটস ব্রাইটনেসের ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ৪৬৬*৪৬৬ পিক্সেল। ঘড়িটিতে ট্রিপল স্পিডের ডুয়াল কোর প্রসেসর দেয়া হয়েছে, যার একটি কোর কলিংয়ের জন্য আলাদা কাজ করবে। ফলে কলিং ফিচার ও অন্যান্য ফিচারগুলো একসঙ্গে কোনো ধরনের ল্যাগ ছাড়া চলবে। নতুন প্রযুক্তির এ প্রসেসরের কারণে ঘড়িটি এর আগের মডেলের চাইতে ৩০ শতাংশ কম ব্যাটারি খরচ করবে। ঘড়িটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে দেয়া হয়েছে কিসিলেক্টের আপডেটেড কাই ওএস, যাতে থাকছে অসংখ্য কাস্টমাইজেশন ফিচার; ২০০+ ভিন্ন ওয়াচফেইস।
ঘড়িটির অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে এটি বাংলা সাপোর্ট করে। ঘড়িটিতে শতাধিক স্পোর্টস মোড যুক্ত করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে আইপি-৬৮ গ্রেডের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স। ঘড়িটিতে থাকছে ৩৬০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা একবার ফুল চার্জে ভারি ব্যবহারে ৪-৫ দিন চলবে এবং ১৫ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই মোডে ব্যাকআপ দেবে।
স্বাস্থ্যগত ফিচার হিসেবে এতে প্রথমবারের মতো আপগ্রেডেড বায়োমেট্রিক সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি একই সঙ্গে হার্ট রেট, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা (SPO2) এবং স্ট্রেস মাপতে সক্ষম।
এক বছরের ওয়ারেন্টিসহ ঘড়িটির দাম ৮,৮৯৯ টাকা। ঘড়িটি স্টেইনলেস স্টিল ও ব্ল্যাক দুটি ভিন্ন কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
কিসিলেক্ট কেএস-২
চারকোনা আকারের ও অপেক্ষাকৃত বড় ডিসপ্লে পছন্দ করেন এমন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে মডেলটিতে ২.০১ ইঞ্চি আকারের বর্গাকার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, যার রেজুলেশন ৪০১*৫০২ পিক্সেল এবং ব্রাইটনেস ১০০০ নিটস। ঘড়িটিতে কেআর-২ মডেলের মতোই প্রসেসর ও সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। কলিং ফিচার, মিউজিক কন্ট্রোল, স্পোর্টস মোড, হেলথ ট্র্যাকার প্রভৃতি ফিচার ও কেআর-২-এর মতোই। স্মার্টওয়াচটিতে থাকছে নীল-কালো সংমিশ্রণের ম্যাগনেটিক স্ট্র্যাপ। এর দাম ৮ হাজার ৮৯৯ টাকা। সঙ্গে মিলবে ১ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।
দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় মোশন ভিউয়ের বিদ্যমান ডিস্ট্রিবিউশন, ৪০০০+ রিটেইল পয়েন্ট, নিজস্ব আউটলেট, পার্টনার আউটলেট ও অনলাইন চ্যানেলে স্মার্টওয়াচ দুটি একযোগে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য