× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
Tareq played a key role in the grenade attack in support of the pirates
google_news print-icon

খালেদার সমর্থনে গ্রেনেড হামলায় মুখ্য ভূমিকায় তারেক

খালেদার-সমর্থনে-গ্রেনেড-হামলায়-মুখ্য-ভূমিকায়-তারেক
২১ আগস্ট হামলার ১৭ বছর পূর্তির দিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে।
‘সে (তারেক রহমান) তো দীর্ঘদিন এই ষড়যন্ত্র তৈরি করা এবং এটাকে কার্যকর করাতে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা…। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই তার পেছনে ছিল এবং সমর্থন দিয়েছে।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন, সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব কিছুই জানতেন, আর তিনি সমর্থন জানিয়ে গেছেন।

নৃশংস এই হামলার ১৭ বছর পূর্তির দিন শনিবার ক্ষমতাসীন দল নানা আয়োজনে এই হামলায় নিহতদের স্মরণ করছে। একই দিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি সেই হামলার প্রধান লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুকন্যার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে।

সেই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা হামলার বর্ণনার পাশাপাশি এর আগের ও পরের বেশ কিছু ঘটনা তুলে ধরেন। বলেন, তাকে হত্যার জন্য যে দীর্ঘ প্রচেষ্টা ছিল, গ্রেনেড হামলা তারই ধারবাহিকতা।

সেই হামলায় শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও দলের ২২ নেতা-কর্মী সেদিন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৫০০ মানুষ। পেছনে ফিরে তাকালে কী অনুভূতি হয়- এমন প্রশ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

জবাবে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সাল থেকে শুরু করে এসব ঘটনা ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড ও বোমা হামলার কথা তুলে ধরেন।

সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলায় তিন-চারজন নিহতের পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর আহত হওয়ার কথাও বলেন।

তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকের ওপর হামলা করা এবং আহত করা এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে খুব খারাপভাবে নষ্ট করে। আমরা একটি সন্ত্রাসবিরোধী র‍্যালি করার সিদ্ধান্ত নিই।’

সমাবেশটি আওয়ামী লীগ মুক্তাঙ্গনে করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার অনুমতি দিচ্ছিল না। পরে সিদ্ধান্ত হয়, সেটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে।

আগের রাতে ১১টার দিকে হঠাৎ অনুমতি দেয়া হলেও সমাবেশটি দলীয় কার্যালয়েই করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মাইক-টাইক লাগানো হয়ে গেছে, পোস্টার ছাপানো, প্রচার সবকিছু হয়ে গেছে। তা আমরা ওখানেই আমাদের সমাবেশটা করি।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখার শেষ পর্যায়ে হয় গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মাইকটাও হাত থেকে রাখতে পারিনি। এরই মধ্যে এই বোমার আওয়াজ।’

নেতা-কর্মীরা কীভাবে নিজেরা স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা করেন, সেটিও উঠে আসে তার বয়ানে।

খালেদার সমর্থনে গ্রেনেড হামলায় মুখ্য ভূমিকায় তারেক
গ্রেনেড হামলা থেকে নেত্রীকে বাঁচাতে মানবঢাল তৈরি করেন নেতা-কর্মীরা। ফাইল ছবি

তিনি বলেন, ‘বোমার আওয়াজটার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীরা আমাকে ধরে বসিয়ে দেয়। বিশেষ করে হানিফ (সাবেক মেয়র মো. হানিফ) ভাইয়ের কথা আমি বলব। তা ছাড়া মামুন, আমার সঙ্গে কাজ করত। অজিত, মায়া (মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া) ওরা সবাই ওখানে ছিল। ট্রাকের ভেতরেই কিন্তু তখন আমরা। আমাকে একদম ঘিরে রাখে।

‘একটার পর একটা গ্রেনেড কিন্তু… প্রথমে তিনটা তারপর আবার তিনটা এভাবে প্রায় এক ডজনের কাছাকাছি গ্রেনেড তারা ছুড়ে মারে। সত্যি কথা বলতে কি, তখন আসলে নিজের কথা ভাবার চেয়ে আমার চিন্তা ছিল, এতগুলো মানুষ আমার ট্রাকের ওপরে আর আশপাশে আমাদের নেতা-কর্মীরা সবাই। সে সময় কার যে কী অবস্থা কিছুই বুঝতে পারছি না।

‘যা-ই হোক, একটা পর্যায়ে যখন গ্রেনেড হামলা তখন কিছুটা থামল। আমাকে যে গ্রেনেড মেরেছিল, তার স্প্লিন্টারগুলো বিশেষ করে হানিফ ভাই, তিনি তখন ঢাকা সিটি মেয়র, আমাকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছিল, সমস্ত স্প্লিন্টারগুলো তার মাথায় পড়ে, গায়ে পড়ে। তার সেই রক্ত আমার শরীরে, মানে আমার কাপড়ে চলে আসে। সবাই মনে করে যে আমি মনে হয় আহত। আমি বলি না আমার কিছু হয়নি। এটা আমার কাছে একটা বিস্ময় যে আমার গায়ে একটাও স্প্লিন্টার লাগেনি। কিন্তু আমার চশমাটা হারিয়ে যায়।

‘যে মুহূর্তে গাড়িতে উঠতে যাব, দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ছিল, আমার সঙ্গে একজন সেনা কর্মকর্তা মাহবুব, ও ছিল আমার ড্রাইভার কাম সিকিউরিটি। ও গেটটা খুলে দাঁড়ায়। আর ঠিক সে সময় গুলি একটা চলে আসে। সেখানে মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।’

শেখ হাসিনা জানান, তিনি যখন গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ছেড়ে বাড়ির পথে ছিলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে এবং কাঁদানে গ্যাস মারে।

যে রকম হামলা হয়েছে, সেখান থেকে প্রাণ রক্ষা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া সম্ভব ছিল না বলেও মনে করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, ‘আল্লাহ হয়তো আমার জীবনটা বাঁচিয়ে রেখেছেন। কারণ, আগেও তো আমি বেশ কয়েকবারই এ ধরনের হামলার শিকার হয়েছি। হয়তো আমার হাত দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কোনো কল্যাণ তিনি করবেন। এ জন্যই বুঝি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এ ছাড়া আর কী?’

খালেদার সমর্থনে গ্রেনেড হামলায় মুখ্য ভূমিকায় তারেক
হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মহিলা আওয়ামী লীগের তখনকার সভাপতি আইভি রহমান। ফাইল ছবি

এই হামলা পরিকল্পিত ছিল- এমন মন্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও হত্যার প্রচেষ্টা তো বহুদিন ধরেই ছিল।

আওয়ামী লীগ প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়। কাজেই সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ তারা নিতে চেয়েছে। এ জন্যই…।

সে সময়ের সরকারপ্রধান বেগম খালেদা জিয়ার নানা উক্তি আর জোট সরকারের আমলে তদন্তের নামে যা যা হয়েছে, তাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, এমন প্রশ্নও ছিল শেখ হাসিনার কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার একেকটা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে কিন্তু একেকটা ম্যাসেজ যায়।’

বিএনপি নেত্রীর সে সময় একটি বক্তব্য ছিল যে, আওয়ামী লীগ এক শ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আরেকবার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনো দিন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবেন না শেখ হাসিনা।

এসব বক্তব্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে তার বক্তব্য, এর থেকেই তো বোঝা যায়, যে তাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল।’

জোট সরকারের সরকারের সবাই এই হামলায় জড়িত ছিল- এমন অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা তো খুব স্পষ্ট। তার (খালেদা জিয়া) কেবিনেটের মন্ত্রী সালাম পিন্টু, সে এর সঙ্গে জড়িত। তখন ডিজিএফআই-এনএসআই কর্মকর্তারা, পুলিশের কর্মকর্তারা তাদের নিয়েই কিন্তু এ চক্রান্তটা করে।’

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানই এই হামলার হোতা বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘সে (তারেক রহমান) তো দীর্ঘদিন এই ষড়যন্ত্র তৈরি করা এবং এটাকে কার্যকর করাতে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা…। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই তার পেছনে ছিল এবং সমর্থন দিয়েছে।’

খালেদার সমর্থনে গ্রেনেড হামলায় মুখ্য ভূমিকায় তারেক
একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে গ্রেনেড। মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ আর রক্তে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে সেই সড়কটি। ফাইল ছবি

শেখ হাসিনা জানান, ঘটনার আগে তারেক রহমান তার শশুরবাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। কিন্তু আগস্টের আগে সে সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে সন্দেহ ছিল, এখানে বসে সে কিছু একটা ঘোট পাকাচ্ছে।…হাওয়া ভবন মানে যত দুর্নীতির আখড়া আর যত এ রকম চক্রান্ত সব, সেখানে বসে বসে চক্রান্ত করা, এটাই ছিল তার কাজ।’

হামলার পর যা ঘটেছিল, তাতেও শেখ হাসিনার মনে বদ্ধমূল ধারণা জন্মে যে, সেই হামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা ছিল।

তিনি বলেন, ‘একটি গ্রেনেড সেটা বিস্ফোরিত হয়নি, একজন সেনা অফিসার সেটা নিয়ে যায়। তার একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যে এটা রেখে দিতে হবে। কারণ, এটা কেসে কাজে লাগবে।

‘কিন্তু আমি শুনেছি যে, এটা শোনার পরই খালেদা জিয়া নিজে ধমক দিয়েছে যে এটা করা যাবে না। এটা যেন ধ্বংস করে দেয়া হয়।

‘সিটি করপোরেশন থেকে গাড়ি নিয়ে এসে ওই জায়গাটা ধুয়েমুছে সমস্ত কিছু পরিষ্কার করে ফেলা হয়, সব আলামত সরিয়ে ফেলে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত এ রকম কোনো ঘটনা ঘটলে সেখানে পুলিশ যায়, সব আলামত সংগ্রহ করে। কিন্তু তাদের সে রকম কোনো প্রচেষ্টা ছিল না বরং সব আলামত ধ্বংস করে ফেলা এবং মুছে ফেলার চেষ্টা…’

তিনি জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সে সময়ের যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আলামতগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। বলেন, ‘যেখানে যেখানে গ্রেনেড পড়ে ছিল, ওরা তখন গিয়ে সেগুলো অন্তত চিহ্নিত করে।’

তদন্ত কমিশনের নামে তখন একটা ‘তামাশা’ করা হয় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বলল, পাশের দেশ থেকে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের দলের এতজন এমপি আহত। আইভি রহমান তিনি নিহত হয়েছেন। তা ছাড়া আরও অনেক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।

‘আমরা যারা ছিলাম, কথা বলতে চেয়েছি, কথা বলতে দেয়নি পার্লামেন্টে। এটা নিয়ে আলোচনাই করতে দেবে না। খালেদা জিয়া তো বলেই বসল, ওনাকে আবার কে মারতে যাবে।

‘তার ও তার নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, উনি তো নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার হাতে তো ভ্যানিটি ব্যাগ ছিল না। আমি তো ব্যাগ ছাড়াই মঞ্চে উঠেছি। গ্রেনেডটা আমি নিলাম কীভাবে? আর গ্রেনেড মারতে এত পারদর্শী কীভাবে হলাম? আর এটা হলো আর্জেস গ্রেনেড, যেটা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

‘এটা পাকিস্তান থেকেই আসা। এটা তো পরে বের হয়েছে। কাজেই সবকিছুতে তাদের সম্পৃক্ততা, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই।’

যে অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, সেটি সাধারণ মানুষের জন্য, একটা দলের ওপর ব্যবহার করার কথা জানিয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

খালেদার সমর্থনে গ্রেনেড হামলায় মুখ্য ভূমিকায় তারেক
ছয় বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য সফরে গেলে দেখা হয় তারেক রহমানের সঙ্গে। ফাইল ছবি

সেদিন যদি আপনাকে হত্যা করা হতো বাংলাদেশের অবস্থা হতো আফগানিস্তানের মতো… আপনার অভিমত কী? এই প্রশ্ন রাখেন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাই এটা বিশ্বাস করে। তার কারণ, খালেদা জিয়ার আমলে যেভাবে সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া হয়েছে। রাজশাহীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাংলা ভাই, তারা মিছিল করছে। আর পুলিশ তাদের পাহারা দিচ্ছে। আর বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরা তাদের মদদ দিচ্ছে।

নাটোর রাজশাহীর বহু নেতা প্রকাশ্যে এদের মদদদানকারী। পরবর্তীতে আপনি দেখেন, জঙ্গিবাদ যেভাবে, কিবরিয়া সাহেবকে একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যা করা হলো। সুরঞ্জিত সেনের মিটিংয়ে বোমা হামলা, সিলেটে কামরানের মিটিংয়ে আরেকবার বোমা হামলা। এভাবে তো সারা বাংলাদেশে চলছিল।’

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলার কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘বিএনপি আমলে তো একটা সন্ত্রাসী দেশ করেই ফেলেছিল এবং বহু লোক চলে যায় আফগানিস্তানে ট্রেনিং নিয়ে আসে। এই মুফতি হান্নান নিজেই তো ট্রেনিং নিয়ে আসে। তারপর তাজউদ্দিন আরেকজন যে সেও তো ট্রনিং নিয়ে আসে। এরা তো সব বিএনপির লোক, তাজউদ্দিন তো বিএনপির খাস।’

গ্রেনেড হামলার পর ওই রাতেই চারজনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তুলে দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বলেন, ‘বিশেষ ব্যবস্থায় তারা চলে যায়। সেখানে কিন্তু ডালিম আর রশিদও ছিল। জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে যে জিয়াউর রহমান জড়িত এবং তার স্ত্রী যে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে, ছেলেকেও একই পথে নামিয়েছে, এটা তো স্পষ্ট।’

শুধু ২১ আগস্ট নয়, আপনাকে হত্যার জন্য ২০ থেকে ২২ বার হামলা করা হয়েছে। এই যে এতবার আপনার ওপর হামলা, এত আক্রোশ কেন আপনার ওপর? এরা কারা?

এই প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর তাকে নানাভাবে বাধা দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

বলেন, ‘আমি যখন খুলনা থেকে রাজশাহী রওনা হলাম, এত মানুষ মানুষের ঢল সব জায়গায়। এর কারণে ১৫ আগস্টের পর মানুষ কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু আমি আসার পর মনে হলো মানুষের একটা যেন জোয়ার চলে আসলো।

‘পথে পথে মিটিং করতে করতে আমাদের এত সময় লাগল যে রাত ১১টার দিকে আমি ঈশ্বরদীতে গিয়ে মিটিং করি। নাটোরে ঢুকব, সেখানে আমার মঞ্চ ভেঙে দিল, আগুন দিয়ে পোড়াল, আমাদের নেতা-কর্মীদের এখানে ওখানে মেরে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে দিল।’

১৫ আগস্টের পর দেশে আসতে না দেয়া, জিয়াউর রহমান রেহানার পাসপোর্টটাও করতে না দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বলেন, ‘তারপর আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে, আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসবই। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, এই শক্তিটাই তো জিয়াউর রহমানের আমলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজত্ব হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারাই দেশ চালায়। লাখো শহীদ যে রক্ত দিল, যে আদর্শ নিয়ে সেটা তো সম্পূর্ণ অস্বীকার করল। মুক্তিযুদ্ধের পুরো ইতিহাসই তো বিকৃত করা হয়েছিল।’

দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ফিরিয়ে দিতে, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে চেষ্টা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তাদের প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশ যেন কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। স্বাধীনতাটা যেন অর্থবহ না হয়। এটাই তো আসল উদ্দেশ্য ছিল।’

গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছেন তিনি।

জাতির পিতা যদি বেঁচে থাকলে আরও ৪০ বছর আগেই সেটা করা যেত বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।

বলেন, ‘আমি এসে সে আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা তো সেটা চায়নি।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শরিকদের ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’- এই স্লোগানের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আজকে আফগানিস্তানের অবস্থাটা তারা দেখুক যে সেখানে কী অবস্থা। সেটিই সে বাংলাদেশে করতে চেয়েছিল।’

তরুণসমাজকে ইতিহাস আর শিকড়ের সন্ধানের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আদর্শ নিয়েই চলতে হবে যাতে লাখো শহীদের রক্ত বৃথা না যায়।’

মৃত্যু একদিন হবেই- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তিনি যেদিন জীবন তুলে নেবেন, কাজেই আমার এটা নিয়ে চিন্তা নেই। আমি একটাই চিন্তা করি, সকালে উঠে ভাবি একটা দিন পেলাম অন্তত দেশের জন্য একটু কাজ করতে পারলাম।’

আরও পড়ুন:
গ্রেনেড হামলার স্থানে জবির শ্রদ্ধাঞ্জলি
‘কেয়ামত নেমে এসেছিল সেদিন’
আল্লাহ হাতে তুলে বাঁচিয়েছে: শেখ হাসিনা
তারেকসহ ৩ জনের অবস্থান জানা, ১২ জন কোথায়
২১ আগস্টের শহীদ স্মরণে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

রাজনীতি
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

রাজনীতি
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

রাজনীতি
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Salahuddin has been accused of disappearing against seven people including Hasina in the tribunal

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গুমের অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিন এই অভিযোগ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য যাদের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন সালাহউদ্দিন। এ সময়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ আইনজীবীরা সাথে ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ তুলে দেন তিনি।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয় বলে তখন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। অন্যদিকে তখন বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

সে সময় সালাহউদ্দিন বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান। দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট সালাহউদ্দিন দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পান। ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
EC locked Nahids NID while he was an adviser

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। তবে নাহিদ ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উপদেষ্টা পদে থাকাবস্থায় লক করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি।

তবে অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় ৫ দিন পর আনলক করে দেওয়া হয় নাহিদের এনআইডি।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে এনটিএমসি জানায়, ‘ভণ্ডবাবা’ গ্রুপের অ্যাডমিন নাহিদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার এনআইডির নম্বরও দেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে। এরপর তদন্তে নামে অনুবিভাগ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর লক করা হয় নাহিদের এনআইডি।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ‘ভণ্ডবাবা’ হোয়াটসঅ্যাপের কোনো গ্রুপ নয়। এটি টেলিগ্রামের একটি গ্রুপ। আর নাহিদ ওই গ্রুপের অ্যাডমিন নন।

তার এনআইডির বিপরীতে কোনো তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায়, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডি আনলক করে দেয় সংস্থাটি।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু এই ভোটার কর্তৃক ডাটা সরবরাহ করার বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেহেতু মো. নাহিদ ইসলামের এনআইডি আনলক করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নথি উত্থাপন করা হলে ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডির মহাপরিচালক তখন এনআইডিটি আনলক করার সিদ্ধান্ত দেন।

এভাবেই পাঁচ দিনের জন্য লক থাকে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এনআইডি।

বর্তমান এনআইডি মহাপরিচালক এসএম হুমাযুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না। তাই সেটি আমার বিবেচনার বিষয় নয়। আর পুরোনো বিষয় যেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সেটির মতামতও দিতে চাই না।

মন্তব্য

p
উপরে