১৬ বছর আগে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রশ্রয়েই জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সিরিজ বোমা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এ সভা আয়োজন করে।
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। এই সিরিজ বোমা হামলায় দুইজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ১০৪ জন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেশের রাজনীতিতে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলোর মাস্টারমাইন্ড হলো বিএনপি। সব ঘটনায় প্রমাণ হয় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে তারা।
‘একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও জনবল এক দিনে জোগাড় করা হয়নি। তৎকালীন সরকার নীরব ছিল কেন? নিশ্চয় তারা এই ঘটনার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তারা এটা করেছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। মুক্তচিন্তাকে নিশ্চিহ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়ার জন্য। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা কখনোই নিরাপদ ছিল না। এখনও নেই।’
তিনি বলেন, ‘১৭ আগস্টের বোমা হামলা ছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর শক্তি পরীক্ষা। একযোগে তারা শক্তি জানান দিয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এই দেশে জঙ্গি কার্যক্রম।’
সভায় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন আমাদের নাকি রাজনীতির শিষ্টাচার ও সৌজন্যতাবোধ নেই। কারণ আমি বলেছি বেগম জিয়ার জন্মদিন ছয় দিন।
‘তার কাছে জানতে চাই একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছয় দিন জন্মদিবস কেন? আগে ছিল পাঁচটা। সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার সময় দেখলাম আরেকটা। ফখরুল সাহেব, এখানে শিষ্টাচার ও সৌজন্যতার বিরুদ্ধে কী করলাম? সত্য তুলে ধরলাম। এসব জন্মদিবস আপনাদেরই সৃষ্টি। আওয়ামী লীগের সাজানো কিংবা বানানো কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘এবারও জন্মদিবস পালন করেছেন। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার মানসিকতা থেকে এখনও সরে আসেনি বিএনপি। কেক কাটেন নাই, কিন্তু ফুল তো দিয়েছেন। মিলাদ মাহফিল করেছেন। মানে হলো ১৫ আগস্টও জন্মদিবস। আপনারা এটাই করবেন। শিষ্টাচার আমাদের শেখাতে আসবেন না।’
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জোসিকে সরকার গুম করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। কিন্তু থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। সে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের এ রকম গুমের অনেক সাজানো নাটক রয়েছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।
রাজবাড়ীর পাংশায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে হাইস্কুল পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ক ও খ এই দুই গ্রুপে মোট ২০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক গ্রুপে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবং খ গ্রুপে ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পাংশা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে- পাংশা জর্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি, পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাংশা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশি মাছ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম তৈরি এবং পরিবেশবান্ধব মৎস্যচাষে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হয়।
চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাটি বাস্তবায়ন করে পাংশা উপজেলা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন কমিটি।
প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নবীনগরের তিতাসপাড় ‘রসুলপুর’ এলাকায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিব চৌধুরীর কাছে কলেজ স্থাপন সংক্রান্ত দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।
‘ঐক্যবদ্ধ নবীনগর’ সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ মানববন্ধনে বলেন, “সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রসুলপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়িত হলে শুধু নবীনগর নয়, আশপাশের পুরো অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটবে।”
তিনি আরও জানান, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা নবীনগরের কৃতি সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট একটি ডিও লেটার (ডেমি অফিসিয়াল লেটার) পাঠিয়েছেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন: ঐক্যবদ্ধ নবীনগর সংগঠন সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, উপজেলা , জামায়াতে ইসলাম আমির,মুখলেসুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মকুল, আলহাজ্ব শাহ জালাল আহমেদ, পরিচালক, টেননো ড্রাগ,আবু কামাল খন্দকার, সাবেক সভাপতি, নবীনগর প্রেসক্লাব শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী,জালাল উদ্দিন মনির, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক,আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সাধারণ সম্পাদকমুফতি বেলায়েতুল্লাহহাফেজ ছানাউল্লাহ সাইফুল ইসলাম, এনসিপি বক্তারা বলেন, রসুলপুর এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন হলে উন্নয়ন ও জনসেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটি বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ ৩ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কধুরখীলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন এডহক ৪৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাহউদ্দিন আল মামুন।
আটককৃতরা হলেন, কধুরখীলের রহমান ফকিরের বাড়ির মো: জাকির হোসেন (৫২), মো. আরমান হোসেন জিসান (২৮) ও জুবাইদ হোসেন রাব্বি (১৭)।
তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় পিস্তল, ৩টি ছোরা, ২টি সেলফ ডিফেন্স স্টিক ও ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল প্রধান বলেন, আটককৃতরা মাদক ইয়াবার ব্যবসাসহ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। জব্দকৃত অস্ত্রসহ আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক যুগ আগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই সুখরঞ্জন বালি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
২১ আগস্ট সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
শেখ হাসিনার ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, ট্রাইব্যুনালের সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান মো. সানাউল হক।
সুখরঞ্জন বালি জামায়াতে ইসলামীর নেতা প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন।
তিনি ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হন।
সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে বলেন, আমার ভাই বিশাবালীকে (বিশেশ্বর বালী) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের দিকে তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাকে পিরোজপুরের পাড়েরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে ডেকে ৭১-এ আমার ভাই বিশাবালীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চায়। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। কিন্তু হেলাল উদ্দিন আমাকে আমার ভাইয়ের হত্যাকারী হিসাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের নামের সঙ্গে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামও বলতে বলে এবং তার বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলে।
আমি হেলাল সাহেবকে তখনই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিই যে, সাঈদী হুজুর আমার ভাই বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল সাহেব আমাকে জোরপূর্বক রাজি করাতে সেখানেই আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
এরপর হেলাল উদ্দিন আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি করাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপি এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেককে ডেকে আনে।
তারা আখতারুজ্জামান ফুলু ও কানাই লালা বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাইদুল্লাহ লিটন, রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, মিজানুর রহমান তালুকদার, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, মতিউর রহমান, মৃধা, শাহজাহান খান তালুকদার, মাসুদ আহম্মেদ রানা, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু, মজনু তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজ রাজাসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আরো কিছু লোককে রাজলক্ষ্মী স্কুলে হাজির করায়।
তারা সেখানে উপস্থিত হয়েই আমাকে নানা রকম চাপ ও হুমকি দিতে থাকেন। আমি সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আউয়াল ও মালেক সাহেব আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এরপর তাদের নির্দেশে রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, শাহজাহান খান তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, মাসুদ আহম্মেদ রানা, মজনু তালুকদার ও মিজানুর রহমান তালুকদার মিলে আমাকে নির্দয়ভাবে পিটাতে থাকে। তাদের নির্যাতন শেষ হলে সাইদুল্লাহ লিটন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, মতিউর রহমান, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু ও মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লবরা আমাকে চর, থাপ্পড় ও ঘুসি মারতে থাকে ও লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে।
তারপরও আমি হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আগামীকাল তাদের কথা মত সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আগামীকালই আমার জীবনের শেষ দিন বলে শাসিয়ে চলে যায়।
আমি তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যাই। দীর্ঘদিন আমি বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে থাকি। হেলাল উদ্দিন, এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল, হাবিবুর রহমান মালেক, আখতারুজ্জামান ফুলু, কানাই লালা বিশ্বাস, মিজানুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে আমাকে করা নির্যাতনের অনেক দিন পর একদিন সাঈদী হুজুরের ছেলে জনাব মাসুদ সাঈদী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার ভাই বিশাবালী হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানতে চান। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। তখন মাসুদ সাঈদী জানতে চান, এই সত্য ঘটনা আমি ট্রাইবুনালে এসে বলতে রাজি আছি কি-না? জবাবে আমি সম্মতি প্রকাশ করলে, জনাব মাসুদ সাঈদী আমার ভাইয়ের হত্যার প্রকৃত ঘটনা ট্রাইব্যুনালে এসে বলার জন্য অনুরোধ জানান।
আমি তার অনুরোধ গ্রহণ করি এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে রাজি হই। সেই মর্মে আমি, সুখরঞ্জন বালি, সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে ৩ নভেম্বর ২০১২ সালে বিকালের দিকে ঢাকায় আসি এবং জনাব মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ৪ তারিখ ট্রাইব্যুনালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম স্যারের কাছে নিয়ে আসেন। উনাকে আমি আমি সব খুলে বলি।
এরপর ৫ নভেম্বর ২০১২ এর সকালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামের অফিসে মাসুদ সাঈদী আমাকে নিয়ে যান। তখন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাহেব আমাকে তার গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালের দিকে রওয়ানা দেন। তার গাড়িতে আরও ২ জন আইনজীবী- জনাব মনজুর আহমেদ আনসারী ও জনাব হাসানুল বান্না সোহাগ ছিলেন, যাদের নাম আমি পরে জানতে পারি।
আমার সামনের গাড়িতে জনাব মাসুদ সাঈদী ছিলেন এবং তার সঙ্গেও একজন আইনজীবী ছিলেন। তার নাম আবু বকর সিদ্দিক, যা আমি পরে জানতে পারি। ট্রাইবুনালের গেটের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখতে পাই। ট্রাইব্যুনালের মূল গেটের কাছে আমাদের গাড়ি এসে পৌঁছালে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকে দেয়।
আটকে দেওয়ার পর সামনের গাড়ি থেকে নেমে মাসুদ সাঈদী পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই সাদা পোশাকে থাকা অনেক লোক ও পুলিশ মিলে এড. মিজান স্যারের গাড়ি ঘিরে ফেলে।
সেখানে আমাকে দেখে তারা বলে ‘শুয়োরের বাচ্চা, তোকেই তো আমরা খুঁজছি। নাম নিচে নাম।’ এই কথা বলেই একজন পুলিশ আমার কানের নিচে প্রচণ্ড জোরে থাপ্পড় মারে। এরপর আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে মারতে মারতে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা সাদা রঙের পুলিশ পিকআপে তুলে নেয়।
আমার সাথে থাকা আইনজীবী ও মাসুদ ভাই তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে তারা আর আমার কাছেই আসতে পারেননি।
গাড়িতে উঠিয়েই তারা আমার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এ অবস্থাতেই তারা আমাকে অজানা একটি স্থানে নিয়ে যায়। এটি ছিল একটি জানালাবিহীন অন্ধকার ঘর, যেখানে প্রায় দুই মাস আমাকে বন্দি রাখা হয় এবং খাদ্য ও আলো থেকে বঞ্চিত করে প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।
পরবর্তীতে আমাকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ক্যামেরা ও আলো ছিল। সেখানে সাঈদী হুজুরের- বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করতে চাওয়া হয়।
আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিই যে, আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে সাঈদী হুজুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি প্রকৃত হত্যাকারীদের চিনি এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত আছি।
কিন্তু আমি তাদের কথা মত সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায়, তারা আমাকে দিনের পর দিন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। আমার শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তারা বৈদ্যুতিক শক দেয়নি (বিশেষ করে আমার গোপনাঙ্গে তারা বেশি শক দেয়)।
এরপর তারা আমাকে কোটি টাকা ও একটি বাড়ি দেওয়ার প্রলোভনের মাধ্যমে আমার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমি তাতেও রাজি না হওয়ায়, আমাকে প্রায় দুই মাস ঐ গোপন জায়গায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
তাদের চরম নির্যাতনের মুখে আমি অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে, আমাকে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হত।
আমার জ্ঞান ফিরে এলে, আবার তারা আমাকে ঐ গোপন স্থানে নিয়ে যেত। নিয়ে গিয়ে আবারো পূর্বের ন্যায় তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো।
এরপর একদিন আমাকে চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে তোলা হয় এবং কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রার পর যখন গাড়ি থামে। তখন আমি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে, তারা আমার চোখ খুলে দেয়। তখন দেখতে পাই আমাকে সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে।
সেখান থেকে বিজিবির সহায়তায় আমাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত বৈকারী বাজার সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ আমাকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই নির্মমভাবে মারধর করে, আমাকে হাত বেঁধে নির্যাতন করে। পরে তারা আমাকে বশিরহাট নিয়ে যায়। বশিরহাট সাবজেলে ২২ দিন রাখার পর সেখান থেকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখানে আমাকে মোট ৫ বছর আটক রাখে।
পরে জানতে পারি, দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে আমার থাকার বিষয়টি জনাব মাসুদ সাঈদী জানতে পারেন এবং আমার ছেলেকে ভারত পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর তারই উদ্যোগে এবং মানবাধিকার সংস্থা ও ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় আমি কারাগার থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হই।
কারাগারে থাকার সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আমার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করে এবং আমার নির্যাতনের বিবরণ নথিভুক্ত করে।
দেশে ফিরে এলেও আমি পিরোজপুরের নিজ গ্রামে নিরাপত্তার কারণে যেতে পারিনি, বরং আত্মগোপনে নিজ জেলার বাইরে অবস্থান করি।
আমি আমার ছেলে-মেয়ের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর জানতে পারি যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে আমাকে অপহরণের পর আমার আইনজীবীগণ ট্রাইব্যুনালের বিচারকগণের নিকট তাৎক্ষণিকভাবে আমার অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারকগণ, তৎকালীন চিফ প্রসিকিউটর, শাহবাগ থানার ওসি, রমনা জোনের ডিসি ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সিদ্ধান্ত দেন যে, আমাকে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করা হয়নি। অথচ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা ছিল। বিশেষ করে আমাকে যেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল সেই গেটের সামনেই দুটি সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ক্যামেরা দুটিসহ স্থাপিত সিসি টিভি ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি রেকর্ড হওয়ার কথা।
আমার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি স্বত্বেও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে বা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। সেটি না করে জনাব নাসিম আমার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার দায়ে আমার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে উল্টা আদালত অবমাননার অভিযোগ আনায়ন করেন।
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি নিজ চোখে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার ভাইকে হত্যার ঘটনা দেখেছি। সেখানে সাঈদী হুজুর ছিলেন না। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় এবং সত্য সাক্ষী দিতে ট্রাইবুনালে আসার কারণে আমাকে গুম, অপহরণ, নির্যাতন ও প্রায় পাঁচ বছর ভারতে অবৈধভাবে কারাবন্দি করে রাখার হয়।
তার বিরুদ্ধে করা মামলা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখা এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।
সুখরঞ্জন বালি বলেন, আমাকে করা গুম, অপহরণ, শারীরিক মানসিক নির্যাতন ও আমাকে জোর করে ভারতে পাচারের ঘটনা-সবই ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমাকে অপহরণ করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আমার মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে আর এর সবই ছিল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।
আমি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাকে করা অপহরণ, গুম এবং ৫ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখাসহ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের আমি বিচার চাই।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে ঘোষণা করছে যে, রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি ফ্যান ও সকল অপো রেনো-প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা, বহুল প্রতীক্ষিত ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা কেবল চ্যালেঞ্জ নয়; বরং একইসাথে, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাতের সৌন্দর্য গভীরভাবে উপলব্ধির এক আমন্ত্রণ।
শহরের ঝলমলে আলো থেকে শুরু করে মধ্যরাতের উদযাপন, তারকাময় আকাশের নিচে ধারণ করা পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে অন্ধকার রাস্তায় ফিসফিসিয়ে বলা গল্প – রাতের অনন্য ভঙ্গিকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করতে এখানে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। শহরের প্রাণবন্ত দৃশ্য, বিয়ে ও রাস্তায় আড্ডার আনন্দ, সন্ধ্যার পর পোর্ট্রেটের সৌন্দর্য, অন্ধকারে গতিশীলতার শক্তি, রাতের প্রাকৃতিক শোভা এবং অন্ধকারে স্থাপত্যের চিরন্তন মহিমা – এরকম বিভিন্ন থিমে প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হবে। প্রতিটি ছবি অবশ্যই অপো স্মার্টফোনে ধারণ করা মৌলিক সৃষ্টি হতে হবে। শিল্পকৌশল বাড়াতে সীমিত পরিসরে এডিটিং অনুমোদিত থাকলেও, খুব বেশি পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়; যেন প্রতিটি সাবমিশনেই মৌলিকত্ব অটুট থাকে।
প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট, চলবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত; এরপর আগামী ৩১ আগস্ট বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সৃজনশীলতার মানদণ্ডে সেরা কাজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে গ্র্যান্ড উইনার একটি একদম নতুন অপো রেনো স্মার্টফোন জিতবেন, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন একটি অপো এনকো এয়ার৪ প্রো। তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন এক্সক্লুসিভ অপো টি-শার্ট ও ফ্রেমড ফটো স্বীকৃতি। চতুর্থ থেকে বিশতম স্থান অধিকারী প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে তাদের বিজয়ী ছবির ফ্রেমড ফটোর মাধ্যমে স্বীকৃত হবেন।
এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি, যা এআই-চালিত ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ নাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের আরও সক্ষম করে তোলে। এর এআই লো লাইট ফটোগ্রাফি এমনকি সবচেয়ে কম আলোতেও প্রতিটি ডিটেইল ও ইমোশন নিখুঁতভাবে ধারণ করতে সক্ষম। এর ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম এবং এআই লাইভফটো ২.০, এআই ইরেজার ও এআই রিফ্লেকশন রিমুভারের মতো অত্যাধুনিক এআই ফিচার প্রতিটি ফ্রেমকেই শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করে; পাশাপাশি, এর এআই এডিটর ২.০ মাত্র এক ট্যাপে সহজ ও সাবলীল এডিটের সুযোগ করে দেয়। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজির প্রতিটি ফিচার রাতের ফটোগ্রাফিকে অসীম সম্ভাবনার ক্যানভাসে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অপোর প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা বিশ্বাস করি, ফটোগ্রাফি কেবল ছবি তোলার বিষয় নয়; এটি আবেগ, স্মৃতি ও শিল্প ধারণের মাধ্যম। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি আমাদের ব্যবহারকারীদের রাতের অন্ধকারেও নিজেকে প্রকাশের সুযোগ দেয়। ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ সৃজনশীলতার প্রতি একটি শ্রদ্ধা, যেখানে প্রতিটি রাতকে মাস্টারপিস করে তুলতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।”
এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির সাথে শিল্পের সমন্বয় অব্যাহত রাখলো অপো; যেখানে রাতের অসামান্য সৌন্দর্যের অনন্য সব গল্প খুঁজে বের করা, তৈরি করা বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।
এই প্রতিযোগিতা এবং অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ facebook.com/OPPOBangladesh বা www.oppo.com/bd ভিজিট করুন
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানার পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত সাফিউরের স্ত্রী একই ব্যারাকে থাকলেও বিষয়টি আগে জানতেন না।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, সাফিউর রহমান তাকে বিয়ে করলে সব অভিযোগ তুলে নেবেন তিনি। বর্তমানে ওই নারী পুলিশ, অভিযুক্ত সাফিউর ও তার স্ত্রী—তিনজনকেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে তদন্ত করছে পুলিশের একটি বিশেষ দল।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার পর সাফিউর প্রথমে পরিচিত হতে আসেন। এরপর গত রমজানে ঈদের পর রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তিনি রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন।
এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইবনে ফরহাদ ও ওসি তদন্ত আল-আমিন হোসেন বিষয়টি জানার পরও সাফিউরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এছাড়া ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন মামলা নিতে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত সাফিউর রহমান সাংবাদিক পরিচয় শুনে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, তার কাছে ওই নারী পুলিশ সদস্য কোনো অভিযোগ করেননি এবং বিষয়টি এসপি স্যার দেখছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্যের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে নানা মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, তবে অনেকেই বলছেন যেনে শুনে ধর্ষকের স্ত্রীর সাথে একই ব্যারাকে থেকে ওই নারী প্রতারণা করার উদ্দেশ্যেই এটি করেছে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিষ পানে তানজু আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরির বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানজু আক্তার উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মো.নুরুন্নবীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তানজু আক্তারের স্বামী মো.নুরুন্নবী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছেন। রাতে তানজুকে প্রবাস থেকে নুরুন্নবী মুঠো ফোনে না পেয়ে, পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলাকে মুঠো ফোনে জানান তার স্ত্রী কল ধরছে না, ঘরে গিয়ে একটু খবর নিতে। ওই মহিলাসহ প্রতিবেশীরা তানজুকে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেন। এরপর তানজু বিষ পান করেছে জানালে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য