× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
Joy did not study at MIT due to lack of money
google_news print-icon

টাকার অভাবে এমআইটিতে পড়া হয়নি জয়ের

টাকার-অভাবে-এমআইটিতে-পড়া-হয়নি-জয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি
‘এমআইটিতে যখন ভর্তি হয়েছিল, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। তাকে যে সহযোগিতা করব, আমি সেটা করতে পারিনি। এত ব্যস্ত ছিলাম যে, যার জন্য একটা সেমিস্টারের টাকা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলে তার সেমিস্টারের টাকা দিতে পারেনি বলে এমআইটি থেকে তার নাম কাটা যায়। সে চলে আসে ঢাকায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পায় জয়।’

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আবার জন্মদিন। সংগঠনের অনুষ্ঠানে এসে তাই প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন তার ছেলেকে নিয়েও। যুদ্ধের সময় সন্তানের জন্ম, বেড়ে ওঠা, তার পড়ালেখা, উদ্যোগ নিয়ে করলেন স্মৃতিচারণা।

মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন গণভবন থেকে। করোনাকালে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা, সরকারের উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন।

৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের এই জয়ের জন্মের কথা তুলে ধরে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তার পড়াশোনার সময় অর্থকষ্টের বিষয়টি সামনে আনেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে জয়ের জন্ম হয়। সে সময় আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ছিলাম। আমাদের সে সময় বন্দি করে রাখা হয়েছিল (ধানমন্ডি) ১৮ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে। আমাদের কোনো বিছানাপত্র ছিল না। কোনো ফার্নিচারও ছিল না। স্যাঁতসেঁতে ফ্লোরে থাকতে হতো।

‘আর পাকিস্তানি আর্মি বাঙ্কার করে আছে, দিন-রাত সেখানে গুলি চালাচ্ছে। এর মধ্যেই আমাদের দিন কাটাতে হতো। এর মধ্যেই আমাকে তারা হাসপাতালে যেতে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু আমার মাকে যেতে দেয়নি।’

জয়ের উচ্চশিক্ষার গল্প

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মায়ের সঙ্গে বিদেশে জয়। শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার সময় জয়ের পড়াশোনা শুরু হয় দিল্লিতে এয়ারফোর্স স্কুলে।

শেখ হাসিনা ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়ার পর জয় পড়াশোনা করেন সেখানে।

১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফেরার পর জয় ও পুতুলকে নৈনিতালে ভর্তি করেন। স্কুল ও কলেজ পাস করে বেঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন জয়। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে করেন বিএসসি। এরপর ঢাকায় এসে এক বছর চাকরি করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটিতে ভর্তি হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে একদিন বলছে, আমি কম্পিউটার সায়েন্স পড়েছি, আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই। তখন তাকে আমি নিয়ে যাই আমেরিকায়, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ভর্তি করাই। সেখানে পার্টটাইম চাকরিও করত, পড়াশোনা করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। তার কিন্তু দুটা বিএসসি ডিগ্রি।

‘এরপর সে চান্স পায় এমআইটিতে। এমআইটিতে যখন ভর্তি হয়েছিল, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। তাকে যে সহযোগিতা করব, আমি সেটা করতে পারিনি। এত ব্যস্ত ছিলাম যে, যার জন্য একটা সেমিস্টারের টাকা দিতে পারিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার ছেলে তার সেমিস্টারের টাকা দিতে পারেনি বলে এমআইটি থেকে তার নাম কাটা যায়। সে চলে আসে ঢাকায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পায় জয়।’

টাকার অভাবে এমআইটিতে পড়া হয়নি জয়ের
ছেলেবেলায় মা শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরে তাকে আবার পাঠাই। আমেরিকায় সে চাকরি নেয়। ২০০৭ সালে আমি যখন আমেরিকায় যাই তখন আমার অনুরোধে। কারণ, আমার মনে একটা দুঃখ ছিল যে, আমার ছেলেটা এমআইটিতে পড়তে চেয়ে পড়তে পারল না।

‘কাজেই তাকে অনুরোধ করি যে তুমি হার্ভার্ডে একটা দরখাস্ত করো, যাতে তুমি ভর্তি হতে পারো। পরে পারমিশন যখন পায় আমি তখন কারাগারে বন্দি। আমি শুধু খবর দিয়েছিলাম, তুমি বন্ধ করো না, যেমন করে পারো পড়ো। পরে সে সেখানে যায়, পড়াশোনা করে মাস্টার্স করে পাবলিক সার্ভিসের ওপর। এভাবে নিজের চেষ্টাতেই করেছে।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে জয়ের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ, এটা তারই অবদান। তারই চিন্তাভাবনা। তারই বক্তব্য। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি এবং কোথায় কোনটা করতে হবে.. এই স্যটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা পাঠিয়েছি সবই কিন্তু তার বুদ্ধিতে।

‘আজকে এই দেশটাকে যদি ডিজিটাইজড না করা হতো, এই করোনা মোকাবিলা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যেত। মানুষের জীবন-জীবিকা চালানো, মানুষের হাতে সাহায্য পৌঁছে দেয়া, মানুষের কাছে আমরা যে নগদ টাকা পৌঁছেছি সবই কিন্তু এই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে করে যাচ্ছি।’

যেভাবে নাম পেলেন জয়

প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান আমলে ২৩ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস পালনের স্মৃতিচারণা করেন। তবে ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে পাকিস্তানের পতাকা না উড়িয়ে বাঙালিরা ওড়ায় বাংলাদেশের পতাকা।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতেও সেই পতাকা তোলা হয়। বঙ্গবন্ধু তখন সেই পতাকা তোলেন।

সেদিন শেখ হাসিনা তার বাবার হাতের নখ কেটে দিচ্ছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু তাকে বলেন, ‘তোর ছেলে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করবে। তার নাম রাখবি জয়।

‘একাত্তরে জয় যখন জন্মগ্রহণ করে… জয় নামটা আব্বার দেয়া, তাই জয় রেখেছিলাম।’

জয়ের সঙ্গে সজীব রাখার কারণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা বললেন, জয় আসার পরে আমরা অন্তত একটা কাজ পেলাম, আমরা যেন একটু সজীব হলাম। এই সজীব নামটা কিন্তু আমার মায়ের দেয়া।’

শিশু জয়কে নিয়ে হাসপাতালে থাকার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল এসেছেন আমাকে দেখতে। সঙ্গে সিকান্দার আবু জাফরের স্ত্রী। ওনারা যেভাবে হোক এক ফাঁকে আমার কেবিনে ঢুকে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাসদস্য এসে দরজা খুলে তাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে এবং বের করে দেয়। সেটা দেখে আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি ওকে ধমক দেই। আমি বললাম তুমি আমার রুমে ঢুকলা কেন? তুমি নক না করে কার পারমিশন নিয়ে ঢুকলা? বলে, এই যে এসেছে। আমি বললাম, সেটা তো তোমার ব্যাপার না, তুমি তো এভাবে ঢুকতে পারো না। আমি তাকে ধমক দিয়েছিলাম, তুমি যদি ফের আসো মুক্তিযোদ্ধা ডেকে তোমার লাশ ফেলে রাখব।

‘ও সত্যিই ভয় পেল। এরপর থেকে আর আমার রুমের সামনে দাঁড়াত না। পরে লিফটের কাছে দাঁড়াত, আর কেউ আসলে জিজ্ঞেস করত কিতনা নম্বর মে জায়েঙ্গে। কেউ বললে আর ঢুকতে দেবে না।’

হাসপাতাল থেকে ফেরার পরের কাহিনি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বন্দিখানায় আবার যখন ফিরে আসি। সেদিন এক কর্নেল এলো। আমি জয়কে কোলে নিয়ে দাঁড়ানো ছিলাম জানালার কাছে। সে আমাকে জিজ্ঞেস করছে তোমার ছেলে হয়েছে নাম কী? আমি বললাম, জয়।

‘আমাকে বলে ইসকা মতলব কেয়া হ্যায়। আমি বললাম, জয় মানে ভিক্টোরি। যখন বলেছি জয় মানে ভিক্টোরি, তখন তার খুব মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ঘুরে চলে যাওয়ার সময় বলছে, অর এক নামরুদ পয়দা হুয়া। মানে কত জঘন্য, মাত্র সাত দিনের একটা বাচ্চা, তাকে সে গালি দিতে দিতে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা খুব সক্রিয় ছিল। যে মুহূর্তে জয় জন্ম নেয়, তখনই তারা কতগুলো বোমা ফোটায়। তাতে আবার পাওয়ার স্টেশন উড়ে যায়। হাসপাতালও অন্ধকার হয়ে যায়।

‘আমাদের বন্দিখানায় আমাদের অবস্থাটা তখন এমন ছিল, যদি সন্ধ্যার পরে কোনো বোমা না ফুটত, গুলির আওয়াজ না হতো, তাহলে মনে হতো আমরা নাই মরে গেছি। আর হলে ভাবতাম, না, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের আশপাশে আছে। ওটাই আমাদের প্রাণশক্তি ছিল।’

আরও পড়ুন:
জয় দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র: নিখিল
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসবে জয়ের হাত ধরে: কাদের
‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
বন্দি অবস্থাতেই জয়ের জন্ম: প্রধানমন্ত্রী
৫১ বছরে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
BNPs decision to boycott upazila elections

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন- বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহু দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

এদের আমলে কখনও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসক গোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পদে পদে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করার পরও আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরা (আওয়ামী লীগ) একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়। তাদের অনেকে এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম-খুন অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ: তাজুল

মন্তব্য

রাজনীতি
Netanyahu is scarier than Hitler Kader

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস
কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দক্ষিণ ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল। সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটির হামলায় এরই মধ্যে গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যে অভিযান শুরু করেছে, সেটি গণহত্যার সমতুল্য।

আলবানিজ ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

এমন বাস্তবতায় কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।

‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ: জিএম কাদের
পাহাড়ের ঘটনায় সরকার সতর্ক ও শক্ত অবস্থানে: কাদের
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর: কাদের
তারেক বিএনপির অভিশাপ: কাদের

মন্তব্য

রাজনীতি
The Prime Minister does not want MP ministers to interfere in the upazila elections
সাংবাদিকদের কাদের

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘আগামী আট মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কাদের বলেন, ‘আগামী আট মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়। কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

‘বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।’

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে, আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

‘এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘকে মানে না, হোয়াইট হাসকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় ইতোমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুয়েনশিয়াল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন।

‘যাকে ইচ্ছা তাকে মারেন। ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তির অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা মোদির

মন্তব্য

রাজনীতি
1891 nomination papers were submitted in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে এক হাজার ৮৯১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল।

আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল ও প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ য়া হয়েছে। যেসব উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের ভোটার খুঁজে পেতে হয়রানির অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ: তাজুল
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
কুমিল্লা, ময়মনসিংহের মেয়র হিসেবে সূচনা ও টিটুর শপথ

মন্তব্য

রাজনীতি
Natore upazila election candidate and brother kidnapped

নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ অপহরণের পর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে (ইনসেটে) তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বত্তরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

লুৎফুল হাবিব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন লুৎফুল হাবিব রুবেল। রোববার পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

সোমবার সকালে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন দেলোয়ার হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সি।

এ সময় জরুরি প্রয়োজনে তারা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে চড়ে কয়েকজন যুবক আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে বের হেলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়ির ভেতর মারধর অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যদের।

তারা আরও জানান, এক পর্যায়ে তারা দেলোয়ারকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দেলোয়ার হোসেনকে ছেড়ে দিলেও তার ভাই আলাউদ্দিন মুন্সিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করেছে। আলাউদ্দিন মুন্সিকে উদ্ধারে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব খাটালে তাদেরই মান ক্ষুণ্ণ হবে: ইসি হাবিব

মন্তব্য

রাজনীতি
Fakhrul must apologize for lying about the list of prisoners who

বন্দিদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার, ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: কাদের

বন্দিদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার, ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছিল ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

জেলে থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা ও কতজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে; তা নিয়ে বিএনপি যে তথ্য দিয়েছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছিল ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে এক শোকসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। ৭০০-৮০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দেয়া হয়েছে। অক্টোবরে আন্দোলনের পরে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই প্রসঙ্গে সোমবার কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যক্রম চালু থাকবে কি না- এমন এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

মন্তব্য

রাজনীতি
Arrest warrant against Noor in Chittagong

নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের সমাবেশে নুরুল হক নুর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুণ্ডা লীগ বলে আখ্যায়িত করেন। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের মামলায় গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর সোমবার শুনানি শেষে এই পরোয়ানা জারি করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম ২০২২ সালের ১৪ জুন নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সোমবার মামলার ধার্য তারিখে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।’

সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের সমাবেশে আসামি ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুণ্ডা লীগ বলে আখ্যায়িত করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়।

আদালত মামলাটির শুনানি শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম গত ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন:
বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না, নুরকে বলল হাইকোর্ট
নুরকে হাইকোর্টে তলব
পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে নুরের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাবিতে ছাত্র অধিকারের মিছিলে হামলা, নুরসহ আহত অনেকে
মামলার আসামি লুকিয়ে রেখেছিলেন নুর: হারুন

মন্তব্য

p
উপরে