× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
সরকার কারফিউয়ের কথা ভাবেনি কাদের
google_news print-icon

সরকার কারফিউয়ের কথা ভাবেনি: কাদের

সরকার-কারফিউয়ের-কথা-ভাবেনি-কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
‘বিএনপি নেতারা একবার বলেন লকডাউন দরকার, কঠোর লকডাউন দিন, পরক্ষণেই বলেন লকডাউনে সমাধান নয়, ক্ষতিপূরণ দিন। তারা একসময় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করেছিলেন। আবার এখন বলছেন- কারফিউ দিলে জনগণ মানবেন না। অথচ সরকার কারফিউয়ের কথা ভাবেইনি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কখনো কারফিউয়ের কথা ভাবেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি অপপ্রচার করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সচিবালয়ে সোমবার সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল হিসেবে ব্যর্থ বিএনপি নানা বাক্যবাণে কর্মীদের চাঙা রাখার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সরকারের জনস্বার্থে করা যেকোনো কাজ কিংবা সাফল্য বিএনপির গায়ে জ্বালা বাড়ায়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা লকডাউনকে মর্মান্তিক তামাশা বলছেন। আসলে তারাই জনগণের সাথে মর্মান্তিক তামাশা করেছেন, তারা কখন কী বলেন নিজেরাও জানেন না।

‘বিএনপি নেতারা একবার বলেন লকডাউন দরকার, কঠোর লকডাউন দিন, পরক্ষণেই বলেন লকডাউনে সমাধান নয়, ক্ষতিপূরণ দিন। তারা একসময় ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার করেছিলেন। আবার এখন বলছেন- কারফিউ দিলে জনগণ মানবেন না। অথচ সরকার কারফিউয়ের কথা কখনো ভাবেনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একগুঁয়েমি ও মুখোশ পরা অপকৌশলের জন্য ইতিমধ্যে জোট সঙ্গীরাও দল ছাড়তে শুরু করেছে। মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের রাজনীতির যে খেলা, তা জোট সঙ্গীরাই এখন ফাঁস করে দিচ্ছে।

‘সরকারের বিরুদ্ধে অনবরত বিষোদগার করে যাচ্ছে বিএনপি। অথচ জনকল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। জনগণ বিএনপির এসব শব্দ বোমায় এখন আর কান দেয় না।’

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনস্বার্থে দিনরাত কাজ করছে এবং করে যাবে। অথচ বিএনপির দৃষ্টিতে সরকার কিছুই করছে না। উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে দিয়ে তারা সত্য আড়াল করে, আর মিথ্যাচার করে।

‘পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সহায়তা এবং খাদ্যসহায়তা, কৃষকের মাঝে অনুদান বিতরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি এবং সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অসংখ্য কাজের কোনোটিই বিএনপির চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাজই হলো সমালোচনা করা এবং তা তারা করতে থাকুক। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে যখন করোনাবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি সুরক্ষিত গৃহকোণ থেকে মিডিয়ায় অব্যাহত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ও নসিহত করে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
দল বেঁধে ঈদযাত্রা নিয়ে আতঙ্কে কাদের
এক-এগারোর কুশীলবরা এখনও আছেন: কাদের
মানুষের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টায় বিএনপি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

র‍্যাবের অভিযানে ০৫ টি ডাকাতি, ০২ টি অস্ত্র আইনের মামলাসহ মোট ০৯ টি মামলার আসামী জলিল ডাকাতকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-১, র‍্যাব-৮ এবং সিপিএসসি, র‍্যাব-৬, খুলনার যৌথ আভিযানিক দল।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী) এবং র‌্যাব-৬, সিপিএসসি (খুলনা) এর যৌথ গোয়েন্দা ও অভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুন ২০২৫ ইং তারিখ বিকেল আনুমানিক ১৭৪৫ ঘটিকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ডাকাতি মামলার মূল হোতা মোঃ আঃ জলিল খাঁন (৪০), পিতা- আলী আকবর খাঁন, সাং-হোসনাবাদ, থানা- বেতাগী, জেলা- বরগুনা’কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ গিয়াস উদ্দিন একজন প্রবাসী, যিনি সৌদি আরব থেকে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং দেশে ফেরেন। গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে, আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকায় তার মঠবাড়িয়া থানাধীন বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। ১০-১২ জনের এই ডাকাত দল বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ওই সময় ঘর থেকে প্রায় ৩,৫০,০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নগদ, ২৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি স্মার্টফোন এবং ১টি ল্যাপটপসহ মোট আনুমানিক ৪৫,২০,০০০ (পঁয়তাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২১ জুন ২০২৫ তারিখ বিকালে পরিচালিত অভিযানে মোঃ আঃ জলিল খাঁনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
The United States joined the war by attacking Irans three nuclear establishments

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে যুদ্ধে যোগ দিল যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে যুদ্ধে যোগ দিল যুক্তরাষ্ট্র

নানা টালবাহানার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় চালিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে চলমান সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় রবিবার (২২ জুন) ভোরে ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।’

হামলার বিষয়টি ইরানের পারমাণবিক সংস্থা থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে হামলা সত্ত্বেও ওই স্থাপনাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ না করে বরং চালিয়ে যাওয়া হবে বলে দাবি করেছে ইরান।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার অজুহাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এবার তেল আবিবের সঙ্গে যুক্ত হলো ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, ইরানের সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ বোমা ও জিবিইউ-৫৭ ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা প্রয়োজন ছিল, যা ভূগর্ভের গভীরেও আঘাত হানতে সক্ষম।

ট্রাম্প জানান, তিনি রাত ১০টায় (ইস্টার্ন টাইম) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই হামলাকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখনই ইরানকে এই যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে হবে। ধন্যবাদ!’

হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও ট্রাম্প সমর্থিত ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, ফোরদোয় ছয়টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন থেকে নাতানজ ও ইসফাহানে ৩০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার আগে ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বানও জানান তিনি। তবে তার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

তিনি বলেন, এই সংঘাতে যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ আমেরিকানদের জন্য ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ কারণ হবে।

দুই সপ্তাহের কথা বললেও মাত্র দুদিন পরই ইরানে অভিযান পরিচালনার অনুমোদন দেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি নেতাদের চাপ ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের তাগিদে এই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এদিকে, শনিবার (২১ জুন) দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া পরিস্থিতিকে সবার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলবে।’

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেয়, তাহলে তারা আবারও লোহিত সাগর অঞ্চলে মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

২০১৮ সালে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সাত বছর পর ইরানের সঙ্গে এই সামরিক সংঘাত ঘটল ট্রাম্পের।

ইরানের পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে ওই চুক্তিটি করেছিল ওবামা প্রশাসন ও অন্যান্য বিশ্বশক্তি।

তবে ট্রাম্পের এই হামলার সিদ্ধান্ত তার নিজ রাজনৈতিক দলের ভেতর থেকেই সমালোচিত হয়েছে। এই সংঘাতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া ট্রাম্পের যুদ্ধবিমুখ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করবে বলেও সতর্ক করেছেন অনেকে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Essential of safe food production Fisheries and Livestock Advisor

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ আমিষের যোগানদাতা; প্রাণিজ আমিষ হিসেবে মাছ বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

উপদেষ্টা গতকাল বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ময়মনসিংহ কর্তৃক আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৪-২৫) পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৫-২৬) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মাছ বিশেষ করে ছোটমাছ কিভাবে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যায় তার জন্য বিএফআরআইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে; তবেই বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।

বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, তারা যেন তাদের মেধা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে, গবেষণায় আরও মনোনিবেশ করতে পারে—সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে এবং যার উপকারিতা জনগণ সরাসরি বুঝতে পারবে। এসব প্রযুক্তি যদি মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে দেশে মাছের সংকট থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই কমিটিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে; ফলে জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, গবেষণাকে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএফআরআই এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জরুরি।

বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্য খামারিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাদু পানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এর আগে উপদেষ্টা বিএফআরআই এর গবেষণা মাঠের ঘারুয়া, রাণী, মহাশোল, দেশী স্বঁরপুটি, ভাগনা, গুলশা, পাবদা, টেংরা, বাটা, বিএফআরআই তেলাপিয়া, বটমক্লিন সিস্টেম (পাবদা ও মাগুর), গুড়া চিংড়ি, কুচিয়া, কার্প রেণু হ্যাচারি এবং মুক্তা ল্যাব পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Again the pen break call NBR Reform Unity Council

আবার কলম বিরতির ডাক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের

আবার কলম বিরতির ডাক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের

আগামীকাল সোমবার সারা দেশের শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করবেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। গতকাল শনিবার বিকালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এবং মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকা বক্তব্য দেন। এনবিআরে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন করছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয় বলে ঐক্য পরিষদ মনে করে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই ঐক্য পরিষদ রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ১৯ জুন এনবিআর কর্তৃক গঠিত কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর ও কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি। আবার এনবিআর চেয়ারম্যান বিভিন্ন সভায় ও বক্তব্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বৈধতা ও অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভায় অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারকে সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকাকে মহাসচিব করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সামগ্রিক রাজস্ব সংস্কার ভাবনার অংশ হিসেবে ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিমূলক সভা আয়োজনের জন্য কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে লিখিত আবেদন দেওয়ার পরও কক্ষ বরাদ্দ প্রদান না করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এরপর থেকে এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৬ মে সরকার ঘোষণা দেয়, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এনবিআর নিয়ে জারি করা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আজ একটি কমিটি গঠন করা হলো।

মন্তব্য

রাজনীতি
The government is taking initiative to promote environmentally friendly alternative products

পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্যের প্রসারে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্যের প্রসারে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফআইডিসি) রাবার কাঠের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্যের প্রসারে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বিএফআইডিসির ক্যাবিনেট ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে প্রস্তাবিত শো-রুম স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সরকারিভাবে উৎপাদিত গৃহস্থালী কাঠসামগ্রীকে আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএফআইডিসির উৎপাদিত পণ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়িত্ব, কারিগরি দক্ষতা এবং দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, যা জনআস্থার জন্য যথেষ্ট। এই সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারি বনশিল্প খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলা সম্ভব।

উপদেষ্টা বলেন, বিএফআইডিসি কর্তৃপক্ষ উপদেষ্টাকে উৎপাদন প্রক্রিয়া, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং শো-রুম স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান ঘুরিয়ে দেখান। তিনি নির্দেশনা দেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে স্থান নির্ধারণ ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে।

পরিদর্শনকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীনসহ মন্ত্রণালয় ও কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Have to take all steps to rescue the seized khasam

বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

  - উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধার ও দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, কারও মুখের দিকে তাকিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যাবে না। খাসজমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়।

পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউসে গতকাল অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ খাসজমিসহ জেলার খাসজমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলার অবৈধভাবে দখলকৃত খাসজমি উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা খাসজমি দেখভাল করে থাকে। খাসজমি রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে দীর্ঘ সময়ে বিপুল পরিমাণ খাসজমি বেদখল হয়েছে। কেউ প্রভাব খাটিয়ে, কেউবা জাল দলিল করে এ সব খাসজমি দখল করছে।

মন্তব্য

আমের পচন রোগে চাষি ও ব‍্যাবসায়ীদের মাথায় হাত

আমের পচন রোগে চাষি ও ব‍্যাবসায়ীদের মাথায় হাত

চলতি মৌসুমের শুরুতে না থাকলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার আমে অজানা এক পচন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

পরিপক্ব আম গাছ থেকে সংগ্রহ করার ২-৩ দিনের মধ্যেই ডাঁটার (বোটার) দিক থেকে পচতে শুরু করছে, ফলে আম দ্রুতই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

এতে আম চাষী ও ব‍্যাবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও উদ্বেগ।

কৃষি বিভাগ বলছে, এই রোগটিকে ছত্রাকজনিত ‘স্টেম-এন্ড রট’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। “গাছ থেকেই এমন পচন শুরু হচ্ছে, যা আগে কখনও এ অঞ্চলে এমনটি দেখা যায়নি।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুরে মোট ২৩৬৬ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়ে থাকে এবং এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫,৫১০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে যদি মাত্র এক হাজার মেট্রিক টন আমও পচে যায়, তাহলে প্রতি মনের দাম ১৫০০ টাকা ধরলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।

আম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সপ্তাহ খানেক হচ্ছে গাছ থেকে আম সংরক্ষণের দুই দিনের মধ্যেই পচে যাচ্ছে।” তিনি ধারণা করছেন এটি আবহাওয়াজনিত কোনো ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ।

বিভিন্ন বাজার ও বাড়িতে দেখা যাচ্ছে, আম কিনে নিয়ে যাওয়ার দুইদিন পরই পচন ধরা শুরু হচ্ছে। অনেকেই আম ফেলে দিচ্ছেন। শহরের গড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা শিখা বেগম জানান, “বাজার থেকে হিমসাগর আম কিনে এনেছিলাম, দু’দিনের মাথায় সব পচে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে ডাস্টবিনে ফেলতে হয়েছে।”

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রিয়জনদের কাছে পাঠানো আমও নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ভোক্তা।

জেলার গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের আম বাগান মালিক হোসেন আলী বলেন, আম গাছে থাকা অবস্থায় গায়ে কালো আবরন পড়ে যাচ্ছে। আর সেই আম গাছ থেকে পাড়ার পরে রেখে দিলেই দুই এক দিনের মধ‍্যে পচে যাচ্ছে। আর সব আম এক সাথেই পেকে যাচ্ছে। যার ফলে শেষ সময়ে আমের দাম একটু বাড়তি পাবো ভেবে ছিলাম এখন দেখি উল্টো আম পচে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই আম বাগান থেকে হেঠাতে পারলি বাচি।

আম ব‍্যাবসায়ী সিহাব বলেন,আমরা বাগান মালিকদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করে থাকি। বতর্মানে এলাকার বাগান গুলোতে এখন হিমসাগর,ন‍্যাংড়া,আম্রপালি আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা নিয়ে এসে বিক্রি করতে গেলে লোকশানে পড়তে হচ্ছে। আম এক থেকে দুইদিন রাখতেই সব পচে কালো হয়ে গলে যাচ্ছে। বিশ কেজি আমে দুই কেজি পচা আম বের হচ্ছে। এমন ভাবে আসলে ব‍্যাবসা করা কঠিন।

আম ক্রেতা রাজিবুল হক বলেন, আমি বাড়ির জন‍্য তিনদিন আগে দশ কেজি কাচা-পাকা মিলিয়ে আম কিনে গিয়েছিলাম। সেগুলোর মধ‍্যে অধিকাংশই আধাপাকা ছিলো অথচ আম না পেকে পচন ধরতে শুরু করে।তিনদিন পরে দেখি অধিকাংশ আম পচে শেষ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, আবহাওয়াজনিত ছত্রাকবাহিত (স্টেম-এন্ড রট) রোগে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে আম সংগ্রহের অন্তত ১৫ দিন আগে গাছে ওষুধ ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়। তিনি আরও বলেন, “কোনো চাষি বা ভোক্তা থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এখনো মাঠপর্যায়ে কারিগরি টিম প্রেরণ করা হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই দ্রুত রোগনির্ণয় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী মৌসুম গুলোতেও আম উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। প্রয়োজন মাঠ পর্যায়ে নজরদারি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ। যেহেতু এ অঞ্চলের হিমসাগর আম এখন জিআই পণ‍্য হিসেবে শিকৃতি লাভ করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আম রপ্তানির শুরুতেই হোচট খাবে।

মন্তব্য

p
উপরে