× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
নুর রাশেদের দ্বন্দ্বের পেছনে কমল বড়ুয়া
google_news print-icon

নুর-রাশেদের দ্বন্দ্বের পেছনে ‘কমল বড়ুয়া’

নুর-রাশেদের-দ্বন্দ্বের-পেছনে-কমল-বড়ুয়া
ছাত্র অধিকারের সূচনালগ্ন থেকে এককাট্টা রাশেদ খান (বাঁয়ে) ও নুরুল হক নুর। ফাইল ছবি
সম্প্রতি ফারুক হাসানের ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়। এরপর ‘কমল বড়ুয়া’ নামে মেসেঞ্জার গ্রুপটিতে রাশেদ ও সোহরাবের আলোচনার কয়েকটি স্ক্রিনশট আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে ছড়িয়ে পড়ে। দুই নেতার ‘আপত্তিকর কথোপকথন’ দেখে ক্ষুব্ধ হন নুর। তিনি শুক্রবার ছাত্র যুব এবং শ্রমিক পরিষদের বৈঠক ডাকেন। সেখানে রাশেদ ও সোহরাবকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  

কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব পড়েছিল হুমকিতে। ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খানের দ্বন্দ্ব এসেছিল প্রকাশ্যে। এক দিনের মধ্যে সে বিরোধ সমঝোতার দিকে গেলেও রহস্য রয়ে গেছে ঘটনার শুরু নিয়ে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সাংগঠনিক নানা সংকট থাকলেও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয় ‘কমল বড়ুয়া’ নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ নিয়ে। দুই নেতার মতবিরোধ উসকে দেয় সেখানকার ফাঁস হওয়া চ্যাটের কয়েকটি স্ক্রিনশট। দ্রুতই পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে।

সংগঠনের আহবায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন এবং ফারুক হাসানসহ শীর্ষ নেতারা ‘কমল বড়ুয়া’ নামের মেসেঞ্জার গ্রুপটিতে যুক্ত ছিলেন। সেখানে তারা সংগঠনটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এখানকার আলাপচারিতা নিয়েই সংগঠনে নেতৃত্বের বিরোধ তুঙ্গে উঠে।

নেতারা জানান, সম্প্রতি ফারুক হাসানের ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়। এরপর গ্রুপটিতে রাশেদ ও সোহরাবের আলোচনার কয়েকটি স্ক্রিনশট আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে ছড়িয়ে পড়ে।

দুই নেতার ‘আপত্তিকর কথোপকথন’ দেখে ক্ষুব্ধ হন নুর। তিনি শুক্রবার ছাত্র যুব এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের বৈঠক ডাকেন। সেখানে রাশেদ ও সোহরাবকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠন করা হয়। নুর ডাকসু ভিপি হয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলে পরিষদের দায়িত্ব পান রাশেদ খান। আর নুর এই সংগঠনে যুক্ত থাকেন যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে।

নুর-রাশেদের দ্বন্দ্বের পেছনে ‘কমল বড়ুয়া’
সংগঠনে কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের তিন দিন আগে ৩০ জুন ‘একতাই আমাদের শক্তি’ উল্লেখ করে নুরের সঙ্গে ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন রাশেদ খান।

সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে রোববার রাত তিনটায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাশেদ খান এবং সোহরাব হোসেনকে ছাত্র পরিষদ থেকে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।

এতে ক্ষুব্ধ হন আবার রাশেদ খান। তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক। কিন্তু নুর সেখানে যুগ্ম আহ্বায়ক। তবে তিনি পদ ব্যবহার করেছেন সমন্বয়ক হিসেবে। কিন্তু সংগঠনে এই পদ বলতে কিছু নেই। রাশেদ খান চিঠি দিয়ে জানতে চান, কেন এই পদ ব্যবহার করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে নুরকে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে বিকেলেই অনলাইন মিটিং করে রাশেদ-সোহরাবকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন নুর।

বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের আগে রাশেদ ও সোহরাবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ জানতে চাইলে নুর স্ক্রিনশটের কথা না বললেও ‘কমল বড়ুয়া’ নামের মেসেঞ্জারের চ্যাট গ্রুপের কথা জানান নিউজবাংলাকে।

নুর বলেন, ‘কমল বড়ুয়া’ নামে মেসেঞ্জারে এটি চ্যাট গ্রুপ খুলে সংগঠন ভাঙার চেষ্টা করছিল রাশেদ খান। এটির মাধ্যমে সে সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচারের জন্য একটা সংঘবদ্ধ গ্রুপ তৈরি করছিল। এ অভিযোগে তাকে এবং সোহরাব হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, ‘কয়েকটি স্ক্রিনশটকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জেলার যে কমিটিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে সেখানে কিছু আলোচনা ছিল। বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণ বা বাদ দেয়া নিয়েই এসব আলোচনা।

‘যেমন, অমুককে সভাপতি করা হোক। অথবা অমুককে বাদ দেওয়া হোক, তার সমস্যা আছে, সে অনুগত থাকবে না। এই ধরনের আলোচনাগুলোকে বিভিন্ন জেলার সমস্যাগুলো উসকে দেয়ার শামিল বলে চিহ্নিত করেন নুর ভাই। এর থেকেই মূলত সমস্যা তৈরি হয়।’

সিফাত আরও বলেন, ‘রাশেদ ভাই অনেক দিন ধরে বলে আসছেন সংগঠনে সমন্বয়কের কোন কথা আগে উল্লেখ ছিল না। এই ধরনের পদ যেন না থাকে। এটি দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। তবে স্ক্রিনশটগুলো অনেক আগের। মাঝখানে ফারুক হাসান ভাইয়ের আইডি হ্যাকড হয়েছিল৷ হ্যাকাররা আগের কনভারসেশনগুলো পাবলিক করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রাশেদ ভাইয়ের চ্যাটের একটা স্ক্রিনশট সংগঠনের তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক প্রচার করা হয়। এতেই সমস্যার সৃষ্টি৷ সংগঠনের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নুর ভাইকে নিয়ে রাশেদ ভাই কিছু বলেছিলেন। সেখানে নুর ভাইয়ের স্বঘোষিত ছাত্র যুব শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক বনে যাওয়া নিয়েই সোহরাব ভাই আর রাশেদ ভাইয়ের মধ্যে কথা হচ্ছিল। আর এটা থেকেই সমস্যা বেড়েছে। কথাগুলো ছিল প্রায় দুই মাস আগের। কিন্তু প্রকাশ হয়েছে কিছুদিন আগে।’

সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘সংগঠনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন গ্রুপ থাকে। সে গ্রুপে অনেকে ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এসব গ্রুপে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা হয়৷ স্ক্রিনশটের ভিত্তিতে শাস্তি দেয়া হাস্যকর ব্যাপার। এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া অন্যায়।’

তিনি বলেন, ‘সংগঠনের অনেকের মধ্যে রাশেদ খানকে নিয়ে ক্ষোভ বা তাকে কীভাবে দমানো যায় সেই চিন্তা থাকতে পারে। জুনিয়র নেতাদের মাধ্যমে স্ক্রিনশট শেয়ার দিয়ে অনেক নোংরামি করা হয়েছে৷ মূলত কোন্দল আর ভুল বোঝাবুঝি নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত।’

মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘নুর যখন সমন্বয়কের পদ ব্যবহার করছিলেন তখন আমরা মানা করেছিলাম। যেহেতু সামনে নতুন দল গঠন হচ্ছে। কিন্তু এরপর সে কোনো চাপে হয়তো এই পদ ব্যবহার করে সুপ্রিমেসির (শ্রেষ্ঠত্ব) জায়গা তৈরি করে শাস্তি দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। আমরা অসাংগঠনিক এই পদের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলাম।’

স্ক্রিনশটে কী ছিল জানতে চাইলে মাহফুজ বলেন, ‘স্ক্রিনশটটা আমি শুরুতে দেখিনি। পরে দেখেছি। সেখানে এক জায়গায় দেখলাম পটুয়াখালী বা কোনো এক জায়গায় রাশেদের নাম দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আরেক জায়গায় দেখলাম সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেককে বের করে দিতে হবে লিখা হয়েছে৷ এসব নিয়েই মূলত সমস্যার সৃষ্টি।’

সার্বিক বিষয় নিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘এসব কিছুই না। সংগঠনে চলতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন মতানৈক্য তৈরি হয়৷ সংগঠনের কেউ হয়তো আমার নামে নুরকে ভুল বুঝিয়েছে, নুরের নামে আমাকে ভুল তথ্য দিয়েছে৷ সে জায়গা থেকে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে হবে সে লক্ষ্যে আমরা মিটিং করে সব সমাধান করেছি৷’

রাশেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আগে নুর এই ঘটনায় গোয়েন্দাদের হাত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবেই রাজনৈতিক দল ভাঙনে সরকারের গোয়েন্দাবাহিনী বা সরকারের ইন্ধন থাকে৷ আমরা যেহেতু সরকার বিরোধী জায়গা থেকে রাজনীতি করি আমাদের প্লাটফর্ম ভাঙনের জন্য এখানেও গোয়েন্দা বাহিনী জড়িত থাকতে পারে।’

এ ছাড়া তার অভিযোগ ছিল, রাশেদ খান ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে পরিষদে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছেন।

তবে ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই রাশেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নুর বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ এবং কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি উইথড্র করা হয়েছে। রাশেদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আমরা তার অব্যাহতি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’

আরও পড়ুন:
নিজেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে অন্যের মুখে ছাই নুরের
রাশেদের পেছনে গোয়েন্দা, সমঝোতার আগে নুরের অভিযোগ
বিরোধ জমিয়ে নুর-রাশেদের ইউটার্ন
ছাত্র অধিকার থেকে রাশেদকে বের করে দিলেন নুর
বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখোমুখি বাবা-মেয়ে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Tiffin money distributed The students are celebrating the green festival

টিফিনের টাকায় গাছের চারা বিতরণ শিক্ষার্থীদের

টিফিনের টাকায় গাছের চারা বিতরণ
শিক্ষার্থীদের
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে ৫শত শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৩ আগষ্ট) উপজেলার রায়পুর কৈলাশ চন্দ্র রায় চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ।
সংগঠনের সদস্যদের এক দিনের টিফিনের জমানো টাকায় গাছের চারা কিনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।
এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমেন ভূইয়া, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সফিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তালুকদার, সাংবাদিক লিটন সরকার বাদল, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, প্রভাষক রতন চন্দ্র দেবনাথ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আশরাফ উদ্দিন নিলয়, আনসার ভিডিপি কুমিল্লা রেঞ্জ (মেডিকেল অফিসার) ডাঃ রবিউল হোসেন পাটোয়ারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার শাখার সভাপতি ইয়াছিন মুন্সী, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, দাউদকান্দি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, অর্থ সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, রাব্বি ভূইয়া প্রমুখ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল জানান, সংগঠনটির সব সদস্যই শিক্ষার্থী। তারা সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে গাছের চারা বিতরণ করছে। এবছর তাদের লক্ষ্য ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ। শিক্ষার্থীদের গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদক, বাল্যবিয়ে ও সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার বার্তা দেন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় বিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থী গাছের চারা হাতে নিয়ে সবুজ উৎসবে মেতে উঠেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Ebi Mir fascinated lakes

ইবিতে মীর মুগ্ধ সরোবরে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ইবিতে মীর মুগ্ধ সরোবরে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মীর মুগ্ধ সরোবর ঘিরে পূবালী ব্যাংকের উদ্যােগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পূবালী ব্যাংক পিএলসি কুষ্টিয়া শাখার উদ্যোগে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় নারকেল, মৌচন্দ্রা, রঙ্গন, চেরি, পবনঝাউ, রাধাচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ইত্যাদি গাছের মোট ১৫০টি চারা রোপন করা হয়।

অফিস সূত্র, ব্যাংকিং কার্যক্রমের-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সাদ্দাম হোসেন হলে টিভি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যাত্রী ছাউনি ও পানীয় সুব্যবস্থা করবে। একই সাথে আইটি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাবনা দিয়েছে বলে জানা যায়।

এসময় পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর অঞ্চলপ্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শাখার প্রধান মো. ইসমাইল হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান, ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু, ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Green Festival in Magura 2021 is a medal among the winners

মাগুরায় সবুজ উৎসব -২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পদক প্রদান

মাগুরায় সবুজ উৎসব -২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পদক প্রদান

মাগুরায় জুলাই পূনর্জাগরণে সবুজ উৎসবে বৃক্ষরোপন পদক-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার মাগুরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাগুরা ও ‘পরিবর্তনে আমরাই’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক মোঃ হুসাইন শওকত প্রধান অতিথি হিসেবে সবুজ উৎসব-২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম । এ সময় আরও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হক,জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার হাসিবুল হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ও 'পরিবর্তনে আমরাই ' সংগঠনের পরিচসলক নাহিদুর রহমান দুর্জয় প্রমুখ।

মাগুরায় সবুজ উৎসব -২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পদক প্রদান

অনুষ্ঠানে সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা প্রতিষ্ঠান সরকারি সিভিল সার্জন অফিস, সেরা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি মাগুরা প্রেস ক্লাব, সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক) কুমার কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাধ্যমিক) আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সেরা সংগঠন প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সংস্থা,ব্যক্তি পর্যায়ে সেরা বৃক্ষপ্রেমী আশীষ কুমার দে মন্ডল ও সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।

মন্তব্য

রাজনীতি
The founder of the madrasa arrested for rape of Madrasa student

মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা

মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক মাওলানা জসিম উদ্দিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, লম্পট ওই নারীলোভী শিক্ষক উপজেলার রঘুনাথপুর মধ‍্যেপাড়া এলাকায় রঘুনাথপুর জামিয়া খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সেখানে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বুজিয়ে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় মেয়েকে ভর্তি নেন।

এমতাবস্থায় মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে একা পেলেই ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেওয়া আরেক নারীর সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় মাদরাসার অফিস কক্ষে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে, যা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। তবে এবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
The Professor Jatin Sarkar of Freedom Award is no longer

স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক যতিন সরকার আর নেই

স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক যতিন সরকার আর নেই

স্বাধীনতা ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক যতীন সরকার মারা গেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। যতীন সরকার (৯৯) দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এর মধ্যে গত জুন মাসে পড়ে গিয়ে উরুর হাড়ে আঘাত পান পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে নেয়ার পর সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। যতীন সরকার দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ উদীচীর ময়মনসিংহ কার্যালয়ে নেয়া হবে। তবে শেষকৃত্যের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিপিবির ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত। প্রসঙ্গত,যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোণার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার,ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।

৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোণায়। তার প্রথম গ্রন্থ সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের কবিগান বাঙালির সমাজ তান্ত্রিক ঐতিহ্য সংস্কৃতির সংগ্রাম মানবমন,মানবধর্ম ও সমাজবিপ্লব। এ প্রবন্ধ গ্রন্থগুলোর পাশাপাশি শিশুদের জন্য সুপাঠ্য একটি ব্যাকরণ গ্রন্থও রচনা করেন তিনি। বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত গল্পে গল্পে ব্যাকরণ’ বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে এবং ব্যাকরণ গ্রন্থের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বাংলা একাডেমির জীবনী গ্রন্থমালার মধ্যে চারটি গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। যথাক্রমে-কেদারনাথ মজুমদার চন্দ্রকুমার দেহরিচরণ আচার্য সিরাজউদ্দিন কাসিমপুরী। তার সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী প্রসঙ্গ মৌলবাদ ও জালাল গীতিকা সমগ্র। এ ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আরও রয়েছে পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন দ্বিজাতিতত্ত্ব, নিয়তিবাদ ও বিজ্ঞান-চেতনা সংস্কৃতি ও বুদ্ধিজীবী সমাচার সাহিত্য নিয়ে নানাকথা।

মন্তব্য

রাজনীতি
Most of the roads in Comilla metropolis

কুমিল্লা মহানগরের অধিকাংশ সড়কই যেন একেকটি মরণফাঁদ

কুমিল্লা মহানগরের অধিকাংশ সড়কই যেন একেকটি মরণফাঁদ

কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশ পথের প্রধান সড়কগুলো যেন এখন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছমব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর এবং টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি,

সড়কে জায়গায় জায়গায় বিশাল গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের নতুন নাম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব ঝুঁকিপূর্ণ পথে চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ঢেকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর এমন করুণ দশা কর্তৃপক্ষের অবহেলারই প্রমাণ। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। যদিও বর্ষার দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কগুলোর সংস্কার নিয়ে দায়সারা কথা বলছেন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে আলেখারচর বিশ্বরোডের অন্তত এক কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত, উঠে যাওয়া পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর সব মিলিয়ে সড়ক নয়, যেন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। অথচ এই সড়কটি নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এখানে রয়েছে কুমিল্লা নগরের বৃহত্তম বাসস্ট্যান্ড 'শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড'। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় হাজার হাজার মানুষের চলাচল৷

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা নগরে প্রবেশের অন্যতম এই ব্যস্ত সড়কটির কথা ভুলেই গিয়েছেন প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এই গর্তগুলো সড়কে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এক সময় গর্তগুলো ছোট ছোট থাকলেও এখন সেগুলো বড় হয়ে রূপ নিয়েছে ভয়ংকর।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বর্ষার পানিতে সেই ক্ষত আরও বেড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। পানিতে গর্তগুলো ঢেকে যাওয়ায় না বুঝে গাড়ি সেখান দিয়ে চলাচল করলেই ঘটে দূর্ঘটনা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে কুমিল্লা নগরী থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে দুর্গাপুর এলাকার দিঘীরপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটির প্রবেশমুখেই সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা,

দুরবস্থার কারণে চালকরা গর্ত এড়িয়ে এঁকেবেঁকে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও, গর্ত থাকায় হেলে দুলে চলছে গাড়িগুলো। এতে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। রোগী বহনের ক্ষেত্রেও এই সড়ক প্রায় অচল। অথচ এটি কুমিল্লার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের অন্যতম যোগাযোগপথ।

এই সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাসপোর্ট অফিস পার হয়ে ওষুধ মার্কেট এলাকা, শাসনগাছা ফ্লাইওভারের দুই পাশে, দুর্গাপুর দিঘিরপার বাজার ও আলেখারচর এলাকায়। প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, শত শত বাস, ট্রাক, পণ্যবাহী গাড়ি ও তেলের লরি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

যাত্রীদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্ষায় তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হওয়া অন্তত পাঁচজন পথচারী ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, বড় যানবাহন কষ্ট করে চললেও অটোরিকশা নিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে পড়ে, এতে যাত্রীরা আহত হন। কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মালামাল নিয়ে যাতায়াত এখন অনেকটাই অসম্ভব। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?

স্থানীয়দের দাবি, যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা। টমসমব্রীজ-বাখরাবাদ সড়ক। বড় বড় গর্তে জমে থাকা পানি দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন জলাশয়। প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যান, পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থী এ পথে চলাচল করেন। পথে রয়েছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ, বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড,সহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই সড়ককে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বলা চলে।

এই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে এমন আশার দৃশ্য সিটি কর্পোরেশন থেকে দেখানো হলেও বর্ষার দোহাই দিয়ে সেটিও বন্ধ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এতে খানাখন্দ যেন আরো বেড়ে গিয়েছে। যদিও সিটি কর্পোরেশন বলছে আগের তুলনায় এই সড়ক অনেক বেশি চলাচল উপযোগী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড ১ নং গেইট পর্যন্ত সড়ক যেন দাঁড়িয়েছে মরণফাঁদ হয়ে। এই সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে। বড় বড় গর্তে পড়ে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির ইঞ্জিন। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়াও রোগীবাহী এম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়েও সঠিক সময়ে রোগী নিয়ে পৌঁছাতে পারেন না মেডিকেলের জরুরী বিভাগের সামনে। এতে অনেক সময় রোগীর জীবনের ঝুঁকির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

টমসমব্রীজ-মেডিকেল সড়কে প্রতিদিন চলাচল করা অন্তত ১০ জন যাত্রী এই বলেন, এই সড়কে রোগী নিয়ে গেলে গর্তে ধাক্কা খেয়ে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় তো গর্ত দেখা যায় না, তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ। পানি ময়লা, আবার সড়ক পিচ্ছিল। এতে যাত্রীদের অনেক সময় পড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। এই সড়ক দিয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে রোগী আসলে রোগীর সাথে যারা আসে তারাও অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত এই সড়ক পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।

হেলে দুলে গাড়ি চলছে নগরীর কান্দিরপাড়-ধর্মপুর সড়কে

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভোগান্তী চরমে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর সড়ক। নগর বাসীর দাবি দ্রুত সড়ক গুলো মেরামত করা হোক, এবং অবৈধ দখল, পার্কিং,অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে স্বস্তি দেওয়া হোক।

মন্তব্য

দুর্নীতির আখড়া রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস

দুর্নীতির আখড়া রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ অফিসে কর্মরতদের চাহিদা মত ঘুষ দিলেই হয় সব কাজ, না দিলেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ- ঘুস বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা, প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ। তারা তিনজন জন মিলেমিশে এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে যেন ঘুসের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ও মিরাট ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল একটি কাশিমপুরে। ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত এলাকা মিরাট ইউনিয়নের জন্য গত প্রায় সাত মাস আগে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর বাজার এলাকায় নতুন করে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস করা হয়। ওই ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন দুরুল হুদা। আর প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ।

অভিযোগ উঠেছে খাজনার অনুমোদন, খাজনার চেক করে দিতে, খারিজের প্রতিবেদন-প্রস্তাব, হোল্ডিং এন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন দিতে দুই হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার, ২০ হাজার, এমনকি লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা। সেবাপ্রত্যাশীরা তাকে চাহিদা মত ঘুস দিলেই মিলে কাজ, না দিলেই সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানিতে পরতে হয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অফিসে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ। তার মদদে অফিসের স্টাফদের মতো দুইজন দালাল থাকেন সব সময় অফিসে। দালালদের মধ্যস্ততায় সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকেও হাজার হাজার টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেন তারা।

অফিসের প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগের বিরুদ্ধেও যেন অভিযোগর শেষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- জায়গা-জমির খারিজ (নামজারী) করিয়ে দিতে তারা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ৭ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। খারিজের জন্য কেউ ঘুষ দিয়েও ঘুরছে দিনের পর দিন। আবার নিয়ম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে তারা দু’জন গোপনে দেন প্রস্তাবিত খতিয়ান। খারিজ শেষে কেউ হোল্ডিং খুলতে গেলে বা কেউ খাজনা দিতে গেলে সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানি করেন। পরে তাদের কব্জায় ফেলে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে দেন।

উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া গ্রামের মোছা. মেঘনা নামে ভুক্তভোগী এক নারী জানান, জমি খারিজের পর খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। কিন্তু অফিসের নায়েব অনুমোদন দেননি। আবার আবেদন করেছি। প্রায় ৬ মাস ধরে অফিসে ঘুরছি। অফিসের পিওন সোহাগের কাছেও ঘুরেছি। এখনো অনুমোদন মেলেনি, খাজনাও দিতে পারিনি।

জালালাবাদ গ্রামের রায়হান রাফু জানান, আমাদের একটি জমির খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ মিসকেস করেছে। এই মিসকেস থেকে কিভাবে উদ্ধার হওয়া যায় সেজন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের কাছে যাই। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও তার সাথে থাকা একজন দালাল আমাদের জমির সকল সম্যসা সমাধান করে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। পরে তারা দুইজন মিয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও দালাল বলে এই সাম্যান্য টাকা দিয়ে কাজ হবে না। পরে তারা দুইজন আমাদের সাথে ৯৭ হাজার টাকা চুক্তি করেন। কয়েক ধাপে নায়েব ও তার দালাল ৯৭ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই কাজের কোন সমাধান হয়নি বা নায়েব আমাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। তার পিছনে তিন মাস ধরে ঘুরছি। আমি এর প্রতিকার চাই।

পার্শবতী মান্দা উপজেলার তুরুকবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে নায়েবের কাছে গেলে তার একজন দালাল আমার কাছ থেকে জমির কাগজপত্র নিয়ে নেয়। পরে কিজানি ইন্টি করতে হবে এজন্য ২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। আমি তাদের চাহিদামত টাকা দিইনি তাই খাজনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া চলতি বছরে আমার কয়েক দাগে জমির খারিজ করে নিয়েছি। সেই খাজিরের ৪৬ শতাংশ জমির খাজনা দিতে অফিসে গেলে নায়েব দুরুল হুদা আমার কাছে ৩১ হাজার ৮১৮ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা তাকে না দেওয়ায় আর খাজনা দেওয়া হয়নি। পরে নায়েবের কাছে আবার গেলে তিনি আমার জমির হোল্ডিং বের করে জমির নানা সমস্য তুলে ধরেন। এরপর টাকা না পেয়ে হোল্ডিংয়ে লাল কালির চিহ্ন দিয়ে দেয়।

হরিশপুর গ্রামের সোলাইমান জানান, আমার ৪৫ শতাংশ জমির খাজনা দেওয়ার জন্য পিওন সোহাগ খাজনার চেক করে দিবে বলে ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন। সেইদিন চাহিদামত টাকা দিইনি দেখে

মিরাট উত্তরপাড়া গ্রামের ফাহাদ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে গেলে অফিসের কুদ্দুস ও সোহাগ ১০ হাজার টাকা চায়। এরপর তারা আমাকে বেশ কয়েকদিন ঘুরিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাত্র ৭৭২ টাকার খাজনার চেক করে দিয়েছে।

মিরাট গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ছাত্তার জানান, আমার তিন দলিলে ৮ শতাংশ জমি খারিজের জন্য অফিসের সোহাগ প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৭ হাজার টাকা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ঘুরিয়ে খারিজ করে দিয়েছে। এখন হোল্ডিং খোলার জন্য অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। হয়রানির কথা জানালেন ফজলু সরদার ও মজনু সরদার দুই ভাই। তারা কয়েক মাস আগে পৃথক দলিলে ৬ শতাংশ জমির খারিজের জন্য সোহাগের হাতে ঘুষ দিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। কাজ হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী আরও ৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছে না অসহায় ওই দুই ভাই।

স্থানীয় ইয়াকুব নামের এক লোকের কাছে প্রস্তাবিত খতিয়ান দিয়ে দুই হাজার দুইশ’ টাকা ঘুষ নিয়েছে কুদ্দুস ও সোহাগ। ইয়াকুব জানালেন, কুদ্দুস ও সোহাগ দুজনেই খুব খাইখোর। তারা ঘুষ ছাড়া কিছুই বোঝে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সাথে আমি কোন কথা বলবো না।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পিওন সোহাগও ফোন রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, বিষয়গুলো আমার জানা নেই। কেউ কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে